নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
গল্পটা ছোটবেলার! মফস্বলে ছিলাম বলে শহর থেকে(বিশেষ করে ঢাকা থেকে) অনেকখানি পিছিয়ে ছিলাম আমরা- তাই সময়টা খুব বেশি পেছনের না হলেও বেশ পুরনো বলেই মনে হবে।
আমাদের ওখানে একমাত্র ছবি তোলার স্টুডিয়োর নাম ছিল ‘বিউটি স্টুডিও’। মালিক জনৈক কাশেম। জাঁদরেল গোফের জলদ্গম্ভীর কন্ঠের সেই ভদ্রলোক সারাক্ষন-বিরাট ভাবে থাকতেন। নিজেকে তিনি অতি উঁচুমানের ফটোগ্রাফার ভাবতেন। তার ভাবের পাত্তা না দিলে ছবি তোলা মুশকিল হয়ে যেত! ছাপড়ার স্টুডিও টিনের চাল- ভিতরে আধো অন্ধকারে অন্যরকম একটা পরিবেশ! পিছনের দেয়ালে পুরোটা জুড়ে হার্ডবোর্ডের উপরে রংতুলিতে আকা ছবি। নীল আর সাদার আধিক্য ছিল বেশী!
সেই ছবিতে কি নেই; রাজ হাস থেকে শূরু করে এরোপ্লেন, রিক্সা থেকে হেলিকপ্টার!এত্ত ছোট একটা ক্যানভাসে, আর্টিষ্ট তার সব কারিশমা ঢেলে দিয়েছেন যেন! জীবনে যা দেখেছেন এবং যা দেখেননি তার সব কিছু এঁকেছেন তিনি। বিশাল অট্টালিকার সামনে নীল সরোবর! সেখানে রাজহাস আর পাল তোলা নৌকা একসাথে ভাসছে- নৌকার থেকে ছোট সাদা রঙের বিমান আর হেলিকপ্টার নৌকার তোলা পালের পাশ দিয়ে অতি শান্তিতে উড়ে যাচ্ছে।
সেখানে সেজেগুজে গুষ্টিধরে গিয়ে সবাই সাদা-কালো ফ্যামিলি পিক তুলত! ঘেটি সোজা বাঁকা করতে করিতে জীবন শেষ।
পর্দার আড়ালে তখন আর ফটোগ্রাফাররা থাকেননা- সেই যুগ শেষ হয়ে গেছে তখন। সে সময় আধা শহর ও মফস্বলের সব ফটোগ্রাফাররা টি এল আর (টুইন লেন্স রিফ্লেক্স) ক্যামেরা ব্যাবহার করতেন।[একই ফোকাল লেন্থ দুটো লেন্স দিয়ে ঢুকত- একটা দিয়ে ঢোকা ছবি উপরের পর্দায় ছবি ভেসে উঠত যেটা মুলত ক্যামেরাম্যানের দেখার স্বার্থে( এখন যেটাকে বলে ভিউ ফাইন্ডার) আরেকটা দিয়ে ছবি ফিল্মে প্রবেশ করত। ( একটা লেন্স দিয়ে দুটো কাজ করতে চাইলে শাটার খুলতে হবে, তখন শাটার খোলা মানেই ফিল্মে আলো ছায়ার ছাপ পরা-এক লেন্স দিয়ে দেখা ও ছবি তোলার প্রযুক্তি তখনো বের হয়নি)
• জানা যায় যে এই ধরনের ক্যামেরার উতপাদন ১৯৭৩ সালে শেষ হয়ে গেছে ( এর পড়ে এসেছে এস এল আর যার অর্থ- সিঙ্গেল লেন্স রিফ্লেক্স, এর পড়ে ডি এস এল আর- ডিজিটাল সিঙ্গেল লেন্স রিফ্লেক্স)
• এর পরেই ফটোগ্রাফিতে রেভ্যুলেশোন আনল এস এল আর। একই লেন্স দিয়ে দুটো কাজ- ভিউ ফাইন্ডার তখন চলে গেল পেছন দিকে। এস এল আর প্রযুক্তি আর পাল্টায়নি- পাল্টাবে বলে মনে হয় না।
তিনি উপরের ভিউ ফাইন্ডার থেকে সবাইকে লক্ষ্য করতেন। কতবার এসে এসে যে, এর ওর ঘেটি গর্দান ঠিক করতেন তার ইয়ত্তা নেই!
ফ্যামেলি পিকে তাও দেরি সহ্য হয়- পার্স্পোর্ট সাইজের ছবির জন্য সে কি হয়রানি! বলে দিতেন সাত দিন বাদে আইসো। সাতদিনের পর থেকে ঘোরাঘুরি শুরু। শুধু বলে আজ না কাল কাল না পরশু। চটানো যায় না তাকে- বড় এলেমদার ফটোগ্রাফার বলে কথা। নিজের ঘরের এককোনে ডার্করুম-সেখানে বেশীরভাগ সময় থাকেন। না হয় তার টেবিলের এক কোনে কাচের একটা বাক্সের নীচে ল্যাম্প লাগানো। তার উপরে পরিস্ফুটিত নেগেটিভ রেখে রংতুলি দিয়ে গভীর মনোযোগে কাজ করতেন। নেগেটিভে তুলির ছোঁয়া না দিলে নাকি ছবির সৌন্দর্য ফোটে না। চাইলে রঙ্গীন ছবিও সেখানে পাওয়া যায়; কিন্তু সেটা সাদাকালো ছবির উপরে রঙ করা। সে ছবি দেখে আলগা মেকাপ লাগানো মনে হয়।
ধীরে ধীরে তার প্রতিদ্বন্দ্বী বাড়তে থাকল আর তার জৌলুস কমতে থাকল। ইয়াসাকি ক্যামেরা আর রঙ্গিন ফিল্ম নিয়ে অন্য একজন হাজির হোল। পেছনের দেয়ালে তার আধুনিক ছবি। আমব্রেলা ফ্লাশ লাগিয়েছেন। ঘর লাগোয়া একটা মিনি মেক আপ রুম, সেখানে কৌটায় তিব্বত পাঊডার, চিরুনি আর টাই-ও ছিল একখানা। কিন্তু সেখানে সমস্যা হোল আরেকটা –পুরো রোল শেষ না হলে তিনি শহরে ডেভলপ আর প্রিন্ট করাতে যেতেন না। তাড়াতাড়ি ছবি চাইলে পুরো ফিল্ম রোলের দাম দিতে হবে। রঙ্গিন ছবি পাবার লোভে আমরা অপেক্ষা করতাম দিনের পর দিন।
--------------------------------------------
একসময় শহরমুখী হলাম, তখন দেখেছি বিভিন্ন স্টুডিয়োর নানা রঙের সাইনবোর্ড। একদিনে রঙ্গিন ছবি। তিন ঘন্টায় পাস্পোর্ট সাইজের ছবি এইসব বিজ্ঞাপন মোড়ে বা রাস্তার পাশের সব স্টুডিয়োতে।
একদিন বড় এক স্টূডিওতে এক মিনিটে রঙ্গিন ছবি আর পাসপোর্ট সাইজের ছবির সাইনবোর্ড দেখে চমকে উঠলাম।
