নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

চামড়া ও চামড়া শিল্পের কেন আজ এই ভয়াবহ পরিস্থিতি!! পর্ব-৫

০৯ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:১৩


প্রথম পর্বের জন্যঃ Click This Link
২০২০ সালের আগস্ট মাস- এই পর্বটা যখন পোস্ট করতে যাচ্ছিলাম তখন কষ্টের একটা সংবাদ শুনে পর্বটা অন্যভাবে লিখব বলে আর পোস্ট দেইনি। আকিজ সাহেবের মেঝ সন্তান জনাব শেখ মমিনুদ্দিন যিনি আকিজ ফুটওয়্যার ও সাফ লেদার ইন্ডাস্ট্রিজ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন তিনি সে বছরের ২৪শে আগস্ট করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান! খবরটা মিডিয়ায় তেমন ফলাও করে প্রচার না হলেও তার মৃত্যতে বাংলাদেশের চামড়া ও চামড়া শিল্পের যা বিশাল ক্ষতি হয়ে গেল সেটা মনে হয় কেউ অনুধাবন করতে পারছে না। লেদার সেক্টরের ডাই হার্ট এই ব্যবসায়ীকে নিয়ে আমি এক পর্বে আলোচনা করব(ব্যক্তির থেকে তার কর্ম বড়)। শুধু একটা ছোট্ট তথ্য দেই; সাফ ইন্ডাষ্ট্রিজ বছরে ৫০ লক্ষ কাঁচা চামড়া ট্যানিং করত যা, বাংলাদেশের মোট উৎপাদিত কাঁচা চামড়ার চারের এক ভাগ। (তথ্যগত ভুল মার্জনীয়)।
এই পর্বটা আর পরিবর্তন করিনি। প্রথমে কিছু তত্ত্ব কথা আছে কেউ মুল তথ্য জানতে চাইলে সেগুলো স্কিপ করতে পারেন
-------------------------------------------------
বাংলাদেশ সরকার চামড়া খাতকে রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগের সম্ভাব্য হিসাবে চিহ্নিত করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ মানসম্পন্ন মহিষ এবং গরু; ভেড়া ও ছাগল চামড়া উৎপাদন এবং রফতানি করে যা সূক্ষ্ম টেক্সচার্ড এর জন্য আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করে। তবে পুরো চামড়া খাত বিশ্বের ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চামড়া বাণিজ্যের মাত্র ০.৫% পূরণ করে।
বাংলাদেশে প্রায় ১১৩ টি ট্যানারি রয়েছে যা প্রতি বছর ১৮০ মিলিয়ন বর্গফুট হাইড এবং চামড়া উৎপাদন করে। এছাড়াও প্রায় ৩০ টি আধুনিক জুতো উৎপাদন কেন্দ্রগুলি উচ্চ-মানের পাদুকা তৈরিতে নিযুক্ত রয়েছে,২৫০০ এরও বেশি ছোট পাদুকা নির্মাতারাও এই খাতে উপস্থিত রয়েছে।
প্রায় ১০০ টি ছোট থেকে মাঝারি চামড়ার পণ্য প্রস্ততকারক এবং সংখ্যক কুলুঙ্গি বৃহত্তর উৎপাদনকারী রয়েছে। এই খাতটি সরাসরি প্রায় ৫৫৮০০০ লোককে নিয়োগ দেয়। বেশিরভাগ ট্যানারিগুলিতে যথাযথ তাৎপর্যপূর্ণ উদ্ভিদ নেই এবং প্রতিদিন ২০০০০ লিটার ট্যানারি ফ্লুয়েন্ট এবং ২৩২ টন কঠিন বর্জ্য উৎপাদন করে।
ট্যানারি তরল এবং কঠিন বর্জ্যগুলি একটি সম্ভাব্য দূষণকারী তবে এর একটি সম্ভাব্য মানও রয়েছে। বর্জ্য রূপান্তর করার জন্য নির্দিষ্ট প্রযুক্তি প্রয়োজন। এগুলি অপরিশোধিত এবং সাধারণ থেকে অত্যন্ত পরিশীলিত এবং জটিল হিসাবে পরিবর্তিত হয়। এই প্রস্তাবিত নতুন চামড়া পার্কটি চামড়া শিল্পে একটি সুস্পষ্ট রূপান্তর আনবে বলে আশা করা হচ্ছে,খাতটির স্থায়িত্ব বৃদ্ধি সহ উৎপাদন,পণ্য বৈচিত্র্য এবং নতুন পণ্য লাইনগুলিতে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। টেকসই এবং ক্লিনার উৎপাদন পরিবেশের উপর বোঝা না রেখে উন্নয়নের মূল সমস্যা হয়ে উঠবে।
Journal- Society of Leather Technologists and Chemists 97(1):25-32 • January 2013
Banglapedia 2010
র্তমানে (২০১০) বাংলাদেশে প্রায় ২০৬ টি ট্যানারি ইউনিট রয়েছে এবং তারা স্থানীয়ভাবে পাওয়া কাঁচা আড়াল এবং স্কিন ব্যবহার করে। এর মধ্যে ১১৪ টি বৃহত্তর এবং মাঝারি ইউনিট (স্থানীয় মান অনুসারে) এবং শিল্প অধিদপ্তরে নিবন্ধিত রয়েছে। অন্যগুলি বেশিরভাগ ছোট এবং কুটির ধরণের এবং তারা সরকারের নিবন্ধে নেই। ট্যানারি শিল্পের সম্ভাব্যতার কথা বিবেচনা করে, ততক্ষণে ৩৫টি ট্যানারিগুলি আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করেছে এই ট্যানারিগুলি আমাদের কাঁচা চামড়ার ৬০% আন্তর্জাতিক মানের আকারে রূপান্তর করতে সক্ষম। প্রায় ১৯০ টি ট্যানারি ইউনিট ঢাকা হাজারীবাগে ট্যানারি এস্টেট নামে পরিচিত মাত্র ৬০একর জমিতে অবস্থিত।
বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের রেকর্ড অনুসারে ট্যানিং শিল্পে প্রায় ৬০০০০ শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়াও বিদেশি নাগরিকসহ প্রায় শতাধিক যোগ্য প্রযুক্তিবিদ রয়েছেন যারা বিভিন্ন ট্যানারিতে কাজ করছেন। ট্যানারি শিল্পে এখন পর্যন্ত মোট মূলধন বিনিয়োগ করা হয়েছে ২.৫ বিলিয়ন টাকা, যার মধ্যে সরকার / ব্যাংক অর্থ প্রায় ১.২ বিলিয়ন টাকা। কাঁচা আড়াল এবং স্কিন সংগ্রহ এবং ট্যানারি ইউনিটে তাদের উপলব্ধ করার প্রক্রিয়াতে প্রায় ১৫০০ জন জড়িত ,ট্যানারি শিল্পে ব্যবহারের জন্য প্রায় ১০০ টি সংস্থা রাসায়নিক আমদানি করে।
বাংলাদেশ প্রায় ২২০-২২০ মিলিয়ন বর্গফুট কাঁচা চামড়া উৎপাদন করে, যার প্রায় ৮৫ ভাগ ক্রাস্ট এবং সমাপ্ত আকারে রফতানি করা হয়। বাকিটি দেশীয় বাজারে সরবরাহের জন্য চামড়ার পণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। চামড়া বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রফতানি আইটেম। তবে এই খাত থেকে রফতানি আয় অতীতের কোনও পূর্বাভাস-যোগ্য বৃদ্ধি নির্দেশ করতে পারেনি। যেহেতু চামড়ার উৎপাদন ও সরবরাহ মাংসের প্রাপ্যতা এবং মাংসের চাহিদার উপর নির্ভরশীল, তাই অল্প সময়ে চামড়ার মোট সরবরাহ বাড়ানো যায় না, তাই এই খাত থেকে আয় বাড়ানোর একমাত্র উপায় উচ্চ উৎপাদন এবং রফতানি চামড়া জাত পণ্যগুলির মূল্য দিন যার জন্য আন্তর্জাতিক চাহিদা বাড়ছে।
আন্তর্জাতিক বাজার চামড়ার জন্য অত্যন্ত ওঠানামা করছে, তাই এর রফতানি থেকে আয় হয়। ২০০১ অবধি এই খাত থেকে বার্ষিক রফতানি প্রাপ্তি এক বিলিয়ন টাকার নিচে থেকে যায়। তবে ২০০৮-০৯ সালের মধ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি থেকে বার্ষিক আয় বেড়ে ৩৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের কয়েকটি নামী ট্যানারি হলেন ঢাকা লেদার,অ্যাপেক্স ট্যানারি, লেক্সকো,করিম লেদার,সমতা ট্যানারি,বে ট্যানারি,রিলায়েন্স,কালাম ব্রাদার্স,আ-মদিনা,মিল্লাত, প্রগতি,আনোয়ার,আমিন,ক্রিসেন্ট কিড লেদার ইত্যাদি।
-----------------------------------------
মুল তথ্যঃ এগুলো তো তত্ত্ব কথা-এবার আমরা আসল দৃশ্যটা দেখি;
পনি হেমায়েতপুর গিয়ে খবর নিয়ে দেখেন; সেখানে মাত্র ৬০ থেকে ৭০টা ট্যানারি আছে। তার মধ্যে বৃহৎ আকার ট্যানারির মধ্যে শুধু এপেক্স-ই পুরো-দমে উৎপাদন করছে। বাকি সবগুলি ছোট ও মাঝারী মানের ট্যানারি- যাদের মধ্যে বেশীর ভাগই জব ওয়ার্ক করে ( ভাড়া ভিত্তিতে কাজ)। কিন্তু উপরে উল্লেখিত বড় বড় ট্যানারি গুলো কোথায়??
ওদের প্রায় প্রত্যেকের নামেই ওইখানে জমি বরাদ্দ দেয়া আছে। কেউ খানিকটা কন্সট্রাকশন করে ফেলে রেখেছে, কেউ কাজই শুরু করেনি কেউবা কোনরকম একটা স্থাপনা তুলে ভাড়া দিয়ে রেখেছে।
৯০ এর দশকের ট্যানারি চামড়া ব্যবসার স্বর্ণ যুগে শাহজালাল ট্যানারি, ফিনিক্স ট্যানারি, করিম লেদার, বে ট্যানারি, লেসকো ট্যানারির, সমতা,প্রগতি, ক্রিসেন্ট এর মত বিশাল বিশাল ট্যানারি শিল্পগুলো যেভাবে ট্যানারি ব্যবসায় একচেটিয়া আধিপত্য করেছে দুই আড়াই যুগের ব্যবধানে তারা হারিয়ে গেল কেন?
এখন কাদের হাত ধরে এই ব্যবসা এগিয়ে যাবে? শুধু এপেক্স, যশোরের আকিজ, খুলনার সুপারএক্স, আর চাঁটগায়ের মদিনা আর রিফের হাত ধরে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশের ট্যানারি শিল্প?
শুধুমাত্র আকিজ বাদে বাকি সবাই ব্যাঙ্ক এর দেনায় জর্জরিত। কখন এরাও মুখ থুবড়ে পরে কে জানে!!
৯০ এর দশক ছিল ট্যানারি শিল্প বা বাণিজ্যের স্বর্ণ যুগ! সেই সময়ের হাজারীবাগের রমরমা ট্যানারি বাণিজ্য এখন শুধু স্মৃতির কঙ্কাল। জার্মান, ইতালি, স্পেন, কোরিয়া, জাপান,চীন, ভিয়েতনাম সহ অনেক বড় বড় দেশ বাংলাদেশের চামড়া ও চামড়া-জাত পণ্য কেনার জন্য ভিড় করত। কিন্তু চামড়া ব্যবসায়ীদের অসাধুতা, পরিবেশ দূষণ, ব্যাঙ্ক লোণের নয়-ছয় সহ পরবর্তী প্রজন্মের ব্যবসার ধারাবাহিকতা বজায় না রাখা, কিছু আন্তর্জাতিক কন্সপিরেসি ও সর্বোপরি সরকারের ভুল নীতির জন্য ধীরে ধীরে চামড়া বাণিজ্য নিন্মমুখী হয়ে এখন ধ্বংসের শেষ খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে আছে।
এর সাথে আরও ছিল এলাকা ভিত্তিক ও রাজনৈতিক কোন্দল, সংগঠন গুলোর সমন্বয় হীনতা ও সুদূর প্রসারী পরিকল্পনার অভাব।
