নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তায় মুক্ত - ভাষায় প্রকাশে ভীত , কল্পনার সীমানা মহাকাশ ছাড়িয়ে - বাস্তবতায় পা বাড়াই না সীমানার বাহিরে

শান্তনু চৌধুরী শান্তু

কবিতা লিখি , গল্প লিখি , মুভি রিভিউ লিখি , বুক রিভিউ লিখি , ফিচার লিখি । এই তো আমার লিখিময় জীবন ।

শান্তনু চৌধুরী শান্তু › বিস্তারিত পোস্টঃ

নস্টালজিয়ায় - Earth: Final Conflict (রিভিউ)

৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:২৮



ভূমিকাঃ বিটিভিতে বাংলা ডাবিং-এ প্রচারিত Earth: Final Conflict হলো আমার দেখা প্রথম সাই ফাই সিরিজ । যা আমার মত অনেকের বিশেষ করে নাইন্টিজ জেনারেশনের নস্টালজিয়ার বিষয় । দুর্ভাগ্যক্রমে ৭-৮টা এপিসোড প্রচারিত হয়ে অজ্ঞাত কারণে সিরিজটি বন্ধ হয়ে যায় । লক ডাউনের সময়ে পুরানো নস্টালজিয়াকে খুঁজে বের করার চেয়ে মজার কিছু হয় না ।

আরেকটু ভূমিকাঃ Earth: Final Conflict হচ্ছে একটি আমেরিকান- কানাডিয়ান সাইফাই টেলিভিশন টিভি সিরিজ । যা বিখ্যাত পরিচালক স্ক্রিপ্ট রাইটার Gene Roddenberry এর আইডিয়া হতে উদ্ভুত । যিনি অরিজিনাল স্টার ট্রেক, নিউ জেনারেশন স্টার ট্রেক এর রচয়িতা ও পরিচালক । উক্ত সিরিজটি Gene Roddenberry মৃত্যুর পর তাঁর রেখে যাওয়া বিভিন্ন নোট ও আইডিয়ার উপর তাঁর স্ত্রী Majel Barrett-Roddenberry প্রযোজনা করেন । এই সিরিজটি অক্টোবর ৬, ১৯৯৭ থেকে মে ২০, ২০০২ সাল পর্যন্ত চলে মোট ৫ সিজন চলে ।


মূল কাহিনীঃ (স্পয়লার এলার্ট) একাবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে, অতি উন্নত এলিয়েন রেস Taelons পৃথিবীতে আসে এবং সীমিত সংখ্যায় পৃথিবীতে বসবাস করতে থাকে । এদেরকে "the Companions" বলা হয় । স্বাভাবিকভাবে এদের ছিল অতিউন্নত প্রযুক্তি । যা তারা মানুষের সাথে শেয়ার করে । যার ফলে ৩ বছরের মধ্যে পৃথিবী থেকে রোগ, যুদ্ধ, দূষণ বিলুপ্ত হয় । তাদের এত সহজ সরল মানসিকতার মাঝেও অতি সন্দেহপরায়ণ মানুষের মনে তাদের উপস্থিতির মূল মোটিভ নিয়ে প্রশ্ন জাগে । মানব জাতির প্রতি Taelon দের ক্রমবর্ধমান প্রভাব দেখে ক্রমে ক্রমে একটি resistance movement গড়ে উঠে ।

কাহিনীর সূত্রপাতঃ নর্থ আমেরিকান Taelon Companion ‘ড্যান’ বক্তৃতা দেওয়ার সময় তার উপর হামলা হয় । সৌভাগ্যক্রমে ড্যান বেঁচে গেলেও তাকে বাঁচাতে গিয়ে মারা যায় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ‘জোনাথন ডোরস’ । ঐ মুহূর্তে বিশেষ দক্ষতা দেখানোর জন্য ডেন –এর চোখ পড়ে সিরিজের মূল নায়ক পুলিশ কমান্ডার উইলিয়াম ব্রুনির উপর । পরবর্তীতে ব্রুনিকে Taelon Protector ও দূতের পোস্ট অফার করা হয় । ব্রুনি বিনয়ের সাথে অফারটি ফিরিয়ে দেয় এই বলে যে সে তার স্ত্রী সাথে সংসার শুরু করবে বলে । প্রকৃত পক্ষে ব্রুনি কখনই Taelon দের বিশ্বাস করতে পারেনি । রহস্যজনকভাবে ব্রুনোর স্ত্রী মারা যায় । পরবর্তীতে ব্রুনোর দেখা হয় জনাথন ডোরস –এর সাথে যিনি তার সাজানোর মৃত্যুর মাধ্যমে সকলের আড়ালে চলে গিয়েছিলেন । প্রকৃতপক্ষে তার মূল উদ্দেশ্য ছিল – Taelon দের মূল মোটিভ খুঁজে বের করা । এছাড়া তার ধারণা ছিল ব্রুনোর স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যুর সাথে Taelon দের যোগসূত্র আছে । ফলে ব্রুনি ডবল এজেন্ট হিসেবে তাদের অফারটি গ্রহণ করে ।

