নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ

সরকার পায়েল

মানুষ যা অনুভব করে তাই জ্ঞান।

সরকার পায়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

একক

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:১৯

প্রকৃতির সকল কিছুরই রুপের পরিবর্তন হয় মাত্র । মূলত প্রকৃতিও একটি রূপ যা সদা পরিবর্তনশীল বা পরিবর্তনে চলমান। কোন কিছু যোগ বা বিয়োগ হয়না অর্থাৎ কোন কিছু আসেনা বা বের হয়ে যায়না । সৃষ্টির শুরু থেকেই যে সকল উপাদান বিদ্যমান ছিল আজো তাই আছে কেবল রুপের বা বস্তুগত পরিবর্তন হয়েছে মাত্র । কোন কিছু যোগ হয়নি বা বিয়োগ হয়নি। একটি প্রাণীর উদ্ভব হয় এক সময় বিলীন হয় আসে নতুন প্রাণী । একটি হরিণ মারা গেল তার দেহ মাটির সাথে বা প্রকৃতির সাথে মিশে গেল। হরিণটি মারা যাওয়ার পর তার বস্তুগত রূপে নেই কিন্তু প্রকৃতিতেই অন্য রূপে মিশে আছে বা বিদ্যমান। জীব জড় বা যে কোন রুপের যে কোন বস্তুর বা পদার্থের ক্ষেত্রে একই বিষয় রুপের পরিবর্তন মাত্র।রুপের শেষ হতে পারে কিন্তু কখনই বিলীন বা শেষ হয়ে যাওয়া নয়।

আমার বিশ্বাস পৃথিবীর সকল কিছুই শক্তি যা কেবল রুপান্তরিত হচ্ছে এক রূপ থেকে অন্য রূপে । পৃথিবী সৃষ্টির পূর্বে এটি ছিল প্রচণ্ড শক্তির আঁধার নক্ষত্র এক সময় ঠাণ্ডা হয়ে হয় গ্রহ এবং তা থেকে অন্য সকল বস্তুগত বিষয় কিন্তু আসলে তা শক্তির রুপান্তরিত রূপ। কোন কিছুরই শেষ নেই যা আছে তা কেবল রূপান্তর মাত্র।



আজকের যে সূর্য তাও এক সময় ঠাণ্ডা হয়ে পরিবর্তিত হবে গ্রহে । ঠিক পৃথিবীও তাই ছিল একটি নক্ষত্র ঠাণ্ডা হয়ে সঙ্কুচিত হতে হতে হয়েছে পৃথিবী তারপর তার মাঝের নানা জীব নানা সৃষ্টি । সেই জ্বলন্ত নক্ষত্রটি থেকে কিছু বের হয়নি বা কিছু নতুন যোগও হয়নি। যা কিছু হয়েছে জ্বলন্ত নক্ষত্র থেকে ঠাণ্ডা প্রানে ভরা পৃথিবী। তার শুরু থেকে আজ পর্যন্ত এর মাঝে যা কিছু হয়েছে তা কেবল রূপান্তর এক সময় ছিল শক্তির রূপান্তর এখন হচ্ছে বস্তুর রুপের রূপান্তর বা পরিবর্তন। কিন্তু বস্তুও শক্তির রুপান্তরের ফল। প্রতিটি বস্তুর নিজের আকর্ষণ শক্তি রয়েছে , প্রতিটি বস্তুর মাঝের অনু পরমানু একে অপরের সাথে আকর্ষণ শক্তির জন্য একত্রিত আছে । আবার বহু পূর্বে নক্ষত্র যখন ছিল তখনও তা ছিল এক শক্তির আঁধার । তাহলে সেই শক্তি আজো আছে কেবল ভিন্ন রূপে যেমন – বস্তু বা পদার্থ , গতি , চাপ , আলো ইত্যাদি নানা রূপে সেই শক্তি বিরাজমান। পৃথিবী সৃষ্টির পূর্বে যখন একটি জলন্ত নক্ষত্র ছিল তখন যে শক্তি ছিল আজো ঠিক তত টুকুই আছে এক বিন্দু কম বা বেশী নয় কেবল রুপান্তরিত হয়েছে নানা রূপে । বস্তুর আকর্ষণ শক্তি , বস্তুর মাঝের আকর্ষণ শক্তি থেকে বাতাসের গতির শক্তি পর্যন্ত সকল শক্তির হিসাব বের হলেই তা প্রমাণ হবে। পৃথিবী যখন নক্ষত্র ছিল তখনকার শক্তি আর আজকের পৃথিবীর সকল শক্তির পরিমাণ এক। এক বিন্দু কম বেশী নেই ।