আমরা প্রবেশ করলাম পোলারয়েড ক্যামেরার যুগে। তবে ফিল্মের মুল্য খুব বেশি হওয়ায় ছবি তোলার সঙ্গে সঙ্গে প্রিন্ট হয়ে বের হয়ে যাওয়ার যুগান্তকারী এই প্রযুক্তিটা তেমন জনপ্রিয়তা পায়নি। তবে বিষয়টা ম্যাজিক্যাল ছিল। ছবি তোলার পর মুহুর্তেই ক্যামেরার সামনে দিয়ে বের হয়ে আসা চারকোনা ভারি কাগজটা কিছুক্ষন বাতাসে দোলালেই রঙ্গিন ছবি ফুটে উঠত।
পোলারয়েড এই ক্যামেরাখানা দ্বীতিয়বার রাশিয়া গিয়ে এনেছিলাম। রাশিয়ায় তখন পোলারয়েদ ক্যামেরার দারুন রমরমা বাজার। সচ্ছল সবার হাতেও পোলারয়েড ক্যামেরা। যেখানে যাবেন( পর্যটন এরিয়াতে)সবখানেই এই ক্যামেরা হাতে ভাড়াটে ফটোগ্রাফারদের ভীড়। আমি একটা কিনে এনে দেশে ফিল্মের দাম দেখে ভিমড়ি খেয়ে এন্টিক শো পিসের সাথে সাজিয়ে রেখেছি।
পোলারয়েড ক্যামেরায় ১৯৯৮ সালে মস্কো ঘন্টার সামনে ছবি। কাউকে চেনা যাচ্ছিল না দেখে খানিকটা যায়গায় একটু চকচকে করেছিলাম
পোলারয়েড বা ইন্সট্যান্ট ক্যামেরাঃ
পোলারয়েড হচ্ছে নগদে ছবি তোলার জন্ম গুরু। প্রথম এই ক্যামেরা আবিস্কৃত হয় জাপানে ১৯৬০ সালে। ১৯৭২ সালে এস এক্স ৭০ নামে ফুজিফিল্ম প্রথমবার এই ক্যামেরা বাজারে ছাড়ে। আর কোডাক ছাড়ে ১৯৭৬ সালে।
• ফুজি ১৯৮১ সালে প্রথমবার Fotorama ব্রান্ডে ইনস্ট্যান্ট বা পোলারয়েড ক্যামেরা বাজারে ছাড়ে! The name Fotorama came from photograph and panorama তবে ফটোর p কেন F হয়ে গেল সেটা জানা যায়নি।
পোলারয়েড ক্যামেরায় ফিল্ম রোলের পরিবর্তে ফিল্ম কার্টিজ ব্যাবহার হয়। একটা ফিল্ম কার্টিজে সাধারনত তিনটা ফিল্ম থাকত। আমি ঢাকাতে দেখেছি নব্বুইয়ের দশকে যতদুর মনে পড়ে ৪৫০ থেকে ৭০০ টাকায় একটা কার্টিজ বিক্রি হত।
------------------------------------------
প্রথম রাশিয়াতে গেলাম ইয়াসাকি কমপ্যাক্ট ছোট্ট একটা ক্যামেরা নিয়ে। ফিল্ম অটো স্পিন হয়,চাপ দিলে ভেতর থেকে ফ্লাস বেড়িয়ে আসে – চৌদ্দশ টাকায় সে এক এলাহি যন্ত্র!!
সারাক্ষন আমার হাতে থাকে ছোট্ট সেই খেলনা – রাশিয়ানরা ঘুরে ফিরে চোখ বড় বড় করে দেখে আর বজ্বা মোই বজ্বা মোই (অহ মাই গড) বলে। ইম্পোর্টেড ক্যামেরা ওরা চোখে দেখেনি তখনো। গাবদা গোবদা বেশ ভারি লাইকা আর জেনিথ ক্যামেরা ছিল ওদের সবেধন নীলমণি!
আহ কি ভাবটাই না নিতাম সেই ক্যামেরা নিয়ে। কিন্তু সমস্যা হোল ছবি তুলে ডেভলপ আর প্রিন্ট করাতে গিয়ে। তাম্বোভ শহরে প্রায় এক বিঘা যায়গার উপরে বিশাল স্টুডিও- ভিতরে এলাহি কাজ কারবার কিন্তু ব্যাটারা ফিল্ম ডেভলপ আর রঙ্গিন ছবি প্রিন্ট করে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে- মানে হাতে, ডার্ক রুমে বসে। নেগেটিভ পরিস্ফুটনের আগে কোন আলোর সংস্পর্শে আসলেই নষ্ট হয়ে যায় কিন্তু ডারর রমের মৃদু লাল্ল আলোতে কেন নষ্ট হয় না সেটা সেই বয়সে আমাদের জন্য বিশাল এক রহস্য ছিল।
• শুধু মাত্র মনোক্রোম ফিল্ম( সাদা কালো) অতি হালকা নীল/সবুজ অথবা লাল রঙ্গে স্পর্শকাতর নয়! কিন্তু কালার ফিল্ম বা নেগেটিভ যে কোন আলোতে স্পর্শকাতরতা আছে। এটা সম্পুর্ন অন্ধকার ঘরে পরিস্ফুটন করতে হয়। কিন্তু যে কাগজে ছবি প্রিন্ট করা হয় সেটাও দিম আলো বা একদম অন্ধকার ঘরে করতে হয়- কোন আলোতে স্পর্শোকাতরতা বা সেনসেভিটি কম তা পেপারের গায়ে উল্লেখ থাকে।
রাশিয়ানদেরটা দেখা হয়নি কিন্তু আমাদের সব স্টুডিয়োতে অতি হালকা( লো ডিম) লাল আলো ব্যাবহৃত হত।
ইয়াসাকি ক্যামেরায় ১৯৯২ সালের তোলা ছবি- মস্কো থেকে প্রিন্ট করা।
ছবি তোলা কতই না সহজ হয়ে গেছে এখন। পৃথিবীটা পাল্টে গেল কতই না দ্রুত। এদেশে প্রতিটা ভাল ফটোগ্রাফারের নিজস্ব ডার্ক রুম ছিল একসময়। ছবি তোলাকে খুব রাজকীয় সখ বা পেশা হিসেবে ধরা হোত।
• এক্স –রে ফিল্ম পরিস্ফুটনের জন্য আগে সবুজ এখন নীল, কমলা বা লাল রঙের আলো ব্যাবহার হয়।
ছবি প্রিন্ট করার পরে নিজেকে নিজের চিনতে কষ্ট হচ্ছিল। পরে প্লেনে উড়ে মস্কোতে গিয়ে ভাল মানের প্রিন্ট করেছিলাম।
---------------------------------------
ক্যামেরা সংগ্রহ আমার একটা সখ ছিল এক সময়। ফুজিফিল্মের একেবারে গোড়ার দিকের ডিজিটাল কমপ্যাক্ট ক্যামেরা এনে পরিচিত মহলে হুলস্থুল ফেলে দিয়েছিলাম।
ঢাকায় তখন কারো হাতে কম্প্যাক্ট ডিজিটাল ক্যামেরা আমার ছোখে পড়েনি। ইব্রাহিম কার্ডিয়াক মেডিকেল কলেজের একদম প্রথম ব্যাচের স্টুডেন্টদের সেই ক্যামেরা দিয়ে তাদের চমকে দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই মেমোরি কার্ড থেকে ল্যাবে প্রিন্ট করা কি ঝক্কি টাই না পোহাতে হয়েছিল। সায়েন্স ল্যাবে আর বাটার মোড়ের বিখ্যাত দুই ফটো ল্যাব ফেল মেরেছিল!
