নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কষ্ট করে হলেও সৎ থাকার চেষ্টা করো

শরীফ মহিউদ্দীন

অপেক্ষায় আছি সুন্দর সকালের.........

শরীফ মহিউদ্দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জোছনা ও সুরভীর গল্প ............

০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯

শ্রাবন মাসের এক পশলা বৃষ্টি শেষে আকাশ ভরা জোছনা।ব্যঙ্গের ডাকে কান বন্ধ হয়ে আসার যোগাড়। চট্টগ্রাম শহরের সব রাস্তায় পানি জমেছে। আকাশ পরিস্কার ,আজ আর বৃষ্টি হবে বলে মনে হচ্ছেনা। জামালখান রোড পানি আর কাদায় একাকার অবস্থা। প্রতিদিনের মত আজো সুরভী বাসা থেকে বেরিয়েছে কাজের সন্ধানে



রাত ১১ টায় কোন মেয়ে ঘর থেকে কি কাজের সন্ধানে বের হয় তা আর বলে কয়ে দিতে হয়না। জামালখান রোডের মাথায় একটা প্রকান্ড বটগাছ আছে সেখানে সুরভীর মতো আরো অনেক মেয়ে খদ্দেরের জন্য অপেক্ষা করে। সুরভীর বাবা অনেক আদর করে মেয়ের নাম রেখেছিলেন। সুরভীর চোখগুলো মায়াকাড়া। সুরভীর বয়স ১৮/১৯ এর মতো হবে। কমদামী মেকাপে সুরভী নিজের সৌন্দর্য বাড়ানোর চেষ্টা করেছে। ঠোটে কটকটা লিপিষ্টীক। বছর দুয়েক আগে সুরভী এই গ্রাম থেকে এই শহরে এসেছিলো কাজের সন্ধানে।



সুরভীর মা মারা যায় তার জন্মের সময়। আর বাবা মারা যাওয়ার পর সুরভী পুরোপুরি অসহায় হয়ে যায়। আশ্রয় নেয় দূসম্পর্কের এক চাচার বাসায়। দিন তার ভালোই চলছিলো। চাচীর সংসারে টুকটাক কাজ করে মোটামুটি খাবার আর আশ্রয়টা নিশ্চিত করা গেলো। কিন্তু একরাতে চাচীর অনুপস্থিতিতে চাচা রান্না ঘরে পানি খাবার নাম করে ক্ষুধার্ত বাঘের মত ঝাঁপিয়ে পড়ে সুরভীর উপর। সুরভী সব খুলে বলে চাচীকে। চাচী চাচার কাজের প্রতিবাদ না করে সুরভীকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তারপর শহরে এসে কাজের সন্ধান করেও কাজ পায়না।



ক্ষুধা আর দারিদ্রতা সুরভীকে নিয়ে আসে এই পথে। সুরভী একেক রাতে একেক পুরুষের রানী। সমাজের বিত্তবান থেকে শ্রমিক শ্রেনী সবাই সুরভীকে রাতের সজ্জা সংগী করে নির্মল আনন্দ উপভোগ করে । আর দিনের বেলা ফিরেও তাকায় না। অবশ্য সুরভী এখন আর দিনের বেলা বের ও হয়না।



সুরভী দাঁড়িয়ে মনে মনে ভাবছে আজ খদ্দেরের কাছে কি নাম বলা যায়।এই লাইনে আসল নাম বলা নিষেধ আছে। এমন সময় কালো রঙের একটা করোলা গাড়ি এসে থামলো। মেয়েরা সবাই দৌড় দিচ্ছে গাড়ির দিকে। সুরভী এক কোনায় দাঁড়িয়ে ছিলো। গাড়ী থেকে বের আসলো ২৪/২৫ বছরের এক উচ্ছসিত চেহারার যুবক। এই যুবকের নাম হাসান। সে শহরের প্রখ্যাত ব্যবসায়ী ইয়াকুব আলীর ব্যাক্তিগত সহকারী। ইয়াকুব আলি একেক রাতে একেক সজ্জা পছন্দ করে। আর তাই হাসানকে বের হতে হয় ইয়াকুব আলীর সজ্জাসংগীর সন্ধানে।