সূর্য থেকে আলো তাপ রশ্মি বিকরিত হয় কিন্তু তাতে আলো তাপ বা রশ্মির শক্তি কি ক্ষয় হয় ? শক্তির কোন ক্ষয় নেই । আরও পরিষ্কার করে বলি , ঘরের লাইট জ্বালানো হল এক একবার আলো জ্বালালে কি এক এক পরিমাপের আলো হয় ? না প্রতিবার একই পরিমাপের আলো হয়। যে বিষয় বা বস্তুর জন্য আলো জ্বলে সেই প্রক্রিয়া বা বস্তু নষ্ট হয়ে গেলে আলো জ্বলবেনা । কিন্তু এমন তো না যে ধীরে ধীরে আলো ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে । তাপের বা অন্য শক্তির ক্ষেত্রেও তাই শক্তি রূপান্তর হয় কিন্ত কখনো ক্ষয় হয়না।

ফলে খুব স্বাভাবিক আজ সূর্যে যে শক্তি আছে তা যখন ঠাণ্ডা হয়ে গ্রহ হয়ে যাবে তখন তার সম্পূর্ণ শক্তি সূর্যের মাঝেই থাকবে। কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন রূপে। ঠিক যেমন আজকের পৃথিবী যখন নক্ষত্র ছিল তখন তার যে শক্তি ছিল আজো ঠিক তাই আছে । কিন্তু কোথায় সেই শক্তি ?



পৃথিবীর প্রতিটি বস্তুর বস্তু কণা এবং তারও চেয়ে ক্ষুদ্র কণা পরস্পরের সাথে মিলে আছে আকর্ষণ শক্তির জন্য । কোথা থেকে আসলো এই আকর্ষণ শক্তি ? এটি সেই শক্তিরই রূপান্তর। সেই শক্তিই রুপান্তরিত হয়ে পরিণত হয়েছে বস্তু, প্রাণ, জীব, গতি , ভর ,তাপ, আকর্ষণ নানারুপে । এবং পৃথিবী নক্ষত্র থাকা অবস্থার ঠিক সম পরিমাণ শক্তি এই পৃথিবীতেই নানারুপে বিরাজমান । এর কমও নয় বেশিও নয়। অর্থাৎ পৃথিবীর পূর্বের শক্তি আর বর্তমান শক্তি এক ।

ঠিক এই সূত্রটি যদি এভাবে দেখি পুরো বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের জানা অজানা সকল কিছুর বিষয়ে তাহলে কি পাই? জানার বাইরে অনেক অজানা বিষয় আছে । কিন্তু একটি বিষয় পরিষ্কার অজানায় যাই আছে তা ঐ শক্তিরই হয়ত রুপান্তরিত ভিন্ন কোন অজানা রূপ।এর বাইরে কিছু নয় কারণ শক্তি ছাড়া কিছু বা কোন বিষয় সম্ভব নয়।

এখন পৃথিবীর বিষয়ে যে বিষয়টি বলছি সেই সূত্রটি যদি পুরো বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের ক্ষেত্রে দেখি । তাহলে পাই সকল কিছুই একটি নির্দিষ্ট শক্তি থেকে সৃষ্টি হয়েছে বা যা কিছু আমরা জানি বা দেখি সকল কিছুই শক্তির ভিন্ন ভিন্ন রূপ। পৃথিবী যেমন ঠাণ্ডা হয়ে গ্রহ এবং আরও নানা বস্তুর সৃষ্টি হয়েছে । তাহলে পুরো বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টিও হয়ত এমন কোন মহা শক্তিরই রুপান্তরিত রূপ।

যাই ঘটুক বা যাই হোক সেই শক্তির পরিমাণ এবং আজকের পুরো বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের বা আগামীর বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের শক্তির পরিমাণও থাকবে বা হবে এক ।



