নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ

সরকার পায়েল

মানুষ যা অনুভব করে তাই জ্ঞান।

সরকার পায়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

পানামা, গ্রিনল্যান্ড, কানাডা দখল এবং ম্যাক্সিকোতে হামলার নতুন ছক ট্রাম্পের ‼️

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪

গুরুত্ব নিয়েই মার্কিন ভূখণ্ড বাড়ানোর কথা ভাবছেন সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পানামা খাল দখল করার ইচ্ছা প্রকাশের পর কানাডা ও গ্রিনল্যান্ড নিয়েও একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার সিএনএন সহ একাধিক পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।

গত সপ্তাহে তিনি কানাডার কর্মকর্তাদের জানান, যুক্তরাষ্ট্র তাদের উত্তরাঞ্চলীয় প্রতিবেশীকে ৫১তম অঙ্গরাজ্যে পরিণত করে নিতে পারে। পাশাপাশি তিনি পানামা খালের দখল ফিরিয়ে নেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন। এরপর জানান গ্রিনল্যান্ড কিনে নেওয়ার ইচ্ছার কথা।

যুক্তরাষ্ট্র এই খাল তৈরি করলেও প্রায় ২৫ বছর ধরে এর নিয়ন্ত্রণ মধ্য আমেরিকার দেশ পানামার হাতেই।

সবশেষ গত রোববার ট্রাম্প ডেনমার্কের তত্ত্বাবধানে স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্র গ্রিনল্যান্ড 'কিনে নেওয়ার' ইচ্ছা প্রকাশ করেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদেও তিনি এমন ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।

ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বক্তব্য প্রসঙ্গে ফ্লোরিডার রিপাবলিকান প্রতিনিধি কার্লোস জিমেনেজ বলেন, 'আমি সবসময়ই তার (ট্রাম্পের) কথাগুলো গুরুত্বের সঙ্গে নিই। যদিও কখনো কখনো সেগুলো একটু অস্বাভাবিক শোনায়।'

তার মতে, 'জেনেবুঝেই পানামাকে তিনি হুমকি দিয়েছেন। একে হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই।'

পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নেওয়ার হুমকি দিলেন ট্রাম্প
ট্রাম্পের হুমকির প্রতিক্রিয়ায় পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনো স্প্যানিশ ও ইংরেজি ভাষায় দীর্ঘ বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই খাল ও বন্দরের মালিকানা নিয়ে 'দরকষাকষি' হবে না।

বিংশ শতাব্দীর শুরুতে তৈরি এই খাল ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এরপর ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের আমলে চুক্তির মাধ্যমে এর নিয়ন্ত্রণভার পানামার হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই ঘটনাকে জিমি কার্টারের 'নির্বোধের মতো কাজ' বলে অভিহিত করেছেন ট্রাম্প।

প্রেসিডেন্ট মুলিনো বলেন, 'স্পষ্ট করে বলতে চাই যে পানামা খাল ও সংলগ্ন এলাকার প্রতি বর্গমিটারের মালিক পানামা ও তা পানামার হাতেই থাকবে।'

তবে মুলিনোর বক্তব্য ট্রাম্প ও তার সহযোগীদের বিচলিত করতে পারেনি। মজার মজার ছবি ও মিম পোস্ট করে তারা বিষয়টিকে সামাজিক মাধ্যমে ট্রেন্ডিং করে তুলেছেন।

ট্রাম্প ট্রুথ সোশালে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। এতে দেখা যায় পানামা খালে মার্কিন পতাকা উড়ছে। ছবির ক্যাপশন, 'যুক্তরাষ্ট্র খালে স্বাগতম'।

ডেনমার্কের আওতায় স্বশাসিত গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মিউট এগেদ গত সোমবার ফেসবুক পোস্টে বলেন, 'গ্রিনল্যান্ড আমাদের ভূখণ্ড। এটা বিক্রি হচ্ছে না বা ভবিষ্যতেও বিক্রি হবে না।'

ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেত্তে ফ্রেদেরিকসেনের কার্যালয় থেকেও একই ধরনের বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প এই প্রস্তাব রাখলে ডেনমার্ক একে 'অবাস্তব' বলেছিল।
রোববার সন্ধ্যায় ট্রাম্প মন্তব্য করেন, যুক্তরাষ্ট্রের 'জাতীয় নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার' খাতিরে গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা নেওয়ার 'কোনো বিকল্প নেই'
উল্লেখ্য গ্রিনল্যান্ডে মার্কিন গোপন বেশ কয়েকটি প্রায় ৩২ টি পারমানবিক স্থাপনা আছে যার কিছু পরিত্যাক্ত কিন্তু উষ্ণতা বৃদ্ধির কারনে বরফ গলে যাওয়ায় সে সকল স্থাপনা প্রকাশ্যে চলে আসছে এবং মারাত্মক পরিবেশত হুমকি সৃষ্টি হয়েছে l

তিনি আরও জানান, কিছু মাদক ব্যবসায়ী চক্রকে তিনি 'বিদেশি জঙ্গি সংগঠন' হিসেবে তালিকাভুক্ত করতে আগ্রহী। এই উদ্যোগ নিলে মেক্সিকোর ভূখণ্ডে সামরিক বাহিনী পাঠানোর পথ সুগম হতে পারে। ট্রাম্প মাদক চক্রের নেতাদের নির্মূল করতে বিশেষ বাহিনী পাঠানো ও ফেনটানিল ল্যাবে বোমা হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছেন।

এ ধরনের উদ্যোগে মেক্সিকোর সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ হতে পারে এবং দুই দেশের সম্পর্কে চিড় ধরতে পারে।

গ্রিনল্যান্ড, কানাডা ও পানামায় মর্কিন ভূখণ্ড সম্প্রসারণের ও মেক্সিকোয় হামলা চালানোর এসব উদ্যোগ নতুন প্রশাসনের বাস্তবসম্মত ইচ্ছার প্রতিফলন কী না, এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ট্রাম্পের ট্রানজিশন (রূপান্তর) টিম। সিএনএনকে ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্য ও সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট অনুসরণ করার উপদেশ দেন তারা।


আমি ট্রাম্পের এসব বক্তব্য অবাক হইনি l ট্রাম্প এবার প্রতিবেশী এবং ইউরোপের সাথে সম্পর্ক সবচেয়ে খারাপ করবে বা তলানিতে নিয়ে যাবে তা সন্দেহ নেই l আগের কিছু পোস্টেও বলেছি l বিশেষভাবে যে সকল দেশ এবং সংগঠন বা জোট সামরিক এবং বাণিজ্যিক দিক দিয়ে আমেরিকার উপর নির্ভরশীল তাদের ক্ষতি করবে সবচেয়ে বেশি l তালিকার প্রথম দিকেই থাকবে - ন্যাটো, WHO, ইউরোপ l

ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষণা দিয়েছে তারা এই মেয়েদের শুরুর দিকেই WHO থেকে বেরিয়ে যাবে সে লক্ষ্যে কাজও শুরু করেছে l আগের বার ট্রাম্প WHO কে চীনের অনুগত বলে উল্লেখ করেছিল l




মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:০৫

আমি সাজিদ বলেছেন: সামনে কি হতে পারে আপনার মনে হচ্ছে?

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:০৪

সরকার পায়েল বলেছেন: আমার ধারণা পোস্টার শেষে বলেছি l আমেরিকার প্রতিবেশী এবং ইউরোপের জন্য দুসংবাদ অপেক্ষা করছে l

২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:১৬

রাসেল বলেছেন: বাজার গরম রাখা

৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৫

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: পাগল ক্ষমতা পেলে পাগলামী করবেই ।
..................................................................
আমেরিকা একটি পাগলের দেশ
তার প্রধান যদি পাগলামী শুরু করে
তাহলে আগামী বিশ্ব
নতুন নতুন ঘটনাপ্রবাহ উপভোগ করবে ।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:০৫

সরকার পায়েল বলেছেন: এবার করবে পাগলামির চূড়ান্ত l

৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তাঁর বদ নজর থেকে আমরা রক্ষা পেলেই হলো।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৭

সরকার পায়েল বলেছেন: চিন্তার কিছু নাই পাগলের পাগলামি ইউরোপ পর্যন্তই থাকবে আমার ধারণা l তবে মাত্রাতিরিক্ত করলে যেমন ইরান কোরিয়া বা রাশিয়া নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ বাধা অস্বাভাবিক হবে না l

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.