নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ

সরকার পায়েল

মানুষ যা অনুভব করে তাই জ্ঞান।

সরকার পায়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ম , ধর্মযুদ্ধ এবং মহাপুরুষ

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩৮

পৃথিবীতে অনেকগুলো ধর্ম রয়েছে । এর মধ্যে উল্লেখ্য , খৃষ্টান , ইসলাম , হিন্দু, বৌদ্ধ । প্রাচীনতম ধর্মের ভিত্তিতে ও বর্তমানে তাদের অবস্থান যদি পর্যালোচনা করি । অবশ্যই আমার খুবই সীমিত জ্ঞান ও জানার মাধ্যমে দ্বারা এই সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ ।



হিন্দু – ধারণা করা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীনতম ধর্ম । দর্শনের দিক থেকে দেখলে হিন্দু ধর্মের দর্শন তাই বলে । ধারণা করা হয় হিন্দু ধর্মের দর্শন পৃথিবীর প্রাচীনতম দর্শন । এই ধর্মটি এখন কেবল ভারতের মাঝেই সীমাবদ্ধ । প্রচার বা প্রসারে এই ধর্মের অনুসারীদের তেমন ভূমিকা দেখা যায়না । অনেক অবতারে বিশ্বাসী। প্রধান গ্রন্থ গীতা ।





খৃষ্টান – যীশু বা ঈসা (আঃ) এর অনুসারী। এখনো প্রসার হচ্ছে । এই ধর্মের অনুসারীরা প্রসারে মনযোগী । প্রধান গ্রন্থ বাইবেল ।





ইসলাম – হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর প্রচারিত ধর্ম । একেশ্বরবাদে বিশ্বাসী । এখন প্রসারিত হচ্ছে। এরা এক আল্লাহ তে বিশ্বাসী। এই ধর্মের অনুসারীরা প্রসারে মনযোগী । প্রধান গ্রন্থ কোরআন।





বৌদ্ধ- বুদ্ধের অনুসারী । এরা বুদ্ধকে ঈশ্বর জ্ঞান করে । ধর্ম প্রচারে এই ধর্মের অনুসারীরা মনযোগী । প্রসার খুবই সীমিত আকারে। প্রধান গ্রন্থ ত্রিপিটক।





ধর্মগুলোর মধ্যে ভিন্নতাগুলোর দিকে আলোকপাত করলে যা পাই,





ইসলাম ছাড়া বাকী সব ধর্মেই তাদের উপাসনালয়গুলোতে দেবতা বা যার অনুসারী তার মূর্তি ছবি বিদ্যমান । কিন্তু ইসলামে নবী (সঃ) এর কোন ছবি পাওয়া যায় না। ইসলামে ঈশ্বর নিরাকার তাই কোন আকার দেয়া সম্ভব নয় ফলে মূর্তি বা আকৃতি সম্ভব নয়।





প্রত্যেক ধর্মের ধর্ম গ্রন্থতে শুধু শান্তির বাণী আছে জীবনের সকল দিক নিয়ে আলোকপাত দেখা যায়না । কেবল কোরআনে জীবনের সকল দিক নিয়ে আলোচনা করেছে। কোরআনের বাণী ব্যাখ্যার জন্য রয়েছে হাদিস। কিন্তু আজকে আমার আলোচনার বিষয় জীবনের সকল দিক নয় । আমার আলোচনার বিষয় ধর্মযুদ্ধ। একমাত্র ইসলামে ধর্মের জন্য যুদ্ধ করা অর্থাৎ জীবন দেয়া এবং নেয়া বৈধ বা অবশ্য পালনীয় বলা হয়েছে বা হুকুম করা হয়েছে। ধর্মের জন্য জীবন দেয়াকে শহীদ বা বীর বলা হয়েছে। কিন্তু কেন ?





আমাদের ধারণা ধর্মে থাকবে শুধু শান্তির বাণী কিন্তু সেখানে যুদ্ধ কেন ? ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্মে তা বলা হয়নি । নবী (সঃ) এর সাথে অন্য ধর্ম প্রচারকদের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করলে কি পাই ?