বিশালতা মানে সীমাহীন বা অনন্ত কিন্তু তা নিজের মাঝে নেয়া বা অনুভবের জন্য অবশ্যই এই সীমাহীন অনন্ত বিশালতারও একটি সীমারেখা টেনে দিতে হবে, নাহলে হারিয়ে যেতে হবে বিশালতার মাঝে। কিন্তু অনুভব করা বা সমাধানে আসা যাবেনা । অথবা বিশালতা বা সীমাহিনতার মাঝে হারিয়ে যেতে হবে। সেই সীমারেখাটি হচ্ছে এক(১/ 1)। তা হলো পুরো বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের শক্তি এক। আর একের মাঝেই অনন্ত বিশালতা।



পুরো বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের শক্তি এক আবার ধর্ম বলে ঈশ্বর শক্তিও এক । আমি বলি ঈশ্বর শক্তি এবং ঈশ্বর শক্তি এক । সেই ঈশ্বর শক্তির মাঝেই বিরাজমান সকল শক্তি নানা রূপে।অর্থাৎ অনন্ত বিশালতাকে যে সীমারেখাটি টেনে দিচ্ছি আমি বলছি তাই ঈশ্বর । ঈশ্বরের মাঝেই অনন্ত বিশালতা বিরাজমান । যা কিছু জানা বা অজানা। পরে আরও বিস্তারিতভাবে বলছি।



কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে এসে আটকে গেলাম । আমার বিশ্বাস আত্মা একটি শক্তি যা মানব শরীরে বন্দী । কেবল মুক্ত হচ্ছে মন বা ভাবনা ক্ষমতা। আত্মা ঈশ্বরের অনুরূপ অর্থাৎ আত্মার ক্ষমতা ঈশ্বরের মতই যেখানে পৃথিবীর ক্ষমতা খুব সামান্য হয়ত সাগরের মাঝে এক বিন্দুর মত। তাহলে এই ক্ষুদ্র পৃথিবীতে আত্মার স্থান কিভাবে হল ? মাটির তৈরি এই সামান্য শরীরে আত্মাই কিভাবে বন্দী হল ? শক্তির রুপের পরিবর্তন হয় কিন্তু বিনাশ বা শেষ হয়না । রুপের পরিবর্তনের আরেকটি রূপ কি এমন যে , অধিক ক্ষমতার বা মাত্রার শক্তি তার চেয়ে দুর্বল শক্তির মাঝে ঢুকে যেতে পারে অবলীলায় । কিন্তু টিকে থাকতে পারে বা সেই রূপে থাকতে পারে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত । আসলে শক্তির একটি ধর্ম হচ্ছে সে অবশ্যই রুপান্তরিত হবে এক রূপ থেকে অন্যরুপে অর্থাৎ শক্তির স্থির কোন রূপ নেই। এবং এভাবে রুপান্তরিত হতে হতে এক সময় শক্তি ফিরে যাবে তার মূল রূপ বা আদি রূপে । কিন্তু এই রুপান্তরের প্রক্রিয়াটি হয় বিভিন্নভাবে বিভিন্ন রূপে। কিছু আমাদের জানা বেশীরভাগ অজানা । আদি রূপ বলতে এরিস্টটলের সেই আদি অবস্থা অস্তিত্বহীন উপাদানহীন অবস্থা । অস্তিত্ব এবং উপাদান শক্তির নানা রুপান্তরের প্রক্রিয়ার ফল কিন্তু ক্ষণস্থায়ী বিষয় ।



মৌলিক বিষয় মনে হলেও আসলে মৌলিক নয়, ক্ষণস্থায়ী কিছুই মৌলিক নয় হতে পারেনা । আমরা যা দেখি বস্তু বস্তুর নানারুপ নানা প্রক্রিয়া নানা বিষয় কোন কিছুই মৌলিক নয় । কারণ আমাদের জানার সীমায় যা কিছু আছে সবই পরিবর্তনশীল বা রুপান্তরিত হয় । আমি মনে করি রুপান্তরীত হয়ে বা এক রূপ থেকে অন্য রূপ ধারন করে শক্তির তার মূল বা আদিতে যাচ্ছে কিন্তু তা প্রমানিত নয় অনুমিত । আবার এও সত্য মানুষের জানার সীমার যা কিছু সকল কিছুই রুপান্তরিত হয় সুতরাং তা মৌলিক হতে পারেনা ।



