নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিষাদ ছুঁয়েছে আজ মন ভালো নেই.....

তুমি হয়ত সবকিছুতে ভালো নও, কিন্তু তোমার উচিৎ সবকিছুতেই তোমার নিজের সেরাটা ঢেলে দেয়া!

নিস্প্রভ নীল

ভালবাসি মানুষ, অপছন্দ করি মানুষের নীচতা।

নিস্প্রভ নীল › বিস্তারিত পোস্টঃ

“প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ছাত্র” বনাম “ইউনিভার্সিটির ছাত্র”, আমরা কি নিজেদের অজান্তেই জাতীকে বিভক্ত করে ফেলছি?

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২০

ইদানিং একটা জিনিশ খুব চোখে পড়ছে, বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়, ফেইসবুকে, ব্লগে বা সবধরনের কমিউনিটিতেই খুব সচেতনভাবে একটা কাজ সবাই করে থাকেন। সেটা হল পাবলিক আর প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি এর ছাত্রের মধ্যে বিভাজন তৈরি করা। কোন পাবলিক ইউনিভার্সিটি এর ছাত্র কোন কিছু অর্জন করলে বড় বড় করে তাঁর ইউনিভার্সিটি এর নাম বলা হয়...যেমন “অমুক” ইউনিভার্সিটি এর “কৃতী ছাত্র” এই কাজ করেছেন, কিন্তু ছাত্রটি একটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি এর ছাত্র হলেই বলা হয়- “একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র”! কেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কি নাম নাই নাকি? নাকি সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কেই আপনারা একই মানের মনে করেন, যাহাই বাহান্ন তাহাই পঁয়ষট্টি??



পাবলিক ভার্সিটি এর মধ্যে যেমন মানের পার্থক্য আছে তেমন আছে প্রাইভেট ভার্সিটিতেও। দেশের সবগুলি প্রাইভেট ভার্সিটি সমমান বজায় রাখতে পারেনি, পারার কথাও না। কিন্তু শীর্ষস্থানীয় প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি গুলোতে যথেষ্ট ভালো পড়াশুনা হয়, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি এর অনেক ছাত্রছাত্রী দেশে এবং বিদেশে সমান সুনামের সাথে কাজ করছেন। যেই নামী অধ্যাপক পাবলিক ভার্সিটিতে পড়ান, তিনিই প্রাইভেট ভার্সিটিতে পড়ান। উপরন্তু প্রাইভেট ভার্সিটি এর সিলেবাস সবসময়ই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে করা হয়, ভালো রেজাল্ট করতে গেলে ছাত্রছাত্রীদেরকে প্রচুর শ্রম দিতে হয়...এমনকি বড় ভাইদের কাছ থেকে পুরনো প্রশ্ন বা নোটও অনেক প্রাইভেট ভার্সিটিতেই পাওয়া যায় না। আমি নিজে প্রায় দুই বছর দুপুরের খাবার খেয়েছি সন্ধ্যায়, কারন সারাদিন ক্লাস এবং ল্যাব থাকায় খাওয়ার সময় পেতাম না। এত কষ্ট করে পড়াশুনা করার পরও একটা প্রাইভেট ভার্সিটি এর ছাত্রকে প্রতি মুহূর্তে খোঁচা দেওয়া হয় এই বলে যে- “প্রাইভেট ভার্সিটিতে তো সার্টিফিকেট কেনাবেচা হয়”। ভার্সিটি থেকে পাশ করার পরও জ্বালা, সবসময় তাঁকে মনে করিয়ে দেওয়া হয় তুমি প্রাইভেটের “মুরগি”, তোমার মাথায় ব্রেইনের বদলে আছে গোবর! :P



অনেক কোম্পানিতে আগে থেকেই প্রাইভেটের ছাত্রদেরকে অ্যাপ্লাই করতে অনুৎসাহিত করা হয়। আরে বাবা চাকরীর পরীক্ষায় তো কোন কোটা রাখার দরকার নাই, সবাই একই প্রশ্নে পরীক্ষা দিবে; এরপর যে ভালো করবে তাকেই নেন! তবে সুখের কথা হচ্ছে এত প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার পরও প্রাইভেট ভার্সিটি এর অনেক ছাত্রই তাঁদের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে নিজের স্থান করে নিচ্ছেন। অনেকে কর্মক্ষেত্রে যথেষ্ট ভালো করছেন, তবে তারপরও আমাদের মনের সেই ধারণা বদলাচ্ছে না যে প্রাইভেট মানেই সার্টিফিকেট কেনাবেচা! পাবলিক ভার্সিটি এর ছাত্ররা ভালো, কারন তাঁরা ভর্তি পরীক্ষায় জয়লাভ করে ভার্সিটিতে সুযোগ পেয়েছিলেন। তার মানে কি এই যে প্রাইভেটের সব ছাত্রই খারাপ? একটা ইউনিভার্সিটি একজন ছাত্রের বিকাশে যতটুকু সাহায্য করে তারচেয়ে অনেক বেশী করে সেই ছাত্রের নিজের ডেডিকেশন, তার পরিশ্রম। প্রাইভেট ভার্সিটিতে একজন ছাত্রকে যে পরিমান চাপের মুখে পড়াশুনা করতে হয় সেরকম কিন্তু একটা পাবলিক ভার্সিটি এর ছাত্রকে থাকতে হয় না।



অনেক কোম্পানিতে প্রাইভেট আর পাবলিকের ছাত্রদের জন্য আলাদা স্যালারি স্কেল পর্যন্ত আছে! পছন্দ না হলে নিয়েন না, তবে নেওয়ার পর এই DISCRIMINATION কিন্তু ঠিক না। প্রোমোশন বা অন্যান্য ক্ষেত্রেও এই বিভাজন বেশ স্পষ্ট। আসলে আমরা একজন মানুষকে তার Individual Quality দিয়ে judge না করে তার ব্যাকগ্রাউন্ড দিয়ে judge করি। অথচ আমরা অনেকেই জানিনা যে পৃথিবীর শীর্ষ অনেকগুলো ইউনিভার্সিটিই কিন্তু বেসরকারি। যেমন Massachusetts Institute of Technology (MIT), Stanford University, Harvard University, Yale University, Princeton University, Columbia University, the University of Chicago and Washington University in St. Louis ইত্যাদি। কেউ চাইলে পুরো লিস্ট দেখে নিতে পারেন। Click This Link



বাংলাদেশের প্রাইভেট ভার্সিটিগুলো এখনও প্রায় শিশু, সবচেয়ে পুরনো প্রাইভেট ভার্সিটির বয়সই মাত্র ২০ বছর। উন্নতির অনেক সুযোগ রয়েছে, অনেক ভার্সিটি এখনও তাঁদের নিজেদের ক্যাম্পাস বানাতে পারেনি। তবে শত বাঁধা বিপত্তি সত্ত্বেও কিন্তু এই ভার্সিটিগুলো এগিয়ে চলেছে। অনেক কৃতী ছাত্রছাত্রী তৈরি করেছে, দেশের জন্য কাজ করছেন এমন অনেকেই আছেন। আমরা বাংলাদেশীরা সবসময়ই নিজেদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টিতে পারদর্শী, আর বিভাজন না বাড়ানোই বোধহয় ভালো! এই ধরনের পোস্ট লিখার কোন ইচ্ছা ছিল না, কিন্তু ফেইসবুকে অনেক বিখ্যাত, প্রায় সেলিব্রেটি একজন মানুষের একটা পোস্ট দেখার পর মনে হল আমরা কি নিজেদের অজান্তেই নিজেদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করছি না? তিনি বেশ কয়েকবার একজন ছাত্রের প্রশংসা করলেন, কিন্তু প্রত্যেকবারই উল্লেখ করলেন যে “প্রাইভেট ভার্সিটির” একজন ছাত্র এই কাজটি করেছে। শুধুই একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে কি দেখা যেত না? এমনকি পত্রিকায় প্রকাশের সময়ও প্রায়ই দেখি যে আলাদা করে প্রাইভেট ভার্সিটি বলা হচ্ছে, সেই ইউনিভার্সিটি এর নামটা বলুন। এর ফলে ছাত্রটা আরেকটু উদ্যম পাবে, সেই ভার্সিটিও “প্রাইভেট” এর গণ্ডির বাইরে বেড়িয়ে শুধুমাত্র একটি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার সুযোগ পাবে। পাবলিকের সব ছাত্রই যেমন একই মানের না, তেমনি প্রাইভেটের সব ছাত্রও একই মানের না। শুধুমাত্র ইউনিভার্সিটি দিয়ে একজন ছাত্রকে বিচার না করে একজন Individual হিসেবে তাঁকে বিচার করুন! ধন্যবাদ। :)

মন্তব্য ১০৬ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (১০৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২৭

বোকামন বলেছেন: এতকিছু তো বুঝি না, মূর্খ আমি

তোয় ছাত্র মানে তো ছাত্রই না কী !

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২৯

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: আমিও সেটাই বলছি, ছাত্র তো ছাত্রই। এত ক্যাটাগরি বানানোর কি দরকার?! :P

২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২৮

তাসজিদ বলেছেন: ভাল লিখেছেন।
তবে কিছু private university তে certificate এক ধরণের বিক্রি হয়।
আমি কিন্তু private uni.

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩০

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: জানি, সেটাও বলেছি। কিন্তু সব প্রাইভেট ইউনিকে এক পাল্লায় মাপা কি ঠিক? ইউনির নামটা বলতে সমস্যা কোথায়?

৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩১

রিওমারে বলেছেন: একটা প্রাইভেট ভার্সিটি এর ছাত্রকে প্রতি মুহূর্তে খোঁচা দেওয়া হয় এই বলে যে- “প্রাইভেট ভার্সিটিতে তো সার্টিফিকেট কেনাবেচা হয়”। ভার্সিটি থেকে পাশ করার পরও জ্বালা, সবসময় তাঁকে মনে করিয়ে দেওয়া হয় তুমি প্রাইভেটের “মুরগি”, তোমার মাথায় ব্রেইনের বদলে আছে গোবর! কথা সত্যি বটে। কন্টাকের টাকা শোধ করতে পারলেই পাশ। ফার্মের মুরগীর মত অবস্থা।।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৫

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: যা ভেবেছিলাম, আপনার আসলে প্রাইভেট ইউনি সম্পর্কে একটা "প্রি-ডিটারমাইন্ড" ধারণা আছে...সব ইউনি এক না। সেইটা আপনিও জানেন আমিও জানি, দেশের প্রথম সারির প্রাইভেট ইউনি থেকে টাকা দিয়ে সার্টিফিকেট নিয়ে আইসেন পারলে।

৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৩

শিশির ডি শাখামৃগ বলেছেন: ঠিকি বলেছেন ভাই, সাংবাদিক সহ সবাই যেকোনো জায়গাতেই কোন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে ''প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ছাত্র'' বলে উল্লেখ করে।
নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটিও একটি প্রাইভেট ভার্সিটি আবার দারুল ইহসানও একটি প্রাইভেট ভার্সিটি... কিন্তু শুধুমাত্র ''প্রাইভেট ভার্সিটি'' নাম দিয়ে এই দুইটা ভার্সিটিকে প্রকাশ করলেই ২টা ভার্সিটির মান সমান হয়ে যাবে না।
নর্থ-সাউথ নর্থ-সাউথই, আর দারুল-ইহসান দারুল-ইহসানই
তাই আমিও মনে করি, সবসময়ই ছাত্রর আগে 'প্রাইভেট ভার্সিটির বদলে তার ভার্সিটির নাম প্রকাশ করা উচিত, সেটা প্রাইভেট ভার্সিটি হোক আর পাবলিক ভার্সিটিই হোক।
+++

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৭

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনি আমার পোস্টের অর্থটা একদম ঠিকভাবে ধরতে পেরেছেন। আমি অবশ্য কোন ইউনি এর নাম নেইনি, তবে আপনার উদাহরণটা ঠিক আছে! অবশ্যই একজন ছাত্রের পরচয় দেওয়ার সময় তার ইউনি এর নাম বলা উচিৎ। প্রাইভেটই হোক আর পাবলিকই হোক।

৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫২

সাদা মাটা গরীব ছেলে বলেছেন: এদেশের ৭০% মানুশের ব্যাসিক্যালি আইকিউ বেশ কম। বহু মানুশকে চিনি বলে পাবলিকে চান্স না পাইলে লাইফ শেষ। পড়ালেখা মানেই পাবলিক। ঢাবি বুয়েট মানেই ব্রেইনী আর বাকি সব ডাম্ব। অথচ চিন্তা করেনা একটা বছরে কয়লাখ ইন্টার দিয়া বাইর হয় আর পাবলিকে সিট কয়টা আছে।

কিছু করার নাই

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০১

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: কিছু করার নাই কথাটা মানতে পারলাম না ভাই। অনেক কিছুই করার আছে, দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে আমাদের। MIT নিয়ে যখন কেউ চিন্তা করে তখন কিছু কেউই ভাবে না যে এইটা একটা প্রাইভেট ইউনি। এভাবেই আমাদের দেশের প্রাইভেট ইউনিগুলাও নিজেদের এগিয়ে নিয়ে যাবে। আর চান্স পাওয়া না পাওয়া নিয়ে কিছু বলছিনা...কারন এমন অনেক ছাত্রই আছেন যারা যথেষ্ট মেধাবী হওয়া সত্তেই পাবলিকে পরিক্ষাই দেননা। এর মানে এই না যে তাঁরা ডাম্ব। আর মাত্র একটা পরীক্ষা দিয়ে মেধার যাচাই করা সম্ভব কিনা আমি নিশ্চিত না।

আমি এখন পর্যন্ত যত জায়গায় অ্যাপ্লাই করেছি সবখানেই হয়েছে, সেখানে কিন্তু আমাকে সব ধরনের ইউনি এর ছাত্রদের সাথেই compete করতে হয়েছে। আসলে পাশ করার পর একটা ছাত্রের নিজের quality ই তাঁকে এগিয়ে নিয়ে যায়। তার ইউনি না। তবে সব জায়গায় ঢালাওভাবে "বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়" বলা সমর্থনযোগ্য না।

৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৫

দেখতাছি বলেছেন: বাংলাদেশে ও কিন্তুক MIT আছে ।
MIT(1)=>Mymensingh Institute of Technology
MIT => Model Institute of Technology
MIT => Military Institute of technology.

এইসব যেমন Massachusetts Institute of Technology কে represent করেনা ,তেমনি আমাদের দেশের বেসরকারী ভার্সিটি ও ঐসব বেসরকারী ভার্সিটি কে represent করেনা |আমাদের দেশের অনেক প্রাইভেট ভার্সিটি গড়ে তুলে পিন্টু কিংবা হাজী সেলিমরা । যা প্রাইভেট ভার্সিটির দুর্নামের একটি বড় কারণ ।

যারা ভালো করে তারা ভালো করলে ই দেশের লাভ । সবার জন্যে শুভকামনা ।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৪

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: আমাদের দেশের পাবলিক ইউনিও কিন্তু অক্সফোর্ড বা হার্ভার্ড বা ইয়েল বা ক্যালটেক ইত্যাদি ইউনিকে represent করে না। আমরা এখনও আন্তর্জাতিক মান থেকে অনেক অনেক পিছিয়ে আছি।

আসলে আমাদের মধ্যে কোন বিভাজন করা উচিৎ না, তবে সব জায়গায় ঢালাওভাবে "বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়" বলা সমর্থনযোগ্য না।

৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৭

মেঘেরদেশ বলেছেন: আমরা নিজেরদের অজান্তেই বিভেদ টা করে ফেলি :(

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৫

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: ঢালাওভাবে সব প্রাইভেট ইউনিকে এক পাল্লায় না মেপে ভালো ইউনি গুলোকে সম্মান দেওয়া উচিৎ। ইউনির নামটা বললে সমস্যা কি?!

৮| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৮

ক্যাচাল বাজ বলেছেন:
দুডার মইধ্যে তেমন কুনু পাইর্থক্য নাই। একটা দেশী মুরগী আরেকটা ফার্মের মুরগী B-)) B-)) B-))

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৬

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: কি ভাই ক্যাচাল লাগাইবেন নাকি?! :P

৯| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৪

মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: রিওমারে বলেছেন: একটা প্রাইভেট ভার্সিটি এর ছাত্রকে প্রতি মুহূর্তে খোঁচা দেওয়া হয় এই বলে যে- “প্রাইভেট ভার্সিটিতে তো সার্টিফিকেট কেনাবেচা হয়”। ভার্সিটি থেকে পাশ করার পরও জ্বালা, সবসময় তাঁকে মনে করিয়ে দেওয়া হয় তুমি প্রাইভেটের “মুরগি”, তোমার মাথায় ব্রেইনের বদলে আছে গোবর! কথা সত্যি বটে। কন্টাকের টাকা শোধ করতে পারলেই পাশ। ফার্মের মুরগীর মত অবস্থা।।

ভাই আমি আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি থেকে পাশ করেছি এবং এর জন্য আমি গর্বিত। আমি এখন জাপানে পিএইচডি করতেছি সরকারী স্কলারশীপে। আমি যদি সার্টিফিকেট কিনে পাশ করতাম তাহোলে কি আমি স্কলারশীপে পড়তে আসতে পারতাম? আপনার কি মনে হয়? আমি আসার আগে চাকরীও করেছি সরকারী প্রকল্পে। চাকরী আমি পেয়েছিলাম নিজ যোগ্যতাই, কোন মামা খালুর বলে না।

সব সরকারী ইউনিভার্সিটিতে কি ভাল পড়া হয়? খোদ ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে দুর্নীতি করে প্রথম শ্রেণী পাওয়ায় দেওয়ার অভিযোগ আছে। তারমানে কি ঢাকা ইউনিভার্সিটি খারাপ?

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৮

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার সাফল্যের কথা শুনে। তবে এই পোস্টের উদ্দেশ্য কিন্তু পাবলিক-প্রাইভেটের তুলনা করা না। আমি বলছি যে সব প্রাইভেট কে এক পাল্লায় না মাপা উচিত। কোন প্রাইভেট ইউনির ছাত্রের কোন সাফল্যের কথা বলার সময় আমরা তার ইউনির নাম পর্যন্ত বলি না...ডালাওভাবে বলি প্রাইভেট ইউনি, এটা বদলানো উচিৎ।

১০| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৬

সাজিদ. বলেছেন: সাদা মাটা গরীব ছেলে বলেছেন: এদেশের ৭০% মানুষের ব্যাসিক্যালি আইকিউ বেশ কম।

সহমত

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৯

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: আসলেই নাকি? রেফারেন্স আছে?! :P

১১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২১

মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: লেখককে: ভাই আমি আপনার পোস্টের উদ্দেশ্য আমি বুঝেছি। আমি কথাগুলো আপনাকে বলি নাই। আমি রিওমারে ভাইয়ের কথার উত্তরে উনাকে এই কথাগুলো বলেছি।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৭

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: স্যরি ভাই খেয়াল করি নাই, ভালো থাকেন। :)

১২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪১

অস্তিত্বহীন বলেছেন: একই পাবলিক ইউনি - র কয়েকজনকে লিখিত পরীক্ষাতে ৪০ এ ২-৫ এর মধ্যে পেয়েছিলো।কিন্তু সবাই তো আর এক না।

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৮

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: সেটাই, সেরকম সব প্রাইভেট ইউনিও এক না। যেই ইউনিই হোক, নাম বলতে সমস্যা কি?

১৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৮

দাস্তান বলেছেন: আমার কিছু বন্ধু আছে ঢাবি তে পরে|মাঝে মাঝে এমন কথা বলে মনে হয় তারা ভিন গ্রহের বাসিন্দা| আমার মতে পাবলিক এর চেয়ে প্রাইভেট এ অনেক বেশি খাটতে হয়|আমরা যত কুইজ প্রেজেন্টেশন দেই তার দশ ভাগের এক ভাগ পাবলিক এ হয় কিনা সন্দেহ |মানলাম পাবলিক ভাল|আমরা কিন্তু ফেলনা না|বাপের এত টাকা ভাঙ্গার আগে কিন্তু চিন্তা করেই নেই| তবে একটা শান্তি যে পাবলিক এর পোলাপাইন গ মত আদু ভাই হই না|

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৭

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: চিন্তা করবেন না, সার্টিফিকেট এর চেয়ে আপনি নিজে বেশী গুরুত্বপূর্ণ। ভালো প্রাইভেট ইউনি গুলোর ছাত্রদের মান যেকোনো পাবলিক ইউনি এর ছাত্রের চেয়ে খারাপ না। এটা অবশ্য এখন সবাইই জানে, তবে স্বীকার করে না আরকি। আমরা চাই দেশের উন্নতি, সবাই মিলেই সেটা করতে হবে। এরকম প্রাইভেট পাবলিক বিভাজন করার কোন মানেই হয় না। এছাড়া সব প্রাইভেট ইউনিও এক না। যেই ইউনিই হোক, নাম বলতে সমস্যা কি?

১৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৯

দাস্তান বলেছেন: আমার কিছু বন্ধু আছে ঢাবি তে পরে|মাঝে মাঝে এমন কথা বলে মনে হয় তারা ভিন গ্রহের বাসিন্দা| আমার মতে পাবলিক এর চেয়ে প্রাইভেট এ অনেক বেশি খাটতে হয়|আমরা যত কুইজ প্রেজেন্টেশন দেই তার দশ ভাগের এক ভাগ পাবলিক এ হয় কিনা সন্দেহ |মানলাম পাবলিক ভাল|আমরা কিন্তু ফেলনা না|বাপের এত টাকা ভাঙ্গার আগে কিন্তু চিন্তা করেই নেই| তবে একটা শান্তি যে পাবলিক এর পোলাপাইন গ মত আদু ভাই হই না|

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৭

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: আদু ভাই এখন আর কেউ হয়না, পাবলিকেও সেশন জট অনেক কমে গেছে। :)

১৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৮

বিশ্বপ্রেমিক বলেছেন: প্রাইভেট ভার্সিটিতে পড়লেই যে খারাপ তা অবশ্যই নয়। কিন্তু কিছু কিছু ব্যাপারে প্রাইভেট ভার্সিটি কখনই পাবলিক ভার্সিটির সাথে পারবে না- আর তা হলঃ

১) টপ মেধাবীদের কখনই পাবলিক ভার্সিটি ছেড়ে প্রাইভেট ভার্সিটিতে টানতে পারবে না।

২) প্রাইভেট ভার্সিটির স্টুডেন্টরাও অনেক ভাল করছে। কিন্তু শতকরা হিসেবে দেখলে তার পরিমাণ খুবই নগণ্য। পাবলিক ভার্সিটিতে এক ব্যাচে যত স্টুডেন্ট থাকে তার প্রায় সবাই ভাল কোন পজিশন করে নিতে সমর্থ। অন্যদিকে প্রাইভেট ভার্সিটিতে এই হার খুবই নগণ্য।

৩) পাবলিক ভার্সিটতে ভাল রেজাল্টের জন্য যে পরিশ্রম করতে হয়, প্রাইভেট ভার্সিটিতে তা হয় না। পাবলিক ভার্সিটিতে কোন সাবজেক্টে যদি সবাই এ প্লাস এর মতও পরীক্ষা দেয়, তবুও স্যাররা সবাইকে এ প্লাস দেন না- কারণ মাত্রারিক্ত এপ্লাস বা ভাল ফল করলে সেক্ষেত্রে সেই কোর্স টিচারের বিরূদ্ধে বাজে মার্কিং এর অভিযোগ আনা হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে, যে সমস্যাটা প্রাইভেট ভার্সিটিতে নাই। মোদ্দাকথা প্রাইভেট ভার্সিটির মার্কিং সিস্টেম অনেক লুজ।

৪) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের যে স্যাররা প্রাইভেটে ক্লাস নেয়, তাদের পাবলিকে ক্লাস নেয়া আর প্রাইভেটে ক্লাস নেয়ার মাঝে বিশাল ফারাক থাকে।পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কখনও কখনো ৭ দিনেও ৩ ক্রেডিটের একটা কোর্স শেষ করে পরীক্ষাপূর্ব ছুটির মধ্যে, কিন্তু প্রাইভেট ভার্সিটিতে ক্লাস রেগুলার হয় না এমনটা মনে হয় দেখাতে পারবে না কেউই।

৫) প্রাইভেট ভার্সিটিতে পড়া কিভাবে গুলে খাওয়ানো হয় তার সবচাইতে ভাল উদাহরণ গ্রীণ ভার্সিটির বিজ্ঞাপন- "যেভাবে শান্তা বুঝে- সেভাবে জেমস বুঝে না- তাই সবার জন্য স্পেশাল কেয়ার" এমন কেয়ার ফার্মের মুরগী ছাড়া আর কার লাগে বলেন? ;) [স্যরি এই পিনটার জন্য]

ইত্যাদি ইত্যাদি আরও হাজারো কারণে এখনো বাংলাদেশে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বাঁকা চোখে দেখে। তবে তাই বলে প্রাইভেটের ছাত্ররাও পিছিয়ে নেই। বরং একটু ভাল কেয়ার পেলে আমাদের তরুণরাও যে ভাল করতে পারে তার ভাল উদাহরণ হতে পারে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৩

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: শুরুতেই বলে নিচ্ছি, এই পোস্টের উদ্দেশ্য প্রাইভেট-পাবলিক ইউনি এর মানের তুলনা করা না। এই পোস্টের উদ্দেশ্য ছিল সব প্রাইভেট ইউনিকে এক কাতারে না রেখে প্রত্যেকটা ইউনিকেই সম্মান করার বিষয়ে। পাবলিকের কোন ছাত্রের নাম বলার সময় সেই ইউনি এর নাম বলা হয়। কিন্তু প্রাইভেট হলেই ঢালাওভাবে কেন বলা হবে “প্রাইভেটের ছাত্র”? আপনি কয়েকটা পয়েন্ট দিয়েছেন প্রাইভেট-পাবলিক ইউনি এর তুলনা করে। সবগুলাতেই যে এগ্রি করছি তানা, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ঠিক আছে।

১. কথা সত্যি। তবে এই জিপিএ এর যুগে টপ মেধাবী কে সেটা বের করা বেশ কঠিন। ভালো প্রাইভেট ইউনিগুলোতে পড়া অনেক ছাত্রের রেজাল্টই ডাবল এ+। তাঁদের মান নিশ্চয়ই খুব খারাপ না।
২. আবারও বলছি, “কোন” প্রাইভেট ইউনি? ভালো প্রাইভেট ইউনির প্রায় সব ছাত্রই কর্মক্ষেত্রে ভালো করছেন। আমি বা আমার ব্যাচের একজন ছাত্রও বেকার বসে নেই...সবার সাথে লড়াই করেই জায়গা করে নিতে হয়েছে।
৩. “মোদ্দাকথা প্রাইভেট ভার্সিটির মার্কিং সিস্টেম অনেক লুজ।” ব্যাপারটা ভালো প্রাইভেট ইউনিগুলোর ক্ষেত্রে সত্যি না। ভালো প্রাইভেট ইউনি বলতে আসলে বুঝাচ্ছি- NSU, EWU, Brac, IUB, AIUB ইত্যাদি। সবাই এ+ পাওয়ার মত পরীক্ষা দিবে না, সবাই পাবেও না। আর প্রাইভেট ইউনিতে এ+ পাওয়া প্রায় অসম্ভব। কারন এ+ পেতে হলে একজন ছাত্রকে প্রায় ৯৫%-৯৭% মার্কস পেতে হয়। দুনিয়া এত সোজা না ভাইসাহেব। এইসব ইউনিতে পড়ে এমন ছাত্রদের জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন তাঁদের মার্কিং কেমন হয়।
৪. প্রাইভেটে সেশনজট নাই, তাই ৭ দিনে কোর্স শেষ করার কোনই দরকার নাই। আর স্যারদের জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন, তাঁরা পাবলিক ইউনিতে ঠিকমতো যানই না...প্রাইভেটে ক্লাস নেন কারন টাকাকড়ি বেশী। এখানে টিচারদের Evaluation আছে। কেউ খারাপ পরালে তাঁকে আর ক্লাসই দেওয়া হয় না। এই কারনে পাবলিকের চেয়ে প্রাইভেটে পড়ানোর সময় স্যাররা বেশী সিরিয়াস থাকেন।
৫. আবারও বলছি, সব ইউনি একই মানের না। ঢাকা ইউনি আর জগন্নাথ যেমন এক না...সেরকম গ্রিন ইউনিকে যদি আপনি উপরে উল্লেখ করা ইউনি গুলোর সাথে একই পাল্লায় মাপেন তাহলে আমার আর আপনাকে বলার কিছুই নাই। আপনাকে আরও খোঁজখবর নিতে হবে এ বিষয়ে। ভালো থাকেন।

১৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:১০

স্বাধীন শোয়েব বলেছেন: নতুন ক্যাচাল হাজির করার জন্য ধন্য বাদ।


আরা সবাই বাালি ( বাংলাদেশী)। আমাদের ভেতর কোন জাতিভেদ নেই। কিন্তু তবুও সেটা করতে হবে।

আমাদের ভাগ হয়ে যাওয়ার স্টেপ গুলি দেখেন?

১। পালিক না প্রাইভেট?
যদি এক জায়গায় হয় তাহলে

২।কোন বিশ্ববিদ্যালয়?
সেইটাও যদি এক হয়া যায়,

৩। কোন সজেক্ট? ( প্রাইভেট এক্ষেত্রে কোন ক্যাম্পাস?)

সেইটাও যদি মিলে যায় তাহলে
৪। কোন কলেজ থেকে ইন্টার দিছে?

সেইটাও যদি মিলে যায়
৫। তাহলে কোন জেলা?

সেইটাও যদি মিলে যায় তাহলেও কিছু হবেনা। এত কিছু মিলে গেলে কেউ কি কারো থেকে আলাদা ভাবে?


ভগ্য ভালো আফ্রিকা না, নইলে জাতিভেদের কারনে এইদেশ নরক বানায়ে ফেলতাম আরা।

আমি পাস করেছি পাবলিক থেকে। কলেজ এর বন্ধু মহলের প্রায় সবাই প্রাইভেটে পড়েছে। সবাই প্রতষ্ঠিত।

ভাই ভার্সিটি থেকে বের হয়ে কেউ কি না খেয়ে থাকে। হুদাই ক্যাচাল না করলে আমাদের পেটের ভাত হজম হয়না। খাওয়ার পর ক্যাচাল বটিকা খেতে হয় আমাদের।

চিন্তা করছি একটা ক্যাচাল বটিকা এর প্যাটেন্ট নিমু।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৭

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: আমি ক্যাচাল করার উদ্দেশে পোস্টটা দেইনি। পোস্টটা পরলে এবং কমেন্টগুলা পরলে সহজেই যে কেউ বুঝবে যে আমি আসলে প্রাইভেট-পাবলিক ইউনি এর মানের কোন তুলনা করিনি।

পাবলিকে পড়া একটা ছাত্র তার ইউনি এর নামে পরিচিত হলে প্রাইভেটে পড়া একটা ছাত্র কেন সেটা পাবে না? এই বিভাজন করা অন্যায়। সেটাই আমি বলছি। প্রাইভেটের অনেক ছাত্র অনেক ভালো করছেন কর্মক্ষেত্রে, মামা চাচার জোরে বড়জোর চাকরি পাওয়া যায়...ভালো করতে হলে তার নিজের ভিতরে কিছু থাকতে হয়। এখন ভেবে দেখেন ব্যাপারটা।

১৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৪

মরু পেঁচা বলেছেন: অন্য দেশের অবস্থা থেকে বাংলাদেশের প্রাইভেট ভার্সিটির অবস্থা যাচাই না করাই ভাল। বাংলাদেশের উপরের দিকের বেশ কিছু প্রাইভেট ভার্সিটির কোর্স কারিকুলাম উন্নতমানের। তবে কোর্স ম্যাটেরিয়াল কিন্তু খুবই সামান্য ! যাকে বলে টপিক টাচ করে যাওয়া ! যার ফলে এই বিশ বছরেও বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর বিশেষ ভাবে নাম করতে পারেনি। (দেশের মানুষের কথা বাদ দিলাম, বিদেশেও কিন্তু বাংলাদেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর অবস্থা শোচনীয়।) তবে চিন্তার কিছু নেই। একদিন না একদিন পরিবর্তন আসবেই। হয়তো দু-একটা প্রজম্ন লেগে যাবে

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১১

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: যাক কারিকুলাম নিয়ে আপনার কথাটা ভালো লাগলো। কোর্স ম্যাটেরিয়াল টাচ করে যাওয়া ব্যাপারটা পুরোপুরি মানতে পারলাম না ভাই। তবে ৪-৬ মাসের সেমিস্টার হওয়াতে অনেক ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা হয় স্বীকার করছি। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে আসার পর অন্যান্য নামী পাবলিক ইউনির ছাত্রদের সাথে নিজের knowledge এর তুলনা করার পর আমি কিন্তু সেরকম কিছুই পাইনি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পাবলিকের কারিকুলাম বরং আধুনিক নয়। তবে সেটা বড় কোন সমস্যা না, এই ইন্টারনেট এর যুগে তথ্য পাওয়া কোন কঠিন ব্যাপারনা! ইচ্ছা থাকলেই হয়। প্রাইভেট ইউনিগুলোর পরিনত হতে হয়তো আরও কিছু সময় লাগবে, ধন্যবাদ।

১৮| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩০

ক্লান্তিহীন পথচারী বলেছেন: কিছু ফিল্ড যেমন বিবিএ তে ব্রাক, এন এস ইউ এর প্রাইভেট গুলো অনেক এগিয়েছে, পাবলিক এর থেকে তাদের বিবিএ এর মান কোনো অংশে কম না। সায়েন্সের সাবজেক্টগুলোতে এখনো প্রাইভেট অনেক পিছিয়ে। মূল সমস্যা ল্যাবগুলো বেশির ভাগই এখনো তৈরি না। সব মিলিয়ে শক্ত হয়ে দাড়াতে কিছু প্রাইভেট এর আরো ২-৩ দশক লাগবে আমি মনে করি। দেশের বেশির ভাগ পাবলিকের ৫০-১০০ বছরের শিক্ষাদানের ঐতিহ্য আছে। এই ঐতিহ্যকে তো একদিনে টপকানো সম্ভব নয়।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১৬

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: সহমত। বিবিএ এর ক্ষেত্রে এখনই আপনি ভালো প্রাইভেট গুলোকে যেকোনো পাবলিকের সাথে তুলনা করতে পারবেন। তবে বিজ্ঞানের বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে প্রাইভেট এখনও বেশ পিছিয়ে আছে, মেইন সমস্যা হচ্ছে এই সাবজেক্ট গুলো খুবই ব্যয়বহুল। তবে আমি নিজে কয়েকটা প্রাইভেট ইউনির ল্যাব ফ্যাসিলিটি দেখে অবাক হয়েছি, এমনকি অত্যন্ত দামি ইন্সট্রুমেন্ট পর্যন্ত সেখানে আছে! তবে দেশের বেশির ভাগ পাবলিকের ৫০-১০০ বছরের শিক্ষাদানের ঐতিহ্য আছে। এই ঐতিহ্যকে তো একদিনে টপকানো সম্ভব নয়। আবারও সহমত পোষণ করলাম।

১৯| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৫

pirojpurer_pola বলেছেন: বিশ্বপ্রেমিক বলেছেন: প্রাইভেট ভার্সিটিতে পড়লেই যে খারাপ তা অবশ্যই নয়। কিন্তু কিছু কিছু ব্যাপারে প্রাইভেট ভার্সিটি কখনই পাবলিক ভার্সিটির সাথে পারবে না- আর তা হলঃ

১) টপ মেধাবীদের কখনই পাবলিক ভার্সিটি ছেড়ে প্রাইভেট ভার্সিটিতে টানতে পারবে না।

২) প্রাইভেট ভার্সিটির স্টুডেন্টরাও অনেক ভাল করছে। কিন্তু শতকরা হিসেবে দেখলে তার পরিমাণ খুবই নগণ্য। পাবলিক ভার্সিটিতে এক ব্যাচে যত স্টুডেন্ট থাকে তার প্রায় সবাই ভাল কোন পজিশন করে নিতে সমর্থ। অন্যদিকে প্রাইভেট ভার্সিটিতে এই হার খুবই নগণ্য।

৩) পাবলিক ভার্সিটতে ভাল রেজাল্টের জন্য যে পরিশ্রম করতে হয়, প্রাইভেট ভার্সিটিতে তা হয় না। পাবলিক ভার্সিটিতে কোন সাবজেক্টে যদি সবাই এ প্লাস এর মতও পরীক্ষা দেয়, তবুও স্যাররা সবাইকে এ প্লাস দেন না- কারণ মাত্রারিক্ত এপ্লাস বা ভাল ফল করলে সেক্ষেত্রে সেই কোর্স টিচারের বিরূদ্ধে বাজে মার্কিং এর অভিযোগ আনা হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে, যে সমস্যাটা প্রাইভেট ভার্সিটিতে নাই। মোদ্দাকথা প্রাইভেট ভার্সিটির মার্কিং সিস্টেম অনেক লুজ।

৪) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের যে স্যাররা প্রাইভেটে ক্লাস নেয়, তাদের পাবলিকে ক্লাস নেয়া আর প্রাইভেটে ক্লাস নেয়ার মাঝে বিশাল ফারাক থাকে।পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কখনও কখনো ৭ দিনেও ৩ ক্রেডিটের একটা কোর্স শেষ করে পরীক্ষাপূর্ব ছুটির মধ্যে, কিন্তু প্রাইভেট ভার্সিটিতে ক্লাস রেগুলার হয় না এমনটা মনে হয় দেখাতে পারবে না কেউই।

৫) প্রাইভেট ভার্সিটিতে পড়া কিভাবে গুলে খাওয়ানো হয় তার সবচাইতে ভাল উদাহরণ গ্রীণ ভার্সিটির বিজ্ঞাপন- "যেভাবে শান্তা বুঝে- সেভাবে জেমস বুঝে না- তাই সবার জন্য স্পেশাল কেয়ার" এমন কেয়ার ফার্মের মুরগী ছাড়া আর কার লাগে বলেন? ;) [স্যরি এই পিনটার জন্য]

ইত্যাদি ইত্যাদি আরও হাজারো কারণে এখনো বাংলাদেশে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বাঁকা চোখে দেখে। তবে তাই বলে প্রাইভেটের ছাত্ররাও পিছিয়ে নেই। বরং একটু ভাল কেয়ার পেলে আমাদের তরুণরাও যে ভাল করতে পারে তার ভাল উদাহরণ হতে পারে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়।
......................................
#....................................#
১।টপ বলতে আপনি কি বুঝাতে চাচ্ছেন?
সব পাবলিক ই কি যেকোনো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে টপ মেধাবী সম্পন্ন । অনেকে ই তো কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা না দিয়ে সরাসরি প্রাইভেট ভার্সিটিতে ভর্তি হচ্ছে, তাদের মেধাকে আপনি কিভাবে বিচার করবেন?
২।আপনি সকল প্রাইভেট ভার্সিটিকে এক পাল্লায় হিসেব করতেছেন, আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েটদের সফলতার সাথে আপনার ধারনার মিল নেই । তাই আপনার সাথে একমত হতে পারলাম না ।
৩।এইটা সবচেয়ে হাস্যকর লাগলো । শীর্ষস্থানীয় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখপড়ার চাপ সম্পর্কে আপনি আসলে কিছুই জানেন না । আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনি একটা সেমিস্টার পড়লে আপনার ভুল ধারনা ভাঙত । মার্কিং সিস্টেম লুজ...!!!!!!! আমার ভার্সিটিতে তো শতকরা ২% কে ও A+ দেওয়া হয় না । আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এক বিষয়ে সর্বোচ্চ A+ পেয়েছে ৪ জন (১০০ জন এর মধ্যে) । অনেক সেমিস্টার এ ই এমন অনেক বিষয় ছিল যাতে কেউই A+ পায়নি । আমার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরা ৩.৮০+ পায় । আর আমার ৩.০০ পেতে ই কস্ট হয়। আমি জানি যে তারা আমার চেয়ে কতটা বেশী মেধাবী......!!!
৪। ক্লাস রেগুলার হওয়াটা কি খারাপ?
৫। সব বিশ্ববিদ্যালয় গ্রীন ইউনিভার্সিটি না ।একটা কথাই বলব যে আমরা বই পড়ে, শিখে পাশ করি ।
নোট পড়ে না ।
.....................................................................
সর্বপোরি একটা কথাই বলব যেমন ই হোক না কেন নাম বলতে সমস্যা কোথায়...............????

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২১

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন। ধন্যবাদ সেজন্য। ভালো প্রাইভেটে এ+ পাওয়া প্রায় অসম্ভব, কারন সেটা পাওয়ার জন্য আপনাকে ৯৫%-৯৭% পর্যন্ত মার্কস পেতে হবে। কিন্তু পাবলিকে এ+ এর জন্য ৮০% মার্কসই যথেষ্ট। আপনার সবগুলো পয়েন্টেই একমত।

সব বিশ্ববিদ্যালয় গ্রীন ইউনিভার্সিটি না, সেটা অবশ্য তারাও জানেন। কিন্তু স্বীকার করতে চান না। আশাকরি আমরা সবাইকে প্রাপ্য সম্মান করতে শিখব।

২০| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০০

ক্লান্তিহীন পথচারী বলেছেন: বিশ্বপ্রেমিক বলেছেন: ৫) প্রাইভেট ভার্সিটিতে পড়া কিভাবে গুলে খাওয়ানো হয় তার সবচাইতে ভাল উদাহরণ গ্রীণ ভার্সিটির বিজ্ঞাপন- "যেভাবে শান্তা বুঝে- সেভাবে জেমস বুঝে না- তাই সবার জন্য স্পেশাল কেয়ার" এমন কেয়ার ফার্মের মুরগী ছাড়া আর কার লাগে বলেন? ;) [স্যরি এই পিনটার জন্য]


হেহে, পোস্ট এর মেইন টপিক কিন্তু এই জিনিটার বিরুদ্ধেই ছিল =p~ যে, প্রাইভেট ইউনির সবগুলোকে এক পাল্লায় না মেপে আলাদা আলাদা ইউনি হিসাবে বিবেচনা করতে। এখন যদি আমি ইডেন এর মানের সাথে ডি ইউ এর মান তুলনা করি সেটা কি উচিত হবে? টেকনিক্যালি দুইটাই কিন্তু পাবলিক প্রতিষ্টান।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২২

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: হাহাহা! মজার একটা উদাহরন দিলেন। সব পাবলিক যেমন এক না, তেমনি সব প্রাইভেটও এক না। কবে যে আমরা অন্যকে তার প্রাপ্য সম্মান দিতে শিখব?? :P

২১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৬

বইয়ের পোকা বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয় তো বিশ্ববিদ্যালয়ই। কিছু প্রাইভেট ইউনির মান খারাপ বলে সবাইকে আলাদা করে 'প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়' উল্লেখ করতে হবে, এর কোনো যৌক্তিকতা নেই। প্রাইভেটের ছেলেরাও তো ভালো করছে, সেটা পাবলিকের ছাএরা এখনো স্বীকার করতে চাচ্ছে না!!! কিছুদিন আগেইতো শুনলাম ব্র্যাক এর ছেলেরা ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি ডিবেট প্রতিযোগিতায় নন ইংলিশ স্পিকিং গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হলো। এটাতো একটা মাএ উদাহরণ, এরকম আরো বহু আছে।

ভালো মন্দ সব জায়গায় আছে, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে আরো টাইম দিতে হবে। আজকের ভালো সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় গুলা কিন্তু ৫/১০ বছরেই ভালো হয়ে যায় নাই।

যারা বলে প্রাইভেটে পড়াশুনা হয় না, তারা ন জেনেই বলে এসব। মানুষের কাছে শুনে শুনে ঐরকম ধারণা হয়ে গেছে।

এই ভুল ধারনা আমাদেরই ভাঙতে হবে কর্মক্ষেএে নিজেদের যোগ্যতার মাধ্যমে। আমি আত্নবিশ্বাসের সংগে বলতে পারি, আমার সাথে একই সাবজেক্টে পাবলিকে পড়া একটা স্টুডেন্ট যা পড়েছে, আমি অন্তত তার চাইতে কম পড়ি নাই।

আমদের মিডিয়াই সবচেয়ে বেশী দায়ী 'বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়' এভাবে বিভাজন করার জন্য। তাদের সব খবরে তারা এইরকম ভাবে বলে থাকে ।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৮

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: চমৎকার মন্তব্য করেছেন, আপনার সাথে সহমত। দেখবেন প্রাইভেট ইউনিগুলোও অনেক ভালো করবে ভবিষ্যতে। আমাদের মিডিয়াই আসলে খারাপ, এদের কারনেই এইরকম বিভাজন তৈরি হয়েছে। সব প্রাইভেট ইউনিকে এক পাল্লায় না মেপে আলাদা আলাদা ইউনি হিসেবে সম্মান করা উচিৎ। ধন্যবাদ।

২২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৭

htusar বলেছেন: বেহুদা প্যাচাল। প্রাইভেট প্রাইভেটই। যে লোক কৃষিকাজ করে,দিন মজুরি করে ; সে তার মেধাবি ছেলেকে কোন প্রাইভেটে পড়াবে? একটা-দুইটা ছাড়া বেশিরভাগ প্রাইভেটই সার্টিফিকেটের দোকান;কোনটা মুদি দোকান(দারুল-কম দামেই দিয়ে দেয়),কোনটা মনিহারী দোকান(বেশি দামে কেনা লাগে)।যারা ১.৫-২ লাখের সাথে প্রতিযোগিতা করে ভর্তি হয়,তাদের মেধাবি বলবো নাকি যারা ৪০০-৫০০ এর সাথে প্রতিযোগিতা করে তাদের বলবো ? আর যার প্রতিভা আছে সে সেতার প্রকাশ ঘটাবেই;তা যেখানেই পরুক। জাতীয় বিশ্ব. থেকে প্রতিবছর সবচেয়ে বেশী ছাত্র-ছাত্রী বের হয়। মোটামুটি সবাই কিছু না কিছু করতেসে। তার মানে কি? তাদের সবাই মেধাবী? পাবলিকে পরতে যোগ্যতা লাগে;ওখানে বাপের টাকা থাকলেই পড়া যায় না।


