![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Doctor, Photo-enthusiast, Movie-buff, Music-addict, Pluviophile, Poetry-lover, Cat-Person, Nyctophile, Traveloholic
ছোটবেলায় আমদের প্রায় সবারই একটি রচনা পড়তে ও লিখতে হত- ‘তোমার প্রিয় ব্যক্তিত্ব’।
আর তখন শতকরা আশিভাগ শিক্ষার্থীর চয়েস ই ছিল কমন। এখনো আমার ফেসবুকের প্রায় ১৮শ ফ্রেন্ডএর এই সার্কেলে ফেভারিট পার্সোনালিটির স্থানে অধিকাংশেরই উত্তর একই। হুম...মহানবী হযরত মুহাম্মদ [ﷺ]। সেই মহামানবের উদ্দেশ্যেই আজ এই লেখা।
আরবের মরুপ্রান্তরে বিশ্বমানবতা যখন পদদলিত, নারীজাতির সম্মান ভূলুণ্ঠিত, অসত্য অন্যায় অসুন্দর যখন মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল, ঠিক তেমনি এক সময়ে পৃথিবীতে আজ তাঁর আবির্ভাব ঘটেছিল আজ থেকে প্রায় ১৫শ বছর আগে। আজকের এই দিনে। মাত্র ৬৩ বছরের ক্ষুদ্র জীবনে এই বিপ্লবী যে পরিবর্তন এনেছিলেন এক বর্বর জাতির মাঝে, তা শুধু অভূতপূর্বই না, অনন্যসাধারণ ও চিরস্মরণীয়। তাঁর এই বিপ্লবের প্রাবল্য ইতিহাসের যেকোন বিপ্লবী মনীষীর অবদানের চেয়েও সর্বজনীন ও সার্বজনীন, এ কথা অবিসাংবাদিত। জীবনের এমন কোন দিকই নেই, যে ক্ষেত্র তাঁর ছোঁয়ায় প্রস্ফুটিত হয়নি। অথচ, দুঃখের বিষয় তাঁকে আমরা শুধু ধর্মের ফ্রেমে আবদ্ধ করে ফেলেছি। একজন চরিত্রবান সৎ মানুষ, অনুগত সন্তান, বিশ্বাসী বন্ধু, রোমান্টিক স্বামী, কুশলী ব্যবসায়ী, স্নেহবৎসল পিতা, দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক, তুখোড় বাগ্নী, বিদগ্ধ আইনপ্রণেতা, নিপুণ সমরনায়ক- কি ছিলেন না তিনি? মাইকেল এইচ হার্ট হয়তো এজন্যই লিখেছেন তাঁর The 100 বইয়ে,
“My choice f Muhammad to lead the list of the world's most influential persons may surprise some readers and may be questioned by others, but he was the only man in history who was supremely successful on both the religious and secular level.”
কষ্ট লাগে, যখন দেখি এত বড় মানুষের আবির্ভাবের দিনে তাঁর উদ্দেশ্যে একটিবার দরূদ পড়তে মনে থাকে না আমাদের। দুঃখ পাই, যখন চে গুয়েভারা, নেতাজী কিংবা মাও সে তুংয়ের জন্মদিনে হোম্পেজ এ স্ট্যাটাস, লাইক আর শেয়ারের বন্যা বয়ে গেলেও, সাইবারওয়ার্ল্ড নিশ্চুপ থাকে আজ।
আজ এই দিনে মানুষ মহানবী [ﷺ] এর উদ্দেশ্যে লক্ষকোটি শ্রদ্ধা, সালাম ও দরূদ।
“নবী না হয়ে দুনিয়ার,
না হয়ে ফেরেশতা খোদার,
হয়েছি উম্মত তোমার,
তার তরে শোকর হাজারবার ।”
(অনুগ্রহ করে উপরোক্ত লেখায় [ﷺ] পড়ার সময় পুরো ‘সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ পড়বেন। কারো উদ্দেশ্যে স্ট্যাটাস ডেডিকেট করা খারাপ না। এজন্যই দেয়া। তবুও মহানবী [ﷺ] এর উদ্দেশ্যে দেয়ার আগে তাঁর শিক্ষা মেনে দরূদ পাঠ করে দেয়াটাই উচিত। শুকনা কথায় চিড়া ভেজে না। মনে ভক্তি না থাকলে কী বোর্ডে রাজা-উজির মেরে লাভ নাই।)
ফেসবুকে লেখাটির লিঙ্কঃ Click This Link
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩১
করিম মিয়া বলেছেন: ভালো লাগা....