মৌলিক হতে হবে অরুপান্তরিত এক অদ্বিতীয় যার আর পূর্ব বা আদি নেই এবং পরে বা পরবর্তী নেই কিন্তু শুরু আছে যেমন ১। ১ এর শুরু আছে তা ঐ ১ এর যোগ ফল ১+১=২ ঠিক এভাবে অনন্ত সংখ্যায় গেলেও ১ এর যোগ ফল ।আমার মতে মানুষের জানার সীমায় একটি মাত্র মৌলিক বিষয় আছে তা হচ্ছে ১ । আমার মতে এরিস্টটলের অস্তিত্ব উপাদানহীন কিন্তু সত্য ১ যার কোন পূর্ব বা পর নেই। ১ এর কোন অস্তিত্ব বা উপাদান নেই আবার এটি মিথ্যা বা নেই তা নয় । ১ কেবল একটি সিম্বল বা প্রতীক আমরা বলি সংখ্যা। সংখ্যার কোন অস্তিত্ব বা উপাদান নেই কিন্তু সত্য ।



বস্তু এবং সংখ্যা আলাদা বিষয় । বস্তু এবং বস্তুর সংখ্যা একই বিষয় কিন্তু বস্তু এবং সংখ্যা আলাদা বিষয় । বস্তুর পূর্বে সংখ্যা বিদ্যমান ছিল আছে থাকবে। সংখ্যা একটি তা হচ্ছে ১ । এছাড়া বাকী যা আছে তা সংখ্যার যোগফল যেমন ১+১=২ এভাবে অনন্ত সংখ্যাতেও ১ এর অনন্ত যোগফল ছাড়া আর কিছুই না। একে আমি বলব সংখ্যা মান। বস্তু ছাড়া বস্তুর সংখ্যা হবেনা । কিন্তু বস্তু ছাড়াও সংখ্যা বিরাজমান। অর্থাৎ সংখ্যার জন্য কোন অস্তিত্বশীল বা বাস্তব উপাদান বা বস্তর প্রয়োজন নেই। আমরা বস্তুগত বা পদার্থগত রূপ ছাড়া কোন কিছুর অস্তিত্বে বিশ্বাস করিনা। কিন্তু আমার মত ভিন্ন, পদার্থ ছাড়াও একটি বিষয় বিরাজমান বা সত্য তা হচ্ছে সংখ্যা এবং সংখ্যাটি ১ ।



একটু যদি লক্ষ্য করি , আমরা অঙ্ক করি নানা ধরনের নানা নিয়মের নানা সূত্রের। কিন্তু ভিত্তি কি ? কিসের উপর আমরা এই অঙ্ক করি ? কোন বস্তু বা পদার্থের উপর ভিত্তি করে আমরা অঙ্ক করিনা । আমরা অঙ্ক করি কল্পনা ভিত্তিক যার একমাত্র ভিত্তি সংখ্যা ।



অঙ্ক বিষয়টা মানুষের কল্পনা বা ভাবনা শক্তির নিখুঁত একটি প্রকাশ। ১+২=৩ , ৭X৩=২১, ১০-৫=৫ , ২০/৫=৪ এখানে কিছু সংখ্যা মানের সাধারন কিছু নিয়মের অঙ্ক । যদি লক্ষ্য করি এখানে অঙ্কে কোন পদার্থ বা বস্তুর উপস্থিতি নেই । আছে সংখ্যা এবং সংখ্যা মান । সংখ্যা হচ্ছে ১ এবং আমার মতে সংখ্যা একটি তা হচ্ছে ১ বাকী সব সংখ্যা মান অর্থাৎ সংখ্যার সমষ্টি তাই আমি বলি ১ ছাড়া বাকী সব সংখ্যা মান । মানুষ তার কল্পনা বা ভাবনার উপর ভিত্তি করে কোন বস্তু বা পদার্থের সাহায্য ছাড়াই সংখ্যা এবং সংখ্যা মান দিয়ে অঙ্ক করে ।



এখন যদি বলি ২+২= ৪ কেন ? কিভাবে ? কি প্রমাণ ? তখন আসবে বস্তুর বিষয় তখন চারটি বস্তু নিয়ে প্রমাণ করা হবে ২+২=৪ । কিন্তু মূল বিষয়টি হচ্ছে মানুষের ভাবনার জন্য বা ভাবনা প্রকাশের জন্য বস্তুর বা পদার্থের কোন প্রয়োজন নাই । তাহলে বস্তু বা পদার্থই বা চাক্ষুস বিষয়ই একমাত্র বাস্তবতার প্রমাণ এটি ঠিক নয় । পদার্থ বা বস্তু বা অস্তিত্ব ছাড়াও বাস্তব সত্য আছে ।



