নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ

সরকার পায়েল

মানুষ যা অনুভব করে তাই জ্ঞান।

সরকার পায়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

এখন সংবিধানের কি হবে ❓❓❓

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৩৩

অন্তরবর্তী সরকার অধ্যাদেশের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্ষমতা ও দায়িত্ব, প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টাদের পদমর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা, পদত্যাগ এবং আনুষঙ্গিক অন্য বিষয়ে বিধান করতে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া প্রস্তুত করেছে আইন ও বিচার বিভাগ। ইতিমধ্যে ওই খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদনও করেছে উপদেষ্টা পরিষদ।

বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে,

এক. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক ব্যাপক দমন-পীড়ন ও গণহত্যা চালানোর ফলশ্রুতিতে সমগ্র দেশে দল-মত-নির্বিশেষে ছাত্র-জনতা উত্তাল গণবিক্ষোভ করে এবং আন্দোলনের এক পর্যায়ে মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচারের দাবিতে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ঐক্যবদ্ধ ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ২১ শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ মোতাবেক ৫ আগস্ট, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ তারিখে রাষ্ট্রপতির নিকট পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেন।


দুই. মহামান্য রাষ্ট্রপতি বিগত ২২ শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ মোতাবেক ৬ আগস্ট, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ তারিখে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন।

তিন. উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাংবিধানিক সংকট মোকাবেলা, জনস্বার্থ ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা রক্ষা, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সচল রাখা এবং রাষ্ট্রের নির্বাহী কার্য পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন বিষয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের মতামত যাচনা করেন।

চার. সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত উপদেষ্টামূলক এখতিয়ার প্রয়োগ করে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ৮ আগস্ট, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ তারিখে স্পেশাল রেফারেন্স নম্বর-০১/২০২৪ দ্বারা মতামত প্রদান করেছে যে, ‘রাষ্ট্রের সাংবিধানিক শূন্যতা পূরণে জরুরি প্রয়োজনে মহামান্য রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের নির্বাহী কার্য পরিচালনার নিমিত্ত অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা এবং অন্যান্য উপদেষ্টা নিযুক্ত করতে পারবেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি উক্তরূপে নিযুক্ত প্রধান উপদেষ্টা এবং অন্য উপদেষ্টাগণকে শপথ পাঠ করাতে পারবেন।

পাঁচ. বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ডকট্রিন অব নেসেসিটি অনুসারে সাংবিধানিক সংকট মোকাবেলায় সর্বস্তরের জনগণের ঐকান্তিক ইচ্ছা ও পরম অভিপ্রায়ের প্রেক্ষিতে, গণ-অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতার প্রতিনিধিদের প্রস্তাবের ভিত্তিতে এবং ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের রাষ্ট্র সংস্কার আকাঙ্ক্ষা পূরণের ও রাষ্ট্রের নির্বাহী কার্য পরিচালনার জন্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ২৪ শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ মোতাবেক ৮ আগস্ট, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ তারিখে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে।

ছয়. উক্তরূপে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্ষমতা ও দায়িত্ব, প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টাদের পদমর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা, পদত্যাগ এবং আনুষঙ্গিক অন্য বিষয়ে বিধান করা জরুরি।

সাত. বর্ণিত প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ, ২০২৪-এর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদ ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে।


এদিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা এবং সমমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গের আয় ও সম্পদ বিবরণী প্রকাশের নীতিমালা, ২০২৪-এর খসড়ার অনুমোদনও দিয়েছে সরকার।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা এবং সমমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গের আয় ও সম্পদ বিবরণী প্রকাশের নীতিমালার খসড়া প্রণয়নপূর্বক উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা এবং সমমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ যারা সরকার অথবা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত, তারা প্রতি বছর আয়কর জমা দেওয়ার সর্বশেষ তারিখের পরবর্তী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে নীতিমালায় সংযুক্ত ছকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার নিকট তাদের আয় ও সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার বিধান রেখে খসড়া ‘আয় ও সম্পদ বিবরণী প্রকাশের নীতিমালা' উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে অনুমোদিত হয়l

এখন প্রশ্ন ❓❓❓

অন্তরবর্তী সরকার নিজেই নিজের অধ্যাদেশ অনুমোদন দিলো অর্থাৎ বৈধতা দিলো ‼️তাহলে অধ্যাদেশের আগে অন্তরবর্তী সরকার কি বৈধ ছিল ❓❓❓

এই অধ্যাদেশ জারির মধ্য দিয়ে কি সংবিধান রহিত হয়ে গেলো ❓এখন এই অধ্যাদেশ দিয়েই দেশ চলবে ⁉️

প্রেসিডেন্ট বর্তমান থাকা অবস্থায় উপদেষ্টা পরিষদ এই অনুমোদন দেয়ার এখতিয়ার কি আছে ❓❓❓ যদি থাকে তাহলে কি প্রেসিডেন্ট পদ বাতিল করা হয়েছে ❓❓❓

এখন সংবিধানের কি হবে ❓❓❓

সংবিধান রহিত করা হয়েছে কি না তা পরিষ্কার করতে হবে

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৪৬

সরকার পায়েল বলেছেন: খসড়া করেছে আইন ও বিচার বিভাগ অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ l অর্থাৎ সংবিধান ছাড়াই আইন ও বিচার বিভাগ এবং উপদেষ্টা পরিষদ মিলেই দেশ পরিচালনার অধ্যাদেশ তৈরী করতে পারে এই ক্ষমতা কে দিলো?? এখানে প্রেসিডেন্ট বর্তমান থাকা অবস্থাতেও প্রেসিডেন্টের অনুমোদন নেয়ার প্রয়োজন হয়নি l তাহলে দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতার স্থান প্রেসিডেন্ট না ⁉️ সর্বোচ্চ ক্ষমতার স্থান উপদেষ্টা পরিষদ ⁉️ সংবিধান বাদ প্রেসিডেন্ট বাদ ‼️ কিভাবে ❓❓❓❓

২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৫০

সা-জ বলেছেন: মাথায় যা ধররো এটা তৈরি প্রক্রিয়ায় আছে তা বর্তমানে খসড়া। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর আইনে পরিণত হবে।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৫৭

সরকার পায়েল বলেছেন: না তাহলে খসড়া রাষ্ট্রপতির কাছে যেত কিন্তু যায়নি উপদেষ্টা পরিষদ অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে এটাই আইন l

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.