**ধোকার প্রতিদানে ধোকা**

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:৪৩

→ মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে রুদ্র.. রুদ্রর বাবা অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করায়। তবু সে একটু
বিলাসি স্বভাবের
**********-**------*******--****---
দুইপার মাঝে বালিশ দিয়ে মনের সুখে সিগারেট টানছিল রুদ্র। এমন মোহময় মুহুর্তটার ১২ টা বাজল
ফোনের রিংটোনে। অদ্রির ফোন
-হ্যালু ক্যাঠায় বলতাছেন??
-এই ফাইজলামু বাদ দাও কোথায় তুমি?
-আমি কই ফাজলামু করলাম। মেসে!!
-শোনো অনেক বড় সমস্যা হয়ে গেছে তারাতারি আমাদের বাড়ির সামনের রেস্টুরেন্টটায় আসো.
-Ok আসতেছি(মনে মনে আল্লাহই জানেন আমার পকেটের কি অবস্থা হপে )
কানে হেডফোন গুজে রিক্সা চেপে রওনা দিল রুদ্র
-হ্যা তুমি কই (রুদ্র)
-ভেতরে আছি চলে আস (অদ্রি)
ভেতরে ঢুকে দেখে অদ্রি একা এক টেবিলে বসে আছে...রুদ্র গিয়ে চেয়ার
টেনে সামনে গিয়ে বসল... অদ্রিকে কিছুটা চিন্তিত দেখাচ্ছিল…রুদ্র জিজ্ঞেস করল
-বল কি সমস্যা হয়েছে??
-রুদ্র তুমি প্লিজ কিছু কর.…আমার বাবা আমার বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে
-ভালো!! আমাকে দাওয়াত দিবা না
-রুদ্র প্লিজ বি সিরিয়াস
-তোমার বিয়ে তো এর আগেও কয়েকবার ঠিক হয়েছে!!
- না!! এবার বাবা খুব শক্ত ডিসিশন নিয়েছে!!
-দেখি কি করা যায়
-দেখি না এখনই বলতে হবে আমাকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করতে পারবে কি না!!
-পালিয়ে বিয়ে!! না সম্ভব না!!আমি এখনও ছাত্র
-সম্ভব না হলে নেই!! আমাকে পাবে না!! রুদ্র আমি তোমাকে ছাড়া যে থাকতে পারবো না!!
প্লিজ আমাকে ফিরিয়ে দিও না!
***এরপরের ঘটনা খুবই করুণ***
রুদ্র আর অদ্রি পালিয়ে বিয়ে করে!! এতে সামাজিক অপমান ও কষ্টে অদ্রির বাবা হার্ট
অ্যাটাকে মারা যায়!! অদ্রির পরিবার নিঃস্ব হয়ে পরে। কিন্তু তাতে কি অদ্রি ওর ভালোবাসার
মানুষকে তো কাছে পেয়েছে…
আর এদিকে রুদ্র অদ্রিকে নিয়ে এক বাসা ভাড়া নিয়েছে!! কিন্তু খুব কষ্টে তাদের সংসার
চলতেছে!! রুদ্র তার বাবা-মার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে!!
একদিন রুদ্রর চাকরি হয়ে যায় একটা ছোট খাটো এন.জি.ও তে! তাদের সংসারে স্বচ্ছলতা ও
শান্তি ফিরে আসে!!
রুদ্রর কলিগ ছিল আবির… কাজের সুবাদে রুদ্রর বাসায় প্রায়ই আসা-যাওয়া হত! আবির আর অদ্রির
পরিচয় হয়!! তাদের মধ্যে ঘনিষ্টতা বাড়তে থাকে!! অবিশ্যাস্য হলেও সত্য যে… আবির
মনে মনে অদ্রিকে পাওয়ার আকাঙ্খা করতে থাকে!!
এভাবে অদ্রিদের বাসায় আবীরে যাওয়া আসা চলছিল এবং আবীরের কু-চিন্তা গভির
থেকে গভিরতর হতে থাকে
****----আবীরের ফোন----****
-ভাবী আপনি কই??
-এইতো বাসায়!! কেন কি হয়েছে!!
-তারাতারি রুদ্রর অফিসে আসেন! ও অফিসেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে
-ওহ মাই গড!! আমি এখনই আসছি!!
(আসলে রুদ্রর কিছুই হয়নি!! অফিসের কাজে সে এখন শরের বাইরে আছে)
কিছুক্ষনের মধ্যেই অদ্রি গিয়ে রুদ্রর অফিসে পৌছালো!! আবিরকে ফোন দিল!
-কোথায়??
-ভাবী রুদ্রকে তো আমার বাসায় নিয়ে আসছি!! অফিসে রাখলে ক্যামন হবে বলেন!! আপনি একটু
কষ্ট করে আমার বাসায় আসেন!! রুদ্র এখন ভালোই আছে!
অগত্যা অদ্রি সেখানেও গেল । কলিংবেল দিতেই আবীর দরজা খুলে দিল । অদ্রি ভেতরে ঢুকতেই
আবির পেছন থেকে ক্লোরোফরম দেওয়া রুমাল অদ্রির নাকে চেপে ধরল। অদ্রি অজ্ঞান হয়ে গেল
আর আবীর তার পৈশাচিক বাসনা পূরণ করল!! শুধু তাই নয় ভিডিও ও করে রাখল
পরে এই ভিডিও দিয়েই অদ্রিকে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকে আবীর....
অদ্রির জীবনে কালো অধ্যায় নেমে আসে!! আবীর তার মতোই স্বভাব বিশিষ্ট অন্যান্য ২ / ৩ জন
কলিগদের তার বাসায় এনে মদের আড্ডা বসাতো!! আর অদ্রিকে ফোন দিত তাদের বাসনা পুরনের
জন্য!! (অদ্রি সেই ভিডিওর জন্য বাধ্য ছিল আসতে!! নইলে তার স্বামিকে আবীর সব বলে দিত)
কিন্তু রুদ্র কোন একভাবে যেনে যায়!! অদ্রির বিশ্বাস ছিল তার স্বামী তাকে মেনে নিবে …
কিন্তু …বিধিবাম!!
তুমুল ঝগড়া শেষে তদের ডিভোর্স হহে যায়!!
এদিকে স্বামীর সংসার হতে বঞ্চিত অদ্রিকে কে গ্রহন করবে?? সমাজ!!?? (এহকালে নয়)
আর পরিবার (সে তো আগেই বিলিন হয়ে গেছে প্রতারণার করাল গ্রাসে)
ধসে পড়ে একটি সাজানো সংসার ।
[বাবা-মা আপনাকে জন্ম হতে লালন-পালন করে আসছে ……তাদের ভালোবাসা ২দিনের পরিচিত
কারো ভালোবাসার সাথে তুলনীয় হতে পারে না…তাই তাদের এই
ভালোবাসাকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে …তাদের মনে কষ্ট দিয়ে আপনি কখনই সুখি হতে পারবেন না!!!
ধোকার প্রতিতানে আপনি ধোকাই পাবেন!! সম্পর্কে জড়ানোর আগে পরিবার বিশেষ করে বাবা-
মা এর মুখের দিকে একবার ভালো করে তাকান ]

০ টি +০/-০