নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফরহাদের খেরো খাতা \n.........\n(লেখকের অনুমতি ব্যাথিত এই ব্লগের কোন লিখা কপি ও অন্য কোন মাধ্যমে প্রকাশ করা দন্ডনীয় অপরাধ।)

নেক্সাস

কে হায় . হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে চায়

নেক্সাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্লগ, ব্লগার ও সমকালীন রাজনীতি।

০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:২৪






সাম্প্রতিক সময়ে নাগরিক জীবনের দৈনন্দিন ঘটনা প্রবাহের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে ফেইসবুক। এই ফেইসবুকের একটি গুরুত্বপূর্ণ অপশন হচ্ছে ব্যবহার কারীর রাজনৈতিক পরিচয়। বাংলাদেশের তরুন প্রজন্ম যাদের উপর স্বাভাবিক ভাবে অর্পিত হবে আগামী দিনের বাংলাদেশের সকল দায়িত্ব , তাদের ফেইসবুক একাউন্টের পলিটিক্যাল ভিউ অংশে গেলেই আৎকে উঠতে হয়। অধিকাংশ ইউজার লিখে রাখেন ' আই হেট পলিটক্স অথবা ডো নট লাইক !

কিন্তু কেন? রাজনীতি কি কোন নিষিদ্ধ দর্শন বা অপতৎপরতা? প্লেটো, এরিষ্টটল, ম্যাকিয়াভ্যালির নিরলস পরিশ্রম ও জ্ঞানের সাধনা যে রাজনীতির সাথে মিশে আছে স্বগৌরবে, যে রাজনীতির উৎকর্ষতা জন্ম দিয়েছে আধুনিক রাষ্ট্রনীতি, যে রাজনীতি সারা বিশ্বে জন্ম দিয়েছে সুশৃংখল ও সভ্য জাতিরাষ্ট্র, সে রাজনীতি বংঙ্গ মুল্লুকে এসে কেন শ্রীহিন হয়ে মানুষের ঘৃণা পেল?

আজকে যে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ, তার জন্মইতো আগা গোড়া রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সিদ্ধান্ত ও ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে। তাহলে সে দেশের তরুন প্রজন্ম কেন রাজনীতি কে ঘৃণা করে কিংবা নিজের একটা রাজনৈতিক আদর্শের পরিচয় দিতে লজ্জা ও সংকোচ বোধ করে। কেন আজকের দিনের অভিভাবকেরা নিজের সন্তান কে রাজনীতির বলয় থেকে দুরে রাখতে পারাটাকে বিজয় হিসেবে দেখে?

এই প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে বিস্তর আলোচনায় না গিয়ে গত চার দশকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির বাস্তব ঘটনা প্রবাহের দিকে তাকালেই যথেষ্ট। এখানে রাজনীতির নামে চলেছে সিংহাসন কেন্দ্রিক মল্লযুদ্ধ। এই মল্লযুদ্ধে বিভক্ত হয়েছে জাতি। ভুলুন্ঠিত হয়েছে জাতীয় স্বার্থ, ও নাগরিক নিরাপত্তা। রাজনীতির নামে দলীয় লেজুর বৃত্তির সন্ত্রাসে বার বার রক্তে রঞ্জিত হয়েছে একের পর এক শিক্ষাঙ্গন। রাজনীতির খোলসে অধিপত্যবাদ বা শোষনুন্মুখ চেতনা মাথা ছড়া দিয়ে উঠেছে। মোটকথা পলিটিক্স অব হেজমনির খ্প্পরে পড়ে এখানে রাজনীতি তার জনকল্যানমুখী রূপ পরিগ্রহ করে এক ভয়াল রূপে আবির্ভুত হয়েছে। এই কারণে সমকালীন রাজনীতি নিয়ে বাংলাদেশের কূলীন সমাজ ও সাধারণ মানুষের মনে ক্ষোভ ও সামাজিক বিবমিষা জন্ম নিয়েছে। আমাদের তরুন প্রজন্মের মনে যে রাজনীতি বিমূখতা এটা তারই প্রতিফলন।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে তারুণ্যের রাজনীতি বিমূখতা জাতি বা রাষ্ট্রের জন্য কতটা কল্যানকর? মোটেই কল্যানকর নয় । বরং অশনি সংকেত। কেননা রাজনীতি না থাকলে সমাজে স্বৈরাচার কিংবা প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্টির অনুপ্রবেশ ঘটে। সমাজ হয় অস্থীর ও ভারসাম্যহীন। নাগরিকদের রাজনীতি বিমূখতা সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্বৃত্তায়ন কে প্রশ্রয় দেয়। মীর মোশারফ হোসেনের বিখ্যাত গ্রন্থ বিষাদ সিন্ধু বলা হয়েছে " যে রাজা রাজনীতির অধীন নয় সে রাজা স্বেচ্ছাচারী" - রাজাকে রাজনীতির অধীন করতে হলে দেশের নাগরিকদেরকে আগে রাজনীতি চর্চা করতে হবে। তিনিই হয়ে উঠেন সফল রাষ্ট্র নায়ক যার আছে নেতৃত্বের গুনাবলী। আর রাজনীতি হচ্ছে নেতৃত্বের গুনাবলী অর্জনের পাঠশালা। কাজেই আমাদের তরুন সমাজ কে রাজনীতি বিমূখতা থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে। তার আগে রাজনীতি কে ফিরিয়ে আনতে হবে তার সঠিক ট্র্যকে। কোন না কোন জায়গা থেকে শুরু করতে হবে ইতিবাচক রাজনীতির চর্চা।

আশার কথা এই যে বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে ব্লগার নামে যে কমিউনিটির সৃষ্টি হয়েছে, তাদের হাত ধরে শুরু হয়েছে ইতিবাচক রাজনীতির চর্চা। ব্লগারদের অনেকেই এখন দল ও মতের লেজুড় বৃত্তির উর্ধে উঠে রাষ্ট্রিয় স্বার্থে কথা বলছে। নানা সামাজিক অনিয়ম ও অব্যাবস্থাপনার চিত্র তুলে ধরছে তাদের লিখালিখির মাধ্যমে। দেশ ও জাতির ইতিহাস, কৃষ্টি কালচার সম্পর্কে সবাই কে সচেতন করে তোলার স্বেচ্ছ্বা দায়িত্ব নিয়েছেন অনেক ব্লগার। David D. Perlmutter-এর ব্লগ-বিষয়ক বই Blogwars এর উৎসর্গপত্রে লিখা হয়েছে, "To bloggers, who boldly go where many of us could only dream of going before." সত্যই তাই। সত্য ও নিগুঢ় সমাজ বাস্তবতাকে তুলে ধরার এক দুঃসাহসী অভিযানের অভিযাত্রী হচ্ছেন বাংলাদেশ ও সারা বিশ্বের ব্লগারেরা।

ব্লগ মুলত সমাজ সচেতন শিক্ষিত মানুষের চিন্তাভবনা তুলে ধরার এক ব্যাতিক্রমি উপস্থাপনা। রাষ্ট, সরকার, শাষন ব্যবস্থা ও সামাজিক অভিযোজন নিয়ে সাধারণ মানুষ সবসময় ভাবে। বাংলাদেশে নিকট অতীতে মানুষের সেসব ভাবনার গুলো বৃহত্তর পরিমন্ডলে তুলে ধরার কোন মাধ্যম ছিলনা । অধিকিন্তু বাংলাদেশের প্রচলিত মিডিয়া নুয়াম চমস্কির বিখ্যাত প্রপাগান্ডা মডেলের বাইরে নয়। এই অবকাঠামোগত ও মালিকানাগত দ্বন্ধে মিডিয়াগুলো সাধারণ জনগনের মতামত কে সেই অর্থে স্পেস দিতে সক্ষম হয়নি। ফলে সাধারন মানুষের মতামত বা ভাবনার কোন অর্থবহ রেজাল্ট ছিলনা। বর্তমানে ব্লগ রাষ্ট্র ব্যবস্থায় অংশগ্রহনের জন্য উন্মুখ চিন্তাশীল মানুষের সামনে মতামত প্রকাশের উদার দিগন্ত উন্মোচিত করে দিয়েছে। ব্লগ বা ব্লস্ফিয়ারের উৎকর্ষতার মাধ্যমে ব্লগারেরা তাদের নিজস্ব ভাবনা গুলো ছড়িয়ে দিতে পারছে সারা বিশ্বময়। একেকজেনর ভাবনা হাজার হাজার লোক পড়ছে, শেয়ার করছে, অনেকে মতামত -পাল্টা মতামত দিচ্ছে। এভাবে সমৃদ্ধ হচ্ছে প্রত্যেকের ভাবনা ও আইডিয়া। শক্তিশালী হয়ে উঠছে জনমত। চর্চিত হচ্ছে গনতান্ত্রিক চেতনা।
বৃহত্তর জনগনের অংশগ্রহন ছাড়া গনতন্ত্র অর্থহীন। ব্লগের কল্যানে রাষ্ট্র ব্যবস্থায় জনগনের পরোক্ষ কিন্তু অত্যাবশ্যকীয় অংশগ্রহনের পথ কিছুটা সুগম হয়ে উঠেছে। এতে করে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রকেরা যেমন জবাবদিহিতার সন্মুখীন হচ্ছেন তেমনি সাধারণ শ্রেনী পেশার মানুষও তাদের অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতেন হয়ে উঠছে। ব্লগের মাধ্যমে ইন্টারনেটের এ্যানোনিমাস সুবিধা গ্রহন করে অনেক জটিল ও কনফিডেন্সিয়াল রাজনৈতিক ইস্যু নিয়েও কথা বলছে। ব্লগারেরা সাদা কে সাদা এবং কালো কে কালো বলার সাহসীকতা দেখাচ্ছে। মুক্তচিন্তার অভিঘাতে রাজনীতি ফিরে পাচ্ছে তার প্রাণ। সাম্প্রতিক কালে যুদ্ধাপরাধের বিচার, বাংলাদেশী কিশোরী ফেলানীর নির্মম হত্যাকান্ড, শিক্ষক পরিমলের অসভ্যতা, রামুর বৌদ্ধ বিহারে হামলা, কিশোর রাজন হত্যাকান্ড, শিশু জিহাদের মর্মান্তিক মৃত্যু সহ নানা ইস্যুতে ব্লগারদের সোচ্চার অবস্থান ছিল, যার অনেগুলো ইতিবাচক পরিণতি পেয়েছে। মোটকথা , ব্লগ ও ব্লগারদের হাত ধরে একটা ইতিবাচক রাজনীতির স্রোতধারায় ফিরে আসছে আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি।



তবে যতটুকু অর্জন সেটা প্রয়োজনের তুলনায় খুব নগন্য। বাংলাদেশের ক্ষমতার বলয়ে আবর্তিত পুরা রাজনৈতিক ও সামাজিক সিষ্টেম কে খোলনলচে পাল্টে একটা নতুন দিনের সূচনা করতে হলে ব্লগ ও ব্লগারদের কে আরো দীর্ঘ পথ হাঁটতে হবে। টোটাল জনগোষ্টিকে রাজনীতি সচেতন এবং আপন রাষ্ট্র ও জাতিস্বত্তা সম্পর্কে সচেতন অধুনিক মননশীল নাগরিক করে তোলাই হবে ব্লগারদের চুড়ান্ত লক্ষ্য। ব্লগারদের নিজস্ব রাজনৈতিক আদর্শ অবশ্যই থাকবে। কিন্তু গনতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতা এবং বৈষম্যহীন অসাম্প্রদায়ীক বাংলাদেশ গঠনের প্রশ্নে ব্লগারদের কে একি প্লাটফর্মে অবস্থান নিতে হবে। মনে রাখতে হবে আমাদের পূর্ব পুরুষদের যে আত্ম বিসর্জন তার পেছনে গনতন্ত্র , বাক স্বাধীনতা ও অসাম্প্রদায়ীকতা ছিল অন্যতম দাবি। বাংলাদেশে ইন্টারনেট এখনও সকল মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছেনি। যতটুকু ইন্টেরনেট মানুষ পেয়েছে তাতে ব্লগারদের যে অর্জন তাতে চোখ বুঝে আশা করা যায় যে ইন্টারনেটর সুলভতা বাড়ার সাথে বাড়বে ব্লগারদের অর্জন। নিজেদের কাজের গুনে সকল অপবাদ কে ছাপিয়ে ব্লগারেরা হয়ে উঠবে সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি ও মুক্তির দূত। কল্যানমুখী ব্লগারদের হাত ধরেই একদিন ইতিবাচক রূপে বদলে যাবে আমাদের সমাজ, রাষ্ট্র ও রাজনীতি। শেষ করবো David D. Perlmutter-এর উক্তি দিয়ে "But I claim that one fact is certain: Blogs have changed and will change our politics and our world."

দৈনিক ইত্তেফাক

মন্তব্য ১৬৬ টি রেটিং +৫১/-০

মন্তব্য (১৬৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৪

কাবিল বলেছেন: আমাদের তরুন সমাজ কে রাজনীতি বিমূখতা থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে। তার আগে রাজনীতি কে ফিরিয়ে আনতে হবে তার সঠিক ট্র্যকে।
ব্লগের কল্যানে রাষ্ট্র ব্যবস্থায় জনগনের পরোক্ষ কিন্তু অত্যাবশ্যকীয় অংশগ্রহনের পথ কিছুটা সুগম হয়ে উঠেছে। এতে করে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রকেরা যেমন জবাবদিহিতার সন্মুখীন হচ্ছেন তেমনি সাধারণ শ্রেনী পেশার মানুষও তাদের অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতেন হয়ে উঠছে।

ভাল বলেছেন।

০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪৪

নেক্সাস বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

২| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৮

হিমুর মধ্যদুপুর বলেছেন: David D. Perlmutter-এর উক্তি দিয়ে "But I claim that one fact is certain: Blogs have changed and will change our politics and our world."

০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪৬

নেক্সাস বলেছেন: হুম। এই উক্তিটি ব্লগ ও ব্লগারদের নিয়ে বসিহাল স্বপ্ন ও সম্ভাবনার দিকে ইঙ্গিত করে। পার্ল মুটারের বইটার উৎসর্গপত্রও দারুন। সারা বিশ্বে আজ ব্লগারেরা একটা আলোচিত চরিত্র।

৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০২

কল্লোল পথিক বলেছেন: কল্যানমুখী ব্লগারদের হাত ধরেই একদিন ইতিবাচক রূপে বদলে যাবে আমাদের সমাজ, রাষ্ট্র ও রাজনীতি।





ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটা বিষয় তুলে ধরেছেন।

০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫

নেক্সাস বলেছেন: হুম। আই হেট পলিটিক্স বলার যে প্রবণতা সেটা থেকেও একদিন বাংলার তরুন সমাজ বেরিয়ে আসবে। তারা রাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামাবে। সত্যিকারের রাজনীতির সুফল মানুষের দোরগোড়ায় পোঁছে দিবে। এটুকুই আশা করি।

৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আশার কথা এই যে বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে ব্লগার নামে যে কমিউনিটির সৃষ্টি হয়েছে, তাদের হাত ধরে শুরু হয়েছে ইতিবাচক রাজনীতির চর্চা। ব্লগারদের অনেকেই এখন দল ও মতের লেজুড় বৃত্তির উর্ধে উঠে রাষ্ট্রিয় স্বার্থে কথা বলছে। নানা সামাজিক অনিয়ম ও অব্যাবস্থাপনার চিত্র তুলে ধরছে তাদের লিখালিখির মাধ্যমে। দেশ ও জাতির ইতিহাস, কৃষ্টি কালচার সম্পর্কে সবাই কে সচেতন করে তোলার স্বেচ্ছ্বা দায়িত্ব নিয়েছেন অনেক ব্লগার।

চমৎকার বলেছেন নেক্সাস ভাই ।

পুরো লিখাটাই ভাল লাগলো ।

০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:১১

নেক্সাস বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। রাজনীতি নিয়ে আপনার মতামত জানালে ভাল লাগতো

৫| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩৫

আবু শাকিল বলেছেন: "এখন প্রশ্ন হচ্ছে তারুণ্যের রাজনীতি বিমূখতা জাতি বা রাষ্ট্রের জন্য কতটা কল্যানকর"
তরুণদের আই হেট পলিটিক্স আড়ালের নাম সুবিধাদি!!
দুইদিকে দিকে তীঁর মারার দারুন সুযোগ।
এদিকেও তীঁর মারতে পারবেন অন্যদিকেও তীর মারতে পারবেন।
নিজেকে নব্য সুশীল ভাবার ব্যাপক সুযোগ।
গাছের টা খাবেন।তলার টা চাটবেন।

লেখাটা খুব ভাল।ব্লগারদের মতামত পড়তে আবার আসব।
ধন্যবাদ নেক্সাস দা।


০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪৬

নেক্সাস বলেছেন: তরুণদের আই হেট পলিটিক্স আড়ালের নাম সুবিধাদি!!
দুইদিকে দিকে তীঁর মারার দারুন সুযোগ।
এদিকেও তীঁর মারতে পারবেন অন্যদিকেও তীর মারতে পারবেন।
নিজেকে নব্য সুশীল ভাবার ব্যাপক সুযোগ।
গাছের টা খাবেন।তলার টা চাটবেন।

চমৎকার বলেছেন। তরুন তরুনীদের মধ্যে একটা ভাব কাজ করে যে আই হেট পলিটিক্স লিখলে সবাই আমাকে বাহবা দিবে, ভাল জানবে, নির্ভেজাল ভাববে। এর জন্য আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি দায়ী। রাজনীতির প্রতি তরুন সমাজে এহেন মনোভাব কোন ভাবেই ইতিবাচক নয়। রাজনৈতিক ভাবে সুশিক্ষিত মানুষেরাই সু নাগরিক। আর সু নাগরিক ছাড়া রাষ্ট্র অচল।

৬| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩৯

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: সুন্দর কিছু দিক তুলে ধরেছেন । আমিও 'রাজনীতি' নামক একটা কবিতা লিখেছিলাম । সেখানে রাজনীতিকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরেছি এবং তার সাথে আমাদের দেশের রাজনীতির তুলনা দেখিয়েছিলাম । আপনার লেখার সাথে মিলে গেছে ।

তার সাথে আপনি ব্লগের সম্পর্ক তুলে ধরেছেন । তাও ইতিবাচক । ব্লগের মাধ্যমে অনেক সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক অসামঞ্জস্যগুলো উঠে আসে এবং তা একটি প্রতিবাদী রূপ নেয় । এতে করেই সকল কিছুর সুষ্ঠ চর্চা হয় । ইন্টারনেটের ব্যাপ্তিতে ব্লগ আরো শক্তিশালীর দিকে এগুচ্ছে । আর বেশি দূর নেই অনৈতিক চর্চা রোধে ব্লগ হবে এক অন্যতম হাতিয়ার।

