নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোয়ারেন্টিন ও ইলিউশন # শেষ পর্ব

১৪ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:১৬


আগের পর্বঃ Click This Link
দিনের বেলায় তো ভয় লাগেনা কিন্তু মাথায় টেনশন ছিল,এমন ভুতুড়ে ঘটনাটা ঘটল কেমনে সে ভেবে ভেবে অস্থির!
সম্ভাব্য অসম্ভাব্য সবখানেই ফের খুঁজে খুঁজে দেখলাম! শুধু বেড়াল হলেও কথা ছিল- সাথে ছানা পোনাও ছিল চার পাঁচখানা!
সবগুলো একসাথে উধাও হল কেমনে? এখানে কোন বাড়িতে ভেন্টিলেটরও নেই সান-শেডও নেই যে,ওই ফাঁক দিয়ে গিয়ে সেখানে গিয়ে লুকাবে!
জানালার বিশাল পর্দা তুলে কাঁচের বিশাল ডালাটা অনেক কসরত করে খুললাম! কারন ছিল দুটো; একটা হল চারপাশের সব কিছু ভাল করে অবলোকন করা আর বিপদ আসলে এসকেপের রাস্তা খোঁজা। রাস্তা বেরুল একটাই; হাত-পা ভাঙ্গার! যে বিষয়টা ভাবতে গিয়ে ভড়কে গেলাম সেটা হোল,-নীচ থেকে বা উপর থেকে কোন বিড়াল কুকুর লাফ-ঝাঁপ দিয়ে এখানে আসার উপায় নেই।
কেন যেন মনে হোল জো’র(সাবাকা ‘জো’ আনিসের কুকুরের নাম) ছোট বেলায় আসার কোন গোপন রাস্তা ছিল এ বাসায়! গোপন পথ খুঁজতে গিয়ে আমি ঘেমে নেয়ে একাকার। বাসার কোথাও একটা ফু্টো পর্যন্ত পেলাম না। কোন একটা সমাধান না পেয়ে মনের মধ্যে খচ খচ করছিল।
তাহলে এটা কি ইলিউশান?
----------------------------------------------
বেশ ক’দিন আগে আমার এক পাঁড় মাতাল বন্ধু সুদর্শন ইকবাল তিনদিন ধরে লাপাত্তা ছিল! একা একটা বাসা ভাড়া করে সবার থেকে অনেক দূরে থাকত।
ফোন ধরছে না- কারো সাথে যোগাযোগ করছে না কেন এই নিয়ে সবাই খুব চিন্তিত ছিলাম! অবশেষে একদিন সকালে ওর বাসায় গিয়ে হামলা দিলাম। মিনিট দশেক ডোর বেল বাজানোর পরে সে দরজা খুলল। ঢুলু ঢুলু রক্তের মত লাল চোখ আর বিধ্বস্ত অবস্থা।
আমাদের দেখে একটু রাগ – এত সকালে ঘুম ভাঙ্গাইলি ক্যান?
ঘুম ভাঙ্গাইলাম মানে- এই কয়দিন তুই কই ছিলি?
-এই কয়দিন কই? সে যেন আকাশ থেকে পড়ল! গতকালই না তোদের সাথে দেখা হইল!
-শালায় কয় কি? এই শালার পুত- তোরে খুঁজতে খুঁজতে জান শেষ! তুই এই কয়দিন কই ছিলি ক?
- সে কোনভাবেই স্বীকার করে না তার সাথে আমাদের তিনদিন দেখা হয় নাই।
শেষে আজকের তারিখ আর দিন দেখালে সে ঝিম মেরে বসে রইল কিছুক্ষণ। তার মাথায় কাজ করছে না কিছু।
বেশ সময় নিয়ে অনেক চাপাচাপির পরে সে স্বীকার করল; তিনদিন আগে নাকি সে এর জিউস বন্ধুর চাপাচাপিতে এল এস ডি এক্সপেরিমেন্ট করছিল!
-দোস্তরে কি ফিলিংস; আমি আর এই দুনিয়ায় নাই! মন চাইলে হালকা হয়ে ভাসতেছি,মন চাইলে ছোট হই,একদম হারায় যাই,আবার ছাদ এসে মাথায় লাগে।
চারিদিকে যে কত রঙ- এত রঙ জীবনে আমি দেখি নাই! জানালা খুলে গাড়ি ঘোড়া সব উল্টায় দিলাম। কাউরে হাত টেনে লম্বা করে দেই, কারো পা চেপে খাটো করি- সে এক এলাহি ব্যাপার! ক্যামনে কি কিছুই বুঝলাম না। পুরাই উরা ধুরা ব্যাপার- যা মন চায় তাই করি!
কিন্তু ফাঁক দিয়ে তিন দিন গেল ক্যামনে???? ( আলাপটা আরো দীর্ঘ ছিল- এই ড্রাগসের প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে আমি বেশী কিছু বলতে চাইনা। কেউ কেউ আগ্রহী হয়ে উঠতে পারে, মনে হয় নামটা দিয়েই ভুল করলাম।)
সেইদিন ধরে এনে ওকে মার্কেটে হেভি ঝাড় দিয়েছিলাম। কান ধরে শপথ করিয়েছিলাম, আর কোনদিন এসব করবে না বলে। না করে উপায় নাই একজন টেলিফোনে ডায়াল করছিল ওর দেশের বাড়িতে। মায়ের একমাত্র ছেলে সে। মা-কে পাগলের মত ভালবাসে। মা যদি এইসব শোনে তাহলে হার্টফেল করবে।
সারাদিন মদ গাঁজা খাও আর রাতভর বমি কর-সমস্যা নাই, বন্ধুরাই গালিগালাজ করতে করতে সাফ করবে। কিন্তু হেরোইন,এল এস ডি,কোকেন এসবের ব্যাপারে কোন ছাড় নাই! আমাদের বন্ধু আর সিনিয়র ভাইদের এই বিষয়টা খুব ভাল লাগত।
----------------------------------------
বে আমিতো কোন ড্রাগস সেবন করি নাই। এমন কি এই কয়দিনে একটা বিয়ার পর্যন্ত পান করিনি; তবে আমার কেন ইলিউশান হচ্ছে? ভাবছি আর টেনশন হচ্ছে, দিনের বেলাতেও ভয় ভয় লাগছে। খাবার গলা দিয়ে ঢুকছে না।
দিন না হয় যেমন তেমন রাত কাটাব ক্যামনে? একবার ভাবলাম ষাঁড়ের মত চেঁচাই- পুলিশ টুলিশ এসে দরজা ভেঙ্গে না হয় জানালায় মই দিয়ে উদ্ধার করে নিয়ে যাবে! আবার ভাবি দেখিই না কি হয়?
ভাগ্যিস গ্রীষ্মকাল- সন্ধে নামে দেরিতে! বাইরে অন্ধকার হতেই-সব ঘরের বাতি জ্বেলে ফুল ভলিউমে টিভি ছেড়ে; লিখতে বসে গেলাম!
কি লিখব ছাই? সাদা কাগজে শুধু বেড়ালের চোখ ভাসে! কি ভয়ঙ্কর কুতকুতে ছাইরঙা আর নীলচে চোখ- শুধু আমার দিকে ক্যাট ক্যাট করে চেয়ে থাকে।
তবুও একসময় লেখায় মশগুল হয়ে ভুলে গেলাম সবকিছু... মাঝ রাতে টিভি চ্যানেল বন্ধ হতেই বাড়িঘর কাঁপিয়ে তার ঝির ঝিরে শব্দে আমি ভয়ঙ্কর ভাবে চমকে উঠলাম!
