![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২৫ শে আগষ্ট ১৯৯৪ লক্ষীপুর জেলা সদরের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনীর ফার্ষ্ট বয় অভির বাসায় কান্নার রোল। কিছুক্ষন আগে তার বাবা মা ডাক্তারের চেম্বার থেকে ফিরলেন।ডাক্তার জানিয়েছেন অভি বইছে মরনব্যধী ক্যান্সারের জীবানু। অভির রক্তের লোহিত কনিকা বাড়ছে পাগলের মত চিকিতসার ভাষায় একে বলা হয় একুইট লিম্ফোব্লাষ্টিক লিউকেমিয়া। মাস খানেক থেকে অভির গায়ে গায়ে জ্বর,একদিন অভির মা খেয়াল করলেন অভির পেটে একটা বড় চাকা। তখনি ডাক্তারের কাছে যাওয়া আর রক্ত পরীক্ষা করা।
একে একে অভিদের বাসায় ভীড় করলো সব আত্মীয় স্বজন। কেউ কেউ পরামর্শ দিলেন ইন্ডিয়ায় নিয়ে যাও কেউ বললেন চিকিতসা করেই লাভ কি এ বাচ্চা কি আর বাঁচবে ইত্যাদি ইত্যাদি।
অভির বাবা মা কারো কথা তেমন একটা কানে নিলেন না। ঐ স্থানীয় ডাক্তার সাহেবের পরামর্শে অভিকে ঢাকায় নিয়ে আসা হলো। যেদিন অভি ঢাকায় আসলো সেদিন আবহাওয়া প্রতিকুল, ঘূর্নিঝড় হচ্ছে, ৪ নম্বর সিগনাল। প্রচন্ত প্রতিকুলতার মধ্যে অভির আগমন শিশুপার্ক আর চিড়িয়াখানার নগরীতে।
অভি বাবাকে জিজ্ঞাসা করে বাবা আমাকে দেখে কাঁদো কেন? বাবা জবাব দেয়না শুধু ফেল ফেল করে ছেলের দিকে তাকিয়ে থাকে। অভি জিজ্ঞাসা করে বাবা আমরা কি শিশু পার্ক দেখতে ঢাকায় এসেছি ?? বাবা বলেন দেখবো তবে তার আগে তোমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে।২৮ শে আগষ্ট ১৯৯৪ইংরেজী অভিকে ভর্তি করা হয় পিজি হাসপাতালের সি ব্লকের ২য় তলার এফ ৭ বেডে। অভিকে যিনি চিকিতসা দিচ্ছেন তিনি দেশের খ্যতনামা শিশু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর আফিকুল ইসলাম। স্রষ্টা তার বান্দাহকে বিপদে ফেলে আবার উদ্ধার করার জন্য কিছু মানুষরুপী ফেরেশতাকে দুনিয়াতে পাঠান। ডাঃ আফিকুল তাদের একজন।
চলতে থাকে অভির চিকিতসা। দিনের পর দিন হাসপাতালের বিছানায় কাটে অভির। মাংসপেশীর ইঞ্জেকশান আর ইন্ট্রাথিকাল বা কোমরের ইঞ্জেকশানে দূর্বিসহ হয়ে ওঠে অভির জীবন। একদিন অভি আবিস্কার করে তার মাথায় একটা চুল ও নেই। অভি মাকে জিজ্ঞাসা করে মা আমার কি হলো। মা বলছেন চিন্তা করোনা সব ঠিক হয়ে যাবে।
অভির চিকিতসা যে সময় চলছিলো তখন দেশে ক্যন্সারের কোন ঔষধ তৈরি হতোনা। সব বিদেশী দামী ঔষধে চিকিতসা চলতো। অভির বাবা সচ্ছল ছিলেন ঠিকই কিন্তু একটা সময় পরে তিনিও আর কুলিয়ে উঠিতে পারলেন না। বিক্রি হলো অভিদের জেলা সদরের বাড়ি। বাবার একটাই কথা আগে ছেলে পরে সব।
দিন মাস বছর পার হয়। এক সময় অভি সুস্থ হয়ে উঠে মাঝখানে কেটে যায় ৪টি বছর। এই চার বছর একটি দিনের জন্য অভি মাঠে খেলতে যায়নি, একটি দিনের জন্যও অভি স্কুলে যায়নি। তার বন্ধুরা সব বড় বড় ক্লাসে পড়ে। একসময় ডাক্তারের পরামর্শে অভি স্কুলে ভর্তি হয়। সবাইকে অবাক করে দিয়ে অভি শুরু করে নতুন এক জীবন।
২০১৩ সাল অভি কি করছে জানতে ইচ্ছে করছে আপনাদের? জ্বি হ্যা অভি জীবনযুদ্ধে জয়ী হয়েছে। অভি সদ্যপাশ করা একজন চিকিতসক। ছোট বেলায় চিকিতসকদের কাছে এতো ভালোবাসা পেয়েছে যে অভি সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে বড় হয়ে তারমত শিশুদের সেবা করবে। জীবন তার মঙ্গলময় হাত দিয়ে অভিকে স্পর্শ করেছে আজ। অভির জন্য আপনারা দোয়া করবেন।
