![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নটরডেম কলেজে পড়া অবস্থায় কিছু মানুষের কাছ থেকে আমি জীবনের এমন কিছু বিষয় জানতে পেরেছি যা তখন বুঝতে না পারলেও জীবনের নানা বাঁকে সেই শিক্ষা আজ ঠিকই উপলব্ধি করতে পারছি।
আমাদের ম্যাথের টিচার ছিলেন জহরলাল সরকার স্যার। একদিন ক্লাসে একটা ছেলে কি কারনে যেন স্যারের সাথে বেয়াদবী করলো। স্যার ছেলেটাকে ডেকে কিছুক্ষন বকলেন। তারকিছু পরে স্যার যা বললেন তা অনেকটা এই রকম......... দেখেন স্যার (জহরলাল স্যার আমাদেরকে স্যার ডাকতেন) আসলে এই খারাপ আচরনের জন্য আমরা দায়ী না। দায়ী আমাদের বাবা মা। আমাদের বাবা মা রা প্রচন্ড ব্যস্ত। বাবা বিসনেস করেন মা চাকরী করেন। আমরা বড় হই বুয়ার কাছে। বুয়া যেহেতু ভালো পরিবেশে বড় হয়নাই তাই সে আমাদেরকে ও শেখাতে পারেনা। আমরা বুয়ার ছেলের আচরন শিখি।
কথাটা যে কতটা সত্য আজকের দুনিয়ায় আমরা তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি।
শহরের একলা বাসায় বাচ্চাগুলো আসলেই বুয়ার কাছে বড় হয়। আমার মনে আছে আমরা ছিলাম একান্নবর্তী পরিবার। চাচা,জেঠা,দাদা-দাদী সবাই একসাথেই থাকতাম। আর আমার মামারা আমাদের খুব কাছেই থাকতো। কখনো একাকীত্ব বোধ করতাম না। তাছাড়া মা তো আমাদের পিছে লেগেই থাকতেন ২৪ ঘন্টা। সব কাজিনরা মিলে একসাথে কত হই হুল্লোর। আমাদের ছোট বেলায় রেসলিং,আলিফ লায়লা আর ইত্যাদি এ জিনিসগুলো ছিলো জনপ্রিয়তার শীর্ষে। তখন রক নামের এক স্টার রেসলিং খেলতো আমরা সব ভাই বোনেরা রকের জিতার জন্য নফল নামাজে বসতাম ( যদি বাকী নামাজের কোন খবর নাই :p )
ঈদের আগের রাতে আতশবাজী হৈচৈ। আবার স্কুলের পরীক্ষা শুরু হলে ঘর হয়ে যেতো গনশিক্ষার আসর। আহা কি মধুর সেই দিনগুলো।
কিন্ত এখনকার শিশুরা এমনিতেই দাদা-দাদী,চাচা-চাচীর সাথে থাকেনা। তার মধ্যে আবার মা ও চাকরিতে চলে যান এতে করে বাচ্চাদের মানুষিকতায় এক আমুল পরিবর্তন ঘটে। মা বাবার মধ্যে তৈরী হয় অবিশ্বাস, ভাঙ্গে সংসার।
অনেকে ভাবছেন আমি নারীদের কাজের বিপক্ষে!!! মোটেও না। আমি বলছি সেই সময় ফিরিয়ে আনুন যেখানে একটি শিশু কোনদিন একা বোধ করবেনা, তার সময় কেটে যাবে দাদা-দাদী,চাচা-চাচীদের সাথে। আর যদি সম্ভব না হয় তাহলে বাবা মা যে কোন একজন আপনার বাচ্চার পাশে থাকুন। আপনারা কার জন্য উপার্জন করছেন ? এই শিশুটির জন্যই তো নাকি? কিন্তু আপনার সেই সন্তানই যদি আপনার স্নেহ থেকে বঞ্চিত হয় তাহলে আপনার উপার্জনের টাকা দিয়ে কি করবেন?