প্রথমে আসি ব্যাঙ্ক-লোন নিয়ে; প্রতি বছর কাঁচা চামড়া কেনার জন্য ব্যাংক গুল বিশাল আকারের লোণ দিত এইসব বড় বড় ট্যানারি মালিকদের। ব্যাংকের দুর্বল নিয়মনীতি, ও অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশ সাথে রাজনৈতিক প্রভাব সাথে ট্যানারি মালিকদের লোণের টাকা আত্মসাতের প্রবণতায় এই শিল্পের অগ্রগতিকে মন্থর করে দেয়।
রে নেই বড় একটা ট্যানারি কাঁচা চামড়া কেনার জন্য ২০০ কোটি টাকা লোণ পেল। তেনারা সেই লোণের অর্ধেক টাকাই প্রথম দফায় সরিয়ে ফেললেন। সেই টাকা দিয়ে তারা গাড়ি বাড়ি জমি সহ অন্য ব্যবসায় লগ্নি করলেন কিংবা বিদেশে পাচার করলেন। বাকি টাকা দিয়ে চামড়া কিনে আগের লোণ-তো শোধ ই করলেন না উপরন্তু ফের রপ্তানি আদেশের বিপরীতে নতুন করে লোণের আবেদন করলেন। বাংলাদেশের বেশীরভাগ ব্যবসায়ীরা ঋণ খেলাপি হলে হয় ব্যাংক কে বাধ্য করেন পুনঃ তফসিল করতে না হয় নতুন লোণ দিতে।
ব্যবসায়ীদের এই ভয়ঙ্কর ফাঁদে পা দিয়ে ফেঁসে গিয়ে ব্যাংকগুলো বাধ্য হয় লোণ পুনঃ তফসিল করতে বা ফের লোণ দিতে। কিন্তু ব্যাঙ্কিং ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য তারা নতুন নতুন নীতিমালা বা আইন প্রণয়ন করেন। ব্যাবসায়ীরা আবার সেই আইনের ফাঁক খোঁজেন-এক সময় বের ও করে ফেলেন নতুন নতুন রাস্তা। ব্যাংকের আইন যত কঠিন হয় নতুন ও উঠতি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে চলার রাস্তা তত কঠিন কিংবা রুদ্ধ হয়। কিন্তু যারা একবার পাহাড়ের চুড়ায় উঠে বসেছেন তারা সেখানে বহাল তবীয়তে বসে ছড়ি ঘোরান।
একসময় দিশেহারা ব্যংকগুলো উপায়ান্তর না দেখে তাদের কর্মকর্তাদের মাঠে নামান। কত টাকার চামড়া কিনল কত পিস চামড়া সংগৃহীত হয়ে ফ্যাক্টরিতে আসল। কতটুকু চামড়া প্রসেস হল আর রপ্তানি বা স্তানীয়ভাবে বিক্রি কতটুকু হল এসব তদারকি করতে যখনি তারা শুভঙ্করের ফাকি পেলেন তখুনি এই শিল্পের সাথে জড়িত মালিকেরা, রাজনৈতিক প্রভাব, হুমকি-ধামকি ও অবৈধ অর্থ ঢেলে তাদের মুখ বন্ধ করতে চাইলেন।
বুও কেনা চামড়ার সাথে বিক্রির সামঞ্জস্য না থাকায় ব্যাংক সেক্টর বাধ্য হল তাদের স্টোরে পাহারাদার নিযুক্ত করতে। তখন সেসব ছেড়া ফাটা জুতো আর রঙচটা উর্দি পরা আধপেট খাওয়া দারোয়ানদের ম্যানেজ করে কিংবা গভীর রাতে পেছনের দরজা দিয়ে সেই সব চামড়া পাচার হতে থাকল। কখনো বিক্রি হয় স্থানীয় বাজারে কখনোবা অন্য কোন ট্যানারিতে।
ধীরে ধীরে ব্যাংকের নীতিমালা আরো কঠিন হল। তারা মরিয়া হয়ে ঊঠল তাদের কর্জের টাকা ফিরে পাবার জন্য। দু’চারজনের বিরুদ্ধে তারা কোর্টে গিয়ে নালিশ ও জানাল।
পরিবেশ দুষন, চামড়ার মানের অবনতি, সময়মত ডেলিভারি না পাওয়া, বিদেশি ক্রেতাদের স্বার্থের আঘাত, অত্যাধুনিক মেশিনারিজ ও এক্সপার্টিজের অভাব, প্রতিযোগী আর প্রতিবেশী দেশের কুট চাল সহ বিভিন্ন কারনে বিদেশী ক্রেতারা ধীরে ধীরে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করল।
ট্যানারি মালিকেরা বুঝে ফেলল, এই বানিজ্যের পতন নির্ধারিত হয়ে গেছে। মাখনটুকু খেয়ে তখন তাদের সটকে পড়ার পালা।
পুরনো লর-ঝড়ে মেশিন, পকিস্থান আমলের স্থাপনা, সরকারি লিজ নেয়া জমি আর কিছু ফিনিশড আনফিনিশড চামড়া রেখে তারা ব্যাবসায় দেঊলিয়াত্ব ঘোষোনা করে কিংবা শুধু ব্যাবসায়িক সাইনবোর্ড দেখিয়ে শুধু প্রভাব বিস্তারের ও আরো কিছু অর্থ আত্মসাদের জন্য এ্যাসোসিয়েশনের মুখ্যপদ্গুলো ধরে রেখে ধরি মাছা না ছুই পানি খেলা খেলতে থাকল।
বাংলাদেশের গর্ব করার মত বড় বড় ফ্যাক্টরি গুলো এক এক করে বন্ধ, লে অফ, দেঊলিয়াত্ব ঘোষনা করতে থাকল। প্রথমদিকে বন্ধ হল শাহজালাল গ্রুপের শাহজালাল ট্যানারি, এরপরে ফনিক্স, লেসকো, করিম লেদার, সমতা প্রগতি সহ বড় বড় ট্যানারিগুলো। কিন্তু সবারই নামে জমি বরাদ্দ আছে হেমায়েতপুরের ট্যানারি জোনে।
এই বন্ধের তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন; বে ট্যানারি আর ক্রিসেন্ট।
অবশ্য ভয়াবহ ঋনভারে জর্জরিত থাকলেও এদের কেউ কেউ তাদের পরবর্তি প্রজন্ম কে বিদেশ থেকে ডিগ্রী কিনে দিয়ে চেষ্টা করেছে ব্যাবসার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে। কিন্তু সেসব কতিপয় স্মার্ট অতি শিক্ষিত ছেলে-পেলেরা প্রথম দফায় রনে ভংগ দিয়ে বাপ-দাদার শত শত কোটি অবৈধ টাকার আগুনে আত্মহুতি দিয়ে নামী দামী ক্লাবে গিয়ে বেহুঁশ আছে।

