নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফরহাদের খেরো খাতা \n.........\n(লেখকের অনুমতি ব্যাথিত এই ব্লগের কোন লিখা কপি ও অন্য কোন মাধ্যমে প্রকাশ করা দন্ডনীয় অপরাধ।)

নেক্সাস

কে হায় . হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে চায়

নেক্সাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

অজগর আসছে তেড়ে....... (গল্প)

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫১

কার্তিকের বিকেল। দিনের সূর্য অস্তাচল ছুঁই ছুঁই। মুকুন্দপুর গ্রামের বিস্তীর্ন মাঠে আধা পাকা ধান ক্ষেতের মাথায় নতুন কুয়াশার হালকা রেখাপাত। পারুল তার প্রিয় ডিম পাড়া হাঁসি দুটো তাড়িয়ে ঘরে ফেরার সময় দেখে তার মা উঠোনের কোনে সজনে গাছটার নিচে দাঁড়িয়ে কার সাথে কথা বলছে। পারুলের সে দিকে কোন ভ্রুক্ষেপ নাই।



গফুর মিয়া ঘন্টাধিকালের নিরন্তর চেষ্ঠায় পারুলের মাকে রাজি করাতে সক্ষম হয়। গফুর মিয়া চৌধূরীদের গ্রামের জমি জিরোত দেখা শুনা করেন। চৌধূরীর বড় ছেলে ডাক্তার বউ ও এক ছেলে নিয়ে ঢাকার নতুন বাড়িতে উঠিছে। সেখানে একজন কাজের মেয়ে দরকার। আর যোগাড় করে দেওয়ার দায়িত্ব বর্তেছে গফুর মিয়ার উপর।



গফুর মিয়া এর আগেও দুদিন এসেছিল পারুলের মায়ের কাছে ।

কিন্তু দশ বছরের ছোট্ট মেয়েটাকে অন্যের বাড়িতে কাজ করতে পাঠাতে মাতৃমন কিছুতেই সায় দেয়নি। কিন্তু আজ যখন গফুর মিয়া বল্ল, " আমেনা তোর মেয়েটা ঐখানে গেলে শুধু ভাল ভাল খাতি পারবে তা না কয়টা ট্যাকা কামাইতিও পারবে দু'চার কলম লিখা পড়াও শিখতে পারবে। বড় সাহেবের বউ ডাক্তার মানুষ। ম্যালা টাকা তাগো। তোর মাইয়্যাটারে ইস্কুলে ভর্তি করাইয়া দিবে" তখনই তার মন নরম হয় এবং সে গফুর মিয়ার প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায়।



পারুল পড়া লিখা খুব ভালবাসে। এই কথা মা আমেনা বেগম ভাল করেই জানে। কিন্তু জানলে কি হবে মেয়েকে পড়ালিখা করানোর মত সামর্থ্য তার নাই। পারুল কে পেটে রেখেই আমেনার ঘর জামাই নিরুদ্দেশ। তখন থেকে তিন মেয়ে নিয়ে দরিদ্র সংসারের গ্লানি টেনে আসছে সে। নিজের জমি জিরোত বলতে কিছু নেই। সম্বল বলতে বাপের রেখে যাওয়া ভিটা আর ছোট্ট কুড়েঁঘর। মা-মেয়ে মিলে এই বাড়ি ও বাড়ি কাজ করে দু'মুঠো ভাতের সংস্থান হয়। বড় দুই মেয়ে দিন দিন ডাঙর হয়ে উঠছে। বিয়ে থা দিতে হবে। এসব চিন্তায় আমেনার ঘুম হারিয়ে যায় বহু রাত। অন্য দিকে গ্রামের মানুষ বলে " গরিবের মেয়ে,পড়া লিখা করে লাভ কি তার চেয়ে কাম কাজ শিখাও, দু'পয়সা কামালে কাজ দেবে"। সাধ ও সাধ্যের নির্মম সমীকরণে অসহায় আমেনা বেগম গ্রামের মানুষের কথাই অবনত মস্তকে মেনে নেয়। তবুও পারুল সুযোগ পেলেই ছুটে যায় মুকুন্দপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। মাসে একবার, দুবার কিংবা তিনবার। পড়া লিখা করার অদম্য বাসনা তাকে সবসময় দোছালা টিনের ঘরটার দিকে প্রবল বেগে টানে। কিন্তু প্রবল দারিদ্রতার কাছে সেই টান হার মানে আর পারুলের কোমল হৃদয়ে জন্ম নেয় সুতীব্র হাহাকার। সেই হাহাকারের শব্দ নিত্য শুনতে পান মা আমেনা বেগম। আর তাই আজ সে তার মাতৃহৃদয় কে ভৎসনা করে গফুর মিয়ার প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায়।





