নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেসম্ভব ব্যাপার।

বাবু আইনস্টাইন

†kL Av‡bvqvi

A competent and confident freelance Journalist, writer, author of 37 popular science (non-fiction)books and novel for kids working as a corporate digital documentary maker on educational affairs. Familiar with information approaches, tools, methods, logics for planning, executing and monitoring printing and information strategies. Working for the public and knowledge of social, political and development issues at home and abroad. Strong analytical skill with some research background. Has an Intimate knowledge of modern methods of publicity, public relation, copy writing, publication, and art criticism. Quick learner, well conversant and smart. Also possesses a poetic instinct to express thought in a lucid way.

†kL Av‡bvqvi › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের রাজনীতিতে মসজিদের ব্যবহার

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪

শেখ আনোয়ার।। বাংলাদেশের রাজনীতিতে মসজিদের ব্যবহার শুরু হয়েছে অনেক আগেই। একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল ধর্মের নামে মসজিদকে রাজনৈতিক প্রচারের কেন্দ্র হিসেবে বেছে নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় এখন বিভিন্ন সংগঠন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য মসজিদকে ব্যবহার করছে। যার ফল হিসেবে এখন চলছে নৃশংসতা। যেখানে ব্যবহৃত হচ্ছে মসজিদের মাইক। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার যেখানে এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে সেই জায়গাটি জামায়াত-শিবির ও হেফাজত অধ্যুষিত। সম্প্রতি হেফাজতও রয়েছে রাজনৈতিক আলোচনায়। সেখানে জামায়াত-শিবির ও হেফাজতকর্মীদের আক্রমণের শিকার হয়েছে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও। মসজিদ মুসলমানদের ইবাদতের পবিত্র স্থান।

১১ এপ্রিল দুপুর বেলা। হরতালবিরোধী একটি মিছিল হাঁটি হাঁটি করে এগিয়ে যাচ্ছিল। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা সদর থেকে নয় কিলোমিটার উত্তরের এলাকা ভুজপুর থেকে আবারও উপজেলার দিকে ফিরছিল মিছিলটি। হঠাৎ স্থানীয় মসজিদের মাইকে একজনের ঘোষণা- ‘মসজিদে হামলা হচ্ছে, আগুন দিচ্ছে সন্ত্রাসীরা। মাদ্রাসার হুজুরকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আপনারা বাইরে বেরিয়ে আসুন।’

সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য, অথচ এই ঘোষণার পরপরই হাজার হাজার লোক হরতালবিরোধী শান্তিপূর্ণ মিছিলকারীদের ঘেরাও করে হামলা চালায়। মুহূর্তেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয় এলাকা। জামায়াত-শিবির ও হেফাজতকর্মীরা পবিত্র মসজিদের মাইকে এ ভুল তথ্য প্রচার করে প্রামবাসীকে সম্পৃক্ত করে রামদা, কিরিচসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একযোগে হামলা চালায় আওয়ামী লীগের হরতালবিরোধী মিছিলে। নিহত হন চারজন। বেপরোয়া হামলায় বিজিবি, পুলিশসহ শতাধিক আহত হয়েছে। এ সময় হেফাজত ও জামায়াত কর্মীরা বিজিবির ২টি পিকআপ ও ৬২টি মোটরসাইকেলসহ ৭৫টি গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। ভয়াবহ এই নৃশংসতায় এখনও স্তব্ধ মানুষ। তবে মসজিদের মাইক ব্যবহার করে শুধু ফটিকছড়ি নয়, একাত্তরের ঘাতক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরুর পর বিশেষত গত এক বছরে দেশজুড়ে সহিংসতা চালাতে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পবিত্র মসজিদের মাইককে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে তা-ব চালানো হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে জামায়াতের সঙ্গে তা-বে অংশ নিয়েছে বিএনপি। মসজিদের মাইকে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাইদীকে চাঁদে দেখার মিথ্য তথ্য ছড়িয়ে বগুড়াসহ দেশজুড়ে চালানো হয়েছে তা-ব। হত্যা করা হয়েছে অসংখ্য মানুষকে। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। কয়েকটি এলাকায় সহজ-সরল গ্রামবাসীকে উস্কে দিয়ে পুলিশের মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাঁধে। কোন কোন এলাকায় আসামি গ্রফতার করতে গেলে মসজিদের মাইক থেকে জামায়াতীরা ঘোষণা করেছে, গ্রামে ডাকাত পড়েছে। আপনারা লাঠিসোটা নিয়ে বেরিয়ে আসুন। জামায়াত-শিবিরের এমন কৌশলে বিভ্রান্ত হওয়ার পর ডাকাত ভেবে পুলিশের ওপর আক্রমণ করে গ্রামবাসী। একই কৌশলে নৃশংস তা-ব চালানো হয়েছে দেশের বিভিন্ন এলাকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও তাদের মন্দিরের ওপর। মসজিদের মাইক ব্যবহার করে গত ছয় মাসেই জামায়াতসহ স্বাধীনতাবিরোধী উগ্রবাদীদের তা-বের শিকার হয়েছে বগুড়া, মানিকগঞ্জ, যশোর, ঝিনাইদহ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কক্সবাজার, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলার মানুষ। এছাড়া জামায়াতী তা-বের সময় দেশের অসংখ্য জেলায় মসজিদের মাইক ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটেছে মওদুদীবাদী জামায়াতীরা। গ্রামবাসীকে সংগঠিত করতে ব্যবহার করা হয়েছে পবিত্র মসজিদের মাইক। মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের আবেগ কাজে লাগিয়ে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সক্রিয় ব্যক্তিদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।