দের কাজ হল সরকারের ঘনিষ্ঠ হয়ে কেন তাদের এই দুরবস্থা হল এই নিয়ে এই নিয়ে মায়াকান্না করে, দেশকে কত ভালবাসে এর প্রমান দেয়ার নিমিত্তে, বাকি যেটুকু তলানিতে আছে সেটুকু ছেঁকে খাওয়ার লোভে সরকারের নীতিনির্ধারকদের চোখে রঙ্গিন চশমা পরিয়ে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি খাতের তকমা লাগিয়ে সরকারের কোষাগার খালি করার ধান্দায় মেতে উঠল।
এই সরকার যখন ক্ষমতায় আসল তখন চামড়া শিল্পের আদপে শুধু খোলস আছে কিন্তু অন্তঃসারশূন্য!তখন বাংলাদেশ প্রায় শুধু চায়নিজ বায়ারদের কাছে জিম্মি। যদিও তখনো কোরিয়া, স্পেন, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান পুরোপুরি ব্যবসা গুটিয়ে নেয়নি। জাপানিজ বায়াররা চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন তাদের সব রকমের প্রচেষ্টা দিয়ে চামড়া না হোক এদেশের চামড়া-জাত পণ্যের কারখানাগুলোকে সচল রাখতে।
কি কারণে কেন যেন কোরিয়া স্পেন তাইওয়ান সরে পড়ল এর উত্তর আমার জানা নেই। ২০১০ এর পরে বাংলাদেশের চামড়ার বাজার একচেটিয়া দখল করে ফেলল চায়নিজ বায়াররা।
গত শেঠ, মীর মদন, মীর কাসেমের মত মত লোকেরা বাংলাদেশে সব যুগে সব সময়ের মতই আছে বা থাকবে। শুরু হল বাংলাদেশের অসাধু কিছু অতি বুদ্ধিমান(!) ,অর্থ-লোলুপ বিকৃত মানসিকতার মানুষদের বুদ্ধি –পরামর্শ আর প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় চৈনিক খেলা!
চাইনিজদের মনোপলি ব্যবসার কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করল বাংলাদেশের ট্যানারিগুলো। বিগত কয়েক বছরে ২.৬০-২.৮০ মার্কিন ডলার মূল্যের ফিনিশড লেদার এর দাম নেমে এসেছে ১.৭০-১.৮ ডলার। লাইনিং আর ক্রাস্ট চামড়া যেখানে আগে বিক্রি হত ১.২০ থেকে ১.৫০ ডলার – সেতার মূল্য নেমে এসেছে .৭৫-.৯৫ ডলারে। চিন্তার কোন কারণ নেই- দাম আরও কমছে।
ট্যানারি মালিকেরা নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থে বিকল্প পথ না পেয়ে- বাধ্য হচ্ছিল ওই দামে চামড়া দিতে। কিন্তু তখন শুরু হল আরেক খেলা; চামড়া ব্যবসায়ীরা যে, দু পয়সা কামানোর জন্য ছল চাতুরী করছে না তা নয়। সুযোগ পেলে তারা বেশ সততার সাথে সে কাজ করছে এ বিষয়ে সন্দেহ নেই- তবে চায়নিজরা অতি ধূর্ততার সাথে অর্ডার দিয়ে প্রোডাক্ট রেডি হবার পরে কয়ালিটি চেকিং এর নামে অল্প সংখ্যক ভাল কিছু চামড়া সিলেক্ট করে বাকিগুলো রিজেক্ট করে রেখে যাচ্ছে। আরেক গ্রুপ আরও এক কাঠি সরেস; তারা শুরু থেকেই তালবাহানা করে পুরো চামড়াটাই টেকনিক্যাল রিজেক্ট করে ফেলে রেখে যাচ্ছে।
ড়ল গিলে চামড়া ব্যবসায়ীর মুখে তখন ফ্যানা এসে গেছে! কোটি কোটি টাকার টি আর মাল নিয়ে কি করবে এই ভেবে তার কুত্তা পাগল দশা। তখন দেবদূতের মত অন্য দল; তারা সেই বায়ারেরই বাংলাদেশের প্রতিনিধি বা অন্য কোন কোম্পানির নামে চায়নিজ গ্রুপ।
চামড়ার মূল্য যদি আমি বাদ ও দেই তাহলেও এক স্কয়ার ফুট চামড়া চায়নিজ ও ইউরোপিয়ান কেমিক্যাল দিয়ে এক্সপোর্ট কোয়ালিটির প্রসেস করতে লাগে ৬৫-৭০ টাকা। প্রায় সেই দামেই বা তার থেকেও কম দামে সেটা বিক্রি করতে হয় তখন!!!
কাঁচা চামড়ার দাম আপনি পাবেন কোত্থেকে। যাদের ২০-৫০ কোটি টাকার স্টক লটের ধকল সামলানোর ক্ষমতা ছিল। তারা তাদের আখের গুছিয়ে কেটে পড়েছে। পড়ে থাকা এই ভুখা নাঙ্গা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আমরা চামড়া বাজারের আর কি উন্নতি আশা করতে পারি।
এই পর্যায়ে আমি যে কথাটা বলে নিশ্চিত অনেকের বিরাগভাজন হব সেটা হচ্ছে; প্রতি বছর কোরবানি ঈদ আসলে সব মিডিয়ায় কতিপয় মানুষ গরিবের হক মারার কথা বলে যে জ্বালাময়ী বক্তৃতা দেয় তাদের উদ্দেশ্যে বলব, ভাইরে ১ কোটি গরিব বাঙ্গালী এখনো হয়তো কম বেশী ৫০০/১০০০ টাকা পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কিন্তু এই অবস্থা বেশী দিন চলতে থাকলে সামনে দেড় দুই কোটি কাঁচা চামড়ার পঁচা গন্ধে দেশ ছেড়ে ভাগতে না হয়?
ভারত আমাদের কাছ থেকে কাঁচা চামড়া বৈধ উপায়ে নিবে না কারণটা রাজনৈতিক ও ধর্মীয়! ওরা গরুর চামড়া প্রক্রিয়াজাত করে সেটা কখনই তথ্যগত-ভাবে স্বীকার করে না। বলে মহিষ অথবা ডোমেস্টিক ক্যাটল। তবে ব্লু ওয়েট মহিষের চামড়ার ছদ্মনামে রপ্তানি হলেও হতে পারে।