০২ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩০

নেক্সাস বলেছেন: সেতাি সত্যিকারের রাজনীতি আর আমাদের ডেশের তথাকথিত রাজনীতি সম্পূর্ণ আলাদা দুটি স্রোত। আমাদের ডেশে যেটা চলছে তা কোনভাবেই রাজনীতি নয়। আমাদের সামনে এখন একটাই কাজ, সেটা হল দেশে সুষ্ঠু রাজনৈতিক ধারা চালু করা। আই কাজে ব্লগারেরা অনেকটা এগিয়ে এসেছেন বলে আমার উপলব্ধি।
আপনার সাথে সুর মিলিয়ে বলবো-
ব্লগের মাধ্যমে অনেক সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক অসামঞ্জস্যগুলো উঠে আসে এবং তা একটি প্রতিবাদী রূপ নেয় । এতে করেই সকল কিছুর সুষ্ঠ চর্চা হয় । ইন্টারনেটের ব্যাপ্তিতে ব্লগ আরো শক্তিশালীর দিকে এগুচ্ছে । আর বেশি দূর নেই অনৈতিক চর্চা রোধে ব্লগ হবে এক অন্যতম হাতিয়ার।

ব্লগে অনেক নেগেটিভ ইস্যুো আসে। আমি সেগুলোকেো ইতিবাচক হিসেবে দেখি। যেমন কেউ একজন মতিউর রহমান নিজামী কে হিরো দাবি করে একটা পোষ্ট দিল। আমার কাছে সেটা ইতিবাচক। কেননা সেখানে ব্লগারেরা অংশগ্রন করছে। পোষ্ট দাতার দাবির অসারতা প্রামন করতে ইতিহাস ও সত্যের আলোকে আলোচনা করছে। আলোচনা গুলো ভাইরাল হচ্ছে। ফলে মানুষ প্রকৃত সত্য জানতে পারছে। নিজামীদের মুখোস উনমোচিত হচ্ছে। যা রাষ্ট্র ও জাতির জন্য কল্যান বয়ে আনছে।


ধন্যবাদ আপনাকে

৭| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫১

তার আর পর নেই… বলেছেন: ব্লগে ইতিবাচক চর্চা হচ্ছে সেটা ঠিক। কিন্তু ব্লগ এখনো খুব অল্প মানুষই পড়ছে, মতামত জানাচ্ছে এবং যারা এটা করছে তারাও সচেতন শ্রেণী।
আমি নিজেও রাজনীতি পছন্দ করি না।
পোস্টে ভালো লাগা।

০২ রা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩২

নেক্সাস বলেছেন: ব্লগ খুব অল্প মানুষ পড়ছে এটা যেমন সত্য তেমনি ব্লগ অনেক মানুষ পড়ছে এটাও সত্য। সমাজ বিবর্তনের পতাকা কিন্তু অল্প মানুষই উপরে তুলে ধরে। অন্যরা সে পতাকার পত পত শব্দে মুগ্ধ হয়ে তাদের অনুসরন করে।
এখন যত লোক ব্লগ পড়ে ১ বছর আগে অত লোক পড়তোনা। আবার এখন যত লোক পড়ে আগামী বছর তার দ্বিগুন লোক পড়বে। আর এই মননশীল বুদ্ধিভিত্তিক শ্রেনী যত বাড়বে সমাজ পরিবর্তনের পালে তত হাওয়া লাগবে এবং একদিন হুট করেই সমাজ ইতিবাচক পথে টার্ন করবে।
ব্লগ যারা পড়ছে তারা সচেতন শ্রেনী। কথাটা আধা সত্য। অনেক অসচেতন মানুষ ব্লগ পড়ছে এবং পড়তে পড়তে সচেতন হয়ে পড়ছে। যাকে বলে গাইতে গাইতে গায়েন। আর সচেতন যারা তাদের কাজ হচ্ছে অন্যকে সচেতন করে তোলা। কবির ভাষায় " আধ মারাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা"-- ব্লগারদের অনেকে সে কাজটা করছে।

কেন আপনি রাজনীতি পছন্দ করেন না?
রাজনীতি ছাড়া বাংলাদেশ নামক একটি রক্তস্নাত দেশের জন্ম কথা কল্পনা করুন তো, দেখি পারেন কিনা?
যে ভাষায় লিখছেন সেটাও কিন্তু রাজনীতির মাঠে অর্জিত।

আমি যটদুর জানি আপনি রাজনীতি বিজ্ঞানের ছাত্র। অথচ আপনি বলছেন আপনি রাজনীতি পছন্দ করেন না। এর চাইতে দূর্ভাগ্য আর কি হতে পারে? হুম বলবেন রাজনীতি মানেতো হানাহানি, মারামারি- না রাজনীতি মানে তা নয়। আমাদের দেশে আমরা রাজনীতিকে এই রূপ দিয়েছি। আর যারা রাজনীতি কে কলুষিত করেছে তাদের কে সুযোগ করে দিয়েছি আমরা, আমাদের অসচেতনতা। রাজনীতি ছাড়া প্রজা বান্ধব বাংলাদেশ অসম্ভব। আমাদের অধিকারের প্রশ্নে রাজনীতি ফিরে আসবে। কাজেই রাজনীতি কে রাজনীতির জায়গায় ফিরিয়ে আনতে আমাদের কে দায়িত্ব নিতে হবে। অন্যথায় আমরা আমাদের পতনের লাশ ভাসিয়ে দেব সর্বনাশের সমুদ্রে।

৮| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০৩

শাহাদাত হোসেন বলেছেন: রাজনীতি করার মতো প্লাটর্ফম বঙ্গ দেশে নাই !

০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৩৩

নেক্সাস বলেছেন: রাজনীতি করার মত প্লাট ফর্ম বাংলাদেশে নাই। এটা ধ্রুব সত্য। আমি এই কথাটি স্বীকার করেই এই পোষ্ট লিখেছি। আমি তুলে ধরতে চেয়েছি রাজনিতির প্রয়োজনীয়তা। কাজেই বাংলাদেশের ভবিষ্যত স্বার্থে রাজনীতির প্লাটফর্ম ফিরিয়ে আনতে হবে। আর সে দায়িত্ব তরুণ প্রজন্মের।

৯| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০৭

বিজন রয় বলেছেন: অধিকাংশ ইউজার লিখে রাখেন ' আই হেট পলিটক্স অথবা ডো নট লাইক !

তাহলে ভেবে নিতে পারি আমদের রাজনীতি নীচতার তলানিতে।

অত্যন্ত ভাল পোস্ট।

০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:০৫

নেক্সাস বলেছেন: "আমাদের রাজনীতি"-------------- প্রবলেম টা সেখানে। রাজনীতি একটি বিশ্বজনীন ধারণা। রাজনীতি একটি বিজ্ঞান। কিন্তু রাজনীতি কে হিংসা, হানাহানি মধ্যে ঠেলে দিয়ে নিজস্ব একটা রূপ দিয়েছি। কিন্তু সেটা মোটেি রাজনীতি নয়। আমি পয়েন্ত আউট করতে চেয়েছি সেই ব্যাপারটা। আমি বলতে চেয়েছি রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে না নিয়ে তাকে তার শাস্ত্রীয় জনকল্যানমুখি রূপে ফিরিয়ে আনার কথা। এবং অনেক ব্লগার সে উদ্দেশ্যে কাজ করছে , এটাই ছিল আমার মূল আলোকপাত।

১০| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২৭

জেন রসি বলেছেন: সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে যারা বলে যে, আমরা রাজনীতি ঘৃণা করি, তারাও রাজনৈতিক বলয়ের বাইরে যেতে পারেনা। যে সমাজের সব অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং আইন প্রনয়ন জাতীয় ব্যাপারগুলো রাজনীতিবিদরা নিয়ন্ত্রন করে, সে দেশে আসলে কেউ চাইলেও এই বলয়ের বাইরে অবস্থান করতে পারবেনা। এ দেশের অনেক মানুষেরই ধারনা রাজনৈতিক সচেতনতা মানেই কোন একটি নির্দিষ্ট দলের চাটুকারিতা করা। তাই নতুন প্রজন্মের অনেকেই যেসবকে ঘৃণার চোখে দেখে। কিন্তু তাদের জীবনও সেই যাদের তারা দেখতে পারেনা, তাদের দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হতে থাকে। এ জন্যই দরকার দলবাজির বাইরে এসে রাজনৈতিক ভাবে সচেতেন হওয়া। নাগরিক অধিকার আদায়ের জন্য তা ছাড়া অন্য কোন বিকল্প পথও নেই।

এ দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ব্লগাররা সক্রিয় ছিল এবং আছে। কিন্তু এখানেও একটা ব্যাপার প্রায়ই দেখা যায়। সেটা হচ্ছে দলবাজি। যেটা অনেকটাই জ্ঞানপাপীদের মত কাজ হয়ে যায়। অর্থাৎ আমি অমুক দল সাপোর্ট করি বলে তারা যাই করবে তাই ভালো। সেই দলের বিরোধিতা যারা করবে তারাই খারাপ, এমন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বেড় হয়ে সবকিছুই যৌক্তিক ভাবে পর্যালোচনা করার চেষ্টা করতে হবে।

প্রয়োজনীয় কিছু ভাবনা তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৪২

নেক্সাস বলেছেন: আপনার মন্তব্যের উত্তরে কিছু বলার নাই। পুরো পোষ্টের সারকথা আপনি বলে দিয়েছেন। ধন্যবাদ।

সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে যারা বলে যে, আমরা রাজনীতি ঘৃণা করি, তারাও রাজনৈতিক বলয়ের বাইরে যেতে পারেনা। যে সমাজের সব অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং আইন প্রনয়ন জাতীয় ব্যাপারগুলো রাজনীতিবিদরা নিয়ন্ত্রন করে, সে দেশে আসলে কেউ চাইলেও এই বলয়ের বাইরে অবস্থান করতে পারবেনা। এ দেশের অনেক মানুষেরই ধারনা রাজনৈতিক সচেতনতা মানেই কোন একটি নির্দিষ্ট দলের চাটুকারিতা করা। তাই নতুন প্রজন্মের অনেকেই যেসবকে ঘৃণার চোখে দেখে। কিন্তু তাদের জীবনও সেই যাদের তারা দেখতে পারেনা, তাদের দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হতে থাকে। এ জন্যই দরকার দলবাজির বাইরে এসে রাজনৈতিক ভাবে সচেতেন হওয়া। নাগরিক অধিকার আদায়ের জন্য তা ছাড়া অন্য কোন বিকল্প পথও নেই।

এ দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ব্লগাররা সক্রিয় ছিল এবং আছে। কিন্তু এখানেও একটা ব্যাপার প্রায়ই দেখা যায়। সেটা হচ্ছে দলবাজি। যেটা অনেকটাই জ্ঞানপাপীদের মত কাজ হয়ে যায়। অর্থাৎ আমি অমুক দল সাপোর্ট করি বলে তারা যাই করবে তাই ভালো। সেই দলের বিরোধিতা যারা করবে তারাই খারাপ, এমন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বেড় হয়ে সবকিছুই যৌক্তিক ভাবে পর্যালোচনা করার চেষ্টা করতে হবে।

এখানে কিছু বলার আছে। দলবাজি কিন্তু রাজনীতির অংশ। দলবাজি থাকবেই। তবে সেখানে একে অন্যকে সন্মান করবে। একে অন্যের মত প্রকাশে বাধা দিবেনা। জাতীয় ইস্যুতে একে অপরকে নিজেদের দলে টানার আদর্শিক প্রতিযোগিতা করবে। সাধারণ মানুষ তাদের পারষ্পরিক বাকযুদ্ধে সচেতন হবে। অনেকে বলেন ব্লগে তো রাজনীতি হচ্ছে। তো খারাপ কি। ব্লগে রাজনীতির কথা কাটাকাটি হয়। খুনাখুনিতো হয়না। আর রাজনৈতিক বাকযুদ্ধও রাজনীতির অলংকার। বাকযু্ধ থেকেই জনগনের ভাবনার রসদ বেরিয়ে আসে যা তাদের কে সচেতন করে তোলে।

উদাহরণ : রামপাল নিয়ে পারভেজ আলম পোষ্ট দিল। সেখানে পক্ষে বিপক্ষে অনেক কমেন্ট আসল। কমেন্ট করুক বা না করুক সেটা ৫০০ কন পড়লো। এই ৫০০ জন কি কিছু শিখলোনা? এই ৫০০ জনের মধ্যে ৫ জন কি ইতিবাচক ভাবে কনভিন্সড হল। এই ৫ জন আরো ৫ জন কে প্রভাবিত করলো। এভাবে ধীরে ধীরে ব্লগারা খোলস ছেড়ে বেরিয়ে একটা ইন্টেলেকচুয়াল ক্যাপিটালে পরিণত হবে। আমি সেটাই বলছি।


১১| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ একটা পোস্ট। শত শত ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার যা করতে পারে না, একজন দূরদর্শী, প্রজ্ঞাবান এবং সৎ নেতা তা করতে পারেন। পুরো দেশটির খোলনলচে বদলে দিতে পারেন। আর এজন্যে তার একটি তরুণ রাজনীতি সচেতন গোষ্ঠী অবশ্যই দরকার। দশ টাকা দিয়ে নেট প্যাক কিনে সেলফোন হাতে স্টিকি করে রেখে তথাকথিত সব সেলিব্রেটিদের চামচামি করা প্রজন্মের বোধোদয় হোক, আমাদের তরফ থেকেই তেমন প্রচেষ্টা আসুক।

০৩ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩২

নেক্সাস বলেছেন: অনেক খুশি হলাম প্রিয় হামা ভাই। আমি ঠিক এই কথাগুলো বলতে চেয়েছি। সেই সাথে এটাও বলতে চেয়েছি যে অনেক ব্লগার ব্লগার সমকালীন রাজনীতি কে রাজনীতির সঠিক ও জনকল্যানমূখী দারায় ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে। ব্লগে যেভাবে জাটীয় ইস্যু আলোচিত হচ্ছে, অন্য কোন মিডিয়াতে সেটা হচ্ছেনা। ব্লগে রাজনীতির বাক যুদ্ধের মিথস্ক্রিয়ায় জনগন সত্য জানতেছে।

১২| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: রাজনীতির নামে দলীয় লেজুর বৃত্তির সন্ত্রাসে বার বার রক্তে রঞ্জিত হয়েছে একের পর এক শিক্ষাঙ্গন।

-- উত্তরটাও আপনি দিয়ে দিয়েছেন এই কারণেই অভিভাবকেরা নিজের সন্তান কে রাজনীতির বলয় থেকে দুরে রাখতে পারাটাকে বিজয় হিসেবে দেখে

শিক্ষিত ব্লগাররাই কি ব্লগিং করছেন আসলে? শিক্ষিত মানেই সার্টিফিকেটধারী হলে সে হিসেবে এখানে একাডেমিক সার্টিফিকেট ধারী অনেকেই আছেন। কিন্তু মুক্তমন নিয়ে ব্লগিং করে দেখেন তো কি হয়? আমরা কি ব্লগে সেরকম ভাবে রাজনৈতিক ভিউ প্রকাশ করতে পারি? আপনার কথাই ধরুন যে কোনো নির্দিষ্ট একটা দলের নাম নিয়ে যদি আজকে আপনি এই লেখাটা লিখতেন এবং আপনার মনের একান্ত ভাবনাগুলো, যাদের সাথে আপনার ভাবনা মিললো না তারা কী রকম সাঁড়াশী আক্রমণ আপনাকে করবে, ভাবতে পারছেন কিংবা কখনো কি আক্রমণ হয়নি?

রাজনীতির সাথে ধর্ম মিশিয়ে যে যে নিয়ম কানুন তৈরি হচ্ছে বা হবে সেটা কি মুক্ত রাজনৈতিক চর্চার মাধ্যম বলে মনে করেন?

বাংলাদেশে রাজনীতি মানেই " একটা সুনির্দিষ্ট দল "কেই বোঝায়। যারা নিজেদের অবস্থান দীর্ঘ দীর্ঘ বছর শক্ত করতে সম্ভাব্য সব পথ তৈরি করছে। একনায়কতন্ত্র কায়েম করছে যার পোশাকি নাম " গণতন্ত্র"। কিন্তু এসব নিয়ে লিখলে বা সমাধানের পথ নিয়ে পরামর্শ মূলক লেখা লিখলে নামে, বেনামে অনেক নিক ঝাঁপিয়ে পড়বে। সুস্থ চর্চা হবে না। আর রাজনীতি বিষয়ক জ্ঞান আমার নাই। যা ভালো লাগে না সে আমার সমর্থিত দল হলেও সেটা বলতে চাই।

আবার পরে আসবো আলোচনা পড়তে।

০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৬

নেক্সাস বলেছেন: আমার পোষ্টের তিন টা পার্ট। প্রথম অংশে আমি রাজনীতির বাংলাদেশ সংস্করণের চলমান বাস্তবতার কথা সংক্ষেপে তুলে ধরেছি। ঐ অংশে আমি কোথাও দাবি করিনি বাংলাদেশের চলমান রাজনীতিতে তরুন সমাজ কে মনোনিবেশ করতে হবে। আমি কোথাও অভিভাবকদের দায়ী করিনি যে তারা বিনা কারণে নিজেদের সন্তানদের কে রাজনীতিতে আসতে দিচ্ছেনা। আমি রাজনীতির বাস্তবতায় পিতা-মাতাদের ঝোঁক টা তুলে ধরেছি।

২য় অংশে আমি খুব ছোট করে জাতীয় জীবনে সত্যিকারের শাস্ত্রীয় রাজনীতির অত্যাবশ্যকীয়তা তুলে ধরে, আমাদের প্রচলিত রাজনীতির ধারা কে খোলনলচে পরিবর্তন করে সঠিক ট্র্যকে ফিরিয়ে আনার কথা বলেছি।


আর তৃতীয় অংশে রাজনীতির বাংলাদেশী সংস্করণ কে পরিবর্তন করে সুস্থ ধারার রাজনীতির চর্চা এবং রাষ্ট্রের ইন্টেলকচুয়াল ক্যাপিটাল হিসেবে নিজেদের কে মেলে ধরার ক্ষেত্রে ব্লগারদের অর্জন বা ভূমিকা নিয়ে কথা বলেছি।

শুধু কি শিক্ষিত লোকেরা ব্লগিং করে? আপাতত আমি বলব তাই। সেক্ষেত্রে সেটা কি সার্টিফিকেটধারী না অন্য কোনভাবে সেটা বিবেচনায় আনা হয়নি। শিক্ষিত লোক বলতে সমাজে প্রচলিত সংগা কে ধরে নেওয়া হয়েছে।

আর মুক্তমন শব্দটা বর্তমান সময়ে আপেক্ষিক। কেন আপেক্ষিক সেটা আপনি আমি জানি। আমি ব্লগে রাজনৈতিক ভিউ প্রকাশ করার ফলে কেউ আক্রান্ত হয়েছেন আমি সেভাবে দেখিনি। হ্যাঁ বাক যুদ্ধ দেখেছি ব্যাপক। আর সেটা রাজনীতির সুস্থ ধারা আমার মতে। এ টিমের ব্লগারদের সাথে যদি ত্রিভুজ গংদের বাকযুদ্ধ না হত তাহলে কিন্তু সাধারণ ব্লগারেরা ত্রিভুজদের ধর্ম ব্যাবসা কেন্দ্রিক রাজনীতির অসারতার প্রমান পেতনা। পাল্টাপাল্তি লিখালিখির মাধ্যমে কিন্তু সত্যের জয় হয়েছে এবং মিথ্যা বিতাড়িত হয়েছে।
এর বাইরে হিংস্রতা বলতে আমরা কিছু গালাগালি দেখেছি। কিন্তু আসার কথা সেসব দিন দিন কমে এসেছে। এটাই পরিবর্তন। এটাই মননশীলতার জয়।

রাজনীতির সাথে ধর্ম মিশিয়ে যে যে নিয়ম কানুন তৈরি হচ্ছে বা হবে সেটা কি মুক্ত রাজনৈতিক চর্চার মাধ্যম বলে মনে করেন?

