নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
আমার প্রথম লেখালেখি শুরু করার পেছনের কারণটা বেশ অন্যরকম ছিল- সেটা ছিল অনিচ্ছাকৃত আইসোলেসন! প্রায় এক পক্ষকাল একটা ঘরে আটকে থেকে বাধ্য হয়ে লেখা-লেখির শুরু। তারপরে কয়েক বছর একদম চুপ- শুধু মাঝে মধ্যে রোজনামচা লেখা। আচমকা এক ঝড়ে লন্ড ভন্ড হয়ে গেল জীবন, সবকিছু ভুলে থাকার জন্য ফের লেখালেখির শুরু। আমার বেশীরভাগ লেখা বা লেখার সূত্রপাত সেই সময়েই। ২০০৭ এ প্রথম বাংলা ব্লগের খোঁজ পাই। তারপরে একটানা লিখে গেছি ৪/৫ বছর। ফের বিয়ে, সন্তান, ব্যাবসায়িক ব্যস্ততা,অতি প্রিয় ছোট ভাই, বন্ধুর মত ভাগ্নি, ঘনিষ্ঠ বন্ধু জন, বাবার মৃত্যুতে সব কিছু লন্ড ভন্ড। গত সাত বছর ধরে আমি চেষ্টা করেছি কিছু একটা লিখতে- কিন্তু কি বোর্ডের সামনে বসলেই সব এলোমেলো হয়ে যায়! এক রাশ হতাশা এসে ভর করে মনে। ভাবি- কি হবে লিখে? আমি লিখলেই কি না লিখলেই কি, পৃথিবীর আর কি এমন ক্ষতি-বৃদ্ধি হবে? বই পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলাম। এত প্রিয় ব্লগ আমার – সেখানেও দু-চার মাসে এক আধবার ঢুঁ দেই। এর মাঝেই অনেক পরিচিত জন ব্লগ ছেড়ে চিরতরে চলে গেছে –ব্লগে আমিও অনেকটা অচেনাই হয়ে গেলাম। দু-চারজন ব্লগার ভালবাসার টানে মাঝে-মধ্যে খোঁজ নিয়েছেন। কোথায় হারিয়ে গেলেন-বলে?
লেখালেখির ব্যাপারে আমি ভীষণ রকম স্পর্শ-কাতর। নিজেকে খুব সযতনে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছি। এমনকি আমার অতি ঘনিষ্ঠ অনেক আপনজন-ও জানেনা আমি লেখালেখি করি। আমার নিক বন্ধু আত্মীয়দের প্রায় সবার-ই অজানা! এর কারণ ভয় নয়, দ্বিধা ও সঙ্কোচ! কারণ আমার লেখার- মান ও ভাষা-গত দুর্বলতার! সেজন্য খুব কম ব্লগার-ই আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে চেনে।
এর মাঝে এক ছোট ভাই নব্য প্রকাশক ফেসবুকে যোগাযোগ করে লেখা চাইল। আমি কিছুদিন টাল-বাহানা করে বললাম; সামুতে কয়েকটা সিরিজ আছে দেখেন ওখান থেকে কোনটা নিয়ে করা যায়? সে একটা পছন্দ করল। তার সাথে আমার চুক্তি ছিল; বইতে আমার কোন শর্ট বায়োগ্রাফি ও ছবি দেয়া যাবেনা। আর আমি বইয়ের প্রচারণায় জন্য কোন রকমের সহযোগিতা করব না। বেচারা নতুন প্রকাশন- আর আমি অখ্যাত লেখক! এত বড় রিস্ক নেয়া কি উচিত হবে এই নিয়ে দুই বছর ধরে চিন্তা করছে! আমি যদিও খোঁচাখুঁচি করি কম- কিন্তু সে আমাকে কথা দিয়ে বিপদে পড়ে গেছে।
কোভিড-১৯ নামে নতুন এক রোগের আবির্ভাবের সাথেই সারা বিশ্বের অভাবনীয় এক পরিবর্তন দেখার সুযোগ হল। সে ধারাবাহিকতায় আমার জীবন যাপনেরও বেশ একটু পালটে গেল। ভেবেছিলাম প্রথম তিনমাস শুধু লিখব আর লিখব। কত শত প্লট মাথার মধ্যে ঘুরে বেড়ায়, কিন্তু লিখতে গেলেই সবকিছু গুলিয়ে যায়। এরপরে আছে মেসেঞ্জারের প্যাড়া। সারা বিশ্বের বন্ধুদের একসাথে অখণ্ড অবসর- অস্টেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের সাথে জার্মানি, ইউ কে’র সময় আবার ওদের সাথে আমেরিকা – কানাডার সময় মেলে না। সারাদিন টুং টাং। ছিঁড়ে যাওয়া বা আলগা হয়ে যাওয়া সুতো-গুলোয় ফের মাঞ্জা দেয়া।
