নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফরহাদের খেরো খাতা \n.........\n(লেখকের অনুমতি ব্যাথিত এই ব্লগের কোন লিখা কপি ও অন্য কোন মাধ্যমে প্রকাশ করা দন্ডনীয় অপরাধ।)

নেক্সাস

কে হায় . হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে চায়

নেক্সাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বপ্নভূক সময়ে স্বপ্নের বিকিকিনি....

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৭

রাজধানী ঢাকার নাইটেঙ্গেল মোড়। গাড়ীর কাঁচ ভাঙ্গার শব্দ, দোকানের সাটার পতণের শব্দ ,ধর-ধর,মার-মার, পুলিশের রায়ট কারের আর্তনাদ ছাড়া আর কোন শব্দ শোনা যাচ্ছেনা। কয়েকটা গাড়ি পুড়ে চাই হয়ে যাচ্ছে। বোমার আওয়াজে আর মুহর্মুহু গুলির শব্দে কেঁপে উঠছে আশ পাশের দালান কোঠা। দুই দল মানুষ লাঠি সোটা আর আগ্নেয়াস্র নিয়ে ছুটাছুটি করছে। একদল জয় বাংলা আরেক দল জিন্দাবাদ ! অন্য একদল মানুষ প্রানভয়ে নেংটি ইঁদুরের মত দৌঁড়াচ্ছে। উর্দি পরা কিছু মানুষও ছুটছে। এরা আইনের লোক !

ভাঙ্গা কাঁচের গুঁড়ো , ব্যানার, ফেষ্টুন, কয়েকটা স্যান্ডেল, ছবির ফ্রেম ইতিউতি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে । কিছু ফ্রেমে লেগে আছে মুজিবের ছবি, কিছু ফ্রেমে জিয়ার। এদের একজন বাংলাদেশ নামক কবিতার কবি আরেকজন ৭১ রনাঙ্গনের কবি। এরা দুজনে এক্ষনে একসাথে ভূপাতিত। পুলিশ, মারমুখো জনতা, পলায়নপর নেংটি ইঁদুর সবাই সমানে মুজিব-জিয়ার ছবি মাড়ি্যে যাচ্ছে। এদের কে কাকে ভালবাসে আর কে কাকে ঘৃণা করে বুঝার উপায় নাই।

তিন দিক থেকে তিনটা রাস্তা এসে মিসেছে এখানটায় । ঢাকা শহরের এই রকম জায়গাগুলো ফেরিওয়ালার হাঁকডাক, বাস কন্ডাকটরের ডান-বাম, যাত্রী-হেলপারের বচসা-খিস্তি খেউর, গাড়ির হর্ন,রিক্সার টুংটাং,ট্রাফিক পুলিশের হুইসেল, এম্বুলেন্সের আর্তনাদ ইত্যাকার নানা শব্দে ব্যাতিব্যাস্ত থাকে। রিক্সা, ঠেলা, ট্যাক্সি, বাস আর মানুষের গিট্টু লেগে থাকে সারাদিন।কিন্তু এখন সেখানে যুদ্ধের ডামাঢোল।



তোতা মিয়া এতক্ষন হোটেল বিজয় নগরের সামনে ফুটপাতে টং দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। ঢাকা শহরে তোতা মিয়ার কিছুই চেনা নাই। লামনিরহাটের হাতিবান্ধা থেকে নাইটকোচে চড়ে আজ সকালেই সে প্রথমবারের মত ঢাকা শহরে এসেছে। জীবনের চাকা ঘুরাতে দুবাই যাবে । কাল সকালেই তার আকাশে উড়ার কথা। আদমের লোক বিজয় নগরে হোটেলে থাকার ব্যাবস্থা করে দিয়ে গেছে। কাল সকালে এসে নিয়ে যাবে। সারাদিন ঘুমিয়ে ছিল। কিন্তু গ্রামের ছেলে বলে কথা , সারাদিন ঘুমিয়ে থাকতে পারেনা সে। তাই বিকেলের দিকে হোটেল কক্ষ ছেড়ে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে পান দোকানটার সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। ঢাকা শহরে কত মানুষ, কত গাড়িঘোড়া, কত বড় বড় দালান কোঠা এসব দেখতে তার ভালই লাগছিল।

টং দোকানটায় দশ কি বার বছরের একটা ছেলে টু টাং শব্দে চা বানিয়ে নানা রকম মানুষের হাতে তুলে দিচ্ছে। একজন মাঝ বয়সী মানুষ চা খেয়ে একশত টাকার একটা নোট ছেলেটার হাতে দিয়ে ফেরৎ টাকার জন্য দাঁড়িয়ে আছে। ছেলেটা টাকাটায় আঙ্গুল ঘসে কি যেন পরখ করে।

- কিরে কি দেখস?

