![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
A competent and confident freelance Journalist, writer, author of 37 popular science (non-fiction)books and novel for kids working as a corporate digital documentary maker on educational affairs. Familiar with information approaches, tools, methods, logics for planning, executing and monitoring printing and information strategies. Working for the public and knowledge of social, political and development issues at home and abroad. Strong analytical skill with some research background. Has an Intimate knowledge of modern methods of publicity, public relation, copy writing, publication, and art criticism. Quick learner, well conversant and smart. Also possesses a poetic instinct to express thought in a lucid way.
রিকন্ডিশন্ড গাড়ি কিনবেন?
বাংলাদেশের মধ্যবিত্তরাও এখন গাড়ি কিনছে। এ ক্ষেত্রে তাদের পছন্দের শীর্ষে থাকে জাপানি ব্র্যান্ডের রিকন্ডিশন্ড গাড়ি। এ ধরনের গাড়ি কেনার আগে এ সম্পর্কে জেনে নেয়া ভালো।
কোন গাড়িকে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি বলে? এমন প্রশ্ন অনেকের। ধরুন, জাপানের গাড়ি ব্যবহারকারীরা কোনো কারণে তাদের গাড়ি বিক্রি করে দিলেন। আর সেটা কিনল জাপানেরই কোনো প্রতিষ্ঠান। তারা সেই কেনা গাড়িগুলো প্রয়োজনীয় সব ধরনের সারাই করে আবার নতুন গাড়ির মতো করে ফেলে। এরপর সেই গাড়িগুলো পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট কোনো অটোমোবাইল কম্পানির কাছে। গাড়িগুলো টয়োটার হলে, টয়োটা সেই পুরনো গাড়িগুলো পরীক্ষা করে ঠিকঠাক আছে-এমন একটা সনদ দেয়। এ সনদ পাওয়া গাড়িকেই রিকন্ডিশন্ড গাড়ি বলে। এ শ্রেণীর গাড়িগুলো তখন অন্য কোনো দেশে রপ্তানির জন্য কর্তৃপক্ষের অনুমতি পায়। অন্যান্য দেশ থেকেও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের রিকন্ডিশন্ড গাড়ি বাংলাদেশে আসে।
কোন দেশের গাড়ি
বাংলাদেশে বেশির ভাগ রিকন্ডিশন্ড গাড়িই আসে জাপান থেকে। এর মধ্যে টয়োটা, হোন্ডা, মিৎসুবিশি উল্লেখযোগ্য। ইদানীং আমদানিকারকরা মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ইউরোপ ও আমেরিকা থেকেও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আনছেন। এগুলোর কেতাবি নাম অবশ্য একটু ভিন্ন। এগুলোকে বলা হচ্ছে প্রি-ওউনড কার।
ঢাকার কাকরাইল, পল্টন, ধানম-ি, বারিধারা আর চট্টগ্রামের মুরাদপুর, আগ্রাবাদে রিকন্ডিশন্ড গাড়ির প্রধান বাজার। অনেকে একটু কম দামে পাওয়ার জন্য সমুদ্রবন্দরে বিভিন্ন কারণে নিলামে তোলা রিকন্ডিশন্ড গাড়িও কেনেন।
কেনার সময় খেয়াল করুন
বেশির ভাগ ক্রেতাই গাড়ির বাইরের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হন। তবে মনে রাখতে হবে, গাড়ির ভেতরের যন্ত্রপাতির মানই আসল কথা। শোরুম বা সমুদ্রবন্দর যেখান থেকেই হোক, গাড়িটি কেনার সময় কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে গাড়ি সারাই মিস্ত্রির মতো অভিজ্ঞ কাউকে সঙ্গে রাখা ভালো।
* গাড়ির চেসিস ও ইঞ্জিন নম্বর এবং নিবন্ধন নম্বর মিলিয়ে নিন। গাড়িটি উৎপাদনের দিনক্ষণও জেনে নেয়া ভালো। কার লোন নেয়া ও নিবন্ধনের জন্য বিষয়টি জরুরি।
* গাড়িটি কত সিসির এবং আসল কালার ঠিক আছে কি না।
* গাড়ির চাকার অ্যালাইনমেন্ট যথাযথ না থাকলে হুইলগুলো স্টিয়ারিংয়ের নির্দেশ মেনে চলবে না, এমনকি নিজেদের মধ্যে সহযোগিতাও করবে না। ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। চাকার অ্যালাইনমেন্ট যথাযথ আছে কি না তা বোঝার জন্য গাড়ির টায়ার ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করুন। এ ক্ষেত্রে চাকার ব্যালান্সিং এবং সাসপেনশন চেক করে নিতে হবে।
* লুব অয়েল, স্পার্ক প্লাগ, এয়ার ফিল্টার, লুব অয়েল ফিল্টার, এসি ফিল্টার যাচাই করে নিতে হবে।
* এটিএফের (অটোমেটিক ট্রান্সমিশন অয়েল) তাপসহন ক্ষমতা ও ভিসকোসিটি যাচাই করে নিন।
* ইঞ্জিন চেক বাতি সব সময় দেখায়, নাকি মাঝেমধ্যে দেখায়, বিষয়টি পরখ করে নেয়া দরকার। ভিভিটিআই ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে ট্যাপেড নয়েজ আছে কি না সেটাও দেখুন। ইঞ্জিন ক¤েপ্রশন, ইগনিশন কয়েল, হাই টেনশন লিড, অয়েল ডিস্ট্রিবিউশন চেক করে নিতে পারেন।
* লুকিং গ্লাস, ডোর গ্লাস, সাউন্ড, সিকিউরিটি অ্যালার্ম কন্ট্রোল বাটন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় কি না চেক করুন।
* যদি ব্যাক ক্যামেরা থাকে, তাহলে সেটি অ্যাকুরেট মেজারমেন্ট দিচ্ছে কি না সেটাও চেক করে নিন।
* মনিটরটিতে নেভিগেশন সিস্টেম আছে কি না। আর যদি গাড়ির মনিটর ম্যাপ ডিস্কের হয়, তবে একটি ম্যাপ ডিস্ক কিনে রাখা উচিত।
* দুর্ঘটনায় যাত্রীর মূল নিরাপত্তা দেয় এয়ারব্যাগ। এ এয়ারব্যাগ সেফটি বেল্টের সম্পূরক হিসেবে কাজ করে। তাই এয়ারব্যাগ ঠিক আছে কি না দেখে নিন।
আসছে নতুন গাড়ি : যা লক্ষ্য রাখবে চালক অমনোযোগী কিনা!