টিভি বন্ধ করার পরেই ভয়টা বেশ জেঁকে ধরল! শব্দহীন সেই ঘরে আশে পাশে কোথাও কুট করে শব্দ হলেই কেঁপে উঠছিলাম!
কি আর করার শুরু করলাম হেঁড়ে গলায় গান- বাংলা রাশিয়ান, উর্দু হিন্দি, হিপ হপ,রক, র্যা প, পপ কিছু বাদ গেল না। সমস্যা হোল সব গানেরই দু’তিন লাইন পরে আর মনে করতে পারছিলাম না।
ওহ হো মনে পড়ল। শব্দ করার আর একটা উপায় আছে- রান্না করা। ভাবতে ভাবতেই শুরু করে দিলাম রান্নার যোগারযন্ত- গ্যাসের চুলার শো শো শব্দ,পানির ছর ছর,ছুড়ি আর চপার বোর্ডের কচ কচ- খচ খচ সব শব্দই আজ বড় মধুর লাগছে! কেজি খানেক মাংস ফ্রিজ থেকে বের করে গাজরের পেস্ট দিয়ে মাখিয়ে নিলাম! তারপর বাটার,আলু,গোল মরিচ আর সামান্য কিছু মশলা দিয়ে অল্প জ্বালে চড়িয়ে উচ্চস্বরে গান গাইতে গাইতে ইচ্ছে করেই ঘন ঘন নাড়তে লাগলাম!ভোর পর্যন্ত মাংস কষিয়ে কাটানো যাবে! আমি নিজের বুদ্ধিতে নিজে বিমোহিত হয়ে গেলাম!
সে রাতে আর কোন সমস্যা হয়নি- মাংস প্রথমে লাল ভুনা, খানিক বাদে কালো ভুনা আর শেষ মেশ কয়লা ভুনা হয়েছিল শুধু!
দিনের বেলা আমি ঘুমাতে পারিনা- শুধু তন্দ্রার মত আসে আর শরীর ব্যথা হয়ে যায়। এরপরে জো’ ব্যাটা রাত ছেড়ে দিনে এসে উৎপাত করতে লাগল। সে এসে অখন তখন শরীর চাটে- ধাক্কা দিলে ঘেউ ঘেউ করে বাড়ি মাথায় করে নেয়, না হলে খানিকটা দূরে গিয়ে মায়াবী চোখে এক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে আমার দিকে। আবার ক্রিং ক্রিং ফোনের শব্দে শব্দে ঘুম ভেঙ্গে দৌড়ে গিয়ে রিসিভার কানে ঠেকিয়ে বেকুব বনে যাই। এরপরে উটকো শুরু হোল ডোর বেলের শব্দ। কি এক মহা দিকদারিতে পড়লাম!
-----------------------------------------------
টুং টাং টুং বেশ অনেকক্ষণ ধরেই ডোর বেল বেজে চলছিল... সেবারও ভেবেছিলাম ইলিউশান। দরজার কাছে গিয়ে আস্তে করে জিজ্ঞেস করলাম; কে?
- মিলিশিয়া!
খাইছে! পিপ হোলে চোখ রেখে দেখি দরজার ওপাশে নীল পোশাকে দু’জন ইয়াং রাশিয়ান পুলিশ। আমি আবার রাশিয়ান ভুতের থেকে পুলিশে ভয় পাই বেশী!
- কি সমস্যা?
- দরজা খোল
- চাবি নাই (ক্লুচি নিয়েতো)
- চাবি নাই মানে? তুমি ভিতরে ঢুকছ ক্যামনে? তাড়াতাড়ি দরজা খোল- পাশের বাসা থেকে কমপ্লেইন এসেছে তোমার নামে?
- কি কমপ্লেইন?
- এ বাসা থেকে নাকি কেউ বের হচ্ছে না ঢুকছে ও না। কিন্তু সারারাত ধরে বাতি জ্বলে!
আরেব্বাস সব খবরাদি লইয়া আইছেন!
- আমার বন্ধু আমাকে রেখে দাচায় গেছে। সে ভুলে চাবি নিয়ে গেছে! আমার কথা বিশ্বাস না হলে দরজা ভেঙ্গে আস।
আমার কাছে চাবি থাকলেও আমি দরজা খুলতাম না। এরা নির্ঘাত পুলিশের ছদ্ম বেশে হুলিগান!আমি জানি আমি দরজা না খুললে- ওরা ভেতরে আসতে পারবে না। এ দরজা খুলতে স্পেশাল যন্ত্রপাতি আর এক্সপার্ট লাগবে।
- তারা অনেক হুমকি ধামকি দিল।
- আমি জানতে চাইলাম তাদের মিলিশিয়া কোড আর দু’জনের নাম। দুজনেই তখন ঘাবড়ে গেল। তারপরে পুলিশের ইজ্জত রাখতে একটা কোড আর নাম বলল; আমি আসছি বলে ভিতরে গিয়ে আজইরা ডায়াল ঘুরিয়ে। চিৎকার চেঁচামেচি করে দা নিয়েত স্তো চিভো ( হ্যাঁ না কি তাই)
এইসব বলে ফিরে এসে পিপ হোলে চোখ রাকতেই দেখি মিলিশিয়া উধাও!
ভাবছিলাম এইটাও কি ইলিউশান!
সারাদিন আর ঘুম আসলনা- ফের লিখতে বসলাম।
সাদায় পাতায় দেখি বেড়ালের চোখ, মিলিশিয়ার চেহারা,জো’র অভিমানী মুখায়বব! সে রাতটাও গেল নির্ঘুম-উল্টা-পাটা লেখালেখির চেষ্টায়,গভীর রাত অব্দি উঁচু ভলিউমে টিভি আর টিভি চ্যানেল বন্ধ হয়ে গেলে ভোর অব্দি রান্না বান্না করা। ইচ্ছে করে তেল মশলা বেশী করে দিই। আনিস এই মশলাগুলো বাংলাদেশ থেকে এনেছে- খুব যত্ন করে রাখে। আর আমি তার উপর রাগে ক্ষোভে প্রয়োজনের থেকে তিনগুণ মশল্লা খরচ করছি। প্রথম দিনের খাবার এখনো পরে আছে। অযথাই নিঃসঙ্গতা আর ভয় কাটানোর জন্য রাঁধছি।
বম দিন সারাদিন পড়ে পড়ে ঘুমালাম। বসে থাকলেই ঝিমুনি আসে। সে রাতে টিভিতে দেখলাম আমার এযাবৎ দেখা সবচেয়ে হাসির ছবি!
রুশ ভাষায় নয়- সম্ভবত পোলিশ অথবা চেক ভাষা না বুঝেই !ছবি দেখে হাসতে হাসতে বহুবার চোখে পানি চলে এল। কাশি হোল- পেট ব্যথা হোল,বুকের বাঁপাশে চিলিক দিল।
রাত তখন পৌনে একটা হবে। ছবি শেষ। আমি তখনো মনে মনে দুলে দুলে হাসছি। সব ঘরের বাতি জ্বলানো হয়নি। এ দু’দিনে ভয় কেটে গেছে অনেকটা। তার উপরে হাসির ছবি দেখে বেশ একটা জোশ চলে এসেছে।
সারাক্ষণ দরজা জানালা আটকানো থাকায় কেমন যেন একটা গুমোট ভাব। আমি উঠব সবে জানালা খোলার জন্য- ডিভানে বসেই উঠব উঠব করে বা দিকে জানালার দিকে তাকাতেই শরীর হিম হয়ে গেল! দৃশ্যটা দু থেকে তিন সেকেন্ডের! শুধু দেখলাম ভারি পর্দার ওপাশ থেকে একজোড়া চোখ নির্নিমেষে চেয়ে আছে আমার দিকে। জানালার ওপাশ থেকে পর্দার এপাশে একদম স্পষ্ট দেখতে পেলাম আমি। শিরদাঁড়া বেয়ে বিদ্যুতগতিতে একটা স্রোত বয়ে গেল- পরক্ষনেই শরীরে একটা ঝাঁকুনি। আর কিছু মনে নেই আমার।