(গালি দিতে চাইলে দেন;কিন্তু সত্য সবসময়ই সত্য। এখানের বেশিরভাগ মন্তব্যকারিই মনে হইতেসে প্রাইভেটের। বেশিরভাগ বাবা মা-ই চায় তার ছেলে-মেয়ে পাবলিকে পরুক,বাল-ছালে না।আমরা আর কিছু পারি- না পারি, বাবা -মার এই ইচ্ছা পূরণ করতে পারসি।সবার সেই যোগ্যতা থাকে না।)

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: মোটামুটি সব পাবলিক ইউনির ছাত্রের মধ্যে একটা জিনিশ দেখলাম, ইউনিভার্সিটি সম্পর্কিত যেকোনো আলোচনা হলেই সেটাকে টেনে টেনে তাঁরা ভর্তি পরীক্ষায় নিয়ে যান, যেন এইটা ছাড়া মেধা যাচাই করার আর কোন উপায়ই নাই! হাহাহা :D

জি ভাই আপনার সাথে একমত, দারুল ইহসান বা গ্রিন বা ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি আর নর্থ সাউথ, ইস্ট ওয়েস্ট, ব্র্যাক, আইইউবি একই মানের। হইসে এইবার আপনি খুশি? সব প্রাইভেটের ছাত্ররাই টাকা দিয়ে সার্টিফিকেট কিনে, কোন ক্লাস বা পরীক্ষা দিতে হয়না। প্রাইভেটে পড়া সব ছাত্র গাধা, অযোগ্য, এমনকি সেইসব ইউনির কোন নামই নাই। বাল-ছাল ইউনি একেকটা। আপনারা পাবলিকে পড়ে বাবা মায়ের ইচ্ছা পূরণ করসেন (তাঁদের জীবনের একমাত্র ইচ্ছাই হচ্ছে তাঁদের ছেলেরা পাবলিকে পরুক, এরপর জীবনে প্রতিষ্ঠা পাওয়া না পাওয়া ব্যাপার না), আর প্রাইভেটে পড়ে আমরা তো তাঁদের মান ডুবাইসি। আপনি মহান ভাই। পায়ের ধুলা দিয়া যান, আমরা প্রাইভেটের কুলাঙ্গাররা সেইটা নিয়ে ধন্য হই! :D :P

২৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:২৪

বিশ্বপ্রেমিক বলেছেন: ভাইসকল,
কোন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়কে খোঁচা দেওয়া আমার উদ্দেশ্য নয়। ব্র্যাক, আহসানউল্লাহ, নর্থসাউথ- যেটার কথাই বলেন, আমার দেখাতে যেমন দেখেছি তেমনটাই বললাম। আর দেখার মধ্যে খারাপ এর সংখ্যাই বেশি। অনেক পাবলিক ভার্সিটির চাইতে আপনারা দাবি করতে পারেন যে ব্র্যাক-আহসানউল্লাহ-নর্থসাউথ ভাল, তবে সেটা আপনাদের দৃষ্টিতে, বাস্তবে না। বিশ্ববিদ্যালয় মানে কখনই কিন্ডারগার্ডেন বা প্রাইমারী স্কুল নয় যে পড়াশুনা গুলিয়ে গুলিয়ে খাওয়ানো হবে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক ডাবল গোল্ডেন এ প্লাস ভর্তি হতে পারে- কিন্তু ডাবল এ প্লাস পেলেই যে সে জিনিয়াস তা ভাবার কোনই কারণ নেই। কিছুদিন আগে ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে প্রথম আলোর রিপোর্টে দেখলাম এ প্লাস প্রাপ্তদের অধিকাংশই নাকি ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় পাশই করতে পারেনি। এটা শুধু ঢাবির কথা গেল- অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থাও একই। সুতরাং একথা কখনই বলা যাবে না যে একটা ছেলে ডাবল এ প্লাস পেল, আর সে চরম জিনিয়াস হয়ে গেল। আইকিউ জিনিসটা আলাদা- যেটা রেজাল্ট দিয়ে মাপা যায় না। আর আমরাও এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছি- কোন কোন প্রশ্ন আসবে স্যারদের পরীক্ষার আগে সাজেশন দিতে দেখেছি, আর সেই সাজেশন দেখে একগ্রুপকে ডাবল এ প্লাসও পেতে দেখেছি। কিন্তু যাদের সত্যিকার মেধাবী হিসেবে জানতাম- তারাই আজ ইঞ্জিনিয়ারিং-মেডিকেল-পাবলিক ভার্সিটির মত যায়গায় পড়াশুনা করছে। আর যাদের বাপের টাকার জোর ছিল- তারা ভাল প্রাইভেটে টপ সাবজেক্টে পজিশন করে নিয়েছে।

ভাল প্রাইভেটের অনেক স্টুডেন্টই দাবি করেন যে তাদের ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে চান্স পেতে হয়- তাদেরও অনেক প্রতিযোগীতার সম্মুখীন হতে হয় প্রাইভেট ভার্সিটিতে ভর্তির জন্য- তাদের কাছে প্রশ্নঃ তবে কেন তারা পরীক্ষা দিয়ে পাবলিকে ভর্তি হয় না? যেহেতু তারা দাবি করে যে প্রাইভেটে তাদের অনেক কষ্ট করে ভর্তি হতে হয়- তাই আমার এমনটা বলা। কষ্টই যখন করবেন- তবে অবশ্যই পাবলিক ভার্সিটি ছেড়ে প্রাইভেট ভার্সিটিতে কেন?

প্রাইভেট ভার্সিটির স্টুডেন্টদেরকে পাবলিক ভার্সিটির স্টুডেন্টরা বাঁকা চোখে দেখার আর একটা কারণ হলো দেশের জব মার্কেট নষ্টে এদের অবদান। এটা স্টুডেন্টদের দোষ দিয়ে লাভ নাই, এর দোষ প্রাইভেট ভার্সিটির অথরিটি এবং ইউজিসির। একটা প্রাইভেট ভার্সিটি যদি বছরে তিনটা সেমিস্টারে একটা সাবজেক্টেই ছাত্র ভর্তি করায় তাহলে দেশে জব ভ্যাকান্সি থাকে কিভাবে? এতে করে ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেক্টরে জবের স্যাচুরেটেড একটা অবস্থা চলে আসছে আস্তে আস্তে। এখন পাশ করে চাকুরী পাওয়া যে কতটা কঠিন পর্যায়ে চলে যাচ্ছে তা যারা চাকুরী খুঁজছে তারাই ভাল জানে। AIUB এর ইলেক্ট্রিক্যাল থেকে পাশ করা এক বন্ধুকে যখন দেখি ৪-৫ হাজার টাকা বেতনে চাকুরীতে জয়েন করে, তখন আর কি বলার থাকে? সেখানে আমি যতই উপযুক্ত হয় ঐ পজিশনের জন্য আমাকে কেন ১৫-২০ হাজার টাকায় সে নিবে? তাহলে কেন আমি বাঁকা চোখে প্রাইভেট ভার্সিটিকে দেখব না?

আর ফার্মের মুরগীর ব্যাপারটা আপনি ধরতে পারেন নাই। রেগুলার খাবার দাবার যেমন ফার্মের মুরগীকে দেয়া হয়, ঠিক তেমনি রেগুলার ক্লাশ-পরীক্ষা প্রাইভেট ভার্সিটিতে হয় বলেই সবাই অমনটি বলে থাকেন। ঠিক যেমন ক্লাসের অতি সিরিয়াস ছেলে/মেয়েটিকে সবাই আতেল বলে সম্বোধন করেন, ব্যাপারটা সেইরকমই আর কি।

আর ক্লাসে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্যারদের ভাড়া করে নিয়ে গিয়ে রেগুলার ক্লাস করানোর মধ্যে বাহাদুরির কিছু দেখি না। কারণ যেসব বিশ্ববিদ্যালয় এখনও মেরুদন্ডহীন হয়ে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর নির্ভরশীল, তাদের আর যাই হোক, কখনই খুব ভাল চোখে দেখা যায় না।

পরীক্ষায় ভাল মার্কিং, ক্লাসে পড়ানো ইত্যাদি ইত্যাদি ব্যাপারে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর অভিজ্ঞতার কথা- ঐখানে রেগুলার ক্লাস নেয়া স্যারদের মুখেই শোনা। স্যাররা নিশ্চয়ই আর পাবলিক স্ট্যান্ডার্ড ক্লাস + পরীক্ষা + মার্কিং করতে যেয়ে তাদের ব্যাবসার ক্ষতি করবেন না। :)

বেশ কয়েকজন বন্ধু + বড় ভাই আছেন বেশ কয়েকটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতায়। আপনি/আপনারা যেসকল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কিছু কিছু পাবলিক ভার্সিটির চেয়েও ভাল দাবি করেন- সেসকল হয়তো মন্দের ভাল, কিন্তু সার্বিক বিবেচনায় অবশ্যই পাবলিকের সাথে পাল্লা দেবার মত নয়।

ভাল স্টুডেন্ট সবসময়ই ভাল, সে পাবলিকেই পড়ুক আর প্রাইভেটেই, আর খারাপ আসমানে গেলেও খারাপ। অনেক মেধাবীই দূর্ভাগ্যক্রমে/ সামর্থ্য থাকায় নিজের ইচ্ছাই সটকে পড়েন প্রতিযোগীতা থেকে, আর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে তাদের অনেকেই ভাল অবস্থান করছেন। সেদিক থেকে আমি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে পজিটিভলিই দেখি। কিন্তু খারাপ লাগে বছরে তিন সেমিস্টারে ছাত্র ভর্তি করে ইঞ্জিনিয়ার আর বিজনেস গ্রাজুয়েট দিয়ে দেশটাকে ভরাতে দেখে, দেশে যেন আর অন্য কোন বিষয়ের গ্রাজুয়েটের দরকারই নাই।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২৬

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: দেখেন, আমি এই পোস্ট পাবলিক আর প্রাইভেট ইউনি এর তুলনা করার জন্য দেই নাই। আমার উদ্দেশ্য ছিল সব প্রাইভেট ইউনিকে গনহারে “বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়” বলা ঠিক না। কিন্তু পাবলিকের ছাত্ররা টেনে টেনে আবার সেই পুরানো ক্যাচালে নিয়ে যাচ্ছেন। প্রাইভেট ইউনিতে সব গাধারা পড়ে, পাবলিকে সব আইনস্টাইনরা পড়ে।
“অনেক পাবলিক ভার্সিটির চাইতে আপনারা দাবি করতে পারেন যে ব্র্যাক-আহসানউল্লাহ-নর্থসাউথ ভাল, তবে সেটা আপনাদের দৃষ্টিতে, বাস্তবে না।” আমি কখনও সেই দাবি করি নাই, আমার পোস্টটা পড়ে দেখেন। আমি বলসি ইউনি এর চেয়ে একজন ছাত্র নিজে বেশী গুরুত্বপূর্ণ। পাবলিকের সব ছাত্রের মান কি সমান নাকি? এই ভালো খারাপের তুলনায় আমার যাওয়ার কোন ইচ্ছাই নাই। তবে আপনারা নিয়ে যাচ্ছেন।
আমি কখনও বলি নাই যে পাবলিক ইউনির ছাত্ররা খারাপ, অবশ্যই তাঁরা ভালো। তাঁরা ভর্তিযুদ্ধে “জয়লাভ” করেই ইউনিতে চান্স পেয়েছেন। তবে আপনিও জানেন যে পাবলিক ইউনিতে সিট অনেক কম থাকায় অনেক ভালো ছাত্রও বাদ পড়ে যেতে পারেন। কারন মাত্র একটাই পরীক্ষা দিয়ে আপনি একটা ছাত্রের মান যাচাই করতে পারবেন না। এছাড়া আছে সেশনজট এড়ানো, পলিটিক্স এড়ানো, পছন্দের সাবজেক্টে পড়ার ইচ্ছা ইত্যাদি ইত্যাদি। এর ফলে অনেকেই (আমি নিজেও) কোন পাবলিক ইউনিতে পরীক্ষা দেইনি। আমার চেয়ে অনেক খারাপ ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও আমার অনেক বন্ধু পাবলিকে বাংলা, গনপ্রশাসন, এরকম সাবজেক্টে পরেছে...আমি চাইলেই সেটা পারতাম, কিন্তু চাইনি। এর মানে কি আমি ওদের চেয়ে খারাপ হয়ে গেলাম? পড়াশুনা শেষ করার পর দেশের সেরা সেরা ইউনির ছাত্রদের সাথে প্রতিযোগিতা করেই নিজের ক্যারিয়ার শুরু করতে হয়েছে। এখন পর্যন্ত চারটা কোম্পানিতে অ্যাপ্লাই করে একটাতেও ব্যার্থ হইনি। গড়ে প্রতিযোগিতা করতে হয়েছে ২০০+ পাবলিক-প্রাইভেটের ছেলেদের সাথে। শুধুমাত্র পাবলিক ভার্সিটিতে চান্স পাওয়া না পাওয়াতেই জীবন সীমাবদ্ধ না, এই বোধটা আমাদের হওয়া উচিৎ।
জব মার্কেট এখন কঠিন, কিন্তু ভালোরা কিন্তু বসে নেই...ঠিকই নিজেদের জায়গা করে নিয়েছেন। “AIUB এর ইলেক্ট্রিক্যাল থেকে পাশ করা এক বন্ধুকে যখন দেখি ৪-৫ হাজার টাকা বেতনে চাকুরীতে জয়েন করে”...আমি এরকম কখনও শুনিনি, বিশ্বাস করা একটু কঠিন। নিয়মিত ক্লাস হওয়া কি খারাপ নাকি? পাবলিকের ছাত্রদের একটা জিনিশ খুব চোখে লাগে, অন্যকে সম্মান দেওয়ার কোন ইচ্ছাই যেন তাঁদের নেই। এই যে আপনি বললেন “মেরুদণ্ডহীন”, কথাটা কি ঠিক বললেন? প্রাইভেট ইউনি এখনও নতুন, তাঁদের তো সময় দিতে হবে। মেরুদণ্ডহীন বললে তো সেইসব স্যারদের বলেন, যারা টাকার লোভে প্রাইভেটে ক্লাস করান কিন্তু পাবলিকে ছুটি নেন।
মার্কিং নিয়ে কিছু বলে লাভ নাই, আপনারা বিশ্বাস করবেন না। শুধু একটা কথাই বলি, ভালমতো খোঁজখবর নিয়েন ভালো প্রাইভেট ইউনিগুলোতে কীভাবে মার্কিং করা হয়। অবাক হয়ে যাবেন জানলে, ছেলেমেয়েরা অনেক কষ্টে গ্রেড তোলার চেষ্টা করে...এত সহজ না ব্যাপারটা। আপনার লাস্ট প্যারার সাথে একমত।

২৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:২০

ক্লান্তিহীন পথচারী বলেছেন: -কোন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়কে খোঁচা দেওয়া আমার উদ্দেশ্য নয়। ব্র্যাক, আহসানউল্লাহ, নর্থসাউথ- যেটার কথাই বলেন, আমার দেখাতে যেমন দেখেছি তেমনটাই বললাম। আর দেখার মধ্যে খারাপ এর সংখ্যাই বেশি। অনেক পাবলিক ভার্সিটির চাইতে আপনারা দাবি করতে পারেন যে ব্র্যাক-আহসানউল্লাহ-নর্থসাউথ ভাল, তবে সেটা আপনাদের দৃষ্টিতে, বাস্তবে না।

# আপনার ধারনা দেশের প্রতিটা পাবলিক ইউনি প্রথম সারির প্রাইভেট থেকে ভালো? /:) সায়েন্সের ব্যাপারে বলতে পারব না। কিন্তু কমার্সের ব্যাপারে সত্য না। আমার দেখামতে। যাই হোক, এই ব্যাপারে আসলে আপনি আমি কেউই নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারব না। নিজ নিজ ব্যক্তিগত মত দেয়া ছাড়া। কারণ এই বিষয় নিয়ে কোনো গ্রহণযোগ্য গবেষণা হয়েছে বলে আমার জানা নেই।

-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক ডাবল গোল্ডেন এ প্লাস ভর্তি হতে পারে- কিন্তু ডাবল এ প্লাস পেলেই যে সে জিনিয়াস তা ভাবার কোনই কারণ নেই।

# কথা সত্য, আমাদের এস এস সি, এইচ এস সি একটা প্রহসন ছাড়া কিচ্ছু নাহ। কিন্তু জিনিয়াস কোন পরীক্ষা দ্বারা যাচাই হয় আমাদের দেশে? পাবলিকের ভর্তি পরীক্ষা দ্বারা? সেটা তো আরো বেশি ত্রুটিপূ্ণ। উদাহরণ দেই একটা, এবার আই বি এ তে ১১০০০ পরীক্ষা দিয়েছে, ভাইভার জন্যে ডাকা হয়েছে ১৮০ জনকে। তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম ১১০০০ এর মধ্যে ১০০০০ জনই একদম ফালতু ছাত্র। তারা পড়াশোনাও করেনি ঠিকমতন। বাকি যে ১০০০ জন ছিল তাদের মধ্যে অন্তত ৮০০-৯০০ জন আছে যারা চান্স পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু সিট মাত্র ১৮০ টা। সেই ১৮০ জন কিভাবে নির্ধারিত হয়? সম্ভবত লিখিত অংশের ভগ্নাংশ নাম্বারের ব্যবধানে। এইটুকুর ব্যবধান কতটুকু মেধা আর কতটা ভাগ্য? আপনি যত ইচ্ছা পড়তে পারেন, কিন্তু ভাগ্যের ছোয়া ছাড়া চান্স পাবেন না। কেউ সেই ছোয়াটা পায়, কেউ পায় না। তো তারপরে এই ছাত্ররা কোথায় যায়? কিছু যায় জে ইউ আই বি এ তে বা অন্যান্য বি ইউনিট , ডি ইউ এর বিজনেস ফ্যাকাল্টিতে ইত্যাদিতে। আর একটা অংশ যায় ব্রাক, এন এস ইউ তে। যাদের প্রাইভেট পড়ানোর সামর্থ্য আছে। কাজেই এটা বলার কোনোই উপায় নেই যে, প্রাইভেটে ভালো ছাত্ররা আসে না। অন্তত আমার ব্যাচের বেশিরভাগ মিডিয়াম এবং ভালো মানের ছাত্র এইসব প্রাইভেটেই পড়ছে। বিশেষত যারা বি বি এ তে পড়ছে।

কিন্তু যাদের সত্যিকার মেধাবী হিসেবে জানতাম- তারাই আজ ইঞ্জিনিয়ারিং-মেডিকেল-পাবলিক ভার্সিটির মত যায়গায় পড়াশুনা করছে।

# এই কথাটাও এখন আর পুরো সত্য নয়। উপরে যেইরকম বল্লাম, আমাদের কোনো পরীক্ষাতেই মেধার থাকলে হয় না, ভাগ্যের ভীষণ ছোয়া লাগে। আমি অনেককে অনেক ভালো স্টুডেন্ট হওয়া স্বত্তেও প্রাইভেটে পড়তে দেখেছি।

- প্রাইভেট ভার্সিটির স্টুডেন্টদেরকে পাবলিক ভার্সিটির স্টুডেন্টরা বাঁকা চোখে দেখার আর একটা কারণ হলো দেশের জব মার্কেট নষ্টে এদের অবদান। এটা স্টুডেন্টদের দোষ দিয়ে লাভ নাই, এর দোষ প্রাইভেট ভার্সিটির অথরিটি এবং ইউজিসির। একটা প্রাইভেট ভার্সিটি যদি বছরে তিনটা সেমিস্টারে একটা সাবজেক্টেই ছাত্র ভর্তি করায় তাহলে দেশে জব ভ্যাকান্সি থাকে কিভাবে? এতে করে ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেক্টরে জবের স্যাচুরেটেড একটা অবস্থা চলে আসছে আস্তে আস্তে। এখন পাশ করে চাকুরী পাওয়া যে কতটা কঠিন পর্যায়ে চলে যাচ্ছে তা যারা চাকুরী খুঁজছে তারাই ভাল জানে। AIUB এর ইলেক্ট্রিক্যাল থেকে পাশ করা এক বন্ধুকে যখন দেখি ৪-৫ হাজার টাকা বেতনে চাকুরীতে জয়েন করে, তখন আর কি বলার থাকে? সেখানে আমি যতই উপযুক্ত হয় ঐ পজিশনের জন্য আমাকে কেন ১৫-২০ হাজার টাকায় সে নিবে? তাহলে কেন আমি বাঁকা চোখে প্রাইভেট ভার্সিটিকে দেখব না?

# কেন দেখবেন? আপনি যে সমস্যার কথা বল্লেন তা হল যত স্টুডেন্ট বাড়ছে তার তুলনায় চাকরি বাড়ছে না। এর পেছনে প্রাইভেটদের প্রতি আলাদাভাবে রাগার কি আছে? হ্যা কম্পিটিশন বাড়ছে, কিন্তু তার পেছনের মূল কারণ হল চাকরি কম তৈরি হওয়া। বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা খুব খারাপ, নতুন চাকরি তৈরির সংখ্যা খুব কম, এখানে আসল দায়ী হল সরকার। প্রাইভেট ইউনি না।

-আর ফার্মের মুরগীর ব্যাপারটা আপনি ধরতে পারেন নাই। রেগুলার খাবার দাবার যেমন ফার্মের মুরগীকে দেয়া হয়, ঠিক তেমনি রেগুলার ক্লাশ-পরীক্ষা প্রাইভেট ভার্সিটিতে হয় বলেই সবাই অমনটি বলে থাকেন। ঠিক যেমন ক্লাসের অতি সিরিয়াস ছেলে/মেয়েটিকে সবাই আতেল বলে সম্বোধন করেন, ব্যাপারটা সেইরকমই আর কি।

# এই কথাটা পড়ে খুবই বিরক্ত হলাম। রেগুলার ক্লাশ , পরীক্ষা নেয়া এইটাও কি প্রাইভেটের খারাপ দিক? !!! কি হলে ভালো হত? পাবলিকের মতন লাস্ট টাইমে তাড়াহুড়ো করে ক্লাশ নিয়ে সিলেবাস শেষ করলে? নাকি কথায় কথায় রাজনৈতিক গন্ডগোলে ক্লাশ বন্ধ হয়ে থাকলে?


