নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শাকরানের রাফখাতা

ছবিকর

Doctor, Photo-enthusiast, Movie-buff, Music-addict, Pluviophile, Poetry-lover, Cat-Person, Nyctophile, Traveloholic

ছবিকর › বিস্তারিত পোস্টঃ

"হামহাম একটা ঝর্ণার নাম": সিলেট- মৌলভীবাজার ভ্রমণের ২য় দিন...

২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৩৭

ঝর্ণাটি দুর্গম বলেই জানতাম। কিন্তু এত যে অগম্য, সেটা কল্পনা করতে পারিনি।সামান্য অ্যাডভেঞ্চারের নেশায় প্ল্যান করেছিলাম হামহাম যাওয়ার। ৩দিন ব্যাপী সিলেট ভ্রমণের ২য় দিন পুরোটা তাই বরাদ্দ ছিল এজন্যই।



ভোরবেলা গাড়ি করে সিলেট থেকে মৌলভীবাজার যাত্রা। এরপর ওখানের কমলগঞ্জ উপজেলার সদর থেকে আরো প্রায় ৩০কিমি দূরে যেতে হয় সিএনজি করে। এরপর শুরু হয় ২ঘন্টার হাঁটার পথ।যাওয়ার সময় তেমন সমস্যা না হলেও পৌঁছানোর পর বৃষ্টি হওয়ায় আসার পথ অ্যাডভ্যাঞ্চারাস থেকে ক্রমশ মারাত্মক ডেঞ্জারাস হয়ে উঠেছিল। তবুও প্রাণ হাতে নিয়ে গেলেও একদম যে ডিসাপয়েণ্টেড হয়েছি তা বলব না। এ ধরণের বুনো অপার্থিব সৌন্দর্য যে বাংলাদেশে আছে তা আগে জানতাম না। হাতে লাঠির উপর ভরসা করে রাজকান্দি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গভীরে কুরমা বনের বন্ধুর কর্দমাক্ত পথে হাঁটা, এক বাঁশের সাঁকো পাড়ি দেয়া, চার হাত-পায়ের উপর ভর করে পাহাড় বাওয়া, ক্রমশ মশা-মাছি-জোঁকের কামড় খাওয়া, এক হাঁটু পানি খালি পায়ে পার হওয়া আর ধারালো পাথরের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হাত-পায়ের ব্যাথা- এ এক নতুন অভিজ্ঞতা। সব কষ্ট দূর হয়ে যায় ১৪৭ কিংবা ১৬০ ফুট উঁচু ঝর্ণাটি দেখার পর।



হাম হাম কিংবা হামহাম বা চিতা ঝর্ণা, বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার রাজকান্দি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গভীরে কুরমা বন বিট এলাকায় অবস্থিত একটি প্রাকৃতিক জলপ্রপাত বা ঝরণা। জলপ্রপাতটি ২০১০ খ্রিস্টাব্দের শেষাংশে পর্যটন গাইড শ্যামল দেববর্মার সাথে দুর্গম জঙ্গলে ঘোরা একদল পর্যটক আবিষ্কার করেন। দুর্গম গভীর জঙ্গলে এই ঝরণাটি ১৩৫, মতান্তরে ১৪৭ কিংবা ১৬০ ফুট উঁচু, যেখানে বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু ঝরণা হিসেবে সরকারিভাবে স্বীকৃত মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতের উচ্চতা [১২ অক্টোবর ১৯৯৯-এর হিসাব অনুযায়ী] ১৬২ ফুট। তবে ঝরণার উচ্চতা বিষয়ে কোনো প্রতিষ্ঠিত কিংবা পরীক্ষিত মত নেই। সবই পর্যটকদের অনুমান। তবে গবেষকরা মত প্রকাশ করেন যে, এর ব্যপ্তি, মাধবকুণ্ডের ব্যাপ্তির প্রায় তিনগুণ বড়। (সোর্সঃ উইকি)



এর আগের দিন জাফলং এ ডিএসএলআর নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতির কারণে এদিন আর ব্যাগ থেকে বেরই করিনি ওটা । প্রায় সব ছবিই বন্ধু Anit Ahsan এর point & shoot ক্যামেরা দিয়ে তোলা।



এখানে বেশ কিছু ছবি দিলাম। আরও ছবি দেখতে চাইলে এই লিঙ্কে যান:



Click This Link

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:০৮

নষ্ট কাক বলেছেন: ছবি দেখে তো এমনি চলে যেতে ইচ্ছে করছে ।

বর্ননা আরেকটু লম্বা করলে মন্দ হত না ।

ভালো লাগা রইল ।

২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৩০

ছবিকর বলেছেন: আসলে ছবিগুলোকেই এখানে প্রাধান্য দিতে চেয়েছি।"what can describe more than pictures?" তাই না? এজন্যই।

২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২৮

কাঠফুল বলেছেন: সব কষ্ট দূর হয়ে যায় ১৪৭ কিংবা ১৬০ ফুট উঁচু ঝর্ণাটি দেখার পর।

২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৩০

ছবিকর বলেছেন: সত্যিই। গ্যারান্টি দিতে পারি।

৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪১

টানিম বলেছেন: হুম।

২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৩৫

ছবিকর বলেছেন: উহু! হাম হাম :প

৪| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:০০

নীল_সুপ্ত বলেছেন: আমি বেশ আগে গিয়েছিলাম, যাওয়ার রাস্তাটা ভালো না তেমন, নতুবা অনেক মানুষ যেতো। আহা, কি সুন্দর জায়গা !

২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৩২

ছবিকর বলেছেন: এখনও কিন্তু খুব একটা ডেভেলপ করেনি রাস্তাটি। সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

৫| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১০

আরজু পনি বলেছেন:

একটা ছবি বড় আকারে এসেছে। বাকীগুলো একবোরে নিচে অমন ছোট এলো যে !

তবে ছবি দেখেই চলে যেতে ইচ্ছে করছে....

হামহাম যা্ওয়া হয় নি...জানি না এই জীবনে আর পারবো কি না................!

২৬ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৩৪

ছবিকর বলেছেন: যেতে চেষ্টা করবেন। আশা করি, নিরাশ হবেন না।
আর যদি আরো ছবি দেখতে চান লেখার নিচে উল্লেখ করা লিঙ্কে ক্লিক করে দেখতে পারেন।

৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:২০

ভবঘুরে মানব বলেছেন: ছবি ও শব্দের দারুণ প্রকাশ! এ নয়নাভিরাম হামহাম জলপ্রপাতে মনোমুগ্ধকর দৃশ্য, মনোরম পরিবেশ যা যেকোনো ট্রাভেলার কে এমন এক অভিজ্ঞতা দিবে।

যারা এখনো সিলেটে ঢুঁ মারেন নি তারা সিলেটের কিছু আকর্ষণীয় জায়গাগুলোতে ঘুরে আসার বেশ কিছু ট্যুর প্যাকেজ দেখে নিতে পারেন যাওয়ার আগে http://bit.ly/29Ikjjk

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.