নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পড়াশোনা করছি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে................

আমার বাংলাদেশ স্বাধীন

দেখছি আর পড়ছি তবে মাঝে মধ্য কিছু লিখছি, মতামত দিচ্ছি। রক্তিম স্বাগতম আমার ব্লগে। আমি সাম্যের গান গাই, গাই মানবতার, শুনি মজলুমের আর্তনাদ আর স্লোগান দেই ‘প্রভাতফেরীর মিছিল চলছে, ছড়াও ফুলের বন্যা’। ফেসবুকে আছি ‘Shariful Islam Sharif’ নামে!

আমার বাংলাদেশ স্বাধীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রপ্তানিতে ওষুধ শিল্প হয়ে উঠছে সম্ভাবনাময়

২২ শে আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৬:০১

পাট চা চামড়া কিংবা হিমায়িত মৎস্য রপ্তানিতে যখন ধস চলছে, তখন নতুন করে আশার সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প। বিশ্বের ৮৭টি দেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন কোম্পানির শত কোটি টাকার ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে। গত অর্থবছরে দেশের বিভিন্ন ওষুধ কারখানায় উৎপাদিত ছয়শ’ কোটিরও বেশি টাকার ওষুধ বিদেশে রপ্তানি হয়েছে। এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখা গেলে আগামীতে বাংলাদেশের ওষুধ খাত তৈরি পোশাক শিল্পের মতো বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের বড় একটি খাত হয়ে উঠবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।



সূত্র জানায়, দেশের ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়নগঞ্জ, গাজীপুর, পাবনা, খুলনাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ২৬৯টি ছোটবড় ওষুধ কারখানা রয়েছে। কারখানাগুলোর মধ্যে বেশ কিছু কারখানা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হয়েছে। বিশেষ করে স্কয়ার, বেক্সিমকো, গ্লাক্সো, রেনেটা, ইনসেপটা, হেলথ কেয়ার, এসকেএফ, সেনডোজসহ বেশ কিছু কারখানায় আন্তর্জাতিক মানের ওষুধ উৎপাদিত হয়। এই ধরনের বিশ্বমানের ৪২টি ওষুধ কারখানাতে উৎপাদিত কোটি কোটি টাকার ওষুধ আমেরিকা, ইংল্যান্ড, কানাডা, জাপান, ইতালি, কোরিয়া, মালয়েশিয়া, সৌদি আরবসহ বিশ্বের ৮৭টি দেশে রফতানি করা হচ্ছে। গত অর্থবছরে প্রায় ৬০৪ কোটি টাকার ওষুধ রপ্তানি হয়েছে। বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের বিকাশ খুবই আশাব্যঞ্জক বলে মন্তব্য করে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলেছে, বছর কয়েক আগেও বাংলাদেশের জীবনরক্ষাকারী পঞ্চাশ শতাংশেরও বেশি ওষুধ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হতো। কোটি কোটি টাকার ওষুধ আমদানি করে দেশের চাহিদা মেটানো হতো। ওই সময় বিদেশী কোম্পানির হাতে দেশের ঔষধের বাজার জিম্মি হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটতো। বর্তমানে উন্মুক্ত অর্থনীতির মতো দেশের ওষুধ শিল্পও উন্মুক্ত। বাজার জিম্মি করার মতো পরিস্থিতি আর নেই। এক কোম্পনির ঔষধ ভালো না লাগলে অপর কোম্পানির একই মানের ওষুধ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। দেশে একই রোগের একই ওষুধ বিভিন্ন নামে বিভিন্ন কোম্পানি উৎপাদন এবং বাজারজাত করছে। বর্তমানে দেশের প্রয়োজনীয় প্রায় ৯৭ শতাংশ ওষুধই দেশের কারখানাগুলোতে উৎপাদিত হচ্ছে।



মাত্র বছর কয়েকের মধ্যে ওষুধ শিল্পের বিকাশ ঘটেছে উল্লেখ করে সূত্র জানিয়েছে, ২০০১ সালে বাংলাদেশে ওষুধ কারখানার সংখ্যা ছিল দেড়শ’টির মতো। ওই সময়ও বাংলাদেশ থেকে কয়েকটি দেশে ওষুধ রপ্তানি হতো। ২০০১ সালে ১৭টি দেশে ৩১ কোটি ৮০ লাখ টাকার ওষুধ এবং ১ কোটি ১০ লাখ টাকার ঔষধের কাঁচামাল রপ্তানি হয়েছিল। ১৪ বছরের মাথায় এসে ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে ৮৭টি দেশে। রপ্তানির পরিমাণও ৩১ কোটি টাকা থেকে বেড়ে প্রায় ৬০৪ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। আর ওষুধ তৈরির কাঁচামাল রপ্তানি বেড়েছে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা থেকে ১৬ কোটি ৬ লাখ টাকা। রপ্তানির এই প্রসার দেশের অন্যান্য যে কোন রপ্তানি খাতের তুলনায় প্রশংসনীয় বলেও সূত্র মন্তব্য করেছে।



এ ব্যাপারে স্কয়ার গ্রুপের পদস্থ একজন কর্মকর্তা জানান, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড আন্তর্জাতিক মানের ওষুধ উৎপাদন করে। এ কোম্পানি থেকে বিপুল পরিমাণ ওষুধ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়। স্কয়ার গ্রুপ তাদের বাজার আরো সম্প্রসারণ করার উদ্যোগ নিয়েছে। বিশেষ করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ করছে স্কয়ার।



এই ধারা অব্যাহত থাকুক। বয়ে আনুক স্বপ্নীল বাংলাদেশ। বাজুক ব্যবসা বান্ধবের গান।











মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.