Taelon দের এজেন্ট হওয়ার আগে কিছু প্রসিডিউরের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় । ব্রুনি মস্তিস্কে সাইবার ভাইরাল ইমপ্লান্ট সংক্ষেপে সিভিআই গ্রহণ করে । যার ফলে তার স্মৃতিশক্তি অত্যন্ত প্রখর ও অতীতের মূহুর্তগুলোকে নতুন করে মনে করা ও অনুভব করার ক্ষমতা তৈরি হয় । উক্ত সিভিআই Taelon দের প্রতি অন্ধ বিশ্বস্ততা তৈরী করলেও জোনাথন ডোরস- এর কল্যাণে ব্রুনো এ থেকে মুক্ত ছিলো । একই সাথে ব্রুনোর হাতে স্ক্রিল (Skrill) নামক একটি বায়োইঞ্জিনিয়ারড ওয়েপেন হাতের সাথে যুক্ত করা হয় । যা তাকে হাতে থেকে রশ্নি নিক্ষেপ করার যে কোন কিছু ধ্বংস করার ক্ষমতা দেয় । ব্রুনির পার্টনার হলো এজেন্ট রোনাল্ড স্যান্ডোভ্যাল । যে কিনা Taelon দের প্রতি সম্পূর্ণ রূপে লয়াল ।

ব্রুনি দ্রুত বের করে এই এজেন্ট রোনাল্ড তার স্ত্রীকে হত্যা করে । কারণ হিসেবে এজেন্ট রোনাল্ড বলে সে যেন Taelon দের অফার গ্রহণ করে এই জন্য সে তার স্ত্রীকে হত্যা করে । ব্রুনো মেনে নেওয়ার অভিনয় করে কারণ সিভিআই তাকে Taelon দের প্রতি অন্ধ বিশ্বস্ততার শিক্ষা দিয়েছে । না হলে তার ডাবল এজেন্টের পরিচয় ফাঁস হয়ে যাবে । ব্রুনো ডবল এজেন্ট হিসেবে Taelon দের মূল মোটিভ বুঝতে মন প্রাণ দিয়ে লেগে পড়ে । সঙ্গী হয় আরেকজন ডবল এজেন্ট লিলি ও ট্যাকনিক্যাল জিনিয়াস মার্কাস- এর সাথে । তারা পরবর্তীতে এলিয়েন রিলেটেড বিভিন্ন কেইস সলভ করে ।

ব্রুনি ক্রমে ক্রমে Taelon ড্যান – এর ভালো বন্ধু হয়ে আসে এবং ‘জর’ নামে আরেক Taelon –এর সাথে পরিচয় হয় । ব্রুনি আরো জানতে পারে বহু শতাব্দী পূর্বে মারেল নামে এক Taelon পৃথিবীতে আসে এবং বুঝতে পারে মানুষ অতি দ্রুত তাদের সমক্ষক হয়ে উঠবে । Taelon দের মূল লক্ষ্য মানুষকে বশে রেখে ধীরে ধীরে নিজেদের ইমেজে তৈরি করে নেওয়া যাতে পরবর্তীতে মানুষ তাদের জন্য থ্রেট না হয়ে উঠে । - এটি ১ম সিজনের কাহিনী মাত্র । পরবর্তীতে সিজনগুলোতে কাহিনী আরো জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠে ।

আলোচনা-সমালোচনাঃ আইএমডিবি’ রেটিং-এ ৬.২/১০ পাওয়া এই সিরিজটি সে যুগের সেরা প্রযুক্তি নিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে রেডি প্লেয়ার ওয়ান বা এভেঞ্জার এন্ডগেইম বা The Expanse – এর যুগে এই সিরিজটি রীতিমত মধ্যযুগের । গ্র্যাফিক্সে দুর্বল হলেও কাহিনী অত্যন্ত শক্তিশালী ও আনপ্রেডিক্টেবল তথা গেইম অব থ্রোনসের মধ্যে টুইস্ট ও হাই ট্রার্নওভারে ভর্তি । উইলিয়াম ব্রুনি চরিত্রে কেভিন কিনলার ও লিলি চরিত্রে লিসা হাওয়ার্ডের চরিত্রে নিঃসন্দেহে তাদের সেরাটা দিয়েছেন । ব্যক্তিগত রেটিং ৬.৫/১০ ।

উপসংহারঃ নিতান্ত নস্টালজিয়ায় বশে পুরানো সিরিজগুলো দেখা শুরু করেছি । আশা করি সামনে নাইন্টিজ জেনারেশনের নস্টালজিয়ায় বিষয়ে নিয়মিত লিখবো । শুভ কামনা । করোনা ভাইরাস মুক্ত থাকতে ঘরে থাকুন । হ্যাপী ওয়্যাচিং ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:২২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভালো l+

৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৩৪

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: ইদানিং আমাকে শুধু সাউথ মুভি গুলো ভীষন টানে।

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৩৯

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: মাঝে মাঝে সাউথ ইন্ডিয়ান মুভি দেখা ভালো । মন মেজাজ ফুরফুরে হয়ে যায় ।

৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৫৯

বিপ্লব০০৭ বলেছেন: আর্থ ফাইনাল কনফ্লিক্ট পুরো দেখা হয়নি। এক্স-ফাইলসকে বাদ দিলেন ক্যানো? এক্স-ফাইলস, টিম নাইট রাইডার, স্পেল বাইন্ডার..বিটিভির সে এক স্বর্ণযুগ, কী যে ছিলো সেই দিনগুলো!

০২ রা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৩৯

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: ওগুলোই শুরু করবো । ছাড় নাই । আহ্‌ কি দিন না ছিলো ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.