এবার হাল ছেড়ে দিলাম- আর হবেনা।সব ছেড়ে যখনই ফের ব্যস্ততম জীবনে প্রবেশ করতে যাব ঠিক তখন-ই করোনার(সম্ভাব্য) আমার ঘরে প্রবেশ। সবাইকে ছেড়ে অগত্যা বাধ্য হয়ে ফের আইসোলেসন। এবার সব বন্ধুরাও ব্যস্ত- তাদের নাগরিক জীবন নিয়ে। নিজের পরিবারও আমার থেকে নিরাপদ দুরুত্বে! আটঘাট বেধে বসলাম বই পড়া আর লেখা-লেখি নিয়ে।
ব্লগে দু-একটা লেখা দিতেই দেখি আমার কয়েকজন প্রিয় ব্লগার( মনিরা সুলতানা আপু , জনাব আমি ব্লগার হইছি,জনাব আকন বিডি,জনাব অদৃশ্য, জনাব অশুভ, জনাব ভুয়া মফিজ সহ অনেকেই) আমার লেখা পুরনো একটা সিরিজ, যেটার মাঝপথে ইজ্জত হারানোর ভয়ে চম্পট দিয়েছিলাম- সেই সিরিজের কথা মনে করিয়ে আমাকে খোঁচাচ্ছে। ভেবেছিলাম এই অতি অখ্যাত লেখকের কথা সবাই সবাই ভুলে গেছে। এত পুরনো একটা সিরিজের কথা কারো মনে থাকবেনা নিশ্চিত ছিলাম- কিন্তু কিসের কি? পুরনো কিছু সন্ত্রাসী(!) এখনো রয়ে গেছে ব্লগে। যাদের কারণে আমার সংসার টেকানো দায় হয়ে পড়বে।
আগেই তোলা ছিল কিছু নোট আর সেই গল্পের কিছু চুম্বক অংশ। অবশেষে একটানা চারদিন বসে বসে জোড়া তাপ্পি তালি দিয়ে একটা পরিপূর্ণ সিরিজ দাড় করালাম।
‘আলকাশ’( যার সম্ভাব্য অর্থ: বদ্ধ মাতাল) শুরু করেছিলাম খালি চোখে। এখন ভারী চশমার বেড়া। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আবেগ কমে আসে। পুরনো উন্মাতাল প্রেম-ভালবাসাকে মনে হয় ছেলেমানুষি পাগলামি! সততা, নীতি-বোধ বেশ প্রগাঢ় হয়। লিখতে বসে বুঝলাম এভাবে লেখাটা অন্যায়- কারো প্রেমিকার নগ্ন শরীরকে সবার সামনে উন্মোচন করে দেয়াটা নীতিহীন বোধের পরিচায়ক।কিন্তু একেবারে না দিলে তো লেখাটা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। এ সিরিজের একটা বড় অংশ জুড়ে আছে নারী-প্রেম,মদ আর সিগারেট। তাইতো অবশেষে দিলাম, তবে সূক্ষ্ম মসলিন কাপড়ের পর্দা দিয়ে ঢেকে- পুরোটা দেখা যায়, আবার দেখা যায় না।
প্রিয় ব্লগার, ‘আলকাশ’ নিয়ে নতুন করে শুরুর গল্পটা দু’দশ লাইনের মধ্যে লিখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু হল আর কই। আমি আমার প্রথম আইসোলেসনের গল্পটা বলতে চেয়েছিলাম; কিন্তু লেখা যত কলেবরে বাড়বে পাঠকের কপাল তত বেশি কুঞ্চিত হবে।
তাইতো এখানেই সমাপ্তি টেনে যারা এর পূর্বে পড়েননি তাদের জন্য আগের পর্বগুলোর লিঙ্ক দিয়ে দিলাম-যদি মনে চায় একটু চোখ বুলিয়ে নিবেন;
আলকাশ প্রথম পর্বঃ Click This Link