-আর ক্লাসে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্যারদের ভাড়া করে নিয়ে গিয়ে রেগুলার ক্লাস করানোর মধ্যে বাহাদুরির কিছু দেখি না। কারণ যেসব বিশ্ববিদ্যালয় এখনও মেরুদন্ডহীন হয়ে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর নির্ভরশীল, তাদের আর যাই হোক, কখনই খুব ভাল চোখে দেখা যায় না।


সহমত। এই কালচার এর পরিবর্তন দরকার।





-পরীক্ষায় ভাল মার্কিং, ক্লাসে পড়ানো ইত্যাদি ইত্যাদি ব্যাপারে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর অভিজ্ঞতার কথা- ঐখানে রেগুলার ক্লাস নেয়া স্যারদের মুখেই শোনা। স্যাররা নিশ্চয়ই আর পাবলিক স্ট্যান্ডার্ড ক্লাস + পরীক্ষা + মার্কিং করতে যেয়ে তাদের ব্যাবসার ক্ষতি করবেন না। :)


এটাও ডিপার্টমেন্ট আর ইউনি টু ইউনি ভ্যারি করে। ব্র্যাকে যেমন বি বি এ তে এ তুলতে হলে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। আবার মাইক্রোবায়োলজিতে নাম্বার অনেক সহজে দিয়ে দেয়া হয়। আরেকটা ব্যাপার, এমনিতে হয়তো ৩.৫ পর্যন্ত সহজে পাওয়া যায় অনেক, তার উপরে উঠানোর সময় টিচাররা অনেক কড়াকড়ি করে, কারণ এর পর থেকে টিউশন ফি ওয়েভ শুরু হয়। বেশি লিবারেলি নাম্বার দিলে বরং ইউনির ই তখন ক্ষতি।


-ভাল স্টুডেন্ট সবসময়ই ভাল, সে পাবলিকেই পড়ুক আর প্রাইভেটেই, আর খারাপ আসমানে গেলেও খারাপ। অনেক মেধাবীই দূর্ভাগ্যক্রমে/ সামর্থ্য থাকায় নিজের ইচ্ছাই সটকে পড়েন প্রতিযোগীতা থেকে, আর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে তাদের অনেকেই ভাল অবস্থান করছেন। সেদিক থেকে আমি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে পজিটিভলিই দেখি। কিন্তু খারাপ লাগে বছরে তিন সেমিস্টারে ছাত্র ভর্তি করে ইঞ্জিনিয়ার আর বিজনেস গ্রাজুয়েট দিয়ে দেশটাকে ভরাতে দেখে, দেশে যেন আর অন্য কোন বিষয়ের গ্রাজুয়েটের দরকারই নাই।

পুরোপুরি সহমত।


০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৬

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর কমেন্টের জন্য। আমার হাসি পায় যে পাবলিকের ছাত্ররা ইউনি নিয়ে যেকোনো আলোচনা হলেই সেটাকে ঘুরে ফিরে ভর্তি পরীক্ষায় নিয়ে যান। এরপর উদাহরন টানেন এই বলে যে তোমরা তো ভর্তি পরীক্ষা দাও নাই। তাই তোমরা গাধা! মাত্র একটা পরীক্ষা দিয়েই কি একেকজন জিনিয়াসে পরিনত হন কিনা কে জানে? :P

এরা ভুলে যায় যে ইউনিভার্সিটিতে পড়া হচ্ছে জীবনের একটা ছোট্ট অংশ মাত্র। আসল ব্যাপার হচ্ছে এরপরের কর্মক্ষেত্র। বাংলাদেশের প্রাইভেট ইউনিগুলো এখনও নতুন, আরও সময় লাগবে গুছিয়ে উঠতে। সেই সময়টা দেন, আর সব প্রাইভেট ইউনিকে এক চোখে দেখা বন্ধ করেন।

২৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:১১

বিশ্বপ্রেমিক বলেছেন: @ক্লান্তিহীন পথচারীঃ ভাই আমি সায়েন্সের দিক দিয়ে ব্যাপারগুলো বললাম। কমার্সের ক্ষেত্রে বললে আপনি প্রাইভেটকে এগিয়ে রাখতে পারেন। কারণ বিবিএ-এমবিএ পাশ ছেলেদের ভেতর যে জিনিস খোঁজা হয় তা হয়ত পাবলিকে পাওয়া যাবে না। কিন্তু htusar এর কমেন্ট খেয়াল করলে বুঝবেন পাবলিক ভার্সিটি গুরুত্ব পাওয়ার কারণ।

আর একটা জিনিস- আপনি যেটা কমার্স ব্যাকগ্রাউন্ডে দেখলেন, তাহলো জব ফিল্ড। আমাদের পাবলিক ভার্সিটির ছেলেরা কখনই ৪ বছর ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়ে ৫ হাজার টাকা বেতনে চাকরীতে জয়েন করবে না। খুব বেশি মগা হলেও, কাউকে এত কমে আমি এ পর্যন্ত চাকুরী করতে শুনিনি।

অন্যান্য ব্যাপারগুলো নিয়ে ক্যাচাল যত বেশি কচলাবেন ততই বাড়বে। কারণ আপনিই প্রথমে বলে দিয়েছেন- এই বিষয়গুলা নিয়ে কোন গ্রহনযোগ্য কিছুই হয় নাই।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৪

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: আবারও বলছি, পাবলিক-প্রাইভেট ইউনির তুলনা করে আসলে কোন লাভ নেই। একটা ছাত্রের মানের ক্ষেত্রে ইউনিভার্সিটি এর চেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ সে নিজে। htusar এর কমেন্ট থেকে বোঝা যাচ্ছে তিনি নিজেকে জিনিয়াস টাইপ কিছু একটা মনে করেন। আর সব প্রাইভেটকে গরু ছাগলের হাট মনে করেন। এমন মানুষের সাথে আলোচনা করে লাভ নাই কারন তার মনের মধ্যে যে "প্রি-ডিটারমাইন্ড" ধারণা আছে সেটা বদলানো সম্ভব না। তবে মারাত্মক আক্রমণাত্মক কমেন্ট করলেই কিন্তু কোন কিছু প্রমাণ হয়ে যায় না। একটা কথা আছে না "ব্যবহারে বংশের পরিচয়", সেটা উনার জন্য প্রযোজ্য! :D

কোন প্রাইভেটের ছাত্রকেই আমি ৪ বছর ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়ে ৫ হাজার টাকা বেতনে চাকরীতে জয়েন করতে দেখিনি। অবস্থা কি আসলেই এরকম নাকি?

২৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫১

htusar বলেছেন: @ ক্লান্তিহীন পথচারী ঃ বিশ্ব-বিদ্যালয় বলতে কি বোঝায়? শুধুমাত্র B.B.A.,English আর একটা -দুইটা Engineering এর সাব্জেচট খুলে বসলেই বিশ্ব. হয়ে গেল? এক বিল্ডিং এ দুই বিশ্ব. দেখসেন কখনো ?
ব্যতিক্রম সব খানেই থাকে;কিন্তু ব্যতিক্রম কখনো উদাহরণ হতে পারে না। ক্যাকটাসে পাতা নাই; এজন্য আমি নিশ্চয় বলতে পারবো না যে দুনিয়ার কোন গাছেই পাতা নাই। ধরলাম কোন প্রাইভেটে এক বিষয়ে এক সেমিস্টারে ৫০ জন ভর্তি হইলো ; তার মানে কি এই যে এই ৫০ জন সবাই ব্যাপক মেধাবী , কিন্তু ভাগ্য খারাপ দেখে চান্স পায় নাই?? নিশ্চয় না। খুব বেশী হইলে ৮-১০ জন এমন পাওয়া যাবে; বাকি ৪০ জনই আসলে গাধা টাইপের।Survival is always for the fittest- পাবলিকে পড়ার যোগ্যতা যার আছে সেই পড়বে, যার নাই সে পড়বে না । (প্রশ্ন আউট হওয়া-টওয়া বিচ্ছিন্ন ঘটনা, ক্যাক্টাসের মতই।) আর আপনার ব্যাচের B.B.A পড়ুয়াদের কথা বলছেন? তারা কি কলেজ লাইফ থেকেই উত্তর-দক্ষিন,পুর্ব-পশ্চিমে পড়ার স্বপ্ন দেখতো ? নিশ্চয় না। প্রথমে নিশ্চয় ঢা.বি.তে পরীক্ষা দিয়েছে, চান্স হয়নাই দেখেই অখানে গিয়েছে। কেন? কারণ সবাই সেরাটা চায়। না পাইলে তখন অন্য কিছু করে। ওনাদের ভাগ্য ভাল, বাপের টাকা আছে; টাই উত্তর-দক্ষিন, ব্র্যাক এসবে পরতে পারতেসে। নাইলে জাতীয় বিশ্ব. তে পরতে হইতো। আমার এক বন্ধু এআইউবি তে পড়ে। সারাদিন ঘোরাঘুরি কইরাই কাটায়, পরিক্ষার আগের রাতে পইড়া ৩.৫ । ক্যামনে জিগাইলে বলে,দোস্ত; আমাদের ৩.৫ বুয়েটের ৩ এরও সমান না।

সবশেষে এটাই বলি বাংলাদেশে ৭০ টা প্রাইভেট(আগের ৬৩, নতুন ৭টির অনুমোদন সহ)। এর মধ্যে সবুজ আছে ৮ টা। এর থেকেই কি প্রাইভেটের নমুনা পাওয়া যায় না? ১০০টা প্রাইভেট হইলেও ছেলে-মেয়েদের কাছে পাবলিকে পড়ার স্বপ্ন থাকবেই। নাইন-টেনে পড়া একটু মেধাবী কাউকে জিজ্ঞেস করে দেখেন;বেশিরভাগই সায়েন্স হইলে বুয়েট-মেডিক্যাল; আর আর্টস- কমার্স হইলে ঢা.বি.র কথা বলবে।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫১

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: আপনার সাথে ক্যাচালে যেতে চাচ্ছি না। আমার পোস্টের উদ্দেশ্য ছিল সব প্রাইভেটকে এক পাল্লায় না মাপা। আপনি নিজেও জানেন যে প্রাইভেটের মদ্ধেও মানের অনেক পার্থক্য আছে। তাহলে সবগুলাকে গনহারে "বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়" বলবেন কেন? যেই ইউনিই হোক, সেটার নাম বলতে হবে। ভার্সিটির ছাত্র আর প্রাইভেট ইউনির ছাত্র বলে আর বিভাজন কইরেন না। পাশ করার পর দেখা যাবে সে টিকে থাকতে পারে কিনা, মানসম্মত না হলে সে কখনোই ভালো কিছু করতে পারবে না। কিন্তু ইউনিতে পড়া অবস্থায়ই একটা ছাত্রকে বাতিল মাল হিসেবে ট্রিট করা একদমই অনুচিত। আর প্রাইভেটের সব ছাত্রই যে পাবলিকে পরীক্ষা দিয়ে চান্স না পেয়ে সেখানে গিয়েছে কথাটা সত্যি না, আমি নিজেই কোন পাবলিকে পরীক্ষা দেই নাই। কিন্তু জব সেক্টরে সব নামিদামি ইউনির ছাত্রদের সাথে compete করেই নিজের জায়গা করে নিয়েছি। প্রাইভেট ইউনি সম্পর্কে আপনার আক্রমণাত্মক ধারণা বদলানো উচিৎ। এইখানে কেউ কারও শত্রু না, যে জীবনে ভালো করার সে ভালো করবেই, পাবলিকই হোক আর প্রাইভেটই হোক। ভালো থাকেন।

২৭| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫২

htusar বলেছেন: @বিশ্বপ্রেমিক ভাই ঃWorld University এর বাংলা কি???

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫২

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: এইটা অবশ্য আমারও প্রশ্ন! হেহে :P

২৮| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৩

টেকনো(মুভি এডিশন) বলেছেন: একটা কথা না বললেই নয় যে অনেকে আছে যারা পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে পরিক্ষাই দেয় না। সরাসরি প্রাইভেটে এডমিশন নিয়ে নেয়। না জিনিসটা এমন না যে তারা চেস্টা করলে পারত না। It is just that they wanted different. আমি নিজেও পাবলিকে পরীক্ষা দেই নাই। আবার অনেকে আছে যে SSC HSC তেমন এফর্ট দেয় না। কিন্তু ইউনিভার্সিটিতে উঠে প্রচুর এফর্ট দেয়। ফলে তারা নিজেদের একটা কুয়ালিটি তৈরি করে নেয়। কিন্তু ভবিষ্যতে তাদেরকে জাজ করা হয় তারা কোন ইউনিতে পড়েছে। পাবলিক না প্রাইভেট। কিন্তু যোগ্যতার বিচার করা উচিৎ তার বর্তমান যোগ্যতা দিয়ে। সে কোথা থেকে এসেছে তা দিয়ে নয়। আমার সাম্নেই এমন এক্সাপল আছে যিনি পরীক্ষা দিয়ে সকল পাবলিক এবং প্রাইভেট এর মধ্যে ১ম হয়েছেন। কিন্তু চাকরির ক্ষেত্রে প্রথমেই উঠে এসেছে যে "He is from Private University" বাংলাদেশের মানুষের মেন্টালিটি এমন হয়ে গিয়েছে। জিনিসটা এমন হয়ে গিয়েছে যেঃ UNIVERSITY IS THE END OF THE WORLD. YOUR EVERYTHING DEPENDS ON WHERE YOU HAVE STUDIED FROM

I really don't appreciate this mentality.

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৬

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: পাবলিক ইউনিতে চান্স পেয়েই জীবন শেষ না, আসল খেলা তো শুরু হবে পাশ করার পর। সেখানে যে যোগ্য সেই টিকে থাকবে। তবে চাকরীর ক্ষেত্রে পাবলিকের ছাত্ররা অনেক অন্যায় সুবিধা পান, যদিও তাঁরা সেটা স্বীকার করবেন না। বেশীরভাগ কোম্পানির বসরাই পাবলিকের ছাত্র ছিলেন, কারন প্রাইভেট ইউনিগুলো এখনও নতুন। তাই তাঁরা নতুন রিক্রুট করার সময় আবার তাঁদের ইউনির একটা ছাত্রকেই নিতে চান। সব কোম্পানিতেই ইউনি ওায়াইজ পলটিক্স আছে, নামও বলা যেতে পারে কোন কোন ইউনির ছাত্ররা এটা করে থাকেন। ইন্টারভিউ এর সময় প্রাইভেটের একটা ছেলেকে চূড়ান্ত কঠিন প্রশ্ন করা হয়, আর পাবলিকের ছেলেকে জিজ্ঞেস করা হয় কোন হলে ছিলে? ওই স্যার কি এখনও আছেন? এখনও কি ডাল আগের মতই?...হাহাহা! এগুলো হচ্ছে জাস্ট উদাহরন, এভাবেই চলছে আমাদের বাংলাদেশ। তোমার কমেন্টের সাথে সহমত।

২৯| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩০

ইয়াসিন কবির বলেছেন: ধন্যবাদ লেখক কে। যথেষ্ট পরিমান ভালো একটা লিখা লিখেছেন। আমাদের সমাজের এই রকমের মনোভাব সবক্ষেত্রে দেখা যায়। আপনার লিখাটির জন্য আপনাকে +++.

আমাদের এইরকমের মনোভাব ঝেড়ে ফেলা দরকার। আজকাল প্রাইভেট ভার্সিটিগুলোও অনেক ভালো করছে। আসলে ছাত্ররা কতটুকু জানে এর উপরে বিচার করা উচিত। কিন্তু কিছু ব্যাপার আসলে একটু অন্যরকম, যার জন্য পাবলিক ভার্সিটি একটু এগিয়ে থাকে। সে যাই হোক, নাম উল্লেখ অবশ্যই করা উচিত।

বি.দ্র. আমি পাবলিকে পড়ি।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৮

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। সবাই যদি আপনার মত ভাবত তাহলে আমাদের মধ্যে এত ঝগড়া বিবাদ আর ক্যাচাল থাকতো না। ভালো থাকবেন।

৩০| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৮

বল্টু মিয়া বলেছেন: আমার মনে হয় বিভাজনটা জরুরী। যারা ভালো করবে তাদের অবশ্যই ধন্যবাদ দিতে হয়, যারা খারাপ করবে তাদের অবশ্যই সতর্ক করা উচিৎ। তবে বিভাজনটা হওয়া উচিৎ সুনির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের উপর ভিত্তি করে। সেটা প্রাইভেট/পাবলিক আলাদা করে না।

ব্যাক্তিগত ভাবে আমি বিশ্বাস করি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির উপরে মানুষের নেতিবাচক ধারণা কিছু কিছু প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ভিত্তিকে শক্ত করেছে। যেসব ইউনিভার্সিটি আসলেই ভালো উদ্দেশ্য এবং গঠনমূলক পরিকল্পনা নিয়ে তৈরি হয়েছে তারা কিন্তু ঠিকই বাকি গুলো থেকে অনেক এগিয়ে গিয়েছে। যেসব প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি নিজস্ব ক্যাম্পাসে চলে গিয়েছে তাদের সাথে বাকিগুলোর কিন্তু সুস্পষ্ট পার্থক্য তৈরি হয়েছে। এবং আমি জানি আর ঠিক কয়েক বছর পরে তা আরও বহুগুণ বেড়ে যাবে। এটা সম্ভব হয়েছে কারন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি সম্পর্কে মানুষের নেতিবাচক ধারণা থেকে বেড়িয়ে আসার জন্য কিছু কিছু ভার্সিটি চেষ্টা করেছে। তারা বুঝতে পেরেছিল যদি তারা নিজেদের সঠিক পথে রাখতে ব্যর্থ হয় তাহলে চাকরির বাঁজারে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে পারবে না। আর যারা সেটা করেনি তারা কিন্তু এখনই পুরোপুরি/প্রায় ধ্বংসের দিকে চলে গিয়েছে।

কিছুদিন আগে আমাদের ইস্ট ওয়েস্টে শিক্ষামন্ত্রী আসলে আমরা দাবী জানিয়েছিলাম প্রাইভেট-পাবলিক ভার্সিটির জন্য একক Accreditation Council করার জন্য। যাতে আমরা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি এর ছাত্ররা সরাসরি পাবলিকের সাথে প্রতিযোগিতা করার সুযোগ পাই। এতে পাবলিক-প্রাইভেট এর জন্য একসাথে র‍্যাংকিএর সুবিধা রাখার কথাও বলা হয়। শিক্ষামন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন তিনি এটা নিয়ে কাজ করবেন। কিন্তু কয়েকটা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির চাপে যারা সরাসরি প্রতিযোগিতায় যেতে চাচ্ছে না, তাদের বাধার কারনে এটা এখনও সম্পন্ন হয়নি। এতে ক্ষতি হচ্ছি আমরাই। যারা মানসম্পন্ন শিক্ষা পেয়েও অর্থের বিনিময়ে সার্টিফিকেট ক্রেতা হিসেবে বাঁজারে পরিচয় পাচ্ছি। এক্ষেত্রে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির শত্রু কিন্তু আরেকটি প্রাইভেট ইউনিভারসিটিই।

তারপরও আমার মনে হয় যেহেতু প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি গুলো সরকার বাহাদুরের দানের টাকায় চলে না তাই এটা নিয়ে সমালোচনা হওয়া জরুরী। প্রাইভেট ইউনিভার্সটির ছাত্রদের উচিৎ তাদের ভার্সিটিকে চাপ দেওয়া যাতে নিজস্ব ক্যাম্পাসে যাবার মূলা ঝুলিয়ে না রাখে, অনিয়ন্ত্রিত হারে টিউশন ফি না কাটে, ছাত্র-শিক্ষক অনুপাতে মান বজায় রাখে। যারা সাবধানী তারা ঠিকই সমালোচনা আমলে নিয়ে নিজেদের গঠন করবে আর যারা ব্যাবসার উদ্দেশ্যে এসেছে তারা এমনিই হারিয়ে যাবে।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৬

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: আপনার কথা ঠিক আছে, কিছু খারাপ প্রাইভেট ইউনির কারনেই আজকে ভালো ভালো প্রাইভেট ইউনিগুলো তাঁদের প্রাপ্য সম্মান পাচ্ছে না। আমিও ইস্ট ওয়েস্ট এর ছাত্র ছিলাম, তাই খুব ভালো করেই জানি আমাদের ইউনির ছেলেমেয়েরা যেকোনো ইউনির সাথেই প্রতিযোগিতা করার যোগ্যতা রাখে এবং রাখছে। তবে পাবলিকের ইউনির ছাত্র স্বভাবতই একটু বেশী গুরুত্ব পায় বিভিন্ন কোম্পানির বসদের কাছে, কারন তাঁরা নিজেরাও একসময় সেই পাবলিক ইউনির ছাত্র ছিলেন! আপনার কমেন্টের সাথে সহমত, প্রাইভেট-পাবলিক ভার্সিটির জন্য একক Accreditation Council thaka ucit। তবে আমি যেটা বলছি সেটা হচ্ছে সব প্রাইভেট ইউনিকে গনহারে "বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়" না বলে সেই ইউনির নাম বলতে হবে। এটা হচ্ছে ইচ্ছাকৃত insult, যেটা আমরা deserve করি না।

৩১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৫৫

বিশ্বপ্রেমিক বলেছেন: @লেখকঃ ভাই ৫ হাজার টাকা বেতনে চাকুরীতে জয়েনিং এর উদাহরণটা আমার নিজে দেখা। এর চেয়েও খারাপ কিছু অভিজ্ঞতা আমার আছে, এর চেয়ে ভাল প্রাইভেট ভার্সিটির স্টুডেন্টদের নিয়ে। পাবলিক প্লেসে এসব নিয়ে বলতে চাই না। আর শুধুই বিবিএ-এমবিএ দিয়ে কখনই একটা ভার্সিটির মানদন্ড নির্ধারণ করা যায় না।

বিবিএ - এমবিএ এর জন্য প্রাইভেটের ছেলে-মেয়ে অবশ্যই এগিয়ে থাকবে, তার কারণও আছে। ধরেন রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে (যে প্রাইভেট ভার্সিটিতে ভর্তি হবার স্বপ্নও দেখে না) ৫০০০ পরীক্ষার্থীর সাথে প্রতিযোগীতা করে ভর্তি হল, আর একজন উচ্চবিত্তের সন্তান ১০০০ জন উচ্চবিত্তের সন্তানের সাথে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে খুব ভাল একটা প্রাইভেট ভার্সিটিতে ভর্তি হল। এখন পাশ করার পর পাবলিক ভার্সিটির সেই নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসা বিজনেস গ্রাজুয়েটের মেরিট কোয়ালিফিকেশন যতই থাকুক না কেন, জব ফিল্ডে চাওয়া সেই এক্সট্রা কোয়ালিফিকেশন [ফিটফাট-টিপটপ গেটআপ, বাংলার সাথে ইংলিশ মিশিয়ে সুন্দর বাংলিশে কথা বলা, কাস্টমারকে কনভিন্স করা, ভাল মামা চাচা- ইত্যাদি ইত্যাদি] অবশ্যই প্রাইভেট থেকে পাশ করা সেই উচ্চবিত্ত/উচ্চমধ্যবিত্তের মতন হবে না, যা প্রাইভেট সেক্টর তাদের চাকুরীতে বেশি চায়। আসলে বিজনেস গ্রাজুয়েটদের চাকুরীর ক্ষেত্রে সার্টিফিকেট ছাড়াও আরও এক্সট্রা অনেককিছুই প্রাইভেট সেক্টরে চাকুরীর জন্য দরকার যা পরিবেশগতভাবে মানুষ শিখে। আর এইদিক দিয়েই পিছিয়ে থাকে পাবলিক ভার্সিটির বিবিএর পোলাপান। তাই শুধু এইটা দেখেই এইটা মনেকরার কারণ নাই যে প্রাইভেটের বিবিএ সর্বেসর্বা।