সম্ভবত ভোরের দিকে আমার জ্ঞান ফিরেছিল। এ ঘটনার পরে কিছুটা মানসিক বৈকল্য ও ঘোরের মধ্যে ছিলাম কিছুদিন। সে সময়ের স্মৃতি ভয়ানক ঝাঁপসা- বলতে গেলে কিছুই মনে নেই। সেখান থেকে বেরিয়ে আমি আর আনিসের বাসায় যাইনি কোনদিন।

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৩৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ওরে বাবা! কি ভয়ঙ্কর অবস্থা।রাতের সঙ্গে দিনের বেলাতেও একি ঘটনা। আচ্ছা চাবি তো আপনার কাছে ছিল না। তাহলে রুম থেকে বের হয়েছিলেন কেমনে? এইসব প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে পর্ব শেষ হয় কেমনে?

১৪ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৫৬

শেরজা তপন বলেছেন: শেষেরটা রাতেই ঘটেছিল- মধ্য রাতে!
সে ঘোটনার চারদিন বাদে আমার বন্ধু ফিরে এসেছিল। তার কাছেতো ডুপ্লিকেট চাবি ছিল! যত সম্ভর আরেকগছা চাবি তার বউ
ভুলে ব্যাগে নিয়ে যায়। কিন্তু তারা স্বীকার করেনি কোনদিন। আনিস দেশে আসলে গত বছর ও আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম; সে
তখনও বলল, একই কথা!
ধন্যবাদ দাদা- ফের আপনাকে পেয়ে খুব ভাল লাগল। ভাল থাকুন -সুস্থ্য থাকুন। সাবধানে থাকবেন।

২| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৪১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সে রাতে আর কোন সমস্যা হয়নি- মাংস প্রথমে লাল ভুনা, খানিক বাদে কালো ভুনা আর শেষ মেশ কয়লা ভুনা হয়েছিল শুধু! যদিও এ লাইন টা পড়ে খুব হাসলাম। প্রথম পর্বে ও আমার কাছে মনে হয়েছিলো হয়ত পরের পর্বে আপনি খোলসা করবেন কি ঘটেছিলো আসলে। কিন্তু এ যে দেখছি সত্যি ই ব্যখ্যার অতীত !! যাইহোক এ এক ধরনের অভিজ্ঞতা যা না হওয়াই ভালো মনে হচ্ছে। আপনার বর্ণনা সবসময় ই মনমুগ্ধকর।

ভালোলাগা।

১৪ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:০০

শেরজা তপন বলেছেন: সে রাতে তাও তো কিছু একটা হয়েছিল। তৃতিয় রাতে ফ্রিজে মাংসই ছিলনা , শুধু আলু আর গাজর সারা রাত ভুনা করা সে কি কষ্ট!!
:) :)
এ পর্বটা আমি লিখতে চাচ্ছিলাম না। এখনো খানিকটা অন্যরকম অনুভুতি টের ভাই- ভুলে যেতে চেয়েছিলাম সে রাতের কথা।