আলকাশ দ্বীতিয় পর্বঃ Click This Link
আলকাশ তৃতিয় পর্বঃ Click This Link
আলকাশ চতুর্থ পর্বঃ Click This Link
আলকাশ পঞ্চম পর্বঃ Click This Link
আলকাশ ষষ্ঠ পর্বঃ Click This Link
আলকাশ সপ্তম পর্বঃ Click This Link
২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০৫
শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই। আপনার আন্তরিকতা ও সহমর্মিতায় আমি ধন্য।
জ্বী আমারই হয়েছিল( সম্ভবত- চেক করাইনি, তবে অল্প-সল্প সব উপসর্গ ছিল )
ভাল থাকুন- অবশ্যই আলকাশে'র সব সিরিজে যেন আপনাকে সাথে পাই
২| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কি হবে লিখে? লিখবেন মনের আনন্দে। কেউ পড়লে ভালো.....না পড়লেও ক্ষতি নাই। জীবনে ঝড় আসবে, উত্থান-পতন হবে; সবার জীবনেই হয়। সেগুলোই না হয় লিখলেন! পৃথিবীর ক্ষতি-বৃদ্ধি অনেক বড় ব্যাপার। আমরা আদার ব্যাপারী। ওসব নিয়ে ভেবে সময় নষ্ট করার দরকার কি?
এই যে আমি লিখি, আর কেউ জানুক আর না জানুক, আমি তো জানি......কি ছাইপাশ আমি লিখি। তারপরেও লিখি। নিজের মনের কথাগুলো বলি। বিশাল অডিয়েন্স না জানুক, কেউ কেউ তো জানছে! তাই বা কম কি? না লিখলে সেটাও তো হতো না।
আলকাশ নিয়ে ফিরে আসছেন আবার, বিরাট সংবাদ। নতুন ব্লগারদেরও এখান থেকে শেখার আছে। নয় কি!!
২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১৭
শেরজা তপন বলেছেন: ব্রাদার, আপনাদের উৎসাহ- অনুপ্রেরনাই আমকে ফের ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে অতি প্রিয় সামু 'ব্লগে'।
কথা ঠিক- যুক্তি অকাট্য!
খুব ভাল লাগছে ফের ব্লগে নিয়মিত হব ভেবে।আপনাদের সান্নিধ্য ধন্য হব।
ভাল থাকুন- আরো লিখুন।
৩| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বেশ উঠানামায় চলছে আপনার লেখক জীবন আশা করছি এবারে বই মেলায় পূর্ণতা পাবে! অগ্রিম শুভ কামনা জানিয়ে রাখলাম এবং আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় থাকলাম। হ্যাঁ আপনি আপনার লেখা নিয়ে ভীষণ ই স্পর্শ কাতর বেশ সযত্নে লুকিয়ে ও রাখেন। কিন্তু কিছু লেখার ধাঁচের সবসময়ই কিছু মহা মহা আগ্রহী এবং ভক্ত পাঠক পাওয়া যায়। ব্লগে আপনার ভ্রমণ গল্প গুলোর পাঠক প্রিয়তা তার প্রমাণ। আরও একটু প্রমাণ চাইলে নির্দ্বিধায় জানিয়ে দিতে পারি নেট সার্চ করে গুগুলে জমা রাখা আপনার সব লেখাই আমি পড়ে এসছি সে সংবাদ। আমার বিশ্বাস আপনি লিঙ্ক না দিলেও আমার মত খুঁজে অনেকেই সেগুলো পড়েছেন। আমাদের জুন আপু ও আপনার আলকাশের একজন পাঠক ছিল মনে আছে।
মাঝের বিরতিতে যাদের হারিয়েছেন, আল্লাহ তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আর আপনার আইসোলেশন সময় এর চমৎকার পরিসমাপ্তির।
এ বিগ থ্যাংকস লিঙ্ক গুলোর জন্য; আমার আরেকবার ভ্রমণ হয়ে যাবে আলকাশের সাথে।
