নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ

সরকার পায়েল

মানুষ যা অনুভব করে তাই জ্ঞান।

সরকার পায়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেন সমকামীতা " না "

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:২০

পৃথিবীর বহু দেশে সমকামীতা বৈধ করা হয়েছে । কিন্তু কোন ধর্ম সমকামীতাকে সমর্থন করেনা । প্রকৃতি কি সমকামীতা সমর্থন করে? উত্তর “না” কারণ প্রকৃতিতে প্রতিটি জীবের জোড়া রয়েছে । অর্থাৎ প্রতিটি জীব স্ত্রী বা পুরুষ করে সৃষ্টি হয়েছে । কিছু লিঙ্গ জটিলতা রয়েছে কিন্তু তা থেকে নতুন প্রানের জন্ম হয়না । লিঙ্গ ত্রুটি নিয়ে যেমন জন্ম হয় তেমনি শারীরিক অন্যান্য অঙ্গেরও ত্রুটি থাকে কিন্তু তা অবশ্যই স্বাভাবিকতা না ।



পুরুষ ও স্ত্রী হিসেবে সৃষ্টি করার মূল কারণই হচ্ছে বংশ বৃদ্ধি । কেননা প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী এক্স ও ওয়াই ক্রোমোজোম ছাড়া নতুন প্রানের জন্ম সম্ভব নয় । কিন্তু সমকামীতার ফল কি ? ধরি পুরো পৃথিবীর মানবজাতি সমকামী হয়ে গেল । তখন কি হবে ? নতুন কোন মানব শিশুর জন্ম হবেনা যেহেতু সমকামীতার ফলে এক্স এক্স আর ওয়াই ওয়াই ক্রোমোজোমের সাথে মিলিত হচ্ছে যার ফল শূন্য । এতে ফল দাড়াবে যেহেতু নতুন মানব শিশুর জন্ম হবেনা তাহলে মানুষের বংশবিস্তার বন্ধ হয়ে যাবে । একসময় বর্তমান মানবজাতি ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যাবে ।ঠিক এই কারণেই ধর্ম বা প্রকৃতি সমকামীতা মেনে নেয়না ।



এখন প্রশ্ন আসে পৃথিবীর বহু সংখ্যক মানুষ সমকামী । তাহলে তারা কি ভুল ? হ্যাঁ ভুল । পৃথিবীর সমকামীর চেয়ে বহুগুন বেশী নানা মরনঘাতি নেশায় আসক্ত মানুষের সংখ্যা তাহলে নেশা করা বৈধ কেন করা হবেনা ? কারণ এটি বৈধ করলে মানুষ মারা যাবে অর্থাৎ মানুষের বংশ বৃদ্ধি রোধ হয়ে যাবে । ঠিক এই কারণেই সমকামীতা বৈধতা দেয়া বন্ধ করা উচিত। এটি একটি মানসিক ব্যাধি। নেশাগ্রস্থ মানুষকে যেমন ভাল করার জন্য নানা পদক্ষেপ নেয়া হয় ঠিক তেমনি সমকামী মানুষকেও প্রতিকারের জন্য নানামুখি ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ । সমকামীতা একটি মানসিক ব্যাধি।এটি স্বাভাবিক কোন চাহিদা নয় ।এটিকে স্বাভাবিকভাবে নেয়ার কোন সুযোগ বা কারণ কোনটিই নেই। এটি প্রতিকারে সবার এগিয়ে আসা উচিৎ।



সমকামীরা প্রকৃতির অন্য প্রাণীদের দিয়ে নানা উদাহরণ দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করে সমকামিতা একটি প্রাকৃতিক স্বাভাবিক বিষয় । কিন্তু প্রকৃতিতে মানুষ অন্য প্রাণীদের চেয়ে নিজেকে বুদ্ধিমান দাবী করে। সমকামিতার মত কেবল অর্থহীন নিছক যৌন আনন্দের মত একটি বিষয় কি বুদ্ধিমত্তার প্রকাশ ? যে সম্পর্ক বা বিষয়টির কোন ফল নেই । বরং মানবতা বা বংশ বৃদ্ধির জন্য যা পরিষ্কার হুমকি।



