নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিপীড়িতের পক্ষে

শেরউডের রবিনহুড

শেরউডের রবিনহুড › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বের সবথেকে সৎ শহর ও সেখানকার এক গর্বিত(!!) বাংলাদেশী

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭

কয়েকদিন আগে ফিনল্যান্ড প্রবাসী আমার এক বাংলাদেশী বন্ধু একটা লিঙ্ক শেয়ার করলেন ফেসবুকে এবং পার্সোনাল মেইলে। লিঙ্ক টা ছিলো বিশ্বের সবথেকে অনেস্ট শহরের জরিপ নিয়ে। জরিপের নিয়মানুসারে বিশ্বের বিভিন্ন বড় শহরে বিভিন্ন রাস্তায় ১২টা ওয়ালেট ফেলে রাখা হয়েছিলো, দেখার জন্য যে কয়টা ওয়ালেট ফেরত পাওয়া যায়। প্রত্যেকটা ওয়ালেটে ফেরত ঠিকানা দেয়া ছিলো। ফলাফল ছিলো নিম্নরুপঃ



১। হেলসিঙ্কি (ফিনল্যান্ড) - ১১টি

২। মুম্বাই (ভারত) - ৯টি

৩।বুদাপেষ্ট (হাঙ্গেরী) ও নিউ ইয়র্ক (যুক্তরাষ্ট্র) - ৮টি

৪। মস্কো (রাশিয়া) ও আমস্টারডাম (নেদারল্যান্ড) - ৭টি

৫। বার্লিন (জার্মানী), ল্যুবলিয়ানা (স্লোভেনিয়া) - ৬টি

৬। লন্ডন(যুক্তরাজ্য), ওয়ারশ (পোল্যান্ড) - ৫টি

৭। বুখারেস্ট (রুমানিয়া), রিও ডি জেনিরো (ব্রাজিল) ও জুরিখ (সুইজারল্যান্ড) - ৪টি

৮। প্রাগ (চেক রিপাবলিক) - ৩টি

৯। মাদ্রিদ (স্পেন) - ২টি

১০। লিসবন (পর্তুগাল) - ১টি



বন্ধু আমার খুবই খুশি কারন সে বিশ্বের সবথেকে সৎ দেশে বাস করে।

"I feeling proud of Finland as well as being happy that I am living such an honest country"



একইসাথে সে বাংলাদেশ কে কটাক্ষ করতেও ছাড়েনি। তার ভাষ্যমতে, বাংলাদেশে এই জরিপ চালালে জরিপকারীর মানিব্যাগ সহ চুরি হয়ে যেত। উনি ভুলে গেছেন যে উনি এই দেশ থেকেই গিয়েছেন, আর এই দেশের আলো হাওয়াতে বড় হয়েছেন। ঢাকা শহরের ২/৩টা পয়েন্ট দিয়ে তো আর সারা দেশ কে বিচার করা যায় না। আমাদের দেশে এখনো রাস্তায় অপরিচিত কাউকে হঠাত অসুস্থ হতে দেখলে মানুষ ধরাধরি করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। অপরিচিত কেউ ঠিকানা জিজ্ঞাসা করলে তাকে একেবারে ঐ ঠিকানায় বাসায় পৌছে দিয়ে আসে মানুষ। আমার তেমন কিছুই বলার ছিলো না। তার মত লোকেদের উদ্দেশ্য করেই বোধ হয় কবি আব্দুল হাকিম লিখেছিলেন -



"যেজন বঙ্গেত জন্মি হিংসে বঙ্গবানী,

সেজন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।"



আরেকটা প্রশ্ন ও আমার মনে জেগেছিলো যে মুম্বাই (অথবা ভারতের যেকোন শহর) কিভাবে এই জরিপে প্রথম ১০ এ থাকে? আমার কয়েকবার ভারত যাবার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি কলকাতা, মুম্বাই, চেন্নাই, দিল্লী প্রত্যেকটা শহরই চোরবাটপাড়ের আখড়া। অবশ্য হায়দ্রাবাদে আমি ভালো সহযোগিতা পেয়েছিলাম ঐখানকার মানুষদের কাছে।