ঈসা(আঃ) বা যীশু- যিনি আল্লাহ প্রদত্ত কুদরতে মা মেরির গর্ভে এসেছেন । যার কোন পিতা নেই । তিনি সারাজীবন একাকী জীবন যাপন করেছেন কেবল ধর্ম বা শান্তির বাণী প্রচার করেছেন। অর্থাৎ তার জীবন সাধারন মানুষের জীবনের মত ছিলনা ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন । পরিশেষে তিনি নির্মমভাবে ষড়যন্ত্র করে হত্যা করা হয়।





বুদ্ধ- রাজ পরিবারের সন্তান । বিয়ে করেছেন সন্তান ছিল । কিন্তু এক পূর্ণিমার রাতে গৃহ ত্যাগ করেন । এরপর শুরু হয় শান্তির বাণী প্রচার আর কখন তিনি গৃহে ফেরেন নি। অর্থাৎ তার জীবন সাধারন মানুষের ন্যায় ছিলনা ।





হিন্দু ধর্মের দেবতাদের তেমন ঐতিহাসিক কোন প্রমাণ পাওয়া যায়না । কিছু প্রচলিত গল্প রয়েছে।





মুহাম্মাদ (সঃ)- স্বাভাবিক জীবন যাপন করেছেন । সংসার করেছেন । গৃহত্যাগ করেননি। শান্তির বাণী প্রচার করেছেন । কিন্তু তাঁর ধর্ম প্রচারে বেশ ভিন্নতা দেখা যায় তিনি যুদ্ধ করেছেন শত্রুর বিরুদ্ধে এবং শিক্ষা দিয়েছেন শত্রুকে বিনাশ করতে । অর্থাৎ তার প্রচারিত ধর্ম অহিংস ছিলনা । তিনি ব্যাতিত আর কোন নবী বা ধর্ম প্রচারক যুদ্ধ করেনি যুদ্ধ করার কথা বলেনি । কোন যুদ্ধ জয় করেনি । পৃথিবীর অর্ধেক শাসন করেনি । আবার তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর কোন সন্তান বা রক্তের কেউ রাজত্ব পায়নি । তিনি তা বলেও যান নি।





একমাত্র নবী (সঃ) ব্যতীত অন্য ১লক্ষ ৪০হাজার (ধারণা করা হয়) নবীদের ধর্ম প্রচারের দিকে যদি তাকাই একজন নবী নেই যারা ধর্মের বা তার প্রচারিত আদর্শ সমুন্নত রাখতে যুদ্ধ করেছেন বা যুদ্ধ করার হুকুম করেছেন । সবারই অনুসারী ছিল কিন্তু কেউ যুদ্ধ ঘোষণা করেনি। জীবন বাজি রেখে ধর্ম প্রচার করেনি বা ধর্মের জন্য জীবন বাজি রাখেনি এবং অনুসারিদের জীবন বাজি রাখার শিক্ষা দেয়নি । কেন ?







আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে কোরআন নবী (সঃ) এর এই শিক্ষার হুকুম করে । তাঁর সকল কাজ বৈধ বলে । কোরানেও ধর্মের জন্য আদর্শের জন্য যুদ্ধ করা বৈধ করা হয়েছে বা হুকুম করা আছে।





পৃথিবীতে নবী (সঃ) ব্যতীত অন্যকোন নবী তার ধর্ম পূর্ণ প্রচার করতে পারেনি । ধর্মের পূর্ণতা দিতে পারেনি। শান্তিপূর্ণ ভাবে ধর্ম প্রচার করতে পারেনি বাঁধা প্রাপ্ত হয়েছে ।আংশিক প্রচার করেছে।





একমাত্র নবী (সঃ) ধর্মকে পূর্ণতা দিতে পেরেছেন । পূর্ণ ধর্ম প্রচার করতে পেরেছেন। ধর্ম কি ? ধর্মের কাজ আদর্শ কি ? তিনি ব্যতীত অন্য কোন নবী বা ধর্ম প্রচারক এইভাবে ধর্ম প্রচার করতে পারেনি। ধর্মের পূর্ণ রূপ মানুষের সামনে অন্য কেউ তিনি ব্যতীত আনতে বা প্রচার করতে সক্ষম হয়নি । প্রত্যেক ধর্ম প্রচারক প্রত্যেক নবী কোথাও না কোথাও বাঁধা প্রাপ্ত হয়েছেন আর এগুতে পারেননি। কোরআন একমাত্র গ্রন্থ যা দিয়ে অর্ধ পৃথিবী দীর্ঘ কয়েক শতাব্দী নবী (সঃ) ও তাঁর অনুসারীদের দ্বারা শাসিত হয়েছে। এই বিষয়টি প্রমাণ করে ধর্মের পূর্ণতার যুক্তি । পৃথিবীতে ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন ধর্মের এই ইতিহাস নেই।