নতুন পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম
২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪৭
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি খোঁচাখুঁচি না করলে 'আলকাশ' আর আলোর মুখ দেখত কিনা সন্দেহ আছে।
আমার বড় সৌভাগ্য আপনার মত একজন একনিষ্ঠ পাঠককে এই ব্লগে পেয়েছি। শুধু পরায় নয় লেখা লেখিতেও আপনার দারুন হাত।
ব্যাবসায়ীদের লেখক হওয়ার বেশ বড় একটা সমস্যা আছে। এত দ্রুত মতি গতি পালটায় যে, লেখার ধারাবাহিকতা ঠিক থাকে না।
জ্বী জুন আপু, রেজোয়ানা আপু, শায়লা আপু, কালো পরি সহ অনেকেই নিয়মিত আমার ব্লগে আসতেন।
আপনাকে আরো বেশি ধন্যবাদ- আমার ফিরে আসার পেছনে আপনার অবদান অনেক। ভাল থাকুন-সব সময়
৪| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২০
মা.হাসান বলেছেন: যাদের নাম বলেছেন ব্লগে এনাদের সবাইকেই মোটামুটি দেখেছি, তবে ''আমি ব্লগার হইছি'' এবং ''অশুভ'' এই দুই জনের কথা মনে হয় আগে শুনিনি।
হাজার হাজার ভিউ হতে হবে এমন কথা না। একজনেরও যদি ভালো লাগে তাহলেই চলে। এমনকি যদি কেউই না পড়ে, লিখলে নিজেরও তো কিছুটা ভার মুক্ত হয়। কাজেই লেখা অব্যহত রাখার অনুরোধ রইলো।
২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫৫
শেরজা তপন বলেছেন: মা হাসান ভাই, জ্বী উনারাও আছেন। হয়তো আপনার চোখ এড়িয়ে গেছে।
আপনার যুক্তি ঠিক। ব্লগে লেখক-পাঠক সবারই সল্পতা। মাত্র কয়েকজনই ঘুরে ফিরে মন্তব্য করেন। তারা না হলে ব্লগের অনেক লেখাই মন্তব্যহীন থাকত। আমার কৃতজ্ঞতা সেইসব একনিষ্ঠ ব্লগারদের প্রতি। লেখায় মন্তব্যের সংখ্যা বিচার করে আমি পোস্ট দেইনা।
তবে হ্যা আমার দুটো সিরিজ' একটি মৃত বিজ্ঞাপন চিত্র' ও 'গল্প থেকে নাট্যরুপ' পাঠক প্রিয়তা পায়নি বলে হতাশায় পোষ্ট দেয়া বন্ধ করে দিয়েছি। এ রকমও হয়
আপনাকে সবিশেষ ধন্যবাদ আন্তরিকভাবে উৎসাহ দেবার জন্য। ভাল থাকুন
৫| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
লেখা হচ্ছে আগুন।
আগুন তো ছাইচাপা থাকবে না।
আপনি লিখুন।
কেউ পড়ুক আর না পড়ুক।
আমরা তো আছি।
২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫৯
শেরজা তপন বলেছেন: দেখছিতো বেশ কিছুদিন- আপনি ও আপনাদের মত কিছু একনিষ্ঠ ব্লগার( নাম বললে অন্য কেউ মন খারাপ করতে পারে) না থাকলে ব্লগের বাতি তো নিভে যেত এত দিন।
সব সময় আমাদের মত ছন্নছাড়া ব্লগারদের পাশে এভাবে পাশে থাকবেন এই আশা রাখছি।
৬| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
করোনার টিকা আবিস্কার বন্ধ করে দিলে, কেমন হয়?
২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০১
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি লেখার বাইরে এমন সব প্রশ্ন করেন!!!