রাজনীতির সাথে ধর্মের মিশেল হচ্ছে না বরং এটা অনেক আগেই হয়েছে। সারা বিশ্বে হয়েছে। দিনে দিনে একটা সোশ্যাল বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে বিভিন্ণ অঞ্চল সেটা থেকে মুক্ত হয়েছে। আমাদের দেশেও সে উপলব্ধি পালে হাওয়া লেগেছে। ধর্ম থেকে রাজনীতি কে আলাদা করার উদ্যেগ নিয়েছে মানুষ। আর তার প্রধান কৃতিত্ব বলবো আম ব্লগারদেরই। ব্লগারদের অর্জন পুরোপরি দৃশ্যমান হতে সময় লাগবে এটা সত্য। কিন্তু শুরুটা যে হয়ে গেছে-এটা স্পষ্ট। এই যে আপনি আমি যুক্তি চর্চা করছি এটাই রাজনীতি। আমি সে রাজনীতিতে ফিরে যাওয়ার কথা বলছি।


১৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১১

অগ্নি সারথি বলেছেন: এখন প্রশ্ন হচ্ছে তারুণ্যের রাজনীতি বিমূখতা জাতি বা রাষ্ট্রের জন্য কতটা কল্যানকর? মোটেই কল্যানকর নয় । বরং অশনি সংকেত। কেননা রাজনীতি না থাকলে সমাজে স্বৈরাচার কিংবা প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্টির অনুপ্রবেশ ঘটে। সমাজ হয় অস্থীর ও ভারসাম্যহীন। নাগরিকদের রাজনীতি বিমূখতা সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্বৃত্তায়ন কে প্রশ্রয় দেয়। - চরম ভাবে সহমত।

০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৯

নেক্সাস বলেছেন: আমি এটাই বলতে চেয়েছি ভাই। রাজনীতিহীনতা কিন্তু একটা জাতিকে অন্ধকারে নিয়ে যায়। আমাদের তরুণ প্রজন্ম সবাই যদি রাজনীতি কে ঘৃণা করে তবে ২০/৩০/৪০ বছর পরে এই জাতিকে নেতৃত্ব দিবে কে?

১৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১৪

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: অসাধারণ একটি পোস্ট নেক্সাস ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।

০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:২৫

নেক্সাস বলেছেন: ধন্যবাদ কামরুল ভাই। আছেন কেমন?

১৫| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:১৫

প্রামানিক বলেছেন: আশার কথা এই যে বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে ব্লগার নামে যে কমিউনিটির সৃষ্টি হয়েছে, তাদের হাত ধরে শুরু হয়েছে ইতিবাচক রাজনীতির চর্চা। ব্লগারদের অনেকেই এখন দল ও মতের লেজুড় বৃত্তির উর্ধে উঠে রাষ্ট্রিয় স্বার্থে কথা বলছে। নানা সামাজিক অনিয়ম ও অব্যাবস্থাপনার চিত্র তুলে ধরছে তাদের লিখালিখির মাধ্যমে। দেশ ও জাতির ইতিহাস, কৃষ্টি কালচার সম্পর্কে সবাই কে সচেতন করে তোলার স্বেচ্ছ্বা দায়িত্ব নিয়েছেন অনেক ব্লগার।

খুব ভাল লাগল পুরো লেখাটাই। ধন্যবাদ

০৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:০৬

নেক্সাস বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৬| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:১৪

রাবার বলেছেন: সুন্দর লিখসেন ++++

০৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২৬

নেক্সাস বলেছেন: ধন্যবাদ রাবার

১৭| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:২৭

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: রাজনীতি আমি বুঝিনা। কিন্তু রাজনীতির নামে আমাদের দেশে যা হচ্ছে এই ধরনের কোন কর্মকান্ডে আমার সন্তান জড়িয়ে পরুক আমি তা কখনোই চাইব না।

গত চার দশকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির বাস্তব ঘটনা প্রবাহের দিকে তাকালেই যথেষ্ট। এখানে রাজনীতির নামে চলেছে সিংহাসন কেন্দ্রিক মল্লযুদ্ধ। এই মল্লযুদ্ধে বিভক্ত হয়েছে জাতি। ভুলুন্ঠিত হয়েছে জাতীয় স্বার্থ, ও নাগরিক নিরাপত্তা। রাজনীতির নামে দলীয় লেজুর বৃত্তির সন্ত্রাসে বার বার রক্তে রঞ্জিত হয়েছে একের পর এক শিক্ষাঙ্গন।

এসব দেখে কোন অভিভাবকই চাইবেনা তার সন্তান এসবে গিয়ে নিজের জীবন বিপন্ন করুক।

০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:০৬

নেক্সাস বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার।

আমি আসলে একটি জাতির বা দেশের নাগরিকদের রাজনৈতিক জ্ঞানের অভাব বা রাজনীতি থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেওয়া ঐ জাতি বা দেশের জন্য কতটা নেতিবাচক সেটা তুলে ধরেছি। আমি কোথাও বলিনি আমাদের দেশে রাজনীতির নামে চা হচ্ছে তাতে আমাদের সন্তানেরা জড়াতে হবে। আমি বলেছি রাজনীতি কে ঘৃণা না করে, রাজনীতি থেকে দুরে সরে না গিয়ে আমাদের দেশের চলমান রাজনৈতিক ধারাকে খোলনলচে বদলে আসল শাস্ত্রীয় ধারায় ফিরিয়ে আনার কথা। তারপর তরুন সমাজ কে রাজনীতি নিয়ে ভাবার কথা বলেছি। আমার সন্তান, আপনার সন্তান রাজনীতি করলোনা তাহলে ৫০ বছর পরে কে নেতৃত=ব দিবে এই জাতির?

নিশ্চয় কোন এলিয়েন আসবেনা।

আমি এটা বলতে চেয়েছি দেশে ইতিবাচক রাজনীতির চর্চা কিছুটা হলেও শুরু হয়েছে। আর তার সূচনা করেছে ব্লগারেরা।

১৮| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৪২

সোজোন বাদিয়া বলেছেন: আপনার সিরিয়াস চিন্তার জন্য পঞ্চমুখে প্রশংসা করি। আপনার লেখাটির মতো আরও লেখার অনুপস্থিতি আপনার আশঙ্কাটিই যেন প্রমাণ করে। আমার খুব ভয় মানুষ যেন ভালর ব্যাপারে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে। এটি হয়ে থাকলে তা অত্যন্ত ভয়াবহ।
আপনার যে কথাটি বিশেষ ভাল লেগেছে:
ব্লগারদের নিজস্ব রাজনৈতিক আদর্শ অবশ্যই থাকবে। কিন্তু গনতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতার প্রশ্নে ব্লগারদের কে একি প্লাটফর্মে অবস্থান নিতে হবে। মনে রাখতে হবে আমাদের পূর্ব পুরুষদের যে আত্ম বিসর্জন তার পেছনে গনতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতা ছিল অন্যতম দাবি।
আরও লেখা পাওয়ার প্রত্যাশায়, ধন্যবাদ।

০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:২৫

নেক্সাস বলেছেন: ধন্যবাদ সোজন বাদিয়া। পোষ্ট টির মর্মকথা বুঝে মন্তব্যের জন্য। মানুষ ভালর ব্যাপারে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলছে। এটা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আর সে দায়িত্বটা শিক্ষিত সমাজ কে নিতে হবে। ব্লগারেরা অনেকে সে পথে হাঁটছে। এটাই আশার কথা

১৯| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৪

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: মানুষ আসলে ভয় পায় অসুস্থ রাজনীতিকে । রাজনীতির নামে যে অসুস্থ দলাদলি , সহিংসতা চলছে দেশে এটাকেই মূলত সবাই এড়িয়ে চলতে চায় । আমাদের রাজনৈতিক নেতা নেত্রীদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট , বুদ্ধিবৃত্তির অবস্থান দেখলে কোন সুচিন্তিত সুস্থ মানুষ তাদেরকে রোল মডেল হিসেবে ভাবতে পারে না । এখন রাজনীতির অপর নাম ব্যবসা হয়ে গেছে - যার পেশীর জোড় আছে সেই এই বাবসায় জড়িয়ে পরে । সত্যিকারের রাজনৈতিক মনবৃতি থেকে , গণতান্ত্রিক চিন্তার উন্মেষ থেকে রাজনীতিতে এসেছে এমন রাজনীতিবিদ বিরল এখন । আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা আসলে বর্তমানকে নিয়ে ভাবে , তারা যে ইতিহাসের পাতায় কুখ্যাত হয়ে বেচে থাকবে এই বিষয়ে তাদের কোন মাথা ব্যথা নেই । আমার পরিচিত একজন আছে সে একজন শীর্ষ স্থানীয় মন্ত্রীর ছেলে , সে ব্যরিস্টার হয়ে দেশে যাবে রাজনীতি করতে । আমার ধারনা সে রাজনীতির র ও জানে না । তারপরও তাঁকে রাজনীতিই করতে হবে । এই হল দেশের অবস্থা , এর নাম গণতন্ত্র , গণতন্ত্র তো নয় ষড়যন্ত্র ।

আপনি ঠিকি বলেছেন , ব্লগাররা দেশের এই রাজনৈতিক , গণতান্ত্রিক উত্তরণে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে । তারা প্রেশার গ্রুপ হিসেবে কাজ করতে পারে । একটা দেশে গণতন্ত্রের পূর্ণ চর্চার জন্য শক্তিশালী প্রেশার গ্রুপের খুব বেশী প্রয়োজন । এই ব্লগেই আমি অনেককে দেখেছি অনেক প্রগতিশীল এবং সুস্থ চিন্তা করার ক্ষমতা রাখে , আবার অনেকেই আছে একেবারে বুলশিট বকতে থাকে । সরি ফর দা ভালগার ওয়ার্ড - এ ছাড়া আর কিছু পেলাম না । কিন্তু এদের মধ্যেও অনেকে আছে যারা দলাদলি মনবৃতি নিয়ে কাজ করে , নিজেদের ভিতরকার গণতান্ত্রিক চিন্তার প্রসারের জন্য করে না । এগুলো খুবই দুঃখ জনক ।

অনেক ভালো লাগলো আপনার এই রাজনৈতিক বিষয়ে সচেতনতা মূলক পোস্ট। আমি একমত আপনার সাথে এবং আরও বলতে চাই সুস্থ রাজনীতির চর্চা বারুক , মানুষ তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হোক ।

০৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩৪

নেক্সাস বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার। আপনার একমত হওয়া আমাকে আশান্বিত করছে। আপনি যেখানে থাকেন দেখুন তো সেখানের রাজনীতি। ওটাই আসল রাজনীতি। আমি চাই আমাদের দেশে সে রাজীতি ফিরে আসুক। আমদের দেশের মেয়েরা, ছেলেরা আগামী দিনের বঙ্গবন্ধু হোক, নিজের ডেশে রৌশনারা আলি হোক।
ব্লগারেরা একটা ইন্টেলেকচুয়াল ক্যাপিটাল হয়ে উঠছে যাকে বলে প্রেসার গ্রুপ।

২০| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৪

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: যারা বলে আই হেইট পলিটিক্স তারা কেউ উপলব্ধি করতে না পেরে কেউবা
সুবিধা নেয়ার আশায় বলে থাকেন। কোন কিছুই রাজনীতির বাইরে নয়। ভাল লাগ ল পোস্ট । সহমত জানিয়ে গেলাম ।
ভাল থাকুন নেক্সাস ভাই ।

০৫ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১১

নেক্সাস বলেছেন: হম আপনার সাথে একমত। তবে দেশের কল্যানে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে

২১| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪১

তার আর পর নেই… বলেছেন: আমি রাজনীতি পছন্দ করি না, এটা লিখতে গিয়ে ভেবেছিলাম যে রাজনীতি নিয়ে আমার পড়াশোনা সেটাও লিখবো। কিন্তু পরে অবশ্য ইচ্ছাকৃতভাবে এড়িয়ে গেছি।

বাংলাদেশের রাজনীতি দেখতে দেখতে একটা ঘৃণা ধরে গেছে, এমনকি এখন বাংলাদেশের ইতিহাস বিষয়ক কিছুতে আগ্রহ পাই না।

আপনি হয়তো বলবেন এটা আমার ভুল। হ্যাঁ, আমিও মেনে নিচ্ছি। কিন্তু যেটাতে আগ্রহ নাই সেটাতে জোর করেও আগ্রহ পাই না।

০৫ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:০৮

নেক্সাস বলেছেন: এটা আগ্রহের বিষয় না। এটা উপলব্দির বিষয়,। এখানে আবারো বলছি, পোষ্ট ভাল করে পড়লে আপনি বুঝবেন আমি কোথাও বাংলাদেশের সামকালীন রাজনীতিতে মননিবেশ করতে বলিনি। আমি বলেছি সত্যকারের রাজনীতি চর্চার মাধ্যমে সমকালীন রাজনৈতিক ধারা কে পরিবর্তন করার কথা। এর সে কাজে তরুনদের এগিয়ে আসতে হবে। আর আপনার মত যারা রাজনীতি বিজ্ঞানের ছাত্র তাদের এটা কর্তব্য মানুষহ কে সঠিক রাজনৈতিক জ্ঞানের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া, রাজনীতি কে ঘৃণা করা নয়

২২| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন

০৫ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:১৩

নেক্সাস বলেছেন: ধন্যবাদ

২৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০৩

মুদ্‌দাকির বলেছেন: ভাগ্যের ব্যাপার হবে বা মিরাকেল হবে যদি ব্লগ নামক ঔষধে রাজনীতি সুস্থ্য হয়। বরং ব্লগেও রাজনীতির অসুখ একি ভাবে ছড়ানো। আমারতো মনে হয় ব্লগের মস্তিষ্ক ধমনী রাজনৈতিক ছুড়ির নিচে!!

০৫ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:১৭

নেক্সাস বলেছেন: ব্লগে রাজনীতির ঔষধ একিভাবে ছড়ানো এটা মানতে পারলাম না। ব্লগে কি রাজনীতির নামে কোন হল দখল, চর দখল, ভুমি দখল , টেন্ডারবাজী হচ্ছে। না হচ্চেনা। ব্লগে ব্লগারেরা যার যার রাজনৈতিক আদর্শের পক্ষে কলম ধরছে এবং বিপক্ষের কোন পোষ্টে প্রতিবাদ করছে। এটা রাজনীতির নিয়ম সিদ্ধ ব্যাপার। যুক্তি_ তর্ক- পাল্টা যুক্তি এটাই রাজনীতি। হ্যাঁ এটা সত্য মাঝে মাঝে অশ্লীল বাক্য চয়ণ হচ্চে। এটা কিন্তু কমে আসছে। একটু আধটু হাতাহাতি ব্রিটিশ পার্লামেন্টেও হয়।

রাজনীতি হোক যুক্তি তর্কের বিষয়। জোরের বিষয় না।

২৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৪৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: নেক্সাস ,




একটি সুন্দর ও চিন্তাময় বিষয়ের অবতারনা করেছেন যেখানে বলার আছে অনেক , ভাবার আছে ব্যাপক , বোঝার আছে অনন্ত ।
তবে সবার আগে বুঝে নিতে চাই, কোন রাজনীতির কথা বলি আমরা ! বাংলাদেশের রাজনীতি ? এ প্রসঙ্গে সহ-ব্লগার গুলশান কিবরীয়া কিছুটা আলোকপাত করেছেন ।
সহ-ব্লগার হাসান মাহবুব বলেছেন-.......... শত শত ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার যা করতে পারে না, একজন দূরদর্শী, প্রজ্ঞাবান এবং সৎ নেতা তা করতে পারেন। পুরো দেশটির খোলনলচে বদলে দিতে পারেন।
সহ-ব্লগার অপর্ণা মম্ময় এই যে প্রশ্নটি রেখেছেন- শিক্ষিত ব্লগাররাই কি ব্লগিং করছেন আসলে? । শিরোনামে ব্লগ ও ব্লগার শব্দ দুটি থাকাতে এই প্রশ্নটিরও সুরাহা হওয়া উচিত ।
আপনি নিজেও বলেছেন - এখানে রাজনীতির নামে চলেছে সিংহাসন কেন্দ্রিক মল্লযুদ্ধ। এই মল্লযুদ্ধে বিভক্ত হয়েছে জাতি। ভুলুন্ঠিত হয়েছে জাতীয় স্বার্থ, ও নাগরিক নিরাপত্তা।

তাহলে কোন রাজনীতিটি আমাদের নতুন প্রজন্ম ধারন করবেন ? তাই সবার আগে রাজনীতি কি, কেন,কেমন এর একটি সার্বজনীন ব্যাখ্যা প্রয়োজন হয়ে পড়বে ।
আশা করি, ঋদ্ধ ব্লগারবৃন্দ এদিকটাতে তাদের আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাবেন ।

০৫ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:২৪

নেক্সাস বলেছেন: উপরোক্ত তিনজন ব্লগার কে উত্তর দেওয়া হয়েছে আহমেদ ভাই। সেখানে এই পোষ্টের মুলকথা বিধৃত হয়েছে।

তাহলে কোন রাজনীতিটি আমাদের নতুন প্রজন্ম ধারন করবেন ?

হুম স্পষ্ট বলা আছে রাজনীতি কে খোলনলচে বদলে ফেলে সত্যকারের যে রাজনীতি সেটাকে ধারণের কথা।

আর রাজনীতি কিন্তু আপেক্ষিক কোন তত্ত্ব না। এটা প্রামণ্য কিছু সংগা বা গ্রহনযোগ্যতা তৈরি করা আছে। এই বিষয়ে রাজনীতি বিজ্ঞানে স্পষ্ট বলা হয়েছে। উপরন্ত আমরা সবাই কিন্তু রাজনীতি কি এবং কেন সেটা জানি। জেনেও রাজনীতির বাংলাদেশ সংস্করণে যে অপব্যাখ্যা সেটা কে মস্তিষ্কে সেট করে রাজনীতি কে ঘৃণা করি। এটা এক ধরণের ট্যাবু তে পরিণত হয়ে যাচ্ছে।


আমি পোষ্টে বলতে চেয়েছি আশার বাণী। যে আমাদের ব্লগার কমিউনিটির অনেকে এখন ইতিবাচক রাজনীতির কথা বলচে এবং নিজেরা চর্চা করছে।

২৫| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৪৬

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: যারা নিজেদের পলিটিক্যাল ভিউ- আই হেইট পলিটিক্স, লিখে রেখেছেন তাদেরও আমি দোষ দেই না। তারা এই কুৎসিত রাজনীতি দেখেই কিন্তু রাজনীতিকে ঘৃণা করছে। দেশের প্রধান বড় দুইটি দলের দিকে তাকিয়ে দেখুন, কি দেখবেন! এদের কর্মকাণ্ডকে কি অন্তত রাজনীতি বলা যায়? আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে, গণতন্ত্রের কথা বলে কিন্তু বাস্তবে কি তারা তা বিশ্বাস করে? আওয়ামী লীগের পরিচালিত সরকারের প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হচ্ছেন এরশাদ। আবার বিএনপি যারা বাংলাদেশী জাতিয়তাবাদের কথা বলেন। তাদের জোট বাঁধতে হয় স্বাধীনতা বিরুধি জামায়াত এর সাথে। এদের দুই দলের নীতি কি? তারা কি রাজনীতি করছে নাকি ক্ষমতার ব্যবসা?