সমকামিতা কি ? বিশ্লেষণ করলে যা দাড়ায় কেবল শারীরিক বা অস্বাভাবিক যৌন তৃপ্তি ছাড়া এর আর কোন দিক কি রয়েছে ? নতুন কোন প্রানের উদ্ভব কি সম্ভব? অতি উদারতা বাদের ভয়ঙ্কর একটি নিদর্শন এই সমকামিতা । কেবল যৌন তৃপ্তির জন্যই একটি অস্বাভাবিক সম্পর্ক বৈধতা দিতে হবে ।তাহলে যদি এরপরে দাবী করা হয় পশু সঙ্গমের বৈধতা দিতে হবে। তখন কি করবে আজকের যে সকল দেশ সমকামিতা বৈধ করল তখন ঐ সকল দেশ কি করবে? অসুস্থ অস্বাভাবিক সমাজের দিকে এক ধাপ এগিয়ে গেল ঐ সকল দেশ।যদি কখনো পশু সঙ্গম বৈধ করার দাবী করা হয় তখনও ঐ সকল দেশ তা বৈধ করে দিয়ে অতি উদারতার প্রমাণ দিবে ।সমকামিতা আর পশু সঙ্গম খুব কি পার্থক্য কোন পার্থক্য নেই দুটোই কেবল বিকৃত যৌন তৃপ্তির পথ আর কোন কিছুই নয়। অতি উদারতাবাদের এই হচ্ছে নমুনা ।



সমকামীরা বংশ বৃদ্ধির জন্য অন্য পন্থার যুক্তি দেয় । এর মধ্যে একটি টেস্ট টিউব বেবি। ঠিক আছে মেনে নিলাম টেস্ট টিউব বেবি । সারা পৃথিবীর মানব জাতি সমকামী হয়ে গেল । নারী পুরুষের মিলনে নতুন কোন প্রানের সৃষ্টি বন্ধ হয়ে গেল । শুধু টেস্ট টিউব বেবি বা এই প্রক্রিয়ায় নতুন মানুষ সৃষ্টি হতে শুরু হল। কি হবে তখন । বাবা মার পরিচয় হীন মানুষের সৃষ্টি শুরু হবে , যাদের কোন পরিচয় থাকবেনা , যাদের কোন পরিবার স্বজন থাকবেনা , যারা কোন দিন জানবেনা পারিবারিক বন্ধন কি , মানব সমাজ কি , মানব সমাজের বন্ধন কি ওরা জানবেনা ।



ঠিক যেমন ফার্মে গরু ছাগল মুরগী উৎপাদন করা হয় ঠিক তেমনি মানুষ উৎপাদনের ফার্ম হবে । এক শ্রেণীর মানুষ তাদের নানা প্রয়োজনে ঐ সকল ফার্ম থেকে এই ক্লোন মানুষ ক্রয় করবে। কি চমৎকার!



কিন্তু এই চমৎকারটি একটা জায়গায় এসে আটকে যাবে হয়ে যাবে ভয়ঙ্কর। সেটি হচ্ছে মানুষের ভাবনা ক্ষমতা । একটি ক্লোন মানুষও ঠিক স্বাভাবিক মানুষের মতই ভাবতে পারে। সে যখন দেখবে তার মানবাধিকারের বিন্দুমাত্র মূল্য নেই । আর দশটা গৃহপালিত পশুর ন্যায় তার অবস্থান । তখন ক্লোন মানুষগুলো কি মেনে নেবে?

মেনে নেবেনা । ক্লোনরা তাদের অধিকার আদায়ে নামবে যা হবে পুরো মানব জাতির জন্য একটি ভয়ঙ্কর অবস্থা যা মানবজাতিকে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে নিয়ে যাবে।



এবার আসি সমকামীতার আরও উন্নত পর্যায়ে সমকামীদের যৌন কামনা কেবল সমকামিতায় সীমা বদ্ধ থাকলো না । তাদের চাহিদা মানুষের গণ্ডী পেরিয়ে অন্য প্রাণীদের সাথে যৌন সঙ্গমের আকাঙ্খায় চলে গেল । সমকামীরা আন্দোলন শুরু করল পশু সঙ্গম বৈধ করার জন্য । শিয়াল কুত্তা ভেড়া ছাগল যা পাবে তার সাথেই যৌন সঙ্গম করার বৈধতা চাইল । কতটা যুক্তিসঙ্গত হবে সেই দাবী ? মানবতার মূল্যবোধ, পশুর সাথে মানুষের পার্থক্য কোথায় থাকবে ???