- না টাকাটা জাল কিনা দেখলাম। কাউরেতো আজকাল বিশ্বাস করা যায়না মামা।

- তুই জাল টাকা চিনস?

- হ' চিনি ! চিনুম না ক্যান? ঢাকা শহরে থাকতে হলে কি আবুল হইলে চলে !



এসব কথোপকথের মধ্যে তোতা হঠাৎ খেয়াল করে আদুরে কয়েকটা মেয়ে সেজে গুঁজে দেয়ালে ঠেস দিয়ে কিছু দুর পর পর দাঁড়িয়ে আছে। যেন কারো জন্য অধীর অপেক্ষায় সময় পার করছে।। সবচেয়ে কাছের মেয়েটি তোতার দিকে অপলক চেয়ে আছে এবং গাড় লাল রঙয়ের লিপিষ্টিক মাখা ঠোঁট প্রসারিত করে এক অদ্বুত ভঙ্গিমায় হাসছে। তোতার এই বিষয়টা খুব ভালো লাগে। সে হারিয়ে যায় কল্পনায়। হনুফার কথা মনে পড়ে তার। পূর্ণ যৌবনে হনুফা কে সে ভালবাসে বিয়ে করেছিল। এমন করেই হাসতো হনুফা। কিন্তু তোতার গরিবের সংসারে এসে তার সব হাসি হারিয়ে গেছে। হাসবে কি করে হত দরিদ্র তোতা যে তাকে কোনদিন ভাল একটা শাড়ি, একটা স্নো, একটা লিপষ্টিক এনে দিতে পারেনি। জীবনের সব ব্যার্থতা মুছে দিতেই তো ভিটে বাড়ি বন্ধক রেখে, তার বিনিময়ে কাল সকালে সে আকাশে উড়বে।চলে যাবে দুর দেশে। গতরে খেটে টাকা কামাই করবে। ফিরিয়ে আনবে হনুফার মুখের হারানো হাসি... তার চোখে মুখে স্বপ্নের দ্যুতি ছড়িয়ে পড়ে,ঠোঁটের কোনে ধরা দেয় এক চিলতে নরম হাসি। শেষ বিকেলের আলোয় সে হাসি চিক চিক করে উঠে। ঠিক তখনই বেধে যায় বিজয় নগরের যুদ্ধ। আর তোতা মিয়া, খদ্দের প্রত্যাশী মেয়েটি, চা দোকানের চালাক ছেলেটি,আর কতগুলো মানুষ নেংটি ইদুঁর হয়ে দৌঁড়াতে শুরু করে....







মিনিট ত্রিশেক পরে আবার সরব হয়ে উঠেছে বিজয় নগর। একটা, দুটা করে দোকানের সাটার উঠানোর শব্দ শেষ বিকেলের মৌনতা উপেক্ষা করে কানে এসে লাগছে। যে মানুষগুলো পালিয়ে বেঁচেছিল তারা আবার ফিরে আসতে শুরু করেছে। বাদামওয়ালা, আমড়াওয়ালা, চাওয়ালা আবার হাঁক ডাক শুরু করে দিয়েছে। একটু আগে বিজয় নগরের যুদ্ধে কার বিজয় হয়েছে তা নিয়ে কারো মথা ব্যাথা নেই। যেন কিছুই হয়নি। চায়ের দোকানগুলোতে সরব হয়ে উঠেছে টেলিভিশনের পর্দা। সোনালী ব-দ্বীপের কোথাও স্বপ্নের ফানুস উড়ানোর মেলা বসেছে। সেখানে উচ্চস্বরে স্বপ্ন ফেরী করে ফিরছেন দুজন চিরচেনা ফেরীওয়ালা। হাজার হাজার তোতা আর হনুফা সেখানে মন্ত্রমুগ্ধের মত সব শুনছে আর করতালি দিয়ে মুখর করে তুলছে চারপাশ।



শুধু কাকরাইল মোড়ে পিচঢালা রাজপথে উপুড় হয়ে পড়ে আছে একজন তোতা। নিথর ও রক্তেভেজা। পুলিশ, সাংবাদিক ঘিরে আছে বেওয়ারিশ লাশ। ক্লিক! ক্লিক!! ক্লিক!!! ক্যামেরার ফ্ল্যাশ পড়ছে বিরামহীন। কাল সকালে সবকটি খবরের কাগজে তোতার ছবি ছাপাবে। বিখ্যাত হয়ে যাবে তোতা ! স্বপ্নের হাটে এই যে অপূর্ব বলিদান....