নিত্য নতুন ক্যামেরা সংগ্রহ আর ছবি তোলার সখের জন্য পোলারয়েড ক্যামেরা থেকে শুরু করে এস এ লার, ডি এস এল আর থেকে শুরু করে এক সময় বেশ কিছু ক্যামেরার সংগ্রহে ছিল আমার। যে কোথাও যাবার সময় একটা ক্যমেরা আর এক পেটি তাস সঙ্গে থাকবেই। আমি আমার জীবনের বড় একটা সময় তাস খেলে কাটিয়েছি। তবে তখন শুধু প্রকৃতির কোন ছবি তোলার সখ ছিল না একেবারেই- - হিউম্যান ক্যারেক্টার মানে বন্ধু বান্ধব আত্মীয় পরিজনই মুল সাবজেক্ট ছিল।
-----------------------------------------
আমার ভীষন প্রিয় একটা ক্যামেরা অলিম্পাস AZ 330 Infinity zoom.( এর স্লোগান ছিল- In a galaxy far, far Away The Olympus AZ super Zoom) এই ক্যামেরা প্রথম বের হয় ১৯৯০ সালে । আমার হাতে এসেছিল ৯৫/৯৬ সালে। তখন আমেরিকাতে মুল্য ছিল ৫৫০ ডলার- জাপানে ৬২০০০ ইয়েন! এর বিশেষত্ব ছিল লেন্স ক্যাপে আই আর শাটার রিমোট!
তখনকার দিনে অদ্ভুত জিনিস। সেলফি তোলার সর্বকালের সেরা ক্যামেরা। তার বিহীন লেজার রে এর মাধ্যমে দূর থেকে রিমোট কাজ করে। X ৩৩০ অটো সুপার জুম ছিল তখনকার দিনে কমপ্যাক্ট ক্যামেরায় অবিশ্বাস্য ব্যাপার!( এছাড়া সিক্স লেন্স এলিমেন্ট, অটো ফোকাস,এডভান্স ভিউ ফাইন্ডার, প্যারালক্স ম্যাক্রো স্যুটিং,রেড আই প্রটেক্টর - ব্লা ব্লা অনেক কিছু ছিল, এখন এসব জেনে কিস্যু হবে না!!) আসেন তার থেকে একটা ছবি দেখি(১*রোল ফিল্মের ছবি -প্রিন্টেড কপি থেকে ছবি তোলা হয়েছে, তাই আসলতার মত লাগবে না)
* এই ছবিটা তাজিংডং পাহাড়ের উপরে তোলা-২০০২
-----------------------------------------
এর মাঝে হাতে এসেছিল আমার নাইকন এফ-৫০। এটা সেমি প্রফেশনাল এস এল আর ক্যামেরা। নানান ধরনের ফিল্টার আর টেলি জুম দিয়ে ছবি তুলে হেব্বি মজা পাইতাম!
• F50 সিঙ্গেল লেন্স রিফ্লেক্টেড ক্যামেরা আম্রিকাতে N50 । এটা ৩৫ মিলিমিটারের লেন্স – এর বডি পলি কার্বন ও মেটাল দিয় তৈরি। অটো ও ম্যানুয়াল দু ধরনের ফাংশান আছে এটার। আরেকটা বিষয় ছিল প্যনারমিক ছবি তোলার অপশন। এর প্রথম মডেল বের হয় ১৯৯৩/৯৪ সালে। আমার হাতে আসে ১৯৯৭ সালে। কিন্তু তখন আমার কাছে এটা বেশ লপ্লিকেটেড ক্যামেরা মনে হওয়ায় ২০০২ সাল পর্যন্ত প্রায় অব্যাবহৃত অবস্থায় পড়ে ছিল।
• ১৯৯৮ সালে এটা F60/N60 মডেল হিসেবে নতুন নামকরন হয়।)
ফটোগ্রাফার নন এমন কারো ফিল্টার চিনতে সমস্যা হবে;বেশীরভাগ ফটোগ্রাফার সফট ফিল্টার ব্যাবহার করে মজা পান। এটা অবশ্য মেইন লেন্সকে ধুলা বালি, ভাঙ্গা ও স্ক্রাচেস থেকে সুরক্ষা দেয়।
আসুন এবার কিছু নাইকন এফ ৫০ এর ছবি দেখি ১* অনুরুপ( প্রিন্টেট ছবির কপি) লো-রেজুলেশন ছবি। উপায় নেই
ওয়ে টু সেন্ট মার্টিন
এলিফ্যান্ট ফলস- শিলং
পানামা সিটি- সোনারগাঁও
* এই ছবিটা স্পেশালি 'জুন' আপুর জন্য। আলোর সল্পতার জন্য বেশি এক্সপোজার দেওয়ায় ছবি ভাল হয়নি। কিন্তু এটার বিশেষত্ব- ইহা পৃথিবীর একমাত্র লাইভ রুট ডাবল ডেকার ব্রিজ( জীবন্ত গাছের শেকড় দিয়ে বানানো ব্রিজ। ৫০ জন লোক একসাথে পার হতে পারে। সিঙ্গেল ব্রিজ অনেক আছে কিন্তু ডাবল ডেকার ব্রিজ কোথাও নেই। এ্টা চেরাপুঞ্জির বেশ গভীরে- খানিকটা কষ্ট আছে ওখানে যাওয়া। জুন আপু চাইলেও এখানে যেতে পারবেন না। কেন পরে বলব।
* এটা ব্লগার মিরোরডডলের জন্য- ছবিতে আমার এক বন্ধু ফটোগ্রাফার
নোহখালিকাই ফলস- ঝুলন্ত তারের সেতুর উপর থেকে তোলা। আপাতত এই কয়টাই থাক।
---------------------------------------
• ৯৭/৯৮ সালে সাধারন/ এমেচার ফটোগ্রাফারদের কাছে আরেকটা জিনিস বেশ জনপ্রিয়তা পায়। সেটা হচ্ছে একবার ব্যাবহারযোগ্য ক্যামেরা। ফিল্ম যখন নিজেই একটা ক্যামেরা!!! সেই ক্যামেরায় শাটার, ফ্লাশ, লেন্স সবকিছু ছিল- দাম ছিল হাতের নাগালে। সস্তাগুলো ১৫ থেকে ২৫ ডলারের মধ্যে বিক্রি হোত। ক্যামেরা নিতে ভুলে গেছেন, ক্যামেরা বয়ে বেড়ানোর ঝামেলা, দামি জিনিস ভেঙ্গে যাওয়া নষ্ট হয়ে যাবার ঝামেলা। সমস্যা নেই সস্তায় ফিল্মের সাথে ক্যামেরা ফ্রি।
তবে সেই ছবির খুব ভাল মান আশা করা বোকামি। আমি বেশ অনেকগুলো সখের বসে ব্যাবহার করেছিলাম। মজা পাইনি- মনে হয়েছে খেলনা!
