![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
A competent and confident freelance Journalist, writer, author of 37 popular science (non-fiction)books and novel for kids working as a corporate digital documentary maker on educational affairs. Familiar with information approaches, tools, methods, logics for planning, executing and monitoring printing and information strategies. Working for the public and knowledge of social, political and development issues at home and abroad. Strong analytical skill with some research background. Has an Intimate knowledge of modern methods of publicity, public relation, copy writing, publication, and art criticism. Quick learner, well conversant and smart. Also possesses a poetic instinct to express thought in a lucid way.
কোন অসভ্য দেশে বাস করছি আমরা? কীভাবে ছাড় পায় ওইরকম ভঙ্গুর ভবনের নকশা? নাকি নকশা ছাড়াই নির্মাণ? ব্যাংকগুলোই বা কেন ঋণ দেয় এ প্রকার গণহত্যাগার নির্মাণে? সরকারের তদারকি প্রতিষ্ঠানগুলোই বা কী করে?
ভবনমালিক রানার মিথ্যা-আশ্বাসের ভিত্তিতে কয়েক হাজার পোশাককর্মীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছে পোশাককলের কিছু মুনাফালোভী মালিক। হত্যা নয় তো কী? দোষীদের শাস্তি নেই বলে বাংলাদেশ আজ অবহেলাজনিত ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ডের দেশ।
ভাবুন তো, ওই ধ্বংসস্তূপের নিচে যদি আমার-আপনার সন্তান কী প্রিয়জন থাকত, কেমন কাটত মুহূর্তগুলো? লাশের পর লাশ আসছে, হাত-পা কাটা অবস্থায় জীবিত উদ্ধার করা হচ্ছে অনেককে, তাদের মধ্যে আমার বা আপনার সন্তান বা ভাই বা নিখোঁজ প্রিয়জনকে দেখা যাচ্ছে না, যাকে কাকডাকা ভোরে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ওই হত্যাগারে— একবার কল্পনা করুন তো সেই দৃশ্য? উদ্ধারকর্মীদের কাছে এক মা তার মেয়ের জন্য আহাজারি করতে-করতে বলছেন, ‘মাইয়ার লাশ দেন, আমি আর ঢাকায় থাকুম না।’ আমি বা আপনিও তো হতে পারতাম ওই মানুষটি। ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়া এক রক্তাক্ত পোশাককর্মী আর্তনাদ করছেন, ‘হাত-পা কেটে হলেও আমাকে উদ্ধার করেন, ভাই।’ আপনি বা আমিও তো হতে পারতাম জীবন-মৃত্যুর মাঝখানে থাকা ওই অসহায় মানুষটি।
দমকল বাহিনী, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর পাশাপাশি সাধারণ মানুষও এগিয়ে এসেছেন উদ্ধারকাজে। রাজনৈতিক হানাহানির দেশে অসাধারণভাবে সাধারণ ওই মানুষগুলো আছেন বলেই রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে প্রায় আড়াই হাজার মানুষকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। মৃত্যুঝুঁকিসহ বধ্যভূমির সুড়ঙ্গপথে ঢুকে হতাহতদের বের করে নিয়ে আসা উদ্ধারকর্মীদের কুর্নিশ জানানোর পরও অনেক শ্রদ্ধা অপ্রকাশিত থেকে যায়। সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কথাও না-বললে নয়। ওই হাসপাতাল বিনাখরচে চিকিত্সা দিচ্ছে আহতদের। খুলে দিয়েছে ওষুধ ও স্বাস্থ্যসেবা উপকরণের ভাণ্ডারও। আহতদের বাঁচাতে রক্ত চাই। প্রচুর রক্ত। দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে এসে বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন অগণন সাধারণ মানুষ। অসাধারণভাবে সাধারণ ওই মানুষগুলোই বাংলাদেশ। সাভারের ওই রানার হত্যাকাণ্ড আপনারা হুজুর কই? এনাম মেডিকেলের ৫০০ ছাত্র(ব্লগার) ভেতরে নেমে আ্টকে পড়াদেও হাত পা কেটে কেটে উদ্ধার কাজে তৎপর। হুজুর এখানে বয়ান না দিয়ে একবার গিয়ে নিজের চোখে দেখে আসুন, ব্লগার নাস্তিক যাদেও বলেন তারা কতটা ধার্মিক, ব্লগারদের উদ্ধার কাজে যা যা লাগে যোগান দিন। ব্লগারদেও জন্যে দোয়া করুন।
©somewhere in net ltd.