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৪৪

জটিল ভাই বলেছেন:
শেষদিকে এসে আপনাকে নিয়ে একটু ভয়ে রইলাম। অবশ্য চামড়া শিল্পের খবর না জানলেও আমাদের অনেকের চামড়া দেখে গন্ডারও হার্ট-এ্যাটাক করবে =p~
পোস্ট আর তথ্যের জন্য শুভ কামণা রইলো বড়ভাই :)

০৯ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:১৩

শেরজা তপন বলেছেন: আমাকে নিয়ে ভয় কেন ভাই?? আমি কি করলাম?

সেটা ঠিক গন্ডারের চামড়া থেকেও অনেকের চামড়া মোটা! কারো কানেইপৌছাবে না এ কথা

অনেক ধন্যবাদ আপনার শুভ কামনার জন্য। ভাল থাকুন

২| ০৯ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৪৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: মনে পড়ে এক সময় একটি গরুর চামড়া এতিমখানা থেকে বিক্রি হতো ১২০০ টাকা।
এখন বিক্রি হয় ৪০০ টাকা।
এলাকার এতিমখানার কমিটির সদস্য বলে আমি জানি একটি চামড়া সংগ্রহ করার পিছনে এতিমখানার খরচ আছে প্রায় ১৫০ টাকা। আর এর পিছনে যে শ্রম যায় তার হিসাব আলাদা। সেই তুলনায় প্রাপ্তি কি!!!

০৯ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: ২০০০/২২০০ টাকা নব্বুই দশকেই বিক্রি হয়েছে। এখনতো নুন্যতম ৫০০০ টাকা হবার কথা?
এমন ভাবে সবাই- আসলে ভেতরের কাহিনীটা অন্যরকম। সরকার, মিডিয়া, ব্যাবসায়ি কেউ ভাল করে বোঝেই না বুঝিতে চায় না

এরপরে আর এতিমখানা চামড়া নেবে কি- সম্ভবনা কমে আসছে

৩| ০৯ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৫৭

নতুন বলেছেন: এর থেকে উত্তরনের পথ কি?

সামনে গামেন্টসেরও অনেক সমস্যায় পড়তে হবে। গামেন্টেস ব্যবসা সরে গেলে এতো মানুষের কর্মসংস্থানে খুবই সমস্যায় পড়তে হবে আমাদের।

০৯ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:১৯

শেরজা তপন বলেছেন: এর থেকে উত্তরণের পথ অবশ্যি আছে- তসেগুলো নিয়ে আমার সল্প বুদ্ধি আর জানা শোনায় যতটুকু সম্ভব বলার চেষ্টা করব।
তবে যদি কিন্তু থেকে যায় ~
গার্মেন্টসের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হবার ও শেষবারের মত ভাবার সময় এখনই। শেষ হয়ে যাবার আগে।

অনেক ধন্যবাদ - কষ্ট করে লেখাটা পড়ার জন্য- ভাল থাকুন

৪| ০৯ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:৩০

জটিল ভাই বলেছেন:
না, সরকার যখন দাদাদের হাড়িভাঙ্গা আম পাঠাচ্ছে সেইসময়ে আপনি দাদাদের গোপন কারবার ফাঁস করছেন তাই আরকি। কে জানে কোন ট্যাগ-টুগ আবার খেয়ে-টেয়ে বসেন =p~

০৯ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৮

শেরজা তপন বলেছেন: ট্যাগ দিলে ভোল পাল্টাতে সময় লাগবে না :)

আমি গিরিগিটি টাইপের হইতে পারি- মা। হাসান ভাই বলেছিলেন, ডাবল স্টান্ডার্ড মেইন্টেইন করি। হাঃ হাঃ

৫| ০৯ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:৩৮

শাহ আজিজ বলেছেন: চামড়া দান করতে করতে শইলে আর চামড়া নাই , বাম ডান তালিবান বেজ্ঞুনেরে দিয়া সঞ্চয় নাই কিছু আর । :P

০৯ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৬

শেরজা তপন বলেছেন: হাঃ হাঃ ভাই বেশ বলেছেন;
এখন মাংস দেবার বাকি আছে- খুব্লায় খাব্লায় যা আছে এইটুক ও দিয়া দেই

৬| ০৯ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চামড়া শিল্প ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এ থেকে পরিত্রাণের কি উপায় আছে? থাকলে এখনই সময় উপায় বের করার । আর গরীবের হক বিষয়টিও ফ্যালনা নয়। গরুর দাম কত বেড়েছে ভেবেছেন। তারপর চামড়া জাত পণ্যের দামও তো আকাশ চুম্বি। চামড়ার দাম কমে আর গরুর দাম বাড়ে। আবার চামড়ার দাম কমে জুতো ব্যাগের দাম বাড়ে। এই যে অসামঞ্জস্যতা সেটা কেন। দেশেই চামড়া জাত দ্রব্য তৈরী করে বিদেশে রপ্তানী করতে পারলে ভার হতো মনে হয় । গোশতের দাম তো ঠিকই বাড়ছে্ ্। শাখের কড়াতের মত অবস্থা আমজনতার এই আরকি্ । আপনার পোস্টে বুঝা গেল চামড়া ব্যবসায়ীরাও ভাল নেই ।চমৎকার একটা বিষয় তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ ।

০৯ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১২

শেরজা তপন বলেছেন: প্রিয় সেলিম আনোয়ার ভাই,
ধন্যবাদ আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য।
সব মিলিয়ে অনেকগুলো পর্ব হবে- আমি চেষ্টা করছি একেবারা গোড়া থেকে সমস্যা ধরে ধরে তারপরে সমস্যাগুলোর সমাধানের
পথ বের করা। আমি আমার এতদিনের অভিজ্ঞতা দিয়ে চেষ্টা করব এর মুল সমস্যাগুলো সমাধানের পথ বের করার।
আশা করি আপনাকে বরাবরের মর সাথে পাব।
আপনার ভাবনায় সমাধানের কোন পথ থাকলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা আপনাকে- ভাল থাকুন

৭| ০৯ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষণ। আপনার আগের সিরিজগুলিও পড়েছিলাম। ব্যবসায়ীরা নিজেরাই এই সেক্টরটাকে ডুবানোর জন্য অনেকাংশে দায়ী মনে হচ্ছে আপনার লেখা অনুযায়ী। কথাটা মনে হয় সত্যি। অন্যান্য অনেক সেক্টরেও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ফান্ড সরিয়ে বিদেশে পাঠাচ্ছে বা জমি কিনছে। ফলে এই দেশে গার্মেন্টস যেমন প্রচণ্ড ঝুঁকিতে আছে আবার নতুন কোন খাতেও ব্যবসায়ীরা আগ্রহ দেখাচ্ছে না। ব্যবসার চেয়ে অন্যভাবে যদি বেশী লাভ আসে ব্যবসায়ীরা তাই করে। ফলে দেশে শিল্প কারখানা হচ্ছে না। বেকারত্ব বাড়ছে।

এই খাতে বিনিয়োগ মাত্র আড়াই বিলিয়ন টাকা। অনেক কম মনে হচ্ছে। আড়াই বিলিয়ন টাকা মানে আরাইশ কোটি টাকা। এটা তো একটা মাঝারি প্রকল্পের বিনিয়োগের সমান। ট্যানারি মালিকদের সনাতনী চিন্তা ধারাও মনে হয় দায়ী। এই সেক্টরে সম্ভবত কর্পোরেট পরিবেশ নাই।