আমি মনে করি এটা ইলিঊশান- অন্য কিছু নয়। কয়েক রাত ধরে জমে থাকা ভয় একসাথে আঁকড়ে ধরেছিল।

বরাবরের মত একান্ত আন্তরিকতা নিয়ে সাথে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ রইল।

৩| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:১৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেয়ার আর মেনি থিঙ্কস ইন হ্যাভেন এন্ড আর্থ.............যার কোন ব্যাখ্যা কেউ কোনদিন জানতে পারে নাই।

এমন কেয়ারলেসনেসের জন্য আপনার বন্ধুকে বড় ধরনের শাস্তি দেয়া উচিত ছিল। অবশ্য আপনার দোষটাও ইগনোর করা যায় না। চাবি বুঝে নেয়াও আপনার দায়িত্ব ছিল।

রুদ্ধশ্বাসে শেষ করলাম। ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। :(

১৪ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৪

শেরজা তপন বলেছেন: এমন কিছু রহস্য অবশ্যই থাকবে বা থাকা উচিত যার সমাধান মানুষ কোনদিনই করতে পারবে না-
না হলে জীবনটা রসকষহীন হয়ে যাবে :)

তার এমন একটা ভুলে ভয়াবহ কিছু একটা ঘটতেও পারত। আমি এখনো দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি সেটা ইলিউশান ছিল কিন্তু আমার থেকে আরো দুর্বল নার্ভের কেউ সেখানে থাকলে কি হোত, ভাবা যায় না!!!

তখন বন্ধুত্বের সংজ্ঞা ভিন্ন ছিল( সি বয়সে- বিদেশ বিভূঁইয়ে)। সে এখনো আমার পরমতম বন্ধু।

আপনাকে এই পর্বে পেয়ে খুব ভাল লাগল ভুয়া ভাই।
সেদিনের বিড়ির গল্পটা মনে গেঁথে আছে :)

৪| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:৪৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: ছবিটাতো ভয়ানক। দেখেই ভয় পাইছি ।

১৪ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: :) ঢাবিয়ান ভাই, খালি ছবিটাই দেখলেন লেখাটা দেখলেন না???

ভয় দেখানোর জন্য দুস্কিত :)

৫| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১১

জুন বলেছেন: গা শির শির করা ঘটনা শেরজা তপন । আচ্ছা এমন সময় কি মনে হয় পিঠের উপর কিছু একটা চেপে বসেছে ?
সত্যি ভয়ানক ঘটনা। আপনি অসুস্থ হয়ে পরেছিলেন এটাই স্বাভাবিক। আমিই ভয় পাচ্ছি পড়ে । তবে লিখেছেন অত্যন্ত সাসপেন্স নিয়ে যা পড়তে ভালোলেগেছে অনেক ।
+
আমি একবার রোমে এমন ইলিউশনে পরেছিলাম তবে হাল্কার উপর । রোমের ঠিক সেন্ট্রালে আমার হাজবেন্ডের কলিগের এপার্টমেন্টের এক রুম ভাড়া দেয় আমরা ৩ সপ্তাহের জন্য সেখানেই উঠি। লুচি মেয়েটি প্রথমদিনই আমাদের একটা রিং এ গাথা আমাদের রুমের চাবি,এপার্টমেন্টে ঢোকার চাবি আর মেইন বিল্ডিং এ ঢোকার চাবি বুঝিয়ে দিয়েছিল। আমার স্বামী , লুচি আর তাঁর বয়ফ্রেন্ড অফিসে চলে গেলে আমি প্রায়ই ১০টার দিকে বের হই । সেদিনও বের হয়ে ঢাকায় রেখে আসা ছেলেকে ফোন করে ফিরে আমার হাতের মুঠোয় তাকিয়ে দেখি সেখানে মেইন বিল্ডিং এ ঢোকার বিশাল আর শক্ত সেই দরজার চাবিটি নেই। বার বার দেখছি নাই,নাই। রিং ধরে ঝাকি দিচ্ছি কিন্ত তৃতীয়টি চাবিটি নেই, বাকি দুটো আছে। আমার হাত পা ঘামতে লাগলো । সকাল বাজে ১১টা ওরা সবাই আসবে সন্ধ্যা ৭টায় । আমি এতক্ষন রাস্তায় রাস্তায় কি করবো। রাস্তাঘাটে লোকজন নেই আমি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে হাতের তালুতে ধরা চাবির গোছার দিকে তাকিয়ে আছি। তারপর হাত বন্ধ করে আবার খুলতেই দেখি সেই চাবি। এর ব্যাখ্যা আমি আজও পাই নি শেরজা তপন।

১৪ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩০

শেরজা তপন বলেছেন: জ্বী আপু সেই পনেরদিন ছিল আমার জীবনের ভয়ঙ্করতম! আমি বার বার সি দিনগুলোর কথা ভুলে যেতে চাই
ভুলতে পারিনা শুধু- লেখালেখির শুরুতা তখন থেকেই হয়েছিল বলে। সে জন্যি শুরু করে পুরোটা লিখতে প্রায় বার বছর লেগে গেল!!

হায় হায় আপনার ও এরকম ভয়ানক ঘটনা ঘটেছে নাকি?? সেজন্যই জানতে চাই কি ঘটে নাই আপন্র জীবনে তাই বলেন?
প্রতিটা মানুষের জীবনে অসমাধান যোগ্য অনেক ঘটনাই ঘটে- কেউ আমলে নেয়,কেউ নেয় না।