পৃথিবীতে অন্য কোন ধর্ম প্রচারক অর্ধ পৃথিবী শাসন করেনি । অন্য কোন ধর্ম প্রচারক রাখাল থেকে অর্ধ পৃথিবীর শাসক হতে পারেনি । অন্য কোন ধর্ম প্রচারক বলে যেতে পারেনি , হে লোক সকল তোমরা সাক্ষী থেকো আমি আমার দায়িত্ব পূর্ণ করে গেলাম ।





আদর্শের সংগ্রামে বাঁধা আসবেই , ভালর বিরুদ্ধে মন্দ থাকবেই । শয়তান প্রতিনিয়ত মানুষকে মন্দের দিকে ডাকবেই । ভালোতে বাঁধা দিবেই। কিন্তু সেই বাঁধা পেরতে না পারলে , নিজের কথা আদর্শ বলার অবস্থান তৈরি না হলে মানুষের কাছে নিজের আদর্শ প্রচার করা যায় না। আজ যদি আমরা কেবল গান্ধীর শান্তির বাণী অনুসরণ করতাম , মুজিবের মুক্তির ডাকে সারা না দিতাম, বিপ্লব না করতাম অস্ত্র হাতে না নিতাম তাহলে আমরা আজো পরাধীন জাতি থেকে যেতাম , মুক্তি কখনই আসতো না। আমাদের বাঙালীর আদর্শ কোনদিন সমুন্নত হত না । এই জন্যই আজো মুজিব আমাদের মুক্তি চেতনা। কারণ তিনি বিপ্লবের ডাক দিয়েছেন মুক্তির ডাক দিয়েছেন ।





নবী (সঃ) যদি বাঁধা না পার হতে পারতেন , সংগ্রাম যুদ্ধ না করতেন , আদর্শের জন্য রক্ত না দিতেন কখনই নিজের মতবাদ আদর্শের পূর্ণতা দিতে পারতেন না । ইসলাম কখনই পূর্ণতা পেতনা । এর প্রমাণ অপূর্ণ একটি মতবাদ বা আদর্শ দিয়ে পৃথিবী জয় করে তা দীর্ঘ কয়েক শতাব্দী সেই আদর্শের উপর শাসন করা সম্ভব নয়।





নিজের আদর্শকে সমুন্নত করার জন্য জীবন বাজি রেখে লড়াই করতে শিক্ষা দিয়েছে ইসলাম । আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছ , মুখের ভাষা রক্তের বিনিময়ে এনেছি। মুজিব কি দেশ স্বাধীনের পর বলেছেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আজীবন যুদ্ধ ঘোষণা করল । দেশ স্বাধীন হয়েছে নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে এখন নিজের মত নিজের আদর্শ লালন করব দেশকে এগিয়ে নেব ।





ঠিক তেমনি যখন আদর্শের সংগ্রামের প্রয়োজন হয়েছে নবী (সঃ) অস্ত্র তুলে নিয়েছে , নিজের অধিকার আদর্শ প্রতিষ্ঠা করার সংগ্রামে সফল হয়েছেন । নিজের আদর্শ প্রতিষ্ঠার পর যুদ্ধ কার সাথে কি নিয়ে কেন? আল্লাহ হুকুম করেছেন তাই সারা জীবন মুসলমানরা শুধু যুদ্ধ করবে কিছু বিভ্রান্ত তৈরিকারী এই কথা প্রচার করে । হ্যাঁ ইসলাম যুদ্ধের কথা বলে , ধর্মের জন্য আদর্শের জন্য রক্ত জীবন দেয়ার কথা বলে। তাই ইসলাম অশান্তির ধর্ম হয়ে গেল ?





তাহলে মুজিবের যে বিপ্লবের ডাকে সারা দিয়ে বাঙ্গালী রক্ত জীবন দিয়ে দেশ স্বাধীন করল নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করল তাহলে বাঙালীর আদর্শ যা চির সংগ্রাম বিপ্লবের নিজের অধিকার সমুন্নত রাখার তা কি অশান্তির আদর্শ । বাঙালীর আদর্শ মুজিবের আদর্শ কি বলে শুধু যুদ্ধ করো ? অশান্তি করো ?