-----------------------------------------
সবশেষে ছোট্ট এই ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে অনেক ছবি তুলেছি। বেশ ভাল মানের ক্যামেরা।
---------------------------------------
আরো অনেক ক্যামেরা ও আকাজের গল্প আছে। কেউ শুনতে চাইলে অন্যদিন বলব। আপাতত দু তিনখানা ছবি দিয়ে বিদায় নিচ্ছি( এত ছবি সামুতে আপলোড করা সম্ভব নয় বলে সবগুলোর সাইজ কমিয়ে দিয়েছি)
কাঞ্চন জঙ্ঘা
পদ্মা যমুনার সংগম স্থল( কিছুটা দুর্লভ) -কম্প্যাক্ট ডিজিটাল ক্যামেরা( নাইকন)
চাইনিজ ওয়েডিং ফটোগ্রাফি দাই চি লেকে দেখলাম ওয়েডিং মডেলিং এর ফটোশ্যুট চলছে। একজোড়া মডেলকে ধরলাম গিয়ে। তারা হাসিমুখেই আমার অনুরোধ রাখল। -নাইকন ডি-৫৬০০
দাই চি লেক - নাইকন ডি-৫৬০০
হন্টেড হাউজ- কার্শিয়াং
* আমার মেয়ে বায়না ধরেছে- ভাইয়ার ছবি যখন দিয়েছি তারটাও দিতে হব, অগত্যা( সাময়িক ছবি)
* প্রিয় ব্লগারঃ ক্যামেরা ও ছবি নিয়ে আরো অনেক গল্প আছে। আমার ইচ্ছে আছে প্রডাক্ট ফটোগ্রাফি নিয়ে ভবিষ্যতে কিছু আলোচনা করার। যদি কারো আগ্রহ থাকে অবশ্যই সময় করে দিব। টি এল আর ফিল্ম কোডাকের ফিল্ম ক্যামেরার ছবি ছাড়া সবগুলোই আমার তোলা। আমি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনের নিমিত্তে ছবিগুলো দেইনি। প্রিয় কা-ভা চাইলে ছবি ব্লগে যুক্ত করতে পারেন কিন্তু মুল প্রতিযোগিতায় ছবিগুলো না রাখলেই খুশি হব। কোন ছবিতেই ফটোশপের কারসাজি নেই! তথ্যগত ভুল-ভ্রান্তি কেউ ধরিয়ে দিলে আনন্দিত হব।
****প্রথম ছবিটা একটা বিজ্ঞাপনচিত্রের স্যুটিং এর! এর পেছনের গল্প নিয়ে একটা সিরিজ শুরু করেছিলাম বহু আগে
'একটি মৃত বিজ্ঞাপন চিত্রের গল্প' শিরোনামে। শেষ করা হয়নি আর!!
২৫ শে জুন, ২০২১ সকাল ৮:৪২
শেরজা তপন বলেছেন: যাক প্রথমেই জাত ফটোগ্রাফারকে পেলাম!
এটুকু লিখতেই ঘাম ছুটে গেছে!! পরের পর্ব পরেই হবে । আপনিতো জানেন; ছবি বাছা বিরাট ঝামেলার ব্যাপার-আরসেটা যদি থাকে নেগেটিভ ফিল্ম এ লুকানো।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ও পুরো লাখাটা পড়ার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। ভাল থাকুন
২| ২৫ শে জুন, ২০২১ রাত ১২:২৮
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: ক্যামেরার ইতিহাস জেনে নিলাম অল্প কথায়। টেকনিক্যাল কথাবার্তা তেমন কিছু না বুঝলেও পড়ে ভালো লেগেছে।ছবিগুলো সুন্দর অনেক।
২৫ শে জুন, ২০২১ সকাল ৮:৪৮
শেরজা তপন বলেছেন: সুপ্রিয় তমাল ভাইকে পেয়ে দারুন প্রীত হলাম!
সহজ ভাষায় লিখতে গিয়ে আমার ঘাম ছুটে গেছে
ভেবেছিলাম আরেকটু খেটে খুটে অথেনটিক তথ্য সহ একটা সিরিয়াস লেখা দিব- কিন্তু সময় পেলাম না আর সাধ্যতে কুলালো না।
আপনি বোঝেন নাই ভাই কি বললেন!!! মজা লন নাকি
সব সময়ে সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই- ভাল থাকুন নিরন্তর!
৩| ২৫ শে জুন, ২০২১ রাত ১২:৫০
আমি সাজিদ বলেছেন: আমিও ক্যামেরার টেকনিক্যালি এত সাউন্ড না। সময় করে এই বিদ্যা রপ্ত করার চেষ্টা করবো। পোস্টে লাইক ও প্রিয়তে নিয়ে গেলাম। চমৎকার সব ছবি বরাবরের মতোই।
২৫ শে জুন, ২০২১ সকাল ৮:৫২
শেরজা তপন বলেছেন: আমি খুবই অল্প সময় অল্প কিছু পড়াশনা ও কোর্স করেছিলাম সেও দেড় যুগ আগে। বহু আগে থেকেই প্রফেশনাল ক্যামেরাকে গুড বাই জানিয়েছি। ভুলে গেছি সব তত্ত্ব কথা!
প্রিয়েতে নেবার জন্য আন্তরিক ভালবাসা ও কৃতজ্ঞতা!
আর লেখাটা মনযোগ দয়ে পড়ে মন্তব্যের জন্য সবিশেষ ধন্যবাদ। এ ব্যাপারে আপনার আগ্রহ আছে জেনে ভাল লাগল
৪| ২৫ শে জুন, ২০২১ রাত ১:৫৬
অপু তানভীর বলেছেন: আপনার জীবনের গল্প বলার এই ধরনটা খুবই চমৎকার লাগে আমার । ছবি আর ক্যামেরার গল্প চমৎকার লাগলো ।
স্টুডিওর ছবির তোলার গল্প যেটা বললেন, আমাদের বাসায় আমার বাবা মায়ের বেশ কিছু বাঁধাই করা ছবি রয়েছে । সবগুলো এই স্টুডিওতে তোলা । বলতে গেলে একই পোজে । পেছনে রং বেরংয়ের ওয়ালপেপার ।
২৫ শে জুন, ২০২১ সকাল ৮:৫৬
শেরজা তপন বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ আমাদের সেই বিউটি স্টুডিও কিন্তু এখনো আছে- কাশেম সাহেব বেঁচে আছেন কিনা জানিনা।
আমাদেরও কখানা আছে- তবে আফসোস সাদাকালো ছবিতে রঙ বোঝা যায় না!
আপনার প্রশংসা পেয়ে ধন্য হলাম অপু তানভীর ভাই। গল্পটা আরো বড় ছিল কিন্তু বেশী লেখায় আগ্রহ পেলাম না।
সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভ্রাতা- ভাল থাকুন নিরন্তর!
৫| ২৫ শে জুন, ২০২১ রাত ২:৫৪
শায়মা বলেছেন: জলপ্রপাতের ছবিটা তো মনে হয় সত্যিকারের চাইতেও সুন্দর!!
ছবিগুলো দেখে আমি .....ট্যারা হয়ে গেলাম !!!!
২৫ শে জুন, ২০২১ সকাল ৯:০০
শেরজা তপন বলেছেন: এই রে আমার শায়মা আপুমনি-তো বিচারক প্যানেলে আছেন নাকি?
ভুলটা করেই ফেললাম- কেন যে প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন করলাম না
আপনার চোখ ট্যারার কথা শুনে হাসিলাম বেশ
চেয়েছিলাম আপনার ক'খানা ছবি- হয়ে গেল বিচারক, এ কেমন কথা!
৬| ২৫ শে জুন, ২০২১ ভোর ৫:১৮
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: পুরোদস্তুর পেশাদারি ফটোগ্রাফি ! আপনি তো অংশ নিয়ে আমাকে চিন্তায় ফেলে দিলেন !
২৫ শে জুন, ২০২১ সকাল ৯:০৫
শেরজা তপন বলেছেন: আরে দাদা আপনার 'বেটার লেট দ্যান নেভার' ক্যামনে আমার চোখ ফাঁকি দিয়ে গেল মাথায় আসছে না- ওটা কি অদৃশ্য পোস্ট ছিল?