০৯ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:১০

শেরজা তপন বলেছেন: আড়াই বিলিয়ন টাকা ~ এটা একটা ভুল তথ্য। বাংলাপেডিয়াতে এমন একটা ভুল তথ্য গত দশ বছর ধরে কারো নজরে পরেনি এবন সংশোধিত হয়নি সেটা ভীষণ আশ্চর্যের। সেটা আমি ইচ্ছে করে ঠিক করিনি। আপনাকে ধন্যবাদ ভুলটা আপনিও ধরেছেন।

আমার এই লেখার পুর্ববর্তী পর্বগুলো যারা পড়েছেন তাদের এই পর্বগুলো বুঝতে সহজ হবে।
সেজন্য আপনাকে পেয়ে ভাল লাগল ভ্রাতা। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার সু-চিন্তিত মতামতের জন্য- ভাল থাকুন।
পরের পর্বে আসার জন্য অনুরোধ রইল।

৮| ০৯ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:১২

স্প্যানকড বলেছেন: চামড়া গেছে গার্মেন্টস গেলে আর বাঁচা লাগব না! ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকুন।

০৯ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: পাটতো আগেই গেছে- চাইলে চামড়ার সুদিন ফিরে আসিতে পারে
তবে গার্মেন্টস বাঁচানোর এখনো সুযোগ আছে

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভ্রাতা আপনার মন্তব্যের জন্য

৯| ০৯ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৪৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পুরোটাই পড়লাম, যদিও লিখাটা সুখপাঠ্য ছিলনা।(মনে হচ্ছিল গুগলে ট্রান্সলেট করা)
আমি অনেক আগে সামুতে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, সেখানে বলেছিলাম- চামড়া যেহেতু আমাদের জন্য আর অর্থকরী কিছু নয় সেহেতু এটাকে কিভাবে খাওয়া যায় তার নানা প্রক্রিয়া বের করা উচিত। এতে বিরাট অংশের আমিষের চাহিদাপুরন হবে।
চামড়া খাওয়ার কথা শুনে চমকাবার কিছু নেই। গরুর পায়ার ক্ষুরের সাথে কিছু চামড়া থাকে, রান্নার পর যারা খেয়েছেন তারা এর স্বাদ বুঝার কথা।

০৯ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:২৩

শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ সুপ্রিয় গিয়াস উদ্দিন লিটন ভাই, আপনার মতামতের জন্য

লেখাটা যে সুখপাঠ্য ছিলনা সেটা আমার ব্যার্থতা! প্রথম দুটো পর্ব সরাসরি উল্লেখিত ওয়েব সাইট থেকে দেয়া- আর বাকি পুরোটাই
তথ্য সংগ্রহ ও দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় আমার নিজের লেখা । সেজন্য আমার ঘাড়ে দায় বর্তাবে যদি পুরোটাই সুখপাঠ্য না হয়। আপনার
সমালোচনা আমাকে উদ্বুদ্ধ করবে পরের পর্বে আড় সাজিয়ে গুছিয়ে লেখার জন্য।

অনেকেই মাথার চামড়া খায়-বাকি দেখের চামড়ার একটা হিল্লে হলে দেশ উপকৃত হত ।

১০| ০৯ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৪৭

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: বেশ তথ্যমূলক একটা লেখা। ব্যবসাক্ষেত্রে এমন অসাধুতা নতুন কিছু নয়।ব্যাংকের টাকা খেয়ে ফেলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশীরা এক্সপার্ট। মাঝখানে রডের দাম হঠাৎ করে কমিয়ে দিয়ে রোলিং মিল গুলো বন্ধ করে দেয়ার উপক্রম হয়েছিলো। এখন সে ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছে এই শিল্প। আন্তরিকভাবে চেষ্টা করলে চামড়ার সংকটও কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। লিখতে থাকুন।পাশে আছি। আগের পর্বগুলো পড়েছি।

১০ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৮:৪১

শেরজা তপন বলেছেন: প্রিয় তমাল ভাই, আপনার মুল্যবান মতামতের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ
বেশী তত্ত্বমূলক খটমটে নিরস লেখা দেখে সহজে এদিকে কেউ ভিড়তে চায় না- এড়িয়ে যায় :)
সেজন্য লেখার আগ্রহ কমে যায়- যদিও এ বিষয়ে আমার থেকে এই সেক্টরে অনেক অভিজ্ঞ লোক থাকা সত্ত্বেও তারা কোনদিন এসব বিষয়গুলো তুলে আনবেন বলে মনে হয় না।
দেশের বাজারে অলরেডি কাচা চামড়ার সংকট চলছে-গতবারের তেলেসমাতির জন্য প্রচুর চামড়া নষ্ট হয়ে গেছে বা পাচার হয়ে গেছে।
এবার কোরবানিতে যদি লক ডাউন বজায় থাকে ও কিছু বিধিনিষেধ থাকে তবে কোরবানীর সংখ্যা ভীষনভাবে কমে যেতে বাধ্য।
সামনের বছর ভয়াবহ চামড়ার সংকট হতে পারে।
কিছু ফড়িয়া ও অসাধু ব্যাবসায়িরা চামড়ার বাজার অস্থিতিশীল করে ফেলেছে। কঠোর পদক্ষেপ, সঠিক নজরদারি ও আন্তরিক মানসিকতা ছাড়া উত্তোরন সম্ভব নয়।

ভাল থাকুন ভাই-ফের ধন্যবাদ সবসময় সাথে থাকার জন্য।

১১| ১০ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:০৫

হাবিব বলেছেন: সব পণ্যের দাম উধ্বমুখী শুধু চামড়ার দাম নিম্নমুখী। আফসোস!!

১০ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:২১

শেরজা তপন বলেছেন: কি করা যায় ভাবুন স্যার- এখনো সময় আছে

আসুন না হয় আমরা সবাই মিলে ভাবি- দেখি চামড়ার দাম উর্ধ্বমুখী করা যায় কিনা?

১২| ১০ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৪০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাই, কাংগালের ধন চুরী ব্যাতীত কেউ বাড়ী-গাড়ী-ব্যাংক Balance-বেগম পাড়ায় (বিদেশ)বাড়ী-সুইসব্যাংকে হিসাব খোলা কিংবা ছেলেমেয়েদের উন্নত দেশে পাঠানো কোনটাই সম্ভবনা। আর এত সব উন্নয়নমূলকা কাজ সম্ভব শুধু গরীবের টা মেরে খেলেই।

আর তাইতো একে একে আমরা খেয়ে যাচছি পাট (খাওয়া শেষ,এখন গ্রামের ছেলেরাও পাট কি জিনিষ অনেকে চিনেনা), চা (গরীব শোষনের অন্যতম খাত),তৈরী পোষাক (garments) (শ্রমিকের শ্রম এবং ঘামের উপর মালিকদের সম্পদের পাহাড় গড়া),ব্যাংক (এই ব্যাপারে কিছু বলার কি আছে ?)