ঢাকা শহরের অভিজাত এলাকা ধানমন্ডিতে এনায়েত হোসেন চৌধূরীর সুবিশাল বাড়ি। এই বাড়িতে পারুলের নতুন ঠিকানা। চৌধুরী সাহেব পেশায় প্রকৌশলী আর মিসেস চৌধুরী ডাক্তার। দুজনেই সচেতন সমাজকর্মী। অভিজাত দম্পতির একমাত্র সন্তান নাহিয়ান ।ইংরেজী মাধ্যমে পড়ে ঢাকার নামী স্কুলে । দিনের পুরোটাই পরিবারের সবাই বাহিরে থাকে। ঘরের সব কাজ ছোট্ট হাতে পারুল একাই সামলায়। রাত হলে সবাই খাওয়ার পর পাতিলের তলানীতে যেটুকু সালুন থাকে তা দিয়ে পেট পুরে খেয়ে কিচেনের মেঝেতে হোগলার মাদুর বিছিয়ে শুয়ে পড়ে। এভাবে দিন যায়, মাস পেরোয়। কিন্তু পারুলের পড়ালিখার কোন খবর নাই। ক্রমশ অস্থির হয়ে উঠে পারুল ।একদিন চৌধুরী বধু কে জিঙ্গেস করে বসে, " খালাম্মা আমারে ভাইজানের মত ইস্কুলো ভর্তি করাইবেন না? গফুর মিয়া যে কইলো আমারে ইস্কুলে পড়াইবেন"

হতদরিদ্র এক গ্রাম্য কাজের মেয়ের এমন প্রশ্নে ডাক্তার সুরাইয়া খানমের আভিজাত্যের দেয়ালে প্রচন্ড কাঁপন ধরে। গরীবের ফুটানি তার কাছে অসহ্যা অপাঙক্তেয় লাগে। নিজের চোখ দুটো যথিচ্ছা লাল করে হুংকার ছাড়েন তিনি-

- যা ভাগ বেয়াদপ।

ভয়ার্ত আমেনা দৌঁড়ে কিচেনের এক কোণায় গিয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে বুক বাসায়। গফুর মিয়ার কথা মত গাদা গাদা কাজ আর তিন বেলা খাবার জুটলেও যে অপার্থিব লোভে সে এখানে ছুটে এসেছিল, যে চাওয়াটা কে সব মানুষের মৌলিক অধিকার বলে চিৎকার করতে করতে সমাজকর্তারা গায়ের ঘাম চুটিয়ে শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে থিতু হয়ে ঝিমায়, সেই পড়ালিখার অধিকার সুযোগ হয়ে ধরা দিলনা পারুলের কাছে। সমাজ হীত কামনায় সদা সজাগ চৌধুরী দম্পতি হত দরিদ্র এক কাজের মেয়ের হাতে বই তুলে দিয়ে নিজেদের মহা মূল্যবান আভিজাত্য বিসর্জন দেওয়ার মত উদার হতে পারলেন না !



পাখির জীবন পারুলের। সকালে সবাই বের হয়ে যায় বাহিরের দরজায় তালা দিয়ে। বদ্ধ ঘরে আমেনা একা একা কাঁপড় কাঁচে, বাসন মাজে, ঘর মুছে আর কাজের ফাঁকে ফাঁকে বেলকনির গ্রীলে মুখ চেপে শৌন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে এই অচেনা শহরে মাথা উচুঁ করে দাঁড়িয়ে থাকা বাড়ি গুলোর দিকে। তার চোখে হয়ত তখন ভাসে একজোড়া ডিম পাড়া হাঁসি, একটা ছাগল ছানা, পূবপাড়ার প্রকান্ড তেঁতুল গাছ কিংবা মুকন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দোচালা টিনের ঘর।

মাঝে মাঝে আরো একটা কাজ করে পারুল। নাহিয়ানের পড়ার ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে ফ্যাল ফ্যাল করে ভিতরে তাকিয়ে থাকে। এই ঘরটা তার কাছে স্বর্গের মত। তার ইচ্ছে করে ভিতরে ঢুকে বই গুলো ছুঁয়ে দেখতে। কিন্তু পারেনা। কারণ খোকনের বই খাতায় তার হাত দেওয়া মানা। শুধু স্বর্গের দরজায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভ্রান্তি বিলাসে বার বার হোঁচট খায় বিধাতার নির্মম খেয়ালের স্বীকার এক কোমল হৃদয়।