জ্বী আপনার চিন্তায় ঘুম হারাম হবারই কথা - যেহেতু এত ভাবসাব নিয়ে লাড্ডু খাবার বদলে আমি খেলুম না কয়ে দিছি
আমিও আপনার মত সৌখিন ফটোগ্রাফার, এখন ছোট্ট একখান ডিজিটাল ক্যামেরা আর সেল ফোন সম্বল!
অনেক অনেক ধন্যবাদ -ভাল থাকুন সবসময়
৭| ২৫ শে জুন, ২০২১ ভোর ৫:৪৬
ইসিয়াক বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম।
স্বতস্ফুর্ত লেখা।
ছবিগুলোও অনন্য।
শুভ কামনা রইলো প্রিয় ব্লগার।
২৫ শে জুন, ২০২১ সকাল ৯:০৭
শেরজা তপন বলেছেন: আরেব্বাস একেবারে প্রিয়েতে!!!
আমি আপনার আন্তরিকতায় মোহিত ও আনন্দিত ইসিয়াক ভাই।
আন্তরিক ভাল্বাসা ও ধন্যবাদ ভ্রাতা। ভাল থাকুন নিরন্তর
৮| ২৫ শে জুন, ২০২১ সকাল ৯:৪৬
জুন বলেছেন: আপনার ক্যামেরা কাহিনী পড়ে কত কিছু যে মনে পরলো শেরজা তপন। আপনি যে ভাবে বর্ননা দিয়েছেন তা আমাদের দেশে স্টুডিওতে ছবি তোলার যেন এক টুকরো ইতিহাস। আমার মনে পরে এক মাসের ভারত ট্যুর শেষ করে দিল্লী থেকে কলকাতায় ফেরার ট্রেনে উঠেই পাসপোর্ট চুরি হলো । বিদেশ বিভুই পাসপোর্ট চুরি বুঝতেই পারছেন কি অবস্থা । যাই হোক বিশাল এক ইতিহাসের শেষ পর্যায়ে কলকাতা ইমিগ্রেশন অফিসে গেলাম বল্লো পাসপোর্ট সাইজ ছবি লাগবে , সেদিন ছিল লক্ষী পুজার ছুটির আমেজ , কোন স্টুডিও খোলা নেই, সেই সাথে মুষলধারে বৃষ্টিতে রাস্তায় হাটু পানি , ট্যাক্সি আলা এক গলির চিপায় নিয়ে গেল আপনার বর্নিত স্টুডিওতে কিন্ত তাঁর অবস্থা আরও করুন । এতই সংকীর্ন সেই স্টুডিও যে ফটোগ্রাফারের ক্যামেরার পেছনে দাড়ানোর জায়গা নেই তাই উনি আমাদের এক একজন করে টুলে বসিয়ে সাইড থেকে হাত বাড়িয়ে ক্লিক । কাক ভেজা আর উৎকন্ঠায় আমাদের যা চেহারা হয়েছিল তা দেখার মত । যাইহোক লোকটা করিতকর্মা আধাঘন্টায় আমাদের ছবিগুলো দিতে পেরেছিল ।
+
আর আমার জন্য ধাধাটি কি শুনি ?? শিলং এর এই ছবিটি দেখে আমি তো প্রথমে ক্যাম্বোডিয়ার সিয়েমরেপের বিখ্যাত তা প্রহম মন্দির যেখানে এঞ্জেলিনা জোলির টুম্বরেইডার ম্যুভিটির স্যুটিং হয়েছিল সেটা ভেবেছি। দেখেন সেখানে আমিও একদিন দাড়িয়েছিলাম
আমার চোখে, আমার ক্যামেরায় তোলা সেই ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের মন্দিরটি
২৫ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:০১
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার কাছে যে কত আজগুবি গল্পের ঝুড়ি আছে -গো আপু!!!!!
আর সেইরকম বর্ণনা! হাসতে হাসতে মাথার চুল খাড়া হয়ে যায়
ধাঁধাঁর উত্তরঃ
প্রথমত এখন ওখানে যাবার গাইড মেলা ভার- মেঘালয়েরএর বেশীরভাল লোক এটা চেনেই না। সম্ভবত ব্রিজটি নষ্ট হয়ে গেছে( মানে আয়ুস্কাল ফুরিয়েছে)! আমাদের এর ইনফর্মেশন দিয়েছিল চেরাপুঞ্জি রিসোর্টের মালিক এক তামিল ভদ্রলোক। তিনিও হয়তো আর নেই। সেখানে যেতে হলে সেড়ে তিন হাজারের মত পিচ্ছিল পাথর আর মাটির ধাপ পেরুতে হয় সাথে আছে ভীষণ বিপদজনক ঝুলন্ত তারের ব্রিজ আর মৃত প্রায় বহু রুট ব্রিজ। এই বয়সে এত রিস্ক কি নিবেন। তবে আমি হলপ করে বলতে পারিনা- আপনার যে যোশ , যেতেও পারেন।
ছবিটা দারুন। ধন্যবাদ আপনাকে
৯| ২৫ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:০০
জুন বলেছেন: শোনেন বাদিকের ঐ মুটু মহিলাকে আবার আমি বলে ভাববেন্না
২৫ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:৪৭
শেরজা তপন বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ
বাদিকে ওইটা কি মহিলা!!! আমিতো পুরুষ ভেবেছিলাম
আমার মনে মনে আপনার একটা ছবি আঁকা আছে গো আপু। এত সহজে ভুল হবার নয়
১০| ২৫ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:০৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনার লেখা পড়ছি এক সময় মনে হলো আমি নিজে আপনার সাথে নিজ চোখ সব দেখতে পাচ্ছি। লেখালেখির একটি গুণ থাকে পাঠককে দর্শকে রূপান্তর করা। আমি এই কাজটি করার চেষ্টা করি জানিনা কতোটা সফল হতে পারি তবে আপনার পোস্টে আপনি সফল - আমি নিজ চোখে অতীত দেখতে পাচ্ছিলাম।
জলপ্রপাত, বৃষ্টি আমার ভালো লাগে। ভালো লাগার অন্যতম কারণ ঘুম ভালো হয়। আগামী লেখার অপেক্ষায় রইলাম। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
২৫ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:৫১
শেরজা তপন বলেছেন: ঠাকুর সাহেবকে আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা ও ভালবাসা এমন সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য
আপনার লেখাও ছায়াছবির মত- যেনhttps://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/css/images/btn-submit.png চলমান আবার জীবন্ত!
আপনি যখন বলেছেন তখন তৃপ্তির একটু ঢেকুর তুলতেই পারি। তবে আমি কাট কাট লেখি, ডিটেলিং এ কম যাই। এটা মনে হয় অনেকের পছন্দ নয়।
পাহাড়, জলধারা, আর বৃষ্টি, আর কুয়াশা ভেজা চাঁদনী রাত সাথে যদি হাস্নু হেনার গন্ধ মেশানো থাকে তবে দারুন উপভোগ্য!
ফের ধন্যবাদ নিবেন। ভাল থাকবেন ভাই
১১| ২৫ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:৪৪
জটিল ভাই বলেছেন:
আপনার সমৃদ্ধ সংগ্রহ ও তথ্যে মুগ্ধ
জুনাপিরে হিংসে হচ্ছে
১ম ছবিটার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আগ্রহী.....