শুধু এই কারণে নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন দেয়ার কথা বলায় যদি ইসলাম অশান্তির ধর্ম হয়ে থাকে আমি একজন মুসলমান হিসেবে সেই অশান্তির ধর্ম নিয়ে গর্বিত।





মুজিব মুক্তির ডাক দেয়াতে , বাঙ্গালী স্বাধীনতার জন্য জীবন দেয়াতে যদি মুজিবের আদর্শ অশান্তির হয়ে থাকে আমি সেই অশান্তির একজন সৈনিক হিসেবে বাঙ্গালী হিসেবে গর্বিত ।





ইসলামকে ইসলামের আদর্শকে সমুন্নত রাখতে যুদ্ধ করতে জীবন দিতে আমি প্রস্তুত । এই জন্য যদি কারও যুক্তিতে ইসলাম অশান্তির ধর্ম হয় আমি তাও মেনে নিতে প্রস্তুত।





বাঙালীর সংগ্রামের আদর্শ যদি ঠিক হয় তাহলে ইসলামের আদর্শও ঠিক । ঠিক যেভাবে বাঙ্গালী অত্যচারিত হয়েছে ইসলামের প্রাথমিক সময়ে মুসলমানদের ঠিক সেভাবেই অত্যাচার করা হয়েছে । তখন যদি নবী (সঃ) কেবল শান্তির বাণী প্রচার করতেন তাহলে হয়ত যীশুর মত ক্রুশ বিদ্ধ হয়ে শেষ হতেন অথবা অহিংস আন্দোলনের প্রচারক গান্ধীর মত তলোয়ারের এক কোবে শেষ হয়ে যেতেন। যে চেষ্টা একাধিকবার কাফেররা করেছে । এর পরেও যখন প্রশ্ন আসে ইসলামে যুদ্ধ করা কেন হুকুম করা হয়েছে তখন প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে তাহলে তখন কি করা উচিৎ ছিল ? যীশুর মত ঈশ্বরের করুণা ভিক্ষা করতে করতে মৃত্যু কি শ্রেয় ছিল ?





আর আমরা তখন অর্ধ ভগ্ন আদর্শ নিয়ে কেবল গান গাইতাম নবী তুমি মহান, আর শয়তানকে গানের তালে তালে ধিক্কার দিতাম। আর শয়তান হাসত মাথা তুলে দাঁড়ানোর কোন আদর্শ মুসলমানের সামনে থাকতোনা। ইসলাম প্রতিবাদ করতে শেখায়, বিপ্লব করতে নিজের অধিকার আদায় করে নিতে শেখায় । কারও কারও প্রশ্ন কি থেকে কে মুসলমানকে মারতে আসে ?





ইসলামের শুরু সময়ে এই শিক্ষা থেকেই শিক্ষা নিয়ে বিপ্লব করাতেই আজ ইসলামকে আঘাত করলে তার প্রতিউত্তর পায়। কিছু বিপথগামী আদর্শ বেচা শয়তানের দল আছে তা সব সময় সব জায়গাতেই আছে কোথাও রাজাকারের রূপে , কোথাও মোনাফেকের রূপে, কোথাও দালালের রূপে । এরা সব সময় সব আদর্শকে বিকৃত করে ফায়দা নেয়। আর আমরা সেই ফাঁদে পা দেই ।





যে গুটি কয়েক রাজাকার ছিল বেইমান ছিল ওরা বাঙ্গালী ছিল বিদেশী নয়। ঐ গুটিকয়েক ঈমান বেচা দেশ বেচা শয়তানের জন্য বাঙ্গালী জাতির যেমন কলঙ্ক হয়না । তেমনি কিছু ধর্ম বেচা শয়তানের জন্য ইসলাম মিথ্যা হয়ে যায়না । মাদ্রাসার বা গ্রামের অশিক্ষিত মানুষদের হাদিসের আয়াতের ভুল ব্যাখ্যা করে যারা তাদের দিয়ে নানা সন্ত্রাসী কাজ করায় তাদের দিয়ে ইসলাম প্রমাণ হয়না । কিন্তু পশ্চিমাদের মিডিয়ার কারসাজিতে আজ সেই ধর্ম বেচা শয়তানের দলকেই ইসলামের মূল ধারক বলা হয়।