কিন্তু আর কত ? দিনের পর দিন অন্ধ লাটিমের মত নিজের আবর্তে ঘুরপাক খাওয়া পারুলের ইচ্ছেরা একদিন স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠে। আজ ভয় কে জয় করে পারুল ঢুকে পড়ে নিষিদ্ধ স্বর্গে। টেবিলের উপর থরে থরে সাজানো কত বই, রঙীন মলাটের খাতা, স্কেল, রংপেন্সিল আরো কত কি? চোখ ধাঁধিয়ে যায় পারুলের। সে একটা বই ছুঁয়ে দেখে তো আরেকটা বই নাকের কাছে নিয়ে ঘ্রাণ নেয়। রং-পেন্সিল গুলো নেড়ে ছেড়ে দেখে। চেয়ার টেনে টেবিলে বসে হাতে তুলে নেয় রংপেন্সিল আর নাহিয়ানের হোমওয়ার্কের খাতা। তারপর নিজের মত করে কাঁচা হাতে জোড়া হাঁস, কুঁড়েঘর, তার মায়ের ছবি আঁকার চেষ্টা করে। কিন্তু কিছুই হয়না। নিজের ব্যার্থতায় খিল খিল করে হেসে উঠে পারুল। সভ্যতার নামহীন কারাগারে দীর্ঘ পাঁচ মাসের বন্দী জীবনে এই প্রথম গ্রাম্য দূরন্তপনার সহজাত রূপে শব্দ করে হাসল সে। কিন্তু সে হাসির শব্দ ঘরের দেয়ালে ধ্বনিত প্রতিধ্বনীত হয়ে মিলিয়ে যাওয়ার আগেই প্রধান দরজার কপাট খুলে যায়। ভীতসন্ত্রস্ত পারুল দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার ত্রস্ততায় খোকার সবগুলো রংপেন্সিল মেঝেতে ছড়িয়ে পড়ে।



কিন্তু পালিয়ে পারুল যাবে কোথায়? যে পাখি খাঁচায় বন্ধী হয়ে সভ্য মানুষের বিনোদন জোগায় তার কি পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকে ? এই চার দেয়ালের কারাগারে গৃহকত্রীর একচ্ছত্র মালিকানাধীন ছোট্ট কিচেন ছাড়া পারুলের তো আর কোন ঠিকানা জানা নেই। অগত্যা কিচেনের দরজার আড়ালে দাঁড়িয়ে সে ভয়ে থরথর করে কাঁপতে থাকে। কিন্তু চোখের পলকে সেখানে এসে হাজির হন ডাক্তার সুরাইয়া খানম। তিনি প্রচন্ড ক্রোধে বাম হাতে পারুলের চুল ধরে অন্য হাতে তুলে নেন খুন্তি।

- হারামজাদি ! ছোটলোকের বাচ্চা ! তোর এত বড় সাহস, তুই খোকনের টেবিলে বসেছিস, তোকে আজ মেরেই ফেলবো।

বলতে বলতে খুন্তি গরম করে পৈশাচিক উম্মাদনায় বসিয়ে দেন পারুলের পিঠে। একবার, দুবার, বহুবার। যতবারই নির্মম গরম খন্তি পারুলের পিঠ স্পর্শ করেছি ততবারই নারকীয় যন্ত্রনায় সে মাগো মাগো করে চিৎকার করে নিস্তেজ হয়ে গিয়েছে। তার সে আর্তনাদ শহরের অলি গলি আর উচু উঁচু দালানকোঠার বাঁধা পেরিয়ে তার মায়ের কাছে পৌঁছার আগেই প্রচন্ড খিচুনি দিয়ে জ্বর এসে তাকে ঘুম পাড়িয়ে দেয়।







বেলা দ্বি-প্রহর । মুকুন্দপুরের চাষীরা ক্ষেতে নিবিষ্ট। আমেনা বেগম মুন্সী বাড়ীর ধান সিদ্ধ কাজে ব্যাস্ত। একটা সাদা রংয়ের গাড়ি এসে থেমেছে আমেনার খাঁ খাঁ উঠোনে। খবর পেয়ে ছুটে আসে আমেনা। ঢাকা থেকে বুঝি তার মেয়ে এল। হ্যাঁ পারুল ফিরে এসেছে। তবে পড়ালিখা করার অদম্য স্বপ্ন কে সাথে নিয়ে পাঁচ মাস আগে গফুর মিয়ার পিছু পিছু গুটি গুটি পা ফেলে যে পারুল মায়ের কোল শূন্য করে ঢাকা গিয়েছিল সে পারুল ফিরে আসেনি। ফিরে এসেছে সাদা কাফনে মোড়া নিথর নিস্তব্ধ স্বপ্নহীন পারুল।