হাসান ইয়াকুবের দুঃসম্পর্কের আত্মীয়। ইয়াকুব আলী তার সাদা কালো সব ব্যবসার হিসাব নিকাশের দায়িত্ব দিয়ে রেখেছেন হাসানকে। হাসান অত্যান্ত নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে। গাড়ি থেকে বেরিয়ে হাসান ল্যাম্প পোষ্টের আলোতে সুরভীকে দেখতে পেলো। হাসান হাত নেড়ে সুরভীকে গাড়িতে উঠতে বললো। আস্তে আস্তে মেয়েদের ভীড় গাড়ি থেকে সরে গেলো। গাড়ি দ্রুত বেগে ছুটে চলছে শহরের অন্যপ্রান্তে ইয়াকুব আলীর বাড়ীর দিকে। ইয়াকুব আলি আজ হাসানের উপর রাগ হতে পারেন কারন হাসান অনেক দেরী করে ফেলেছে।



বৃষ্টির দিন বলে হাসানকে অনেক জায়গায় খুঁজতে হয়েছে। একথা অবশ্য ইয়াকুব আলীকে বলা যাবেনা। ইয়াকুব আলীর রাগ তখন আরো বেড়ে যেতে পারে। হাসানের এই কথা ভালোই জানা আছে। বাড়িতে ফিরে দেখা গেলো ইয়াকুব আলি তেমন কিছুই বললেন না। শুধু হাসানকে বললো সকালে দেখা হবে। ইয়াকুব আলী সুরভীকে নিয়ে শোবার ঘরে চলে গেলো। সকাল বেলা পাখি ডাকা ভোরে সুরভীর ঘুম ভাঙ্গলো। ইয়াকুব আলী নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে সুরভীর পাশে। ইয়াকুব আলীর বয়স ৬০ এর কাছাকাছি। এই প্রায় বৃদ্ধ লোকটি গতরাতে সুরভীর উপর হামলে পড়েছিলো সুরভীর ভাবতেও কেমন যেন লাগলো।



সুরভী দরজা খুলে রুম থেকে বেরিয়ে বারান্দায় দাঁড়ালো। প্রকান্ড এক বাড়ি। চারদিকে নানান রকমের গাছ। হাজার রকমের ফুল ফুটে আছে বাগানে। পাখি ডাকছে নানান সুরে। একমুহুর্তের জন্য সুরভীর মনে হলো এমন একটা বাড়ি যদি সুরভীর থাকতো। আবার নিজেই ভাবলো এসব কি বলছি। ইয়াকুব আলীর দুই বউ তারা সারাক্ষন ঝগড়া করে। শান্তিতে থাকতে ইয়াকুব এই বাগান বাড়িতে উঠে। চট্টগ্রামের সমুদ্র পথে যত চোরা চালান হয় তার বেশীর ভাগই ইয়াকুব আলীর নিয়ন্ত্রনে।



কিন্তু সমাজে সে জাহাজ ব্যবসায়ী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত। সমাজে নানান জায়গায় ইয়াকুব আলী দান করে। তার এই দানের একটা উদ্দেশ্য আছে। সেটা হলো সামনের বার নির্বাচন করবে। ইয়াকুব আলীর বড় ইচ্ছা শেষ বয়সে একবার সংসদে যাবে। ইয়াকুব আলীর ছেলেরা তেমন কিছুই করেনা । মেয়েগুলোর বিয়ে হয়ে গেছে। ছেলেরা বসে আছে কবে ইয়াকুব আলী মারা যাবে আর তার সম্পদ ছেলেরা উপভোগ করবে।