ভোরের কাগজ : রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০১৩
যারা গাড়ি চালান তাদের পক্ষে সব সময়ই মনোযোগ ধরে রাখা সম্ভব হয় না। এটা খুব স্বাভাবিক একটি বিষয়। কিন্তু ভয়াবহ দিকটি হলো পৃথিবীতে যত সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে তার ২২% ঘটে গাড়ি চালানোর সময় চালকের অমনোযোগিতার কারণে। আর এই সমস্যা দূর করার জন্য এরকম এক নতুন গাড়ি উদ্ভাবন করা হয়েছে, যেটি কিনা চালকের মস্তিষ্ক থেকে নির্গত তরঙ্গ ব্যবহার করে গাড়ির ইঞ্জিন চালু করবে ও গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করবে। জড়ুধষ অঁঃড়সড়নরষব ঈষঁন ড়ভ ডবংঃবৎহ অঁংঃৎধষরধ এবং ঊসড়ঃরা যৌথভাবে এ গাড়ির ধারণার প্রবর্তন করে যেটি স¤প্রতি ঐড়হফধ র৪০ পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
এই বিশেষ ধরণের গাড়িতে একটি নিউরো-হেডসেট ব্যবহার করা হবে যেটি চালকের মস্তিষ্কের সাথে গাড়িটির ইঞ্জিনের সামঞ্জস্য তৈরি করবে। আর পুরো ব্যাপারটি নিয়ন্ত্রণ করবে একটি বিশেষভাবে তৈরি সফটওয়্যার। এই হেডসেটের সাথে ১৪টি সেন্সর যুক্ত থাকে। এগুলো চালকের মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ থেকে আসা বৈদ্যুতিক সংকেত নির্ণয় করতে সহযোগিতা করবে। চালক গাড়ি চালাতে চালাতে যখন অমনোযোগী হয়ে যাবে তখন সফটওয়্যারটি গাড়িকে একটি সতর্কতামূলক সংকেত পাঠাবে। এর ফলে গাড়ির এক্সিলারেটর স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করা ধীরে ধীরে বন্ধ করে দেয়, যার ফলে গাড়িটির গতি নিজ থেকেই কমে আসে ও নিরাপদ গতিতে চলতে থাকে। যদি কোন কারণে গাড়ির চালক অন্যমনস্ক হয়ে পড়ে কিংবা তার চোখের পলক পড়ার হার কমে আসে সেটি তার মাথায় লাগানো হেডসেট নির্ণয় করতে পারবে। হেডসেটের সাথে একটি দিক নির্ণয়কারী ‘গাইরোস্কপ’ ও লাগানো থাকে।
বিভিন্ন তথ্য অনুযায়ী গাড়ি চালকদের মাঝে ১৩% নারী অমনোযোগিতার কারণে দুর্ঘটনার শিকার হন যেখানে পুরুষদের ক্ষেত্রে এই হার ২৫%। এছাড়া ঞযব ঝধভবঃু ড়হ ডযববষং এর এর দেয়া তথ্যমতে প্রতি ১০ জন গাড়িচালকের মাঝে ৩ জনকেই ক্লান্তি বা অন্যমনস্কতার কারণে কখনো না কখনো দুর্ঘটনায় পড়া কিংবা দুর্ঘটনার মুখোমুখি হওয়ার মত পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়েছে। এছাড়া শুধু ইংল্যান্ডেই ৪৯% চালক গাড়ি চালানোর সময় অন্যমনস্ক হয়ে যাবার কথা জানিয়েছেন। অনেকেই ক্লান্তি উপেক্ষা করেই গন্তব্যে দ্রুত পৌঁছানোর চেষ্টা করেন। যে কারণে প্রতি দুই ঘণ্টা গাড়ি চালানোর পর চালকদেরকে ১৫ মিনিটের জন্য বিশ্রাম নিতে বলা হয়।
©somewhere in net ltd.