এই কুলশিত রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হলে কাউকে না কাউকে সামনে আসতে হবে। আই হেইট রাজনীতি বলে বসে থাকলে অবশ্য কখনোই এর প্রতিকার হবে না। তাই আমাদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে।

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪০

নেক্সাস বলেছেন:

ঠিক এই সত্যটাই বলতে চেয়েছি। আওয়ামিলীগ ইতিহাসের একটি গৌরবান্বিত সংগঠন। যে দলটি মূলত মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য গড়ে উঠেছে। আর যে যেভাবে ব্যাখ্যা করুক বিএনপি দলটিও এদেশের এক যুগসন্ধিক্ষণে গড়ে উঠা জনপ্রিয় সংগঠন। একজন বীর মুক্তিযো্ধা জি্য়াউর রহমানের দেশ প্রেমের কোন গাড়তি ছিলনা।

কিন্তু ক্ষমতার রাজনীতি করতে গিয়ে আওয়ামিলীগ নামক দলটি নির্লজ্জভাবে কেড়ে নিয়েছে মানুষের ভোটের অধিকার। কেড়ে নিয়েছে বিচার বিভাগের স্বাধিনতা। আর বিএনপি নামক দলটি সখ্য গড়ে তুলেছে উগ্র সাম্প্রদায়ীক স্বাধীনতাবিরোধী জামাতের সাথে।

এই কুলষিত রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হলে কাউকে না কাউকে সামনে আসতে হবে। আই হেইট রাজনীতি বলে বসে থাকলে অবশ্য কখনোই এর প্রতিকার হবে না। তাই আমাদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে।

ঠিক এই সত্যটাই বলতে চেয়েছি।

ধন্যবাদ। অসুস্থতার কারণে লাট রিপ্লাইয়ের জন্য দুঃখিত।

২৬| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ২:৩২

নাজমুস সাকিব রহমান বলেছেন: চমৎকার একটি পোস্ট। অনেক অনেক ধন্যবাদ লেখাটি শেয়ার করার জন্য।

ব্যক্তিগতভাবে আমি রাজনীতি পছন্দ করি। পক্ষে কিংবা বিপক্ষে থাকা মানুষগুলোকে আমি সম্মান করি। আর নিরপক্ষ শ্রেণিকে ভীষণ অপছন্দ করি। আমাদের রাজনীতির প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি না হবার কারণ আছে। আমি যতোটুকু দেখেছি, আমাদের দেশটা গড়ে ওঠার সময়ে যারা রাজনীতি করতেন, তাঁরা প্রায়ই শিক্ষিত মানুষ ছিলেন। এখন যারা করেন, তারা লেখাপড়া থেকে অনেক খানি দূরে থাকেন। এটাও একটা কারণ বলে আমার মনে হয়। আর পেশি শক্তির ব্যাপারটা তো আছেই!

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৭

নেক্সাস বলেছেন: এটা কিন্তু সমাধান না।
এখন বাংলাদেশে কোন রাজনীতি নাই। আছে সিংহহাসন কেন্দ্রীক লড়াই। কিন্তু এটা একটা জতিকে নিঃশেষ করে দিচ্ছে। এখন মাথা ব্যাথার জন্য আমরা যদি মাথা কেটে ফেলি তাহলে কি সঠিক হল। আমাদের কে রাজনীতিকে ফিরিয়ে আনতে হবে। আর সে দায়িত্ব চিন্তাশীল শিক্ষিত মানুষদের হাতে বেশী বর্তায়

২৭| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৩৯

আরজু নাসরিন পনি বলেছেন:
বাহ
সবাই মন খুলে কথা বলছে এখানে...

ব্লগারদের নিজস্ব রাজনৈতিক আদর্শ অবশ্যই থাকবে। কিন্তু গনতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতার প্রশ্নে ব্লগারদের কে একি প্লাটফর্মে অবস্থান নিতে হবে।...
এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ...ব্লগে দেখা তেতো অভিজ্ঞতা শেয়ার নাই করলাম।

অনেক ধন্যবাদ এমন অসাধারণ ভাবনা শেয়ার করার জন্যে।

০৯ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২৯

নেক্সাস বলেছেন: ধন্যবাদ পনিপা। সুষ্ঠ রাজনৈতিক চেতনায় দেশের প্রতিটি মানুষ কে সচেতন হওয়া উচিৎ। জবাবদিহিতামূলক রাষ্ট্রের জন্য আই হেট পলিটিক্স কোন কাজে আসবেনা। বরং দেশের সকল মানুষ যখন তার রাজনৈতিক উৎকর্ষতার মধ্য দিয়ে নিজের অধিকার, সংবিধান, দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হবে তবে কাংখিত রাষ্ট্র কাঠামো গড়ে উঠবে স্বাভাবিকভাবেই

২৮| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪৪

খোলা মনের কথা বলেছেন: দুষ্টু লোকের কথা, কাজ সব কিছু দুষ্টু হয়ে যায়। বাংলাদেশের প্রক্ষাপট ঠিক এমন হয়ে গেছে। রাজনীতি খারাপ না বরং জাতির জন্য কল্যাণই। কিন্তু সেগুলো অপব্যবহারে আজ সবার কাছে ঘৃনিত হতে বসেছে।

বর্তমানে অসুস্থ রাজনীতিকে সুস্থ করতে আমাদের সকলের এগিয়ে যাওয়া উচিৎ। তা না হলে আগামী রাজনীতি কোথায় গিয়ে দাড়াবে সেটা ঠাওর করা মুসকিল। এখনি সংস্কর করা জরুরী।

১২ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৫৫

নেক্সাস বলেছেন: বর্তমানে অসুস্থ রাজনীতিকে সুস্থ করতে আমাদের সকলের এগিয়ে যাওয়া উচিৎ। তা না হলে আগামী রাজনীতি কোথায় গিয়ে দাড়াবে সেটা ঠাওর করা মুসকিল। এখনি সংস্কর করা জরুরী।

ঠিক এটাই বলতে চেয়েছি

২৯| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১৯

এম সিয়াম বলেছেন: তরুন সমাজকে রাজনীতি বিমুখ হলে চলবে না।বরং তরুন সমাজের উচিত সঠিক গনতন্ত্রের চর্চা করা। তবে বর্তমান পেক্ষাপট একটু ব্যতিক্রম হয়ে হয়ে গেছে তাই তরুন সমাজ রাজনীতি অনাগ্রহ প্রকাশ করছে।

১২ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১৬

নেক্সাস বলেছেন: তরুন সমাজকে রাজনীতি বিমুখ হলে চলবে না।বরং তরুন সমাজের উচিত সঠিক গনতন্ত্রের চর্চা করা। একটা প্রজা বান্ধব রাষ্ট্রের জন্য রাজনীতির কোন বিকল্প নাই।


ধন্যবাদ আপনাকে

৩০| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২৫

জানা বলেছেন:
গুরুত্বপূর্ণ ভাবনাময় একটি লেখার জন্যে লেখককে এবং লেখাটিকে গুরুত্বের সাথে আলোচনায় রাখার জন্যে অংশগ্রহণকারী ব্লগারদের ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানচ্ছি।

একটি স্বাধীন এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে গোটা জনগোষ্টির রাজনৈতিক বিষয়ে সচেতনতা তৈরীতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে গণমাধ্যম। অর্থাৎ গণমাধ্যম জনমত তৈরীর বড় জায়গা। কিন্তু একদিকে সেই গণমাধ্যমগুলোর নিরপেক্ষতা এবং আরেক দিকে গণমাধ্যমগুলোর স্বাধীনতার প্রশ্ন সবসময়ই প্রশ্নবিদ্ধ। এ,ছাড়া গণমাধ্যমগুলো জনগোষ্ঠির পারষ্পরিক বা দ্বিপাক্ষিক মত প্রকাশ, মুক্ত আলোচনা-সমালোচনা বা বিষয়ভিত্তিক গঠনমূলক বিতর্ক তৈরীতে সক্ষম নয়।

ব্লগ এবং ব্লগার গণমাধ্যমের সেইসব সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করার সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে বাকস্বাধীনতার সত্যিকারের চর্চা তথা গণতন্ত্র চর্চার এক অনন্য সামর্থতা অর্জন করেছে। বিশ্বজুড়ে ব্লগ এবং ব্লগারের অবদান আজ অনস্বীকার্য এবং ব্লগার শব্দটি বিশেষ মর্যাদার জায়গায় অধিষ্ঠিত হয়েছে।

আলোচনা ভাল লাগছে। চলুক।

১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৯

নেক্সাস বলেছেন: জানাপা আপনার মন্তব্য আমাকে আনন্দিত ও অনুপ্রাণিত করেছে। গণমাধ্যমগুলো জনগোষ্ঠির পারষ্পরিক বা দ্বিপাক্ষিক মত প্রকাশ, মুক্ত আলোচনা-সমালোচনা বা বিষয়ভিত্তিক গঠনমূলক বিতর্ক তৈরীতে সক্ষম নয়।
চমস্কির প্রপাগান্ডা মডেলের থেকে আমাদের প্রচলিত মিডিয়া বাইরে নয়। তাই ব্লগারেরা এখন নাগরিক সাংবাদিক। সেদিন বেশী দুরে নয় যেদিন সাধারণ মানুষ ব্লগারদের কে নিজেদের প্রতিনিধি ভাববে

৩১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২৯

উল্টা দূরবীন বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

১৩ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩৫

নেক্সাস বলেছেন: ধন্যবাদ

৩২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৮

লুতপাইন বলেছেন: অন্নেক কঠিন লিখাঃ(

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫৪

নেক্সাস বলেছেন: ধন্যবাদ

৩৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:২৩

এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: প্রকৃত রাজনীতির চর্চা মানুষকে কী দেয় এবং রাজনীতিকে নতুন প্রজন্ম কেন ঘৃনা করে? উত্তর খুজতে গত ৩১-০১-২০১৬ ইং তারিখে প্রকাশিত একটি পত্রিকার নিউটা পড়ুন।লিংক--www.shokolerkotha.com একজন ইউপি চেয়ারম্যানের খুব সংক্ষিপ্ত ত্যাগের ইতিহাস জানুন। আমি দেখেছি এবং মনে মনে অসংখ্যবার ধন্যবাদ দিয়েছি এই মহৎ ত্যাগি মানুষটিকে!! কিন্ত এই ধন্যবাদটাই কী তাঁর শেষ পাওনা????????????????

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪৯

নেক্সাস বলেছেন: তালুকদার ভাই পাওনার হিসাব আনলিমিটেড। কোন বৈষয়িক পাওয়া বিশাল অর্থে পাওয়া নয়। এই যে আপনি তাকে এখানে তুলে আনলেন সেটা তার প্রকৃত পাওয়া। মানুষ বাঁচে তার কর্মে।


রাজনীতি কে ঘৃনা নয়। আসুন ঘৃণা করি রাজনীতির নামে অপ সংস্কৃতি কে

৩৪| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:০৮

সায়েম মুন বলেছেন: নিজেদের কাজের গুনে সকল অপবাদ কে ছাপিয়ে ব্লগারেরা হয়ে উঠবে সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি ও মুক্তির দূত।--সহমত। ভাল লাগলো লেখাটা।

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৮

নেক্সাস বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় সায়েম ভাই। সব পেশাজীবিরা যখন ব্যার্থ সেখানে অপেশাজীবি ব্লগাররা দেশ ও জাতির কল্যানে অবদান রাখবে। এই যে আমার আপনার ১/২ কলম লিখালিখি দেশ কে নিয়ে, দেখবেন এগুলোর সূত্র ধরে একদিন রেঁনোসা হবে। নতুন ভাবে পথ চলবে আমাদের বাংলাদেশ।

৩৫| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অসাধারণ একটা পোস্ট। সময়োপযোগী। ব্লগারদের কমেন্টও পোস্টটিকে আরো সমৃদ্ধ করেছে। এমন একটি পোস্ট স্টিকি না করলে অন্যায় হবে, তাই ব্লগ কর্তৃপক্ষকে পোস্টটি স্টিকি করার অনুরোধ করছি।


বাংলাদেশের রাজনীতির কালচার এখন এমন যে, যে রাজনীতি করে সে আমাদের দৃষ্টিতে ভালো ছাত্র নয়; সৎ মানুষ হিসাবেও তাকে মেনে নিতে আমাদের দ্বিধা হয়। যে ছেলেটি ক্লাসে সবার পেছনে বসে, মারামারি, কাটাকাটি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত, উপরের ক্লাসে ওঠার পর হঠাৎ তাকে রাজনীতির মঞ্চে আসীন হতে দেখা যায়। একদিন তারাই আমাদের পরিচালনা করে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত পীড়াদায়ক একটা ব্যাপার।

ব্লগ বা ফেইসবুক পজিটিভ রাজনীতির জন্য অনেক বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। আমার অ্যাসেসমেন্ট অনুযায়ী দেশে ব্লগিং করেন এমন মানুষের সংখ্যা ০.৫%-এর নীচে। তবে ফেইসবুকিং করেন এমন মানুষের সংখ্যা অনেক হবে। এজন্য রাজনীতির বিষয়টা ফেইসবুক থেকেই আগে শুরু করতে হবে; ফেইসবুক খুব দ্রুত গণমানুষের কাছে বার্তা পৌঁছে দিতে পারে। পাশাপাশি ব্লগেও পজিটিভ রাজনীতির উপর জোরেসোরে ক্যাম্পেইন করতে হবে।

সুন্দর এ পোস্টের জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছি।

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:০৬

নেক্সাস বলেছেন: বাংলাদেশের রাজনীতির কালচার এখন এমন যে, যে রাজনীতি করে সে আমাদের দৃষ্টিতে ভালো ছাত্র নয়; সৎ মানুষ হিসাবেও তাকে মেনে নিতে আমাদের দ্বিধা হয়। যে ছেলেটি ক্লাসে সবার পেছনে বসে, মারামারি, কাটাকাটি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত, উপরের ক্লাসে ওঠার পর হঠাৎ তাকে রাজনীতির মঞ্চে আসীন হতে দেখা যায়। একদিন তারাই আমাদের পরিচালনা করে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত পীড়াদায়ক একটা ব্যাপার


চমৎকার বলেছেন খলিল ভাই,

আসলে ব্লগার আর ফেইসবুকিং মধ্যে পার্থক্য আছে। ফেইসবুক যেখানে গতানুগতিক ও সহজলভ্য ব্লগ সেখানে অনেক বেশী অথেনটিক এবং সৃজনশীল। বলতে দ্বিধা নেই যে ব্লগার সবাই হতে পারেনা। ব্লগার হতে হলে দেশ, জাতি, ইতিহাস, ধর্ম, বিজ্ঞান, রাজনীতি নিয়ে অল্প-বিস্তর জ্ঞান থাকা জরুরী। আমি বলছিলাম একটা দল রাজনৈতিক প্রজ্ঞা সম্পন্ন ইন্টেলেকচুয়াল ক্যাপিটাল গ্রুপের কথা। যারা অবশ্যই রাজনীতি করবে, একটি দল সমর্থন করবে কিন্তু অন্ধের হাতি দেখার মত কিছু দেখবেনা। জাতীয় বা সংকট কে তারা যথার্ত ভাবে রিএক্ট করবে। দেশের জন্য যা কল্যনকর তাকে নিয়ে কথা বলবে। দলীয় বা রাজনীতির মধ্যে থেকেও পজেটিভ রাজনীতি চর্চা করা যায়। যে রাজনীতির উদ্দেশ্য পাওয়া নয় দেওয়া।

ধন্যবাদ

৩৬| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৩২

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: খুব গুরুত্বপূর্ন একটা প্রশ্ন উত্থাপন করে তার সাবলীল উত্তর দিয়েছেন।

তবে যতটুকু অর্জন সেটা প্রয়োজনের তুলনায় খুব নগন্য। বাংলাদেশের ক্ষমতার বলয়ে আবর্তিত পুরা রাজনৈতিক ও সামাজিক সিষ্টেম কে খোলনলচে পাল্টে একটা নতুন দিনের সূচনা করতে হলে ব্লগ ও ব্লগারদের কে আরো দীর্ঘ পথ হাঁটতে হবে।

এই আলোচনা চালিয়ে যাওয়া দরকার। প্রথমে ভেবেছিলাম একটা কমেন্টই দিব খালি! কিন্তু একখানা পোস্টই তৈরি করে ফেললাম!