মুহুর্তেই ন্যাপথালিনের উৎকট গন্ধ আর সন্তান হারা জননীর আর্ত-বিলাপে ভারি হয়ে উঠে মুকুন্দপুরের বাতাস। লাশ গাড়ীর সাথে আসা ছোট চৌধুরী সবাইকে জানিয়ে দিলেন কাল নিজের ভূলে খেলতে গিয়ে বিদ্যুতের তারে পিষ্ট হয়ে পারুল মারা গিয়েছে।



পারুলের অকাল মৃত্যু খবর গ্রামে রাষ্ট্র হতে শুরু করেছে। গ্রামের কতক নারী পুরুষ আপসোস আর সান্তনার বাণী নিয়ে আমেনার উঠোনে জমা হয়েছে। কতগুলো কালো দাঁড়কাক কর্কশ স্বরে ডেকে ডেকে মুকুন্দপুরের আকাশ প্রদক্ষিন করছে। এই গ্রামে এত কাক এর আগে কোনদিন দেখা যায়নি। পাঠশালায় ঢং ঢং ঘন্টা বাজছে। মাষ্টার মশাই পাঠ শুরু করেছেন। আগামী দিনের স্বপ্ন বুকে নিয়ে ছোট ছোট বাচ্চারা সুর করে পড়ছে " অ'তে- অজগর আসছে তেড়ে......."

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্পের কাহিনী, সমাপ্তি, বর্ণনাক্রম সবকিছুই গতানুগতিক এবং প্রেডিক্টেবল। বর্ণনার কারণে উৎরে গেছে।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৬

নেক্সাস বলেছেন: হাসান ভাই জানতাম এমন মন্তব্য আসবে। ধন্যবাদ আপনাকে।

গল্পের কাহিনী অতি সাধারণ। বলা যায় সমাজ বাস্তবতা কে নিয়ে আমি লিখেছি। এটা অস্বীকার করার কোন ইচ্ছা নাই। তবে আমি শুধু চেষ্টা করেছি কমন একটা সামাজিক নির্মমতা কে গল্পের ঢংয়ে উপস্থাপন করে কাহিননির সামান্তরালে লিখকের স্বগোতোক্তি দিয়ে সমাজের নগ্ন বাস্তবতা, সো কলড শিক্ষিত মানুষের ভিতরের পশুত্ব, দরিদ্র মানুষের অসহায়ত্ব, অধিকার কিভাবে সুযোগে পরিণত হয়েছে তাকে আঘাত করতে।


আর গল্পের সমাপ্তি লাইন কিন্তু ইঙ্গিতপূর্ন। গল্পের নামকরণ এবং শেষ লাইন দিয়ে গোটা গল্পে যে মেয়েটির পড়ালিখা করার স্বপ্ন ছিল তার স্বপ্ন এবং তাকে গোটাই গ্রাস করে নিয়েছে গৃহকত্রীরূপী ধনীক সমাজের অজগর। আমি গৃহপরিচারিকার প্রতি নির্যাতনকারী গৃহকত্রীদের অজগর বলতে চেয়েছি।

২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৮

সায়েম মুন বলেছেন: গতানুগতিক কাহিনী হলেও বর্ণনার গুনে গল্পটা ভাল লাগলো। আরও লিখুন। শুভকামনা রইলো।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২৪

নেক্সাস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় মুন।
আমি আসলে সেটাই চাচ্ছিলাম। কাহিননি শুধু গতানুগতিক নয় শতভাগ সমাজ বাস্তবতা। এখানে লিখক হিসেবে আমার কোন দুরদৃষ্টির কথা আমি বলবনা। আমি শুধু ছেয়েছিলাম গল্পের ঢংয়ে কথা সাহিত্যের উপকরণ দিয়ে একটা দৃশ্যচিত্র রচনা করতে আর শোষনবাদী সমাজের মূলে আঘাত দিতে।


৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অজগর আসছে তেড়ে.......? ভয় লাগতেছে।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪২

নেক্সাস বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪

সোমহেপি বলেছেন:

আমি হলে অন্যরকম লিখতাম।
গল্পটা লিখব।এমন একটা চিন্তা অনেক দিন আগে থেকেই ছিলো।

শুভকামনা

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩

নেক্সাস বলেছেন: হূম লিখে ফেলুন একটা সোমহেপি

৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫

ফারজানা শিরিন বলেছেন: :(

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৩

নেক্সাস বলেছেন: কি হয়েছে ?