২৫ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১:০৯
শেরজা তপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এত ঝামেলার( আপনি উল্লেখ করেছেন) মধ্যে আমার ব্লগে আসার জন্য
জুন আপুকে আমিও হিংসা করি- ব্লগের প্রায় সবাই করে
এর আগে শুরু করেছিলাম-অনেকটা দিনলিপির মত দেখে কেউ তেমন আগ্রহ দেখায়নি। এখন একটু অন্য ঢং এ লিখব
ভাল থাকুন- সুন্দর থাকুন।
১২| ২৫ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১২:১৫
শাহ আজিজ বলেছেন: হুম , দারুন হয়েছে সেই সাথে ক্যামেরা কাহিনী ।
২৫ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১:১১
শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ ভাই, সময় করে এত্তবড় একটা লেখা পড়েছেন বলে
কোন ভুল-ভ্রান্তি পাইলে ধরিয়ে দিলে কৃতার্থ হব( আপনারতো এ বিষয়ে ভাল অভিজ্ঞতা আছে)
ভাল থাকুন সুস্থ্য থাকুন ১
১৩| ২৫ শে জুন, ২০২১ দুপুর ২:১৪
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: মজা নিচ্ছি না ভাই। আমি আসলেই ক্যামেরার টেকনিক্যাল বিষয়ে কিছুই জানি না। আমার ছবি তোলার অভিজ্ঞতা একেবারে নেই বললেই চলে। আমি সারাজীবন ফটোগ্রাফারদের বিশ্বস্ত ও অনুগত মডেল হয়ে ক্যামেরার সামনে পোজ দিয়ে গেছি। স্টুডিওতে সবসময় আমার সমস্যা হতো মাথা আর থুতনি নিয়ে। মাথা সোজা হলে থুতনি হতো না, থুতনি হলে মাথা বাঁকা হয়ে যেত। এর পরের সমস্যা হতো চোখ নিয়ে। আমি নরমাল ভাবে তাকালেও আমার চোখ বড়ো দেখায়।স্টুডিওর লোকেরা বলতো চোখ ছোট করতে ।সেটা করতে গিয়ে আসল সময়ে যেত চোখ বন্ধ হয়ে। তখনই ঝাড়ি খেতাম, কারণ ফিল্ম নষ্ট হচ্ছে। চোখের ব্যাপারটা এখনো যায় নি। এখনো ছবি তুললে আমার এক চোখ বড়ো আর এক চোখ ছোট দেখা যায়। ভ্রু কুচকে যায়।
২৫ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৫:২০
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি যে মডেল সেটাতো জানতাম না ভাই!!!!!!!!
তবে নিকে' মডেলের পোট্রেট রেখে গাছ পাতার ছবি কেন????
এইসব সমস্যা বাই ডিফল্ট- সহজে যায় না। মানুষের সৌন্দর্য এখানেই।
হৃত্তিক রোশন কিন্তু তার একহাতের ছয় আঙ্গুল ফোকাস করে। দেখতে ভাল না হলেও দর্শকরা মেনে নিয়েছে। তার আইডিটেন্টি কিন্তু সেখানেই।
মজা পেলাম মন্তব্যে। ভাল থাকুন
১৪| ২৫ শে জুন, ২০২১ দুপুর ২:২১
হাবিব বলেছেন: কত কিছু জানে রে মানুষ.... বাম্পার পোস্টে++
২৫ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৫:২২
শেরজা তপন বলেছেন: কেন আপনি কিছু জানেন না নাকি বেশ ভাল ভাল পোস্ট তো দেন।
মন্তব্যেও দারুন
অনেক অনেক ভালবাসা ও ধন্যবাদ- লাইক আর সুন্দর মন্তবের জন্য।
১৫| ২৫ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৫৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: স্কুলের বিজ্ঞান বই দেখে একবার জর্দার কৌটা, তৈলাক্ত কাগজ ইত্যাদি ব্যবহার করে একটা পিন হোল ক্যামেরা বানিয়েছিলাম। এটাই ক্যামেরার সহজ সংস্করণ। প্রতিবিম্ব আসত উল্টা। উলটাই আসার কথা। তবে এটা কোন প্রকৃত ক্যামেরা না। আমাদের চোখের রেটিনাতেও উল্টা ছবি আসে। আমরা আমাদের ব্রেনের সহায়তায় সেটাকে সোজা অবস্থায় দেখি। ক্যামেরার ক্ষেত্রেও সম্ভবত এই কথা প্রযোজ্য।
২৫ শে জুন, ২০২১ রাত ১০:৪৭
শেরজা তপন বলেছেন: আহা ভাল কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন ব্রাদার;
আমিওতো তেমন একখান ক্যামেরা বানিয়েছিলাম- বেশ মজার ছিল। নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত হলাম!!
ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
১৬| ২৫ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৭
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: আপনি যে মডেল সেটাতো জানতাম না ভাই!!!!!!!!
তবে নিকে' মডেলের পোট্রেট রেখে গাছ পাতার ছবি কেন????
ভাই এই মডেল সেই মডেল না। দৈনন্দিন জীবনে সবাইই মডেল। আমি সেই মডেল সমাজের অংশ।
এটা তমাল গাছের চারার ছবি। তাই একদিক দিয়ে এটা আমারই প্রোট্রেট বলা যায়!!!!
২৫ শে জুন, ২০২১ রাত ১০:৫০
শেরজা তপন বলেছেন: ওইটা কি তমাল গাছের চারা!! এত ছোট যে বোঝা যায় না- দুঃখিত
জ্বী মনে হয় বুঝতে পেরেছি এখন আপনার মডেলিং এর রহস্য
অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ফের আমার ব্লগে আসার জন্য ও বরাবর আনন্দচিত্তে সাথে থাকার জন্য।
১৭| ২৫ শে জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৯
মিরোরডডল বলেছেন:
এলিফ্যান্ট ফলস নাম কেনো ? দেখতেতো অন্য ফ্ললসের মতোই ।
এটা ব্রিজ ? মনে হচ্ছে গাছগুলো ভেঙ্গে পড়েছে ।
কাঞ্চন জঙ্ঘা, সেন্ট মার্টিন, চিলের ছবি ভালো লেগেছে ।
সবচেয়ে ভালো লেগেছে হন্টেড হাউজ, স্টোরিটা জানতে চাই শেরজা।
২৫ শে জুন, ২০২১ রাত ১০:৫৩
শেরজা তপন বলেছেন: ওইটার জীবন শেষের পথে - ভেঙ্গে পড়ার অপেক্ষায় ছিল মনে হয়।
ঠিক আছে আপনার জন্য আরেকটা ছবি দিলাম- দেখে নিয়েন।
ছবিগুলো ভাল লেগেছে জানাতে প্রীত হলাম।
হ্যা বলব সেই গল্প- কোন এক সময়।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন নিরন্তর!
১৮| ২৫ শে জুন, ২০২১ রাত ৯:২৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ক্যামেরার সেকাল-একাল নিয়ে এক বিস্তারিত প্রবন্ধ পড়লাম। আপনি ইউনিক ফটোগ্রাফার।যে সময়ে আপনার ক্যামরা প্রেম সময়টা গরিবের হাতি পোষার মতোই। সেই সময়ে আপনি অত্যাধুনিক ক্যামেরার অধিকারী।
শুভেচ্ছা প্রিয় ভাইকে।
২৫ শে জুন, ২০২১ রাত ১০:৫৭
শেরজা তপন বলেছেন: জ্বী তা কিছুটা ঠিক আর আমিও সেই হাতি পোষার গরিবের পর্যায়ে ছিলাম
আমার বড় ভাইয়ের ছবি তোলার খুব সখ ছিল। সে জাপানে থাকত ১৯৮৭ সাল থেকে।
নিত্য নতুন ক্যামেরা কিনত সে, আমি চাইলে সেটা পাঠিয়ে দিত। বরাবরই আমি কিছু ফেলে দেই না। রেখে দিয়েছি সযতনে প্রায় সবগুলো।
ভালবাসা রইল আপনার প্রতি দাদা- ভাল থাকুন নিরন্তর!