যদিও উন্নত বিশ্ব নামধারী দেশগুলোর মানুষ আরও অনেক এগিয়ে গেছে তারা এখন জড় পদার্থের সাথে যৌন সঙ্গম বৈধ করেছে। যার নাম দেয়া হয়েছে সেক্স ডল। পশ্চিমের বহু দেশে এটি এবং নানা কৃত্রিম সেক্স মেশিন বানিজ্যিকভাবে উৎপাদন করছে । যে কোন সময় পশু সঙ্গম বৈধ করে দিবে পশ্চিমের দেশ শুধু অপেক্ষা দাবী তোলার।কিন্তু এই বিষয়টি মানব জাতিকে কোথায় নিয়ে যাবে ?



মানুষের মাঝে কিছু অস্বাভাবিকতা আছে যেমন হিজড়া সম্প্রদায় , মানসিকভাবে সম লিঙ্গের প্রতি দুর্বলতা ঠিক তেমনি প্রকৃতিতেও আছে বিষধর সাপ, বাতাসে ক্ষতিকর কার্বন , মৃত্যু । কিন্তু মানুষ এখনো এমন পর্যায়ে উন্নিত হয়নি যেখানে এসে মানুষ সকল জটিলতার উত্তর পাবে বা সমধান করতে পারবে। কিন্তু একটি জটিলতার সমাধান বা উত্তর কখনই আরেকটি জটিলতা হতে পারেনা । মানুষকে অবশ্যই তার মেধা জ্ঞান দিয়ে জটিলতার উত্তর সমাধান বের করতে হবে । কিন্তু জটিলতাকে আরও বেশী জটিলতার মধ্যে নিয়ে গেলে কখনই সমাধান সম্ভব নয়।



একমাত্র ধর্ম মানুষকে শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা দেয় কোন প্রমাণ ছাড়াই ।সকল ধর্ম এই সম কামিতা নিষিদ্ধ করেছে ।কারণ সমকামিতা মানুষের বংশ বৃদ্ধির প্রধান অন্তরায়।সুস্থ স্বাভাবিক সমাজ গড়ার অন্তরায়। মানবতার মূল্যবোধ অন্ধ করে দেয়ার কালো পথ।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩২

শিশির সিন্ধু বলেছেন: ভালো লিখছেন ভাই

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩৯

সরকার পায়েল বলেছেন: শুভেচ্ছা রইল । ধন্যবাদ।

২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৫৬

অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট বলেছেন: আপনার আপত্তি ঠিক।
কিন্তু খেয়াল করবেন একটু ঠান্ডা মাথায়, আপনি শুধু এক এ্যাঙ্গেল থেকেই যুক্তি দিয়েছেন।
বিভিন্ন এ্যাঙ্গেল থেকে এ্যানালাইসিস দরকার ছিলো।
আশা করি পরবর্তী লেখায় তা পাবো।
যতটুকু লিখেছেন তাও খারাপ লিখেন নি যথেষ্ঠ ভালো।
ধন্যবাদ।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৩৫

সরকার পায়েল বলেছেন: ধন্যবাদ । ঠিক বলেছেন লেখাটি এক পেশে তা হচ্ছে সমকামিতার বিপক্ষে । পক্ষের কোন যুক্তি বা কারণ আমি পাইনি । নিছক যৌন আনন্দ ছাড়া আর কোন যুক্তি কি এই বিষয়টিতে আছে ?

৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৪৬

অপ্রচলিত বলেছেন: আপনার সাথে অনেকাংশেই একমত।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কিন্তু সমকামিতা একটি মানসিক বিকৃতি। তবে স্বয়ং বিশেষজ্ঞদেরও মধ্যে কিন্তু এ নিয়ে দ্বিমত আছে সমকামিতা কি শুধুই মানসিক রোগ, নাকি জেনেটিক বৈশিষ্ট্যও এর ওপর প্রভাব বিস্তার করে। বলা হয় সমকামিতা নাকি এপিজেনেটিক।

আসলে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত পড়াশোনা করে রেফারেন্স সহকারে পোস্ট দেওয়া উচিত ছিল।

শুভ কামনা নিরন্তর।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৪৭

সরকার পায়েল বলেছেন: ধন্যবাদ । জেনেটিক বা হরমোন জনিত কারণও অনেক বিশেষজ্ঞ বলেন । কিন্তু এই কারণে শরীর ও মানসিকতার আরও নানা সমস্যা আছে যেমন - বিকলাঙ্গ , অটিস্টিক শিশু কিন্তু এদের স্বাভাবিকভাবে নেয়ার কোন কারণ বা যুক্তি নেই।

