![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“ নতুন দিনই নতুন চাহিদা ও নতুন দৃষ্টিভঙ্গির জন্ম দেয়॥ ”
দুই পুত্র সন্তানের পর এক কন্যা সন্তান আসিল নামসুন্দরের ঘর আলো করে। তাই আদর করে তাহার নাম রাখিল নিরুপমা। নামসুন্দর পেশায় একজন প্রাইমারী ইস্কুলের শিক্ষক। তাই নিরুপমা যেন নামসুন্দরের রাজ্যর রাজকন্যা। রূপে-গুনে নিরুপমার মতো আর একটা মেয়ে অত্র গ্রামে জুড়ি মেলা ভার। গ্রামের আলোপথ সবই আজ নিরুর চেনা। নামসুন্দর তাকে ভালোবেসে নিরু বলে ডাকে। নিরুর কাছে এ গ্রাম যেন কনো এক কবির কল্পিত প্রেম,কনো এক শিল্পির রং তুলির আলতো আঁচড়ে আঁকা শিল্প। এ গ্রামের সবাই যেন নিরুরই পরিবার। দেখতে দেখতে নিরুপমা দ্বাদশ পরিক্ষার ফল হাতে আসলো। নামসুন্দর যে আজ খুব খুসি তা বলার অপেক্ষা রাখে না কিন্তু এক অজানা আশঙ্কা নামসুন্দরকে পেয়ে বসলো। তার নিরুকে যে উচ্চ শিক্ষার জন্য এবার শহরে যেতেই হবে।
নিরুপমা শহরের এক নাম করা কলেজে ভর্তি হলো। যাবার সময় বাবা তাকে একটা মোবাইল আর সরস্বতীর মূর্তি উপহার দিল। কিন্তু নিরুপমা আজ তাতে খুশি হতে পারলো না। কারন তার ভগমানের মতো পিতা যে আজ তার থেকে দূরে চলে যাচ্ছে। যাবার সময় নামসুন্দর নিরুর সাথে একটা কথাও বলল না শুধু তাহার চিবুকে একটু হাত রাখিল। পিতা কন্যা দুজনেই আজ প্রথমবার পৃথিবীর সমস্ত ভাষা হারিয়ে ফেললো।
নিরুপমা প্রথম ক্লাসেই পরিচিত হলো রাত্রি,সেঁজুতি,আর শ্যামলের সাথে। তারা সকলেই শহরের তাই তাদের সাথে এডজাস্ট হবার জন্য এক নতুন যুদ্ধে নামতে হবে তাকে, না সে যুদ্ধে সহজেই নিরুপমা জয়ী হলো। কারন তার সবাই বেশ বন্ধুসুলভ। ঘরে ফিরে বিছানায় শরীরটা এলিয়ে দিয়ে নিরুপমা তার বাবা আর স্বর্গের মতো সেই গ্রামের কথা চিন্তা করতে লাগলো। তখন অপরিচিত এক নম্বর থেকে তার ফোনে কল আসলো। নিরুপমা জানতে চাইলো কে বলছেন? কাকে চাইছেন? কিন্তু ফোনের অপাশ থেকে কনো উত্তর আসলো না। আজকাল ঐ নম্বরটা নিরুপমার বেশ পরিচিত হয়ে গেল, কারন প্রতিদিন ঐ একই নম্বর থেকে একই সময় কল আসে তবে কনো উত্তর আসে না। নিরুপমা বিরক্ত হবার সাথে সাথে বেশ অভ্যস্ত হয়ে গেল।
কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে নম্বরটা থেকে কনো কল আসে না। নিরুপমা খুশি হবার বদলে মনে হয় একটু কষ্ট পেল,তার এত দিনের অভ্যাস আর জানার কৌতূহলের যে এখানেই সমাপ্তি। শ্রাবনের কনো এক সন্ধ্যায় নিরুপমা একা একা বারান্দায় পায়চারী করছিলো। হটাৎ সেই নম্বর থেকে আবারো ফোন আসলো। নিরুপমা খুব আপ্লুত কণ্ঠে বলল হ্যালো ......ওপাশ থেকে বলে উঠলো আমি সাদিক, আমি কি আপনার সাথে কথা বলতে পারি??নিরুপমার কি, না বলবে?? কিন্তু সেও যে জানতে চাই কে এই লোকটা !! তাই সুপ্ত আর প্রবল ইচ্ছার জোরে সারা রাত কথা হলো তাদের।