সুরভী বারান্দা থেকে ঘরে ফিরে আসছে। এমন সময় ইয়াকুব আলীর ঘুম ভাঙ্গলো। ইয়াকুব আলী সুরভীর দিকে তাকিয়ে বললো তোর আসল নাম কিরে? সুরভী বললো আসল নাম নকল নাম কোনটাই আপনের জাননের দরকার নাই,আমার টেকা দেন বাড়িত যামু। ইয়াকুব আলী বললো আচ্ছা প্রতিদিন মেয়ে খুঁজতে আমার ভালো লাগেনা। তাছাড়া লোকজন জানলে আমার সমস্যা। তারচেয়ে তুই থেকে যা প্রতিদিন যা পাস তার চেয়ে দ্বিগুন মাসে দেবো। তোর কচি শরীরের গন্ধে আমার নেশা ধরে গেছে। সুরভী চুপ করে আছে কি বলবে ভেবে পায়না। ইয়াকুব আলি বললো কিরে থাকবি? সুরভী মাথা নেড়ে সায় দেয়। যতদিন থাকা যায় এই বাড়িতে তো তার আশ্রয়ের ব্যবস্থা হলো।



ইয়াকুব আলী প্রতিদিন রাতের বেলা আসেন সুরভীর ঘরে। মাঝে মধ্যে দিনের বেলা আসেন সারা দিন থাকেন।

হাসান ইয়াকুব আলীর বেডরুমের দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে। তার কাছে নানা হিসাবের বই । ইয়াকুব আলী বের হলে তাঁকে এই হিসাব দেয়া হবে। হাসানকে বলা আছে সুরভীর যা লাগে সে যেন ব্যবস্থা করে দেয়। একদিন বিকেলে হাসান বাগানে দাঁড়িয়ে আছে ভাবুক নয়নে। সুরভী বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে।



হাসান সুরভীকে দেখে চমকে উঠলো। সে রাতের কমদামী মেকাপে সেজে থাকা সুরভী আর এই সুরভীর চেহারায় আকাশ পাতাল তফাত। হাসানের মনে একটু হীম শীতল বাতাস প্রবাহিত হলো। প্রতিদিন হাসান নিয়ম করে সুরভীকে বাগান থেকে বারান্দায় দেখার চেষ্টা করে। কখনো সুরভী বারান্দায় আসে। কখনো আসেনা। ইয়াকুব আলী সুরভীর ঘরে ঢুকলে হাসান বাহির থেকে ছটপট করতে থাকে। একটা রাস্তার মেয়ের জন্য কেন হাসানের মনে এতো টান? হাসান ভেবে পায়না। একসময় হাসান বুঝতে পারে সে সুরভীর প্রেমে পড়ে গেছে।



একদিন হাসান সাহস করে সুরভীকে ডাক দিয়ে বলে সুরভী আমার সাথে সংসার করবি? চল তোকে এই দোজখ খানা থেকে বের করে আমরা দূরে কোথাও চলে যাই। সুরভী তার ১৮ বছরের জীবনে কখনো এতো আশ্চার্য কথা শুনেনি। সে অবাক হয়ে হাসানের দিকে তাকিয়ে রইলো।



রাত ১২টা, হাসান আর সুরভী চট্ট্রগ্রামের রেল স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে। একসময় হাসান আর সুরভী মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনে করে চলে আসে সুন্দর পরিপাটি করে সাজানো একটি শহরে। রুপ কথার রাজ্যে নীরব শান্ত শহরের বর্ননা অনেক শুনা যায়। এই শহরটি ও যেন তেমনি একটি শহর। এর নাম চাঁদপুর। শহরে নেমে হাসান আর সুরভী ভাবতে থাকে তাদের সামনের কর্ম পরিকল্পনার কথা।



এদিকে ইয়াকুব আলী হন্যে হয়ে খুজছে হাসানকে। যে ছেলেকে তিনি এতো বিশ্বাস করতেন সে ছেলে তাঁর মুখের খাবার কেড়ে নিয়ে পালিয়ে গেলো। ইয়াকুব আলীর মনে জেদ চেপে গেলো। যে করেই হোক হাসানকে তাঁর চাই ই চাই।



