![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্লু-গোল্ড ম্যাকাও পাখি দম্পতি প্রিন্স-প্রিন্সেসের আর সংসার করা হলো না। সাতদিন আগে প্রিন্সকে মূল মালিকের হেফাজতে দেয়ার আদেশ এলেও ফের ফিরিয়ে দেয়ার আবেদনের বিষয়ে আদালত বলছে, এর ওপর রায় দেয়ার এখতিয়ার তাদের নেই।
গত ১ জানুয়ারি এ মামলার বাদী ইকরাম সেলিমের আবেদনে আদালত প্রিন্স ম্যাকাওকে তার মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয়।
পরে কলাবাগান থানা পুলিশ পাখিটি ড. ওয়াদুদের মিনি চিড়িয়াখানা থেকে উদ্ধার করে ইকরাম হোসেন সেলিমের জিম্মায় দিয়ে দেয়। এর তিন দিন বাদে ৬ জানুয়ারি বিবাদী ড. ওয়াদুদ প্রিন্সকে নিজের জিম্মায় নেয়ার আবেদন করেন।
বৃহস্পতিবার ওই আবেদনের ওপর শুনানি হয়।
এদিন আদালত বলেছে, বন্য প্রাণী আইন সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ অনুযায়ী পাখিটি কার হেফাজতে থাকবে তা নির্ধারণ করার এখতিয়ার এই আদালতের নেই।
আদালতের এই আদেশে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ড. ওয়াদুদ বলেন, “এই আদালতের যদি পাখি কার হেফাজতে যাবে তা নির্ধারণ করার ক্ষমতা না থকে, তাহলে কেন যেদিন বাদী মামলা করল সেদিন তাকে ফেরত দিলেন না? এ কেমন সিদ্ধান্ত!”
শুনানির সময় প্রিন্সেস ম্যাকাওকে আদালতে হাজির করা হয়, যাকে দেখতে ভিড় করেন শত শত মানুষ। পাখিটির সঙ্গে দুটি ডিমও আদালতে উপস্থাপন করেন ওয়াদুদ।
‘পাখিপ্রেমী’ ওয়াদুদ বলেন, “পাখির সংসার ভেঙে আদালত এখন কেটে পড়ল। বিচারক সংসার ভাঙার যন্ত্রণা উপলব্ধি করলেন না। সেদিনই যদি আদালত বলত, পাখি কার হেফাজতে যাবে, তা নির্ণয়ের ক্ষমতা আমার নেই, আপনি উপযুক্ত আদালতে যান। তাহলে তো আর, পাখির সংসারে আগুন লাগত না।”
প্রিন্সকে নিয়ে যাওয়ার পর তার কাছে থাকা প্রিন্সেস খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানান তিনি।
ওয়াদুদের আইনজীবী বরুণ কুমার বিশ্বাস জানান, গত ১ জানুয়ারি আদালতের নির্দেশে পাখিটিকে জব্দ করে পুলিশ। এ আদালতের যদি এ প্রসঙ্গে কোনো এখতিয়ারই না থাকে তাহলে ১ জানুয়ারির আদেশ অবৈধ।
আদালতের এই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
অবশ্য বাদী ইকরাম হোসেন সেলিমের আইনজীবী সৈয়দ আহমেদ গাজী দাবি করেন, প্রিন্স ম্যাকাওয়ের মূল মালিক তার মক্কেল। তিনিই পাখিটি সিংগাপুর থেকে কিনে এনেছিলেন।
“পাখিটিকে বাদীর জিম্মায় দিয়ে সঠিক রায় দিয়েছেন আদালত।”
এর আগে বেলা ২টার দিকে ঢাকার নির্বাহী হাকিম শাহ এলিদ মাইনুল আমিনের আদালতে শুনানি হয়।
আদেশে তিনি উল্লেখ করেন, ‘বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী নালিশি পাখিটি কোন পক্ষের হেফাজতে থাকবে তা নির্ধারণ করার এখতিয়ার এই আদালতের নেই। যে কারণে মামলাটি নথিজাত করা হলো।’
প্রিন্স-প্রিন্সেসের সংসার
২০০৮ সাল থেকে এক সঙ্গে ছিল পাখি দম্পত্তি প্রিন্স-প্রিন্সেস। তাদের দুটি বাচ্চা রয়েছে। প্রিন্স ম্যাকাওয়ের বয়স ১৫ বছর। সিঙ্গাপুর প্রবাসী ইকরাম হোসেন সেলিম ১৯৯৭ সালে ব্লু-গোল্ড ম্যাকাউ পাখিটি সিঙ্গাপুরের গুড উইল ট্রেডার্সের কাছ থেকে কিনে আনেন।
ওই সময় সেলিম ইস্কাটনে ভাড়া বাসায় থাকতেন। সেখানেই ম্যাকাও গোল্ড প্রিন্স পাখিটি একাকী ১১ বছর কাটায়। পরে সেলিম পাখিপ্রেমী ড. ওয়াদুদের কাছে ২০০৮ সালে নিঃশর্তে প্রিন্সকে দান করেন। সেই থেকে ওয়াদুদ পাখির বংশ বিস্তারের কথাভেবে প্রিন্সের সঙ্গী প্রিন্সেসকে খুঁজে আনেন।
২০১২ সালে পাখিটির মালিকানা নিয়ে দুই পক্ষে শুরু হয় বিরোধ। ওই বছরের ১২ অগাস্ট ও ৫ সেপ্টেম্বর তারা একে অপরের বিরুদ্ধে জিডি করেন। পরে তারা আদালতে যান।
ম্যাকাও পাখি সাধারণত ৫০ থেকে ৬০ বছর আয়ু পেয়ে থাকে। এরা মানুষের ভাষা বোঝে। সূত্র : Click This Link
২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৬
রীতিমত লিয়া বলেছেন: আবেগঘন
৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৪
আমি অচেনা মানুষ বলেছেন:
৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১০
নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: আমি তো ভাকছিলাম গল্প
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩১
কালোপরী বলেছেন: হায়রে মানুষ