@htusar: World University মানে বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয়। ;) নামের ব্যাপারে বললে ২-১ টা ছাড়া সবগুলার অবস্থা জগাখিচুড়ি ;)

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৪

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: আবারও সেই সেইম ক্যাচাল। আরে ভাই আমি কখন বললাম যে প্রাইভেট ইউনি পাবলিক ইউনি এর চেয়ে ভালো? আমি তো এভাবে ইউনির মধ্যে তুলনা করাই অযৌক্তিক মনে করি। একটা ছাত্র ভালো না খারাপ সেটা ইউনির চেয়ে তার নিজের উপর বেশী নির্ভর করে। একটা ইউনির সব ছাত্রই কি একই মানের নাকি? প্রাইভেট হোক বা পাবলিক, ছাত্রের Individual Quality ই হচ্ছে সবচেয়ে বড় কথা। একটা মাত্র ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে মেধার যাচাই হয় না। অনেক ছাত্র আছে যারা যথেষ্ট মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও পড়াশুনায় সেভাবে সিরিয়াস থাকে না স্কুল কলেজ লেভেলে। কিন্তু ইউনিতে উঠে সে যদি তার ক্ষমতার পূর্ণ ব্যবহার করে তাহলে তাঁকে কেউ আটকে রাখতে পারবে না। অনেকে ভর্তি পরিক্ষাই দেয় না, নানান সমস্যার কারনে। সবাইকে যদি আপনি এক কাতারে "বড়লোকের অযোগ্য ছেলে" হিসেবে ট্রিট করেন তাহলে তো আপনাকে আর কিছু বলার নাই। আসল খেলা তো শুরু হয় ইউনি থেকে পাশ করার পর, পাবলিকের ছেলেদের একটাই কথা- আমরা ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে চান্স পেয়েছি, তাই "শুধুমাত্র আমরাই" মেধাবী। যদি সেটাই সত্যি হতো তাহলে তো প্রাইভেটের একটা ছেলে মেয়েও কোথায় জায়গা পেত না। কিন্তু জব মার্কেটে দেখেন- যেকোনো প্রতিষ্ঠানে তাকান...এমন কোন সেক্টর দেখাতে পারবেন না যেখানে এখন প্রাইভেটের ছেলেমেয়েরা নেই। শুধুমাত্র পাবলিক ইউনিতে পড়াই একজন মানুষের জীবনের লক্ষ্য না, ইউনি লাইফ জীবনের একটা ছোট্ট অংশ মাত্র। জীবনের একটা আসল লক্ষ্য হচ্ছে প্রতিষ্ঠিত হওয়া, প্রাইভেট ইউনি এখনও নতুন হলেও ছেলে মেয়েরা বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। তাই এইভাবে প্রাইভেট পাবলিক ইউনির তুলনা করা বাদ দেন, একটা ছেলে বা মেয়েকে তার নিজের যোগ্যতা দিয়ে বিচার করেন। আর আমার পোস্টের উদ্দেশ্য ছিল সব প্রাইভেট ইউনিকে এক কাতারে না ফেলে প্রত্যেকটাকে আলাদা করে বিচার করেন...যেই ইউনিই হোক নাম বলার সময় ইউনির নাম অবশ্যই বলতে হবে।

৩২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫৬

বইয়ের পোকা বলেছেন: একটা জিনিস বুজলাম না। আমাদের 'পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের' ভালো ছাএরা পোস্ট না পড়েই মন্তব্য করছেন দেখে একটু বিস্মিত হলাম। লেখক কি বলেছেন, আর উনারা কি বলতে চাচ্ছেন!!!!!!! আপনারা পাবলিকের স্টুডেন্টরা খারাপ, এইটা কেউ বলে না ভাই। সব জায়গায়, ভালো খারাপ থাকে। প্রাইভেটেও আছে। কিন্তু আপনারা সেইটা স্বীকার করতে চান না ভালো কথা। এইখানে তো লেখ সেটা নিয়া কিনো কিছু লিখে নাই। যেটা লিখছে, সেইটার উত্তর দেন।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৪

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: আমি সবাইকে পোস্টের টপিক বোঝানোর চেষ্টা করতে করতে টায়ার্ড। :( পোস্ট না পড়েই অনেকে ক্যাচাল লাগানর চেষ্টা করছেন, টিপিক্যাল আচরন। তাঁদের কথা শুনলে মনে হয় পাবলিকে পড়াই হচ্ছে জীবনের একমাত্র লক্ষ্য...আজিব। পাশ করেন, আসেন একই সাথে compete করি। আপনি ভালো হলে আপনি টিকে থাকবেন, আমি ভালো হলে আমি। আমি নিজে ৫ বার সেরা সেরা পাবলিকের ছাত্রদের সাথে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা দিয়ে প্রত্যেকবার জয়ী হয়েছি। তারপরেও যেহেতু আমি প্রাইভেট তাই আমি অবশ্যই গাধা, আর তারাই "মেধাবী"! :) আর পোস্ট না পড়েই সবাই যেরকম বয়ান দেওয়া শুরু করসেন তাতে আমারই মাথা কাটা যাচ্ছে। আই অ্যাম রিয়েলি ফেড-আপ। :(

৩৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫০

বিশ্বপ্রেমিক বলেছেন: ভাই আমি কি কইলাম আর আপনে কি বুঝলেন? আমি কি কখনও কইছি যে গ্রাইভেটের সব পোলাপাইন খারাপ আর পাবলিকের সব পোলাপাইন আইনষ্টাইন? শুরু থেকেই তালগাছটা নিজের বগলের তলায় রেখে ঐ একটা ত্যানা প্যাচাইতেছেন- "কেন সব প্রাইভেটের স্টুডেন্টকে প্রাইভেট ভার্সিটি বলা হবে, কেন আলাদা করে NSU, BRAC, EWU বলা হবে না?" আমি কিন্তু এই জিনিস বুঝানোর জন্যই উপরের কমেন্ট গুলান করছি যে কেন আপনাদেরকে সমষ্টিগতভাবে প্রাইভেট ভার্সিটির পুলাপাইন বলা হয়। কোন কোন কারণে পাবলিকের পুলাপাইনকে আলাদা ভাবে দেখা হয়? এটা এখন না বুঝলে আর বুঝানের ভাষা আমার জানা নাই।

প্রত্যেকটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েরই আলাদা কোন বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে বলেই আলাদা গুরুত্ব পায়। প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয় আলাদা আলাদা অধ্যাদেশের মাধ্যমে। প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হয় স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান, কোন ট্রাস্ট বা গ্রুপের অধীনে না। এখানে শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে একটা মালির পোষ্টে নিয়োগের জন্যও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনে চলে। আর বিশ্ববিদ্যালয় চলেও দেশের টাকায়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিস্তৃতি সারাদেশে- শুধু ঢাকা-চট্রগ্রাম-রাজশাহী-সিলেট-খুলনা কেন্দ্রিক না। একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ছাত্রদের ভিতর যে পারষ্পরিক সহযোগীতা, নেতৃত্ত্ব দেয়ার দক্ষতা, পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন পরিস্থিতির সাথে তাল মেলানো সহ যে ইত্যাদি ইত্যাদি গুণাবলী গড়ে উঠে তার জন্য অবশ্যই তারা আলাদা। আপনি ঢাবির কালচারের সাথে কখনই রাবির কালচারের মিল খুঁজে পাবেন না। আবার পাবিপ্রবির কালচার কখনই যবিপ্রবির সাথে মিলবে না। প্রত্যেক ভার্সিটির আলাদা আলাদা স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের জন্য তারা আলাদা, আর তারা আলাদা পরিচয়ে পরিচিতি পায়।
পক্ষান্তরে প্রাইভেট ভার্সিটিকে ঢালাও প্রাইভেট হিসেবে বলারও কারণ আছে। আপনি আপনার সিনিয়র ব্যাচের কয়জনকে চেনেন? আপনার ক্লাসমেট যারা আছে, সবাইকে চিনবেন? এটা বলার উদ্দেশ্য এই যে, প্রাইভেট ভার্সিটিগুলাতে বছরে ৩ বার ভর্তি করায়, সব গুলাতেই মোটামুটি ওপেন ক্রেডিট, এই সেমিস্টারে এক ক্লাসমেট তো নেক্সট সেমিস্টারে আরেক গ্রুপ। নিজের ব্যাচের পোলাপাইনরেও অনেকসময় চেনেনা- সিনিয়র তো দূরে থাক। সুতরাং কোন গুণের জন্য আপনারা আলাদা পরিচয়ে পরিচিত হবেন?

আর একটা কথা বলে রাখা ভাল, আপনি NSU, EWU, আহসানউল্লাহ ইত্যাদির সাথে দারুল ইহসান, IIUC, এর তুলনা করতে নারাজ। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমি দারুল ইহসান, IIUC তেও NSU, EWU, AIUB বা আহসানউল্লাহর চেয়ে ভাল ছাত্র দেখেছি। সুতরাং ঐটা বলেন না যে NSU, EWU, AIUB এর সাথে দারুল ইহসান, IIUC রে একসাথে কেন মিলায়া "প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র" বলা হবে। আমার কথা ভাল ছাত্র সবসময়ই ভাল- সে যেখানেই পড়ুক পাবলিক বা প্রাইভেট ভার্সিটি। কিন্তু আমাদের পাবলিক ভার্সিটির ছাত্ররা প্রতিযোগীতার মাধ্যমে ভর্তি, ভার্সিটি লাইফে অন্যরকম ভাবে গড়ে ওঠা, স্বাতন্ত্র্ ইত্যাদির জন্য আমরা হয়তো কিছুটা সুবিধা পাই- তবে সেটা অবশ্যই এইরকম না যে পাবলিক ভার্সিটির ছেলে হলেই সরাসরি চাকুরী দিয়ে দেবে- প্রাইভেট হলেই নয়। আর প্রাইভেটের মধ্যে NSU, EWU এর সাথে দারুল ইহসানরে এক কাতারে ফালানোর কারণও বলে দিলাম- NSU তে যেমন খারাপও আছে, দারুল ইহসানে তেমন ভালও আছে। সুতরাং ত্যানা প্যাচাইতে চাইলে প্যাচান, কিন্তু খালি ঐ বিবিএ পাশের দৃষ্টিতে এইসব পাবলিক প্রাইভেট ত্যানা প্যাচায়েন না।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৪

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে আপনি প্রাইভেট ইউনির প্রতি একটা অন্ধ আক্রোশ মনে পুষে রেখেছেন, ঘটনা কি ভাই?! তালগাছ বলতে আপনি আসলে কি বুঝাচ্ছেন? ত্যানা প্যাঁচানো কমেন্ট কি আমি করছি না আপনারা করছেন? আপনার কি ধারণা প্রাইভেট ইউনিগুলোর মধ্যে মানের এবং কালচারের কোনই পার্থক্য নাই? পাবলিক ইউনি যেমন স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান তেমন প্রাইভেট ইউনিও স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান। পাবলিক ইউনিগুলো সরকারের অধীনে আছে বলেই সরকারের টাকায় (পরুন জনগণের) টাকায় বিনামুল্যে আপনারা উচ্চশিক্ষা পাচ্ছেন। এইটা ভালো, তাই দেশের প্রতি আপনাদের দায়বদ্ধতা অনেক বেশী হওয়া উচিৎ। প্রাইভেট ইউনিতে নিয়োগ দেওয়ার সময়ও ইউনিগুলো তাঁদের নিয়ম মেনে চলে, এখন নর্থ সাউথ ইউনিতে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া আর গ্রিন বা দারুল ইহসান ইউনিতে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া নিশ্চয়ই একই ব্যাপার না, আপনি খুব ভালো করেই জানেন। সব প্রাইভেট ইউনিতে হল না থাকলেও অনেকগুলাতেই এখন আছে বা হচ্ছে। প্রত্যেকটা প্রাইভেট ইউনির কালচারই আলাদা, সেটা বাইরে থেকে বোঝা যাবে না, যে পড়ে সে বলতে পারবে। “পারষ্পরিক সহযোগীতা, নেতৃত্ত্ব দেয়ার দক্ষতা, পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন পরিস্থিতির সাথে তাল মেলানো সহ যে ইত্যাদি ইত্যাদি গুণাবলী” এইগুলা কি শুধু পাবলিকের ছাত্রদেরই আছে নাকি? প্রাইভেটের ছাত্ররাও নিজেদের মধ্যে সম্ভব সবরকম গুণাবলীর বিকার করছেন, এজন্যই বাংলাদেশের প্রত্যেকটা সেক্টরে এখন প্রাইভেটের ছেলেরা নিজেদের জায়গা করে নিয়েছেন।

আমি আমার সিনিয়র ব্যাচের প্রায় ৯০% কেই চিনি এবং তারাও আমাকে চেনেন। আমাদের ডিপার্টমেন্ট এ খুব শক্তিশালী একটা ক্লাব ছিল, সেখান থেকে আমরা নিয়মিত বিভিন্ন প্রোগ্রাম করতাম। বড় ভাই/আপু দের সাথে অনেক ক্লাস/পিকনিক/অনুষ্ঠান ইত্যাদি করেছি। এমনকি ইউনি থেকে পাশা করার ৩ বছরের বেশী হওয়ার পরও এখনও আমার জুনিয়রদের সাথে ভালো সম্পর্ক আছে। একজন অ্যালামনাই হিসেবে আমাদের মধ্যে সম্পর্কটা যথেষ্ট ভালো, এছাড়া ওপেন ক্রেডিট থাকায় আমি আমার সিনিয়র এবং জুনিয়রদের সাথে একই সাথে অনেক ক্লাস করেছি...অনেক ভালো পরিচয় আছে তাঁদের সাথে, যেটা পাবলিক ইউনিতে থাকার প্রশ্নই আসে না কারন সেখানে ক্রেডিট ফিক্সড।

এরপরই আসছে সবচেয়ে হাস্যকর কথা, আপনি বলেছেন “আর প্রাইভেটের মধ্যে NSU, EWU এর সাথে দারুল ইহসানরে এক কাতারে ফালানোর কারণও বলে দিলাম- NSU তে যেমন খারাপও আছে, দারুল ইহসানে তেমন ভালও আছে।” আপনি IIUC তেও NSU, EWU, AIUB বা আহসানউল্লাহর চেয়ে ভাল ছাত্র দেখেছেন…শুধুমাত্র এই কারনেই আপনি সব প্রাইভেট ইউনিকে তার নিজের নামে না ডেকে ঢালাওভাবে “প্রাইভেট ইউনি” বলতে চান?????? হাহাহা!!!!!!!! মজাক পাইলাম ভাই। আরে ভাই তাহলে তো আমরাও বলতে পারি যেহেতু ঢাকা ইউনির চেয়ে ভালো ছাত্র জগন্নাথ ইউনিতেও থাকতে পারে (নাকি এইটা অস্বীকার করবেন?) সেহেতু ঢাকা ইউনি আর জগন্নাথ ইউনি একই! :P

আরে ভাই আপনারা প্রাইভেটের ইউনিগুলোর প্রতি, তাঁদের ছাত্রদের প্রতি এত তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেন বলেই প্রাইভেট-পাবলিক ক্যাচাল লাগে। এখন থেকে যদি প্রাইভেটের ছেলেরা সব পাবলিক ইন্সটিটিউট গুলোকে একনামে ডাকা শুরু করে (ডিইউ জগন্নাথ ইডেন সবই এক) তাহলে আপনাদের কি ভালো লাগবে? এইটা বললেই যেমন সত্যি হয়ে যায় না, তেমনি আপনারা সব প্রাইভেট ইউনিকে গনহারে “বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়” বললেই সেটাও সত্যি হয়ে যায় না। সবজায়গায়ই মানের পার্থক্য আছে, সবাইকে সম্মান দিতে শিখেন, ভবিষ্যতে কাজে লাগবে। আর কোন ত্যানা প্যাঁচানোমূলক কমেন্ট দিয়েন না।

৩৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১১

বিশ্বপ্রেমিক বলেছেন: ওক্কে, তালগাছটা তালগাছের জায়গায় না রেখে আপনাকেই দেয়া হল, খুশি? এখন থেকে তাহলে আপনে পুর্ব পশ্চিমের নিস্প্রভ নীল =p~

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৪

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: তালগাছ তো ভাই আপনারই, যেহেতু শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত "তালগাছ" শব্দটা ব্যবহার করেছেন, সেহেতু ওইটা আপনার কাছেই মানায়। ভালো থাকেন।

৩৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫১

বিপদেআছি বলেছেন: @বিশ্বপ্রেমিক বেশী লাফাইয়েন না , পাবলিকের গুলা বিশাল কোন মেধাবী না, তথাকথিত মহান ভর্তি পরীক্ষায় পাশ করা পাবলিকরে এক লাইন ইংলিশ লিখতে দিলে হাইগা দেয়। আপনি যেভাবে প্রাইভেটের ইউনিগুলোর ছাত্রদের অপমান করছেন তাতে বোঝা যায় আপনি কত বড় শিক্ষিত??!! আমি বরং এই পোষ্টের প্রাইভেটের ইউনিগুলোর ছাত্রদের প্রশংসা করব যুক্তিপুর্ন উত্তর দেওয়ার জন্য।

আমি নিজে এদেশের সেরা পাবলিক ইউনির ছাত্র হয়েও কথাগুলো আপনাকে বলতে বাধ্য হলাম।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০১

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: ভাই ব্যাপার না, এইরকম অপমান সহ্য করতে করতে আমাদের গা সহা হয়ে গেছে ব্যাপারটা। পাবলিকের কিছু ছাত্ররা প্রাইভেটের ছাত্রদের অপমান করে এক ধরনের বিমলানন্দ পান... ঠিক আছে সেইটা করতে থাকেন। এখন প্রাইভেটের ছাত্ররাও যদি এইটা নিয়ে গালাগালি করা শুরু করে তাহলে খামাখাই একটা ক্যাচাল লেগে যাবে। দেশে আরও অনেক বড় বড় ইস্যু আছে এই সময়ে, তাই সেসব অপমান এড়িয়ে গেলাম। তবে অপমান করে আর বড়াই করে কেউ বড় হয় না। আর প্রাইভেটের ছাত্ররা নিজেদের প্রমাণ করছে প্রতিনিয়ত, যার প্রমাণ পাওয়া যায় দেশের প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে, তাই তাঁদের নুন্যতম সম্মান অন্তত দেওয়া উচিৎ। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩৬| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৬

বিপদেআছি বলেছেন: @লেখক , কে কি বলল তাতে মন খারাপ কইরেন না, জাতি হিসাবে আমরা এখন অশিক্ষিত ।পাবলিক , প্রাইভেট কোন ব্যপার না, আপনি নিজে কি সেটাই মুখ্য। ভাল থাকবেন।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৩

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: মন এখন এর খারাপ হয় না, একসময় হইত। আমার ইউনি লাইফ কিন্তু অনেক আগেই শেষ, ক্যারিয়ার শুরু করার সময় অনেক বাঁধা পেলেও সেসব ভালোমতোই কাটিয়ে উঠেছি। আবারও ধন্যবাদ।

৩৭| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭

বিশ্বপ্রেমিক বলেছেন: @বিপদেআছিঃ ভাই, আপনে সেরা পাবলিক ভার্সিটির স্টুডেন্ট! পাবলিক ভার্সিটির পুলাপাইন ইংরেজিতে ২ লাইন লিখতে দিলে হেগে দেয়! আপনার কি অবস্থা? আপনি যেহেতু সেরা পাবলিক ভার্সিটিটার স্টুডেন্ট, তাহলে তো আপনাকে ইংরেজি লিখতে দিলে আরও সেরাটা বের হবার কথা? ;) [হলে তাড়াতাড়ি ডাক্তার দেখান।]

আপনার কমেন্টের ঐ দুই লাইনই বলে দেয় আপনার অবস্থা কি? আপনার ব্যাপারে বলার আর কিছুই নাই।

আমি বরং আমার বক্তব্য ডিফেন্ড করি, তাছাড়া ঐ আপনার মত আরও ২ জন আপনারা এসে আমাকে আক্রমন করবে।

আমি কখন ঢালাওভাবে প্রাইভেটের দূর্ণাম করছি- চোখে আঙুল দিয়ে দেখান। বরং সচরাচর প্রাইভেটের ছাত্ররা যে অহংকারগুলান করে তাই বলার চেষ্টা করছি মাত্র। - অনেকের ক্ষেত্রে ব্যাপারখানা সত্য- অস্বীকার করার উপায় নাই। কিন্তু প্রাইভেট মানেই যে ইংরেজির জাহাজ সেইটা আপনাকে কে কইছে? যেসব ভার্সিটির পুলাপাইন এইটাই জানে না যে- কয় বিটে এক বাইট, কয় বাইটে এক মেগা বাইট- তাদের কি বলবেন? অথচ তারা সিএসই গ্রাজুয়েট, তাও আবার আপনাদের দৃষ্টিতে সেরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

আমি একথা কখনই বলছি না যে প্রাইভেট মানেই গণহারে খারাপ, আর পাবলিক ভার্সিটি মানেই আইনষ্টাইন পড়াশুনা করে। আমি যে কয়েকটা সফটওয়্যার ফার্মে গেছি, অনেককেই দেখেছি যারা প্রাইভেট থেকে পাশ করা- কিন্তু অনেক ভাল জ্ঞান ও দক্ষতা রাখেন। কিন্তু পাশাপাশি এমন কিছু ফাউল আছে যারা ঐ কিলোবাইট বা গিগাবাইটের হিসাবও জানে না, আর এইরকমের সংখ্যা বেশি। মার্কেটে সার্টিফিকেট নিয়ে আসবে- তারপর চাকুরীদাতারা এইগুলারে শিখায়া পড়ায়া মানুষ করে কম বেতনে রেখে দিবে। মাঝখান থেকে পাবলিক ভার্সিটির পুলাপাইনের যথেষ্ট মেধা ও দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও অবস্থা খারাপ। টেলিকম সাবজেক্টের অবস্থাই দেখেন না, যখনই দেখল দুই একটা পাবলিক ভার্সিটি এই সাবজেক্ট চালু করছে- তখনই শুরু হইল গণহারে টেলিকম খোলা।
তারপর? এখন এই সাবজেক্টের অবস্থা কি বানাইছে? আপনে তো সেরা পাবলিক ভার্সিটির স্টুডেন্ট, আপনিই বলেন, কৃষি নির্ভর এই দেশে কতগুলান ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার দরকার? কত টেলিকম ইঞ্জিনিয়ার দরকার? আর কত কৃষিবিদ দরকার?

দেশের পাবলিক-প্রাইভেট সব মিলায়া প্রতিবছর এই আইটি সেক্টরে কম করে হলেও ৭-৮ হাজার গ্রাজুয়েট বের হচ্ছে, এদের চাকুরীর নিশ্চয়তা কই? এর করতেছেই বা কি খোঁজ রাখেন? আর বিবিএ রে তো বানাইয়া ফালাইছে পানির মত কোন ডিগ্রী। আদৌ কি এই দেশে এইসবের এত দরকার আছে?

