![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যুক্তরাষ্ট্রে একদিনেই চাকরি হারিয়েছেন সাড়ে ৯ হাজার সরকারি কর্মকর্তা। শুক্রবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয় যেসব কর্মীরা চাকরির বয়স এক বছরের কম তাদের তালিকায় শুরুতে রাখা হয়েছে। এছাড়া যেকোন সময় চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে আছেন ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির অন্তত চারশো কর্মকর্তা। সিবিএস নিউজ জানায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে উপদেষ্টা ইলন মাস্ক এই কর্মী ছাঁটাই শুরু করেছেন। গৃহায়ণ, জ্বালানি, কৃষি, স্বাস্থ্য ও মানবাধিকার বাদ যাচ্ছেনা কোনো সরকারি পরিদপ্তর l
ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মী ছাঁটাইয়ের পদক্ষেপে দেশটিতে চাকরিচ্যুত হয়েছেন ৯ হাজার ৫ শতাধিক সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মী। গত ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের দিন থেকেই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মীদের ছাঁটাই করা শুরু হয়।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। গত ২০ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ২৬ দিনে বিশাল সংখ্যক এসব সরকারি কর্মীরা চাকরি হারিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়ে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয় দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের।
গত ২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের পর ‘সরকারি ব্যয় সংকোচন ও কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি’ নামে নতুন একটি দপ্তর খোলার নির্দেশ জারি করেন। সেই দপ্তরের প্রধান করা হয় বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ককে।
ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের দিন থেকেই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মীদের ছাঁটাই করা শুরু হয়, যা বর্তমানে প্রায় ১০ হাজারে ঠেকেছে।
স্বরাষ্ট্র, বিদ্যুৎ ও জ্বালনি, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যদের পুনর্বাসন, কৃষি, স্বাস্থ্য, মানবিক পরিষেবাসহ প্রায় সব মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মীরা রয়েছেন চাকরিচ্যুতদের তালিকায়। আর এই চাকরিচ্যুতি বা ছাঁটাইয়ের পুরো বিষয়টি ঘটছে ইলন মাস্কের ‘সরকারি ব্যয় সংকোচন ও কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি’র তত্ত্বাবধানে।
শিগগিরই তালিকায় আরও হাজারের অধিক কর্মী যুক্ত হতে যাচ্ছেন, কারণ যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ কর আদায়কারী সরকারি সংস্থা ইন্টারনাল রেভিন্যু সার্ভিস (আইআরএস) গতকাল শুক্রবার জানিয়েছে, সামনের সপ্তাহেই ১ হাজারের বেশি কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে ছাঁটাইয়ের নোটিশ দেওয়া হবে। আইআরএস যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ সরকারি দপ্তর।
ছাঁটাইয়ের পাশাপাশি ‘বাইআউট কর্মসূচি’ বা ‘গোল্ডেন হ্যান্ডশেক’-এর মুখে পড়েছেন ৭০ হাজারেরও বেশি কর্মকর্তা ও কর্মী। সরকারি তথ্য অনুসারে, গত ২০ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ‘বাইআউট কর্মসূচি’-এর আওতায় স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন প্রায় ৭৫ হাজার কমর্কর্তা ও কর্মী।
কর্মী ছাটাইয়ের এই তালিকা কয়েক লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে l CIA, FBI, FEDERAL এর মত সংস্থাও রয়েছে এই তালিকায় l
এবার আসি ট্রাম্পের টেরিফ যুদ্ধ l কানাডা ম্যাক্সিকোব, চীন, ভারত সহ প্রায় সকল দেশের উপর ১০%-২৫% টেরিফ আরোপ করেছে ট্রাম্প l
আমার ব্যক্তিগত একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করি, টরেন্টো তে একটি চায়না চাবির রিং কিনলাম ৭ ক্যাড দিয়ে বাংলা টাকায় প্রায় ৭০০ টাকা পরে l একই চাবির রিং ঢাকায় দারাজে অর্ডার করলে ২১০ বাংলা টাকায় আপনার বাসায় দিয়ে যাবে l দামের এই পার্থক্য শুধু টেরিফ ব্যবস্থা অর্থাৎ কানাডা আমেরিকার টেরিফ মাত্রা বোঝাতে চাইলাম l কি পরিমান টেরিফ বর্তমানে আছে ‼️ তার উপর এখন যোগ হবে আরও ১০%-২৫% এই বাড়তি অর্থের বোঝা পরবে ভোক্তা অর্থাৎ জনগনের উপর l
লক্ষ লক্ষ বেকার, সেই সাথে দ্রব্য মূল্যের উর্দ্ধগতি রাস্তায় জনগণ নামতে বাধ্য l কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন সেই আন্দোলন দমাবে নির্দয় ভাবেই সন্দেহ নাই l এর ফল হবে সিভিল ওয়ার ‼️
আগামী ছয় মাস পর আমেরিকার রাজপথের অবস্থা কি দাঁড়ায় দেখার জন্য অধীর আগ্রহে প্রতীক্ষায় রইলাম ‼️
২| ০৬ ই মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৫
ধুলোপরা চিঠি বলেছেন:
ট্রাম্পের বক্তব্যের সময় ( কংগ্রেসে ) ডেমোরা অসহনীয়তা দেখায়ে, ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দিয়েছে।
৩| ০৬ ই মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৮
শাহ আজিজ বলেছেন: আমাদের সবার নজর এখন আমেরিকার দিকে । ট্র্যাম্প আর মাস্ক এখন খলনায়ক । সাদা আমেরিকানদের জন্য দয়া , করুনা ।
৪| ০৬ ই মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৬
নতুন বলেছেন: আমার আমেরিকান স্টকে ১৯ ডলার লসে আছে ট্রাম্প আসার ফলে।
আমিও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগ দেবো।
৫| ০৬ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৫৪
কামাল১৮ বলেছেন: ইউনুসকে সরাতে হলে ট্রাম্পের প্রয়োজন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৩
ধুলোপরা চিঠি বলেছেন:
ইলান সন্মানিত ব্যক্তি থেকে সবচেয়ে ঘৃনিত ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছে; ট্রাম্পও এক সময় তাকে লাথি মারবে। সে ভয়ংকর ভুল করেছে।