১৯| ২৫ শে জুন, ২০২১ রাত ১০:৪৫
আরইউ বলেছেন:
অসাধারণ, শেরজা।
ভালো থাকুন।
২৫ শে জুন, ২০২১ রাত ১০:৫৯
শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে পেয়ে দারুন উৎফুল্ল বোধ করছি প্রিয় 'আর ইউ' ভাই!
অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা আপনার প্রতি- ছোটত দু'লাইনের মন্তব্য অনেক উতসাহব্যাঞ্জক!
ভাল থাকুন সুন্দর থাকুন- সুস্থ্য থাকুন
২০| ২৫ শে জুন, ২০২১ রাত ১১:০৭
স্প্যানকড বলেছেন: সব গুলি সেইরকম হইছে । ফাটায় ফেলছেন পুরা। ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকুন।
২৫ শে জুন, ২০২১ রাত ১১:১৫
শেরজা তপন বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ
অবশেষে এলেন- আপনারা যে সুন্দর সুন্দর ছবি আর ছবি ঘিরে গল্প আর কবিতা দিলেন আমিতো সেখানে সংখ্যা বৃদ্ধি ছাড়া আর কিছুই করিনি
মন্তব্যার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা-ভাল থাকুন ভ্রাতা।
২১| ২৬ শে জুন, ২০২১ রাত ৯:১৪
ঢুকিচেপা বলেছেন: খুবই চমৎকার একটা পোস্ট হয়েছে ক্যামেরার অতীত বর্তমান নিয়ে।
ছোটবেলায় সাদা-কালো ছবি তোলার প্রথম শর্ত মাথায় তেল দেয়া যাবে না।
আপনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ না করে খুব ভালো হয়েছে, আমার লোটা কম্বল নিয়ে একটু স্বস্তি বোধ করছি।
পোস্টে ব্যবহৃত প্রতিটি ছবিই চমৎকার।
আরো যে গল্প আছে সেগুলোও শুনতে চাই।
২৬ শে জুন, ২০২১ রাত ১১:২৩
শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে পেয়ে আনন্দিত হলাম! ভেবেছিলাম আর কোন ব্লগারের পদচারনা পড়বে না হেথায়-
আজ দেখি সুপ্রিয় ঢুকিচেপা ভাই, ঢুকি চিপতে চিপতে এসে হাজির
হ্যা ভাল কথা মনে করেছেন- এটাতো মনে ছিলনা !!
আপনার লোটা কম্বলের ছবি কি পরে দিয়েছেন- নাকি অদৃশ্য সেটা?
আপনার প্রশংসাতেই আমি ধন্য।
অবশ্যই বলব। ভাল থাকুন সবসময়।
২২| ২৬ শে জুন, ২০২১ রাত ৯:১৯
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া এ জীবনের যত রকম ভালো ছবি একটু আছে তা সব অন্য ফটোগ্রাফারের তোলা। যেমন আজকের পোস্টে দেওয়া। আবার সাজুগুজু, নৃত্যের ছবি সেসব দিয়ে মাইর খাবো নাকি!!!!!!!
আর তোমার পুতুল পুতুল বাবু দুইটার জন্য অনেক অনেক আদল!!!!!!!!!!!!
২৬ শে জুন, ২০২১ রাত ১১:০৯
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার ভিতরে যা আছে সেগুলো 'মোর দ্যান এনাফ'
ছবি-টবি তুলে আর ঝামেলা পাকাবেন না- ল্যাদা গ্যাদা বাচ্চা পোলাপান আমরা একটা কিছু নিয়ে আছি থাকতে দেন
সেসব ছবি দিননা আমরা আমাদের অপ্সরীর মত সায়মা আপুকে দেখি...
আমার ছেলে -মেয়েকে আপনার আদর পৌছে দিব। মেয়েরা খুব আহ্বলাদী হয়
২৩| ২৬ শে জুন, ২০২১ রাত ১১:১৭
ঢুকিচেপা বলেছেন: পোস্ট যেদিন দিয়েছিলেন সেদিনই অর্ধেক পড়েছিলাম। আজ বাকীটুকু পড়েছি।
ফটোগ্রাফি নিয়ে আমার বেশ কৌতুহল আছে।
আজকে যেমন শায়মা আপু পোস্ট দিয়েছেন অনেক কিছু জানলাম।
লোটা কম্বল বলতে আমার ঐ একটা পোস্ট, আর কোন ছবি নেই দেয়ার মতো।
২৭ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১২:০৬
শেরজা তপন বলেছেন: লোটা কম্বলের অর্থ আমি আগেই বুঝেছি !
জেনে ভাল লাগল যে আপনার এই বিষয়ে আগ্রহ অনেক। জ্বী শায়মা আপুর লেখাটায় অনেক গুরুত্বপুর্ন তত্থ্য আছে।
ভাল লাগল আপনাকে পেয়ে- ভাল থাকুন
২৪| ২৭ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:০৯
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আহা কি দিন গিয়েছে আর এখন তো হাতে হাতে মোবাইল, ক্যামেরা, ক্লিক।
আপনার মেয়ের জন্য দোয়া ও শুভ কামনা রইল।
২৭ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১২:১৩
শেরজা তপন বলেছেন: মাইদুল সরকার ভাই এসেছেন দেখে বেশ ভাল লাগল।
হ্যা হ্যা সেই দিনের কথা মনে হয়- এখন কোয়ান্টিটি বেড়েছে- কোয়ালিটি বাড়ে নাই।
ছবি তুলে সবগুলো ভাল করে নিজেও দেখে না
এরপরেও নতুয়ন সবকিছুকেই স্বাগত জানাতে হবে
২৫| ২৭ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৫:২২
সুমন জেবা বলেছেন: বর্ণনা সমেত ছবি !! দারুন ..
২৭ শে জুন, ২০২১ রাত ১১:১২
শেরজা তপন বলেছেন: আ হা- জ্বী ক্যামারার বর্ণনা সমেত
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুমন জেবা।
সম্ভবত আমার ব্লগে প্রথমবার আসলেন।
স্বাগতম! ভাল থাকুন নিরন্তর
২৬| ২৮ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:৪৫
সুমন জেবা বলেছেন: হুম ..শুধু আপনার ব্লগে না.. অনেকের .. বলতে গেলে লম্বা একটা বিরতির পর এই ছবি ব্লগ আয়োজন উপলক্ষে আমার নিজের ব্লগেও প্রথম ..
তবে এখন মাঝে মাঝে আসবো, ইনশাআল্লাহ..
২৮ শে জুন, ২০২১ বিকাল ৫:২৪
শেরজা তপন বলেছেন: হাঃ হাঃ আপনার নিজের ব্লগেও প্রথম- ভাল বলেছেন!!