[সারাংশঃ লেখকের বক্তব্য হলঃ "প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সব স্টুডেন্টদেরকে ঢালাও ভাবে প্রাইভেটের স্টুডেন্ট বলা হয়, কেন তাদের পাবলিক ভার্সিটির স্টুডেন্ট দের মত "ঢাবির স্টুডেন্ট, বুয়েটের স্টুডেন্ট" এরকম আলাদা identity দেয়া হয় না? দারুল ইহসানের জন্য কেন NSU এর পোলাপান sufffer করবে। "

আর আমার বক্তব্য হলঃ প্রাইভেট ভার্সিটির স্টুডেন্ট সমষ্টিগত বললে সমস্যাটা কি? NSU তে কি খারাপ নাই? দারুল ইহসানে কি ভাল নাই? আর এর মধ্যে পাবলিক ভার্সিটিকে টেনে আনার দরকার কি? পাবলিক ও প্রাইভেট কখনই এক হবে না- কারণ প্রাইভেট ভার্সিটির কনসেপ্ট সম্পূর্ণ আলাদা। যদিও দুইটার প্রোডাক্ট একই ফিল্ডে পাশাপাশি কাজ করবে, অনেক সময় প্রাইভেটের কিছু ছেলেরা পাবলিকের কিছু ছেলের থেকেও ভাল করবে, কিন্তু দুইটার মধ্যে যে প্রাইভেট-পাবলিক বিভেদ- তা নিরসনের জন্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কাতারে আসতে হবে- যেটা কখনই সম্ভব না।
]

[আক্রমণাত্মক কমেন্ট করতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে করছি, আমার প্রথম কমেন্ট থেকে সবগুলো কমেন্ট পড়ে যদি মনে হয় যে আমি শুরু থেকেই প্রাইভেট ভার্সিটিগুলারে গণহারে খারাপ বলছি- তাহলে মেনে নিলাম এটা আমার বোঝাতে না পারার ব্যার্থতা। আর যদি বুঝেও সত্য স্বীকারে সমস্যা থাকে তবে বলার কিছুই নাই। এই পোষ্টে কমেন্ট করার আর কোন ইচ্ছা ছিল না, শুধু বিপদেআছি এর কমেন্টের জবাবে কমেন্ট করা।]

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১২

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: আপনার সমস্যাটা কি? আলাদা আলাদা ইন্সটিটিউট কে আপনি "সমষ্টিগত" হিসেবে ক্যান ডাকবেন? আমার পোস্টে আমি একবারও পাবলিক ইউনিকে বা এর ছাত্রদের মান নিয়ে কোন কথাই বলি নাই, তারপরেও আপনি বারবার তুলনা করতেসেন আর উল্টাপাল্টা অপমান করার চেষ্টা করতেসেন? পোস্টের টপিকের বাইরে গিয়া খামাখাই ক্যাচাল করার চেষ্টা করতেসেন ক্যান? জন্মের পর কি মুখে মধু দেয় নাই নাকি আপনার? অন্যরে সম্মান করতে শিখেন...আর বেশী অহঙ্কার দেখাইয়েন না, অহঙ্কার পতনের মূল। মানুষ হন।

৩৮| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৭

বিপদেআছি বলেছেন: বিশ্বপ্রেমিক বলেছেন: @বিপদেআছিঃ ভাই, আপনে সেরা পাবলিক ভার্সিটির স্টুডেন্ট! পাবলিক ভার্সিটির পুলাপাইন ইংরেজিতে ২ লাইন লিখতে দিলে হেগে দেয়! আপনার কি অবস্থা? আপনি যেহেতু সেরা পাবলিক ভার্সিটিটার স্টুডেন্ট, তাহলে তো আপনাকে ইংরেজি লিখতে দিলে আরও সেরাটা বের হবার কথা?

:) জানতাম একথা কইবা, খুব লাগছে না? অন্যকে অপমান করার সময় কথাটা মনে রাখলেই হয়।

বিশ্বপ্রেমিক বলেছেন: আমার বক্তব্য হলঃ প্রাইভেট ভার্সিটির স্টুডেন্ট সমষ্টিগত বললে সমস্যাটা কি?

সমস্যা আছে, প্রত্যেকটা ইউনির আলাদা পরিচয় আছে।তুমি এটা ভাল কইরা জান , কিন্তু তোমার উদ্দেশ্য ভিন্ন, এত অহংকার কইরনা।

বিশ্বপ্রেমিক বলেছেন:আপনে তো সেরা পাবলিক ভার্সিটির স্টুডেন্ট, আপনিই বলেন, কৃষি নির্ভর এই দেশে কতগুলান ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার দরকার? কত টেলিকম ইঞ্জিনিয়ার দরকার? আর কত কৃষিবিদ দরকার?

বাজারে চাকরি নাই দেখে মানুষ পড়ালেখা করবেনা?? হ্যা এটা সত্য যে কিছু কমন বিষয় পড়ান হচ্ছে , এটা কি প্রাইভেট ষ্টুডেন্টের দোষ??? তাছাড়া দেশে যে পরিমান ইন্জিঃ , ডাক্তার দরকার তা এখনও নাই,মনে রাখতে হবে এটা ১৬০ কোটি মানুষের বিশাল দেশ। সরকার যদি বলদ হয় তাইলে তরুনদের দোষ কই?? স্রোতের বিপক্ষে কে সাতার কাটবার চায়??

বিশ্বপ্রেমিক বলেছেন:কিন্তু দুইটার মধ্যে যে প্রাইভেট-পাবলিক বিভেদ- তা নিরসনের জন্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কাতারে আসতে হবে- যেটা কখনই সম্ভব না।

জাতি হিসাবে আমরা এখনো অশিক্ষিত ও সংকীর্ন দৃষ্টিভংগির ।পাবলিক , প্রাইভেট কোন ব্যাপার না, কি শিখলাম তাই জরুরী, জীবন অনেক বড় , এদেশের কোন ইউনিই বিশ্বের টপ ৫০০ তে নাই, কোন গবেষনা হয়না বললেই চলে,এগুলা কার দোষ?? অনেক বলা যায় , সময় কইরা পরে একখান পোষ্ট দিমুনে।

বাংগালিরা অনেক মেধাবী জাতি , মুষ্টিময় কিছু ছেলে (যারা পাবলিকে পড়ে) মেধাবী বাকিরা By and large বলদ , এমন ধারনা ১০০ ভাগ গলদ।


নামতো মিয়া রাখছ বিশ্বপ্রেমিক , প্রেম করা শিখ। :)

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১৫

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: আমার পোস্টের টপিক পাবলিক প্রাইভেট ইউনির মধ্যে কোন তুলনা করা ছিল না। ছিল প্রত্যেকটা প্রাইভেট ইউনিকে স্বতন্ত্রভাবে সম্বোধন করা নিয়ে, সিম্পল জিনিশ। আপনাকে ধন্যবাদ, আপনি যে জিনিসটা সহজেই বুঝেছেন সেইটা বিশ্বপ্রেমিক তাঁর মোটা মাথায় এখনও ঢুকাতে পারেন নাই। পারবেন সেই আশাও কম, আর উনার কোথায় আবার **টাও আসে যায় না। সবাই যদি আপনার মত উদারভাবে চিন্তা করতো তাহলে দেশের অনেক উন্নতি হতো।

৩৯| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৪

বিশ্বপ্রেমিক বলেছেন: @বিপদে আছিঃ
:) জানতাম একথা কইবা, খুব লাগছে না? অন্যকে অপমান করার সময় কথাটা মনে রাখলেই হয়।

আপনে আসলেই বিপদে আছেন, কমেন্ট পইড়াই বুঝা যায়। কইলাম কি, আর বুঝলেন কি? =p~ বাংলাদেশের সব পাবলিক ভার্সিটির স্টুডেন্ট ইংরেজি লিখতে হেগে দেয়- এই যখন আপনার ধারণা- তখন কোন সেরা ভার্সিটির সেরা স্টুডেন্ট বোঝাই যাচ্ছে =p~

"সমস্যা আছে, প্রত্যেকটা ইউনির আলাদা পরিচয় আছে।তুমি এটা ভাল কইরা জান , কিন্তু তোমার উদ্দেশ্য ভিন্ন, এত অহংকার কইরনা।"
যদি অহংকারীই হতাম, তাহলে প্রাইভেট ভার্সিটিরে পঁচাইতাম, ওদের নিয়া পজিটিভ কোন কথাই বলতাম না। ভালরে ভাল, আর খারাপরে খারাপ বলতে সমস্যাটা কই বুঝি না। ভাল কইলেই ভাল, আর খারাপ কইলেই অহংকারী? আচ্ছা আমি যে যে পয়েন্টে খারাপ বলছি তা ভুল বলেই ধরলাম। এখন আপনিই বলেন প্রাইভেট ভার্সিটিগুলানের সমস্য কি কি? নাকি বাংলাদেশের প্রাইভেট ভার্সিটি গুলান হাভার্ড-অক্সফোর্ড ষ্ট্যান্ডার্ড, আর পাবলিক ভার্সিটিগুলান প্রাইমারী স্কুল স্ট্যান্ডার্ড [আপনার যুক্তিতে, যেহেতু পাবলিক ভার্সিটির ছাত্ররা ইংরেজিতে লিখতে পারে না =p~ ] আমার কমেন্টগুলোতে পজিটিভ- নেগেটিভ দুইই আছে। আপনাদের আপত্তি শুধু নেগেটিভ পয়েন্টগুলাতে, কখনও তো পজিটিভ যে কমেন্টগুলান করছি তা নিয়া কিছুই বলেন নাই। কারণ নিজের সম্পর্কে যা ভাল তা সবার ভালই লাগে, আর খারাপগুলি শুনতে গা জ্বালা করে।

"বাজারে চাকরি নাই দেখে মানুষ পড়ালেখা করবেনা?? হ্যা এটা সত্য যে কিছু কমন বিষয় পড়ান হচ্ছে , এটা কি প্রাইভেট ষ্টুডেন্টের দোষ??? তাছাড়া দেশে যে পরিমান ইন্জিঃ , ডাক্তার দরকার তা এখনও নাই,মনে রাখতে হবে এটা ১৬০ কোটি মানুষের বিশাল দেশ। সরকার যদি বলদ হয় তাইলে তরুনদের দোষ কই?? স্রোতের বিপক্ষে কে সাতার কাটবার চায়??"

আরেকটা ফাউল যুক্তি। পড়াশুনা না করে আমি কাউকে মূর্খ থাকার কথা বলছি নাকি? আর প্রাইভেট ভার্সিটির স্টুডেন্টের দোষ দিয়েছে কে? প্রাইভেট ভার্সিটিগুলান এইসব সাবজেক্ট খুলে কেন? বাজারে চাহিদা বেশি তাই। আর চাহিদা বাড়ায় কারা? উত্তর নিজে খুঁজে নেন। প্রাইভেট ভার্সিটিগুলোর যদি উদ্দেশ্য সত্যিকার জ্ঞান বিতরণই থাকে, তাহলে ঢাকা বা বড় বড় শহরগুলোর বাইরে ক্যাম্পাস স্থাপনে তাদের অনীহা থাকার কথা না। খালি ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার-বিবিএ পাশ করলেই শিক্ষিত হওয়া যায় না, প্রকৃত শিক্ষিত তারাই যারা শিক্ষার আগুনটাকে মনের ভেতর জ্বালাতে পেরেছে। কোনটা উচিত-অনুচিত তা বুঝতে পেরেছে। আর স্রোতের বিরুদ্ধে সাঁতার কাটতে কেউ চায় না- কিন্তু কিছু কিছু পরিস্থিতিতে কাটতে হয়। কারণ মানুষের ঐ শিক্ষা। স্রোত যদি সত্যের বিপরীতে হয়, তবে স্রোতের বিরূদ্ধেও সাঁতার কাটতে হয়। তবে আপনি যদি "টাকা যার শিক্ষা তার" নীতিতে বিশ্বাসী কেউ হন, তবে বলার কিছুই নাই।

"জাতি হিসাবে আমরা এখনো অশিক্ষিত ও সংকীর্ন দৃষ্টিভংগির ।পাবলিক , প্রাইভেট কোন ব্যাপার না, কি শিখলাম তাই জরুরী, জীবন অনেক বড় , এদেশের কোন ইউনিই বিশ্বের টপ ৫০০ তে নাই, কোন গবেষনা হয়না বললেই চলে,এগুলা কার দোষ??"

সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি কোনটা? জীবনে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার-বিবিএ পাশ না করলে শিক্ষিত হতে পারলাম না সেইটা- নাকি নিজের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে সঠিক বিবেচনাবোধের মাধ্যমে শুধু নিজের যোগ্যতম স্থানে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা? যদি প্রথমটাই আপনার দৃষ্টিতে উদার দৃষ্টি হয়, তাহলে তারপরের শেখাটা শুধু চাকুরীর প্রয়োজনেই দরকার- অন্য কাজে নয়। বিশ্বের টপ ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয় থাকবে ক্যামনে? বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পেছনে সরকারের বরাদ্দ কত? গবেষণার সুবিধা কেমন? যেখানে ভার্সিটিগুলারে এখনও অবকাঠামোগত ভাবেই গড়ে তুলতে পারে নাই, সেখানে টপ ৫০০ তে যাবার চিন্তা করা বোকামী।

"বাংগালিরা অনেক মেধাবী জাতি , মুষ্টিময় কিছু ছেলে (যারা পাবলিকে পড়ে) মেধাবী বাকিরা By and large বলদ , এমন ধারনা ১০০ ভাগ গলদ।"
ভাই এমন ধারণা এখানে কেউ পোষণ করে নাই। যদি উপরের কমেন্টগুলো পড়ে আমার কমেন্টগুলো আপনার এই ধারণাই হয় তবে আপনার জন্য আফসোস করা ছাড়া কিছুই করার নাই।

প্রেম স্পেশালিস্ট বলেই তো বিশ্বপ্রেমিক- বিপদে নাই। ;)

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩১

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: প্রাইভেট ইউনির ভালো খারাপ দুই দিকই আছে, কিন্তু এই পোস্টের উদ্দেশ্য সেইটা নিয়া আলোচনা করা না। টপিকের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ মন্তব্য করেন পারলে। আপনি যদি সব প্রাইভেট ইউনিকে গনহারে খারাপ বলতে চান, আপনার সাথে আর আলোচনা করার কোন মানেই হয় না।

৪০| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬

বিপদেআছি বলেছেন: বাংলাদেশের সব পাবলিক ভার্সিটির স্টুডেন্ট ইংরেজি লিখতে হেগে দেয়- এই যখন আপনার ধারণা- তখন কোন সেরা ভার্সিটির সেরা স্টুডেন্ট বোঝাই যাচ্ছে।

:) আমি কখনও কইনাই সব , তবে অধিকাংশ।

নাকি বাংলাদেশের প্রাইভেট ভার্সিটি গুলান হাভার্ড-অক্সফোর্ড ষ্ট্যান্ডার্ড, আর পাবলিক ভার্সিটিগুলান প্রাইমারী স্কুল স্ট্যান্ডার্ড [আপনার যুক্তিতে, যেহেতু পাবলিক ভার্সিটির ছাত্ররা ইংরেজিতে লিখতে পারে না ]

তুমি আমার মুখে কথা বসায় দিলেইতো হপে না হে।

আমার কমেন্টগুলোতে পজিটিভ- নেগেটিভ দুইই আছে। আপনাদের আপত্তি শুধু নেগেটিভ পয়েন্টগুলাতে, কখনও তো পজিটিভ যে কমেন্টগুলান করছি তা নিয়া কিছুই বলেন নাই। কারণ নিজের সম্পর্কে যা ভাল তা সবার ভালই লাগে, আর খারাপগুলি শুনতে গা জ্বালা করে।

আমার গা জ্বালা করার কোন কারন নাই, আমি তোমার মতই পাবলিক ।আমি পাবলিকের বলেই এর (পাবলিক ইউনি)সমালোচনা করার বেশী অধিকার আছে বলে মনে করি,মানুষ নিজের ছেলেরেই বেশী বকে( এটা কিন্তু একটা মেটাফর ,ভাইবা বইসনা আমি পাবলিক ইউনির বাপ :) ) তোমার কমেন্টগুলোতে নেগেটিভিই বেশী, এটা যে কেউ বুঝবে। প্রাইভেটরে নিয়ে নিজেও কিন্তু পোষ্ট দিছ। নিজের ভুল খুব কম লোকেই দেখে।মানুষকে প্রাপ্য সম্মান দিলে ক্ষতি নাই ।

প্রাইভেট ভার্সিটিগুলোর যদি উদ্দেশ্য সত্যিকার জ্ঞান বিতরণই থাকে, তাহলে ঢাকা বা বড় বড় শহরগুলোর বাইরে ক্যাম্পাস স্থাপনে তাদের অনীহা থাকার কথা না।

বাংলাদেশের সব কিছুইত প্রায় ঢাকায় ,প্রাইভেট ভার্সিটিগুলোর আলাদা হবে কেন?? যে দেশের সব চলে একজন ব্যক্তির অফিস থেকে সেখানে তোমার এই কথা টেকেনা।


বিশ্বের টপ ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয় থাকবে ক্যামনে? বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পেছনে সরকারের বরাদ্দ কত? গবেষণার সুবিধা কেমন? যেখানে ভার্সিটিগুলারে এখনও অবকাঠামোগত ভাবেই গড়ে তুলতে পারে নাই, সেখানে টপ ৫০০ তে যাবার চিন্তা করা বোকামী।

এইতো নিজেররে ডিফেন্ড শুরু করছ, সরকারতো সব খরচ কইরা ফেলায় মেধাবীদের (!) ব্যচেলর পড়াইতে,তথাকথিত মেধাবীরা দেশের কোন কামে আয়ও না, আমি নিজেও দোষী, আমিও আমার দেশের জন্য কিছু করি নাই, আমার আফসোসের সীমা নাই, যাক সে কথা , অলপ বেতন বাড়াইলে "টাকা যার শিক্ষা তার" নীতিতে বিশ্বাসী অপবাদ দিবা,ভাংচুর করবা । কিন্তু বছরের পর বছর সেশনজট করে(পরীক্ষা পেছানোর আন্দোলন) , জনগনের পয়সা নষ্ট করার সময় হুশ করার থাকেনা। আমেরিকায় দেখো মেধাবীরা বৃত্তি নিয়া পড়ে , অন্যরা টাকা দিয়া পড়ে লোন নিয়া হলেও।আমি জানি কইবা বাংলাদেশ আমেরিকা না, সব ক্ষেএে US কে ফলো করলে এখানে নয় কেন?? IBA সহ অন্যরা শুরুও করছে নিজের ব্যবস্হা নিজে করতে সন্ধাকালীন কোর্সের মাধ্যমে।উদাহরন হিসাবে বলি, বুয়েট যদি মেধাতালিকা থেকে ২০০০ জনকে পড়ার সুযোগ দেয় , আর প্রথম ৫০০- ৬০০ জনকে বৃত্তি দেয় , বাকিগুলার কাছ থেকে ৫ - ৬ লাখ নেয় তাইলে নিজের গবেষনা নিজেই করতে পারব। এরজন্য এমন কোন বাড়তি জনবল অবকাঠামো লাগবেনা ।

সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি কোনটা? জীবনে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার-বিবিএ পাশ না করলে শিক্ষিত হতে পারলাম না সেইটা- নাকি নিজের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে সঠিক বিবেচনাবোধের মাধ্যমে শুধু নিজের যোগ্যতম স্থানে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা?

তুমি যেটা বলছ ঠিকই আছে , তবে শুধু সঠিক বিবেচনাবোধের মাধ্যমে নিজের যোগ্যতম স্থানে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা সহজ নয়( যেমন ১৮ বছরের সব বাচ্চা ছেলের বোঝার কথা নয় কি পড়বে কেন পড়বে? এদেশে কোন Aptitude test হয়না) , সরকারের দায়িত্ব এমন সিস্টেম করা যাতে মানুষ নিজের সবটুকু কাজে লাগাতে পারে।, কিন্তু কে করব, আমাদের দেশ চালায় ছাগলে । এই যেখনে অবস্হা সেখানে কেউ যদি বাজারি বিষয় পড়ে এই ক্ষনস্হায়ী দুনিয়ায় একটু ভাল থাকতে চায় তাহলে তাকে দোষ দেয়া যাবে কি?

প্রেম স্পেশালিস্ট বলেই তো বিশ্বপ্রেমিক- বিপদে নাই।

ভালো, বিপদে না থাকলেই ভাল। ভাল থাকো।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২০

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: আপনার আইডিয়াটা বেশ পছন্দ হল। এইভাবে করা যেতেই পারে, তাহলে পাবলিক ইউনিগুলো নিজেদের খরচ নিজেরাই চালাতে পারবে। আর অনেক ভালো ভালো গবেষনাও করা যাবে এই দেশেই। যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানায় দেন পারলে ব্যাপারটা!