৬| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

গল্প ভাল লাগল ।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩

নেক্সাস বলেছেন: ধন্যবাদ

৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৯

আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
বর্ণনার সাবলীলতায় পরিচিত প্লট, অনবদ্য হয়ে উঠেছে।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪

নেক্সাস বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্টের জন্য

৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০১

জনৈক গণ্ডমূর্খ বলেছেন: পিলাচ দিয়ে গেলাম দেশী ভাই।++++++

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০৮

নেক্সাস বলেছেন: ধন্যবাদ দেশী

৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪

নীলফরিং বলেছেন:

হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্পের কাহিনী, সমাপ্তি, বর্ণনাক্রম সবকিছুই গতানুগতিক এবং প্রেডিক্টেবল। বর্ণনার কারণে উৎরে গেছে।

সহমত। ভালোলাগা।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৭

নেক্সাস বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় নীলফরিং। মূল বিষয়টা হামা ভাইয়ের উত্তরে বলেছি

১০| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩১

জুন বলেছেন: এত করুন এই ঘটনাগুলো পড়তেও কষ্ট হয়। গতানুতিক হলেও আর কোথাও না হোক এখানকার পাঠ হৃদয়ে নাড়া দিলেও যদি হতভাগ্য পারুলদের ভাগ্যের কিছু উন্নতি ঘটে ।
আমি কখনো ছোট কোন ছেলে মেয়েকে কাজ করানোর জন্য রাখি নি। আর ঘরে তালা দেয়াতো ইন হিউম্যান আমার স্বামীর ভাষায়। এ জন্য ঠিকে লোক রাখি কাজ করে যেন চলে যেতে পারে।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩

নেক্সাস বলেছেন: দূঃখিত জুন আপু দেরীতে উত্তর দিলাম। ব্যাস্ততার দোষ আমার না।

আপনি এবং দুলাভাই দুজন কেই ধন্যবাদ সুন্দর মানসীকতার জন্য।

১১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১৬

সিলেটি জামান বলেছেন: করুন একটি কাহিনীকে সহজভাবে উপস্থাপন। ভালো লাগল :) :)

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৭

নেক্সাস বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ জামান ভাই

১২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৫

সাহিদা আশরাফি বলেছেন: পুরো গল্পটা এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম।

চমৎকার উপস্থাপনা।খুব ভাল লাগলো সাথে সাথে অজানা কষ্টে দু'চোখ জলে ভিজে গেল।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৫

নেক্সাস বলেছেন: আপনারে ধইন্যাপাতা ভর্তা দিলাম

১৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮

লাবনী আক্তার বলেছেন: এরকম গল্প আমাদের পরিচিত। সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। ভালো লেগেছে।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৩

নেক্সাস বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

১৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩১

ফ্রাস্ট্রেটেড বলেছেন: কাহিনী টা খুবই প্রেডিক্টেবল। তবে, আমি পাঠক হিসেবে কাহিনীর চেয়ে লেখনীর দিকেই চোখ দেই বেশি। তাই, ভাললাগা জানাতে বাধ্য হলাম।

আপনার লেখনী ভাল, বেশ ভাল। বিশেষ করে গল্পের শুরুতে আমার কাছে ওয়ালীউল্লাহ এর মত একটা টাচ পাচ্ছিলাম, মধ্যে অবশ্য একটু ফসকায় গেসে, তবে মোদ্দা কথা, ভাল, সাবলীল এবং স্মুথ।

আরো গল্প লিখুন নেক্সাস

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪৭

নেক্সাস বলেছেন: আমি পাঠক হিসেবে কাহিনীর চেয়ে লেখনীর দিকেই চোখ দেই বেশি।


আপনাকে স্যালুট ভাই। সেই সাথে অপরিসীম ভাললাগা মিশ্রিত কৃতজ্ঞতা।

এই জায়গাটায় আপনার সাথে আমার মিল তথা প্রচন্ড মিল।
এই কমেন্ট টিই যেন পেতে চেয়েছিলাম।


ধন্যবাদ ভাই

১৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: সচেতনতামূলক গল্প আর কি

মেসেজ প্রদান উদ্দেশ্য থেকে গল্প বেশ ভাল লেগেছে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩০