মধ্যবিত্তের রাষ্ট্র ভাবনা


কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে সাধারন মধ্যবিত্ত (অর্থবিত্ত, সামর্থ্য এবং মানসিকতায়/আর্বান, সাব আর্বান কিংবা রুরাল/সংখ্যায় শহুরে সাধারন মধ্যবিত্ত অগ্রগণ্য) শ্রেনীর অংশগ্রহণ কেমন হওয়া দরকার সেটা ডিফাইন করা জরুরী। সাধারন মধ্যবিত্ত রাষ্ট্র চিন্তা না করলে কোন রাষ্ট্র কল্যাণের দিকে আগায় না। পেশাজীবী, কৃষিজীবী, শ্রমজীবী এবং সাধারণ মধ্যবিত্তকেই রাষ্ট্র পরিবর্তনের সক্রিয় অংশীদার হিসেবে আবির্ভুত হতে হবে। এই সাধারণ সমাজটিই রাষ্ট্রকে এথিক্যাল এবং স্ট্রাকচারাল দিক থেকে ধারণ করে। জ্ঞান এবং দূরদৃষ্টি সম্পন্ন লক্ষের বেলায়ও এরাই রাষ্ট্রের স্ট্রাটেজিক আচরণকে ওউন করে। সহজ কথা একটি রাষ্ট্রে নৈতিকতার চর্চা এবং ইন্সটিটুশনাল শাসনের উপস্থিতির গভীরতা কতটা তা তাঁর মধ্যবিত্তের মানসিকতা এবং আচরণে প্রতিফলিত। এই প্রেক্ষাপটে বলা যায়, বর্তমান বাংলাদেশের দুরবিত্তায়িত,লূটেরা, চাঁদাবাজি নির্ভর রাজনীতি এবং দুর্নিতি ঘুষ তদবির ভিত্তিক প্রশাসন আমাদের মধ্যবিত্তেরই মানসিক এবং চর্চার দর্পণ।

দুর্বিনীত দলীয় ক্ষমতার একচ্ছত্র প্রভাবে রাষ্ট্রের প্রাতিষ্ঠান গুলোতে ঘুষ, অনিয়ম আর দুর্নীতিকে নিয়ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার যে কলঙ্কের দায় রাজনৈতিক দলগুলোর সেটা মেনে নিয়ে ভুল স্বীকার করেনি কখনই। সেখান থেকে বেরিয়ে কিভাবে মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে নিবেদিত একটি সরকার এবং কল্যাণ মুখী রাষ্ট্র কাঠামো বানানো যায় সেসব নিয়ে ভাববেনি কখনই।

এখানে পরিষ্কার যে, ​আওয়ামীলীগ​,​বিএনপি​, বাম, ডান কেউই বিদেশী প্রভু, নিজ নিজ দলের লুটপাটপারী আমলা-ব্যবসায়ী-রাজনীতিক​-উচ্চ বিত্ত সমর্থক এই চতুষ্পদ কে বিরাগভাজন করে কল্যাণময়ী এবং দুর্নীতি প্রতিরোধী রাষ্ট্র গঠনে এগিয়ে আসবে না। এটাই বটম লাইন।​​

এটাও পরিষ্কার যে, বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত দুর্নীতি এবং অব্যবস্থাপনা কাটিয়ে উঠে রাষ্ট্র এর কল্যাণ যাত্রার অংশগ্রহণে চরম নির্লিপ্ত। এর উত্তরণ জরুরী। আমরা বুঝি বা না বুঝি মধ্যবিত্তের নাগরিক আন্দোলন​ শুরুর কারণ "ওয়েল ডিফাইন্ড"​, কিন্তু সেটা শুরুর একটা মহেন্দ্রখন এর অপেক্ষায় সবাই।

১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১৩

নেক্সাস বলেছেন: চমৎকার করে বলেছেন। আপনার এই বলার পর আমার আর নতুন করে বলার দরকার হয়না।

এটাও পরিষ্কার যে, বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত দুর্নীতি এবং অব্যবস্থাপনা কাটিয়ে উঠে রাষ্ট্র এর কল্যাণ যাত্রার অংশগ্রহণে চরম নির্লিপ্ত। এর উত্তরণ জরুরী। আমরা বুঝি বা না বুঝি মধ্যবিত্তের নাগরিক আন্দোলন​ শুরুর কারণ "ওয়েল ডিফাইন্ড"​, কিন্তু সেটা শুরুর একটা মহেন্দ্রখন এর অপেক্ষায় সবাই।

আমাদের মধ্যবিত্ত পুরোটা বৈষয়িক হয়ে জেনেও অগ্রাহ্য বা না জানার ভান করে যে রাষ্ট্র চিন্তাও বৈষয়িক চিন্তার বাইরে নয়। জনসমষ্টি হচ্ছে রাষ্ট্রের মূল চালক আর সঠিক রাজনীতি হচ্ছে সেখানে ফুয়েল। একটি ছাড়া আরেকটি মূল্যহীন তেমনি রাষ্ট্রও অর্থহীন হয়ে পড়ে। আপনি বাঁচলে বাপের নাম এই থিউরি থেকে আমাদের মধ্যবিত্ত সমাজ কে বের করে আনতে হবে। অন্যথায় আমাদের পতনের লাশ আমরাই ভাসিয়ে দেব সর্বনাশের সমুদ্রে।

৩৭| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৪৫

আমিই মিসির আলী বলেছেন: রাজনীতি আমাদের রক্তে মিশে আছে। রাজনীতির বাইরে যাওয়া কোনভাবে সম্ভব না।
ফেসবুকে এটা দেয়া না দেয়ায় কিছু আসে যায় না।

১৬ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:০০

নেক্সাস বলেছেন: আমাদের রক্তে মিশে গেছে অপরাজনীতি। সঠিক রাজনীতি যেদিন আমাদের প্রতিটি নাগরিকের রক্তে প্রবেশ করবে। যেদিন আমাদের ভোটার রা বুজবে যে ভোট তার অমুল্য সম্পদ। এই অমূল্য সম্পদ যাকে তাকে অর্পন করা যায়না। সেদিন আমরা বদলে যাব।

৩৮| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৪৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



রাজনীতিতে থেকেই আমাদের সুস্থ ধারার রাজনীতি ফিরিয়ে আনতে হবে। রাজনীতি উপেক্ষা করে দেশ এগিয়ে নেয়া সম্ভব না। তবে ব্লগারদের সম্পর্কে মানুষের যে অস্পষ্ট ধারণা সেটাকে সবার আগে বদলে দেয়ার জন্য আমাদেরকেই সচেতন হতে হবে। নতুবা সামগ্রিক ভাবে সুফলতা আসবেনা। আজকে ব্লগের যে ম্রিয়মান দশা সেটা থেকে আবারও উত্তরণের পথে সচেষ্ট আমাদেরকেই হতে হবে।

১৬ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৩০

নেক্সাস বলেছেন: ধন্যবাদ পোষ্টের মর্মকথা বুঝার জন্য। অনেকে রাজনীতি আর বাংলাদেশের রাজনীতির নামে দখলবাজী ও পেশী শক্তি চর্চা কে গুলিয়ে ফেলেন। বাংলাদেশ বলি আর উগান্ডা বলি আর আমেরিকা বলি, সব দেশের সুস্থ সরকার ব্যাবস্থার জন্য নাগরিকদের রাজনীতি সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠা জরুরী। এই রাজনীতি মানে শুধু যে কোন দল কে সাপোর্ট করা এবং ভোট এলে নিজের দলের লোক কে ভোট দেওয়া তা নয়। রাজনীতি হচ্ছে সামগ্রিক রাষ্ট্রনীতি। নাগরিকরাই ঠিক করবে একটা দেশের গতি প্রকৃতি ও সংবিধান। আর তার জন্য নাগরিকদের মধ্যে রাজনৈতিক জ্ঞান থাকতে হবে। আজকের তরুন সমাজ সে দিকে একেবারে যে হাঁটছে না তা নয়। গতানুগতিক ড়াজনৈতিক ধারণা অনেকের বদলেছে। এই বদলে যাওয়া টা আরো তরান্বিত করতে হবে।

৩৯| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:১৩

কুয়াশা অথবা আমি বলেছেন: আপাতত পড়ে গেলাম মন্তব্যসমূহ। আমি কিছু বলতে পারছি না। গ্যালারিতে বসলাম। ধন্যবাদ

১৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১০

নেক্সাস বলেছেন: ধন্যবাদ

৪০| ০৬ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২৭

অভিমান ইগো এবং ভালোবাসা বলেছেন: টোটাল জনগোষ্টিকে রাজনীতি সচেতন এবং আপন রাষ্ট্র ও জাতিস্বত্তা সম্পর্কে সচেতন অধুনিক মননশীল নাগরিক করে তোলাই হবে ব্লগারদের চুড়ান্ত লক্ষ্য। ব্লগারদের নিজস্ব রাজনৈতিক আদর্শ অবশ্যই থাকবে। কিন্তু গনতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতা এবং বৈষম্যহীন অসাম্প্রদায়ীক বাংলাদেশ গঠনের প্রশ্নে ব্লগারদের কে একি প্লাটফর্মে অবস্থান নিতে হবে। মনে রাখতে হবে আমাদের পূর্ব পুরুষদের যে আত্ম বিসর্জন তার পেছনে গনতন্ত্র , বাক স্বাধীনতা ও অসাম্প্রদায়ীকতা ছিল অন্যতম দাবি। বাংলাদেশে ইন্টারনেট এখনও সকল মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছেনি। যতটুকু ইন্টেরনেট মানুষ পেয়েছে তাতে ব্লগারদের যে অর্জন তাতে চোখ বুঝে আশা করা যায় যে ইন্টারনেটর সুলভতা বাড়ার সাথে বাড়বে ব্লগারদের অর্জন। নিজেদের কাজের গুনে সকল অপবাদ কে ছাপিয়ে ব্লগারেরা হয়ে উঠবে সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি ও মুক্তির দূত। কল্যানমুখী ব্লগারদের হাত ধরেই একদিন ইতিবাচক রূপে বদলে যাবে আমাদের সমাজ, রাষ্ট্র ও রাজনীতি।

খুব ভালো বলেছেন। এভাবেই প্রগতীর পথে আলোর দিশারীরা মশাল জ্বালিয়ে যায়।

১৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১১

নেক্সাস বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে পোষ্টের কনটেন্ট তথা দেশ ও জাতির জন্য অত্যাবশ্যকীয় বিষয়ের সাথে একমত পোষন করার জন্য

৪১| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০৩

জুন বলেছেন: আপনার এই লেখাটি আজ দৈনিক ইত্তেফাকে দেখলাম নেক্সাস। অভিনন্দন রইলো

১৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১২

নেক্সাস বলেছেন: ধন্যবাদ জুনাপা। আপনার কাছেই প্রথম জানলাম

৪২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫৬

জানা বলেছেন: Click This Link

অভিনন্দন নেক্সাস। :)

১৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১৪

নেক্সাস বলেছেন: ধন্যবাদ ম্যাডাম সেই সাথে কৃতজ্ঞতা

৪৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:১৫

সাগর মাঝি বলেছেন: ধন্যবাদ এরকম একটা পোষ্টের জন্য।


আশাকরি আমাদের ব্লগার ভাইদের আপনার পোষ্টটা যেন তরুন সমাজের কাছে পৌছায়।
রাজনীতি কোন খারাপ বস্তু নহে, কিছু খারাপ রাজনীতিবিদের কারণে আজকে আমাদের তরুন সমাজের এ অবস্থা হয়েছে।
ইনশাল্লাহ তরুন সমাজ সব বাধা পেরিয়ে একদিন রাজনীতিতে ফিরে আসবে।

১৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৩০

নেক্সাস বলেছেন: ধন্যবাদ সাগর মাঝি।
রাজনীতি কোনকালেই খারাপ নয়। তবে আমাদের দেশে এসে এক শ্রেনীর সুবিধাবাদী মানুষ রাজনীতির ভিন্ন সংগা দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। এই সুবিধাবাদী শ্রেনী নিজেদের সুবিধার জন্য ধর্মেও সংগা বদলে দিয়েছে। হাল আমলে আধুনিক বিশ্ব যে ব্লগারদের সমীহ করছে সে ব্লগারাও বাংলাদেশে এসে সুবিধাবাদীদের দাপটে তাদের পরিচয় হারিয়ে ফেলছে। বাংলাদেশে ব্লগার বলতে নেগটিভ সেন্স তৈরি করা হয়েছে।

কিন্তু কেন?
কারণ ব্লগারাই একমাত্র মুক্ত শক্তি যারা রাজনীতির নামে, ধর্মের নামে যাবতীয় ভন্ডামীর মুখোস খুলে দিতে স্বক্ষম। সুবিধাবাদী এলিট শ্রেনী রেনোঁসা কে ভয় পা্য। তাই তারা রেনোঁসা গঠাতে সক্ষম ব্লগারদের কে বিতর্কিত করার প্রয়াসে লিপ্ত।
কিন্তু সেটা সম্ভব নয়। দিন যত যাচ্ছে ব্লগারদের সংখ্যা বাড়ছে। ব্লগারেরা ধীরে ধীরে সমাজ বিপ্লবের হালে হাওয়া দিতে শুরু করেছে।

কিন্তু সব কিছুর জন্য প্রয়োজন নাগরিকদের নিজেদের অধিকার, ক্ষমতা, দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হওয়া। রাষ্ট্রের সাধারণ ম্যাকানিজম গুলো নাগরিকদের জানতে হবে। এগুলো রাজনৈতিক জ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত। কাজেই আসল রাজনীতি চর্চা করতে হবে। চাপাতি চুরি নিয়ে দলাদলি কে রাজনীতি ভেবে আই হেট পলিটিক্স মানসীকতা নিয়ে বসে থাকে কোন কাজ হবেনা। এতে বরং রাষ্ট্র ধ্বংস হবে। বরং নিজের কিংবা নিজের সন্তানদের ভবিষ্যত চিন্তা করে একটা বাসযোগ্য বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতে হবে। এবং সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য আই হেইট পলিটিক্স নয় আই উইল চেঞ্জ পলিটিক্স এই চিন্তা নিয়ে কাজ করতে হবে।

৪৪| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৩৬

জেন রসি বলেছেন: এখানে কিছু বলার আছে। দলবাজি কিন্তু রাজনীতির অংশ। দলবাজি থাকবেই। তবে সেখানে একে অন্যকে সন্মান করবে। একে অন্যের মত প্রকাশে বাধা দিবেনা। জাতীয় ইস্যুতে একে অপরকে নিজেদের দলে টানার আদর্শিক প্রতিযোগিতা করবে। সাধারণ মানুষ তাদের পারষ্পরিক বাকযুদ্ধে সচেতন হবে। অনেকে বলেন ব্লগে তো রাজনীতি হচ্ছে। তো খারাপ কি। ব্লগে রাজনীতির কথা কাটাকাটি হয়। খুনাখুনিতো হয়না। আর রাজনৈতিক বাকযুদ্ধও রাজনীতির অলংকার। বাকযু্ধ থেকেই জনগনের ভাবনার রসদ বেরিয়ে আসে যা তাদের কে সচেতন করে তোলে।

আমি দলবাজি বলতে দলকানাদের কথা বলেছি। যেমন কেউ যদি দলকানা হয়ে বলে বঙ্গবন্ধু প্রথম রাষ্ট্র প্রতি ছিলেন না অথবা জিয়াউর রহমান ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছে। আবার অপরদিকে কেউ যদি বলে জিয়ায়ুর রহমান মুক্তিযোদ্ধাই ছিলেন না। এমন মনোভাব নিয়ে যদি কেউ বছরের পর বছরও তর্ক করে, তাহলেও কোন লাভ নাই। আলোচনা করতে হবে পলিসি নিয়ে। আমি এই দল করি বলে এই দলের কোন পলিসির সমালোচনা করা যাবেনা, এমন ধারনা থেকে বের হয়ে আসতে না পারলে কোন কাজের কাজই হবেনা। পলিটিকাল কনসাস মানেই দলবাজি না। পলিটিকাল কনসাসনেস মানে যুক্তি দিয়ে পলিসিগুলোকে যাচাই বাছাই করা।

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৪৬

নেক্সাস বলেছেন: আপনার সাথেই আমি পুরোপুরি একমত। আপনার আনালাইসিস পুরাটাই এই পোষ্টের কনটেন্ট কে সাপোর্ট করে। আপনি যেভাবে ভাবছেন আরো দশ জন, বিশজন, চল্লিশজন, আশিজন...................................১ কৌটি জন যদি এই ভাবে ভাবে তবে এই দেশটা বদলে যেতে খুব বেশী সময় লাগবেনা। আর পথ দেখানোর সে দায়িত্ব আমাদের কে নিতে হবে এবং অলরেডি ব্লগারেরা বা অনলাইন এক্টিভিষ্টরা নিয়েছেও। আজকে এই যে পোষ্ট আলোচনা হচ্ছে তাতে কি কোন কিছুই অর্জিত হচ্ছেনা। অবশ্যই হচ্ছে। এভাবে একটা সময় মানুষের সচেতনাতার পাল্লা ভাড়ি হবে। তখন চাইলেও রাষ্ট্র যন্ত্র এলিট শ্রেনীর বশ্যতা স্বীকার করে সাধারণ নাগরিকের অধিকার নিয়ে খেলতে পারবেনা।

দল করলে দলের সমালোচনা করা যাবেনা এগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে হলেই শাস্ত্রীয় রাজনীতি ধারণ করতে হবে। আমি নেক্সাস নিঃসন্দেহে বিএনপি সমর্থক একজন মানুষ। কিন্তু আমিতো কোনদিন মন্ত্রী হবনা। চাইলেই আমি খালেদা জিয়ার সামনে গিয়ে কথা বলতে পারবোনা। তাহলে কেন আমি দলের অন্ধ তোষামদী করব। দলের অন্যায়গুলো মেনে নিয়ে কেন আমি নিজেই নিজেই শোষিত হব, সমাজ কে কলুষিত করবো। কোন দলের পলিটিক্যাল ভ্রান্তি মেনে নেওয়া মানেই সে দলের শুভাখাংকি হওয়া নয়। বরং রাজা যখন তোষামদের মোহে নেংটা হয়ে যায়, তখন রাজার খুব কাছ থেকে রাজাকে সেটা স্বরণ করিয়ে দেওয়াই মুল রাজনীতি এবং দলীয় সততা।

ধন্যবাদ প্রিয় জেন রসি

৪৫| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৪০

মহা সমন্বয় বলেছেন: সত্যি কথা বলতে দ্বিধা নেই আসলেই রাজনীতির প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি। রাজনীতিবিদদের আমার মোটেও পছন্দ না। এরা কোন কিছুই স্বাভাবিক চিন্তা করতে পারে না মাথা মোটার দল সব। হই হই রই রই অবস্থা। আপদত রাজনীতিতে ইনভল্ব হওয়ার চিন্তা নেই। পরে কি হবে জানি না।

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:২৫

নেক্সাস বলেছেন: রাজনীতির প্রতি আগ্রহ শুধু আপনি নয় অনেকে হারিয়ে ফেলেছে। ব্যাক্তিগত ভাবে এটা কোন বিষয় না। কিন্তু রাষ্ট্র ও নাগরিক - এই সমীকরণ থেকে ভাবুন। যখন ভাববেন তখন বুঝবেন রাজনীতিতে আপনার আগ্রহ হারিয়ে ফেলা কতটা ক্ষতিকর।
রাজনীতির প্রতি কেন আগ্রহ হারাবেন? আগ্রহ হারাবেন রাজনীতির নামে অপরাজনীতির প্রতি। আপনি দেশের একজন শিক্ষিত তরুন হয়ে রাজনীতির প্রতি আগ্রহ হারানো মানে রাজনীতির নামে যারা দস্যুপণা করছে আপনি তাদের মেনে নিলেন। আর ওরা এটাই চায়। আপনার আমার রাজনৈতিক অসচেতনতা কিংবা রাজনীতি নিয়ে গতানুগতিক ভাবনা ওদের জন্য আশীর্বাদ।
আপনাকে আমাকে রাজনীতিতে আসতে হবে। তবে সেটা গড্ডালীকা প্রবাহে নয়। শাষ্ত্রীয় রাজনীতকে রাষ্ট্র ভাবনায় নিয়ে আসতে হবে। রাজনীতি হবে দেশ ও জাতীর কল্যানে। দেশ ও জনগন কে জিম্মি করে যে ক্ষমতার চর্চা তার ছদ্মবেশ হচ্ছে রাজনিতী।আসলে সেটা রাজনীতি নয়/ রাজনীতি হল দেশ ও জাতির অর্থনৈতিক, সামাজিক, মানবিক মুক্তির উদ্দেশ্য চালিত সংগ্রাম।

৪৬| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ২:৩১

মোহাম্মদ মজিবর রহমান বলেছেন: এখানে রাজনীতির নামে চলেছে সিংহাসন কেন্দ্রিক মল্লযুদ্ধ। এই মল্লযুদ্ধে বিভক্ত হয়েছে জাতি। ভুলুন্ঠিত হয়েছে জাতীয় স্বার্থ, ও নাগরিক নিরাপত্তা। রাজনীতির নামে দলীয় লেজুর বৃত্তির সন্ত্রাসে বার বার রক্তে রঞ্জিত হয়েছে একের পর এক শিক্ষাঙ্গন। রাজনীতির খোলসে অধিপত্যবাদ বা শোষনুন্মুখ চেতনা মাথা ছড়া দিয়ে উঠেছে। মোটকথা পলিটিক্স অব হেজমনির খ্প্পরে পড়ে এখানে রাজনীতি তার জনকল্যানমুখী রূপ পরিগ্রহ করে এক ভয়াল রূপে আবির্ভুত হয়েছে। এই কারণে সমকালীন রাজনীতি নিয়ে বাংলাদেশের কূলীন সমাজ ও সাধারণ মানুষের মনে ক্ষোভ ও সামাজিক বিবমিষা জন্ম নিয়েছে। আমাদের তরুন প্রজন্মের মনে যে রাজনীতি বিমূখতা এটা তারই প্রতিফলন।
দুঃখের সাথে একমত।

বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আমরা কেউই নিরাপদ না।আর ধারা উপধারা যোগ-বিয়োগ করে সাথে আরও কিছু অলিখিত নিয়ম মেনে হক কথা বলতেও শংকা।তাই খড়গ ঘাড়ে রেখে ব্লগ,ব্লগার বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দিয়ে এই কলুষিত রাজনৈতিক ধারা পরিবর্তন করতে কে আসবে?
আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোকেই এই হিংসা-হানাহানির পথ থেকে বের হয়ে সুস্থ রাজনৈতিক ধারায় ফিরে আসতে হবে,নতুবা ধ্বংস অনিবার্য।

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৭

নেক্সাস বলেছেন: বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আমরা কেউই নিরাপদ না।আর ধারা উপধারা যোগ-বিয়োগ করে সাথে আরও কিছু অলিখিত নিয়ম মেনে হক কথা বলতেও শংকা।তাই খড়গ ঘাড়ে রেখে ব্লগ,ব্লগার বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দিয়ে এই কলুষিত রাজনৈতিক ধারা পরিবর্তন করতে কে আসবে

বর্তমান রাজনৈতিক ( ?) ধারায় যে আমরা নিরাপদ না তা লিখায় বলা হয়েছে, সেই সাথে এই ও বলা হয়েছে যাকে আমরা রাজনৈতিক ধারা বলছি সেটা আসলে রাজনৈতিক ধারা নয়। সেটা রাজনীতির নামে একটা প্রহসন। বলা হয়েছে রাজনীতির বাংলাদেশী সংস্করণ, যার পুরোটাই রাজনীতির শাস্ত্রীয় ধারার সাথে কনফ্লিক্ট।
কাজেই আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে রাজনীতি এবং রাজনীতির মুখোসের সংগা জানা এবং সে অনুযায়ী ট্রিট করা।

তাই খড়গ ঘাড়ে রেখে ব্লগ,ব্লগার বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দিয়ে এই কলুষিত রাজনৈতিক ধারা পরিবর্তন করতে কে আসবে?