৪১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৪

বইয়ের পোকা বলেছেন: @ বিপদেআছি: আপনার সাথে সহমত।
"উদাহরন হিসাবে বলি, বুয়েট যদি মেধাতালিকা থেকে ২০০০ জনকে পড়ার সুযোগ দেয় , আর প্রথম ৫০০- ৬০০ জনকে বৃত্তি দেয় , বাকিগুলার কাছ থেকে যদি টিউশন ফি নেয় তাইলে নিজের গবেষনা নিজেই করতে পারব। "
@বিশ্বপ্রেমিক : ভাই আমরা বলি না যে প্রাইভেট পাবলিকরে ছাড়ায়া গেছে। কিন্তু অনেক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ভালো করতে চাচ্ছে, এখন যদি তাদের সুজোগ দেয়া না হয় তাহলে তারা পারবে কিভাবে? আমি আগেও বলেছি পাবলিকের ঐতিহ্য শত বছরের পুরোনো সেই তুলনায় প্রাইভেট শুরু করেছে বেশি দিন হয় নাই।
NSU BRAC যদি খারাপ হয়ে থাকে তাহলে বলেন NSU খারাপ, BRAC খারাপ সব প্রাইভেট কে একসাথে ধরে বলে দিলেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এটাতো ঠিক না। নাম ধরে খারাপ বলেন। নাম ধরে ভালোও বলেন কোনো সমস্যা নাই।
লেখকও এটাই বলতে চেয়েছেন, প্রত্যেকের তো নাম আছে। নাম ধরে ভালো/খারাপ মন্তব্য করুন।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৮

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: বিশ্বপ্রেমিক এর সাথে খামাখা আলোচনা করে লাভ নাই, উনি সম্ভবত পাবলিকে পড়ায় সুপেরিওরিটি কমপ্লেক্সে ভুগছেন। নিজেকে ছাড়া বাকি সবাইকে নিচু জাতের মনে করছেন। ব্যাপারটা একটা মানসিক সমস্যা, এর ভালো ট্রিটমেন্ট দরকার। আপনি যেই হন না কেন, যদি অন্যকে সম্মান দিতে না পারেন...আপনি আসলে নিজেকেই ছোট করছেন। সহজ একটা ব্যাপারকে খামাখাই অন্যদিকে টেনে নিয়ে সেই পুরানা ক্যাচাল শুরু করেছেন। উনি নিজেকে এতই বড় মনে করেন যে আলাদা আলাদা প্রাইভেট ইউনির নাম পর্যন্ত বলতে চান না, ভালো কথা। উনার মত একটা দুইটা মহাজ্ঞ্যানি কি বলল তাতে কিছু আসে যায় না।

৪২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৭

বিশ্বপ্রেমিক বলেছেন: @বিপদে আছিঃ

" :) আমি কখনও কইনাই সব , তবে অধিকাংশ। "

এইতো মামা পিছলানী শুরু হয়ে গেছে। কুন সময় কইছিলা অধিকাংশ? আর কিছুক্ষণ ডলা দিলে তো "অধিকাংশ" হয়ে যাবে "অল্পকিছু" =p~

" তুমি আমার মুখে কথা বসায় দিলেইতো হপে না হে। "

মামু তুমার মুখে কে বসাইতে গেছিলো? বরং তুমার কথায় আমজনতা যা বুঝব তাই কইলাম।

"আমার গা জ্বালা করার কোন কারন নাই, আমি তোমার মতই পাবলিক ।আমি পাবলিকের বলেই এর (পাবলিক ইউনি)সমালোচনা করার বেশী অধিকার আছে বলে মনে করি,মানুষ নিজের ছেলেরেই বেশী বকে( এটা কিন্তু একটা মেটাফর ,ভাইবা বইসনা আমি পাবলিক ইউনির বাপ :) ) তোমার কমেন্টগুলোতে নেগেটিভিই বেশী, এটা যে কেউ বুঝবে। প্রাইভেটরে নিয়ে নিজেও কিন্তু পোষ্ট দিছ। নিজের ভুল খুব কম লোকেই দেখে।মানুষকে প্রাপ্য সম্মান দিলে ক্ষতি নাই । "

আমার কমেন্টে নেগেটিভ দিক বেশি- অস্বীকার করার উপায় নাই, কারণটাও যদি মামা না বুঝো তাহলে কি আর কই? পোষ্টটা ভাল করে পড়ে দেখ, প্রাইভেট ভার্সিটির নেগেটিভ কোন দিক তোমার কাছে ধরা পড়ে কি না? না পড়লে পোষ্টের দ্বিতীয় প্যারাটা আবার পড়, খুব খৈয়াল কইরাঃ

"পাবলিক ভার্সিটি এর মধ্যে যেমন মানের পার্থক্য আছে তেমন আছে প্রাইভেট ভার্সিটিতেও। দেশের সবগুলি প্রাইভেট ভার্সিটি সমমান বজায় রাখতে পারেনি, পারার কথাও না। কিন্তু শীর্ষস্থানীয় প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি গুলোতে যথেষ্ট ভালো পড়াশুনা হয়, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি এর অনেক ছাত্রছাত্রী দেশে এবং বিদেশে সমান সুনামের সাথে কাজ করছেন। যেই নামী অধ্যাপক পাবলিক ভার্সিটিতে পড়ান, তিনিই প্রাইভেট ভার্সিটিতে পড়ান। উপরন্তু প্রাইভেট ভার্সিটি এর সিলেবাস সবসময়ই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে করা হয়, ভালো রেজাল্ট করতে গেলে ছাত্রছাত্রীদেরকে প্রচুর শ্রম দিতে হয়...এমনকি বড় ভাইদের কাছ থেকে পুরনো প্রশ্ন বা নোটও অনেক প্রাইভেট ভার্সিটিতেই পাওয়া যায় না। আমি নিজে প্রায় দুই বছর দুপুরের খাবার খেয়েছি সন্ধ্যায়, কারন সারাদিন ক্লাস এবং ল্যাব থাকায় খাওয়ার সময় পেতাম না। এত কষ্ট করে পড়াশুনা করার পরও একটা প্রাইভেট ভার্সিটি এর ছাত্রকে প্রতি মুহূর্তে খোঁচা দেওয়া হয় এই বলে যে- “প্রাইভেট ভার্সিটিতে তো সার্টিফিকেট কেনাবেচা হয়”। ভার্সিটি থেকে পাশ করার পরও জ্বালা, সবসময় তাঁকে মনে করিয়ে দেওয়া হয় তুমি প্রাইভেটের “মুরগি”, তোমার মাথায় ব্রেইনের বদলে আছে গোবর! :P"

প্রথমেই প্রাইভেট ভার্সিটির মধ্যে বিভাজনের মাধ্যমে প্রাইভেটগুলার ভাল-খারাপ দুই ভাগ করার চেষ্টা, দ্বিতীয়তে পাবলিকের স্যারদের এইসব তথাকথিত ভাল ভার্সিটিতে ক্লাস নেওয়াইয়া তাদের স্ট্যাটাস বৃদ্ধির চেষ্টা, এবং পাবলিক ভার্সিটির স্যারদের প্রাইভেটে ক্লাস নেওয়ার এই খারাপ সংস্কৃতিটাকে হালালকরণের চেষ্টা, তৃতীয়ত- "উপরন্তু প্রাইভেট ভার্সিটি এর সিলেবাস সবসময়ই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে করা হয়" দিয়া পাবলিকের পুলাপাইনরে সুক্ষ একটা পিন- যা তুমার না লাগলেও লাগতে পারে, কিন্তু আমার লাগছে। আমার সাবজেক্টে অন্ততঃ ব্যাকডেটেড কিছু কখনও পড়ি নাই, আপডেটেড সিলেবাসেই আমাদের পাবলিক ভার্সিটিতে পড়ানো হইছে। চতুর্থত, "ভালো রেজাল্ট করতে গেলে ছাত্রছাত্রীদেরকে প্রচুর শ্রম দিতে হয়...এমনকি বড় ভাইদের কাছ থেকে পুরনো প্রশ্ন বা নোটও অনেক প্রাইভেট ভার্সিটিতেই পাওয়া যায় না।আমি নিজে প্রায় দুই বছর দুপুরের খাবার খেয়েছি সন্ধ্যায়, কারন সারাদিন ক্লাস এবং ল্যাব থাকায় খাওয়ার সময় পেতাম না।" দিয়া কি বুঝাইলো? তুমিই বুইঝা নাও নিজের সেন্স দিয়া।

এইরকম অনেক অনেক ব্যাপার যা আমার কাছে খারাপ লাগছে, টপ ঐসকল ভার্সিটির যেসব অসঙ্গতি আমার চোখে পড়ছে, সচরাচর প্রাইভেট ভার্সিটির স্টুডেন্টরা যেসব ধারণা পোষণ করে সব মিলিয়েই ঐসকল নেগেটিভ কমেন্ট। কখনই এইটা বলার জন্য না যে, প্রাইভেট ভার্সিটির সকল ছাত্রই গরু-গাধা। প্রাইভেট ভার্সিটিতেও মেধাবী ছাত্র আছে, তবে সমষ্টিগতভাবে তাদের এইটা বুঝানোই আমার উদ্দেশ্য ছিল যে "মেধাবীরা নিজের স্থান করে নেয় নিজের যোগ্যতায়- ভার্সিটির নাম দিয়া না"।

"বাংলাদেশের সব কিছুইত প্রায় ঢাকায় ,প্রাইভেট ভার্সিটিগুলোর আলাদা হবে কেন?? যে দেশের সব চলে একজন ব্যক্তির অফিস থেকে সেখানে তোমার এই কথা টেকেনা।"

প্রাইভেট ভার্সিটিগুলান ঢাকার বাইরে হলে সমস্যা কি? প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ ঢাকার বাইরে নাই? পাবলিক ভার্সিটিগুলান যদি সারাদেশে ছড়ায়া ছিটায়া থাকতে পারে তাহলে তাদের সমস্যা কই? নাকি তাদের দায়বদ্ধতা শুধু ঢাকায়, সারাদেশব্যাপী নয়। এটা পুরাই আবালীয় যুক্তি। প্রাইভেট ভার্সিটি যদি ঢাকার বাইরে হয়, যত নাম করা প্রাইভেট ভার্সিটিই হোক, স্টুডেন্ট পাবে না- গ্যারান্টেড।

"এইতো নিজেররে ডিফেন্ড শুরু করছ, সরকারতো সব খরচ কইরা ফেলায় মেধাবীদের (!) ব্যচেলর পড়াইতে,তথাকথিত মেধাবীরা দেশের কোন কামে আয়ও না, আমি নিজেও দোষী, আমিও আমার দেশের জন্য কিছু করি নাই, আমার আফসোসের সীমা নাই, যাক সে কথা , অলপ বেতন বাড়াইলে "টাকা যার শিক্ষা তার" নীতিতে বিশ্বাসী অপবাদ দিবা,ভাংচুর করবা । কিন্তু বছরের পর বছর সেশনজট করে(পরীক্ষা পেছানোর আন্দোলন) , জনগনের পয়সা নষ্ট করার সময় হুশ করার থাকেনা। আমেরিকায় দেখো মেধাবীরা বৃত্তি নিয়া পড়ে , অন্যরা টাকা দিয়া পড়ে লোন নিয়া হলেও।আমি জানি কইবা বাংলাদেশ আমেরিকা না, সব ক্ষেএে US কে ফলো করলে এখানে নয় কেন?? IBA সহ অন্যরা শুরুও করছে নিজের ব্যবস্হা নিজে করতে সন্ধাকালীন কোর্সের মাধ্যমে।উদাহরন হিসাবে বলি, বুয়েট যদি মেধাতালিকা থেকে ২০০০ জনকে পড়ার সুযোগ দেয় , আর প্রথম ৫০০- ৬০০ জনকে বৃত্তি দেয় , বাকিগুলার কাছ থেকে ৫ - ৬ লাখ নেয় তাইলে নিজের গবেষনা নিজেই করতে পারব। এরজন্য এমন কোন বাড়তি জনবল অবকাঠামো লাগবেনা ।"

মামা এইটা আরেক আবালীয় যুক্তি যে ব্যাচেলর পড়াইতে সরকার সব খরচ করে ফালায়। তুমি দেশের বাজেটের দিকে খৈয়াল কর, বেশ ভালভাবে, দেশের বাজেটের বেশ বড় অংশই যায় সামরিক খাতে, শিক্ষা খাতে বরাদ্দ অনেক কমই থাকে, আর যাও থাকে তাতে প্রাইমারী, সেকেন্ডারী পার হয়ে এসে ভার্সিটিগুলাতে বাজেট কত আসে খোঁজ কইরা দেখ। আর এই জন্যেই এই মেধা দেশের কোন কাজে আসে না। মেধা আমাদের আর ফল ভোগ করে আমেরিকা, কানাডা, জাপান, অষ্ট্রেলিয়া..... তাইলে বুঝো অবস্থা। আর দেশের জন্যে কিছু করার ব্যাপারখানা তুমি না করলেও আমি জানি আমি করার চেষ্টা করি, ভবিষ্যতেও করব ইনশাল্লাহ এবং অনেকেই করে। কিছু জ্ঞানপাপী সবখানেই থাকে যেগুলানরে সোজা করার সাধ্য আল্লাহ ছাড়া কারোরই নাই। পাবলিক ভার্সিটির বেতন অল্প বাড়লে ভাঙচুর করবো না কেন? একটা ছাত্র তার সেমিষ্টার ফি এর জন্যে মোবাইল বিক্রি করে দেয়- দেখছ কখনও? দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাবলিক ভার্সিটিগুলোতে যারা যায় তাদের অনেকেরই এমন অবস্থা। অনেকে খাবার টাকাটাও নিজে নিজে ব্যাবস্থা করে নিতে হয়। এগুলা তোমার দেখার কথা না, বুঝবাও না। আমি দেখছি, জানি। কম্পিউটার কেনার সামর্থ্য নাই, প্রোগ্রামিং প্র্যাকটিস করে খাতায় লিখে লিখে, এমন মেধাবীও দেখছি ঐসব ভার্সিটিতে। সুতরাং বুঝো, তোমার কাছে হয়তো ঐসবের খরচ কোন খরচই না, অথচ ঐ খরচে না পড়তে পারলে তাদের সারাজীবন ঐ ইন্টার পাশ হয়েই হয়তো থাকতে হত। আর বুয়েটের কথা টানিও না, ওরা যে পর্যায় আছে তার সাথে দেশের আর কোন ভার্সিটির তুলনা চলে না। বাংলাদেশে ইঞ্জিনিয়ারিং এর মক্কা বলা যেতে পারে একে। ওরা নিজেদের অনেক খরচ নিজেদের অর্থেই করে। নতুন একটা একাডেমিক বিল্ডিং শুনলাম করছে নিজের খরচে। আয়ের পথ- বুয়েটে আসা দেশি বিদেশী বিভিন্ন প্রজেক্ট, যেটা অন্য কোন ভার্সিটি এত পরিমানে পায় না। আর বুয়েটের প্রধান উদ্দেশ্যই দেশের মেধাবীদের নিয়া কাজ করা। ঢাবির মত ব্যাবসার ধান্দা নাই। ঢাবিতে সান্ধ্যকালীন ম্যাক্সিমাম কোর্সই মধ্যবিত্ত-নিম্নমধ্যবিত্তের সাধ্যের বাইরে। যেটা বুয়েটে হয় না।

"তুমি যেটা বলছ ঠিকই আছে , তবে শুধু সঠিক বিবেচনাবোধের মাধ্যমে নিজের যোগ্যতম স্থানে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা সহজ নয়( যেমন ১৮ বছরের সব বাচ্চা ছেলের বোঝার কথা নয় কি পড়বে কেন পড়বে? এদেশে কোন Aptitude test হয়না) , সরকারের দায়িত্ব এমন সিস্টেম করা যাতে মানুষ নিজের সবটুকু কাজে লাগাতে পারে।, কিন্তু কে করব, আমাদের দেশ চালায় ছাগলে । এই যেখনে অবস্হা সেখানে কেউ যদি বাজারি বিষয় পড়ে এই ক্ষনস্হায়ী দুনিয়ায় একটু ভাল থাকতে চায় তাহলে তাকে দোষ দেয়া যাবে কি?"

শেষ প্যারার সাথে পুরাই সহমত- শুধু শেষের লাইন ছাড়া। আসলে এরা নিজের ইচ্ছাতে প্রাইভেট ভার্সিটিতে কতখানি পড়তে যায় জানি না, তার চাইতে বেশি থাকে সামাজিক মর্যাদার ব্যাপারটা। ডাক্তারের ছেলে ডাক্তার নাহলে সমাজে মানসম্মান থাকে না, ইঞ্জিনিয়ারের ছেলে অবশ্যই হতে হবে ইঞ্জিনিয়ার। ব্যাবসায়ীর ছেলের একটা বিবিএ-এমবিএ এর সার্টিফিকেট ছাড়া সমাজে মুখ দেখানো দায়। আসলে আমরা শিক্ষাকে নিয়ে গেছি একটা বিলাসিতার পর্যায়ে- তানাহলে এই সব ক্যাচাল কখনই আসতো না। দেশে টেকনিক্যাল সাবজেক্টের দরকার অবশ্যই আছে, কিন্তু এইগুলার জন্য এইরকম ভার্সিটি খুলার দরকার দেখি না। এত ভার্সিটির পরিবর্তে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বা ভাল কিছু কলেজও যদি খুলা যেত তাও শিক্ষার মান উর্ধ্বমুখী হত বলেই মনে করি, কারণ সেক্ষেত্রে শিক্ষার খরচটাও অনেক কমে আসত- শিক্ষা নিয়ে বিলাসীতাটা বন্ধ হত, আমরা আরও দক্ষ জনশক্তি পেতাম এবং কাজে লাগাতে পারতাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে উদ্দেশ্য- নিত্য নতুন গবেষণার মাধ্যমে জ্ঞানের বিকাশ- তা বাংলাদেশের অধিকাংশ ভার্সিটিতেই হয় না।


১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৮

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: “প্রথমেই প্রাইভেট ভার্সিটির মধ্যে বিভাজনের মাধ্যমে প্রাইভেটগুলার ভাল-খারাপ দুই ভাগ করার চেষ্টা”, এইখানে চেষ্টার কিছু নাই। এইটাই ফ্যাক্ট, সব প্রাইভেট ইউনির মান সমান না, ঠিক যেরকম সব পাবলিকের মান সমান না। আপনি মানতে না চাইলে কিছু আসে যায় না।
“দ্বিতীয়তে পাবলিকের স্যারদের এইসব তথাকথিত ভাল ভার্সিটিতে ক্লাস নেওয়াইয়া তাদের স্ট্যাটাস বৃদ্ধির চেষ্টা,”, এইখানেও স্ট্যাটাস বৃদ্ধির কিছু নাই। সেইসব স্যাররা তাঁদের knowledge এবং অন্যান্য বিষয়ের কারনেই প্রাইভেট ইউনির কাছে গুরুত্ব পান, সব স্যারই যে প্রাইভেটে পড়াতে পারবেন তা না। যেহেতু প্রাইভেট ইউনিগুলো এখনও নতুন, তাই অভিজ্ঞ টিচার হিসেবে এখনও পাবলিকের স্যারদেরই নেওয়া হচ্ছে। আর স্যাররাও তাঁদের মেধার প্রকৃত মূল্যায়ন পাচ্ছেন। সহজ জিনিসটাকে সহজভাবেই দেখা উচিৎ।
“উপরন্তু প্রাইভেট ভার্সিটি এর সিলেবাস সবসময়ই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে করা হয়" দিয়া পাবলিকের পুলাপাইনরে সুক্ষ একটা পিন”...সবকিছু উল্টাভাবে দেখা বাদ দেন। আমি কি এইখানে বলসি যে পাবলিকের সিলেবাস আপডেট না? এত জ্বলে ক্যান? প্রাইভেট ইউনির সমালোচনা করার জন্য আপনার মত কিছু মানুষ তো আছেই, তাই আমার পোস্টে আমি নিজে সেটা করি নাই। যদিও আমি নিজেই বলসি যে সব প্রাইভেট এর মান সমান না। খেয়াল কইরা।
ঢাকার বাইরে প্রাইভেট ইউনি নাই, কথাটা সত্যি না। চিটাগাং এ আছে, সিলেটে আছে...আরও কয়েকটা বড় শহরে আছে প্রাইভেট ইউনি। ভবিষ্যতে আরও হবে... বাংলাদেশের প্রাণকেন্দ্র হচ্ছে ঢাকা, তাই এখান থেকেই শুরু করতে হবে। এইটা এমন কোন রকেট সাইন্স না যে বুঝতে এমন কষ্ট হইব। শুধুমাত্র এর কারনেই “সব প্রাইভেট ইউনি খারাপ, নাম ধইরা ডাকার কি দরকার?” ধারণা যে করতে পারে, তাঁর সম্পর্কে করুনা করা ছাড়া আর কিছু করার নাই।
পোস্টের টপিকের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ মন্তব্য করতে পারলে করেন, নাইলে আমাদের ক্ষমা করেন। আর ক্যাচাল কইরেন না।

৪৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২৩

বিপদেআছি বলেছেন: এইতো মামা পিছলানী শুরু হয়ে গেছে। কুন সময় কইছিলা অধিকাংশ? আর কিছুক্ষণ ডলা দিলে তো "অধিকাংশ" হয়ে যাবে "অল্পকিছু"

:) যতই ডলা দাও , যা সত্য তাই বলছি।

প্রাইভেট ভার্সিটিগুলান ঢাকার বাইরে হলে সমস্যা কি? প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ ঢাকার বাইরে নাই? পাবলিক ভার্সিটিগুলান যদি সারাদেশে ছড়ায়া ছিটায়া থাকতে পারে তাহলে তাদের সমস্যা কই? নাকি তাদের দায়বদ্ধতা শুধু ঢাকায়, সারাদেশব্যাপী নয়। এটা পুরাই আবালীয় যুক্তি। প্রাইভেট ভার্সিটি যদি ঢাকার বাইরে হয়, যত নাম করা প্রাইভেট ভার্সিটিই হোক, স্টুডেন্ট পাবে না- গ্যারান্টেড।

কোন সমস্যা নাই , আমিও সেটাই চাই , কিন্তু আবারো বলি যে দেশের সব চলে একজন ব্যক্তির অফিস থেকে সেখানে এটা আশা করা বাতুলতা। আগে যারা দেশ চালায় তাদের মাইন্ডসেট চেন্জ করতে হবে , অবশ্য আমি বিশ্বাস এই সব আবালদের ঝেটিয়ে বিদায় করার টাইম হইছে।


আর বুয়েটের কথা টানিও না, ওরা যে পর্যায় আছে তার সাথে দেশের আর কোন ভার্সিটির তুলনা চলে না। বাংলাদেশে ইঞ্জিনিয়ারিং এর মক্কা বলা যেতে পারে একে। ওরা নিজেদের অনেক খরচ নিজেদের অর্থেই করে। নতুন একটা একাডেমিক বিল্ডিং শুনলাম করছে নিজের খরচে। আয়ের পথ- বুয়েটে আসা দেশি বিদেশী বিভিন্ন প্রজেক্ট, যেটা অন্য কোন ভার্সিটি এত পরিমানে পায় না। আর বুয়েটের প্রধান উদ্দেশ্যই দেশের মেধাবীদের নিয়া কাজ করা।

আমি বুয়েটের কথা টানতেই পারি , কারন এটা আমি এখানে পড়েছি, বুয়েটের গবেষনার অবস্হা আমি ভালই জানি।

ডাক্তারের ছেলে ডাক্তার নাহলে সমাজে মানসম্মান থাকে না, ইঞ্জিনিয়ারের ছেলে অবশ্যই হতে হবে ইঞ্জিনিয়ার। ব্যাবসায়ীর ছেলের একটা বিবিএ-এমবিএ এর সার্টিফিকেট ছাড়া সমাজে মুখ দেখানো দায়। আসলে আমরা শিক্ষাকে নিয়ে গেছি একটা বিলাসিতার পর্যায়ে- তানাহলে এই সব ক্যাচাল কখনই আসতো না।

সত্য । তবে পুজিবাদি সমাজে শিক্ষা বিলাসিতার পর্যায়ে যাবেই , এটা inevitable , বিশেষ করে যেখানে সার্টিফিকেট কথা বলে।

মাঝে মাঝে প্রাইভেট ,পাবলিক এর ক্যাচাল দেখে মনে হয় এরা দুইটা tribe যারা মধ্যযুগীয় ক্যাচালে ব্যস্ত।যাক আমি চাই প্রাইভেট ,পাবলিক ক্যাচাল বন্ধ হয়ে দেশে সত্যিকারের জ্ঞানের বিকাশ ঘটুক , মানুষ চিন্তা করতে শিখুক।

ভালো থাকো।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫২

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: পাবলিক প্রাইভেট ক্যাচাল করার কোন ইচ্ছা কখনও ছিল না, কখনও থাকবেও না। আমার নিজের পড়াশুনা অনেক আগেই শেষ। আমাকে এখন আর কেউ জিজ্ঞেসও করে না আমার ব্যাকগ্রাউন্ড কি? আমি সেই সম্মান অর্জন করে নিসি আমার কর্মক্ষেত্রে। তবে কিছু তথাকথিত "মেধাবী" ছেলেদের সঙ্কীর্ণতা দেখে অবাক হই। দেশটা যে এগুতে পারছেনা তাঁর পিছনে কারন হচ্ছে এগুলোই। এত বিভাজন আমাদের মধ্যে, আর কোন বিভাজন না করাই ভালো। ধন্যবাদ।

৪৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

যার যেখানে খুশী পড়ুক। তবে আমি মনে করি গরীব দেশে শিক্ষাকে পণ্য করা ঠিক হয়নি। এতো ব্যয়বহুল প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গরীবদের জন্য নয়।