বিকেল গত হয়ে সন্ধ্যার আঁধার নামতে শুরু করেছে। সাদা রঙের একটা এম্বুল্যান্স তোতার লাশ পেটে নিয়ে আর্তনাদ করতে করতে ছুটে চলে গেল লাশ কাটা ঘরের দিকে। সে আর্তনাদ যেন অনাগত সকালের হনুফা নামের এক গ্রাম্য বধুর বুকফাটা কান্নারই আগাম বার্তা.....





মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

রাজনীতির নামে এমন হত্যাকাণ্ড বন্ধ হোক।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৮

নেক্সাস বলেছেন: রাজনীতির নামে এমন হত্যাকাণ্ড বন্ধ হোক।

২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৬

মামুন রশিদ বলেছেন: রাজনীতির চলমান কুৎসিত হিংস্র রুপটি খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন গল্পে । শুধু অসহায় তোতা মিয়ারা বেওয়ারিশ লাশ হয়ে পড়ে থাকে রাস্তায় ।

স্বপ্নের হাটে এই যে অপূর্ব বলিদান....

চমৎকার গল্পে ভাললাগা :)

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৬

নেক্সাস বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই। আপনার কমেন্ট পেয়ে ভাল লাগছে। ঠিক গল্প কিনা জানিনা। তবে চলমান বাস্তবতা

৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২২

সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
এমন বাংলাদেশ তো আমরা চাইনি কখনও............
লেখা সুন্দর হয়েছে।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৯

নেক্সাস বলেছেন: এমন বাংলাদেশের জন্য কি আমাদের মুক্তিযুদ্ধ কিংবা স্বাধীনতা?

স্বপ্নের ফেরিওয়ালাদের কাছ থেকে এই প্রশ্নের উত্তর কি পাওয়া যাবেনা কোনদিন?

ধন্যবাদ প্রিয় কবি

৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৯

শায়মা বলেছেন: লেখায় ভালো লাগা !!

+ দেওয়া যায় না আর।:(

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৮

নেক্সাস বলেছেন: ধন্যবাদ শায়মা মন্তব্যের জন্য

৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: যে গল্প শোনা উচিত নয়, সেই গল্পের কথা শুনতে এসেছি। :| :(

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৯

নেক্সাস বলেছেন: যাহা চাই তাহা ভূল করে চাই..যাহা পাই তাহা চাইনা

ধন্যবাদ কল্পু ভাই। আপনার মন্তব্য পেয়ে নিজেরে ধন্য মনে হচ্ছে

৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৫

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: শুরুতে ভেবেছিলাম, লেখকের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার বয়ান। এটা যে গল্প মোটেই বুঝতে পারি নি। যেই তোতা মিয়ার আগমন এই বুঝলাম একটি ভাল গল্প পড়তে যাচ্ছি।
চলতি ঘটনাপ্রবাহের একটি চমৎকার গল্প পড়লাম।

গল্পের শেষদুই অনুচ্ছেদে এসে আমার কিছু আপত্তি আছে। স্বপ্নের হাটে এই যে অপূর্ব বলিদান.... এটা আমার কাছে অপ্রয়োজনীয় মনে হয়েছে।

বিখ্যাত হয়ে যাবে তোতা ! গল্পটা এখানে শেষ করতে পারলে খুব ভাল হত সম্ভবত। কিন্তু আপনি হয়ত চেয়েছিলেন, হনুফার কান্নাটা সবাই হৃদয়ঙ্গম করুক। তাই শেষ অনুচ্ছেদের আগমন। তাহলে ... দেখেন তো শেষ অনুচ্ছেদটা অন্যভাবে সাজানো যায় কি না।

শুভকামনা। ভাল থাকবেন।

প্রসঙ্গান্তরঃ আপনি কি এখন পুরোপুরি সুস্থ?