হাসান আর সুরভীর নতুন সংসার। শহরের আদালত পাড়ায় তারা ছোট্ট একটি বাসা ভাড়া নেয় । হাসান একটি চাকরীও জোগাড় করে । দুজনের সংসার ভালোই চলছিলো। সুরভী আর হাসানের এমন সুখের মাঝে আরেকটি সুখের উপলক্ষ্য আসলো। একদিন সুরভী কানে কানে বললো হাসান তুমি বাবা হতে চলছো। হাসানের মন আনন্দে ভরে উঠলো। তার নিজেকে দুনিয়ার সুখী মানুষদের একজন মনে হলো।



একদিন অফিস থেকে ফিরে হাসান এক কঠিন বাস্তবের মুখে দাঁড়িয়ে গেলো। সম্ভবত হাসান এই বাস্তবতার জন্য কোনদিনই প্রস্তুত ছিলোনা। হাসানের ঘরে বসে আছে ইয়াকুব আলি আর তার লোকজন। এক কোনায় সুরভী দাঁড়িয়ে আছে। ইয়াকুব আলী হাসানকে বললো হাসান আমার সাথে প্রতারনা করেছো তাও তোমাকে ক্ষমা করে দিলাম। বলো শুকরিয়া। হাসান বিড়বিড় করে বললো শুকরিয়া। কিন্তু হাসান চিন্তিত এর পরিনতি নিয়ে। কারন ইয়াকুব আলী কাউকে ক্ষমা করেনা। ইয়াকুব আলী বললো হাসান একটা রাস্তার মাগির জন্য তুমি আমার সাথে প্রতারনা করলা? তবু তোমারে আমি মাফ দিসি।



এখন আমার সাথে চলো চট্টগ্রাম,তুমি আগের মত আমার ওখানে কাজ করবা আর তোমার বউ নিয়া সুখে শান্তিতে থাকবা। তোমাগোরে খুইজ্জা বাইর করতে অনেক কাঠখড় পুড়াইতে হইলো। হাসান ইয়াকুব আলীর মাইক্রোতে উঠে বসলো। গাড়ি চলতে লাগলো। ইয়াকুব আলী আর সুরভী অন্য একগাড়িতে। গাড়িতে উঠার পরপরই ইয়াকুব আলী তার আসল চরিত্র ফিরে আসে।উপর্যুপুরী হামলে পড়ে সুরভীর উপর। গর্ভাবস্থায় শারিরীক অত্যাচারে সুরভী অজ্ঞান হয়ে যায়।



পাখি ডাকা ভোরে সুরভীর জ্ঞান ফিরে দেখে সে তার আগের জায়গায় ফিরে এসেছে। সুরভীর পরিচিত সেই রুম যেখানে ইয়াকুব আলী তাকে দিনের পর দিন ভোগ করেছে। সকাল বেলায় সুরভী বুঝতে পারলোনা কি হলো গত রাতে। খানিকটা স্মৃতি ঘোলা হয়ে আসছে সুরভীর। হাসান কোথায়? কি হলো তার পরিনতি? সুরভী ভেবে পায়না। ইয়াকুব সুরভীর ঘরে আসলো। ইয়াকুব আলী কে দেখে ভয় পেলে গেলো সুরভী। চিন্তা আর ভয় নিয়ে বললো আমি আপনের লগে থাকুম খালি হাসানকে ছেড়ে দেন। ইয়াকুব আলী ভয়ংকর এক হাসি দিলো। এমন বিশ্রি হাসি সুরভী তার জীবনে আর দেখেনি। ইয়াকুব আলী বললো হাসানকে চীরদিনের জন্য ছেড়ে দিয়েছি। বেইমানের বাচ্চা একটা মাগীর জন্য আমার সাথে বেঈমানী করলো। ইয়াকুব আলী সব সহ্য করে বেঈমানী সহ্য করেনা।