বাবরী মসজিদ হিন্দুরা ভাঙলে , পুরো ট্রেনের মুসলমানদের আগুনে জ্বালিয়ে দিলেও প্রমাণ হয়না হিন্দু জঙ্গিবাদের দল । আজো বি জে পি ঘোষণা করে রাম মন্দির করবে বাবরী মসজিদের জায়গায় তখন হিন্দু জঙ্গিবাদের ধর্ম হয়না ।





>>বার্মায় মুসলমান কচু কাঁটা করলেও বৌদ্ধ ধর্ম জঙ্গিবাদের ধর্ম হয়না । আমেরিকা ঘোষণা করে বার্মা গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাচ্ছে ।





>>ইরাক , আফাগানিস্তান বিনা কারণে বিনা প্রমানে আক্রমন করে লাখ লাখ মুসলমান হত্যা করলেও খৃষ্টান জঙ্গিবাদের ধর্ম হয়না । হয় শান্তির ধারক ।





>>অন্যায় ভাবে যুগ যুগ মুসলমানের ভূমি দখল করে প্রতিদিন শিশু কিশোর হত্যা করলেও ইহুদীরা সন্ত্রাসী হয়না । কিন্তু যে ফিলিস্তিনিরা অস্ত্র তুলে নেয় দেশ রক্ষার জন্য ওরা নিশ্চিত সন্ত্রাসী হয়ে যায়।





>>পোপ শিশু নির্যাতন, যৌন নিপীড়ন , হত্যার দায়ে অভিযুক্ত হলেও খৃষ্টান ধর্ম মিথ্যা হয়না । তা শুধু শান্তির ধর্মই থাকে ।





আর যখন বাংলাদেশে ঈমান বেচা শয়তানের দল ইসলাম নিয়ে মিথ্যা , মিথ্যা ব্যাখ্যা করে তখন ঐ শয়তানের দোষ হয়না দোষ হয়ে যায় ইসলামের । আফাগানিস্তানে , ইরাকে দেশ মুক্ত করার জন্য যারা মুক্তি সংগ্রাম করে ওরা হয়ে যায় সন্ত্রাসী ।





অন্য সকল ধর্মের মানুষ অন্যায় করলে সেখানে ঐ ধর্ম বা অনুসারীদের দোষ নাই দোষ যারা অন্যায় করে কেবল তাদের এক শুধু ইসলাম মুসলমানদের ক্ষেত্রেই ব্যতিক্রম এখানে একজন মুসলমান দোষ করলে সাথে সাথে তা হয়ে যায় পুরো মুসলিমজাহানের দোষ পুরো ইসলামের দোষ । পশ্চিমারা আর তাদের মিডিয়ার কারসাজিতে আজ ইসলামের এই অপপ্রচার। যার সাথে তাল মেলায় পশ্চিমাদের কাছ থেকে ভাতা প্রাপ্ত মুসলমান নামধারী ওদেরই কিছু পোষা কুকুর।





এই মিথ্যা প্রোপাগান্ডায় ইসলাম মিথ্যা হয়ে যায়না ইসলাম শেষ হয়ে যায়না । মুসলমানের ঈমান এত হালকা না , মুসলমানের বিশ্বাস এত ঠুনকো না , যে মিথ্যা প্রচারে তা শেষ হয়ে যাবে । নবি (সঃ) আর জন্য ইসলামের জন্য ইসলামের আদর্শের জন্য প্রতিটি ইসলামের সৈনিক তাঁর জীবন দিতে প্রস্তুত তাতে কখন বিন্দু মাত্র ফাটল ধরবেনা। এত সস্তা ধর্ম এত ঠুনকো মতবাদ মুহাম্মাদ (সঃ) প্রচার করে যায়নি। এত রক্ত , এত সময় ধরে শক্ত ভিতের উপর গড়া ইসলাম দুইটা মিথ্যা প্রচারে পরে যাবে শেষ হয়ে যাবে যারা ভাবে তাদের জন্য করুণা হয় । চেষ্টা করো দেখো কি হয় ? পারো কিনা ইসলামের গায়ে একটি আচড় কাটতে !