বাকী রইল চামড়া (এতিম-অসহায়দের শেষ ভরসার জায়গা ছিল,তাও খাওয়া শেষ প্রায় ),বিগত কয়েক বছর যাবত যেভাবে চামড়া খেয়ে যাচছে তাতে খাওয়া প্রায় শেষ।এখন যদি এমন কিছু হয়, চামড়া যারা উৎপাদন করবে তাদের উপর করারোপ (ভোক্তা কর ) করে এই বলে যে, তারা চামড়া উৎপাদন করে পরিবেশের ক্ষতি করছে ।আর তাই বায়ারদের চামড়ার সাথে আরো কিছু টাকা দিতে চামড়া লবণ দিয়ে সংরক্ষণ (খাওয়ার ) করার জন্য ,তাতেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবেনা ।

জয়তু খাদক +++।

১০ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:২৯

শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ কামরুজ্জামান ভাই, সুন্দর সূদীর্ঘ মন্তব্য করার জন্য।

আমি চামড়ার সেক্টরটা খানিকটা বুঝি( প্রফেশনাল লাইফের জন্য) কিন্তু পাট আর গার্মেন্টসের বিষয়ে তেমন কিছু বুঝিনা। আশা করি কেউ কোন একদিন লিখবে -এইসব খাতে এই দুরবস্থা কেমনে হোল?
শুধু ক্ষোভ প্রকাশ করলে হবে না -এর সমাধানের পথও আমাদের বের করতে হবে।
আমাদের দেশে চামরার জন্য গরু পালন করে না- করা হয় দুধ আর মাংসের জন্য। চামড়ার দাম জিরো ফিগারে চলে গেলেও এর উৎপাদন ব্যাহত হবে না। এটা -বাই ডিফল্ট র মেটেরিয়ালস! অতএব এই খাতে পুরোপুরি ধ্বস নামার সম্ভাবনা নেই। একদম তলানীতে চলে গেলেও আবার ফিরে দাঁড়াবে। আমি চাই সব জিরো হয়ে যাক। সবকিছু ফের নতুন প্রজন্ম নতুন করে শুরু করুক।

১৩| ১০ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:০৭

জুন বলেছেন: আমাদের দেশে প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত চামড়া হয়ে গেছে তাই অবস্থা তপন।
দেখেন না আমাদের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ত মিছিলে স্লোগান দেয়
অমুক ভাইয়ের চামড়া, তুলে নিবো আমরা :P
+

১০ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৩১

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যা আপু বেশি হয়া গেছে :)

নতুন স্লোগান হঊয়া উচিত;
~এখন থেকে আমরা, ভাইয়ের গায়ে ফের লাগাব চামড়া~

১৪| ১০ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:৫০

কুশন বলেছেন: আওয়ামীলীগ সরকারে বুদ্ধিমান প্রানীর সংখ্যা কম।

১০ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: আমাদের পুরো জাতিতে সেই সঙ্খ্যা বিচার করলে খুব একটা পার্থক্য হবে না

১৫| ১০ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৫৮

ঢুকিচেপা বলেছেন: চমৎকার একটা বিশ্লেষণ করেছেন।
আগে ভাবতাম সিন্ডিকেট করে এরা চামড়ার দাম কমিয়ে রাখে কিন্তু এখন দেখছি ওরা অনেক আগেই নিজের পায়ে কুড়াল মেরে বসে আছে। ঠকবাজী করে নিজেদের সাথে দেশটাকেও ধরা খাইয়েছে।

১১ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:২৪

শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা অনুপ্রাণিত করার জন্য।

অনেকেই অনেক কিছু ভাবে-কিন্তু বাস্তবতা আসলে ভিন্ন।
কিছু লোভী মানুষের লোভের কাছে অসহায় ভাল ও সত্যিকারের ব্যাবসায়িরা।
আশা করছি সামনের দিনগুলোতে এভাবে সাথে থাকবেন। সঠিক সমালোচনা করে অনুপ্রাণিত করবেন।

১৬| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:০৬

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চামড়া নিয়ে আপনার আগের পোস্টগুলিও আমি পড়েছি। পাট শেষ, চামড়াও শেষের পথে এখন বাকী গার্মেন্টস শিল্প। দেশকে ভালোবেসে কেউ যে এর হাল ধরবে সে আশাও সুদূরপরাহত। জগত শেঠ, মীর মদন, মীর কাসেমরা দেশকে কখনো তো ভালো বাসেইনি পক্ষান্তরে কি করে দেশে বারোটা বেজে কানাডার বেগম পাড়ায় গাড়ীবাড়ী করা যায় সে চিন্তায় তাদের ২৪ ঘন্টা চলে যায়। বাস্তব তথ্যবহুল পোস্ট পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল তারপরও মানুষকে বেঁচে থাকতে হয় আশা নিয়ে। হয়তো আপনার কাছেই অন্যদিন শুনতে পাবো ভালো কিছু।



ভালো থাকুন নিরন্তর।



১৩ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:৫০

শেরজা তপন বলেছেন: ফের অনেক ধন্যবাদ আপনার আন্তরিক ও উৎসাহমূলক মন্তব্যের জন্য!
আশা নিয়ে পথচলা - আশা নিয়ে বেঁচে থাকা, এছাড়া আর উপায় কি বলুন।
আমি আমার পক্ষ থেকে যতটু পারি করছি- অপেক্ষায় আছি চামড়ার সুদিন কোন একদিন ফিরে আসবে।
অনেক হতাশা ও সপ্নভঙ্গের মাঝেও নতুন দিনের সপ্ন দেখি।

সামনের দিনগুলোতেও আপনাকে এভাবে সাথে পাব এই প্রত্যাশায়...