ফাঁসির দ-প্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে চাঁদে দেখা যাচ্ছে এই গুজব ছড়িয়ে রাজশাহী, বগুড়া, নাটোর ও চট্টগ্রামের বাঁশখালীসহ দেশের কয়েকটি স্থানে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে জামায়াত-শিবিরের সশস্ত্র ক্যাডাররা। গত ৩ মার্চ ফজরের নামাজের পর উল্লিখিত এলাকার কয়েকটি মসজিদের মাইক থেকে জিহাদে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান জামায়াত-শিবিরের নেতারা। এতে লাঠিসোটা নিয়ে শিবিরের ক্যাডার ও কিছু সাধারণ ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি রাস্তায় নেমে আসে। তারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনের ওপর হামলে পড়ে। রাজশাহী, বগুড়া, জয়পুরহাটে তারা নারকীয় তা-ব চালায়। অথচ আলেমরা বলেছেন, যে গুজব ছড়ানো হয়েছে তা কুসংস্কার। এটা বিশ্বাস করাও পাপ। বিভিন্ন স্থানে কৌশলে সাঈদীকে চাঁদে দেখা যাওয়ার এ গুজব ছড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। গুজব ছড়াতে প্রযুক্তির ব্যবহার করে জালিয়াতির আশ্রয় নেয় তারা। কম্পিউটারের ফটোশপ সফটওয়্যার ব্যবহার করে চাঁদের ছবির মাঝে সাঈদীর একটি ধূসর ছবি বসানো হয়। এরপর ইন্টারনেটের বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ব্লগ ও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়া হয়। বিভিন্ন স্থানে মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের মোবাইলে এই ছবিসহ মাল্টিমিডিয়া এসএমএস পাঠানো হয়েছে। সুকৌশলে জামায়াত এসব গুজব রটিয়ে ভোররাতে ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিদের ঘরের বাইরে এনে সহিংস কর্মকা-ে জড়িয়ে পড়তে ইন্ধন দেয়। ২

গত ২৪ ফেব্রুয়ারির ঘটনা। সকাল সাড়ে ১০টা। মানিকগঞ্জের গোবিন্দল এলাকা। হঠাৎ ওই এলাকার কয়েকটি মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা করা হয়, ‘প্রিয় ধর্মপ্রাণ গ্রামবাসী, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও পুলিশ সদস্যরা একত্র হয়ে মসজিদ দখল করতে এগিয়ে আসছে। আপনাদের যার যা কিছু রয়েছে, তা নিয়ে ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসুন। তাদের মোকাবেলায় ঈমানী শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ুন।’ এমন ঘোষণার পর দা, বঁটি, লাঠিসোটাসহ দেশী বিভিন্ন অস্ত্র হাতে রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার মানুষ। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে চারজন নিহত হন। মসজিদের মাইক ব্যবহার করে এলাকায় সহজ-সরল গ্রামবাসীকে উস্কে দিয়ে পুলিশের মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়। তারা না বুঝে পুলিশকে ঘিরে ফেলে আক্রমন শুরু করে। ফলে উভয়পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধে। ঘটে হতাহতের ঘটনা। এদিকে গত বছরেরর শেষের দিকে কক্সবাজারের রামুতে এক বৌদ্ধধর্মাবলম্বী যুবকের ফেসবুকের স্টাটাস নিয়ে যে নারকীয় কা- চলে তার পেছনেও কাজ করেছিল পবিত্র মসজিদের মাইকের রাজনৈতিক ব্যবহার।

দেশের প্রতিটি মসজিদে মাইক ও লাউডস্পিকার যাতে কোন ধর্মান্ধ রাজনৈতিক দলের প্রপাগান্ডা মেশিন হিসেবে ব্যবহৃত না হয়, সে দিকে সচেতন নাগরিক ও সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন। সংগঠনের চেয়ারম্যান আলহাজ নজিবুল বশর মাইজভা-ারী অবিলম্বে পবিত্র মসজিদের মাইকে রাজনৈতিক ব্যবহার বন্ধের দাবি জানিয়ে বলেছেন, দেশের প্রতিটি মসজিদে মাইক ও লাউডস্পীকার যাতে কোন ধর্মান্ধ রাজনৈতিক দলের প্রপা-া মেশিন হিসেবে ব্যবহৃত না হয় তার অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে সরকারকে কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩

বুড়া শাহরীয়ার বলেছেন: হে হে হে ভালই লিখছেন। ছাত্র লীগ এর ছেলেরা এক একটা সোনার ছেলে এই কথা টা বাদ পরে গেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.