আর এই আদর্শের জন্য জীবন বাজি রাখাই যদি হয় জঙ্গিবাদ , অশান্তির ধর্ম তবে তাই হোক হ্যাঁ আমরা অসুর , মুসলমানরা জঙ্গি। জীবনই বাজি রেখেছি আল্লার জন্য ইসলামের জন্য সেখানে এইটুকু মিথ্যা কলঙ্কের ভার নিতে কোন আপত্তি নাই। যে কোন মুল্যে যে কোন কিছু বিনিময়ে ইসলামের নাম ইসলামের আদর্শ সমুন্নত রাখবো এটাই হচ্ছে প্রকৃত মুসলমানের জীবনের শপথ।





যারা ভাবে যারা চিন্তা করে যারা সত্যের খোঁজ করে তারা অবশ্যই একদিন মিথ্যা সত্যে প্রভেদ ধরতে পারবে । ইসলাম, মুসলমান তাঁর আদর্শে অবিচলিত থাকবে চিরদিন ।আল্লাহু আকবার। SERVIVAL THE FITTEST- এটা প্রকৃতিরই একটি নিয়ম । যে যোগ্য সেই টিকে থাকবে। টিকে থাকতে হলে লড়তে হবে এবং সেই লড়াইয়ে জিততে হবে। পরাজিতের পূজা কেউ করেনা করে করুণা। ইসলাম তার শত্রুদের পরাজিত করে জয়ের নিসান উড়িয়েছে। যেদিন নবই (সঃ) ধর্ম প্রচার শুরু করেন ১ জন মুসলমান ছিলনা । আজ ইসলামের কোটি কোটি সৈনিক শুধু আল আল্লাহর নামে কোরবানি হতে শহীদ হতে প্রস্তুত । এটাই যোগ্যতার প্রমাণ। মতবাদের পূর্ণতার প্রমাণ । মতবাদের প্রতি ধর্মের প্রতি বিশ্বাসের প্রমাণ । আর কোন নবী বা ধর্ম প্রচারক ধর্ম কে কি এই স্থানে নিয়ে আসতে পেরেছে ? যদি ইসলাম কেবল শান্তির গান হত তাহলে এই অবস্থা কখনই তৈরি হতনা ।





আজ সবচেয়ে বেশী তর্ক বিতর্ক ইসলাম নিয়ে। এতে ভেঙ্গে পরার কিছু নেই। মানুষের পূর্বে বোধ জ্ঞান এত ছিলনা । ধীরে ধীরে মানুষ এগিয়ে যাচ্ছে নতুন প্রযুক্তি নতুন মতবাদ তৈরি হচ্ছে । খুব স্বাভাবিকভাবেই আগের মতবাদ প্রশ্নের সম্মুখীন হবে । যাচাই হবে । অন্যকোন ধর্ম নিয়ে এত বিতর্ক প্রশ্ন নেই কিন্তু ইসলাম নিয়ে হচ্ছে কেন ? কারণ অন্য সকল মতবাদ ধর্ম পরীক্ষা করা যাচাই করা শেষ, যুক্তির খণ্ডনে টিকতে পারেনি সবই ছুড়ে ফেলে দেয়া হয়েছে। ওগুলো এখন সুন্দর কিছু শান্তির গল্প ছাড়া আর কিছু নয়। ইসলামকে যাচাই করা হচ্ছে দেখা হচ্ছে মূলত ইসলামে কি আছে ? যা আছে তা আসলেই কতটা মজবুত ? মানুষের জন্য এই মতবাদ কতটা কল্যান বয়ে আনবে ? এই যুক্তির যুদ্ধ চলবে হয়ত আরও কয়েক যুগ। তারপর মানুষ হয়ত সিদ্ধান্ত নিবে ইসলাম গ্রহন করবে না অন্য মতবাদের মত পুরান সেকেলে বলে ছুড়ে ফেলে দেবে । দেখা যাক সময় কি বলে ইসলাম তাঁর মতবাদ নিয়ে কত শক্ত অবস্থানে যেতে পারে । এজন্য কাউকে জিহাদ বা যুদ্ধ করতে হবেনা। ইসলাম কোরআন নিজেই সব প্রশ্নের উত্তর দিবে। কারণ ওখানেই সকল প্রশ্নের উত্তর রয়েছে। এখন দেখা যাক সময় কি বলে ? দেখা যাক সময়ের চ্যালেঞ্জ ইসলাম নিতে পারে কিনা ? আজ ইসলাম চ্যালেঞ্জের মুখে এখানে যুদ্ধ করে নয় রক্ত দিয়ে নয় , মেধা দিয়ে বিচক্ষনতা দিয়ে সময়ের সকল চ্যালেঞ্জের উত্তর দিতে হবে।কারণ এখন যুদ্ধ করার কিছু নেই রক্ত দেয়ার কিছু নেই ইসলাম আজ সমুন্নত ইসলামের অবস্থান আজ অনেক দৃঢ়। প্রয়োজন সময়ের উত্তরগুলো মানুষের মনের কথাগুলো মানুষ যা জানতে চায় সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন প্রক্রিয়া তা মানুষকে জানানো ।





