![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
৭১ যুদ্ধের মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগে আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রেজাকারের ফাসিঁর রায় হয়েছে। এর রায়ের মাধ্যমে সরকার নিজেদের নির্বাচনী ওয়াদা পূরণ করেছে বলে দাবী করেছে।
যুদ্ধাপরাধের বিচার দীর্ঘ প্রতিক্ষিত বিচার। এ বিচার অনুষ্ঠানের জন্য ৪১ বছর বাংলাদেশের মানুষ অপেক্ষা করেছে। এখন আওয়ামী নেতৃত্ত্বাধীন মহাজোট সরকার মানবতা বিরোধী নামে যুদ্ধাপরাধের বিচার করছে। আযাদের রায়ের মাধ্যমে বিশ্বে যুদ্ধাপরাধ বিচারে বাংলাদেশ ইতিহাস জায়গা করে নিলো।
আযাদ ওরপে বাচ্চু রেজাকারের বিচার ও পালিয়ে যাওয়া নিয়ে সরকারের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। মূলত এটা ঠিক যে বাচ্চু রেজাকার অনুপস্থিত থাকার কারণে তার রায় দ্রুত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকার আসামী পক্ষের উকিল নিয়োগ দিলেও তিনি বাচ্চু রেজাকারের পক্ষে জোরালো ডিফেন্স হাজির করেননি। এটা ঠিক সরকারি উকিল কিভাবে একজন পলাতক অপরাধীর বিরুদ্ধে শক্ত ডিফেন্স উপস্থাপন করবে ?
আরেকটা প্রশ্ন সামনে চলে, বাচ্চু রেজাকার কিভাবে সরকারে কড়া নজরদারির মধ্যেও পালিয়ে যায়? তার পালিয়ে যাওয়ার আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছিলো- আযাদকে কঠোর নজরদারি রাখা হয়েছে। তিনি যে কোন সময় গ্রেফতার হতে পারেন। অন্যদিকে মিডিয়া সংবাদ প্রকাশ করেছিলো- আযাদ পালিয়ে যেতে পারে। সর্বশেষ মিডিয়ার বক্তব্য সঠিক বলে প্রমাণিত হয়েছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে- আযাদ কিভাবে পালালো? তার পালানোর পিছনে কি সরকারের কোন গোষ্ঠির সহযোগিতা ছিলো? এসব বিষয়ে ঢাকার কয়েকজন সাংবাদিক বন্ধুর সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তারা চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। এদের দু'জন মনে করেন, বাচ্চু রেজাকারকে সরকারের উচ্চ মহলে একটি পক্ষ পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছিলো। বিনিময়ে বিশাল অংকের অর্থ লেনদেন হয়েছে। সাংবাদিকরা মনে করে, সরকারের ঐ অংশটির সহযোগিতা ছাড়া কোন ক্রমেই বাচ্চু রেজাকার পালিয়ে যেতে পারে না। আমি জানতে চেয়েছিলাম, এ ঘটনা কেন বাংলাদেশের মিডিয়া প্রকাশ করছে না। উত্তরে সাংবাদিকদ্বয় বলেছেন, এ বিষয়ে রিপোর্ট করার মতো যে সব মিডিয়া আছে, সে মিডিয়াগুলোকে সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আগেই ম্যানেজ করে রেখেছেন।
বাচ্চু রেজাকারকে পালাতে দিয়ে সরকারের লাভ কি ? সাংবাদিকরা বললো- প্রথমটি হলো সরকার যুদ্ধাপরাধের বিচারের একটি রায় দ্রুত পেয়ে গেলো। অপরটি হলো- বাচ্চু রেজাকারের পালানোর বিনিময়ে বিশাল অংকের অর্থ লেন দেনের মাধ্যমে সরকারের উচ্চ মহলের কয়েক জনের পকেট ভারি হয়েছে। সবমিলিয়ে দুই দিক রক্ষা করেছে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর বাচ্চু রেজাকার পলাতক রয়েছেন।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:০০
হোসেন শরীফ আহমেদ বলেছেন: ক্যাচালটা পুরনো
২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০৮
রিওমারে বলেছেন: আওয়ামীলিগ যুদ্ধ অপরাধীর বিচারের নামে জনগনের সাথে মশকরা করতেছে ।এই যুদ্ধ অপরাধীর ইস্যু দিয়েই পরবর্তি নির্বাচনে আওয়ামিলিগের রাজনৈতিক কবর রচিত হবে।।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:০২
হোসেন শরীফ আহমেদ বলেছেন: আওয়ামী লীগ বিচার করার উদ্যোগ নিয়েছে। এর আগে কোন সরকার নেয়নি সেটা পজেটিভ। তবে আওয়ামী লীগের মধ্যে চদ্মবেশী একটা গ্রুপ আছে তারা এ বিচারকে কেন্দ্র করে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে। সরকারকে সুবিধাবাদী মহলের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।
৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১২
অতুল মিত্র বলেছেন:
যে কোন দলের পক্ষেই রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য অনেক সুন্দর সুন্দর কাজ করা সম্ভব এবং সকল রাজনৈতিক দল সেটা বোঝে। সমস্যা হল খুব অল্প সংখ্যক মানুষ এটা করতে দেয় না।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:০৪
হোসেন শরীফ আহমেদ বলেছেন: রাজনীতিতে টিকে থাকার জন্য আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াত সবাই এক। এরা সবাই বুর্জোয়া দল। সবাই সন্ত্রাসে বিশ্বাসী।
৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:২৭
শার্লক বলেছেন: এটা আর নতুন কি। সব তো লোক দেখানো। এদেশে সব সম্ভব।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:০৬
হোসেন শরীফ আহমেদ বলেছেন: আপনার সঙ্গে সম্পূর্ণ এক হতে পারলাম না।
৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:২৭
মোঃ মহিউদ্দিন বলেছেন: আগেই তো কইছিলাম তহন তো বুজবার পারেন নাই !!! Click This Link
৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩
সবুজ সাথী বলেছেন: গুজব হলেও এটা বিশ্বাসযোগ্য বলেই মনে হচ্ছে।
৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৮
ফরিদ হাসান বলেছেন: অসাধারণ একটি সংগ্রহশালা (না দেখলে মিস করবেন)
সম্প্রতি প্রথম আলো পত্রিকায় দেশে ও দেশের বাইরে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বলকারী ব্যক্তিদের নিয়ে নিয়মিত ”আমিই বাংলাদেশ” নামে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করছে। যা কিনা ইতিমধ্যে পাঠকমহলে বেশ উৎসাহ সৃষ্টি করেছে। সেই প্রেরণায় আমরা এযাবত যতগুলো প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে সবগুলো প্রতিবেদন একসাথে জড়ো করে চলেছি। প্রতিদিনই পেজটি আপডেট করা হয়। অনবদ্য এই সংগ্রহশালাটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০৫
এরশাদ শিকদার বলেছেন: এটা কি কইলেন। আবার নতুন ক্যাচাল।