নেক্সাস বলেছেন: ধন্যবাদ তানিম ভাই।

অনেক গল্পেই নাটকীয়তা থাকেনা। এমনকি রবি ঠাকুরের হৈমন্তী গল্পও খুব সাদামাটা সামাজিক কাহিনী যা আমাদের সমাজে সচরাচর ঘটছে। কিন্তু সেটা কে কবি নিজের সাহিত্য মাধুরী দিয়ে বর্ণনায় চমকপ্রদ করে তুলেছেন।

ঠিক সেভাবেই আমিো গল্পটা লিখতে চেষ্টা করেছে। চেয়েছি আমার স্বভাবজাত কথাসাহিত্যের ধারায় আখ্যানভাগের সূচনা থেকে শুরু করে গল্পের পারিপার্শ্বিক বিস্তার সাজাতে। পরিবেশ সাহিত্য নির্ভর করে তুলতে। একিভাবে দারিদ্র মানুষের মৌলিক অধিকার যে সুযোগে পরিনত হয়েছে এবং সে সুযোগে গ্রহনের পথে গৃহকত্রীদের মত অজগর সদা সজাগ সে বিষয়টা গল্পের শেষ লাইনে মেটাফরিক নির্দেশ করার চেষ্টা করেছি।

১৬| ২৮ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৩৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: গল্পটা পড়ে আজ সাথে কমেন্ট গুলোও পড়ে নিলাম যা সচরাচর আমি করি না । কারণ অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় গল্প যেমনই হোক , ভালো বা মন্দ বা গতানুগতিক ( মোটামুটি ) , একজনের কমেন্টের সূত্র ধরে অনেক সময় বাকীরাও গড়পড়তা কথা বলে যায়।

এ ধরণের কাহিনী বলব অবশ্যই গতানুগতিক। গ্রামের মানুষের এক চিলতে স্বপ্নকে পুঁজি করে তাদেরকে প্রতারিত করে শহরে নিয়ে আসা, শিশু নির্যাতন এবং অবশেষে মৃত্যুকে ধামাচাপা দিতে নতুন কাহিনী ফাঁদা -- নতুন কিছু নয়।

কমেন্টে এক জায়গায় দেখলাম আপনি বলেছেন গল্পের কাহিনীর চেয়েও লেখনীর দিকেই বেশী গুরুত্ব দেন বেশী। অনেক সাদামাটা গল্পও লেখনীর গুনে অসাধারণ হয়ে ওঠে সত্য , তবে সেখানে ভাষাগত ব্যাপারে নজর রাখা জরুরী। যা অনেক্ষেত্রেই আপনি মিস করে গেছেন কিংবা যেভাবে তুলে ধরতে চেয়েছেন সেভাবে ফুটে ওঠেনি -- এমনটাই মনে হয়েছে আমার।

প্রথমত বানান দুর্বলতা।
দ্বিতীয়ত বাক্যের অসামঞ্জস্যতা।
বিরোধপূর্ণ বাক্যও আছে ।

উদাহরণ দিচ্ছি ।

১। পারুল তার প্রিয় ডিম পাড়া হাঁসি দুটো তাড়িয়ে ঘরে ফেরার সময় দেখে তার মা উঠোনের কোনে সজনে গাছটার নিচে দাঁড়িয়ে কার সাথে কথা বলছে > কার সাথে যেন কথা বলছে ।

এখানে কার সাথে কথা বলছে একটা প্রশ্নের উদ্রেক করে পারুলের মনে। কিন্তু লেখনী অনুযায়ী গল্পে দেখা যায় পারুল গফুর মিয়াকে চেনে। সুতরাং প্রশ্ন তৈরি করে " কার সাথে কথা বলছে " এভাবে বাক্যের গঠন ঠিক না ।

২।

পারুল কে পেটে রেখেই আমেনার ঘর জামাই নিরুদ্দেশ।

> আমেনার ঘরজামাই মানে বুঝলাম না ।

আমেনার ঘরজামাই বলতে পারুলের স্বামীকে বোঝাবে। আপনি হয়ত বোঝাতে চেয়েছেন আমেনার স্বামী অর্থাৎ পারুলের বাবা নিরুদ্দেশ।

৩।

সাধ ও সাধ্যের নির্মম সমীকরণে অসহায় আমেনা বেগম গ্রামের মানুষের কথাই অবনত মস্তকে মেনে নেয়।