বেশ কিছুদিন আগে আমি অফিসে বসে একাকী কাজে নিমগ্ন ছিলাম। সে মুহুর্তে সেই ফ্লোরে কেউ ছিল না;
আমি মাথা নিচু করে কি লিখছিলাম যেন। হঠাত একজন এসে বেশ লম্বা করে সালাম দিল
আমি সেই অবস্থাতেই সালামের উত্তর নিয়ে তার দিকে না তাকিয়েই বসতে বললাম।
তিন সেকেন্ড পরে মুখ তুলে দেখি কেউ নেই।বাইরের দরজা আগের মত ভেড়ানো। তিন তলা থেকে দৌড়ে নীচ তলায় নামলাম দেখি কেউ নেই। বাইরের কলাপ্সেবল গেইট আটকানো।
পরে ভাবলাম ; আমার রাস্তার দিকের দরজাটা খোলা ছিল। রাস্তায় হয়তো কেউ কাউকে সালাম দিয়েছে। সেটা মনে হয়েছিল আমাকে দিচ্ছে। আমার পাশের বাড়ি বেশ দুরে। কিন্তু রাস্তায় কাউকে দেয়া সালাম তিন্তলায় এত স্পষ্ট আমার সামনে মনে হবে কেমনে? হতে পারে ইলিউশন- আরো কত ঘটনা আছে এমন( সবচেয়ে বেশী হয়েছে প্রেমে পড়ে :) )

আপনার দারুন প্রায় ভৌতিক একটা ঘটনা শেয়ার করার জন্য- আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ। আর যেন এমন না ঘটে

৬| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:২১

শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়া ভয়ের গল্প পড়লেই আমার হাসি পায় কেনো??


এ কি উল্টাবুড়ি রোগে ধরলো আমাকে!!!!!!!!! :((

১৪ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৩২

শেরজা তপন বলেছেন: ইটাতো ভুতের গপ্পো নয় আপুনি! আপনে ভয় পাইলেন না ক্যান????

আমি সবাইকে বলেছি, আপনি হলেন ভুতের ওঝা! কত ভুতকে বোতল বন্দি করে রেখেছেন আল্লা মালুম!!! :)

৭| ১৫ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:১২

সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: আপনার নার্ভ শক্ত বলতেই হয়। আমি হলে আর কিছু না ছানাপোনা সহ বিড়াল দেখার পর ওখানেই স্ট্রোক করতাম।
বাই দ্যা ওয়ে, পনের দিনের খাবার ছিল? যে হারে আপনি কালাভুনা করছেন :P

১৫ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০০

শেরজা তপন বলেছেন: সে কালা ভুনাতো কয়লা ভুনা হয়ে গিয়েছিল!! :)
পর্যাপ্ত খাবার ছিল সেখানে। প্রথম দিনেই যা রান্না করেছিলাম -সপ্তাখানেক সেটা দিয়েই চলে যেত।
আমার নার্ভ ও তেমন শক্ত নয়- বাংলাদেশে হলে কি হত বলা যায় না :) সেখানে বিষয়টা তখন সেভাবে সিরিয়াসলি নিয়েছিলাম না প্রথমে। :)

মন্তব্যের জন্য সবিশেষ ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। ভাল থাকবেন

৮| ১৫ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৩৫

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: রাতে পড়ছি অথব মনেই নাই মন্তব্য করতে। আচ্ছা চোখজোড়া মেয়ে না ছেলের ছিলো হাহাহাহা

দারুন ভৌতিক মোমেন্ট

আমি একটা রুমেই একা থাকতে পারি না। আর আপনি তো একটা বাড়ীতে একা মাগো মা।

১৫ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৮

শেরজা তপন বলেছেন: হাঃ ছেলে আর মেয়ে
তবে মায়াবী ছিল :)

আসলে একা বাড়ি থাকার সেই রিস্কটাই নেয়ে ঠিক হয়নি। আরেকজন বন্ধুর সাথে রাখা দরকার ছিল। কেন যে, বেশী ভাব নিয়ে থাকতে গেলাম!
তবে খানিকটা অসমাধানযোগ্য অভিজ্ঞতা আর লেখালেখির শুরুর জন্য মন্দ ছিলনা :)

ফের অনেক ধন্যবাদ আপু- ভাল থাকুন নিরন্তর।

৯| ১৫ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২২

জটিল ভাই বলেছেন:
কিন্তু অবশেষে মুড়ির টিনের মুখ কিভাবে খুললো তা আর জানা হলোনা :P
যাইহোক, এই ঘটনাটা না ঘটলেতো এমন একটা গল্প পাওয়া যেতো না :D

১৫ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১২

শেরজা তপন বলেছেন: বের হবার মুহুর্তটা আমারও মনে নেই- আনিসই এসে উদ্ধার করেছিল।
আমি মানসিকভাবে তখন সুস্থ্য ছিলাম না :(
মজা নিলেন ভাই!
তা ঠিক -অন্য রকম এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলাম- সবাই তো আর এমন ঘটনার সম্মুখিন হয়না। তবে বেঁচে আছি বলে বলতে পারছি :)

১০| ১৫ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: গল্পে মূল ভয় চোখ। সুপ্রিয় শায়মা হাসছে গল্প পড়ে তার মানে গল্পটা হয়তো অতটা ভয়ানক নয়।তবে গল্পে আপনি ভয় পেয়েছিলেন বুঝা যাচ্ছে। লিখেছেন বেশ ভয় দেখানোর চেষ্টাও করেছেন। ভালো লেগেছে আপনার ভয় দেখানোর প্রচেষ্টা। :)

১৫ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: আমি যতটুকু ভয় পেয়েছিলাম সেটার সত্যিকারের অনুভুতি বয়ান করতে পারিনি!

যতটুকু বলেছি তার থেকে অনেক বেশী ভয় পেয়েছিলাম নিশ্চিত :( তবে এটা ভৌতিক গল্প নয় সেটা আগেই বলেছি। আমি এখনো দ্ব্যার্থহীনভাবে স্বীকার করি এটা ভুতটুত কিছু নয়- পুরোটাই ইলিউশান। সব আমার মনের ভুল।

ফের ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার ভাই- আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য,

১১| ১৫ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



ভয়ানক অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে সময় পার করেছেন , এর পরেও কাহিনীর পুর্বাপর সঠিক বিবরণ দিয়েছেন
শুকর আলহামদুরিল্লাহ , পুরাপুরি সুস্থ আছেন অনুভবে খুশী হলাম :)

