![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শয়তানের অস্ত্র ও চালবাজি প্রত্যেকের জন্য ভিন্ন ভিন্ন । অবিশ্বাসীদের জন্য এক ধরনের আর ঈমানদারদের জন্য অন্য ধরনের । সে কোন ঈমানদারকে এ বলে ধোকা দিবেনা যে নামাজ পড়া ভালো না । কারণ সে জানে এটা ঈমানদার ব্যাক্তি মেনে নিবেনা এবং সে এতে সফলও হবেনা ।
তাই সে মুমিন ব্যক্তির সাথে এভাবে চালবাজি করে যে, এই যে নামাজ এটা অবশ্যই ভালো । এটা করা উচিত - অবশ্যই করব । তবে ইনশাল্লাহ আগামীকাল থেকে শুরু করব । এরপর যখন আগামীকাল আসে , তখন হয়তো মুমিন ব্যক্তি ভূলে যায় সেই নেক কাজের কথা বা মনে পড়লেও আবার তাকে বুঝ দিয়ে দেয় যে, ঠিক আছে আজকে হলো না আগামীকাল করবো । এভাবে সেই আগামীকাল করতে করতে ভালো কাজ আর করা হয় না ।
মুমিন ব্যক্তির কোন বুজুর্গের কথা শুনে বা কোন কারণে হৃদয়ে দাগ কেটেছে , তাই সে মনে মনে ভেবেছে , 'আমল করা উচিত, নিজের জীবনে পরিবর্তন আনা উচিত, নেক কাজগুলো করা উচিত, হ্যা- ইনশাল্লাহ অতি সত্বর আমল করব । এভাবে যখন ভালো কাজে বিলম্ব করা হয় - তখন আর শেষ পর্যন্ত এ ভালো কাজটি করার সুযোগ আর হয় না ।
এভাবে জীবন কেটে যাচ্ছে - সময়গুলো অতিবাহিত হয়ে যাচ্ছে । কুরআন মজীদের ইরশাদ- কালকের জন্য বিলম্ব করো না । হে বিশ্ব মানব ! তোমার প্রভুর স্বীয় মাগফিরাতের দিকে দ্রুততার সাথে ধাবমান হও এবং সেই জান্নাতের দিকে যার বিস্তৃতি আসমান ও জমিনের সমান । যা প্রস্তুত করা হয়েছে খোদাভীরুদের জন্য ।
আবার আল্লাহ বলেছেন,
'সৎ কাজে প্রতিযোগিতা করে অন্যকে ছাড়িয়ে যাও '
মোট কথা , অন্তরে ভালো কাজের ইচ্ছা উদয় হলেই বিলম্ব না করে তা করে ফেলা উচিত ।
নেক কাজের আকাংখা আল্লাহতায়ালার মেহমানঃ ভালো কাজের ইচ্ছা আল্লাহ থেকে আসা এক মেহমান । এ মেহমানকে যত্ন করা উচিত । আর তাকে যত্ন করার অর্থ তার উপর আমল করা । যদি নফল নামাজ পড়ার আকাংখা জাগে আর তখন যদি মনে হয় যে, এটা তো নফল মাত্র , ফরজ বা ওয়াজিব না। না পড়লে তো আর গুনাহ হবে না । ঠিক আছে তাহলে পরে পড়ি বা পড়ব এক সময় । এভাবেই মেহমানের অবমূল্যায়ন করা হলো । যাকে আল্লাহতায়ালা সংশোধনের জন্য বা নেকী অর্জনের জন্য পাঠিয়েছিলেন তৎক্ষণাৎ তার উপর আমল না করলে পিছনেই পড়ে থাকা হয় । জানা নেই এই মেহমান দ্বিতীয়বার আসবে কিনা বরং না আসাটাই বেশী যুক্তিসঙ্গত । কারণ সে ভাববে , অমুক আমার কথা মানেনা , আমাকে অবহেলা করে, আমার যত্ন করে না । সুতরাং আমি তার কাছে যাবো না ।
এমনিতেই সব কাজে তড়িঘড়ি করা দূষণীয় কিন্তু ভালো কাজ অন্তরে আসা মাত্র তাড়াতাড়ি করা প্রশংসনীয় ।
সূত্রঃ ইসলাহী খুতবাত - শাইখূল ইসলাম আল্লামা তাকী উসমানী ।
২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৪
কল্পলোকের রাজপুত্র বলেছেন: আল্লাহ আমাদেরকে বুজার তৌফিক দান করুন। আমিন
০২ রা অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:৩৯
েশখসাদী বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১১:১২
বশিষ্ঠ বলেছেন: সৎ কাজে প্রতিযোগিতা করে অন্যকে ছাড়িয়ে যাও '
আল্লাহপাক আমাদের সৎ কাজের তৌফিক দান করুন।
১৬ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৯:৫৪
েশখসাদী বলেছেন: আমিন ।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০১
এম আবু জাফর বলেছেন: আল্লাহ আমাদেরকে বুজার তৌফিক দান করুন।