তাহলে এরিস্টটলের অস্তিত্ব উপাদানহীন কিন্তু বাস্তব বা সত্য বিষয়টির সঠিক একটি অবস্থা বা প্রমাণ হতে পারে অঙ্ক। অঙ্কের সত্য হচ্ছে সংখ্যা মান , সংখ্যা মানের মূল সংখ্যা এবং সংখ্যা ১ । এখানেই সেই আদি অবস্থার প্রমাণ বা এই ১ সেই আদি অবস্থা যখন কোন সৃষ্টি ছিলনা ছিল অস্তিত্ব উপাদানহীন একটি অবস্থা । সেখান থেকে নানা প্রক্রিয়ায় শক্তি নানারুপে রুপান্তরিত হয়ে আজকের সকল অবস্থা বস্তু পদার্থ বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড । এখানে কিছু বিষয় পরিষ্কার আমার মতে



১ এই যে প্রক্রিয়ায় শক্তি রুপান্তরিত হয় তা হচ্ছে অঙ্ক অর্থাৎ সংখ্যা মানের নানা প্রক্রিয়া ।



২ আজ যে সকল বস্তু বা পদার্থ মানুষের জ্ঞানের সীমায় রয়েছে তার সবই শক্তির রুপান্তরিত রূপ এবং পরিবর্তনশীল ।



৩বস্তুগত বা অস্তিত্বশীল কোন কিছুই মৌলিক নয় কারণ বস্তুগত সব কিছুই পরিবর্তনশীল।



৪ মানুষের জ্ঞানের সীমায় যা কিছু এবং যে সকল শক্তি রয়েছে সকল শক্তির আরেকটি ধর্ম হচ্ছে তা রুপান্তরিত হবে কখনই বা চিরকাল একটি স্থায়ী রূপে থাকবেনা। কারণ অঙ্ক বা সংখ্যা মানের প্রক্রিয়া একটি চলমান বিষয় বা প্রক্রিয়া যা কখনই স্থির নয় ।তাহলে মজার একটি বিষয় তা হচ্ছে আমার মতে আমরা স্থির কোন বিষয়ের অস্তিত্ব জানিনা যা জানি তা কেবল রুপান্তরিত রূপ । স্থির একটি বিষয় আমরা জানি তা হচ্ছে ১ যার আগে পরে কি তা আমরা জানিনা ।আরও পরিষ্কার করে বলতে পারি ১ এর আগে পরে কি আছে তা জানিনা বলেই আমার কাছে মনে হচ্ছে ১ স্থির একটি রূপ যেখানে সকল বিষয় এসে থেমে যাচ্ছে আবার সকল কিছুর শুরু ১ থেকেই হচ্ছে এটি আমার মত ।



ঠিক এই কারণেই আমার দাবী পৃথিবীর সকল শক্তির মান পৃথিবী সৃষ্টির পূর্বে যখন এটি নক্ষত্র তখনকার শক্তির মান এবং আজকের পুরো পৃথিবীর সকল বিষয়ের শক্তি মান সমান। আজ সূর্যে যে পরিমাণ শক্তি রয়েছে যখন এটি ঠাণ্ডা হয়ে গ্রহে রুপান্তরিত হবে তখনও ঠিক একই পরিমাণ শক্তি থাকবে । আবার আজকের সূর্য থেকে গ্রহ হওয়া পর্যন্ত নানা প্রক্রিয়া বা স্তর হবে সকল প্রক্রিয়ায় শক্তির পরিমাণ একই থাকবে । অর্থাৎ যাই হোক যে প্রক্রিয়াতেই যাক শক্তির ভারসাম্যে কোন বা এক বিন্দু হেরফের হবেনা। পৃথিবীর ক্ষেত্রেও একই অবস্থা ।



কিন্তু আমার প্রশ্ন অন্য জায়গায় শক্তির হেরফের হবেনা ঠিক আছে । কিন্তু মানুষের জ্ঞানের সীমায় একমাত্র পৃথিবীতে জীবের অস্তিত্ব আছে । অন্য জীবের বিষয় ঠিক জানিনা কিন্তু মানুষের ভিতর আত্মা বলতে একটি বিষয় আছে আমার মতে যা একটি শক্তি এবং যে শক্তির ক্ষমতা আমাদের জানার সীমায় যে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড রয়েছে তার চেয়ে বহু গুন বেশী । কিন্তু এই পরিমাণ শক্তি সামান্য মাটির দেহে কিভাবে আছে ? আর তা কিভাবে এই সামান্য পৃথিবীতে অবস্থান করছে ?



