নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল ।

েশখসাদী

আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল ।

েশখসাদী › বিস্তারিত পোস্টঃ

হযরত ওমর (রা.) এর যে বাণী শুনে আমার স্ত্রী আমাকে তার হক দেন মোহরানা মাফ করার উৎসাহ পেয়েছে ।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৯

সেদিন আমার স্ত্রীর সাথে একত্রে একটি বই পড়ছিলাম । বইটি মূলতঃ হাদিস, বিভিন্ন সাহাবী এবং মুসলিম মনীষীদের বাণী সম্বলিত বই । সেই বইয়ে হযরত ওমর (রা.) একটি বাণী পড়ে আমার স্ত্রী খুবই আগ্রহ বোধ করে এবং আমাকে তার হক দেন মোহরানা আমার উপর থেকে মাফ করে দেয় অর্থাৎ বিয়ের সময় যে দেন মোহর ধার্য্য করা হয়েছিলো, তার মধ্যে যা বাকী ছিলো তা আমি আস্তে আস্তে তাকে পরিশোধ করছিলাম তার দাবী সে ছেড়ে দেয় খূশী মনে । এতে করে আমি একটি বিরাট দেনা থেকে মুক্ত হয়ে গেলাম ও ভারমুক্ত হলাম। :)



হযরত ওমর (রা.) এর সেই বাণীটি হলোঃ



সচরাচর পাচ প্রকার লোক জান্নাতী হবেঃ

১. যে দরিদ্র ব্যক্তির অধিক পোষ্য (সন্তান) কিন্তু সে আল্লাহর উপর ভরসা রাখে এবং সবর করে ।

২. যে স্ত্রীলোকের স্বামী তার প্রতি তুষ্ট থাকে ।

৩. যে স্ত্রীলোক পরিতৃপ্ত মনে স্বামীর উপর দেন মোহরের হক মাফ করে দেয় ।

৪. ঐ ব্যাক্তি যার মাতা-পিতা তার উপর সন্তুষ্ট থাকে

৫. যে ব্যাক্তি কৃত গোনাহগুলো থেকে খাঁটি অন্তরে তওবা করে ।



সূত্রঃ কুড়ানো মানিক - ৪র্থখন্ড, মাওলানা মুহিউদ্দিন খান । মদীন পাবলিকেশন্স ।



দেন মোহর কিন্তু সহজ বিষয় নয় । অনেকে-ই স্ত্রীর দেনমোহর দেওয়াটাকে জরুরী মনে করে না । অথচ দেন মোহর সম্পূর্ণ আদায় না হলে এবং স্ত্রী যদি তা ক্ষমা না করে , তাহলে সেই স্বামী হাশরের মাঠে একজন জেনাকারী হিসেবে উঠবে । আর দেন মোহর অল্প পরিমাণ ধরাই সুন্নত , বেশী করে নয় । তা হলে দাম্পত্য জীবনে বরকত হয় এবং আল্লাহর রহমত হয় । আজকাল বেশী বেশী সাধ্যের অতীত দেন মোহর ধরা একটি ফ্যাশন হয়ে দাড়িয়েছে । যা কোনদিন আদায় হবে না তা ধরার অর্থ কি ? আল্লাহর হুকুমকে সামনে না রেখে যখন দুনিয়ার স্বার্থকে বড় করে দেখা হয় - তখন কি সেরূপ বিয়েতে বরকত ও শান্তি আশা করা যায় ?



যৈাতুক তো ইসলামে নিষিদ্ধ-ই আবার পাহাড় পরিমাণ দেন মোহর ধরাও অনুচিত ।

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০০

খেয়া ঘাট বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

বিদায় ২০১১ইং, স্বাগতম ২০১২ ইংরেজি নব বর্ষ । নতুন বছরের নিরন্তর শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০২

েশখসাদী বলেছেন:
আপনাকেও শুভেচ্ছ । ধন্যবাদ ।

২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৬

পান্থ নজরুল বলেছেন: ভাই, ভাবতাছি দিয়া দিমু . . . .। এই মুহূর্তে সামুতে হাটাহাটি করতাছি, সাথে আছেন আমার হেঁতি, অপনার লেখাটা হেঁতিকে পড়াইলাম কিন্তু কাজ হইলো না!!!