ইসলাম শান্তির ধর্ম!ইসলাম শান্তির ধর্ম! আরে কে চাইছে শান্তির ধর্ম? কোন ধর্ম অশান্তির? কোন মতবাদ অশান্তির ? কোন ধর্ম বলে অশান্তি কর ? সকল ধর্ম শান্তির কথাই বলে । কিন্তু মানুষের চাহিদা আরও বেশী কিছু তারা জানতে চায় জীবনের কথা , জীবনের নানা জটিলতার উত্তর চায়। শান্তি নিয়ে মানুষের কোন মাথা ব্যথা নাই । বরং সকল মতবাদ ও ধর্মের এই শান্তির প্যাচাল শুনতে শুনতে মানুষ ত্যাক্ত বিরক্ত । মানুষের জীবনে আছে নানা জটিলতা শুধু শান্তির কথা বলে এই জটিলতা নিরসন কখনই সম্ভব নয়। ঐ মতবাদ ঐ ধর্মই টিকে থাকবে যে সমাধান দিতে পারবে মানুষের জীবনের জটিলতার।





মানুষের আয়ের পথ , ব্যায়ের পথ, পারিবারিক জীবন, সমাজের গরীব নিম্ন বিত্ত মানুষের প্রতি অন্যের দায়িত্ব, গরীব আত্মীয়স্বজনের প্রতি দায়িত্ব , সম্পদ বণ্টন , সন্তানের অধিকার ইত্যাদি আরও নানা জটিল বিষয় । শুধু শান্তির বাণী দিয়ে কি এই জটিলতা নিরসন অসম্ভব।শান্তির বাণী কখনই কোন জটিলতার উত্তর দিতে পারেনা।





গান শুনতে ভালো লাগে কিন্তু তা দিয়ে কি জীবনের জটিলতার উত্তর আসে ? আসে না । আসে ক্ষণিকের ভালো লাগা । কিন্তু মানুষ এমন কোন পথ মত চায় যাতে সকল জটিলতার উত্তর থাকবে । ইসলামে মানুষের আয় ব্যয় , বিবাহ, হালাল , হারাম , জাকাত, ফেতরা সম্পদ বণ্টনের সু নির্দিষ্ট নিয়ম পঙ্খানুপুঙ্খ নির্দেশ করা। রয়েছে আরও পারবারিক নানা জটিলতার উত্তর । আমি মানি বা না মানি কিন্তু নিয়ম দেয়া আছে । কিন্তু এই আলোচনা বা বিষয়গুলো অন্য ধর্মে বা অন্য মতবাদে বিস্তারিত আলোচনা নেই । মানুষ তার নিজের মত করে নিয়ম করে নিয়েছে কিন্তু তাতে মানুষের সমাধান জটিলতার উত্তর মেলেনি। তাই এখনো মানুষ খোঁজে সঠিক কোন মত পথ।





সময় বলে দেবে কোথায় আছে মানুষের জটিলতার উত্তর ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:১৪

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: "
প্রত্যেক ধর্মের ধর্ম গ্রন্থতে শুধু শান্তির বাণী আছে জীবনের সকল দিক নিয়ে আলোকপাত দেখা যায়না । কেবল কোরআনে জীবনের সকল দিক নিয়ে আলোচনা করেছে। "

কোরান হচ্ছে তোরাহ ও বাইবেলের অনুকরণে লেখা; তোরাহ ও বাইবেল কোরানের মতোই।


হাউকাউ লিখে ব্লগ ভরাচ্ছেন?

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:০০

সরকার পায়েল বলেছেন: আপনার মন্তব্যের পক্ষে যুক্তি আশা করছি ।

২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩২

HHH বলেছেন: পাঠক১৯৭১

did your mother live u in the toilet after she took u out from her vagina? you are dirty as shit

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:০১

সরকার পায়েল বলেছেন: ভাই গালি বা মন্দ বলে সমাধান সম্ভব নয় । পক্ষে বিপক্ষে যুক্তি হয়ত একটা সমাধান দিতে পারে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.