[খবরের লিঙ্ক এখানে।]

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৬

মেহেদী হাসান মানিক বলেছেন: মিরজাফরেরা যুগে যুগে ছিল এবং থাকবে।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৮

শেরউডের রবিনহুড বলেছেন: যথার্থই বলেছেন। "মীরজাফর"।

২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩২

ভোরের সূর্য বলেছেন: হাজার হাজার উদাহরণ দেয়া যায়।তবে আপনি বললেন যে আমাদের দেশে এখনো রাস্তায় অপরিচিত কাউকে হঠাত অসুস্থ হতে দেখলে মানুষ ধরাধরি করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
বিশ্বজিত নামের একটি ছেলে চোখের সামনে কোপায় কোপায় মেরে ফেললো একদম লাইভ। সাংবাদিকরা বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে সেই ছেলেটির ছবি তুলেই চলেছে।ছবি তোলা বাদ দিয়ে কি ছেলেটিকে বাচানো যেত না? এই কি একজন বিপদে পড়লে আরেকজন কে সাহায্য করার নমুনা???

রানা প্লাজা ধ্বংসের পর যখন রেস্কিউ টিম আহত মানুষ কে ধ্বংস স্তূপ থেকে বের করে আনছে তখন এক টিভি সাংবাদিক তার অনুভুতি জানতে চাচ্ছে সেই আহত ব্যাক্তির কাছ থেকে!!! এই অবস্থায় কি একজন চরম আহত লোকের মন মানষিকতা আছে বক্তব্য দেয়ার যেখানে তার বেঁচে থাকার জন্য একটুও সময় নষ্ট না করে দ্রুত চিকিৎ দরকার।

বিএনপি জামায়াতের ডাকা হরতালে যেখানে অ্যাম্বুলেন্স হরতালের আওতার বাহিরে থাকে সেখানে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী থাকা সত্বেও সেই অ্যাম্বুলেন্স ভাঙ্গা হয়।

উপরের সবকয়টি ঘটনা বাংলাদেশের এবং যা ঘটে যাওয়া ঘটনার খুব ছোট্ট একটা অংশ।আমি কোন দলীয় দৃষ্টীকোন থেকে দেখছিনা। আমি কিছু সাধারণ ঘটনার কথা বল্লাম যেখানে দুদলেরই কথা আছে।

বাংলাদেশ থেকে যারা দেশের বাইরে পড়তে যায় বা বাইরের দেশে থেকে যায় তার মধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছে সোসাল সিকুউরিটি মানে সামাজিক নিরাপত্তার জন্য যা আমাদের দেশে নাই।
ছবিটি দেখনু

গতকালের ছবি।এই তিনজন স্পেনের নাগরিক গাড়ীতে চরে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে যাচ্ছিলেন অর্ডার দেয়ার জন্য কিন্তু মাঝপথে এই ভাংচুর।কে সাহায্য করবে এদেরকে? জীবন নিয়ে পালাচ্ছে।শেষে তারা গতকালই দেশে ফিরে গেছে।কি বলবেন এটাকে?গার্মেন্টস হচ্ছে আমাদের অর্থনীতির সবচেয়ে বড় চালিকা শক্তি কিন্তু এভাবেই ক্ষতি হয়ে গেল। তাছাড়া আমাদের ভাবমূর্তি কোথায় গিয়ে দাঁড়াল?কি বলবেন তারা দেশে ফিরে যেয়ে তাদের দেশের লোকের কাছে?

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩৩

শেরউডের রবিনহুড বলেছেন: আসেন ভাই আমরা পজিটিভ দিকটা খুজে বের করি সবসময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.