খুব ভাল হয় - আমারতো হয়ে গেছে। স্বার্থপর মানুষতো- নিজেকেই নিয়ে ভাবি শুধু
৭| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:২৩
নেওয়াজ আলি বলেছেন: লিখেন ভালো। বই করলে জানাবেন তবে মেলায় করলে ভালো হয়। বই নিবোই নিবো
২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৫১
শেরজা তপন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ফের ধন্যবাদ।
বই ছাপানোর মত লেখার গাঁথুনি আমার নেই ভাই। ওইসব নিয়ে ভাবিনা তেমন। হলে হবে নাইলে নাই
যদি ছাপা হয় কোনদিন অবশ্যই জানাব।
ভাল থাকবেন
৮| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:২৩
শের শায়রী বলেছেন: আপনি লিখলে খারাপ হবে না, আগের কিস্তিতে যখন লিখতাম ( মাঝে প্রায় ছয় বছর ব্লগে লিখি নি) তখন সেভাবে পড়া হয় নি, এই কিস্তিতে আমি কিন্তু আপনার ভক্ত হয়ে গেছি। আই মীন ইট।
২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:১৮
শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে আমি ব্লগে অনেক আগে থেকেই চিনি। আমি জেনে অভিভূত হলাম!
এর মাঝে আপনার 'সামু ব্লগে কেন আসে না আগের মত লেখা' পড়ে আসলাম। দারুন তথ্য সমৃদ্ধ ও বাস্তবতার নিরিখে লিখেছেন।
আমি ও আমরা চাই সামু'র আবার সেই স্বর্ণ যুগ ফিরে আসুক। ইমন যুবায়েরে মৃত্যু সবার মত আমাকেও ভীষণ ব্যাথিত করেছিল। হয়তো আরো বেশী কেননা তিনি শেষ প্রতিউত্তর দিয়ে ছিলেন আমার মন্তব্যের!
আমি হারিয়ে যাওয়া স্বর্ণ যুগের সেই ব্লগারদের খুজে খুজে ম্যাসেজ পাঠাচ্ছি- কেউ যদি ফিরে আসে সেই আশায়।
লেখার ভুল-ভ্রান্তি ধরিয়ে দিলে খুশি হব। ভাল থাকুন নিরন্তর
৯| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: বিনা দ্বিধায় প্রচুর লিখুন। দরকার আছে।
২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৩২
শেরজা তপন বলেছেন: ভাই বেশ কিছুদিন নতুন করে ব্লগ পর্যবেক্ষণ করছি। ব্লগের সার্বিক উন্নয়নে আপনার প্রচেষ্টা প্রণিধানযোগ্য।
আপনার সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনায়
১০| ২৯ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১২:২১
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন, " আপনি লেখার বাইরে এমন সব প্রশ্ন করেন!!! "
-আমি ভাবছিলাম, টিকা বেরিয়ে গেলে তো "আইসোলেসান" থাকবে না, আপনার লেখা বন্ধ হয়ে যেতে পারে; তাই ভাবছিলাম, টিকা আবিস্কার না হলে, আইসোলেসান থাকবে, আপনার লেখা চলতে থাকবে।
২৯ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৫৪
শেরজা তপন বলেছেন: এবার আইসোলেসনে-তো অসুখে আছি। টিকা নিয়ে আর তেমন মাথা ব্যাথা নেই। লেখালেখির মুড একবার চলে আসলে- আর কিছুই লাগে না
আপনার সব মতামত কে আমি শ্রদ্ধা করি-এর গভীরতা বোঝার চেষ্টা করি।
১১| ২৯ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১:৫৯
কাতিআশা বলেছেন: লিখতে থাকুন ভাইয়া..পাশে আছি!
২৯ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৪১
শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ আপু- এভাবেই সবার পাশে থাকবেন সবসম্য আশা রাখছি। আমরাও আছি আপনার সাথে।
আপনি এখন সুস্থ-তো?