শক্তির মাঝে শক্তি । সামান্য শক্তির মাঝে অসীম শক্তি এটিও শক্তির একটি ক্ষমতার প্রকাশ । যেমন পারমাণবিক শক্তির বোমার মাঝে এক কণা পরমানু যার ক্ষমতা অতি কিন্তু এতই ক্ষুদ্র খালি চোখে দেখা সম্ভব নয় । তা আবার বন্দী সামান্য লোহার আবরণে । কিন্তু প্রক্রিয়া বিক্রিয়ায় এই লোহা গলে মুহূর্তে বাতাসে মিশে যাবে এক কণা পরামানুর এক কনার বিক্রিয়ায়। সেভাবেই মানুষ বন্দী নশ্বর দেহের খাঁচায়।





এই পৃথিবীতে বন্দী মানুষের শরীর যার মাঝে বন্দী অসীম শক্তির আত্মা । পৃথিবীর সকল শক্তি পৃথিবীর মাঝেই আছে কিন্তু আত্মা পৃথিবীর কোন শক্তি নয় । আত্মা কেবল ক্ষণিকের বন্দী এই পৃথিবীতে । আজ আমরা জানি পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিন করছে । সূর্য প্রদক্ষিন করছে আরও কোন বিশাল শক্তিকে সেই শক্তি আছে কোন ছায়াপথে আবার সেই ছায়াপথ ঘুরছে আরও কোন বড় শক্তিকে ঘিরে । কিন্তু যদি বিষয়টি এমন হয় আসলে সূর্য , গ্রহ ,নক্ষত্র ছায়াপথ সকল কিছু প্রদক্ষিন করছে পৃথিবীকে ঘিরে কারণ পৃথিবীতে আছে সৃষ্টির সেরা মানুষ আর খোদার হুকুম মানুষকে সেজদা কর । তাই সকল সৃষ্টি ঘুরছে পৃথিবীকে ঘিরেই । মানুষ কতটুকু জানে ? নশ্বর দেহের সীমায় থেকে কতটুকু জানা সম্ভব ? যত টুকু জানে দেখে জানে, অস্তিত্তের প্রমানে জানে । নশ্বর দেহের ক্ষমতায় যত টুকু জানা যায় । অস্তিত্ব প্রমাণের বাইরে রয়েছে অজানা অনেক সত্য অনেক জ্ঞান যার খুব ক্ষুদ্র একটি বিষয় মানুষ জানে তা হচ্ছে ১ । আর এটিই হচ্ছে সেই অস্তিত্ব উপাদানহীন জ্ঞানের জগতের মূল কথা। যেখানে নশ্বর কোন কিছুর স্থান নেই । একমাত্র তোমার মন পারে ওখানে যেতে আর মনই একমাত্র পথ।









VERY BEGINNING OF EARTH WHEN IT WAS STAR FROM THAT TO NOW ALL THE POWER IT CONTAIN IS TOTALLY EQUAL . NOT A POINT LESS OR MORE .WITHOUT SOUL . CAUSE SOUL IS THE PART OF INFINITY POWER . INFINITY POWER IS 1 & 1 IS GOD.

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:০৪

সরকার পায়েল বলেছেন: লেখাটা সরিয়ে দেয়া হল কেন বুঝলাম না । যাই হোক যে কারণেই সরাক জানার প্রয়োজন নেই । কারণ লেখাটা শুধু সংরক্ষণের জন্যই পোস্ট করা । এটা পড়ে কেউ তেমন কিছু বুঝবে বলেও মনে হয়না । এমন নির্বোধ নির্বিষ পোস্ট সরানোটা কেমন অদ্ভুত মনে হল।

লেখাটা এই প্রজন্মের জন্য না হয়ত আরো বহু পরে কোন প্রজন্মের জন্য । যারা জানবে , শরীরের আত্মা নয় , আত্মার শরীর ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.