নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিমিট, ব্যালেন্স ও সিস্টেমটা বর্তমান রাজনৈতিক অঙ্গনের শক্তিধর সংগঠনগুলোকে বুঝতে হবে। উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম যখন বলে, দেশের রাজনৈতিক দলগুলো অন্তর্বতী সরকারকে ব্যর্থ করে দিতে চাচ্ছে, তখন সেটা যৌক্তিক শোনায় না, ভালো দেখায় না। আবার, বিএনপি, জামাত বা অন্য কেউ যখন গণহত্যা বা অন্যান্য বিচারের আগে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের সুযোগ দিতে চান বলে কথা উঠেছে, সেটাও গ্রহণযোগ্য না, ভালো দেখায় না। দেশের জনগণ চাইবে না যে গণঅভ্যূত্থানে উত্থিত তরুণশক্তিরা নিজেদের এখন সবকিছুর দণ্ডমুণ্ডের কর্তা বলে মনে করুক। আবার এটাও চাইবে না যে পর্যাপ্ত ও সুষ্ঠু বিচারের আগেই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসিত করতে সহায়তা বা সম্মতি দিক প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো। আসলে সুক্ষ্ণ সুক্ষ্ণ কিছু রাজনৈতিক বিষয় এদের কেউই বুঝতে পারছে না।
অনেক বেশি ঐক্য দরকার দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো এবং গণঅভ্যূত্থানে উত্থিত তরুণ শক্তির ভিতর। পারস্পারিক মিটিং বা আলাপের মাধ্যমে তারা এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাদের মধ্যে অবশ্যই আস্থা বা বিশ্বাসের জায়গা তৈরি করতে হবে। 'বড় ভাই' হিসেবে বিএনপি এই আলোচনা বা মিটিংয়ের বা লিয়াজো করার পদক্ষেপ নিতে এগিয়ে আসার কথা ভাবতে পারে...! �
লেখাটা শেষ করছি 'লিমিট, ব্যালেন্স ও সিস্টেম' এই তত্ত্বটা দিয়ে। এই তত্ত্বটা আমার একান্তই নিজের। আমাদের ব্যক্তিজীবন থেকে থেকে শুরু করে সামাজিক জীবন, রাষ্ট্রীয় জীবন -- সবখানেই আমাদের কাজকর্মগুলো এমন হতে হবে যাতে সবকিছুর মধ্যে একটা ব্যালেন্স থাকে। কোন কাজের লিমিট কোনটা বা কোন কাজ কোন সিস্টেমে এগোলে দীর্ঘমেয়াদে সুন্দর ফলাফল নিয়ে আসবে, সেটা বোঝা খুব জরুরী। রাজনীতির অঙ্গনের খেলোয়াড়দের তাই এই ৩ টি জিনিস বোঝার বিকল্প নেই। নইলে একবার তারা গৃহযুদ্ধের প্রস্তুতি নেবে, আবার আরেকবার জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবে!