২৭| ২৯ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১২:৩৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট। অতীতদিনের খুটিনাটি সবই আপনার মনে আছে দেখছি। আপনার স্মৃতিশক্তির প্রশংসা করতেই হয়। আমার তেমন কিছুই মনে নাই। শুধু মনে আছে, আমার প্রথম ক্যামেরা ছিল রাশান, জেনিথ নাম সম্ভবতঃ। তার পরেরটা ইয়াশিকা আসাহি পেনটাক্স।
সে'সময়ের ছবি তোলার ব্যাপারগুলো কষ্ট করে মনে করতে হয়। আপনার পোষ্ট পড়ে অবশ্য অনেক কিছুই আবার মনে পড়ছে।
২৯ শে জুন, ২০২১ রাত ১১:১৯
শেরজা তপন বলেছেন: মাথার নাট-বল্টু ঢিলা হয়ে গেছে ভুয়া ভাই
কেউ মনে করিয়ে দিলেও সেই কথা মনে করতে পারিনা! অনেক সময় মনে হয় নাঃ ওখানে আমি ছিলামই না
আমি দুটো ব্যাপার বেশ অল্প বয়স থেকে নিয়িমিত করার চেষ্টা করেছিঃ
পরিমিত খাবার( সব সময় যে হয়ে ওঠে তা নয়)
ডায়েরি মেইনটেন( ৪৮ ভাগ ফুট নোট আছে ৫২ ভাগ বাদ গেছে ও কিছু হারিয়ে গেছে)
এ দুটো এখন কাজে লাগছে
আমি খুব আনন্দিত হব আপনি যদি আমার লেখায় উজ্জীবিত হয়ে নিজের কিছু স্মৃতি ভাগাভাগি করেন।
ধন্যবাদ ভাই- ভাল থাকুন
২৮| ২৯ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১২:৫৯
মোঃমোজাম হক বলেছেন: ক্যামেরা নিয়ে আমার একটি পোষ্ট ছিল। রোমাঞ্চকর সেই অতীত স্মৃতি
২৯ শে জুন, ২০২১ রাত ১১:২০
শেরজা তপন বলেছেন: পোস্টের লিঙ্ক-টা দিয়েন।
আমার লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
২৯| ৩০ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:৩৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ছবির ক্যামেরা !
ক্যামেরার ছবি ! কতকত জানার আছে। আপনার দারুন অভিজ্ঞতা শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ।
আপনার ছবি গুলো তো অনেক সুল্দর! ভাইয়ার ছবি দেখে আবদার টা সঠিক । নিশ্চয়ই এগুলো আগের ছবি ?
ভালোলাগা রেখেছি।
৩০ শে জুন, ২০২১ সকাল ১০:৫৭
শেরজা তপন বলেছেন: এর আগে লাইক দিয়ে কেটে গিয়েছিলেন- আমি আশা করছিলাম আপনার মন্তব্য!
অবশেষে পেয়ে হাঁফ ছাড়লাম।
অফ টপিকঃ
পোস্টটা দিতে অনেক সময় লেগেছিল -ছুটির দিনে ছেলে-মেয়ে ঘাড়ের উপর লেপ্টে ছিল। তাই ওদের ছবি দিয়ে সান্তনা দেয়া। *মেয়ে খুব বেশি বড় হয়নি- গতবারের লক ডাউনের আগের ছবি
আর ছেলেরটা বছর ছয়েক আগের।
৩০| ৩০ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:০৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি খুব আনন্দিত হব আপনি যদি আমার লেখায় উজ্জীবিত হয়ে নিজের কিছু স্মৃতি ভাগাভাগি করেন। আপনাকে আনন্দিত করতে পারবো বলে মনে হয় না। যা কিছু মনে আছে, সবই ভাসা ভাসা। স্মৃতি এখন অনেক প্রতারণা করে। আপনার মতো আমিও ডায়েরী লিখতাম ছোটকালে, তবে এখানে আসার সময়ে সব ফেলে এসেছি বহু বছর আগে। সেসব আর পাওয়া যাবে না।
তারপরেও একেবারে রুল আউট করছি না। মাথায় রাখলাম আপনার কথা।
৩০ শে জুন, ২০২১ সকাল ১১:১১
শেরজা তপন বলেছেন: আহা - বড়ই আফসোস
চেষ্টা করে দেখেন - খুঁজে পেতেও পারেন।
হারিয়ে গেছে মনে করে কত কিছু ভুলে গেছি- পরে একদিন হুট করে পেয়ে গেছি!!
~তারপরেও একেবারে রুল আউট করছি না। মাথায় রাখলাম আপনার কথা।~ জেনে ভাল লাগল। মনে করিয়ে দিব ফের
৩১| ০২ রা জুলাই, ২০২১ রাত ১২:৫৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অসাধারণ হয়েছে। যেমনি আছে
ক্যমেরার কিছু ক্রম উন্নয়নের ইতিহাস
তেমনি রয়েছে ছবি তোলার
কলাকৌশলের দৃষ্টান্তের প্রকাশ ।
সময় করে আরো একবার আসতে হবে ।
শুভেচ্ছা রইল ।
০২ রা জুলাই, ২০২১ সকাল ৮:৪১
শেরজা তপন বলেছেন: আমার ব্লগে আপনার আগমন অন্যরকম এক অনুভুতির ছোঁয়া দেয়।
আমি দারুনভাবে অনুপ্রাণিত হই।
তবে আপনার কাছ থেকে এত্ত ছোট্ট মন্তব্যে আঁশ মেটে না। অপেক্ষায় থাকলাম ফের আপনার ফিরে আসার...
অফটপিকঃ শুনেছিলাম আপনার স্কন্ধে ব্যাথা-মাঝে মধ্যে লিখতে সমস্যা হয়? কম্পিউটারে দীর্ঘক্ষন কাজ করার জন্য আমারও নিয়মিত এমন ব্যাথা হয়! ব্যাথাটা একটু বাড়লে আমি ছোট্ট একটা ডাম্বল( ৫ কেজি) নিয়ে মিনিট পাঁচেক ডাম্বলিং করি- বেশ উপকারে আসে।
৩২| ০৫ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:২৯
ফড়িং-অনু বলেছেন: পুরো লিখাটি তিনবার পড়ে শেষ করে কমান্ট করতে বসলাম। আজ ক্যামেরার ইতিহসা জানা হলো।
০৫ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৯
শেরজা তপন বলেছেন: কি বলেন??
আমিওতো তিনবার পড়ি নাই!!!
৩৩| ০৫ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর
।
ক্যামেরা আর ছবি তোলার বিবর্রন দারুন ভাবে তুলে ধরেছেন। ছবি গুলো ও হয়েছে অনেক সুন্দর ।
০৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:০৬
শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার ভাই, আপনাকে পেয়ে দারুন আনন্দিত হলাম।
আপনার প্রতি রইল আন্তরিক ভালবাসা - ভাল থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।
৩৪| ০৮ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:২৬
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: এতো চমৎকার উপস্থাপনা যা সত্যিই মুগ্ধ করে। মুগ্ধতার মাঝেই ক্যামেরার অনেক হালহকিকত সম্পর্কেও জানতে পারলাম। সেই সংগে আপনার ছেলে ও মেয়ের জন্য শুভকামনা নিরন্তর।
০৮ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৩৯
শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে পেয়ে ভাল লাগল ভাই- সেদিন আপনার পোস্টে মন্তব্য করব করব বলে আর করা হয়ে উঠল না
শুভকামনার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
আপনিও ভাল থাকুন, সুস্থ্য থাকুন সবসময়।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে জুন, ২০২১ রাত ১২:০৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: চমৎকার উপস্থাপনা। আগা-গোড়া পুরটাই পড়লাম। পরের অংশও নিশ্চই এমন আকর্ষণীয়ই হবে। সাথে রইলাম।