> অবনত মানে হচ্ছে - আনত বা নতমুখী, লজ্জানত ইত্যাদি।

আর এখানে নত মানে - লজ্জায়, দুঃখে ঝুঁকে পড়া , নুয়ে পড়া।

সুতরাং নত মাথায় / নত মুখে সে মেনে নেয় হবে।

৪।

এই চার দেয়ালের কারাগারে গৃহকত্রীর একচ্ছত্র মালিকানাধীন ছোট্ট কিচেন ঘর ছাড়া পারুলের তো আর কোন ঠিকানা জানা নেই

> কিচেন মানেই রান্নাঘর । সুতরাং কিচেনের সাথে আরেকটা অতিরিক্ত ঘর যুক্ত করার যৌক্তিকতা আমার ধারণা বাহুল্য।

৫।

ভয়াদ্র আমেনা দৌঁড়ে কিচেনের এক কোণায় গিয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে বুক বাসায়।

> ভয়ে আর্দ্র !!!

ভয়ার্ত আমেনা দৌড়ে কিচেনের এক কোণায় গিয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে বুক বাসায়।

৬।

অগত্য কিচেনের দরজার আড়ালে দাঁড়িয়ে সে ভয়ে থরথর করে কাঁপতে থাকে

---- অগত্যা ।

এমনি করে আরও বেশ কিছু বাক্যও আছে যেখানে এমন ধরণের সমস্যা আছে। আছে অনেক বানান ভুলও। আমি চাইলেই স্কিপ করে পড়তে পারতাম।

এভাবে খুঁটিয়ে ধরে বলতে গেলে আপনি হয়ত রাগ করে লিখবেনই না এমন পণও করে বসবেন। তাই এটুকুই বললাম। জানি আপনি লিখতে বা পড়তে ভালোবাসেন। তাই আপনার লেখা এবং পড়া দুটোই যেন শুদ্ধতার সাথে হয় সেই শুভকামনাই করছি।

আপনার নিবিড় পাঠ এবং মন্তব্য আমার পোস্টে আমাকে যথেষ্ট ভালো লাগা দিয়েছে বলেই আমি চেষ্টা করেছি আপনার ছোট ছোট ত্রুটি গুলো আপনাকে ধরিয়ে দিতে যাতে আপনারই উপকার হয়।

ভালো থাকবেন নেক্সাস। সুপ্রভাত।

২৯ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:১১

নেক্সাস বলেছেন: আপনার কমেন্টের উত্তর ঠিক কিভাবে কোন জায়গা থেকে শুরু করবো তা ভেবে পাচ্ছিনা। যাই হোক বলি,

আমি মূলত গল্পকার নই। গল্প লেখার হাত আমার কাঁচার চেয়েও কাঁচা। তবুও এ্যামেচার ধর্মী চেষ্টা। মূলত এই মুহুর্তে আমি যেটাকে গল্প বলছি সেটা অনুগল্প। গল্প লিখতে হলে চিন্তা শক্তির যে গভীরতা প্রয়োজন সেটা আমার নাই।

সে যাক গে, কমেন্টে এক জায়গায় আমি বলেছি " গল্পের কাহিনীর চেয়েও লেখনীর দিকেই বেশী গুরুত্ব দেই"- হ্যাঁ কথাটা ঠিক আছে। তবে এটা যে শুধু আমি নিজে লিখার বেলায় তা কিন্তু নয়, আমি নিজে পড়ার বেলায় একি জিনিস গুরুত্ব্ব দিই। আমার কাছে গল্পে দৃশকল্প হবে ছবির মত। আমি সেটার চেষ্টা করি। তবে সফল হয়েছি সেটা কিন্তু নয়।

১। বানান দূর্বলতার ব্যাপারটা নেটে লিখালিখির কমন একটা বিষয়। এখানে লিখি কাজের ফাঁকে ফাঁকে। তার উপর ফোনেটিক কি বোর্ড কাজেই বানান ভুল টা না চাইলেও হয়ে যায়। এমনি কি সেটা ছাপাখানা থেকে সদ্য বের হয়ে আসা বইতেও প্রচুর থাকে। এইতো এবার মেলায় সেলিনা হোসেনের একটা গল্প সংকলন কিনলাম। সেখানে ছাপাখানার ভূতের অস্তিত্ব খুব প্রকট। মূল কথা হল বানান প্রমাদ টা মূলত তাড়াতাড়ি লিখার ফল।