০১ লা জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:৪৩

েশখসাদী বলেছেন:

...কোন জোর জবর দস্তি নাই । খুশী মনে রাজী হতে হবে । আর আমি প্রায় বেশিরভাগ অলরিডি দিয়ে দিছি । আমার মোহরানা কম ছিলো তো ..তাই সহজ হয়ে ছিলো কাজটা ।

৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৭

মদন বলেছেন: ++

৪| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৪

দ্বীনু বলেছেন: অনেক ভাল লাগল। নতুন বছরের শুভেচ্ছা

৫| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৮

স্বল্পজ্ঞানী বলেছেন: বিয়ে করার সময় দেনমোহর/মোহরানা এমনভাবে ঠিক করা উচিৎ যাতে বিয়ের সময়ই শোধ করা যায়, বাকী রাখা ভাল নয়।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৬:৪৫

েশখসাদী বলেছেন:

কথা ঠিক । তারপরও অনেক সময় বিয়ের খরচের পর এটা সব সময় একই সাথে দেয়া যায়না । তবে মূল কথা হলো দিয়ে দিতে হবে - যত তাড়াতাড়ি সম্ভব।

৬| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৬

অনিক আহসান বলেছেন: ভালোই তো...ধর্ম শাস্ত্রের নগদ লাভ এইটাই...একজনের দোহাই দিয়া আর একজনের অধিকার মাইরা খাওয়া যায়.. B-))

৭| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৬

স্বল্পজ্ঞানী বলেছেন: অনিক আহসান @

ধর্ম যে অধিকারটা দিলো সেই অধিকার খর্ব করার জন্য আপনি ধর্মকেই দুষছেন!! ধর্মের বাইরে গিয়ে আপনি বোঝান তো এই মোহরানা/দেনমোহর/ব্রাইড মানি নারীর অধিকার কেমনে হয়!!!

৮| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৪

প্রিয়স্রোত বলেছেন: দিয়ে দেয়াটা উচিত

৯| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৮:১২

গরম সিঙ্গাড়া বলেছেন: মনে হল অনকেটা টাকা দিয়ে বেহেশত কেনার মত।



১০| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৫৭

গরম সিঙ্গাড়া বলেছেন: এই ব্যাপারগুলি আমি একটু কম বুঝি।

আচ্ছা বলুনতো আপনার স্ত্রী কি অলরেডী বেহেশ্তি হয়ে গেছেন? তাহলে কি ওনার আর নামায কালম পরার দরকার নেই?

আর উনি যদি সিওর না হয়ে থাকেন, তাহলে ত টাকা গচ্চা যাওয়ার চান্স থাকে।

তাহলে কি এমন ব্যপারটা এমন যে পেলে পেলাম না পেলেই বা মন্দ কি? যাক না কিছু টাকা, লেগে গেলে তো পুরা বেহেশত!!

ইসলাম ধর্মটাকে কেন আমরা এমন বানিয়ে ফেলছি?

০২ রা জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:৪৯

েশখসাদী বলেছেন:
ভাইরে, বিষয়টা হলো আমাদের সৎকাজ করে যেতে হবে জান্নাত পাওয়ার জন্য । এখন আমাদের কিন্তু দোষের বা পাপের সীমা নেই । আমরা আমাদের টুটা ফাটা আমল দিয়ে জান্নাত আশা করা ঠিক নয় আবার হতাশ ও হওয়া যাবেন । তাই বিভিন্ন ভালো কাজ করা যেন আল্লাহ পাক একটা উসিলায় আমাদের মাফ করে দেন । যেমনঃ এক খারাপ মহিলাকে আল্লাহ পাক বিড়ালের বাচ্চাকে শুধুমাত্র পানি খাওয়ার জন্য মাফ করে দিয়ে ছিলেন ।

আমার স্ত্রী জান্নাতি না জাহান্নামী তা এখনও বলা যাবেনা । তবে আশা করা যায় আল্লাহ পাক তার এ ভালো কাজটা কবূল করবেন এবং তাজে জান্নাত দান করবেন ।

আর নামাজ রোযা তো যতদিন জীবন আছে ততদিন করতেই হবে । এগুলো না করলে তো আল্লাহ পাক যে শাস্তির বিধান রেখেছেন ..তা তার আমলনামায় লেখা হবে ।

আসল কথা ভালো কাজে প্রতিযোগিতা করা ..এবং জান্নাতের দিকে এগিয়ে যাওয়া ।

১১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩৬

মাহমুদুল হাসান অনিক বলেছেন: @গরম সিঙ্গাড়া পরীক্ষার হলে আমরা সবাই পরীক্ষা দেই আমরা কি সিউর থাকি আমরা পাশ করবই বা A প্লাস পাবই?