এভাবে আস্তে আস্তে বন্ধুত্ব হলো তাদের। তারপর নিরুপমা বলল দেখা করার কথা.........প্রথম দেখাতেই সাদিক যেন এক অন্য ভালোলাগা খুঁজে পেল। কিন্তু মনের ভিতর হাজারো প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে লাগলো। একই ভালোলাগা নিরুপমার মধ্য কাজ করছে কি?? সে উত্তর আর জানা হলো না। কিন্তু একি গ্রামের সেই রাজকন্যা তার রাজ্যসহ রাজাকে ভুলে গেল নাকি?? ইদানীং নিরুপমা যে ঐ একটা ফোন কলেই অভ্যস্ত হয়ে গেল,পার্থক্য আজ ঐ লোকটা তার কাছে পরিচিত থেকেও একটু বেশি। .............................................এভাবেই চলতে লাগলো তাদের স্বপ্নের মধুময় সময়। একপর্যায়ে বন্ধুত্ব থেকে প্রনয়ের সৃষ্টি হলো। তারা দুজন যেন একই আত্মার দুটি শরীর। আস্তে আস্তে তাদের সম্পর্ক গভীর থেকে গভীরতর হতে থাকলো। নিরুপমা তার দেহ-মন সব কিছু অনেক আগেই সাদিককে সম্প্রদান করলেও কখনো নিজেকে শূন্য মনে হয় নি। সে আর সাদিকতো আলাদা নয়।
এদিকে নামসুন্দর মেয়ের জন্য এক সম্ভ্রান্ত ব্রাহ্মণ পরিবারের সুশিক্ষিত ছেলে ঠিক করলো। সবকথা শোনার পর নিরুর মাথায় যেন বাজ পড়লো। সে তার সম্পর্কের কথা বাবাকে বলার পর নামসুন্দর বলে উথল,এ অধর্মের কাজ তিনি করতে পারবেন না। মেয়েকে তার মৃত মায়ের নামে শপথ দিলেন। নিরুপমা বাধ্য হয়ে লক্ষ্মী কন্যার মতো বিয়ের পিড়িতে বসলো।
ঢাকঢোল পিটিয়ে খুব জমকাল অনুস্টানের মধ্যই দেব্ব্রত-নিরুপমার বিয়ে সম্পন্ন হলো। নতুন সংসার পেয়ে নিরুপমা বেশ খুশি। তার স্বামী এবং শ্বশুর বাড়ীর সবাই যে তাকে ভালো বাসে। শ্রাবণের কনো এক সন্ধ্যায় হটাত মনে পরে গেল তার অতীতের কথা। সে নিজেকেই প্রশ্ন করলো সে কি তার স্বামীকে ভালোবাসার বিনিময়ে প্রতারণা দিচ্ছে না ?? সে কি মিথ্যা ভালোথাকার অভিনয় করছে না?? সেকি এক মুহূর্তের জন্য সাদিককে ভুলতে পেরেছে ??সব কিছু পাবার পরও আজ কি সে শূন্য নয়??
বি.দ্রঃ মূল গল্পটা আমার এক ছোট ভাই শরীফের।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪১
শাহরিয়ার বাপন বলেছেন: ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন #কালের সময়
২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৫
কল্লোল পথিক বলেছেন: গল্প চমৎকার হয়েছে।
অনিঃশেষ শুভ কামনা জানবেন।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪২
শাহরিয়ার বাপন বলেছেন: ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবে#কল্লোল পথিক
৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৮
গেম চেঞ্জার বলেছেন: শিরোনামটায় নারীদের অবমাননা করা হয়েছে।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৬
শাহরিয়ার বাপন বলেছেন: আপনার মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ। আমি নারীদের অনুভূতিতে আঘাত আনতে চাইনি। আর অবমাননা সেটা প্রেক্ষাপট বিচার করে#গেম চেঞ্জার
৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৮
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: হুট করে শেষ হয়ে গেল। গল্পকার ছেড়ে দিয়েছেন অনেক কিছুই। ইচ্ছে করলে পরিধির সাথে নাটকীয়তা আনতে পারতো।
আর শিরোনামের ক্ষেত্রে গেম চেঞ্জারের সাথে একমত।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫১
শাহরিয়ার বাপন বলেছেন: আপনার মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ।পরবর্তীতে আপনার মূল্যবান উপদেশ গুলো মাথায় রাখবো #দিশেহারা রাজপুত্র
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৭
কালের সময় বলেছেন: অসাধারন গল্প হয়েছে ভাই ।