রেফারেন্স দেয়নি কারণ লেখাটি সম্পূর্ণ আমার নিজের মতামত এবং আমার ভাবনার ব্যখ্যা । অন্য কোন রেফার দেয়া মানে নিজের ভাবনাকে দুর্বল করতে চাইনি।

সমকামিতার বিপক্ষে আমার মূল যুক্তি হচ্ছে এটির কোন নতুন সৃষ্টি নেই । কেবল যৌনতার একটি দিক ছাড়া যা অর্থহীন । এটিকে জেনেটিক বা অন্য কোন স্বাভাবিকতা মানার মত কোন যুক্তি নেই।

৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৪৬

মেহেরুন বলেছেন: সমকামিতা এক ধরনের অসুস্থতা আর মানসিক বিকৃতি। এ বিষয়ে আরও একটি লেখা পড়ে দেখতে পারেন। আশা করি আপনার ভালো লাগবে। Click This Link

আপনার লেখা ভালো হয়েছে। ধন্যবাদ।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৫১

সরকার পায়েল বলেছেন: ধন্যবাদ । এই বিকৃতি মানবজাতিকে কেবল ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে ।

সমকামিতার শেষ বা লক্ষ্য কি? যেখানে কেবল যৌন আনন্দ থাকবে কিন্তু নতুন কোন সৃষ্টি নয় । আর নতুন সৃষ্টি বা বংশ বৃদ্ধি ছাড়া মানুষের টিকে থাকা সম্ভব নয় । এটি মানুষের টিকে থাকার সম্পূর্ণ বিপক্ষের একটি কালো পথ।

৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:০৩

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: সমকামীদের মধ্যে এইডস প্রবণতা বেশি, কারণ :

১) নারীর যোনীগাত্র ৩টি পুরু লেয়ারের সমন্বয়ে গঠিত এবং তাই, এটি অনেক শক্ত এবং স্থিতিস্থাপক বিধায় যৌনসঙ্গমের সময় যোনীগাত্রের চামড়াতে যে ইনজুরি হবেই, এমনটি নিশ্চিতভাবে বলা যায়না । উল্লেখ্য, ইনজুরি হলেই শুধুমাত্র এইডস হবে, কিন্তু ইনজুরি না হলে এইডসের জীবাণু ব্লাড স্ট্রিমে প্রবেশ করতে পারবেনা, অর্থাৎ এইডস হবেনা । দেখা যাচ্ছে যে, পুরুষ সঙ্গীর এইডস থাকলেও তার জীবাণু নারীর ৩ লেয়ার বিশিষ্ট পুরু ও শক্ত যোনীগাত্রের কারণে অনেক ক্ষেত্রেই ইনজুরির স্বীকার না হয়ে রক্তপ্রবাহে মিশতে পারেনা, ফলে এইডস হয়না । কিন্তু মলাশয়গাত্র অনেক নরম এবং অস্থিতিস্থাপক, তাই লিঙ্গের ঘর্ষণে এটিতে সহজেই ইনজুরি হয়, রক্তপাত ঘটে। পেনেট্রিটিভ অ্যানাল সেক্সের কারণে মলদ্বারের চারপাশের মেমব্রেন (ঝিল্লী) সহজেই ছিড়ে যায় এবং বীর্যরসে থাকা এইডসের জীবাণু ছিড়ে যাওয়া মেমব্রেন থেকে ব্লাড স্ট্রিমে প্রবেশ করে। এজন্যেই বিষমকামী যৌনসঙ্গমে এইডস আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম এবং সমকামী যৌনসঙ্গমে অনেক বেশি।

২) একটি লিঙ্গ সহজেই রক্তপাত না ঘটিয়ে নারীযোনীতে ঢুকে যেতে পারে কিন্তু একটি লিঙ্গ মলাশয়ে সহজেই ঢুকে যেতে পারেনা, তাকে প্রেশার দিয়ে ঢোকাতে হয় এবং ঢোকাতে যেয়ে প্রায়শই রক্তপাত হয় যেখান থেকে এইডসের জীবাণু এইচআইভি রক্তপ্রবাহে চলে আসে ।