জীবনে অনেক কিছু ঘটে, যার নির্দিষ্ট ব্যাখ্যা আমাদের কাছে নেই । কিছুটা রহস্যে ঘেরা, বিভ্রান্তিমূলক,
কিন্তু দৃঢ় সত্যের মতো উপস্থিতি। সব মিলিয়ে একটা বিভ্রম জাগানিয়া পরিস্থিতি, প্রতিনিয়ত আমরা বিভ্রমের
শিকার। এ পর্বের প্রথমে থাকা বিড়ালের গল্পটি হতেই বলি , ছোটকালে বাড়ীতে অসংখ্য বিড়ালের জালায়
অনেক কষ্ট করে সারা দিনমান বিড়ালের পিছনে দৌঁড়ে বিড়াল ধরে,গলায় লাল সুতা(চিহ্ন যেন ফিরে আসলে
বুঝা যায় কোন বিড়াল) বেঁধে বস্তায় ভরে, ভাল করে মুখ বেঁধে মাইল খানেক দুরে জঙ্গলের মধ্যে ফেলে দিয়ে
আসলে পরদিন ঠিকই দেখা যেতো তিনি বস্তার মুখ খুলে পথ চিনে বাড়ীতে এসেছেন ফিরে । তাই বিড়ালের
আসা যাওয়ার জন্য পথ খোলা না থাকলেও চলে , কিভাবে তারা আগমন আর নির্গমনের রাস্তা করে নেয় সেটা
তারাই কেবল জানে ।

যাহোক, হ্যালুসিনেশন সম্পর্কে আমরা সকলেই কমবেশী কিছু জানলেও ইলিউশন ও ডিলিউশন সম্পর্কে
অনেকেরই নেই তেমন স্পষ্ট ধারণা। যদিও তিনটি টার্মই ঘুরেফিরে বিভ্রমের সঙ্গেই যুক্ত।তবে এগুলোর মধ্যে
রয়েছে সূক্ষ্ম কিছু পার্থক্য, যা বোঝা যায় এ পোষ্টের গল্পগুলি পাঠে ।

বলা যায় ডিলিউশন হচ্ছে মানুষের এমন এক অভ্যন্তরীণ শক্তিশালী বিশ্বাস, যার কোনো বাস্তবিক উপস্থিতি নেই।
সন্দেহপ্রবণতা ও অনুমান করা হচ্ছে মানুষের মেজর ডিলিউশন। আর হ্যালুসিনেশন হচ্ছে মানুষের এমন এক
অভ্যন্তরীণ শক্তিশালী বিশ্বাস,যার বাস্তবিক উপস্থিতি না থাকলেও কারও মনে হতে পারে যে এটি আছে এবং
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এর সুস্পষ্ট উপস্থিতি টের পায়, যা অন্য কেউ পায় না। আবার ইলিউশন হচ্ছে মানুষের মনের
এমন এক বিভ্রম, যা মূলত ভ্রান্ত ধারণা হিসেবে বিবেচিত। অর্থাৎ কৌশল দ্বারা প্রভাবিত হওয়া বা কোনো
অবস্থান ও উপস্থিতির ভুল ব্যাখ্যা পাওয়া। ইলিউশনের কিছু প্রকারভেদও রয়েছে যথা অডিটরি, ভিজুয়াল,
ট্যাক্টাইল, টেম্পোরাল ইত্যাদি, এ পোষ্টের গল্প কথনে অডিটরি ভিজুয়াল উভয়টাই ঘটতে দেখা গেছে।

যাহোক, কারো ভয় পাওয়ার কিছু নেই ইলিউশন , ডিলিউশন আর হ্যালুসিনেশন, উপসর্গ যা-ই হোক, না কেন
উপরিউক্ত তিনটি সমস্যাই প্রাথমিক পর্যায়েই সারিয়ে তোলা তেমন কঠিন কিছু নয়। প্রয়োজনে মনোরোগ
বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন যদি সত্যি সত্যিই কারো সেরকম উপসর্গ দেখা দিয়ে থাকে। মনে রাখা
প্রয়োজন শরীরের যেমন রোগ হয়, মনেরও তেমনি রোগ হতে পারে,তবে সঠিক চিকিৎসায় সকলেই সারে ।


এখানে অপ্রাসঙ্গিকভাবে উল্লেখ করতে চাই যে, কাঁচা চামড়া ও চামড়া শিল্পের দুরাবস্থা নিয়ে
আপনার সর্বশেষ পোষ্টটিতে বেশ বড় সড় একটি মন্তব্য লিখে মন্তব্য প্রকাশ করার একেবারে ঠিক
পুর্বমহুর্তে ইন্টারনেটে বিভ্রম দেখা দেয়ায় তা প্রকাশ করতে তো পারিইনি বরং লেখাটি সেভ করার
আগেই তা উধাও হয়ে যায় । মন্তব্যটি আর লেখা হয়ে উঠেনি । যাহোক কুরবানীর চামড়া নিয়ে
আবারো সিন্ডিকেট বানিজ্য কিছু একটা হবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। বিষয়টির দিকে তীক্ষ্ম
নজড় দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করি ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

১৫ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: এযাবতকালে মার যে কোন লেখায় আপনার দীর্ঘতম মন্তব্য এটা ! :)
সে জন্য আমার দারুন আনন্দ অনুভুত হচ্ছে। সে জন্য আপনার প্রতি আম বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। আপনার মত একজন বিজ্ঞ মানুষের ছোঁয়ায় সর্বোপরি সব ব্লগারগন বিশেষভাবে উপকৃত হবে বলে আমার ধারনা।
আমার ধারনা আপনিও এমন কিছু সমাধানের অযোগ্য রহস্যের সম্মুখীন হয়েছেন- সে জন্য আমার অনুভুতি আপনাকে স্পর্শ করেছে।
হ্যালুসিনেশন ও ইলিউশিনের ব্যাপারে যৎকিঞ্চিত জানলেও ডিলিউশন সন্মন্ধে আমি কিছি জানতাম না। আপনার আপনার অল্পকথায় সামগ্রিক আলোচনা আমার জানার পরিধি অনেকখানি বাড়িয়ে দিল। সেজন্য আপনাকে সবিশেষ ধন্যবাদ।