কথাটা কেমন শুনালো। একটু পিছনে ফিরে যান ইংরেজদের উপনিবেশিক শাসন কালে খড়গ কিন্তু কম ছিলনা। সে খড়গের ভয় করে যদি প্রতীলতা, ক্ষুদিরাম, নজরুল রা চুপ করে থাকতেন তাহলে আজো বোধহয় আমরা উপনিবেশ হয়ে থাকতাম।
১৯৭১ পূর্বে এদেশের হানাদারের নৃশংসতা আর খড়গ কম ছিলনা বৈ। কিন্তু সেসব ভয় করে যদি বাংলার দামাল ছেলেরা বসে থাকতো, যদি মিছিল না হত, যদি ভাষার জন্য সংগ্রাম না হত, যদি ৬ দফা না হত, যদি ৬৯ না হত, যদি ৭১ না হত তবে আজকে আমরা কোথায় থাকতাম? কি হত আমাদের পরিচয়? আমাদের কেই পরিবর্তনের জন্য আত্মূৎসর্গ করতে হবে।

আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোকেই এই হিংসা-হানাহানির পথ থেকে বের হয়ে সুস্থ রাজনৈতিক ধারায় ফিরে আসতে হবে,নতুবা ধ্বংস অনিবার্য।


রাজনৈতিক দল গুলো কি অটো মেশিন বা অন্য কিছু যে সে চাইলে যা ইচ্ছা করতে পারে। একটা রাজনৈতিক দল সিম্পল একটা ব্যানার। এই ব্যানারের শক্তি হচ্ছি আমরা। আমরা যেভাবে হাঁটাবো রাজনৈতিক দল সেভাবে হাঁতবে। সনাতনি ধ্যান ধারা থেকে আমাদের কে বদলে যেতে হবে। আমাদের কে জানতে হবে অর্থনীতির ঘাত প্রতিঘাত, আমাদের কে জানতে হবে রাষ্ট্রের দায়িত্ব ও কর্তব্য, আমাদের কে জানতে হবে নাগরিকের ডায়িত্ব ও কর্তব্য। আমাদের কে চর্চা করতে হবে সংবিধান। আর তখনই রাজনৈতিক দল গুলো বদলে যাবে।
এখন সে পথে ামরা হাঁতছি কিনা? হ্যাঁ আমরা হাঁটছি। খুব স্বল্প পরিসরে হলেও আমাদের রাজনৈতিক বসন্ত শুরু হয়েছে। এই হেট প্রজন্মের সাথে একটা রাজনীতি সচেতন অনলাইন প্রজন্মও গড়ে উঠেছে।এরাই ব্লগার। এখন শুধু দরকার আপনার আমার সে কাফেলায় শরিক হওয়া।

ধন্যবাদ


৪৭| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:২৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ১০ কথার এক কথা


বোলগাইলেই সমাজ পরিবর্তন হয় না!

এই কথাটা এখনও সত্য!

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৩

নেক্সাস বলেছেন: বোলগাইলে্য সমাজ পরিবর্তন হয়না। তবে কিসে হয় জানালে ভাল হত। একজন শিক্ষিত নাগরিক হিসেবে সেটা জানা আপনার কর্তব্য। সমাজের কাছে যেমন আপনার দাবি আছে আপনার কাছেও সমাজের দাবি আছে।
এদেশে সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যান নিয়ে মানুষ ভাবেনা বা ভাবেনি কোনকালে তা কিন্তু নয়। বিশাল সংখ্যায় সাধারণ মানুষ সমাজের কল্যান নিয়ে ভেবেছে আজো ভাবে। শুধু তাদের সে ভাবনা গুলো কে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে সমষ্টিক ভাবনায় একুমুলেট করার মাধ্যম ছিলনা। কিন্তু এই সময়ে এসে ব্লগিং-এর ধারণা মানুষর সামনে সে সুযোগ এনে দিয়েছে। এবং তরুন প্রজন্ম সে সুযোগ কাজেও লাগাচ্ছে।
এখানে ব্লগিং বলতে শুধু যে সামুতে লিখালিখি তা নয়। অনেকে তার ব্যাক্তিগত ব্লগেও লিখছে। ফেইসবুকে নোট লিখা সেটাও এক প্রকারের ব্লগিং। প্রিন্ট মিডিয়া গত ৪০ বছরে যা করতে পারেনি আজকের ব্লগ বা বিকল্প গনমাধ্যম তার অনেকটা করে দেখাচ্ছে। একটু চোখ খুলে দেখলেই বুঝবেন।

ধন্যবাদ

৪৮| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:৩৯

পথে-ঘাটে বলেছেন: ভাষার অধিকার, স্বাধীন দেশ, পতাকা এবং স্বৈরাচার পতনের মত গুরুত্বপূর্ণ অর্জন যা আমরা রাজনীতির মাধ্যমে পেয়েছি।
অথচ কি আশ্চর্য! রাজনীতিকে কেন যেন আমি খুব ভয়ের চোখে দেখি।

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৬

নেক্সাস বলেছেন: ভয় হচ্ছে রাজনীতির নামে সন্ত্রাসবাদ কে। সত্যিকারের রাজনীতি ভয়ের বিষয় নয়। বরং ভয় কে জয় করে ভয় কে পরাজিত করে সুন্দর রাষ্ট্র কাঠামো গড়ে তোলার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে সত্যিকারের রাজনীতি চর্চা।

ধন্যবাদ

৪৯| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:০৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: রাজনীতির নামে চলেছে সিংহাসন কেন্দ্রিক মল্লযুদ্ধ। এই মল্লযুদ্ধে বিভক্ত হয়েছে জাতি। ভুলুন্ঠিত হয়েছে জাতীয় স্বার্থ, ও নাগরিক নিরাপত্তা। রাজনীতির নামে দলীয় লেজুর বৃত্তির সন্ত্রাসে বার বার রক্তে রঞ্জিত হয়েছে একের পর এক শিক্ষাঙ্গন। রাজনীতির খোলসে অধিপত্যবাদ বা শোষনুন্মুখ চেতনা মাথা ছড়া দিয়ে উঠেছে। মোটকথা পলিটিক্স অব হেজমনির খ্প্পরে পড়ে এখানে রাজনীতি তার জনকল্যানমুখী রূপ পরিগ্রহ করে এক ভয়াল রূপে আবির্ভুত হয়েছে। এই কারণে সমকালীন রাজনীতি নিয়ে বাংলাদেশের কূলীন সমাজ ও সাধারণ মানুষের মনে ক্ষোভ ও সামাজিক বিবমিষা জন্ম নিয়েছে। আমাদের তরুন প্রজন্মের মনে যে রাজনীতি বিমূখতা এটা তারই প্রতিফলন।

..........এটাই মূল কাহিনী, মানুষ এখন রাজনীতি তথা রাজনীতিকদের মন থেকেই ঘৃণা করে। আর আমরা ঘৃনিত হতে চাইনা বলেই অনেকে রাজনীতি করলেও ভার্চুয়াল জগতে নন রাজনৈতিক পরিচয়ে বাঁচতে চাই। এমন অবস্থা থেকে পরিত্রান পাওয়ার রাজনীতিকদেরই বের করতে হবে।

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৫

নেক্সাস বলেছেন: এমন অবস্থা থেকে পরিত্রান পাওয়ার রাজনীতিকদেরই বের করতে হবে।

না যারা রাজনীতি কে নষ্ট করছে তাদের হাতে রাজনীতি সঠিক রূপে ফিরে আসবেনা। ওদের কে রাজনীতিবিদ বালাটা একেবারেই ভুল। আমাদের কেই রাজনীতিবিদ হয়ে উঠতে হবে দেশপ্রেম, সততা, আর জ্ঞানের সন্মিলনে। তারপর নতুন টাকা যেমন পুরাতন টাকা কে বাজার থেকে বিতাড়িত করে দেয় তেমনি রাজনীতির নামে দখলবাজী আর ধান্দাবজীতে মত্ত শক্তি কে অপসারণ করতে হবে।
আমি কিন্তু বলিনি যে রাজনীতি কে মানুষ ঘৃণা করে আমাডের কে সে রাজনীতি চর্চা করতে হবে। বরং আমি বলছি যে রাজনীতি বাংলাদেশের মত একটা রাষ্ট্র জন্ম দিতে পারে, যে রাজনীতি মানুষ ভালোবাসে, যে রাজনীতি আগামি দিনেো বাংলাদেশ কে রক্ষা করবে সে রাজনীতিতে মননিবেশ করার কথা বলছি।

না হলে আমরা কেবল আমাদের সর্বনাশের জন্য অপেক্ষা করব।

৫০| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:০৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ..........এটাই মূল কাহিনী, মানুষ এখন রাজনীতি তথা রাজনীতিকদের মন থেকেই ঘৃণা করে। আর আমরা ঘৃনিত হতে চাইনা বলেই অনেকে রাজনীতি করলেও ভার্চুয়াল জগতে নন রাজনৈতিক পরিচয়ে বাঁচতে চাই। এমন অবস্থা থেকে পরিত্রান পাওয়ার পথ রাজনীতিকদেরই বের করতে হবে।

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩৬

নেক্সাস বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার

৫১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৩৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: "But I claim that one fact is certain: Blogs have changed and will change our politics and our world."

বিশ্বাস করি।

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:১১

নেক্সাস বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। এই বিশ্বাস থে একদিন আপনিও হয়ে উঠবেন সমাজ পরিবর্তনের সৈনিক। আর আরব বসন্ত নয়, ভাবতে হবে বাংলা বসন্ত নিয়ে। ব্লগরাই হবে অবশ্যম্ভাবি বাংলা বসন্তের কোকিল

৫২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৪৫

অগ্নি সারথি বলেছেন: আমি যখন কলেজে পড়তাম, ঢাকা কমার্স কলেজে সেখানে আমাদেরকে সেখানো হত, আমাদের ছেলেরা রাজনীতি করবেনা কিন্তু রাজনীতি সচেতন হবে। অবস্থা বুঝে দেখেন রাজনৈতিক পরিস্থিতি কতটা জঘন্য হলে রাজনীতির চর্চা না করাকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরনের চেষ্টা চালানো হয়।
চমৎকার পোস্ট। নোয়াম চমেস্কি বানানটি ঠিক করে নিন। ভালোলাগা অনেকগুলো।

১৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:২২

নেক্সাস বলেছেন: এগুলো আরেকটি ব্যবসায়িক ফন্দি। ব্যাবসার বাহিরে অন্য কিছু চিন্তা করতে কেউ চাচ্ছেনা। অভিভাবকদের রাজনীতি ভীতি কে কাজে লাগিয়ে এরাও রাজনীতি মুক্ত কলেজের টোপ ফেলে বসে আছে। আমি বুঝিনা রাজনীতি চর্চা না করে রাজনীতি সচেতন হয় কিভাবে। এসব শিক্ষিত মানুষ গুলো যদি রাজনীতি বলতে আওয়ামিলীগ- বিএনপি সংঘাত কে বুঝা্য, তবে সেটা সত্যি দূর্ভাগ্যজনক।
Politics tells you how a society must be set up and how one should act within a society.

রাজনীতির এই সংগা গুলো কে শিখাবে। আর রাজনীতি ছাড়া, রাষ্ট্র ব্যাবস্থায় ব্যাক্তির অংশগ্রহন ছাড়া একটা কল্যানকামী রাষ্ট্র কিভাবে সম্ভব?
রাজনীতি খারপ, রাজনীতি খারাপ বলে হাত গুটিয়ে থাকলে স্বভাবতই বন্ধুক আপনার মাথায় ছড়ি ঘুরাবে। বন্ধুকের সামনে হয়তো মানুষ দৃশ্যত কোন কর্ম সাধন করতে পারে, কিন্তু চিন্তা করতে পারেনা। আর যদি চিন্তাশীল সমাজ না গড়ে উঠে তবে রাষ্ট্র কে যুগ যুগ ধরে কে এগিয়ে নিয়ে যাবে?
If no one takes a stand or makes a statement, nothing will ever change.

কাজেই আমাদের দেশে সুস্থ রাজনীতির ধারা ফিরিয়ে আনতে হবে আমাদের কে। আর যেহেতু ব্লগারেরা কোন দল কে সমর্থন ছাড়া সে অর্থে ওন করেনা, সেহেতু ব্লগারে চাইলে নির্লিপ্ত ভাবে সমাজের অচলায়তনের দূর্গে আঘাত হেনে সমাজ কে জাগিয়ে তুলতে পারে এবং ব্লগারদের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ সে পথে হাঁটছে।

ধন্যবাদ

৫৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৪৮

গোধুলী রঙ বলেছেন: ঢাকা সহ বাংলাদেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে বেরিয়ে আসা তরুন তরুনী, বিশেষ করে হলে থাকা আবাসিক ছাত্রছাত্রীরা কিভাবে বলতে পারে তার রাজনৈতিক দর্শন, আমার তো ঐ পাচ বছরেই ঘেন্না ধরে গেছে। যাকগে সমস্যা অনেক, আমরা সবাই জানি কিভাবে সেসব সমস্যার সমাধান হবে, কিন্তু সমাধানে কেউ আগ্রহী নয়।

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৪১

নেক্সাস বলেছেন: আবারো বলছি বিশ্ববিদ্যালে, হলে, রাস্তায়, মাঠে যা হচ্ছে তা কিন্তু রাজনীতি নয়। বরং এগুলো থেকে উত্তরণের জন্য রাজনীতি চর্চা প্রয়োজন। রাজনীতি হচ্ছে আমার রাষ্ট্র কিভাবে চলবে তার নীতি। সুন্দরবনে বিদ্যুৎ কেন্দ্র হবে, না হেবেনা সে সিদ্ধান্ত কে নিবে সরকার না জনগন সে প্রশ্নের উত্তর খোঁজাই হচ্ছে জনগন। শিক্ষা আমার অধিকার না সুযোগ সে প্রশ্ন করা এবং করতে জানা হচ্ছে রাজনীতি। রাজনীতি হচ্ছে যে কোন রাষ্ট্রীয় ইস্যুতে নানা মতের মানুষের মধ্যে যৌক্তিক ডিবেট। এই রাজনীতি তে আমাদের কে মননিবেশ করতে হবে। কলম বা কিবোর্ড কে হাতিয়ার বানিয়ে যুদ্ধ করতে হবে রাজনীতির নামে বানিজ্যের বিরুদ্ধে।

৫৪| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৪৯

আরজু নাসরিন পনি বলেছেন:
অভিনন্দন রইল, সুপ্রিয় নেক্সাস (শেখ আহমদ)।
পোস্টটি সবার নজরে আনাতে সামহোয়্যারইন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৪

নেক্সাস বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় পনিপা। অশেষ কৃতজ্ঞতা

৫৫| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:০২

বিজন রয় বলেছেন: এত পরে এই পোস্ট স্টিকি হলো!!!

বাহ! তবুও তো হলো। এতেই খুশি।

নেক্সাস!!!

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৬

নেক্সাস বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় বিজন রায়

৫৬| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:০৩

মোহাম্মদ হযরত আলী বলেছেন: নিশ্চয় সুসময় আসবে ...আপনাদের আমাদের হাত ধরে .....আমরা আমাদের যার যার স্থান থেকে কাজ করে যাব .....