১২| ২৯ শে জুলাই, ২০২০ ভোর ৬:৪৪
পারভীন শীলা বলেছেন: আমার মতে লেখালেখি একজন লেখকের ভেতরের না বলা কথাগুলো প্রকাশ করা। সম্পূর্ণ নিজের আনন্দের জন্য।কোভিট-১৯ অনেককেই এই জগতে ফিরিয়ে এনেছে।
২৯ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৪৪
শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক বলেছেন- কোভিড ১৯ সুযোগ করে দিল ফের আমার মত 'কাজ নাই তো খই ভাজ' টাইপের লেখকের লেখালেখি জগতে ফিরে আসার
ভাল থাকুন-সুস্থ থাকুন, প্রিয় মানুষের পাশে থাকুন
১৩| ২৯ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:৩৯
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: যারা অনেক লেখে তারাই হয়তো একদিন সফল হয়।
২৯ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৫১
শেরজা তপন বলেছেন: @ দেশ প্রেমিক বাঙালী - হয়তো হয় হয়তো হয়না। ঠিক তাই- আমার মত ' অখন্ড অবসরে খন্ডকালীন' লেখকের সফল খুব বেশী সম্ভাবনা আছে বলে মনে হয় না।
ব্লগের সবার সাথে থাকুন- বেশী বেশী লিখুন। ভাল থাকুন। বাংলা ভাষা'র সাহিত্য চর্চায় আপনার মত দেশ প্রেমিকের প্রয়োজন
১৪| ২৯ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:২৫
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: আমাদের মত শখের লেখিয়েদের যে কত যন্ত্রণা রে ভাই! উপরে ভুয়া মফিজ ভাই কত সুন্দর করে লেখা-ভাবনা বললেন।
আমরা নিজের আনন্দে লিখি- আমরা এমনিই এসে ভেসে যাই...
কলম চলুক, সামনের ছুটিতে আলকাশের সাথে কিছু সময় কাটবে আশা করি।
শুভকামনা নিরন্তর...
২৯ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৫৬
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার লেখা বেশ উঁচুমানের ভাই। আর ভুয়া মফিজ ভাই কেন যে ভুয়া নাম নিয়েছেন সেটা নিজে ভাল জানেন- কিন্তু তার লেখার মুন্সিয়ানায় নিক'টাকে ভুয়া মনে হয়।
এদিকে আমার লেখা 'গরিবের বেনারসি শাড়ি'র মত-মাঝে মধ্যে ভাজ খুলে দেখি শুধু গায়ে পরার সাহস হয়না। এত অল্প ভাষাজ্ঞান নিয়ে ব্লগে লেখা দিতে গিয়ে মরমে মরি!
আশায় বসত গড়ি আর নিজের আনন্দেই লিখি- কোন একদিন গাইতে গাইতে গায়েন না হই, সারিন্দা হয়তো হব
ভাল থাকুন-তবে এমন কঠিন একটা নিক কেন নিলেন সুযোগ পেলে বলে যাইয়েন?
১৫| ২৯ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: আমি ব্লগিং ভালোবাসি।
ব্লগিং করে সীমাহীন আনন্দ পাই।
২৯ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:২৯
শেরজা তপন বলেছেন: ব্লগে আপনার নিয়মিত মন্তব্য আর পোস্ট দেখলেই- অনুমান করা যায়, ব্লগের প্রতি আপনার আন্তরিকতা ও ভালবাসা
১৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৪৯
অশুভ বলেছেন: আপনার জীবনে অনেক ঝড় বয়ে গেছে। আপনার ছোট ভাই যখন মারা যান, তখন সম্ভবত আমি জাপানেই ছিলাম। ব্লগে আসা হত না তখন, এই জন্য জানতে পারিনি। দোয়া করি আপনার লেখার মতই আপনি আবার দৃঢ় হয়ে উঠুন, ঠিক আগে যেমন ছিলেন।
আমার মতো এত নগন্য একজন ব্লগারের অনুরোধ রেখেছেন এবং আপনার লেখায় আমার উদ্ধৃতি দিয়েছেন। আমি অসীম কৃতজ্ঞ।
০৩ রা আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৪
শেরজা তপন বলেছেন: ছিঃ ভাই কি বলেন- নিজেকে এত তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে আমাকেতো লজ্জায় ফেলে দিলেন!
