নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবিতা লিখি , গল্প লিখি , মুভি রিভিউ লিখি , বুক রিভিউ লিখি , ফিচার লিখি । এই তো আমার লিখিময় জীবন ।
কোন ধরণের বিতর্ক এড়াতেই প্রথমেই বলে দিই আমি পিউর আর্জেন্টিনার সাপোর্টার ।বুঝাই যাচ্ছে মুভিটি পেলের জীবনীকে কেন্দ্র করেই । IMDb.com রেটিং এ 7`2/10 । কিছু কথা না বললেই নয় । কিছু অজানা তথ্য না জানালেই নয় ।তাই কাহিনীটি সংক্ষেপে নিজের মত করে তুলে ধরলাম ।
।
কাহিনী সংক্ষেপ (স্পয়লার এলার্ট)- অনেক লিজেন্টের মত পেলেও উঠে এসেছেন এক বস্তি থেকে । জায়গাটা ত্রেস কোরাকোয়েস শহরের একটি বস্তি । অভাবের সংসারে সাহায্য করতে বাবার মেথরের চাকরী আর মায়ের চাকরানীর চাকরীতে প্রায়শ যেতে হয় পেলেকেও । তাতেও ফুটবলের নেশা কমে না বরং আরো বাড়ে । এডসন অরান্তেস দো নাসিমেন্তো পেলের পুরো নাম । বন্ধুরা ডাকে "ডেকো" নামে । (তবে এই ডেকো নাম কিভাবে পেলে হয়ে উঠে তার একটা সুন্দর গল্প মুভির ভেতরে আছে )। ১৯৫০ । ব্রাজিল ফাইনালে হেরে গেছে । পেলের বাবার ভেঙ্গে পড়া কান্না দেখে পেলে ওয়াদা করলো; সে তার বাবার জন্য হলেও ওয়ার্ল্ড কাপ এনে দিবে ।তার বাবা ফুটবলের ফ্যান হলেও তার মা ফুটবলের চরম বিরোধী । তাই পেলেকে মায়ের অজান্তে অগোচরে ফুটবল খেলতে হতো । একদিন ফুটবল খেলার জন্য পেলে ও তার বস্তির টিমের বুট দরকার হয়ে পড়ে । এই জন্য তারা বাদাম চুরি করতে বাধ্য হয় । এরই পারিপার্শিক ঘটনায় এক বন্ধুকে পেলের চোখের সামনে মরে যেতে হয় । কিশোর বয়সে এই কষ্ট পেলে সহ্য করতে পারেননি । সে ঠিক করে ফুটবল খেলা ছেড়ে দিবে । কিন্তু বাবার অনুপ্রেরণায় শেষতক সে আবার একদিন ফিরে আসে । বাবা জানায় সেও এক সময় লীগের প্লেয়ার ছিলো । কিন্তু পা ভেঙ্গে যাওয়াতে তার ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়ে যায় ।
পেলে জানতে পারে কেন ব্রাজিলিয়ানরা ফুটবলকে এতটা ভালোবাসে । ঘটনা শুরু হয় ১৬ শতকে । পর্তুগিজরা দাসত্বের জন্য দলে দলে কৃষ্ণাঙ্গ ধরে নিয়ে আসতে শুরু এই দেশে । একসময় কৃষ্ণাঙ্গরা তাদের শেতাঙ্গ প্রভুদের সাথে লড়ার জন্য এক ধরণের মার্শাল আট জাতীয় আত্মরক্ষার প্র্যাকটিস করা শুরু করে যাকে তারা বলে "জিঞ্জা"। শেতাঙ্গ প্রভুরা ভীত হয়ে জিঙ্গার উপর নিষেধাজ্ঞা তথা জেল জরিমানা জারি করলো । কৃষ্ণাঙ্গরা খেয়াল করলো গ্রেফতারি এড়াতে আর জিঞ্জার প্র্যাকটিসের জন্য ফুটবল হলো একদম আদর্শ । আর এইভাবেই একসময় তারা পর্তুগিজদের তাড়াতে সক্ষম হল। এজন্যই ফুটবল তাদের সংগ্রাম ও ভালোবাসার প্রতীক । ১৯৫০ সালে জিঞ্জা ধাঁচের ফুটবল খেলার কারণে ব্রাজিল ইউরোপিয়ান ফুটবলের কাছে হেরেছিলো বিধায় পরবর্তীতে জিঞ্জা ধাঁচের ফুটবল জাতীয় টিমে এক রকম নিষিদ্ধ ছিলো । আর পেলে ছিলো জিঙ্গা ধাঁচের ফুটবলে পারদর্শী ।নিষেধ সত্ত্বেও পেলে ১৯৫৮ সুইডেনের মাটিতে আহত পা নিয়েই জিঙ্গা ফুটবল খেললেন । বাকিটা ইতিহাস । পেলে তার পিতার কাছে তার ওয়াদা রক্ষা করলেন । ব্রাজিলকে তার প্রথম বিশ্বকাপ এনে দিল ।
Jeff Zimbalist ও Michael Zimbalist স্ক্রিপ্টে ও তাদের পরিচালনায় মুভিটি বের হবার কথা ছিল ২০১৪ সালের ওয়ার্ল্ড কাপ । কিন্তু শুটিং বাকি থাকায় আর হয়নি । যাইহোক মুভিটি এক কথায় ভালোই । তবে গভীরতা কম । মুভির প্রয়োজনে কাহিনীও একটু এদিক হয়েছে বলে আমার ধারণা ।মুভির সবচেয়ে বেষ্ট পার্ট হলো শেষাংশ । ওয়ার্ল্ড কাপ পেয়ে যখন পেলে কাঁদছিল সাথে কাঁদছিল পুরো ব্রাজিল । যা যে কাউকে সেন্টিমেন্টাল করতে বাধ্য
Pelé: Birth of a Legend Official Trailer 1 (2016) -
view this link
।
এই কান্নাটুকু আমি আমাদের মাঝেও দেখেছি । যখন বাংলাদেশ জিতে তখন। পাথর্ক্যটা কেবল খেলায় । বাংলাদেশ ফুটবলে আমার জীবদ্দশায় ওয়ার্ল্ড কাপ পাবে এটা আমি কখনো ভাবি না । তবে ঠিক ঐভাবে কাঁদতে চাই হোক না সেটা ক্রিকেটের ওয়ার্ল্ডকাপ বিজয়ে । সবাইকে ধন্যবাদ ।
২৬ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৭
শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৩০
হাসান মাহবুব বলেছেন: এইটার ভালো প্রিন্ট আইছে? কৈত্থিকা দেখুম?
২৬ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮
শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: এটার ভালো প্রিন্ট আছে । সার্চ দিলেই পাবেন
৩| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৮
সিগনেচার নসিব বলেছেন: দেখা ছিল
রিভিউ সুন্দর হয়েছে
২৭ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:১৩
শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন:
৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:২৬
সুমন কর বলেছেন: রিভিউ ভালো হয়েছে। দেখার ইচ্ছে হলো, সময় করে দেখে নেবো।
৫| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৪৭
ডি মুন বলেছেন: রিভিউ এর জন্যে আপনারে +++++
এই মুভি মিস দেয়া যাবে না কোনোমতেই
৬| ২৮ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৩২
মিনহাজ রিয়াজ বলেছেন: অসাধারন
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৬
অদৃশ্য বলেছেন:
মুভিটা দেখেছি... আমারতো দারুন লাগছে... কিন্তু খুব ছোট মনে হইছে...
শুভকামনা...