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৬

নেক্সাস বলেছেন: ধন্যবাদ। এমনই হোক শপথ। আমরা করবো জয়।

৫৭| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:০১

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আশার কথা এই যে বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে ব্লগার নামে যে কমিউনিটির সৃষ্টি হয়েছে, তাদের হাত ধরে শুরু হয়েছে ইতিবাচক রাজনীতির চর্চা। ব্লগারদের অনেকেই এখন দল ও মতের লেজুড় বৃত্তির উর্ধে উঠে রাষ্ট্রিয় স্বার্থে কথা বলছে। নানা সামাজিক অনিয়ম ও অব্যাবস্থাপনার চিত্র তুলে ধরছে তাদের লিখালিখির মাধ্যমে। দেশ ও জাতির ইতিহাস, কৃষ্টি কালচার সম্পর্কে সবাই কে সচেতন করে তোলার স্বেচ্ছ্বা দায়িত্ব নিয়েছেন অনেক ব্লগার।
......
ব্লগারদের নিজস্ব রাজনৈতিক আদর্শ অবশ্যই থাকবে। কিন্তু গনতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতা এবং বৈষম্যহীন অসাম্প্রদায়ীক বাংলাদেশ গঠনের প্রশ্নে ব্লগারদের কে একি প্লাটফর্মে অবস্থান নিতে হবে।


চমৎকার কিছু কথা তুলে ধরেছেন।

আমাদেরকে এখন বাংলাদেশে প্রচলিত রাজনীতির বাইরে বের হওয়ার পথ খুঁজে পেতে হবে। যদি পথ না থাকে তবে আমাদেরকে পথ তৈরি করে নিতে হবে। প্রথমে ভাবতে হবে এদেশের বড় দুই দলকে দিয়ে আসলেই প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাজনীতির চর্চা সম্ভব কিনা? আমার মনেহয় সম্ভব নয়। কারণ এই দুই দলে পীরপ্রথা প্রচলিত অর্থাৎ পীরের ছেলেই পীর হবে। যোগ্যতার নীরিখে অন্য কেউ নেতৃত্বে আসতে পারবে না। সুতরাং উপায়? উপায় হল একটাই আমাদেরকে বিকল্প জনদরদী দলের উদ্ভব ঘটাতে হবে। সঠিক নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে। আর এজন্যই আমাদেরকে রাজনৈতিকভাবে সচেতন হতে হবে।

১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২০

নেক্সাস বলেছেন: ধন্যবাদ রানা ভাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

আমাদেরকে এখন বাংলাদেশে প্রচলিত রাজনীতির বাইরে বের হওয়ার পথ খুঁজে পেতে হবে। যদি পথ না থাকে তবে আমাদেরকে পথ তৈরি করে নিতে হবে।

একমত। কিংবা দলদুটোকে আকরা ঠিক করতে পারি। ১/২/৩ জন করে আমরা যদি নিজেদের সমর্থিত দলের ভূলগুলো নিয়ে লিখি এবং প্রতিবাদ করি। তখনই দলগুলো ঠিক হয়ে যেতে বাধ্য

৫৮| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৪৩

কালনী নদী বলেছেন: David D. Perlmutter-এর ব্লগ-বিষয়ক বই Blogwars এর উৎসর্গপত্রে লিখা হয়েছে, "To bloggers, who boldly go where many of us could only dream of going before." সত্যই তাই। সত্য ও নিগুঢ় সমাজ বাস্তবতাকে তুলে ধরার এক দুঃসাহসী অভিযানের অভিযাত্রী হচ্ছেন বাংলাদেশ ও সারা বিশ্বের ব্লগারেরা।


সামসাময়িক একটি প্রয়োজনীয় লিখা, বোঝার আছে অনেক কিছু!
ঠিক, সামগ্রিক ভাবে রাজনীতি হচ্ছে সার্বিক বিষয় যার পরিধি বিশ্বময় ও আমরা তা শুধু বাংলাদেশ দিয়েই হিসেব করলে হবে না, প্রত্যেকটা উন্নয়নশীল দেশই এমন অবস্থায় ছিল কিন্তু রাজনীতি সেখানে সমস্যার উত্তরণের মাধ্যম হিসেবে সবসময়ই কাজ করছে।
লেখককে ধন্যবাদ সুন্দর একটা বিষয় উপস্থাপন করার জন্য। ব্লগিং যে শুধু বাঙগালিরা্ই করে এমন না। আসলে অনেকের এ নিয়ে নুন্যতম ধারণা নেই কিন্তু সমালোচনা করতে পটু। এটা লিখালিখির মাধ্যম যা প্রযুক্তিগতভাবে ব্লগিং হিসেবে খ্যাত, আর বিদেশিদের কাছ থেকেই এটা মূলত আন্তর্জাতিকভাবে স্বিকৃত। এখনও হিসেব করলে দেখা যায় আন্তর্জাতিকভাবে আমরা লিখালিখিতেও বিদেশিদের কাছ থেকে পিছিয়ে। যেমন, উইকিপিডিয়া বিদেশের এতটাই সমৃদ্ধ যে সেখানে যে কেউ তা আর সম্পাদন করতে পারে না, সেজন্য সারটিফাইড হতে হয় আর বাংলাদেশসহ এশিয়ার সবকটি উকিপিডিয়া যে কেউ সম্পাদন করতে পারেন কারন আমাদের তথ্যভান্ডার আমরাই সমৃদ্ধ করি নি। আমাদের এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে প্রয়োজনে গণসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
আবারও লেখককে ধন্যবাদ কষ্ঠ করে সুন্দর একটি বিষয় লিখার মাধ্যমে আমাদের সাথে শেয়ার করায়।
শোভ কামনা রইল।

১৯ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৮

নেক্সাস বলেছেন: কালনী নদী অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আমরা সবকিছুর সমালোচনা করতে পছন্দ করি। আমরা সবাই যার যার অবস্থানে সরকারের, রাজনীতির সমালোচনা করি। কিন্তু সরকার বা রাজনীতিবিদ গন কি করা উচিৎ তা নিয়ে কিছু বলিনা। ব্লগের মাধ্যে আমরা কিন্তু নিজেদের মনের ভাবনা গুলো তুলে ধরতে পারি। ব্লগ হোক আগামী দিনের সমাজ বদলের হাতিয়ার

৫৯| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:১৭

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অভিনন্দন লেখককে পোস্টটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হওয়ায়।
সামু কর্তৃপক্ষকেও ধন্যবাদ স্টিকি পোস্ট হিসেবে লেখাটিকে গুরুত্ব দিয়ে সবার সামনে আনার জন্য।

২০ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৩৯

নেক্সাস বলেছেন: প্রিয় ব্লগার ও পাঠক অপর্ণা আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা

৬০| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৮

বিক্ষুব্ধ জনতা বলেছেন: ভালো মানুষগুলো যখন রাজনীতি বিমুখ হবে,তখন খারাপ মানুষেরা রাজনীতিকে দখল করে নিবে।কারণ রাজনীতি বন্ধ হবে না,রাজনীতি চলবেই মানুষ সমাজ থাকা পর্যন্ত।

২০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৫

নেক্সাস বলেছেন: এটাই পয়েন্ট। রাজনীতিতে শূন্যাস্থান তৈরি হলে সেটা খারাপ মানুষ গুলো সুযোগ নেয়।


ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য

৬১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬

সাহসী সন্তান বলেছেন: পোস্টটা আগেই পড়া ছিল। কিন্তু সত্যি বলতে এই ব্যাপারগুলো আমি ততটা বুঝিনা বলেই মন্তব্য করা হয়নি। তবে আজ স্টিকিতে ঝুলানো দেখে মন্তব্য করতে আসলাম!

কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ন এই পোস্টটি স্টিকিতে লটকানোর জন্য! এবং আপনাকেও ধন্যবাদ ও অভিনন্দন রইলো চমৎকার এই পোস্টটির জন্য!

শুভ কামনা জানবেন!

২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১৫

নেক্সাস বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় সাহসী ভাই। সুন্দর রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টিতে একজন ব্লগার হিসেবে কাজ করে যান। দেখবেন বদলে যাবে আমাদের দেশ

৬২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১৩

গুলামে আজীজ বলেছেন: ভূত ছাড়ানো সরিষাতেই যদি ভূত থাকে তাহলে যেমন ভূত ছাড়ানো দায় হয়ে পরে, তেমনি গদিতে বসে ক্ষমতার চিন্তা না ছেড়ে দেশের উন্নতি, আইনশৃঙ্খলা ও আমাদের মত সাধারণ জনগণের কথা চিন্তা না করে পদক্ষেপ নিবে ততদিন এদেশের রাজনীতি ঠিক করে আনাও সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। আর আমাদের তরুণদের মাথায় ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে রাজনীতি মানেই হলো
"সাথে যখন ছুরি, করবিনা তখন চুরি (ছিনতাই করবি)।
সাথে রিভালবার, অতকথার কি দরকার?(টাইন্না দিবি)।
ক্ষমতায় আমগো নেতা, ভালো কইরা খিস্তি দিমু কইলে কোন কথা।"
ওদের শিখানো হয়না।
"সমাজ মোদের এলাকা মোদের হতে দিবোনা নষ্ট,
অন্যায়ের পথ রুখে দাঁড়াবো হোকনা যতই কষ্ট।
হানাহানী বন্ধকরে সবাই ন্যায়ের পথে চলবো,
সন্ত্রাস ও অপরাধ মুক্ত সুষ্ঠু সমাজ গড়বো।"
তাই আজ তরুণরা রাজনীতি থেকে অনেক দুরে সরে যাচ্ছে।

৩০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫০

নেক্সাস বলেছেন: আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে।

আমাদের জেগে উঠাটাই মূখ্য।
যারা রাজনীতিকে নষ্ট করেছে তারা নিজের ইচ্ছায় সেটা ঠিক করে দেবে সেটা ভাবা বোকামি। আমাদের আমাদের উইপন ব্যবহার করতে হবে। আর সেটা হল আমাদের সচেতনতা ও জ্ঞান। আমাদের কে রাজনীতির ইতিবাচক ধারা সূচনা করতে হবে।

ধন্যবাদ

৬৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩৯

কালনী নদী বলেছেন: ভাইয়া প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, আমি একটা ব্যাপারে সাহায্য চাচ্ছি।

আপনার কি তুলতুলে ফুটফুটে একটা বাচ্চা আছে? বা আপনার ভাইয়ের? বোনের? কাছের অন্য যে কারো? বাচ্চাটা টুকটুক করে হাঁটে, আধো আধো বোলে কথা বলে, হাত-পা নাড়িয়ে বিচিত্র অঙ্গভঙ্গি করে, যাকে দেখলে আপনার মন ভালো হয়ে যায়, যার নিষ্পাপ হাসি দেখলে আপনার আরও কিছুদিন বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করে।
একবার ভাবুন তো, আপনার বাচ্চাটা হাঁটতে পারছে না, আইসিইউর বেডে শুয়ে তড়পাচ্ছে, ভীষণ যন্ত্রণা পাচ্ছে, ক্ষুধা লেগেছে কিন্তু খেতে পারছে না, চিৎকার করে কাঁদছে- কেমন লাগবে আপনার? বাচ্চাটাকে কালই একটা ইঞ্জেকশন দিতে হবে, যার দাম লাখ টাকা, অথচ আপনার পকেটে কালকের ক্যাবিন ভাড়া দেবার টাকাটুকুও নেই? কী? চিন্তা করতে ভয় পাচ্ছেন? নাকি আল্লাহ হয়ত আপনাকে এখনো পরীক্ষায় ফেলেননি এজন্য চিন্তাই করতে পারছেন না? কালই যে আপনি এই পরীক্ষায় পড়বেন না, তার কোন গ্যারান্টি আছে? আপনাকে, আপনার পরিবারের সবাইকে যে আল্লাহ সুস্থ রেখেছেন এটা যে কত বড় নেয়ামত ভেবে দেখেছেন? সেটার শুকরিয়া আদায় করে শেষ করতে পারবেন?
আচ্ছা, আপনার দৈনিক চা-সিগারেটের বিল কত হয় হিসাব করেছেন? সপ্তাহে কোল্ড ড্রিংকস খেতে কত যায়? বা মাসিক চাইনিজ খেতে কেমন খরচ পড়ে? আচ্ছা, একদিন চা সিগারেট কম খেলে কি ক্ষতি হয়ে যাবে বেশি? বা এই সপ্তাহে ড্রিংকস একটু কম খেলেন? এই মাসের চাইনিজ খরচটা যদি না করেন? বেশি লস হয়ে যাবে? এর বিনিময়ে আপনার কোলে যে বাচ্চাটা আছে, তার মতই আরেকটা বাচ্চা, যে এখন আইসিইউতে শুয়ে কাতরাচ্ছে সে যদি সুস্থ হয়ে উঠে? আপনার কি আনন্দ লাগবে না? খুশি লাগবে না তাকে হাসতে দেখলে, খেলতে দেখলে? একটা সুস্থ বাচ্চার নির্মল হাসির চেয়ে সুন্দর কী আছে পৃথিবীতে, বলতে পারেন?
সা'দ আল জারিফ, তিন বছর তিন মাস বয়সী ছোট্ট একটি ফুটফুটে শিশু। এক সপ্তাহ আগেও যে শিশুটি নিজের পায়ে হেঁটে বেড়াতো, জুমার নামাজে শরিক হতে ছুটে যেতো বাবা অথবা চাচ্চুর হাত ধরে, ভাগ্যের চক্রে আজ হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে বারবার ওর আম্মিকে জিজ্ঞেস করে - 'আম্মি! আমি হাঁটতে পারিনা কেনো??'
হালকা জ্বর, ঠান্ডা আর কাশি নিয়ে গত ১০.০৩.২০১৬ নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করলে তাঁদের পরামর্শ মতে শ্যামলী শিশু হাসপাতালে নিলে তাঁরা লক্ষণ দেখে নির্ণয় করে সা'দ Guillain Barre Syndrome (gbs) রোগে আক্রান্ত। পরবর্তীতে সেখান থেকে নেওয়া হয় ন্যাশনাল নিওরো সাইন্স হসপিটালে। সেখানকার ডাক্তারের সাজেশনে সা'দকে যেসব ইঞ্জেকশন দিতে বলা হয়েছে তার দাম পৌনে দুই লাখ টাকা। ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। ইঞ্জেকশনটা দিলে আপাতত জীবাণুগুলো বিস্তৃত হবে না, যদিও ইতিমধ্যেই সা'দের মুখমণ্ডল ছাড়া বাকি সারা দেহ অবশ হয়ে গিয়েছে। ডাক্তারের ভাষ্য অনুযায়ী এই রোগের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। বর্তমানে সা'দ মালিবাগের প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম হাসপাতালের এনআইসিইউতে ভর্তি আছে। সব ডাক্তাররাই তদারকি করছেন। কয়েকদিনেই ইতোমধ্যে ৪-৫ লাখ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। অসহায় বাবার জমানো পুঁজি প্রায় শেষ।
ঢাকা শহরে এক কোটির বেশি মানুষ বাস করে। সবাই এক টাকা করে দিলেও এক কোটি হয়ে যায়। এত টাকা হয়ত লাগবে না ইনশাআল্লাহ। আপনার যা দেবার সামর্থ্য থাকে, আপনি তাই দিন। পঞ্চাশ হলে পঞ্চাশ, একশ হলে একশ। নিজে না পারলে বন্ধুদের বলুন। ফ্যামিলির কাছে বলুন। একটা মাসুম বাচ্চার মুখে হাসি ফোটানোর মত, তাকে হাঁটতে সাহায্য করার মত মানুষ আজকাল অবশিষ্ট নেই, এটা আমার বিশ্বাস হয় না। এমন অনেক মানুষ আছে। আমাদের দায়িত্ব শুধু তাদের কাছে সংবাদটা পৌঁছে দেয়া। আপনাদের দোয়া আর সাহায্যে ও আবার সুস্থ হয়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ। বাকিটা দেখার দায়িত্ব আল্লাহ পাকের। তিনিই শেফা দানের মালিক।
একাউন্ট নাম্বার: 46233 Noman Hussain, ইসলামী ব্যাংক, মিরপুর -১০ ব্রাঞ্চ
বিকাশ নাম্বার: 01911969515, 01714720403
বিকাশ নাম্বার দুইটাই রোগীর বাবার। চাইলে ফোন করে খবর নিতে পারেন। আর কারো যদি মনে প্রশ্ন জাগে, তাহলে হসপিটালে গিয়ে খোঁজখবর নিতে পারেন। বাচ্চার ছবি ও রিপোর্টের ছবিও দেয়া হলো।
'আর যখন আমি অসুস্থ হই, আল্লাহ আমাকে সুস্থতা দান করেন'
- আল কোরান (শু'আরা : ৮০) (COllECTED)
(এই লেখাটা আমার ব্লগে প্রকাশ করা সম্ভব না! যার মাধ্যমে আমি ফেসবুকে পেয়েছি সে সেটা দেখলে একটু সমস্যা হবে। আপনারা যদি ঘটনাটা একটু খতিয়ে এ ব্যাপারে একটু প্রচারনা করতেন বা কাউকে দিয়ে ব্লগটা লিখাতেন অবশ্যই সত্যতা প্রমান পেয়ে। প্রাপ্ত লিঙ্কটাও দিচ্ছি Click This Link
আমি সামু কর্তৃপক্ষকেও ব্যাপরটা অবগত করেছি। আপনারা কেউ যদি আমার হয়ে ব্লগটা করেন। শুধু আমার ব্রেকেটের কথাগুলা কেটে কপিপেস্ট করলেই হবে)

৬৪| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২০

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: কিন্তু গনতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতা এবং বৈষম্যহীন অসাম্প্রদায়ীক বাংলাদেশ গঠনের প্রশ্নে ব্লগারদের কে একি প্লাটফর্মে অবস্থান নিতে হবে।
দুই রাণী দেশটাকে
করে নিল এজমালী;
ফুলে ফেঁপে বেড়ে উঠে
মোরা রোজ পানি ঢালি।

ভালোবেসে রাণী বলি
সযতনে হৃদয়েতে;
সুচতূর রুই তারা
ভাগাভাগি স্রেফ দু'জনেতে।

'তারেক' হামাক মারেক
আর 'সজীব' করেক নির্জীব;
কেউ কারো কেষ্ট ঠাকূর
কেউবা আবার মহাশিব।

কৌশলে দেশটাকে
করে তারা দুইভাগ;
ঘাড়ে চেপে বসে আছে
বিষধর দুই নাগ।

ডানে গেলে জঙ্গি
বামে গেলে নাস্তিক;
দ্বন্দ্ব বাজিয়ে তারা
হাসে বসে খিক্‌ খিক্‌।

বারুদে পুড়ছি মোরা
গোটা জাতি জ্বলছে;
পতাকা উঁচিয়ে তারা
সদম্ভে চলছে।

দেশটা কারো বাবার নয়কো
নয়কো কারো স্বামীর;
আমরা হলুম গোলাম হোসেন
তোমরা শাহী আমির।

ডান-বাম ভুলে যাও
গড়ে তুলো একতা;
ব্লগার মোদের পরিচয়
জয়তূ ব্লগার জনতা।

৩০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০৩

নেক্সাস বলেছেন: ধন্যবাদ ছড়ায় ছড়ায় ব্লগারদের মাহাত্ম্য তুলে ধরার জন্য

৬৫| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:১৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
তারুণ্যের রাজনীতি বিমূখতা জাতি বা রাষ্ট্রের মোটেই কল্যানকর নয় । বরং অশনি সংকেত।
আমাদের তরুন সমাজ কে রাজনীতি বিমূখতা থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে। একমত।

তার আগে রাজনীতি কে ফিরিয়ে আনতে হবে তার সঠিক ট্র্যকে?
না অত দরকার নেই। এটা এই দেশে সম্ভব নয়।
কিন্তু এটা বাংলাদেশ। অপর্যাপ্ত অবকাঠমো নিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতির দেশ।
আই হেইট প্রজন্ম বাদ দিলেও এদেশের দুর্ভাগ্য দেশটির বড় একটি জনগোষ্ঠি স্বাধীনতা বিরোধী (দেশটির অর্থনীতির ৪০% নিয়ন্ত্রনকারি) ধর্মের নামে জঙ্গি খুনিদের দ্বারা প্রভাবিত এবং সমর্থক। দেশের ৫০% অশিক্ষিত ৩০% মফস্বল ডিগ্রিপাস বুদ্ধিহীন আবাল-বেকার। গ্রামে দেখেছি এরা বিদেশ যাওয়ার চেষ্টায় আছে, আর ব্লুটুতে ভিডিও বিনিময় করছে, একটা মিথ্যা ভিডিও "আমেরিকা সব মুসলিম মেরে ফেলছে, মসজিদ ধ্বংশ করছে"! বলাবলি করছে, আমাকেও দেখালো। সুধু গ্রাম কেন? ঢাকা শহরে উচ্চশিক্ষিত অনেকেই বদ্ধমুল বিশ্বাস করে শাপলা চত্তরে হেফাজত ঘটনায় হাজার হাজার হুজুর গুম করা হয়েছে। শিক্ষাহীন এই বিপুল নিরিহ জনগোষ্ঠি একটি সংগবদ্ধ ছাগু ও জঙ্গিচক্রের পরিকল্পিত মিথ্যাপ্রচার।
রাষ্ট্রযন্ত্রের দায়িত্ব এসব অপশক্তিকে থামানো বা নিউট্রাল করে রাখা।

ইতিবাচক রাজনীতির চর্চা হবে সুধু স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসিদের মধ্যেই।

৩০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০৮

নেক্সাস বলেছেন: ইতিবাচক চর্চা হবে স্বাধীনতার বিশ্বাসীদের মধ্যে এটা যেমন ঠিক তেমনি রাজনীতির অন্যতম শর্ত হতে হবে মুক্তিযুদ্ধ এদেশের প্রতিটি মানুষের সম্পদ ও গৌরবের বিষয়। এদেশে মুক্তিযুদ্ধের অবিশ্বাসী যদি কেউ থাকে তবে তারা নগন্য। মুক্তিযু্দ্ধ কোন দল বা বয়াক্তির প্যটেন্ট নয়। রাজনৈতিক মত পার্থক্যে অমিল হলে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী বলার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এবং এটা হবে আমাদের রাজনৈতিক পরিবর্তনের অন্যতম দিক ।গত ৪০ বছর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে শুধু ব্যাবসা হয়েছে, জাতীয় সমৃদ্ধি ও বিকাশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কে প্রকৃত বিশ্বাস ও বোধের জায়গা থেকে ইউটিলাইজ করা হয়নি। রাজনৈতিক সংস্কারের অন্যতম উদ্ধেশ্য হবে জাতীয় বিভক্তি দুর করা।

৬৬| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:২৩

আবু শাকিল বলেছেন: অভিনন্দন নেক্সাস ভাই।
ধন্যবাদ সামু কর্তপক্ষ।

৩০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০৮

নেক্সাস বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় শাকিল ভাই

৬৭| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৬

দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: পুরো পোস্টটা এক নিঃশ্বাসে পরে ফেললাম। অসাধারণ লিখেছেন নেক্সাস ভাই। সামুকে ধন্যবাদ পোস্টটা স্টিকি করার জন্য।

৩০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০৯

নেক্সাস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কামরুল ভাই

৬৮| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২৮

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: সাধুবাদ জানাই আপনার ভাবনাকে!!!!

