নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি এক অপরাজিতা। কোন বাঁধাই আমার চলার পথে বাঁধা হয়ে থাকেনা। সব বাঁধা কে অতিক্রম করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়াই হচ্ছে আমার জীবনের মূলমন্ত্র

শারলিন

শারলিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাবলিক বাসে প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত আসন ও বাস্তবতা:

২৬ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৯

ঢাকা শহরের প্রতিটি বাসে মহিলা ও শিশু ও প্রতিবন্ধীদের জন্য বাস ভেদে ৯টি থেকে ১৩ টি পর্যন্ত সংরক্ষিত আসন রয়েছে। কিন্ত মজার ব্যাপার হচ্ছে এই আসন গুলো তিন ধরনের মানুষের জন্য সংরক্ষিত থাকলেও এগুলো সবার কাছে মহিলা আসন হিসেবে ই জনপ্রিয়। তাছাড়া যেহেতু নির্দিষ্ট করে দেয়া নেই কোন সিট প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য তাই এটা মহিলা সিট হিসেবেই সকলের কাছে বিশেষ করে মহিলা যাত্রীদের কাছে পরিচিত হয়ে গেছে। এর ফলে প্রতিবন্ধী যাত্রীদের বেশিরভাগ সময় দাড়িয়ে যাতায়াত করতে হয় কেননা একজন মহিলাকে উঠতে বলাটা অনেক সময় সম্ভব হয়না আবার অনেকসময় বলেও খুব একটা লাভ হয়না।
যাইহোক আমিও মাঝেমধ্যে বি আর টি সি বাসে যাওয়া আসা করি। এই বাসে সংরক্ষিত আসন ১৩ টি। এই সংরক্ষিত আসনে সবসময় মহিলারা ই বসে থাকেন। এমনকি প্রতিবন্ধী যাত্রী বাসে উঠলেও কাউকে সিট ছেড়ে দিতে দেখিনি। সিট পেলে বসে যাই, কখনো কখনও দাড়িয়ে ও যাই।
যেহেতু আমার জন্য সংরক্ষিত আসন আছে তাই সাহস করে একদিন বলেই ফেললাম নিজের অধিকারের কথা।
আমি: এক্সকিউজ মি আপু এখানে ১৩ টি আসনের মধ্যে প্রতিবন্ধীদের জন্য সিট আছে যদি কিছু মনে না করেন আমাকে একটি সিট ছেড়ে দেন। আমার পায়ে সমস্যা দাড়িয়ে যেতে পারিনা।
মহিলা যাত্রীরা: সবাই তাদের পাশের যাত্রীর সাথে একবার করে চোখাচোখি করে চুপচাপ বসে রইলেন কিন্তু কেউ সিট ছাড়লেন না।
আমি: আবার বললাম প্লিজ আপু একটা সিট ছাড়ুন।
মহিলা যাত্রীরা: এবার সবাই সবার দিকে তাকিয়ে একটু হাসলেন কিন্তু সিট ছাড়লেন না।

যাইহোক আমি এবার বাসের হেল্পার কে ডেকে বললাম
আমি: ভাই এখানে তো প্রতিবন্ধীদের জন্য সিট আছে। তো সেই সিট কোনটা? আমার তো পায়ে সমস্যা আমাকে একটু বসার ব্যাবস্থা করে দেন।
হেল্পার্: আপা এখানে তো সব মহিলারা বসে আছে তারা যদি নিজেরা না ওঠে আমি কেমনে উঠাইয়া দেই বলেন। তার চেয়ে আপা আপনি এক কাজ করেন পরের বাসে আসুন। আশা করছি সিট পাবেন।
আমি: চুপচাপ দাড়িয়ে রইলাম।

এখন কথা হচ্ছে প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের বাস্তবতা যদি এই হয় তাইলে এটা করার কি দরকার ছিল?
(আসুন আমরা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গী পাল্টাইয়া এবং প্রতিবন্ধী মানুষের অধিকার নিশ্চিত করি?

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


মনে হয়, আপনার যাত্রী আপুরা মানসিক প্রতবন্ধি ছিলেন।

২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৫৫

প্রোলার্ড বলেছেন: মহিলারা নিজেরা নিজেদেরকে ছাড় দেয় না , পুরুষদের কাছে চায়। আপু আপনি কোন ছেলেকে রিকুয়েস্ট করেন নাই ? আপনি সুন্দরী হয়ে থাকলে আপনাকে সিট দেবার জন্য রীতিমত কমপিটিশন লেগে যাবে পুরুষ যাত্রীদের মধ্যে ।সামনে চেষ্টা করে দেখবেন।

৩| ২৭ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:০৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সাধারণত অনেক সময় পুরুষেরাও জায়গা ছেড়ে দেয়...

৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৩৫

শারলিন বলেছেন: এখন আর ছেলে রা সিট ছাড়ে না।

৫| ১৩ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৫১

খাঁজা বাবা বলেছেন: মহিলাদের সমান অধিকার আন্দোলন ছেলেদের চালাক করেছে

৬| ১৩ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:২৪

লিংকন১১৫ বলেছেন: কবে যে আমরা আমাদের দৃষ্টি ভঙ্গি পাল্টাতে পারবো ! আদৌ পারবো কিনা কে যানে ।
আসলে আমরা দিনে দিনে আমদের বিবেগ হারিয়ে ফেলছি , আসলে আমরা আপডেট হচ্ছি না হচ্ছি ও মানুষ।
দিনে দিনে আমরা আমাদের বিবেগ বুদ্ধি বিসর্জন দিচ্ছি ।
আমাদের ভিতর থেকে চলে যাচ্ছে সহানুভূতি গুলও। হয়ে জাচ্ছি বিবেগ হিন , এতবার বলার পরেও আসন ছাড়ল না !
আমরা সেই লেবেল এ সমাজ সেবা করি, সেমিনারে টকশো তে বড় বড় বুলি ছারি , কথা বলার সমাই কেউ কম বলি না ।
কিন্তু করার সময় .।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।.।।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.