নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি এক অপরাজিতা। কোন বাঁধাই আমার চলার পথে বাঁধা হয়ে থাকেনা। সব বাঁধা কে অতিক্রম করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়াই হচ্ছে আমার জীবনের মূলমন্ত্র

শারলিন

শারলিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডাক্তারের কাছে যখন আমরা অসহায়

২৫ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৪২

বাংলাদেশের একজন অন্যতম নাম করা নিউরোলজিস্ট এর চেম্বারে বসে আছি বিকেল ৫ টা থেকে। একা নয় অনেক মানুষ। রোগীর সংখ্যা প্রায় ৩০০ এর কাছাকাছি। যাইহোক এখন সময় রাত ১০:৩০ অবশেষে ডাক আসল। ডাক্তারের রুমে ঢুকলাম। রোগীর সমস্যা কোনরকমে শুনে কতগুলো টেস্ট লিখে ডাক্তারসাব আমাদের আসতে বললেন।
আমি: রোগীর কি হইছে স্যার?
ডাক্তার: রিপোর্ট না দেখে কিছু বলা যাবেনা। কালকে রিপোর্ট নিয়ে আসুন।
আমি: কালকে কি রোগীকে আনতে হবে?
ডাক্তার: হ্যাঁ
দ্বিতীয় দিন
অপেক্ষা করছি আবার্। যাইহোক আজকে গতকালের চেয়ে কিছুটা আগে আমাদের ডাক আসল।
ডাক্তারের এসিস্ট্যান্ট: রোগীর রিপোর্ট দেন
আমি: রোগী নিয়ে ভিতরে আসব না?
এসিস্ট্যান্ট: না আপনাদের আসার দরকার নেই বাইরে অপেক্ষা করুন।
কিছুক্ষণ পর এসিস্ট্যান্ট এসে আমাদের রিপোর্ট সহ প্রেস্ক্রিপশন ধরিয়ে দিলেন এবং বললেন আপনাদের কাজ শেষ আপনারা আসুন। কিছু বলার আগেই এসিস্ট্যান্ট পরবর্তী রোগীর রিপোর্ট নিয়ে ভিতরে চলে গেলেন।
বাসায় এসে রোগীরা অনুভূতি আমার কি হইছে, মাথাটা কেন ঘুরে, কি করলে কিভাবে চললে মাথা ঘুরবো না ডাক্তার যদি একটু বুঝিয়ে বলতেন তাইলে সেইভাবে চলতে পারতাম।
এখন কথা হচ্ছে একজন ডাক্তার যদি বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত২০০থেকে ৩০০ রোগী দেখেন তাহলে সে আসলে রোগী কে ঠিক কতটা দেখেন???
আর রিপোর্ট দেখার সময় যদি রোগীর সাথে দেখাই না করেন তাহলে রোগীকে নিয়ে যেতে বলার মানে কি এবং রোগীর কে যদি তার সমস্যা বুঝিয়ে না বলে শুধু প্রেস্ক্রিপশন লিখে বিদায় করে দেওয়া হয় তাহলে তাকে কি বলা যেতে পারে?

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:৫৮

জে আর সিকদার বলেছেন: বাংলাদেশের অন্যতম একজন ডাক্তার বলে কথা !

২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৩

প্রামানিক বলেছেন: এখন কথা হচ্ছে একজন ডাক্তার যদি বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত২০০থেকে ৩০০ রোগী দেখেন তাহলে সে আসলে রোগী কে ঠিক কতটা দেখেন???

৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৩

বারিধারা বলেছেন: ডাক্তার ঠিকই আছে। এই ডাক্তারের ঝাড়ফুঁকে কাজ হয় বলেই প্রতিদিন ৩০০ রোগী তাকে দেখাতে আসে।

৪| ২৫ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৫

জুন বলেছেন: ইনি কি ডাক্তার দীন মোহাম্মদ ? অনেক আগে ওনার চেম্বারে একবার যাবার সৌভাগ্য হয়েছিল । কিন্ত সিরিয়ালি যখন চেম্বার থেকে বেরিয়ে আমাদের রাস্তার উপর টুল পেতে দিল বসার স্থান হিসেবে তখন চলে আসি না দেখিয়েই । এবং মিরাকিউলাসলি আমি সেই রোগ থেকে বিয়া চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে যাই B:-/

৫| ২৫ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৮

করুণাধারা বলেছেন: একজন নামকরা নিউরোলজিস্ট এর ইস্কাটনস্থ চেম্বারে দেখাতে গেলাম, মনে হল মাছের বাজার। পরে ঢাকা।মেডিকেলে তার রুমে দেখাতে নিয়ে গেলেন তার এক বন্ধু। তিনি আমার রোগের বর্ণনা শুনলেন কাঁধ দিয়ে কানের সাথে মোবাইল চেপে কারো কথা শুনতে শুনতে, সেসময় এক হাতে তিনি আমার জন্য প্রেসক্রিপশন লিখছিলেন আর আরেক হাত দিয়ে ড্রয়ার থেকে কোন কাগজ খুঁজছিলেন। ডাক্তারের নাম দীন মোহাম্মদ। এ দেশে সহৃদয় ডাক্তারের দেখা পাওয়া কঠিন ব্যাপার।