৩০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০৯

নেক্সাস বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে

৬৯| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
তারুণ্যের রাজনীতি বিমূখতা জাতি বা রাষ্ট্রের মোটেই কল্যানকর নয় । বরং অশনি সংকেত।
আমাদের তরুন সমাজ কে রাজনীতি বিমূখতা থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে। একমত।
আমিও ---


অভিনন্দন নেক্সাস , অভিনন্দন !!!

৩০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০৯

নেক্সাস বলেছেন: ধন্যবাদ তালই সাব।

৭০| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৪৬

তারেক ভূঁঞা বলেছেন: জন্মের পর থেকে হিংসার রাজনীতি দেখে দেখে রাজনীতির উপর ঘৃণা চলে আসেছে

৩০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১১

নেক্সাস বলেছেন: যেটা দেখে আসছেন সেটা রাজনীতি নয়। সেটা দখলের মল্লযু্দ্ধ। আমাদের দেশ কে বাঁচাতে হলে দরকার সত্যিকারের রাজনীতি। দখল যু্দ্ধ কে রাজনীতি বলে স্বীকৃত দেওয়া মানে ওদের অপকর্ম কে মেনে নেওয়া। আসুন আমরা রাজনীতি কে জানি এবং নাগরিক মানসে রাজনীতিকে ধারণ করি।

৭১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৫৪

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
আন্তরিক অভিনন্দন ভ্রাতা,
এমন একটি সময়োপযোগী- সুন্দর আর দারুণ পোস্টের জন্য,

অধিকিন্তু বাংলাদেশের প্রচলিত মিডিয়া নুয়ান চমস্কির বিখ্যাত প্রপাগান্ডা মডেলের বাইরে নয়।

নামের বানানটা কি ঠিক আছে ?

তবে যতটুকু অর্জন সেটা প্রয়োজনের তুলনায় খুব নগন্য। বাংলাদেশের ক্ষমতার বলয়ে আবর্তিত পুরা রাজনৈতিক ও সামাজিক সিষ্টেম কে খোলনলচে পাল্টে একটা নতুন দিনের সূচনা করতে হলে ব্লগ ও ব্লগারদের কে আরো দীর্ঘ পথ হাঁটতে হবে।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৩৫

নেক্সাস বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় গ্রানমা। বানান টি ভুলের জন্য দুঃখিত।

মন্তব্যে সহমতের জন্য কৃতজ্ঞতা

৭২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:০৩

হাবিবুর রহমান জুয়েল বলেছেন: দারুণ পোস্ট। রাজনীতিতি এখন আর নীতি নেই,,,

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২০

নেক্সাস বলেছেন: ধন্যবাদ। রাজনীতিতে নীতি আছে বাট বাংলাদেশী দলাদলীতে নীতি নাই

৭৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৫৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তারুণ্যের রাজনীতি বিমূখতা জাতি বা রাষ্ট্রের জন্য কতটা কল্যানকর? মোটেই কল্যানকর নয় । বরং অশনি সংকেত। কেননা রাজনীতি না থাকলে সমাজে স্বৈরাচার কিংবা প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্টির অনুপ্রবেশ ঘটে। সমাজ হয় অস্থীর ও ভারসাম্যহীন। নাগরিকদের রাজনীতি বিমূখতা সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্বৃত্তায়ন কে প্রশ্রয় দেয়। মীর মোশারফ হোসেনের বিখ্যাত গ্রন্থ বিষাদ সিন্ধু বলা হয়েছে " যে রাজা রাজনীতির অধীন নয় সে রাজা স্বেচ্ছাচারী"


সেই বাস্তবতাতেই কি আমাদের বসবাস নয়?

আর যে সিন্ডিকেট রাজনীতিকে স্রেফ ক্ষতা এবং অর্থের সোর্স হিসাবে দেখছে বা এটাকে ব্যবহার করে আজকের প্রতাপশালী অবস্থায় এসেছৈ তারা অবশ্যই চাইবেনা এই চক্র ভাঙুক। তাই আপনার লড়াইয়ের বড় অংশ কিন্তু তথাকথতি এই নব্য ধনীক শ্রেণী। যারা স্বাধীনতার পর পরই রাতারাতি লাখপতি কোটিপতি হয়ে গেছে!!! তারা কখনোই তাদের লাভৈর অংশ ছাড়তে চাইবে না্ সে জন্য চালাচ্ছাে মিডিয়া, সামাজিক সাংস্কৃতিক সব ক্ষেত্র মিথ্যা আর বিভ্রান্তির কৌশল।

তাই সত্যিকারের পরিবর্তন চাইলে -- চাই কমপ্লিট চেঞ্জ যা মূলত একটা বিপ্লবী বিজয়ী সরকারই করতে পারে্

ধন্যবাদ অনেক অনেক অনেক :):):)
এখন আবার আরেকটা ভাল মানুষের চক্র যদি দাড়াতে পারে- উভয় প্

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৩

নেক্সাস বলেছেন: আপনার সাথে আমি পুরোটাই একমত। এই এলিট শ্রেনী প্রিভিলেইজের বিনিময়ে রাজনীতির কে কলুষিত করার পেছনে ভূমিকা রেখেছে। এই ক্ষেত্রে রাজনীতি এবং মিডিয়া দুটোকেই ব্যবসায়ীদের হাত থেকে মুক্ত করতে হবে। আর এই জন্যই শুশিক্ষিত তরুনদের এগিয়ে আসতে হবে।

৭৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২২

শাহ আজিজ বলেছেন: কষ্ঠকর হচ্ছে মল্লযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যাতে লেখা না হয় তার জন্য আইন তৈরি হয় , শাস্তি ৭ বছর। ব্যাঙ্কের হাজার কোটি টাকা লোপাটকারীদের কার্যত আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়া হচ্ছে এটাই এই মুহূর্তের চরম সত্য । ব্লগ বলিনা বা ব্লগার হিসেবে নিজেকে পরিচিত করিনা ব্লগারকে নাস্তিক বানানোর মঞ্চের ষড়যন্ত্রে । আমি একজন অনলাইন রাইটার । উপরে সবাই মন খুলে বলেছেন তাই প্রসঙ্গ আর না বাড়ানোই ভাল। পত্রিকার মনোপলি ব্লগ ভেঙ্গে দিয়েছে এটাই চরম সত্য । আমি আশাবাদী সুস্থ রাষ্ট্র পরিচালনা বা গুড গভরনেন্স ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে ।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৫

নেক্সাস বলেছেন: ধন্যবাদ। আমিো আশাবাদি, ব্লগের অর্জন টা আপাতত খালি চোখে দেখা যাচ্ছেনা। কিন্তু বস্তুত পক্ষে ব্লগ এই সমাজের অনেক ক্ষেত্রে বিকল্প মিডিয়া হিসেবে অবদান রাখতে শুরু করে দিয়েছে। এখন দরকার সবার সন্মিলিত সচেতনতা এবং ইচ্ছা।

৭৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪১

এরশাদ বাদশা বলেছেন: ফেইসবুকে আমি নিজে ততোটা অ্যাকটিভ না, সুতরাং ওটা নিয়ে ততোটা মাথাও ঘামাইনা। তবে ব্লগ যে এখন বেশ শক্তিশালী গনমাধ্যম সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা। বহুদিন ধরেই দেখে আসছি, জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যূগুলোতে ব্লগ দারুন ভূমিকা রেখে চলেছে। নেতিবাচক ব্লগিংকে সবসময়ই নিরুৎসাহিত করে এসেছি। আপত্তি জানিয়েছি আস্তিক-নাস্তিক ইস্যূতে কাদা ছোঁড়াছুঁড়িতে। বর্তমান সময়টাতে তরুন সমাজের সবারই ব্লগিং এ সময় দেয়া দরকার। দেশের রাজনীতিতে তাদেরই ভূমিকা রাখার সুযোগ আছে বেশি। নষ্ট রাজনীতিকে শুদ্ধ একমাত্র তারাই পারে।

৭৬| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩৬

কোমানডস বলেছেন: চমৎকার এবং একটি সময়োপযোগী পোস্ট।

৭৭| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২৬

মোহাম্মদ রাহীম উদ্দিন বলেছেন: এখন পর্যন্ত সকল মুক্ত চিন্তা ও মুক্তালোচনার একমাত্র বিশ্বস্ত মাধ্যম ব্লগ বা ব্লগিং।

৭৮| ১৭ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:১৪

গ্রিন জোন বলেছেন: স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ কখনই সুশাসন পায়নি। আর এর দোষ রাজনীতিবিদদেরই। রাজনীতিবিদরা ব্যর্থ হয়েছেন। এজন্য তরুণ প্রজন্মের একটা অংশ রাজনীতি থেকে নিজেকে বিমুখ করে রেখেছে বা রাখতে চাইছে। কিন্তু সৎ মানুষের শাসন সম্ভব। তা কেবল হতে পারে সৎ রাজনীতির মাধ্যমে। একজন রাজনীতিক কোনো দিক দিয়ে যদি সৎ না হতে পারেন তাহলে রাজনীতিতে এর রিরূপ প্রভাব পড়বেই। বাংলাদেশে তাই হচ্ছে। অথচ এদেশকে অনেক সুন্দর করে গড়া সম্ভব। তা কেবল পারেন রাজনৈতিকরাই। আমরা নির্বিঘ্নে মাইলের পর মাইল যেতে চাই। নারীরা নির্বিঘ্নে কর্মস্থলে অবস্থান করতে চাই। যেখানে থাকবে না কোনো শংকা। পথে ঘাটে কোথাও কেনো ভয় থাকবে না। এরকম বাংলাদেশ সব মানুষের কাম্য। কেবল নেতাগুতারা তা চায় না। চাইতে পারে না।

৭৯| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ২:১৬

আকদেনিজ বলেছেন: ২৫ নং মন্তব্যের জবাবে এক পর্যায়ে আপনি বলেছেন কিন্তু ক্ষমতার রাজনীতি করতে গিয়ে আওয়ামিলীগ নামক দলটি নির্লজ্জভাবে কেড়ে নিয়েছে মানুষের ভোটের অধিকার। কেড়ে নিয়েছে বিচার বিভাগের স্বাধিনতা। আর বিএনপি নামক দলটি সখ্য গড়ে তুলেছে উগ্র সাম্প্রদায়ীক স্বাধীনতাবিরোধী জামাতের সাথে। আওয়ামিলীগ মনুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে সংবিধান লঙ্ঘন করেছে এবং অপরাধ করেছে তা বুঝলাম। কিন্তু বিএনপি সাংবিধানিক একটি দলের সাথে জোট বেধে কি অপরাধ করেছে বুঝলাম না ভাই।
লেখাটা মন্তব্যগুলো সহ পড়লাম। খুব ভাল একটা লেখা। যা ছিল সময়ের দাবি।

৮০| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:০৭

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: সময় উপযোগী একটি পোস্ট। পোস্টটি স্টিকি করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ সামু কর্তৃপক্ষকে -- এখন অনেকে তাদের নিজস্ব ভাবনাগুলো/ মতামতগুলো বিভিন্ন ব্লগ বা ফেবু’র মাধ্যমে প্রকাশ করছে -- এটাও মতামত প্রকাশের একটা বড় মাধ্যম বলে আমি মনে করি ----
শুভকামনা রইল

৮১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৪৭

তাওহিদ হিমু বলেছেন: আমার সন্তান নর্দমায় পড়ে গেছে বলে তাকে নর্দামাতেই ফেলে আসব, তা হতে পারে না। নোংরা পানিতে নেমে তাকে তোলে আনতে হবে, তাকে পরিস্কার করতে হবে। রাজনীতির অবস্থাও একি। রাজনীতি খারাপ হয়ে গেছে বলে একে এড়িয়ে যাওয়া চরম বোকামি ও স্বার্থপরতা। ভীতু ও ক্ষুদ্রমনারাই এড়িয়ে চলে রাজনীতি। ভাল মানুষেরা রাজনীতি ছাড়ায় খারাপ লোক, সন্ত্রাসী, চোর-ডাকাতেরা তা দখল করে ফেলেছে। এখন তাদের হাত থেকে আমাদের দেশের রাজনীতি উদ্ধার করা আমাদের দায়িত্ব। আগে আমাদেরকেই এগিয়ে যেতে পরে, তাহলে আমাদের দেখাদেখি অন্যরাও এগুবে। "আমি যদি না জাগি, মা, কেমনে সকাল হবে? তোমার চেলে জাগলে, মাগো, রাত পোহাবে তবে।"

৮২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫৪

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
স্টিকি করেছে। সেজন্যে মডুদের ধন্যবাদ।
বাককয়েক ঘুরে গেছি। মন্তব্য করা হয় নি।
আমরা রাজনীতির সঙ্গা ভুলে গেছি। কলের চাকায় আটকে গেছি। ছোবরা হচ্ছি।
আগাগোড়া বদলাতে হবে। কাঠামো ভেঙে গড়তে হবে। কঠিন ও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। সম্ভাবনাও কম। তবু আশাবাদী। নতুন আর শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ প্রয়োজন।

৮৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:২১

প্রামানিক বলেছেন: রাজনীতির সংজ্ঞা ভুলে গিয়ে বুদ্ধিহীন হয়ে যাচ্ছি। আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন হওয়া দরকার।

৮৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৩:৩৪

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: রাজনীতিবিদদের আমার মোটেও পছন্দ না।কারন এরা সাধারনকে দিকভ্রষ্ট করে।। হাজার হাজার মেধাবী ছেলেদের বিনিময়ে তৈরী করছে নিজেদের উন্নতির সোপান।। ব্যাতিক্রম যে নেই তাও বলবো না।। তবে সংখ্যা মুষ্টিমেয়, যারা বলতে পারেন "প্রষ্টিটিউশন ইজ বেটার দেন পলিটিক্স"।।
রাজনৈতিক পরিবর্তন আনতে যেয়ে যারা প্রান দিয়েছেন, তাদের একটু খোজ নিতে অনুরোধ করবো।।

৮৫| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩০

নীলপরি বলেছেন: দেরী করে পড়লাম । তবে ভালো লাগলো বিষয়টা ।

৮৬| ১৯ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০

ইসলাম সানু বলেছেন: আর দেরী নয় এগিয়ে যাওয়ার এখনই সময়। চলো সবাই একসাথে এগিয়ে যাই। এর মাধ্যমেই আমাদের পচন ধরা রাজনীতি হতে বেরিয়ে আসবে সত্যিকারী ও আদর্শবান চরিত্রগুলো।

৮৭| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১৫

এক অন্ধ কবি বলেছেন: যথার্ত বলেছেন। সিংহাসন মোহি রাজনীতি ছেড়ে জনগনের গনতানত্রিক রাজনীতি দরকার। তাহলে তরুন প্রজন্ম এটাকে ঘৃনা না করে সম্মানের চোখে দেখবে।

৮৮| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৩৩

হাসান নাঈম বলেছেন: রাজনীতিতে একটা চক্র কাজ করছে - রাজনীতির গুনগত মান কমছে - ফলে ভাল মানুষ রাজতীতি বিমুখ হচ্ছে - ফলে খারাপ মানুষ সেই স্থান দখল করছে - ফলে রাজনীতির গুনগত মান আরো কমছে - ভাল মানুষ আরো বেশী রাজনীতি বিমুখ হচ্ছে . . . .

এই সৈয়দ মুজতবা আলীর সেই চক্রের মত : মানুষ বই কেনে না তাই বই এর দাম কমে না - বই এর দাম কমে না তাই মানুষ বই কিনতে পারে না ...

এই চক্র ভাংতে হলে কিছু সৎ, দেশ প্রমিক, জনদরদী ভাল মানুষকে রাজনীতিতে আসতে হবে। তাহলে চক্রটা উল্টো দিকে চলা শুরু করবে। রাজনীতির পরিবেশ ভাল হবে - আরো ভাল মানুষ রাজনীতিতে আসবে - রাজনীতির পরিবেশ আরো ভাল হবে।

কিন্তু সেই চিরন্তন প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে : বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে? এই অশুভ চক্র ভেঙ্গে কে করবে সঠিক চক্রের সুচনা?

৮৯| ২০ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৩৭

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
অভিনন্দন নেক্সাস ভাই। :)


আমিও রাজনীতিকে ঘৃনা করি।

৯০| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৪৯

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: Click This Link

৯১| ৩০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১১

বিজন রয় বলেছেন: মাস শেষ, নতুন লেখা দিন।

৯২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:১৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: চমৎকার লেখা ও জ্ঞানগর্ভ অালোচনা ।

৯৩| ০৬ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:০৫

রাঙা মীয়া বলেছেন: একদিন সব সত্য বের হয়ে আসবে X(

লেখাটি স্টিকি করার দাবী জানাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.