![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“ নতুন দিনই নতুন চাহিদা ও নতুন দৃষ্টিভঙ্গির জন্ম দেয়॥ ”
সোম্বধনহীন শুরু
অবাক হলে হয়তো। প্রেমের এমন কনো অক্ষর জ্ঞান আমার নাই যাহা দ্বারা তুমায় সোম্বধন করতে পারি। পাঁচ বছর আগে এমনি এক আষাঢ়ে এমনি এক বারি ধারায় প্লাবন নেমেছিল– তা তুমিও হয়তো স্মরণ করতে পারো।আষাঢ়ের নবমেঘপুঞ্জকে আমার নমস্কার । সেদিন এই মেঘদূত বিরোহী যক্ষের বানী বহন করে নিয়ে গিয়েছিল কালিদাসের যুগে, যনুনা নদীর তীরে, মালবিকার দেশে, তার প্রিয়ার কাছে ।এই মেঘ পুঞ্জের আশীর্বাণী আমার জীবনে এনে দেয় চরম বেদনার সঞ্চার ।এই আষাঢ় আমায় কল্পনার স্বর্গ লোক থেকে টেনে ভাসিয়ে দিয়েছে বেদনার অনন্ত স্রোতে । যাক, তোমার অনুযোগের অভিযোগের উত্তর দেই । তুমি বিশ্বাস করো, আমি যা লিখছি তা সত্য । লোকের মুখে শোনা কথা দিয়ে যদি আমার মূর্তির কল্পনা করে থাকো,তাহলে আমায় ভুল বুঝবে- আর তা মিথ্যা । তোমার যে কল্যান রূপ আমি আমার যৌবন বয়সে প্রথম দেখেছিলাম, যে রূপকে আমার জীবনের সর্বপ্রথম ভালবাসার আঞ্জলি দিয়েছিলাম, সে রূপ আজো স্বর্গের পারিজাত-মন্দারের মতো চির অম্লান হয়েই আছে আমার বক্ষে । অন্তরের সে আগুন- বাইরের সে ফুলহারকে স্পর্শ করতে পারেনি । তুমি ভুলে যেওনা আমি প্রেমিক—আমি আঘাত করলেও ফুল দিয়ে আঘাত করি । অসুন্দর কুৎসিতের সাধনা আমার নয় । আমার আঘাত বর্বরের কাপুরুষের আঘাতের মতো নিষ্ঠুর নয় ।আমার অন্তর্যামী জানেন (তুমি কি জান বা শুনেছ জানিনা) আমার ভালোবাসার অঞ্জলি প্রতিদিনই তোমার চরণে ধন্য হয়। তোমার মনে আছে হয়তোবা বহু সাধনার পর আমার তৃষিত দুটি কর তোমার শুভ্র ললাট স্পর্শ করতে পেরেছিল; তোমার তপ্ত ললাটের স্পর্শ যেন আজো অনুভব করতে পারি। মনে হয় যেন কালকের কথা । মহাকাল যে স্মৃতি মুছে ফেলতে পারলেননা। কী উদগ্র অতৃপ্তি, কী দুর্দমনীয় প্রেমের জোয়ারই সেদিন এসেছিল ।সারা দিন রাত আমার চোখে ঘুম ছিল না ।
তুমি কি দ্ব্যা ভিঞ্চির মোনালিসা, নাকি রোমিওর জুলিয়েট,নাকি কিউপিডের সাইকি,নাকি আলফিউসের আরেথুসা,নাকি পিরামাসের থিসবি,নাকি নজরুলের প্রমিলা,নাকি রবী ঠাকুরের নিলাঞ্জনা,নাকি সুনীলের নীরা।না না এটা আমার ভুল অনুভূতি ওরা কেউ তোমার মতো নয়। তুমি বোধহয় বনলতা; পার্বতী,মহুয়া,মলুয়া, রজকিনী কিংবা কঙ্কাবতীর মতো,নাকি তুমি ফিলেমনের মতো পৃথিবী খ্যাত নারী। , না না আরও উর্ধে তোমার উপস্থিতি এরা কেউ তোমার মতো নয়।
জেনে রেখ জীবন কনো কবিতা নয় তাই আমি স্বভাব কবি হয়নি,জীবন একটা গদ্য তাই আমি সেই গপ্পের বর্ণনায়ক হয়েছি। শাশ্বত বন্ধুর এই জীবনে আমি হতে চাইনি সেই মরমী সাধক। জেনে রেখ আমি তুমাকে ভালোবেসে প্রেমিক,আমি হন্তারক না। আমি মেসোপটিয়া থেকে শুরু করে ভ্যাটিকান পর্যন্ত প্রেমের মশাল জ্বালিয়েছি।তুমি আসবে বলে আমি কাশ্মীরের ব্যারিকেড উঠিয়ে দিয়েছি। তুমি আসবে বলে নো ম্যান্স ল্যান্ডে আজ পমোনার মেলা বসিয়েছি। তুমি আসবে বলে হিটলার এবং বুশকে মানব সেবায় নামিয়েছি। তুমি আসবে বলে কলকাতার ওয়াল স্ট্রীট আজ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করেছি।তুমি আসবে বলে আফ্রিকার ব্ল্যাক লায়নও আজ নিরামিষ ভোজী হয়েছে।তুমি আসবে বলে পিকাসো আজ জীবনমুখী গান গায়ছে।তুমি আসবে বলে সেনাবাহিনীর কুজকায়াজ আজ ফুল দিয়েই হয়েছে ।তুমি আসবে বলে আমি লাঙ্গল কাঁধে মাঠে নেমেছি।
পুনজন্ম যদি মিথ্যা না হয়,তবে মনে রেখ এ আমার শেষ চিঠি নয়। যৌবনে যে অনুমতি আমি উপেক্ষা করেছি,জীবনের পরিপূর্ণতাই অপূর্ণের বেদনায় আজ আমি তোমার অনুমতি প্রার্থনা করতেছি। যাবে কি আমার সঙ্গে, ভালোবাসার স্বর্গে??
সম্বোধনহীন শেষ
আবারো অবাক হলে নিশ্চয়।
©somewhere in net ltd.