২য় আলো পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলো একটা দ্বিখন্ডিত একটা লাশ পাওয়া গেছে ফেনীর মহিপালে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত আনুমানিক ১২টার দিকে কে বা কারা একটি মাইক্রোবাস থেকে এই লাশ ফেলে যায়।

হাসানের দ্বিখন্ডিত লাশ আর দেখা হয়না সুরভীর। সে অপেক্ষা করে কোন একদিন হয়তো হাসান ফিরে আসবে। এইদিকে সুরভীর উপর অমানুষিক অত্যাচারের কারনে পেটের বাচ্চাটাও নষ্ট হয়ে যায়। সুরভীকে নিয়মিত ভোগ করে ইয়াকুব আলী। সুরভী এখন নিথর একটা দেহ ছাড়া আর কিছুই না। ইয়াকুব আলীর নিয়মিত খাবার হতে হতে এখন তার আর কোন অনুভুতি কাজ করেনা।



এভাবে পার হয়ে গেলো প্রায় ৫টি বছর। একরাতে ইয়াকুব আলী ষ্টোকে মারা যায়। ইয়াকুব আলীর দুই বউ আর ছেলেদের এতে তেমন কোন ভাবের উদয় হয়না। ইয়াকুব আলীর ছেলেরা বাবার বাগান বাড়ি দখলে নেয়। আর সুরভীকে বলে তোর মতো মাগীর জন্য আমার বাবা আমাদের কষ্ট দিসে। বাড়ি থেইকা বাইর হইয়া যা। এই বলে প্রচন্ড জোরে চড় বসিয়ে চুল টেনে বাড়ি থেকে বের করে দিলো সুরভীকে।



আবার সুরভী গৃহহীন। ৮ বছর আগে এক জোছনা স্নাত রাতে হাসান সুরভীকে যে স্থান থেকে নিয়ে এসেছে।আজ আবার সুরভী সেই জায়গায় ফিরে এসেছে। আজো আকাশ ভেঙ্গে আসছে জোছনা । পরিষ্কার ঝকঝকে নির্মেঘ আকাশ জুড়ে লক্ষ তারার স্নিগ্ধ মেলা। চাঁদ আর তারার মিলনে স্বচ্ছ সুনির্মল রাত। প্রিয়জনকে কাছে ডেকে গভীর আনন্দে সে জোছনা উপভোগ করতে বড্ড ইচ্ছে করে। কালো রঙ্গের একটা প্রাইভেট কার এসে আজো থামলো। সুরভী ভাবছে এই বুঝই হাসান এলো তাকে নিয়ে যেতে।

আজো একজন সুরভীকে ডাক দিলো। সুরভী লোকটির ইশারায় গাড়িতে উঠে বসলো। হন হন করে ছুটে চলছে গাড়ি। দূরের কোন এক জনশুন্য লোকালয়ে। সুরভীর মনে হচ্ছে,এই গাড়ি যদি অনন্তকাল ধরে এরকম ছুটে চলতো।



আমাদের সমাজে হাজারো সুরভী আছে যারা ফিরে আসতে চায় নতুন জীবনে।মানুষ হিসাবে বাঁচতে চায়,কিন্তু বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় ইয়াকুব আলীরা। সমাজ সুরভীদের ফিরিয়ে দেয় তাদের আগের জায়গায়।



গল্পে কিছুটা অশ্লীল শব্দ ব্যবহারের জন্য দুঃখিত। তা হলে এই গল্পের মর্মাথ সবার অন্তরে পৌছাতে ব্যর্থ হতাম। কেউ কষ্ট পেলে ক্ষমা করবেন।



[ গল্পটি বর্তমানে নেভার নেভার ল্যান্ড ভ্রমনকারীনিকে উৎসর্গ করা হলো।ভদ্র মহিলা যে শরীফ কাদরী নামক নেশায় আক্রান্ত তা বুঝতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হলো আমাকে]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.