শিক্ষার ব্যয়ভার রাষ্ট্রকেই নেয়া উচিত। সব হবে সরকারী।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৫

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: সেটা আপনার ব্যক্তিগত মতামত, সেটাকে সম্মান করি। তবে আমি সেটা মনে করি না। এতো ব্যয়বহুল প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গরীবদের জন্য নয়, গরিবরা তো প্রাইভেটে পড়েও না। কিছু করার নাই, পুজিবাদি সমাজে এইরকম হবেই। সবকিছুকে সরকারীকরণ করার ফল কখনও ভালো হয় না।

৪৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৭

বিপদেআছি বলেছেন: @মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন ,গরীব দেশের সরকারও কিন্তু গরীব।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৬

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: :D

৪৬| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১

কে এম শিহাব উদ্দিন বলেছেন: ভাই কিছু মনে করবেননা।
সত্য কথা বলি।
আপনার স্বনামধন্য প্রাইভেট ইউনির ফার্স্ট-সেকেন্ড ইয়ারের স্টুডেন্ট আমি পড়াইছি।
আমি সাধারণত ভার্সিটি লেভেল টিউশান প্রিফার করি।
খুব ভালোই দেখছি কতটুকু আসলে তাদের পড়ায়।
খুব সংক্ষেপে বললে, কিছুই পড়ায় না।
আমার মনে হয়, এইঅবস্থার পরিবর্তন দরকার।আমি নিজেও চাই অতিমাত্রায় বাণিজ্যিকীকরণ ছেড়ে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দেশের সেবায় এগিয়ে আসুক।
ধন্যবাদ আপনার পোস্টের জন্য।
আমি মনে করি সবাই ভালো করতে পারে।
কিন্তু প্রাইভেট ভার্সিটিই শিক্ষার সুযোগ লিমিটেড করে দেয়।
স্টুডেন্টদের দোষ নাই ভাই।
তাদেরকে নিজেদেরকে শিখে নিতে হবে।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৩

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: হইতে পারে, অবাক হওয়ার কিছু নাই। তবে ইউনি লেভেলে "প্রাইভেট" পড়তে দেখি নাই কাউরে! তারমানে যারা আপনার কাছে পড়তে গেছে তাঁদের মানও সেইরকম :) আমি তো অনেক আগেই পাশ করে পাবলিকের ছাত্রদের সাথে অনেকবার প্রতিযোগিতা করেছি, সেরকম তো কিছুই পাই নাই। এইজন্যই বলি প্রাইভেট পাবলিক ইত্যাদি হাবিজাবি না দেখে এইজন মানুষকে তাঁর নিজের যোগ্যতা দিয়ে যাচাই করা উচিৎ। আর ইউনি তো অনেক বড় একটা ব্যাপার, এখানে শিখায় দেওয়া হবে না। কি পড়তে হবে সেটা পোড়ানো হবে, কোথা থেকে পড়তে হবে সেটা বলে দেয়া হবে, কীভাবে পড়তে হবে সেটা বলে দেওয়া হবে। নিজেকে শিখে নিতে হবে, নাহলে ইউনির দোষ দিয়া লাভ নাই।

৪৭| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০০

কে এম শিহাব উদ্দিন বলেছেন: @বিপদে আছি>> আপনি যদি বুয়েটের স্টুডেন্ট হয়েই থাকেন, তাইলে আপনার জানা উচিত প্রাইভেট ভার্সিটিগুলোতে আসলে কতটুকু পড়ানো হয়।
অনেকে দেখলাম বলল, আমরা যা পড়ি তারাও তাই পড়ে।
এই জিনিসটাকেই জাস্ট ডিফেন্ড করছি।আর কিছু না।
অন্য ডিপার্টমেন্টের খবর জানি না।
ইলেক্ট্রিক্যালে আমরা যা পড়ি তার ২০% ও সবথেকে ভালো প্রাইভেট ইউনির (ব্র‌্যাক/এনএসইউ)ছেলেকে ৪.০০ পেতেও পড়তে হয় না যেটা আমি দেখছি।আমার অভিজ্ঞতা।শোনা কথা না।
তবে আমি আশা করি এই অবস্থার উন্নতি হবে।
এবং লেখকের পোস্টের সাথে আমি একমত।পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে।
কিন্তু কষ্ট লাগে, আমরা ৩.৯ পাইতে বের হয়ে যায়, আর তারা কিছু না করেই ৩.৯ পায়।
তাই কিছু কথা বললাম।সরি। :(:(

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৭

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: আমি ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্র না, তবে "ইলেক্ট্রিক্যালে আমরা যা পড়ি তার ২০% ও সবথেকে ভালো প্রাইভেট ইউনির (ব্র‌্যাক/এনএসইউ)ছেলেকে ৪.০০ পেতেও পড়তে হয় না " কথাটা মানতে পারলাম না। এইটা যদি সত্যি হয় (আমার ধারণা একেবারেই অসম্ভব) তাহলে তো এই ছাত্রদের জব মার্কেটে পাত্তাই পাওয়ার কথা না। কিন্তু ব্যাপারটা কি আসলেই তাই? আপনি সম্ভবত এখনও ছাত্র, বের হন। তারপর নিজেই যাচাই করে দেখেন যে প্রাইভেটের ছেলেরা কি আসলেই কোন জব পাচ্ছে কিনা? পেলে কেন পাচ্ছে? পাওয়ার পর তাঁদের পারফরম্যান্স কেমন? ইত্যাদি ইত্যাদি। আপনার পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ব্যাপারটা ভালো লাগলো। আপনি ভবিষ্যতে ভালো করবেন আশা করি।

৪৮| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৬

বিপদেআছি বলেছেন: কে এম শিহাব উদ্দিন বলেছেন: @বিপদে আছি>> আপনি যদি বুয়েটের স্টুডেন্ট হয়েই থাকেন, তাইলে আপনার জানা উচিত প্রাইভেট ভার্সিটিগুলোতে আসলে কতটুকু পড়ানো হয়।অনেকে দেখলাম বলল, আমরা যা পড়ি তারাও তাই পড়ে।
এই জিনিসটাকেই জাস্ট ডিফেন্ড করছি।আর কিছু না

আমি কি বলেছি প্রাইভেট ভার্সিটিগুলোর মান বুয়েট থেকে ভাল ?? প্রাইভেট ইউনির (ব্র‌্যাক/এনএসইউ)ছেলেকে ৪.০০ কে দেয় বিখ্যাত বুয়েটের স্যাররা তো, কেন দেয় ?? বুয়েটে ঠিক মতো না পড়ায়া বাইরে পড়ায় আর নিজেদের ছাএদের কম গ্রেড দেয় । উপরে আমার আগের কমেন্ট গুলাতে একাটা আইডিয়ার কথা বলছিলাম যাতে বুয়েটের টিচারদের পার্টাইম করা না লাগে (বুয়েট যদি মেধাতালিকা থেকে ২০০০ জনকে পড়ার সুযোগ দেয় , আর প্রথম ৫০০- ৬০০ জনকে বৃত্তি দেয় , বাকিগুলার কাছ থেকে ৫ - ৬ লাখ নেয় তাইলে নিজের গবেষনা নিজেই করতে পারব। এরজন্য এমন কোন বাড়তি জনবল অবকাঠামো লাগবেনা )

আমাদের দেশ গিরিব আর মানুষরা বেশ কমপ্লেক্স , সব ঠিক হতে সময় লাগবে।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৯

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: আসলেই, আমাদের আরও সময় লাগবে চিন্তাধারার পরিবর্তন করতে। এই যে শাহবাগে আন্দোলন হচ্ছে, এখানে কিন্তু কোন ভেদাভেদ নাই...এভাবেই আমাদের দেশটা যেন এগিয়ে যেতে পারে! :)

৪৯| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫২

একা স্বপ্নীল পথিক বলেছেন: সকাল থেকে পোস্টটি পর্যবেক্ষণ করছিলাম, ভাবছিলাম কোনো কমেন্ট করবো না, কিন্তু এখন বাধ্য হয়েই করলাম।

আমি নিজে এক প্রাইভেট থেকে পাশ করা ইইই ইঞ্জিনিয়ার। আমাদেরটার নাম হয়তো সবাই জানে না, কারন অন্যগুলোর মত এটা পাবলিসিটি করে না। যাহোক, শুরু থেকেই আমরা জানি, আমরা যে যেমন হই না কেন আমরা বুয়েটের সমকক্ষ না। কিন্তু, তাই বলে আমরা যারা পাশ করে বের হয় তারা একেবারেই গোবর গনেশ না। আমরা জানি, কম্পিটিশনে থাকার জন্য আমাদের কত পড়তে হয়েছে। বুয়েটের স্যার ছিলেন আমাদের একজন তিনিও তাই বলতেন- আমাদের কমতি পূরনের জন্যে আমাদের অনেক খাটতে হয়েছে, তারপরেও আমরা বলব না, আমরা বুয়েটিয়ানদের চেয়ে বড়। এতোটুকু সম্মান যদি আমরা করতে পারি, তাহলে আমরা সে সম্মান আশা করতে পারি। "সরকারী ছাড়া সব গাধা"-- এধরনের কমেন্ট একজন মেধাবী ছাত্রের কাছ থেকে আশা করা যায় না।

এবার আসি স্যালারি কমে জয়েন প্রসঙ্গে। আপনারা যারা লাফাচ্ছেন আমরা চাকুরীর বাজার নষ্ট করছি, তাদের বলি আপ্নারা কি জব সারকুলারগুলো দেখেছেন? ১০টার মধ্যে ৬টাতেই উল্লেখ থাকে, শুধুমাত্র সরকারী ভার্সিটির ছাত্র আবেদন গ্রহনযোগ্য। বাকি ২টাতেই অভিজ্ঞতা চায়। বাকি যেই ২টা সেটাতে অনেক প্রতিযোগীতা হয়। যদি বেতন কম হয়, একজন সরকারী ভার্সিটির ছাত্র হয়তো জয়েন করলো না, সে সেই রিস্ক নিতেই পারে, কিন্তু, একজন বেসরকারী ছাত্র এই বাজারে সেই রিস্ক নিতে পারে না।

একবার জয়েন হয়ে গেলে, পরে যখন উপরে ওঠার প্রশ্ন আসে - অথবা ভালো যায়গায় সুইচ করার সময় আসে - তখন কিন্তু চাকুরীদাতা আপনি কি জানেন সেটাই দেখবে, আপনি কোন ভার্সিটির সেটা না।

বাংলাদেশে ইঞ্জিনিয়ারিং চাকুরীর বাজার এখন এতোই খারাপ টিকে থাকতে হলে জানতে হবে, প্রফেসনাল হতে হবে।

আমার এক এক্স কলিগ যে কিনা এক সরকারী ভার্সিটির ইঞ্জিনিয়ার, সে আমি কেনো জাহাঙ্গিরনগরে এম্বিএ করছি তার কারন হিসেবে দেখাত আমার গা থেকে প্রাইভেটের গন্ধ মোছার জন্য। ২মাস পর যখন তার উদ্ধতার কারনে তাকে বের করে দেয়া হল, সে খুব বলতো আমি অমুক কলেজের এ+ পাওয়া, অমুক ইয়ান, আমার জন্যে জব খোলা, কিন্তু, আজ তাকে এম্বিএ তে ভর্তি হওয়ার কোচিং করতে হচ্ছে বেকার অবস্থায়।

তো, মামা-চাচার জোর না থাকলে চাকুরি লাইফে টিকতে হলে এধরনের মানসিকতা বর্জনই বাঞ্চনীয়।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১২

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: আপনার কমেন্ট ভালো লাগলো, আসল কথাটা বলেছেন। মামা চাচার জোরে বড়জোর জব পাওয়া যেতে পারে, কিন্তু ক্যারিয়ারে ভালো করতে হলে দরকার নিজের যোগ্যতা। প্রাইভেট না পাবলিক সেইটা দিয়ে কোম্পানি কি ঘাস খাবে? যে কাজ করতে পারে তাকেই কোম্পানি উপরে তুলবে, সিম্পল। এখন সে পাবলিকই হোক আর প্রাইভেটই হোক। আর পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ থাকা উচিৎ আমাদের সবার মধ্যেই। ধন্যবাদ।

৫০| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৫

বিপদেআছি বলেছেন: @একা স্বপ্নীল পথিক , ভাল লিখেছেন । অযথা অহংকার বর্জনীয়।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৩

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: অযথা অহংকার বর্জনীয়!

৫১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৪

কালীদাস বলেছেন: এই টপিকটা উঠলেই কেমনে কেমনে জানি গরু শেষ পর্যন্ত ঠিকই নদীতে পড়ে, ক্যাঁচালটা ঠিকই জইমা যায়। ভালু, ভালু :D

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৮

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: ঠিক বলেছেন। আপনি পুরনো ব্লগার, দুই জায়গায়ই পড়িয়েছেন সেটাও জানি। এখন আপনিই বলেন একটা ছাত্রকে কি তাঁর ইউনি দিয়ে যাচাই করা উচিৎ? নাকি তাঁর নিজের মান দিয়ে? আর ক্যাচাল কিন্তু শুরু করেছেন অসম্ভব মেধাবী একজন পাবলিক ইউনির ছাত্র "বিশ্বপ্রেমিক" সাহেব। তিনি প্রাইভেট ইউনি সম্পর্কে তীব্র ঘৃণা মনে পুষে রেখেছেন, কারণটা কি কে জানে! পাবলিকের ছাত্ররা মেধাবী, তবে তাঁরা ছাড়া বাকি সবাইকে ছোট মনে করা মোটেই ভালো কিছু না!

৫২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৫

নাঈম_নাজিউর বলেছেন: @বিশ্বপ্রেমিক: AIUB এর ইলেক্ট্রিক্যাল থেকে পাশ করা এক বন্ধুকে যখন দেখি ৪-৫ হাজার টাকা বেতনে চাকুরীতে জয়েন করে, তখন আর কি বলার থাকে? ভাই আমি নিজে এই মুরগির ফার্মের স্টুডেন্ট :) তাই একটু এই বড় ভাইয়ের সাথে দেখা করিতে চাই উনার ফেসবুক আইডি আর সেল নাম্বারটা যদি দিতেন একটু কথা বলতাম আমি একটা পার্ট টাইম করি এইখানে লোক লাগবে মিনিমাম ৩০/৩৫ দিবে দেখি উনাকে উনার এই বাজে অবস্হা থেকে ছোটভাই হিসাবে রেহাই দিতে পারি কিনা।

ভাই কমেন্ট দিতাম নাই এইসব পোষ্টে আমি সাধারণত পপকর্ণ নিয়া গ্যালারিতে বসি তবে অনেকর এ্যারোগেন্সি দেইখা একটু চোদ হইলাম আরকি। আমিও একটু এ্যারোগ্যান্সি শো করি- আমি ভাই আপনাগো কথা মত মুরগির ফার্মের স্টুডেন্ট (শেষ হয় নাই পড়তাছি) এক বছর হইল একটা ফার্মে পার্ট টাইম করি। ওস্তাদ আমি মাসে ১৬ দিন কইরা যা কামাই তা অনেক বড় ভাই ফুলটাইম কইরা কাছাকাছিও পায় নাহ। আরেকটা কথা আমগো ফার্মে ম্যাক্সিমাম ই কিন্তু এই টপ ৫ টা প্রাইভেটের পোলাপাইন :( সম্ভবত আমগো ম্যানেজমেন্ট ঘাস খাইয়া কোটি টাকার ব্যাবসা চালায় নাইলে তো সব আপনার মত ছেলেকেই নিতো (নো অফেন্স, হুদাই একটা গ্যান্জাম করা উদ্দেশ্য না )। আমার কথা হইল ভাই সব জায়গায় কমবেশি চাওয়া হয় যে কে ভালো কাজ কইরা দেখাইতে পারবে সিজিপিএ/ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড/ভার্সিটি/ খুব একটা ম্যাটার করে না।

আর যেহেতু AIUB নিয়া বলছেন ৪০০০/- চাকরিও পায় না! শুধু বলবো মাইক্রসফট বাংলাদেশ এ একটু খোজ নিয়েন AIUB এর কয়টা পান দেইখেন। http://www.linkedin.com/in/zaheed এই ভদ্র লোক কোনো বাংলাদেশি ভার্সিটি থেইকা গ্রাজুয়েশন কইরা গুগলে জব পাইছে (বাংলাদেশের প্রথম)। ইনিও AIUB এর পোলা। এখন হয়ত বলবেন যে গুগল/মাইক্রোসফট কোন ফার্ম হইল!!

ত্যানা প্যাচাইলেই প্যাচান যায় জাস্ট যদি কিছু ফ্যাক্ট মাইনা নেই আমরা তাইলেই কিন্তু হয়।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৪

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: হুদাই ক্যাচাল করা আমার উদ্দেশ্য ছিল না, পোস্টের উদ্দেশ্য ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। কিন্তু কিছু কিছু মহামানবের এ্যারোগ্যান্সি দেখে আমি হতবাক। এরা অন্যকে সম্মান দিতেই জানে না, কীভাবে সম্মান আশা করে? আপনার কমেন্ট ভালো লাগলো, প্রথম প্যারা দেখে একটু মজাই পাইলাম! দেখেন কিছু করা যায় কিনা। :D

"সব জায়গায় কমবেশি চাওয়া হয় যে কে ভালো কাজ কইরা দেখাইতে পারবে সিজিপিএ/ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড/ভার্সিটি/ খুব একটা ম্যাটার করে না।"

খুবই সত্যি কথা, এইটা "মেধাবীরা" যত তাড়াতাড়ি বুঝবে ততই তাঁদের মঙ্গল!

৫৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪

htusar বলেছেন: বিশ্বপ্রেমিক ও বিপদে আছি ভাই ঃ আপনাদের মন্তব্য পড়ে এটাই বলতে চাই ; আপনাদের দুজনেরই লেখার হাত ভাল; এত বড় বড় মন্তব্য যখন লিখতে পারসেন (তাও বাংলা ফন্টে ) তখন বুঝাই যায় ভাল ব্লগার হবার মত ধইর্য আপনাদের আছে । অথছ আপনাদের দুজনেরই পোস্ট অনেক কম। আরও বেশি লেখেন।

আর একটা কথা বলি ; দেশের এখন দুঃসময়। এসময় আমরা ব্লগাররা নিজেদের মধ্যে কোপাকুপি না করে বরং একতাবদ্ধ হই। সুষ্ঠু বিচার হোক , রাজপথে ছেড়ে আমরা যখন ঘরে ফিরে যাব ; তখন এই বিষয়ে কচকচি করা যাবে।

আর প্রত্যেকের কাছেই তারটাই সেরা। তবে এখনো মধ্যবিত্ত পরিবারে, যেখানে অর্থ একটা বড় বিষয় সেখানে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াটা ভাল চোখে দেখা হয় না ।(সব ক্ষেত্রে নয়) কারন যত কিছুই হোক টাকাটা তো বাবা-মা কেই দিতে হয়। এই বাজারে যেখানে টিকে থাকাই মুশকিল সেখানে ৬-৭ লাখ টাকা দেওয়াটা তাদের জন্য বাড়তি চাপ। আমার প্রেমিকা যখন কোন কিছুতে (মানে সরকারিতে ) চান্স পাইনি; অর বাবা -মা অর সাথে পুরা ৬ মাস কথাই বলেনি। প্রায় ৪ বছর হয়ে গেল, ওর পড়া প্রায় শেষ অথচ এখনো ওকে ওই বিষয় নিয়ে কথা শুনতে হয়। যখন সেমিস্টার ফি দিতে হয়, তখন তো আর কথাই নাই, বুঝতেই পারতেসেন। ওর বাবা সরকারি চাকরি করতেন;তাই বুঝতেই পারতেসেন; আর্থিক অবস্থা খুব মাঝামাঝি, বেশিও না,কম ও না। ওর কষ্ট আমি বুঝি ।এটাই বলতেসি যে যারা প্রাইভেটে পরেন, তাদের মেধার পাশাপাশি সেই পরিমান টাকা দেবার সামর্থ্য ও থাকতে হয়। আপনারা ভাগ্যবান ; উপরওয়ালা সেই ক্ষমতা দিয়েছেন। নিম্ন, মধ্যবিত্তের অনেকের হয়তো তা নাই, তাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে । যাই হোক , যে যেটাতেই পড়ুক ; মেধা থাকলে তার স্ফুটন হবেই। Aiub এর ৪ জন ছাত্র অন্ধদের জন্য একটা সফটওয়্যার বানিয়েছিলেন যার জন্য তারা প্রথম হন এবং আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেন । এটা পুরা দেশেরই গর্ব। ( গত বছর ইত্যাদিতে দেখেছিলাম, বিস্তারিত মনে নাই।) আগুন কখনো চাপা থাকে না।

লেখকের সাথে একমত। তবে ভাই , আপনি আমি যেভাবে Nsu,Aiub,iub বুঝবো ; প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ তা বুঝবে না ; তাদের কিন্তু আপনাকে বুঝাই বলতে হবে Nsu কি।

ভাল থাকবেন ।।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫০

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: সেটাই, এখন দেশে আরও অনেক বড় ইস্যু আছে। নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ না করে আমাদের একতাবদ্ধ হতে হবে। সবাইকে আমরা যদি সম্মান করি, আমাদের নিজেদের সম্মান বৃদ্ধি পাবে। পাবলিক সেরা না প্রাইভেট সেরা এটা একটা ফালতু টপিক। ইউনি না দেখে আসলে প্রত্যেকটা মানুষকে আলাদাভাবে বিচার করা উচিত। যেকোনো ইউনিতে পড়াই ব্যায়বহুল। পাবলিকে সেটা টের পাওয়া যায় না কারন সরকার সেখানে contribute করে, প্রাইভেট এ সেই টাকাটা ছাত্রদেরই দিতে হয়। সবার প্রাইভেট এ পড়ার সামর্থ্য নেই, কখনও থাকবেও না। তবে এইটা নিয়ে গর্ব করারও কিছু নাই, শিক্ষার বাণিজ্যিকিকরন সারা পৃথিবীতেই রয়েছে, এটাকে যেহেতু এড়ানো যাচ্ছে না তাহলে গ্রহন করে নেয়াই উচিত। তবে মেধার জয় সর্বত্র, সে যেখানেই যাক না কেন ভাল করবেই। তাই আশা করব আমরা ভবিষ্যতে কাউকে ছোট করে দেখব না।

আর প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ যে একেবারেই বুঝবে না তা না, এখন হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তির যুগ...সবাইই কিন্তু এগিয়ে যাচ্ছে। যেহেতু প্রাইভেট ইউনিগুলো এখনও নতুন, আরও সময় লাগবে সেই পরিচিতিটা পেতে। কিন্তু আমরা যদি তাদের বারবার সমষ্টিগতভাবে "প্রাইভেট" বলি, তাহলে সেই পরিচিতিটা পেতে একটু বেশি সময় লাগবে, এই যা। তবে পরিস্থিতি বদলাচ্ছে, আরও বদলাবে। এখন থেকেই আমরা শুরু করি সেটা, যেই ইউনিই হোক পরিচিতি যেন হয় তার নিজের নামে! আপনিও ভাল থাকেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.