আমেরিকাকে আমরা দুনিয়ার সবচেয়ে অগ্রসর দেশ ভাবি, সেই আমেরিকায় দেখবেন হঠাত করে একজন কিশোর স্কুলে ঢুকে অনেক বাচ্চাকে গুলি করে এবং শেষে নিজেও আত্মহত্যা করছে। এর একমাত্র কারন হলো এই শিশুটি একাকীত্বের কারনে মানষিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে। তাই আমেরিকার মত দেশগুলো এখন আবার যৌথ পরিবারের কথা বলছে। ইদানিং তাদের সিনেমাগুলোতে দেখবেন মা বাড়িতে থেকে সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকে আর বাবা বাইরে কাজ করে। এটি আসলে আমেরিকান সাইকোলোজিষ্টদের পরামর্শে করা হচ্ছে , যাতে করে মানুষ আবার তার আগের নিয়মে ফিরে আসে।
জ্ঞানী জ্ঞানী কথা বলে আপনাদের বিরক্তির কারন হতে চাইনা,শুধু বলবো চিন্তা করুন। আর যে ভাবেই পারুন আপনার শিশুর জন্য সময় বের করুন। আর যদি তা না করেন তা হলে মা বাবা হিসাবে আপনি ব্যর্থ।
১১ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪
শরীফ মহিউদ্দীন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
২| ১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৩৮
আনোয়ার ভাই বলেছেন: একটি শিশু কোনদিন একা বোধ করবেনা
১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪১
শরীফ মহিউদ্দীন বলেছেন: এই হোক আমাদের কামনা
৩| ১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৪১
কালোপরী বলেছেন: একমত
১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪১
শরীফ মহিউদ্দীন বলেছেন: নিয়মিত পোষ্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ
৪| ১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৪২
অবাধ্য সৈনিক বলেছেন: পোষ্টে ++++++
১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪১
শরীফ মহিউদ্দীন বলেছেন: অনেক ভালোবাসা রইলো
৫| ১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৪৯
বিপুল কুমার বিশ্বাস বলেছেন: আমিও তাই ভেবে দেখেছি । সন্তান আমার দায়িত্ব ও আমার এবং সবাইকে তাই বলি ।
১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪২
শরীফ মহিউদ্দীন বলেছেন: সন্তানের দায়িত্ব পালন করতে না পারলে আপনি শুধু ব্যার্থ মা বাবাই নন ব্যর্থ মানুষ ও বটে
৬| ১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫৭
বটের ফল বলেছেন: আমি বলছি সেই সময় ফিরিয়ে আনুন যেখানে একটি শিশু কোনদিন একা বোধ করবেনা, তার সময় কেটে যাবে দাদা-দাদী,চাচা-চাচীদের সাথে। আর যদি সম্ভব না হয় তাহলে বাবা মা যে কোন একজন আপনার বাচ্চার পাশে থাকুন। আপনারা কার জন্য উপার্জন করছেন ? এই শিশুটির জন্যই তো নাকি? কিন্তু আপনার সেই সন্তানই যদি আপনার স্নেহ থেকে বঞ্চিত হয় তাহলে আপনার উপার্জনের টাকা দিয়ে কি করবেন?
চরম সত্য।
১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪২
শরীফ মহিউদ্দীন বলেছেন: অনেক ভালোবাসা রইলো
৭| ১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:০১
নতুন বলেছেন: চরম সত্য কথা বলেছেন ভাই... +++
এই জন্যই আমাদের দেশের মানবিকতা বোধ দিন দিন হারিয়ে যাইতেছে... সামনের জেনারেসনে যে কি হবে..
১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪৩
শরীফ মহিউদ্দীন বলেছেন: দেখবেন এই সোসাইটি এই একটি কারনে একসময় ইমব্যালান্সড হয়ে যাবে
৮| ১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:১১
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: একা পরিবার কখনো ভাল হয় না!
১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪৩
শরীফ মহিউদ্দীন বলেছেন: আধুনিক শহুরে মানুষদের ভাবনা একা মানেই সুখ
৯| ১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:৩২
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: +++++++
১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪০
শরীফ মহিউদ্দীন বলেছেন: অনেক ভালোবাসা রইলো
১০| ১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:৪৪
খেয়া ঘাট বলেছেন: চমৎকার সুন্দর একটা পোস্ট।
১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪০
শরীফ মহিউদ্দীন বলেছেন: অনেক ভালোবাসা রইলো
১১| ১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:৫৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: চরম সত্যি সত্যি কথা বলেছেন ...