আমি দারুন আনন্দিত আপনাকে পেয়ে।পর পর তিনটে সিরিজ দেবার পরেও পরিচিত তেমন কাউকে ্না পেয়ে মনটা খারাপ হয়েছিল।
একন কিছুটা নিরাপদ আর আরামবোধ করছি পরের পর্বে দেখা হচ্ছে
১৭| ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:১৬
শামছুল ইসলাম বলেছেন: রক্তে লেখার নেশা থাকলে, যেখানেই পালিয়ে বেড়ান, আপনার নিস্তার নেই।
সে আপনাকে দিয়ে লিখিয়েই ছাড়বে।
পুরনো তারে নতুন করে সুর বাঁধা, কঠিন কাজ।
তবে লেখার প্রতি ভালোবাসা থাকলে সব কেমন জলবৎ তরলং হয়ে যায়।
আপনি তাই করে দেখাচ্ছেন।
শ্রদ্ধা হে লেখক!
২৩ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৫৭
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার 'চুয়েটের স্মৃতি'র নিয়মিত পাঠাক আমি। পড়তে পড়তে আমার বার বার মনে হয়েছে আমিও সেই হোস্টেলের একজন ছাত্র।
দারুন লেখেন আপনিও।
আমি মনে করি- লেখা লেখির জন্য একজন লেখকের প্রচুর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার প্রয়োজন। তারপরে দরকার চেষ্টা, যোগ্যতা, ভাষার দক্ষতা ও সময়ের প্রয়োজন।
ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা বেশ ভালই আছে আমার, তারপরে চেষ্টা করেছি এক সময়- কিন্তু যোগ্যতা নিয়ে সন্দিহান! ভাষার দক্ষতা ভীষণ রকমের কম- আর নাগরিক ব্যাস্ততার মাঝে সময় বের করা বেশ কঠিন। একজন ব্যাবসায়ীর পক্ষে লেখক হয়ে ওঠা খুব কঠিন বটে!
আপনার মন্তব্য আমাকে দারুন ভাবে অনুপ্রাণিত করল ভাই- ভাল থাকুন সবসময়।
১৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৪৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,
আত্মকথন নির্ভেজাল হয়েছে।
নিজের মাঝে নিজেরই একটা আপন ভুবন যখন গড়ে তুলেছেন সেখানেই ডুব দিন লেখা লিখি নিয়ে। এই যে লিখলেন সব দ্বিধা ঝেড়ে, এটা তো অপূর্ব লাগছে আমার কাছে। হয়তো অনেকের কাছেই।
লিখুন, লিখতে লিখতেই দেখবেন নিজের ভুবনটা কেমন আলোকময় হয়ে উঠেছে।
যেটা খালি চোখে শুরু করেছিলেন সেটা চশমার কাঁচের ভেতর থেকে পরিষ্কার দেখা যাবে।
২৫ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:১৩
শেরজা তপন বলেছেন: ডঃ আহমেদ জী এস ভাই, সবিশেষ ধন্যবাদ আপনার এমন চমৎকার মন্তব্যের জন্য!
আপনারও দারুন সব লেখাগুলো পড়ে আমি উদ্বুদ্ধ হই।
এমন করে সব সময় সাথে থাকবেন আর অনুপ্রেরণা দিয়ে উৎসাহিত করবেন সেই আশা রাখতেই পারি।
ভাল থাকুন সবসময়
১৯| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৩:৩০
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: খুভ ভালো লাগলো। এখন সবগুলো পড়বো। আপনি ভালো থাকবেন।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫৩
শেরজা তপন বলেছেন: সবগুলো পড়েছেন বলেই আমার ধারনা।
সবিশেষ ধন্যবাদ - আপনিও ভাল থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার লেখার হাত ভালো। দমে যান কেন মাঝে মাঝে? বইয়ের কাজটা সেরে ফেলুন এখনই। আগামী বইমেলা যদি বসে, আপনার বইটাও আসবে সেই আশা রাখি।
যাদের হারিয়েছেন, তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করি। করোনা কি আপনার? (সম্ভাব্য) যারই হোক, দোয়া করি সেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।
শুভ কামনা রইল শেরজা তপন ভাই।