৩) যৌনসঙ্গমের সময় যোনী বেশ পরিমাণে লুব্রিক্যান্ট পদার্থ নিঃসরিত করে, কিন্তু মলাশয় থেকে এরকমের কোন লুব্রিক্যান্ট পদার্থ নিঃসরিত হয়না । তাই যৌনসঙ্গমে যোনীর সচারাচর ইনজুরি না হলেও মলাশয়ের অতিসহজেই ইনজুরি হয় যার থেকে এইডসের জীবাণু এইচআইভি অতিসহজে ব্লাড স্ট্রিমে প্রবেশ করে ।

৪) মলাশয়ের লেয়ার না থাকার কারণে ব্লাড ভেসেলগুলো একেবারে মলাশয়ের গাত্রের নিকটে অবস্থান করে, যোনীর বেশ কটি লেয়ার থাকার কারণে ব্লাড ভেসেলগুলো একেবারেই সম্মুখে থাকেনা, তাই এইচ আইভি জীবাণু মলাশয়ের মাধ্যমেই বেশি সংক্রমিত হয় ।

৫) মলাশয়ের ছিদ্রের অভ্যন্তরে জায়গা অপ্রশস্ত এবং তাই যৌনসঙ্গমের সময় মলাশয়গাত্রের সাথে লিঙ্গের ঘর্ষণের মাত্রাও বেশি, ফলে মলাশয় গাত্রের ইনজুরি হওয়াটা একেবারেই সহজ, কিন্তু যোনীছিদ্রের অভ্যন্তরে জায়গার পরিমান বেশি, তাই যোনীগাত্রে সেরূপে ঘর্ষণ হয়না এবং তাই ইনজুরিও অস্বাভাবিক ।

৬) বাচ্চাকাচ্চা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই ভয়ে না চাইলেও বাধ্য হয়ে বিষমকামিগণ কনডম ব্যবহার করেন, কিন্তু সমকামীদের ক্ষেত্রে বাচ্চাকাচ্চা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে যৌনানন্দ পরিপূর্ণভাবে পেতে তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কনডম ব্যবহার করেননা ।

৭) জন্মনিয়ন্ত্রণ করার জন্য সারা বিশ্বে (Coitus Interruptus) নামক যৌনসঙ্গম মেথডটি প্রচলিত যেখানে বীর্যস্খলনের আগেই লিঙ্গকে নারীর যোনী থেকে পুল-আউট করা হয়, যাতে করে নারীর যোনী এবং ইউটেরাসে বীর্যরস গমন করে তাকে গর্ভবতী করে ফেলতে না পারে । এইচআইভি জীবাণু রয়েছে – এমন বীর্যরস যদি নারীর যোনী এবং যোনী অভ্যন্তরে না যেতে পারে, তাহলে এইডসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই ।


ডক্টর মুশফিক ইমতিয়াজ চৌধুরীর পোষ্ট হতে

ref : http://somewhereinblog.net/blog/uzair/29903432

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:১৭

সরকার পায়েল বলেছেন: ধন্যবাদ । শুভেচ্ছা রইল । এই তথ্যগুলো থেকে আশা করি সবাই আরও সচেতন হতে পারবে ।

৬| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৫২

পদ্মা_েমঘনা বলেছেন: ভাল লিখেছেন। ধন্যবাদ।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৫

সরকার পায়েল বলেছেন: ধন্যবাদ । শুভেচ্ছা রইল ।

৭| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৩১

মিমায়িত জীবন বলেছেন: তার চেয়ে বড় কথা হল মানুষ ব্যাক্তিগতভাবে স্বাধীন। যদি দুজন মানুষ পরস্পরের মধ্যে কিছু করে শান্তি পায় যা কিনা আপনার আমার কোন সমস্যা হচ্ছে না তাহলে সেটা কিভাবে ক্ষতিকর হয়, আর এটা নিয়ে মাথাব্যাথা থাকা উচিত না।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩৭

সরকার পায়েল বলেছেন: খুব ভালো কথা । কিন্তু অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে আমার অসুস্থতা যাতে সমাজের বা অন্যের ক্ষতির কারণ না হয় । প্রকৃতি বা সমাজ কেউই অসুস্থতা প্রশ্রয় দেয় না।

অতি উদারতাবাদ বা অতি ব্যক্তি স্বাধীনতার কারণে এখন যদি আমার মনে হয় কুকুরের সাথে সঙ্গম করব আর তা যদি আপনি বলেন ঠিক। তাহলে হয়ত আপনার কাছে ঠিক কিন্তু তা কতটা সুস্থতার দাবী রাখে ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.