নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রিয়াজুল আলম শাওন

আমি সহজ সরল মানুষ । সাহিত্য অনুরাগী এবং সমাজ সচেতন ।

রিয়াজুল আলম শাওন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার চোখে স্বাধীনতা

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৭

খাঁচায় বন্দি পাখি মুক্তির আনন্দ লাভ করতে ছটফট করে। বন্দি পাখির মতো আমরাও ছটফট করেছি অনেকদিন, অনেক বছর। কাপুরুষ পাক হানাদারবাহিনী ২৫শে মার্চ (অপারেশন সার্চলাইট) রাতে নিরস্ত্র বাঙালির উপর ঝাঁপিয়ে পড়লে শুরু হয় আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। অনেক রক্তে এদেশের মাটিকে লাল করে, চিল-শুকুনের পেট ভরিয়ে, লাখো নারীর সম্মানের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা।

আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। মা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষদর্শী। তাই ছোটবেলা থেকেই মুক্তিযুদ্ধের কথা শুনতে শুনতে বড় হয়েছি। জানতে পেরেছি মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস। ছোটবেলাতে থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, সেক্টর কমান্ডারসহ মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা মানুষের সম্পর্কে জানতে পেরেছি। একটু বড় হওয়ার পর জানার আগ্রহটা আরও বাড়ল। অসংখ্য বই, ম্যাগাজিন, ব্লগ, ইন্টারনেটের মাধ্যমে জ্ঞানকে আরও সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করেছি। তবে চরম পরিতাপের বিষয় এই যে, নতুন প্রজন্মের অনেকেই মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানে না। তারা প্রতিনিয়ত একটা বিভ্রান্তির মধ্যে দিনতিপাত করছে। আর বিভ্রান্ত না হয়ে উপায় কি, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তারা এক একজনের কাছে এক একরকম তথ্য পাচ্ছে। আমার ভয় হয় আজ থেকে ১০০ বছর পর যখন এ দেশে একজন জীবিত মুক্তিযোদ্ধাও থাকবেন না, তখন নতুন প্রজন্মের কি হবে? তারা সঠিক ইতিহাস জানবে কি করে? তাই নতুন প্রজন্মকে এখন থেকেই ইতিহাস সম্পর্কে পূর্ণ সচেতন হতে হবে। এ বিষয়ে সরকারকে অবশ্যই যোগ্য ভুমিকা পালন করতে হবে।

আমি এবং আমার বন্ধুরা ছোট কাউকে পেলেই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কথা বলি, তাদের ভুল ধারনা দূর করার চেষ্টা করি। মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের একটা স্বাধীন দেশ দিয়ে গেছে, এখন এটা রক্ষার দায়িত্ব আমাদের। আমরা যদি বিকৃত ইতিহাস সম্পর্কে জানি তবে স্বাধীনতা রক্ষা খুব কঠিন হয়ে যাবে। আর একটা জাতি যদি তার সবচেয়ে গৌরবগাঁথা অর্জন সম্পর্কে অজ্ঞ থাকে তবে সে জাতি কখনও মাথা উচু করে দাড়াতে পারে না।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমার কাছে বেশ পরিষ্কার। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম বৈষম্যের বিরুদ্ধে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন যে স্বাধীনতা মানে শুধু একটা মুক্ত ভূখণ্ড পাওয়া নয়, স্বাধীনতা মানে অর্থনৈতিক মুক্তি। তাই এ দেশে যতদিন ধনী গরিবের বৈষম্য দূর না হবে ততদিন স্বাধীনতার লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়িত হবে না। সময় এসেছে এ বৈষম্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর।

আমি বিশ্বাস করি আমাদের এ প্রজন্ম এ দেশকে বদলে দিতে পারবে। ইতিমধ্যে তারা জেগে উঠতে শুরু করেছে। একটি নতুন সকালের জন্য আমাদের তো জেগে উঠতেই হবে ।

পরিশেষে বলতে চাই,

“আমরা যদি না জাগি মা,

কেমনে সকাল হবে?”

[email protected]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.