![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নরমাল মানুষের রেঞ্জেই পড়ি। সময়ে অসময়ে পাগলামি করি। পাগলামি করতে ভালো লাগে। সবাই পাগলামি করতে জানেনা।
আমি আজ গল্প লিখতে বসিনি
আমি শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের কথা বলছি।
গল্প তো সব সময়ই সুন্দর
কিন্তু ওদের স্লোগানের বলিষ্ঠতা গল্পের বইটাকে ছুঁড়ে ফেলতে বাধ্য করে।
আমি অসাম্প্রদায়িকতার কথা বইয়ে পড়েছি, ভাষণে শুনেছি
আমি একটি প্রজন্মকে শাহবাগের রাস্তায় দেখেছি
অসাম্প্রদায়িকতার ঘুন তাদেরকে ধরেনি
আমার গর্ব হয় আমিও ঐ প্রজন্মের প্রতিনিধি।
অন্য ধর্মের কাউকে ভাই বলতে আমার দ্বিধা হয়না
অচেনা তরুণীর পাশে বসে এক সাথে স্লোগান দিতে সংকোচ হয়না
সংকীর্ণতা আমাকে মুক্ত করে দিয়েছে
আর উদারতা করেছে গ্রহণ।
আমি স্বপ্নের শুরুটা দেখেছি টি.ভি. সেট এর সামনে
দৌড়ে শাহবাগ যেতে হয়তো কিছুটা দেরী হয়ে গিয়েছিলো
ততক্ষনে স্বপ্নটা সূর্যের প্রখরতা ধারণ করে ফেলেছে।
স্বপ্নের বীজ যে কত তাড়াতাড়ি মানুষের মাঝে ছড়ায়
চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা সম্ভব না।
ক্লাসের মুখচোরা লাস্ট বেঞ্চের ছেলেটাকে
সবার সামনে থেকে চিৎকার করতে শুনেছি
যে মেয়েটী কখনো একা কোথাও যায়নি
তাকেও আমি প্রজন্ম চত্বরে দেখেছি।
আমি একটী প্রজন্মকে বৃষ্টিতে ভিজে কাঁপতে দেখেছি
কিন্তু শাহবাগ থেকে তাদের নড়তে দেখিনি।
বুড়ো কবিতাগুলোকে ফেলে দিয়ে
ওদের সাথে না মিশে গেলে নিজেকে অপরাধী মনে হতো।
ওখানে আমার মহৎপ্রাণ মানুষগুলোর সাথে দেখা হয়
যারা আমাদের ৭১ উপহার দিয়েছিলো।
ওখানে আমি ফাঁসির মঞ্চ দেখেছি;
জানোয়ারগুলোর সর্বোচ্চ শাস্তি না হওয়ার আগ পর্যন্ত
শাহবাগে থাকার প্রত্যয় দেখেছি।
শাহবাগে উচ্চারিত প্রতিটি শব্দ, প্রতিটি স্লোগান
ন্যায় বিচারের, জাতির কলঙ্ক মোচনের বলিষ্ঠ দাবী।
অনেক রাতে শাহবাগ থেকে ফিরে আসলে
মাকে কৈফিয়ত দিতে হয়না
তার নীরবতাই শাহবাগের সাথে সংহতী।
আমার বই পড়ুয়া বন্ধুটিকেও আমি কতদিন পড়ার টেবিলে দেখিনা
শাহবাগে বজ্রকন্ঠ নিয়ে সে প্রতিবাদী।
আমি আমাদের ইতিহাস নিয়ে গর্বিত
আমাকে বিভ্রান্ত করা সম্ভব না।
এখন আমি আমার পূর্বপুরুষের চোখে চোখ রাখতে পারবো
যা এতোদিন লজ্জায় পারিনি
আমি তাদের দিকে তাকিয়ে বলতে পারবো
দানবগুলোর মৃত্যুদন্ড ছাড়া আমরা থামবোনা।
শাহবাগে আমআর ক্রোধকে সঙ্কল্পে রূপান্তরিত করি
যাতে আমি আমার পূর্বপুরুষের চোখে চোখ রাখতে পারি।
©somewhere in net ltd.