![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
A competent and confident freelance Journalist, writer, author of 37 popular science (non-fiction)books and novel for kids working as a corporate digital documentary maker on educational affairs. Familiar with information approaches, tools, methods, logics for planning, executing and monitoring printing and information strategies. Working for the public and knowledge of social, political and development issues at home and abroad. Strong analytical skill with some research background. Has an Intimate knowledge of modern methods of publicity, public relation, copy writing, publication, and art criticism. Quick learner, well conversant and smart. Also possesses a poetic instinct to express thought in a lucid way.
শেখ আনোয়ার
ঢাকা মহানগর পুলিশ ‘ভিআইপি’ গাড়ি ডাকাতের একটি দলকে আটক করেছে। বিস্ময়কর তাদের কর্মতৎপরতা। তাদের ডাকাতির লক্ষ্য মার্সিডিজ বেঞ্জসহ নামিদামি ব্র্যান্ডের গাড়ি। ৭০ থেকে ৮০ জনের সুসংগঠিত এ ডাকাত দলের সদস্যরা রাজধানী ঢাকা ও আশপাশ এলাকায় ছড়িয়ে থেকে গাড়ি ছিনতাই ও ডাকাতি করে। ডাকাতির সুবিধার্থে তারা পুলিশের পোশাক পরে নকল পুলিশও সাজে। পুলিশ তাদের কাছ থেকে ১৩টি গাড়ি ও অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করেছে। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে এ রকম গাড়ি ছিনতাইকারী ও ডাকাতদের পুলিশ ধরেছে। সেসব বলা যায় ছোটখাটো চুরি-ছিনতাইয়ের পর্যায়ে ছিল। কিন্তু বর্তমানে ধৃত ডাকাত দলটির আকার দেখে বোঝা যায়, তারা আর ছিঁচকে পর্যায়ে নেইÑ ভয়ংকর ডাকাতে রূপান্তরিত হয়েছে। ইতিপূর্বে ইস্কাটন এলাকা থেকে ধৃত এক গাড়ি ছিনতাইকারীকে পুলিশ গ্রেফতার করলে সে জানিয়েছিল, তার গাড়িচোর দলে ৮-১০ জন বেতনভুক চোর রয়েছে, যাদের ‘কাজ’ গাড়ি চুরি করা! কাজেই এই ৭০-৮০ জনের সুসংগঠিত ডাকাত দল যদি বেতনভুক একটি ডাকাত দল হয়, তবে বিস্মিত হওয়ার কারণ নেই।
গাড়ি চুরির পর তা বিক্রি করা একটি জটিল প্রক্রিয়াগত ব্যাপার। গাড়ি শুধু চুরি করলেই হয় না, সেই গাড়িকে পার্ট বাই পার্ট খুলে বিক্রি করার জন্যও উপযোগী করতে হয়। কখনোবা গাড়ির রঙ বদলে বিক্রির উপযোগী করা হয়। সম্পূর্ণ গাড়ি বিক্রি করতে হলে এর ইঞ্জিন নম্বর, চেসিস নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ইত্যাদি পরিবর্তন করতে হয়। এসব কাজ সম্পাদন করা শুধু ডাকাত দলের পক্ষে সম্ভব নয়। বুঝতে অসুবিধা হয় না, এদের সঙ্গে জড়িত বিআরটিএ’র সংশি¬ষ্ট কিছু কর্মচারী-কর্মকর্তা। গাড়ি ছিনতাইয়ের সঙ্গে পুলিশের কিছু সদস্যের জড়িত থাকারও প্রমাণ মিলেছে। এভাবে একটা বিরাট সিন্ডিকেট দাঁড়িয়ে গেছে গাড়ি চোরদের। তারাই ক্রমে সংগঠিত ডাকাত দলে পরিণত হয়েছে।
গাড়ি চুরি রোধে বিআরটিএ’র উদ্যোগে রেট্রো-রিফ্লেকটিভ নম্বর পে¬ট প্রতিস্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কয়েকটি মোবাইল ফোন কোম্পানির জিপিআরএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে গাড়ির অবস্থান সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণে রাখার সেবাও দিয়ে থাকে। তা সত্ত্বেও গাড়ি চোরদের দৌরাÍ্য থেকে রেহাই মিলছে না। সম্ভবত লঘুদণ্ডের সুযোগে জেল থেকে বেরিয়েই তারা আরও দ্বিগুণ উৎসাহে জড়িয়ে পড়ছে তাদের পুরনো পেশায়। ফলে যেমন চোর থেকে ডাকাত পরিচয়ে উত্তরণ ঘটছে তাদের, তেমনি সংঘবদ্ধ হতে হতে বিরাট দলে পরিণত হচ্ছে। এদের অপরাধ শুধু একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে সীমাবদ্ধ নয় বলেই ধারণা। একটি অপরাধের সূত্রে চক্রাকারে আরও অপরাধের জš§ হচ্ছে এবং তারা জড়িয়ে পড়ছে সেসব অপরাধেও। সন্ত্রাসীদের এ মাফিয়া চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।
©somewhere in net ltd.