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩১

নেক্সাস বলেছেন: অলওয়েজ ড্রিম বলতে পারেন এক ধরনের অভিজ্ঞতাই। সামসাময়িক রাজনৈতি বাস্তবতায় এমন গল্প কম বেশি আমরা সবাই দেখছি।

আমি কবি বা গল্পকার কোনটাই নই। খুব আলোড়ন তোলার মত কোন লিখা আদ্যবাদি লিখতে পারিনি। মূলত কবিতা লিখি। অনু গল্প লিখি কালে ভদ্রে। তাও অতি সাধারণ।

মেটাফরিক গল্প পাঠক কে বেশী টানলেও মেটাফোরের আমার হাত কাঁচা। তাই তেমন কিছু লিখতে পারিনা।


স্বপনের হাটে বলিদান বলতে আমি বুঝিয়েছি যে আমরা ঘির একটা স্বপ্নের মধ্যে বাস করছি। চলমান রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে রাজনৈতিক নেতারা আমাদের কে শুধু স্বপ্ন দেখিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু শত শত তোতারা সে স্বপ্নের পথে বলি হয়ে যাচ্ছে। এই মিথ্যা স্বপ্নের মরিচিকা শেষ করে দিচ্ছে বহু হনুফার ছোট্ট ছোট্ট স্বপ্নগুলোকে..।


আমিগল্প পড়তে ভালবাসি। গল্পের শুরু আর শেষটা দুটোই আমার কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ন। তাই আমি যাই লিখিনা কেন চেষ্টা করি শুরু আর শেষে কিছুটা আবেদন রাখতে। তাই এই গল্পটা ঐভাবে শেষ করা....যাতে পাঠকের কল্পনা বা মনস্তত্ত্ব আরো কিছু দুরেঅবধি অনুরনিত হয়।



ধন্যবাদ আপনাকে

৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৫

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: অসহায়ের পরাজয়!

ফুটে উঠেছে দারুনভাবে।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪০

নেক্সাস বলেছেন: ধন্যবাদ প্রফেসর সাহেব। আপনাদের এমন মন্তব্য উৎসাহ দেয়

৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৭

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: রাজা যায়, রাজা আসে, তোতা মিয়ারা মারা যায়! :(

এই হানাহানির রাজনীতি যে এক দুঃসহ অসভ্যতা এইটুকু বোঝার মত সভ্য আমরা কবে হব?

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩

নেক্সাস বলেছেন: এই হানাহানির রাজনীতি যে এক দুঃসহ অসভ্যতা এইটুকু বোঝার মত সভ্য আমরা কবে হব? সুন্দর প্রশ্ন করেছেন। এমন রাজনীতি আমাদের সমাজ কে নষ্ট করছে। নষ্ট করছে আমাদের জাতীয় নেতাদের সন্মান পর্যন্ত

৯| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: স্বপ্নের হাটে এই যে অপূর্ব বলিদান....বন্ধ হোক

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৬

নেক্সাস বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম ভাই। বন্ধ হোক

১০| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪২

অদৃশ্য বলেছেন:




প্রিয় নেক্সাস

লিখাটি দুর্দান্ত হয়েছে...

এমন লক্ষ তোতা মিয়ারা স্বপ্ন ধরতে গিয়ে নিজেদের অস্তিত্ব বিলীন করেছেন... লক্ষ হনুফারা প্রতিনিয়ত কেঁদেই যাচ্ছেন...

তবুও যুদ্ধের শেষ হয় না... বড়ই নির্মম


শুভকামনা...

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬

নেক্সাস বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় অদৃশ্য। আপনাদের ভাললাগায় আমার আনন্দ।

আমরা সবাইতো তোতা মিয়া....কেউ জান হারাচ্ছি কেউ মাল

১১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৭

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: অনেক সুন্দর একটি গল্প। রাজনীতির কুৎসিত রুপটি তুলে ধরেছেন গল্পে । তোতার ভালবাসার বর্ণনা, কিছু দিতে না পারার বেদনা গল্পটিকে আরও প্রাণবন্ত করেছে।

হত্যার রাজনীতি নিপাত যাক।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১২

নেক্সাস বলেছেন: ধন্যবাদ আহাসনা ভাই। অনেকদিন পর আপনাকে পেলাম। গল্প আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভাল লাগলো

১২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩০

সায়েম মুন বলেছেন: স্বপনভূক সময়ে স্বপ্নের বিকিকিনি....
এভাবেই ছলিম কলিমদের জীবনের বিনিময়ে বিকিকিনি হয়। যত লাশ রাজনীতি ততবেশী তপ্ত।

চমৎকার লিখেছেন। প্রাণবন্ত্য করে লিখেছেন।

তবে টুইস্টটা হঠাৎ এসে গেল। কিছুটা তাড়া ছিল মনে হয়। আর কিছুটা প্রসারিত করলে ভাল হতো।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩০

নেক্সাস বলেছেন: সায়েম ভাই অনেক ভাল লাগছে আপনার এত সুন্দর কমেন্ট পেয়ে। না তাড়া ছিলনা। আসলে অনুগল্প তো । আমার কাছে ম্যাসেজটাই মুখ্য ছিল। তাই বাসে বসে বসে জে প্যাটার্নে ভাবা সে প্যাটার্নে লিখে ফেলেছি।

ধন্যবাদ অনেক

১৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩০

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমাদের এই সবুজ দেশের সরল মানুষেরা কীভাবে যে এত হিংস্র হয়ে ওঠে!