এই মুহূর্তে আমার প্রফেশন আমি একজন মা , আমার ক্যারিয়ার ,আমার সাফল্য সব কিছুই আমার সন্তানদের সকল কিছুতে প্রতিফলিত ।
১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪০
শরীফ মহিউদ্দীন বলেছেন: মা হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে না পারলে মানুষ হিসাবে আপনি ব্যর্থ
১২| ১১ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৪:২৫
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: বিপুল কুমার বিশ্বাস বলেছেন: আমিও তাই ভেবে দেখেছি । সন্তান আমার দায়িত্ব ও আমার এবং সবাইকে তাই বলি ।
১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৩৯
শরীফ মহিউদ্দীন বলেছেন: সন্তান জন্ম দেওয়ার চাইতে লালন পালন অনেক কঠিন
১৩| ১১ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৪০
প্রাচীন মানব বলেছেন: সারা জীবন টাকার পিছনে ছুটে কিছুই হবে না যদি না সন্তান মানুষের মতন মানুষ হয়। জীবনের শুরুতে মা-বাবার উপস্থিতি যেমন অপরিহার্য তেমনি জীবন সায়াহ্নে সন্তানের উপস্থিতিও কাম্য।
১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৩৯
শরীফ মহিউদ্দীন বলেছেন: আসলে আমাদের সব ভালোবাসাগুলো এখন টাকার কাছে নত হয়ে যাচ্ছে
১৪| ১১ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৩০
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ১২ তম ভালোলাগা +++++
ভালো লিখেছেন ।
ভালো থাকবেন সবসময় ।
১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৩৮
শরীফ মহিউদ্দীন বলেছেন: অনেক ভালোবাসা রইলো
১৫| ১১ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:১৬
েশফােয়ত আহােমদ বলেছেন: সুন্দর পোসট +++++ ।
১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৩৮
শরীফ মহিউদ্দীন বলেছেন: অনেক ভালোবাসা রইলো
১৬| ১১ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৩০
মাইন রানা বলেছেন: ১০০% সহমত
মাত্র কয়েকমাস আগে শিল্পকলা একাডেমিতে (সেগুনবাগিচা) একটি পরর্শনীতে গিয়েছিলাম। খুব সুন্দর এক মহিলা আসল হাটতে পারে এরকম ছোট একটি বাচ্চা নিয়ে। বাচ্চাটিও খুব সুন্দর তবে সে ছিল তাঁর কাজের মেয়ের কোলে।
বাচ্চাটি এদিক সেদিক ঘুর ঘুর করে হাটছিল এবনং অনেকেই আদর করছিল কিন্তু যেই একটু ভয় পায় সে কাজের মেয়ের দিকে ছূটে যায় এবং জড়িয়ে ধরে।
হঠাৎ ব্যাথা পেয়ে চিৎকার করে উঠল মা ও কাজের মেয়ে দুইজনই দৌড়ে বাচ্চাকে কোলে তুলে নিতে গেল কিন্তু বাচ্চাটি তাঁর মায়ের কোলে গেল না, কাজের মেয়ে কোলে নিতেই কান্না থেমে গেল।
১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৩৮
শরীফ মহিউদ্দীন বলেছেন: আমাদের সোসাইটিতে ভালোবাসা ফরমালিন এর মতো হয়ে গেছে দেখতে সুন্দর খেতেও ভালো কিন্তু কোন পুষ্টিগুন নাই
১৭| ১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:০২
রমাকান্তকামার১১০১১৪৫ বলেছেন: সাদা শার্ট আর কালো প্যান্ট । আমাদের জহর লাল স্যার। প্রতিটা কথাই বাঁধাই করে রাখার মতন ।
১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৩৭
শরীফ মহিউদ্দীন বলেছেন: মিসিং জহরলাল এ লট
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:২৫
বোকামন বলেছেন: আমি বলছি সেই সময় ফিরিয়ে আনুন যেখানে একটি শিশু কোনদিন একা বোধ করবেনা, তার সময় কেটে যাবে দাদা-দাদী,চাচা-চাচীদের সাথে। আর যদি সম্ভব না হয় তাহলে বাবা মা যে কোন একজন আপনার বাচ্চার পাশে থাকুন। আপনারা কার জন্য উপার্জন করছেন ? এই শিশুটির জন্যই তো নাকি? কিন্তু আপনার সেই সন্তানই যদি আপনার স্নেহ থেকে বঞ্চিত হয় তাহলে আপনার উপার্জনের টাকা দিয়ে কি করবেন?
যথার্থই বলেছেন ...