১২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৮:১৭

মিনার বলেছেন: সূত্রঃ কুড়ানো মানিক - ৪র্থখন্ড, মাওলানা মুহিউদ্দিন খান । মদীন পাবলিকেশন্স :
এই বইতে যে সঠিক কথা লিখা আছে আপনি কিভাবে বুঝলেন, এটা সহীহ হাদীস শরীফগুলোর মধ্যে পড়ে না।
আমি যতটুকু যানি, দেনমোহর মাফ করিয়ে নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। এমনকি স্ত্রী মাফ করে দিলেও।
নিশ্চিত হওয়ার ভাল হাদীসের রেফারেন্স খুজুন

০২ রা জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:৪২

েশখসাদী বলেছেন:
আপনার এই কথাটা ঠিক নয় । আপনি যে কোন ভালো আলেম / মুফতির কাছে জানতে পারেন । আমি এটা অন্য একটা বইয়েও পেয়ে ছিলাম ।

১৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৪:৫১

গরম সিঙ্গাড়া বলেছেন: @মাহমুদুল হাসান অনিক : শুধু হাসলাম =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

০২ রা জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৮:৫২

েশখসাদী বলেছেন:
উনি উনার বুঝ দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করেছেন...সেটাকে ভালো ভাবে দেখেন ।

কথা কিন্তু তেমন ভুল বলেন নি..পরকালেও মর্যাদার পরিমাপ হবে ভালো কাজের পরিমাণ দিয়ে ।

আমাদের উচিত মানুষকে সম্মান করা । না হলে আরেকজন আপনাকে নিয়ে আরেকদিন হাসবে ।

১৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ৯:০৯

মাতবার বলেছেন: যদি স্ত্রী মাফ কইরা দিলেই দেনমোহর মাফ হইয়া যাইত, তাইলে তো আমি দেনমোহর নির্ধারন করার কোন প্রয়োজন মনেকরিনা।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৫৩

েশখসাদী বলেছেন: মাফ না হবার যুক্তি কি ? যারে দিবেন - যে পাওনা সেই মাফ করে দিচ্ছে তারপরও বলছেন মাফ হবে না । এমন কিছূ আছে নাকি দুনিয়া বা আখেরাতে ?

নির্ধারণ করবেন না কেন ? মাফ যে করবে তার গ্যারিন্টি কোথায় ? সবটা না হলেও অর্ধেক হয়তো মাফ করবে । আমি তো অধিকাংশ অংশ অলরেডি দিয়েই দিয়েছি ।

১৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:৫৮

মাতবার বলেছেন: সবক্ষেত্রে কি মাফ চাওয়া উচিত?
বিশেষ করে কোন স্বামী যদি তার স্ত্রীর কাছে দেনমোহর এর টাকা মাফ চায় তখন আমার মনেহয়না এমন কোন স্ত্রী নেই যে মাফ করবে না(আর কিছু না হোক অন্তত চক্ষুলজ্জার জন্য হলেও মাফ করে দিবে)।
আমার মনেহয় স্ত্রীর কাছে দেনমোহর এর টাকা মাফ চাওয়া আর রাস্তায় দাড়িয়ে ভিক্ষা চাওয়া সমান কথা।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:৫৪

েশখসাদী বলেছেন:
জ্বি না ভাই , এখানে মাফ চাইতে বলা হয় নাই ..বরং বলা হইছে স্ত্রী যদি খূশী মনে স্বামীকে মাফ করে দেয় .. । স্বামী কেন বলবে...স্ত্রী এর ফজিলত জেনে মাফ করলে করবে ..না হলে না করবে । এটা আবার সম্পর্ক ও স্ত্রীর ধার্মিকতার উপরও নির্ভর করে ।

ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.