আনার চামড়া প্রসঙ্গে আর্টিকেলটায় আপনার মন্তব্য আমি মনেপ্রাণে আশা করেছিলাম। এটা আমার নেহায়েত দুর্ভাগ্য যে, আপনার উল্লেখ্য বিশেষ কিছু কারনে আমি অতি জ্ঞানগর্ভমুলক মন্তব্য থেকে বঞ্চিত হয়েছি।
যেহেতু এই পেশার সাথে সকে বা পেশাগত কারনে আমি প্রায় দুই যুগ যাবত, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত আছি সেহেতু এ বিষয়ে কিছু আলোচনার দায়বদ্ধতা আমি অনুভব করেছি।
সব মিলিয়ে আরো পাঁচ সাতটা পর্ব লেখার ইচ্ছে আছে। চামড়া ও চামড়া ব্যাবসা ও ব্যাবসায়িদের সন্মন্ধে কিছু ভুল ধারনা, বর্তমান এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির পেছনের কারন, এই সমস্যা থেকে উত্তরণের পথ, চামড়ার ধরন বা প্যাটার্ন, খুচড়া ম্ররকেট ও অনলাইনে চামড়া বলে অ-চামড়াজাত দ্রব্য দিয়ে প্রতারনা ও অতিরিক্ত মুনাফার চেষ্টা। প্রাকৃতিক চামড়া চেনার সহজ উপায় সহ চামড়া দিয়ে এস এল জি( স্মল লেদার প্রডাক্ট) তৈরি করার কিছু কলাকৌশল জানানোর ইচ্ছে আছে।
আমার প্রতি আপনার ভালবাসা ও সদয় দৃষ্টি ভবিষ্যতে থাকবে বলে কাম্য।
যে কোন ভুল-ভাল সহজে ও স্বাভাবিক আলোচনার মাধ্যমে ধরিয়ে দেবেন বলে আশা করছি।
আপনি ভাল থাকুন সুস্থ্য থাকুন - সাবধানে থাকুন।

১২| ১৬ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:১১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমাদের কোয়ার্টারে একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা লাশ হয়ে মরে পড়ে ছিল বদ্ধ ঘরে। পড়ে লাশ পচে গন্ধ বের হলে মানুষ তার মৃত্যুর ব্যাপারটি অবগত হয় । ভদ্রলোক এখানে একা থাকতেন্ ্ এটা করোনার প্রথম দিকের ঘটনা। করোনা বাংলাদেশের মানুষের মনে আইসোলেশন বিষয়টি সম্পর্কে হাতে কলমে শিক্ষা দিয়েছে। তবে শহরে সবাই কমবেশি আইসোলেশনে থাকে । নিকটতম প্রবেশিদের চিনে না পর্যন্ত।

সম্প্রতী লকডা্উন শিথিল একটা আত্নঘাতি সিদ্ধান্ত মনে হয়েছে। এটা কি চামড়া ব্যবসায়ীদের চাপে নাকী? চিন যেখানে একচেটিয়া বাজার কন্ট্রোল করছে। নাকি চীনের চাপে? চামড়ার মূল্য কমে যাওয়া সিন্ডিকেটবাজীদের স্বার্থ ছাড়া আর কিছু নয় বোধ হয়। চামড়া দান করা হতো মাদ্রাসায়। মাদ্রাসার আয় কমে গেছে অনেক ।

১৬ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: চামড়া ব্যবসায়ীদের তেমন চাপ দেয়ার ক্ষমতা আছে বলে মনে হয়। তবে এসোসিয়েশনের কিছুটা চাপ থাকতে পারে।
নিশ্চিতভাবে এটা কিছুটা আত্মঘাতি সিদ্ধান্ততো বটেই। তবে ভেবে দেখেন; ধেরে নিন শুধু গরু কুরবানী হয় ৫০-৬০ লাখ এর বাজার মুল্য এভারেজ ৪০ হাজার করে ধরলে ২৪০০০ কোটি টাকা। এটাকার একটা বড় অংশ যায় প্রান্তিক খামারি অতি গরিব একটা জনগোষ্ঠীর হাতে যারা সারা বছর নিজে না খেয়ে গরু লালন পালন করে শুধু অপেক্ষা করে বছরের এই দিনটির জন্য।
তারপরে ফড়িয়া দালাল, শত শত ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি, ড্রাইভার , হেল্পার( যারা গরু পরিবহন করে), ইজারাদার ও তাদের শত শত সাংপাং। প্রফেশনাল কসাই অপ্রফেশনাল কসাই, তাদের জুড়িদার, হুজুর, মাদ্রাসার পোলাপান প্রত্যেকেই অপেক্কা করে থাকে এই একটা দিনের জন্য। এমনকি খড় ঘাস, হোগলা চাটাই ছোরা তঈরি ও বিক্রেতারাও অপেক্ষা করে। আমরা শুধু গরু জবেহ দেখি- কিন্তু অর্থনীতিতে এর অবদান কত সুদূরপ্রসারী সেটা আমরা দেখি না। সারা বছর অপেক্ষা করে থাকে কর বুভুক্ষ মানুশ এওটা দিন একটু পেট ভরে মাংস খাবে বলে।
এরপরে আসেন ব্যবসাঃ হাড়ের ব্যাবসায়ী, খুরের ব্যবসা, শিং এর ব্যবসা, মাথানীর চামড়া প্রসেসিং জড়িত ক্ষুদ্র ট্যানাররা।
আর সারা বছরের চামড়ার চাহিদার ব্যাপারতো আছেই। চামড়ার জন্য কেউ গরু পালেনা- চামড়া হোল বাই প্রোডাক্ট। মাংসের চাহিদা থাকলে এর উতপাদন হবেই। সমস্যা হচ্ছে একদিনে এত বেশী চামড়ার উতপাদন হয় এবং পচনশীল পন্যের কারনেই এই গেমটা চলে। আর এক্সপোর্টের অবস্থা আসলেই বেজায় খারাপ! চামড়ার চাহিদা বাইরের থেকে এখন লোকাল মার্কেটেই বেশী।
চায়না কারসাজি করেছে কিনা আমি জানিনা।
আমাদের প্রটেকশন আমাদেরই নিতে হবে - এইসব ফাওতু লক ডাউনে কিস্যু হবে না। অযথা অর্থনীতি ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে।
গত মাস ও এমাস মিলে আমার ছোট চাচা সহ চারজন আত্মীয় করোনায় মারা গেছেন।