১৭| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



প্রথম পর্বটি পাঠ করে সেখানে একটি ছোট্ট মন্তব্য লিখে এসেছি ।
পরের পর্বগুলি ধারাবাহিকভাবে পাঠ করতে গিয়ে এই ৫ম পর্ব
পেয়েছি । বাকি পর্বগুলি সম্ভবত আপনিই উঠিয়ে নিয়ে গেছেন ।
এই পর্বটি আমি অবশ্য যথা সময়য়ে পাঠ করে একটি বেশ
বড় সড় মন্তব্য লিখেছিলাম । সেটি প্রকাশ করার ঠিক পুর্বমহুর্তে
ইন্টারনেট চলে যাওয়াও সেটি আর প্রকাশ করতে পারিনি ।
মন্তব্য প্রকাশের পুর্বে সেভ করেনি বলে পরে সেটি আর খুঁজে
পাইনি । কারণ ভুলে লগ ইন না করেই পোষ্টটি পাঠে মন্তব্যটি
লিখেছিলাম । যাহোক, তার পর আর পোষ্টটিতে সেসময় আর
মন্তব্য লেখা হয়ে উঠেনি । ভাবছিলাম পরে সময় করে
আবার আসব । সে কাজেও বিলম্ব হয়ে গেল ।
যাহোক পোষ্টটি বেশ মনযোগ সহকারে পাঠ করেছি ।

পোষ্টটিতে চামড়াশিল্প ও ট্যানারী শিল্পের হালনাগাদ অনেক পরিসংখ্যান
উঠে এসেছে । ।এই শিল্প হতে বর্জ্য উৎপাদন ও সেসকলের মারাত্বক
কুফলের চিত্রই অনেকটা পরিস্ফুট হয়েছে ।

চামড়া শিল্পে নিয়োজিত জনবলের বর্তমান হালহকিকত ও ভবিষ্যত সম্ভাবনা
নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে ।
চামড়া শিল্পে রং রসায়নের ব্যবহার , চামড়া শিল্পের বানিজ্যিক দিক, আমদানী
রপ্তানীর পরিসংখ্যান এর ফাঁক ফোকর ও বিপর্যয় সম্পর্কে কথামালাও উঠে
এসেছে ।
আপনি ঠিকই বলেছেন ট্যানারী মালিকগন বুঝে গেছে চামড়া শিল্পের বানিজ্যিক
পতন অনিবার্য । তাই মাখনটুকু খেয়ে এখন তারা সটকে পড়ার তালে আছে, তবে
এ্যই ফাঁকে এর বাকি নির্যাসটুকু আরো কি ভাবে হজম করা যায় আছে তার
ফন্দি ফিকিরে।

ঠিকই বলেছেন জগত শেঠ আর মীর কাশেমদের মত অর্থ লোলুপ বিকৃত মানসিকতার
মানুষদের বুদ্ধি পরামর্শ আর প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় চৈনিক খেলায় মত্ত হওয়ার কথা ।
বিষয় গুলি তথ্য উপাত্ত দিয়ে সুন্দর করে তুলে ধরেছেন ।

সবশেষে ঘটবে যা তা সুন্দর করে তুলে ধরেছেন যথা-
সামনের দিনগুলিতে দুই কোটি কাঁচা চামড়ার পঁচা গন্ধে
দেশ ছেড়ে ভাগতে না হয় ।
এটাই এখন ভাবনার
বিষয় । যাহোক পরের পর্ব পাঠ করতে চললাম ।
যাওয়ার বেলায় মুল্যবান পোষ্টটি প্রিয়তে
নিয়ে গেলাম ।

শুভেচ্ছা রইল

১৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:১২

শেরজা তপন বলেছেন: লেখা পড়তে আপনার এত কষ্ট হবার পরেও আপনি আমার পোস্টগুলো খুঁজে খুঁজে পড়ে যে সমস্ত মুল্যবান মন্তব্য করেছেন সেজন্য আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা নেই -এরপরে আবার প্রিয়েতে নিয়ে জমিয়ে রেখেছেন; সে আনন্দ প্রকাশ করার ভাষাও আমার নেই;
আপনার মন্তব্যের উত্তরগুলো একটু গুছিয়ে সয় করে দিতে চাই- সেজন্য আজকে সংক্ষিপ্ত প্রতিমন্তব্য করছি।
আপনি বলেছেন যে, বাকি পর্বগুলো পাননি- কিন্তু আমি খুঁজে দেখলাম সবগুলো পর্বই আছে। আপনার যদি ফের পড়ার ইচ্ছে জাগেবা সময় মেলে সেজন্য আমি বাকি তিনটে পর্বের লিঙ্ক এখানে যুক্ত করছি;
পর্ব ২ঃ Click This Link
পর্ব ৩ঃ Click This Link
পর্ব ৪ঃ Click This Link
সবগুলো পর্ব পড়ে ভুল ত্রুটিগুলো ধরিয়ে দিয়ে আপনার মহামুল্যবান মতামত জানাবেন বলে প্রত্যাশা।
আপনি ভাল থাকুন, সুন্দর থাকুন সুস্থ্য থাকুন।

১৮| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৫৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার পোষ্ট পড়ে মনে পড়লো ড.এম এ আলী ভায়ার সেই দারুন প্রবন্ধটার কথা...

"মাটিতে প্রোথিত কুরবানীর পশুর চামড়াই ধ্বংসের হাতিয়ার হয়ে ঝাপিয়ে পড়ুক চামড়াশিল্পের অশুভ সিন্ডিকেট বিনাশে "

হায়! আমাদের সো কলড নীতি নির্ধারকদের কবে হুশ হবে। X(( X((


১৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:১৫

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি এসেছেন তাহলে ভৃগু ভাই। আমার বড় ভাল লাগছে
দু- চারদিন অন্তর আপনার একটা পোষ্ট না দেখলে সামু ব্লগ অপূর্ন মনে হয়। ফিরে আসুন ভাই- স্বমহিমায়


অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ডঃ এম আলী ভাই'য়ের পোস্টের লিঙ্কটা দেবার জন্য।
আপনার মত আমিও অপেক্ষায় আছি তাদের হুশ ফেরার জন্য।

ভাল থাকুন করোনা থেকে সাবধানে থাকুন।

১৯| ১৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:২৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



আপনার প্রথম পর্বের নীচে যে লিংকটি দিয়েছেন সেখানে ক্লিক করলে নীচের লেখাটি ভেসে উঠে

এই পোস্টটি লেখক নিজে সরিয়ে ফেলেছেন, বিস্তারিত জানতে পোস্টটির লেখকের সাথে যোগাযোগ করুন।
আপনি কষ্ট করে আবার চেক করে ঠিক করে দিলে মনে হয় ভাল হয় ।

১৭ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৪২

শেরজা তপন বলেছেন: আমি চামড়া নিয়ে আপনার গবেষনাধর্মী লেখাটা পড়ছিলাম। বিশাল পোষ্ট - খুটিয়ে খুটিয়ে পড়তে সময় লাগবে, তাই কোন মন্তব্য
করিনি।
আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছে মার লেখাগুলো সত্যিই সরিয়ে ফেলি।
যাহোক তবুও লিঙ্কটা ঠিকঠাক করে দিয়েছি। আপনাকে সবিশেষ ধন্যবাদ সমস্যাটা ধরিয়ে দেবার জন্য।

* আমি রাত সাড়ে এগারটার পর চোখে ঝাঁপসা দেখি-ভোর পাঁচটায় ঘুম ভেঙ্গে যায় তো। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.