নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কাল বলতে কিছু নেই ,সময় বলতে কিছু নেই । মূল বিষয় হচ্ছে ঘটনা বা কারণ। মানুষ যেমন মানুষের নামকরণ করে তেমনি মানুষ ঘটনা বা কারণেরও নামকরণ করে । আর এই ঘটনা বা কারনের নামটি হচ্ছে কাল বা সময়। ঘটনা বা কারনের পূর্বকে আমরা বলি অতীত এবং পরে কে বলি ভবিষ্যৎ । আমি পানি খাব একটি ঘটনা যার পূর্বের ঘটনা আমি পাত্রে পানি নিলাম পরের ঘটনা পানি খেলাম।এই ঘটনার বা কারনের কিছু অংশ আমরা জানি বা দেখতে পাই বাকী অংশ আমাদের দৃষ্টি সীমা বা জানার বাইরে যাকে বলি ভবিষ্যৎ। যদি সময় বা কাল ধরি তাহলে অতীত ভবিষ্যৎ বর্তমান সব একই সাথে চলমান। কিন্তু তা কি করে হয়? হ্যা হয়। আমরা ঘটনা বা কারণকে দেখি খুব কাছ থেকে ফলে ঘটনা বা কারনের কেবল একটি অংশ আমাদের কাছে দৃশ্যমান বাকী অংশ কিছু স্মৃতিতে কিছু অংশ বা পরের অংশের জন্য অপেক্ষা করতে হয় । তাহলে আমারা ঘটনার খুব কাছে থেকে দেখি পানি পাত্রে নিলাম , পানি খেলাম এই যে ঘটনা বা কারণ যার প্রতিটি অংশ আমরা কাছ থেকে দেখি কিন্তু যদি এই ঘটনাকে একসাথে দেখতে পেতাম অর্থাৎ পানি নেয়া থেকে খওয়া পর্যন্ত পুরো বিষয়টি একসাথে দেখতে পেতাম তাহলেই আমরা হয়ে যেতাম কালোত্তীর্ণ । কিন্তু আমাদের দেখার সীমা ঘটনার পূর্ব এবং ঘটনা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ।
সেন্ট অগাস্টিনের (মধ্যযুগীয় দার্শনিক) কাল তত্ত্বে বলেছেন ঈশ্বর কালোত্তীর্ণ অর্থাৎ ঈশ্বরের কাছে সকল কালই সমান।
এই তত্ত্ব টিকে যদি এভাবে দেখি , সিনেমা হলে ছবি চলছে দর্শক ছবি দেখছে । ছবিতে অতীত বর্তমান ভবিষ্যতের ঘটনা চলছে কিন্তু দর্শক তা দেখছে বর্তমানে। সুতরাং দর্শকের কাছে পুরো ছবিটি বর্তমান যদিও তাতে অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ কাল রয়েছে। এই ছবিটির ক্ষেত্রে দর্শক কালোত্তীর্ণ কারণ সে সকল কালকে একসাথে দেখতে পাচ্ছে।
সেন্ট অগাস্তিন ঠিক তাই বলেছেন , তার মতে ঈশ্বরের কাছে সকল কালই শাশ্বত বর্তমান। আমার মতও তাই কারণ ঈশ্বর নিজের মাঝেই সকল কাল পরিচালিত করছে তাই তাঁর কাছে সবই শাশ্বত বর্তমান।
যদি অগাস্টিনের মতে কাল হচ্ছে চিন্তার একটি দিক মাত্র । তিনি কালের তিনটি ভাগ , অতীত ভবিষ্যৎ বর্তমান স্বীকার করেননি । তার মতে বর্তমানই প্রকৃতপক্ষে অস্তিত্বশীল আমার মতেও তাই কাল একটি আর তা হচ্ছে বর্তমান বাকী দুটো হচ্ছে বর্তমানেরই বা কালের বিস্তৃত রূপ।
একটি দেয়ালের খুব কাছে আসে আপনি যদি দেখেন তাহলে দেয়ালের নির্দিষ্ট একটি অংশ আপনি দেখবেন পুরো দেয়াল নয় । যখন দেয়াল থেকে দূরে যাবেন ধীরে ধীরে পুরো দেয়াল আপনার দৃষ্টি সীমায় চলে আসবে । আমরা সময় বা ঘটনা নিয়ে ঠিক এই অবস্থায় আছি সময়কে আমরা দেখছি খুব কাছ থেকে কিন্তু ঈশ্বর দেখছে দূর থেকে বা সম্পূর্ণরূপে । তাই বলা হয় ঈশ্বর অতীত ভবিষ্যৎ সব জানেন । কারণ তিনি সময়কে বা ঘটনাকে দেখছেন সম্পূর্ণরূপে তাই তাঁর সব জানাই স্বাভাবিক । কিন্তু মানুষ খুব কাছ থেকে সময়কে বা ঘটনাকে দেখার কারণে সময়ের বা ঘটনার পরে কি আছে তা মানুষের দৃষ্টিসীমায় নেই। সময়ের বা ঘটনার এই আগে পরেকেই আমরা বলি অতীত ভবিষ্যৎ ।
আসলে আমাদের চারপাশে অবিরত ঘটছে ঘটনা বা কারণ । আমরা নিজেদের বোঝার সুবিধার জন্য ঘটনাকে বা কারণকে বলছি সময় । আসলে সময় একটি কাল্পনিক অলীক বিষয় মূলত যার কোন অস্তিত্বই নেই । মূল হচ্ছে ঘটনা বা কারণ । ঘটনা বা কারনের অস্তিত্ব রয়েছে কিন্তু সময়ের কোন অস্তিত্ব নেই । সময় কেবল ঘটনার নাম মাত্র।
২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৪৮
মানুষ এবং...... বলেছেন: কিন্তু ঈশ্বর দেখছে দূর থেকে বা সম্পূর্ণরূপে । তাই বলা হয় ঈশ্বর অতীত ভবিষ্যৎ সব জানেন । কারণ তিনি সময়কে বা ঘটনাকে দেখছেন সম্পূর্ণরূপে তাই তাঁর সব জানাই স্বাভাবিক । কিন্তু মানুষ খুব কাছ থেকে সময়কে বা ঘটনাকে দেখার কারণে সময়ের বা ঘটনার পরে কি আছে তা মানুষের দৃষ্টিসীমায় নেই। সময়ের বা ঘটনার এই আগে পরেকেই আমরা বলি অতীত ভবিষ্যৎ ।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:২৭
সরকার পায়েল বলেছেন: শুভেচ্ছা রইল ।
৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:১১
আজমান আন্দালিব বলেছেন: সুন্দর ব্যাখ্যা। প্রিয়তে।
৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:২৮
সরকার পায়েল বলেছেন: ধন্যবাদ । শুভেচ্ছা রইল ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৪৭
মানুষ এবং...... বলেছেন: চমৎকার।