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:১৮
শেহজাদ আমান বলেছেন: ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল শক্তির মধ্যে ঐক্যের এবং ক্রমাগত একসাথে বসে ঐক্য বাড়ানোর বিকল্প নেই।
২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:১৭
রাসেল বলেছেন: লক্ষ্য যদি এক হয়, ঐক্যমতে পৌছানো সম্ভব। সততার অভাব আছে দেখেই মতের অনৈক্য।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:২২
শেহজাদ আমান বলেছেন: সৎ হতে হবে, এর বিকল্প নেই। ফ্যাসিবাদের পতন যারা ঘটিয়েছে, তাদের মধ্যে ঐক্য না থাকিলে বড়ই মুশকিল! একশ সো কলড মাস্টারমাইন্ড আইসাও তখন কিচ্ছু করবার পারবে না
৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮
রাসেল বলেছেন: ফ্যাসিবাদের পতনের লক্ষ্য সকলের এক ছিল না। কারো লক্ষ্য ছিল অন্য ব্যক্তি বা দল কেন চুরি বাটপারি করবে, আমাকেও চুরি বাটপারি করতে হবে।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৭
শেহজাদ আমান বলেছেন: এই ধরনের চিন্তা থাকলে সেটা থেকে অবিলম্বে বের হয়ে আসা উচিত।
৪| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ ইউনূস সাহেবের কাছ থেকে যেরকম আশা করেছিলেন, উনি তা করছেন না।
জনগন হতাশ।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:০৪
শেহজাদ আমান বলেছেন: কথা ঠিক অনেকটাই। আর নির্বাচন নিয়ে তার সরকার যদি গড়িমসি করেন, তবে জনগণও সেটা মানবে না।
৫| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:০৯
ক্লোন রাফা বলেছেন: আপনার ফাইন্ডিংগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু যদি নিরপেক্ষ দৃষ্টিপাত করেন পুরো আন্দোলনের সময় কালটাকে।তাহলে পরিস্কার বোঝা যায় আন্দোলনের ভিত্তিটা অসততার উপর গড়ে উঠেছে! কাজেই এখন ঐ সকল স্বার্থ চরিতার্থকারিদের এড়িয়ে যেতে পারছেনা এই সরকার। কারন প্রত্যেকে তাদের হিডেন এজেন্ডা নিয়ে এই আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে।
শুধু অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর কারনে সাধারণ মানুষের সমর্থন পেয়েছে। কোন লাশ না পড়লে এই আন্দোলন সফল হতো বলে মনে হয় কি ⁉️এই লাশের উপর দাঁড়িয়ে আছে আজকের সরকার ‼️সাধারণ মানুষ সবচাইতে বেশি প্রতারিত হয়েছে। কারন বাস্তবতা হোচ্ছে তাদের জীবনে বিন্দুমাত্র পরিবর্তন আসেনি।
মিথ্যা দিয়ে শুরুর কোন কিছুই কখনো সফল হয়না।এখন দেখার বিষয় কত দ্রুত ব্যার্থ হয় এরা।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৪
শেহজাদ আমান বলেছেন: ধন্যবাদ, সুন্দর মন্তব্যের জন্য! লাশ পড়া কোনোভাবেই কাম্য না। মানুষের মৃত্যু সবচেয়ে দূরের পরিস্থিতি যা আরেকজন মানুষ মেনে নিতে পারে। আগের সরকার ব্যর্থ বলেই এই সরকার এসেছে, এরা বা আগামীর সরকার ব্যর্থ হলে এদেরও জনতা বিদায় করবে। যাই হোক, আপনি কি চট্টগ্রামের শওকত হোসেন, যিনি একসময় ইস্টিশন ব্লগে লিখতেন?
৬| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
৭| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৫০
ক্লোন রাফা বলেছেন: না আমি চট্টগ্রামের শওকত হোসেন নই । আমি ইস্টিশন ব্লগে ছিলাম একটা সময়। আমার নিক দেখে বুঝতে পারছেন হয়তোবা এটা আমার অরিজিনাল নিক না। আসল হারিয়ে ক্লোনে আছি।
ধন্যবাদ, প্রতি উত্তরে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:০৩
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: অন্তর্বর্তী সরকারে ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্বকারী উপদেষ্টাদের নিয়োগের মাধ্যমে সরকার আরও জনভিত্তিক হতে পারত এবং ছাত্রদের মধ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রবণতা কিছুটা হলেও কমতো।
ডঃ ইউনূস সরকার ছাত্রদেরকে সরকারের মূল চালিকা শক্তি হিসেবে ব্যবহার করেছেন, যা অনেক ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করেছে। ছাত্রদের রাজনীতির মূল স্রোতে এতো早く জড়িত করা তাদের শিক্ষাজীবন ও ভবিষ্যৎকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। ছাত্র সমন্বয়করা এখন একটি রাজনৈতিক দল গঠনের চেষ্টা করছেন, যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন একটি মাত্রা যোগ করেছে।
অতীতেও দেখা গেছে যে, অনেকেই ক্ষমতার প্রলোভনে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন কিন্তু স্থায়ী হতে পারেননি। ফেরদৌস কোরেশী এর একটি উদাহরণ। বাংলাদেশে যে কেউ রাজনৈতিক দল গঠন করতে পারে, তবে রাজনীতি একটি জটিল খেলা এবং শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদরাই ক্ষমতায় আসে।