( অভি নামটি কাল্পনিক, বাকী গল্প পুরোটাই সত্য)
আজ ৪ ফেব্রুয়ারী বিশ্ব ক্যান্সার দিবস। অনেকের কাছে ক্যান্সার একটি ভীতির নাম। আসলে আমি বলবো যদি দ্রুত এ রোগ ধরা যায় তাহলে বাকি যা করতে হবে তা হল ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হবে চরম ভাবে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে ৭ টি উপায়।
১। তামাক, জর্দা, গুল, বিড়ি, সিগারেট, মদ থেকে দূরে থাকুন।
২। বেশী বেশী শাক সবজি খান, শাক সবজি অন্ত্রের ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমায়। যে সব খাবারে কৃত্রিম রাসায়নিক, রঙ, প্রিজারভেটিভ ব্যাবহার করা হয় সেসব খাবার পরিহার করুন।
৩। ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখুন, আপনার সঠিক ওজন স্তন, প্রোস্টেট, অন্ত্র, কিডনি, ফুসফুসের ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক। দিনে অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করুন।
৪। সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি থেকে ত্বক এঁর ক্যান্সার হতে পারে। রোদে কাজ করতে হলে, সানগ্লাস, ছাতা, ফুল হাতা জামা ব্যাবহার করুন।
৫। হেপাটাইটিস বি লিভার এঁর ক্যান্সার এঁর কারণ, হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস্থেকে জার্যুর ক্যান্সার হতে পারে, কাজেই এসবের প্রতিরোধক টিকা নিয়ে রাখুন।
৬। একাধিক যৌন সঙ্গী ত্যাগ করুন। HIV সংক্রমণ লিভার, যকৃৎ, মুখ, যোনি পথের ক্যান্সার এঁর সম্ভাবনা বাড়ায়।
৭। রক্ত শুন্যতা, অয়ারনে ওজন কমে যাওয়া, অনেক দিন ধরে কাশি, রক্ত মিস্রিত কাশি, অনেকদিন ধরে ডায়রিয়া ... এ রকম হলে দ্রুত ডাক্তার দেখান।
বিশ্ব ক্যান্সার দিবসে সকল ক্যান্সার বিজয়ী বীরদের শরীফ কাদেরীর পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন।
পরিশেষে কোরআনুল কারীমের সেই আয়াতটি উল্লেখ করতে ইচ্ছে করছে অবশ্যই আমি তোমাদিগকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের। ১৫৬) যখন তারা বিপদে পতিত হয়, তখন বলে, নিশ্চয় আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই তাঁরই সান্নিধ্যে ফিরে যাবো। ১৫৭) তারা সে সমস্ত লোক, যাদের প্রতি আল্লাহর অফুরন্ত অনুগ্রহ ও রহমত রয়েছে এবং এসব লোকই হেদায়েত প্রাপ্ত।
২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১
রিফাত হোসেন বলেছেন: ++
৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭
লেখোয়াড় বলেছেন:
পরাজয়ে ডরে না বীর।
৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২৪
তামীম বলছি বলেছেন: +++
৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪০
ঝটিকা বলেছেন: ++ দিলাম
৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৩
মাহিরাহি বলেছেন: ধন্যবাদ
৭| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৫
সংগ্রামী পথিক বলেছেন: +++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮
বোকামন বলেছেন: +++