৬| ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:২৬

আব্দুল্লাহ আলহাদি বলেছেন: বাংলাদেশের অধিকাংশ ডাক্তার এরকম

৭| ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৭:১৮

মোহাম্মদ বাসার বলেছেন: ঠেলার নাম বাবাজি। ঠেলা দিতে পারলে কখনো কখনো কাজ হয়।

ডাক্তার আব্দুর রহমান। ৯৮ সালে নিলক্ষেতে বসতেন। ইনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরও ডাক্তার। বিকেলে যেয়ে বললাম ডাক্তার সাব আমাকে একটা লেটার লিখে দিন, চিকিৎসার কারণে আমার ইংল্যান্ডে যেতে দেরী হবে। দিলেন। বললেন ১২০ টাকা দিন। দিলাম। ২ সপ্তাহ পরে যাওয়া আরও পিছালো। গেলাম আদম আব্দুর রহমানের কাছে আবার। বললাম ডাক্তার সাব আমার লেটারের ডেটটা একটু চেঞ্জ করে দিন প্লিজ। ইনি ঘচাত করে নতুন আরেকটা লেটার ২ মিনিটে লিখে দিলেন। ধন্যবাদ বলে চলে আসছিলাম তখন তিনি বললেন 'আমার টাকা'? আমি বুলাম রুম নাম্বার ১১২ আপনিতো নীচ তলায় বসেন, তাইনা? বললেন হু। আমি বললাম এই নিন টাকা। আগামিকাল ওখানেই দেখা হবে। ডাক্তার সাব বললেন 'বাবা আমি হার্টের রুগী, প্লিজ আপনার টাকাটা নিয়া যান।' হাহাহা। ঠেলা দিন। লোকাল পোলাপান হাত করে দুই একদিন পিঠের চামড়া তুলে ফেলুন। কথায় আছে না- 'যেই দেশের যেই ভাও, নৌকা দিয়া বৈঠা বাও।'

৮| ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:০১

কবিগুরু০০১ বলেছেন:



মোহাম্মদ বাসার বলেছেন: ঠেলার নাম বাবাজি। ঠেলা দিতে পারলে কখনো কখনো কাজ হয়।

- কে বলেছে, বাঙালী ঠেলা দিতে জানে না? এই জাতি এই কামে ওস্তাদরে ভাই! দেখছেন না, এই ঠেলাই আবার সময়ে পরিনত হয় সন্ত্রাস নামক মহামারিতে। ডাক্তার আব্দুর রহমানকে ঠেলা দিয়ে আপনি গর্বে বুক ফুলাচ্ছেন! তাকে তার প্রাপ্য টাকা দিতে হয় নি বলে আনন্দ প্রকাশ করছেন! আবার সেকথা মনে করিয়ে দিয়ে অন্যদের সন্ত্রাসের প্রেসক্রাইব করছেন! নিজে যেমন সন্ত্রাসে নিমজ্জিত, অন্যদেরও তাই পরামর্শ দিচ্ছেন। এইসব ছোটখাট তুচ্ছ সন্ত্রাসের মাধ্যমে আপনাদের হাতে খড়ি হলেও পরিনত জমানায় আপনারাই যে দখল-জবরদখল থেকে শুরু করে দেশ-মাটি-অধিকার গিলে খান না, তা বলতে পারে এমন পাঠা কার বুকে?

লোকাল পোলাপান হাত করে দুই একদিন পিঠের চামড়া তুলে ফেলুন।

-উগ্রবাদ আর সন্ত্রাসের রাস্তা থেকে দয়া করে সরে আসুন। এই অন্ধকারের কুশিক্ষা অন্যদের দেয়ার চেষ্টা থেকে বিরত হোন। কারও চামড়া তুলে নেয়ার মত গর্হিত কাজে উদ্বুদ্ধ করার মত ইতরামীর কোন মানে হয় না। এগুলো স্রেফ অমানবিকতা। নিজে ভদ্র হোন অন্যদের ভদ্রতার পথে ডাকুন। সন্ত্রাস ছড়াবেন না, প্লিজ। সামু মনে হয় সন্ত্রাসে বিশ্বাসী নয়।

রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে ডাক্তারদের প্রাইভেট আর ক্লিনিক প্রাকটিসকে নীতিমালার আওতায় এনে তাদের লাগাম টেনে ধরা দরকার। এ বিষয়ে সরকারি নজরদারি বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। সাধারন মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষায় সরকারের দায়িত্ব আরও কয়েক গুন বৃদ্ধি করা উচিত। দেশের সাধারন নাগরিকদের সকল চিকিতসা সেবা ফ্রি করে দেয়া উচিত।

৯| ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:১৯

রিএ্যাক্ট বিডি বলেছেন: অন্যতম একজন ডাক্তার !!!

১০| ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৯

সামিয়া বলেছেন: আসলেই।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.