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫২

নেক্সাস বলেছেন: সে প্রশ্ন আমারি প্রিয় হাসান ভাই।


ধন্যবাদ অনেক আপানকে।

আপনার কাছ থেকে কিছু শিখার নিমিত্তে আরো কোঠিন সমালোচনা বা গল্পের শীল্প মান নিয়ে আলোচনা আশা করি

১৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩১

সায়েম মুন বলেছেন: এন্ডিংটা ভাল হয়েছে।
সে আর্তনাদ যেন অনাগত সকালের হনুফা নামের এক গ্রাম্য বধুর বুকফাটা কান্নারই আগাম বার্তা.....

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০১

নেক্সাস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সায়েম ভাই। আমার কাছেও ভাল লেগেছে :) :) :)

১৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: :( :( :( :( :( :( :(
সে আর্তনাদ যেন অনাগত সকালের হনুফা নামের এক গ্রাম্য বধুর বুকফাটা কান্নারই আগাম বার্তা.....

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৫

নেক্সাস বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় অভি। অনেকদিন পর আপনাকে দেখলাম

১৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৭

মাহতাব সমুদ্র বলেছেন: স্বপ্নের হাটে এই যে অপূর্ব বলিদান.... এটাই যেন নিয়ম.।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৩

নেক্সাস বলেছেন: ধন্যবাদ মাহতাব ভাই। আপনার কমেন্ট পেয়ে ভাল লাগছে।

১৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬

ঘুমন্ত আমি বলেছেন: হুম !সাধারন মানুষ মারা যাবে আর আমরা রাজনিতী করেই যাবো !হনুফারা কারা তা দেখার সময় আমাদের কোথায় !

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৮

নেক্সাস বলেছেন: হনুফারা স্বপ্নের ময়দানে বলি হয়ে যায়। ধন্যবাদ

১৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৪

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
এমন নির্মমতার জীবন গল্প ভালোলাগেনা....
অথচ এ যে আমাদের প্রিয় দেশের সাধারন মানুষের নিয়তি..........

হরতাল, মিছিলে প্রান হারায় শুধু তোতা মিয়ার মতন মানুষেরাই।

ভীষন ভালো লিখেছো। এমন দিন কি বদলাবেনা?
সব তোতা মিয়ারা এক হোক বেঁচে থাকার অভিলাষে।

শুভেচ্ছা নিও। ভালো থেকো।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৮

নেক্সাস বলেছেন: সাজি আপা আমার ব্লগে আপনার কমেন্ট দেখে ভাল লাগছে।

সব তোতা মিয়ারে কেন জানি এক হতে জানেনা। ঐ যে ওরা স্বপ্নের ফেরিওয়ালার লিখিত বুলি শুনে আর করতালি দেয় লাশ হয়ে ঘরে ফেরার প্রত্যাশায়।


ধন্যবাদ আপনাকে

১৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩১

অ্যানোনিমাস বলেছেন: চমতকার লেখনী

শুভকামনা

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৪

নেক্সাস বলেছেন: হে চয়ন ভাই...............মেলাদিন পর। কেমন আছেন? আপনাকে দেখে ভাল লাগছে। দেশে না বিদেশে?

২০| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৭

বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: কত স্বপ্ন প্রতিদিন লাশকাটা ঘরে চলে যায় .. হায়.... এত সাবলীল ভাবে লিখলেন যে পড়তে খুব আরাম পেলাম..............

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫

নেক্সাস বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ বন্ধু তুহিন। আপনার ভাল লাগায় আমি আনন্দিত

২১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৬

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
চমৎকার হৈসে লিখাটা ||

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৩

নেক্সাস বলেছেন: ধন্যবাদ মুন....

২২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৪

আমি বাঁধনহারা বলেছেন:



গল্প ভালো লাগলো ভাই।আপনার গল্পে সমাজ ও রাষ্ট্রের চরম বাস্তবতা উঠে এসেছে।লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।কিন্তু কাঙ্খিত মুক্তি এখনও পাইনি।আর এ কাঙ্খিত মুক্তি পাওয়ার জন্য আমাদের অনেক সাধনা করতে হবে।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০২

নেক্সাস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বাঁধান ভাই। এমন গল্প অনেকের চোখেই গল্প নয়। তবুও লিখি। াপনার ভাল লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগছে আমারো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.