২। গল্পে,গল্পের নায়ক নায়িকা ছাড়াও লেখকের নিজস্ব চিন্তাশক্তি বা অবজারভেশানও কাজ করে। আখ্যানভাগের শুরুতেই সময় বর্ণনা করা হয়েছে। সন্ধ্যার আলো আঁধারীতে পারুলের মা কার সাথে কথা বলছে সেটা শুধু পারুলের দৃষ্টিতে এসেছে কিন্তু স্পষ্টতই বলা হয়েছে সেদিকে পারুলের কোন ভ্রুক্ষেপ বা মাথা ব্যাথা নেই। কাজেই সে পারুলের চেনা কিংবা অচেনা সে প্রশ্ন অবান্তর। কার সাথে পারুলের মা কথা বলছে-এই নিয়ে পারুলের মনে কোন প্রশ্ন উদ্রেক হয়েছে, গল্পে এমন কোন নির্দেশনা নেই। বরং দৃশ্যকল্প রচনায় পারুলের মা যে একজনের সাথে কথা বলছে সেটা পারুলের দেখার মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে।
আর গফুর মিয়ার পরিচয় বর্ণনাংশ লেখকের অবজার্ভেশন। এখানে পারুলের কোন ভূমিকা নেই।


৩। পারুলের বয়ষের একটা ধারণা গল্পে স্পষ্টইও দেওয়া হয়েছে। কাজেই আমেনার ঘর জামাই বলতে পারুলের জামাই কে বুঝানোর অবকাশ কোথায় সেটা আমার বোধগম্য নয়।

৪। অবনত মস্তকে আর নত মাথায় - দুটো বাক্যংশের মধ্যে মূল পার্থক্যের জায়গাটা কোথায় বল্লে বুঝে উঠতে পারতাম। গ্রামের মানুষ যা বলে আমেনা সেটা মনের দিক থেকে মানেনা। আবার গ্রামের মানুষের কথার প্রতিবাদও করতে পারেনা তার দারিদ্রতার বাস্তবতা কে স্মরণ করে। কাজেই এখানে সে যেটা মানেনা সেটাও নত মস্তকে মেনে নেয়। লজ্জার বিষয় এখানে আসেনি। এসেছে দারিদ্রের অক্ষমতা।

৪। রান্নাঘর শব্দতা সংযোজিত করা হল। কারো সাজেশান নেওয়ার আন্তরীকতা আমার আছে। এটা একটা দৃষ্টিকটু এবং অজ্ঞতাজনিত ভুল বলে আমি স্বীকার করি এবং আপনার সাজেশন ধন্যবাদের সাথে গ্রহন করা হল।

ভয়াদ্র - ভয়ার্ত, অগত্যা এখানে সে পুরোনো টাইপিং মিসটেক এবং অনিচ্ছাকৃত ভূল। সংশোধিত হল।

৫। এমনি করে আরও বেশ কিছু বাক্যও আছে যেখানে এমন ধরণের সমস্যা আছে। আছে অনেক বানান ভুলও।

এভাবে না বলে বরং ভূল গুলো ধরিয়ে দিলে বেশী ভাল হত। পরবর্তি পাঠকের জন্য তার একটা ব্যাখ্যা দাঁড় করানো যেত। কিংবা সংশোধন করা যেত। কিন্তু এখন সেটা সম্ভব হচ্ছেনা বলে গল্পটা পরবর্তি পাঠকের জন্য কনফিউজড হয়ে গেল। আর বানান ভুলটা আমি আবারো বলি সেটা অফিসে বসে লিখতে গেলে অবধারিত।

ধন্যবাদ অর্পনা আপনার পরিশ্রমী এবং কার্যকরী মন্তব্যের জন্য।

শুভ ব্লগিং।






১৭| ২৮ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৩৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: পারুলের অকাল মৃত্যু খবর গ্রামে রাষ্ট্র হতে শুরু করেছে।

> পারুলের অকাল মৃত্যুর খবর গ্রামে প্রচার হতে শুরু করেছে।

সবচেয়ে ভালো লেগেছে শেষের এই প্যারাটা। যেখানে ছোট এই পারুলের অতৃপ্ত আত্মার আক্ষেপ বোঝাতে শেষের লাইনটা খুব চমৎকার করেই আপনি ফুটিয়ে তুলেছেন এই লাইনটার মাধ্যমে --

আগামী দিনের স্বপ্ন বুকে নিয়ে ছোট ছোট বাচ্চারা সুর করে পড়ছে " অ'তে- অজগর আসছে তেড়ে......."

--- চমৎকার একটা লাইন !

২৯ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১৮

নেক্সাস বলেছেন: রাষ্ট্র শব্দটা প্রচার অর্থে ব্যাবহার করা হয়েছে।ধন্যবাদ বিদগ্ধ সমালোচনায় পাশে থাকার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.