১৩| ১৬ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৪৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কুরবানির সঙ্গে অনেক ধরণের কর্মকান্ড জড়িত। ঈদ উল আযহার কয়টা দিন তো পুরো দেশ গরুর হাট বাজারে পরিণত হয়। গরু পালন অনেক পরিবারের গরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কর্মকান্ড। সময়ের প্রয়োজনে মানুষদের অভ্যস্থ হতে হয় অনেক কিছুর সাথে। করোনায় আতঙ্কিত গোটা পৃথিবী। সচেতন জনগোষ্ঠি প্রয়োজন লকডাউন শিথিল করেও সেভ থাকার জন্য। স্বাস্থ্য বিধি কজনে মানে বলেন? বা বুঝে। অনেকে করোনাই মানে না। এর জন্য মূলত হুজুর রা দায়ি। যারা সংক্রামক রোগ বিষয়টি অস্বীকার করে। মানুষদের মৃত্যুকে আলীঙ্গন করতে উৎসাহিত করে । ব্যবসা চালু রাখতে হলে ঢাল তলোয়ার মানে মাস্ক হ্যান্ডস্যানিটাইজার এগুলো নিয়েই কর্মক্ষেত্রে যেতে হবে। গায়ে পড়া স্বভাবের বাঙালিদের নিরাপদ দূরত্ব বজায রেখে চলা রপ্ত করতে হবে ।

১৬ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৫৭

শেরজা তপন বলেছেন: আমি হেলমেট নিয়েই যদি বলি;
শুধু ছাড়া চালক ছাড়া আর কারো প্রয়োজনেই বা লাভের জন্য সেটা ব্যাবহার করা হয় না। সরকার কত কত আইন করছে জড়িমানা করছে- জীবনের চরম ঝুঁকি আছে জেনে বহু চালক হেলমেট পড়ছেই না। গ্রাম আর মফস্বলেতো হেলমেট পড়লে সবাই টিটকারি দেয় -ভিতু বলে। ইজ্জতদার লোকের ইজ্জত থাকেনা।

আমাদের স্বভাব পাল্টাতে হবে ভাই ঠিক বলেছেন। এই করোনা কাঠ মোল্লাদের একটা বিশেষ শিক্ষা দিবে বলে মনে হচ্ছে।
এর আগে নামাজ পড়তে কেউ মসজিদে যায় নাই কয়েক মাস তারা কিছুই করতে পারে নাই। হুমকি ধামকি দিয়ে লাভ হয় নাই। যদিও বিষয়টা ভীষন কষ্টের তবুও এইসব রোগ শোক আমাদের আধুনিক করছে, বুদ্ধিমান করছে নিশ্চিতভাবে।

১৪| ১৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:১৬

করুণাধারা বলেছেন: ইল্যুশন, অথবা আধিভৌতিক অভিজ্ঞতা! ভেবেছিলাম শেষ পর্বে বিড়াল পরিবারের রহস্যের জট খুলবে, তা আর হলোনা। তবে কাহিনীর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা নিয়ে পড়েছি।

দেব সাহিত্য কুটীরের এক পুজা বার্ষিকীতে কুকুর বিড়ালের ভুতের গল্প পড়েছিলাম। আপনার অভিজ্ঞতার বর্ণনা সেই গল্পের চেয়ে ভয়াবহ। সেই ট্রমা কাটতে কত সময় লেগেছিল?

ওখানে বসে তা লিখেছিলেন সেগুলোর কিছু কি সামুর বাড়িতে আছে?

১৬ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:২৬

শেরজা তপন বলেছেন: কি ব্যাপার বলেনতো মাঝে মধ্যে এমন ডুব দিচ্ছেন কেন?

আমি সেই রহস্যের জট খুলতে পারলেতো তবে কি আর অমন ভয় পাইতাম? অজ্ঞান টজ্ঞান হয়ে ইজ্জতের ফালুদা হয়ে গেল :)

ওই লেখাটা আমার পড়া হয়নি- ঘটনাটা সত্যি বলে এর একটা অন্যরকম আমেজ আছে, নয় কি?
ওখানে বসে আমার হারিয়ে যাওয়া ডায়েরির কথাগুলো গল্প আকারে লিখে ছিলাম। তার মধ্যে একদম প্রথমদিককার 'ডাঙ্কি রুট' নামে সিরিজটা ছিল। সাথে দেশী প্রেমের কিছু খুটিনাটি( রিয়েল) ছিল- সেটাসামু জাতির সামনে বলতে লজ্জা পাই :)

আপনাকে পেয়ে বরাবরের মত ভাল লাগল আপু- আপনি সুস্থ্য থাকুন, ভাল থাকুন নিরন্তর।

১৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:০৩

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: গল্প পড়ে ভালোই লাগলো। ২০১৭ সালের দিকে বরিশালে থাকাকালীন এক মাস একটা ফ্ল্যাটে আমি একাই ছিলাম। আমি সেখানে সিট ভাড়ায় থাকতাম। অন্যদের পড়াশোনা শেষ হয়ে যাওয়াতে তারা সবাই চলে গিয়েছিলো। আমি জুনিয়র ছিলাম।আমাকে থাকতেই হতো। সেই একটা মাস আমার রুম আর বাথরুম ছাড়া আর কোথাও লাইট ছিলো না। আমারও অন্ধকারে থাকতে ভালো লাগে।(ঘুম ভালো হয় তাই, অন্য কোনো কারণ নেই।) এজন্য আমি টেবিল ল্যাম্প জ্বেলে পড়তে বসতাম। আমার নড়াচড়ার শব্দ পাশের বিল্ডিং এর সবাই পেত৷ কিন্তু কিছু দেখতো না। তাই আমার রুম নিয়ে জ্বিন ভূতের কিচ্ছাকাহিনি শুরু হয়ে গিয়েছিলো।

আপনার মনের ভয় আর আটকে থাকার আতঙ্ক থেকেই এসব দেখেছেন। মানুষ ভয় পেলে চোখের সামনে অনেক কিছু দেখে। আমি রাতের বেলা গ্রামের মাঠের মধ্য দিয়ে হাঁটতে গিয়ে সিংহ দেখেছি। অথচ দেশে কোনো সিংহ নাই। কিছুদূর গিয়ে দেখি একটা দূর্গামন্দিরের গেটের মাথায় দুটো সিংহমূর্তি। একবারে মাঠে যেমন দেখেছি ঠিক তেমন। হয়তো এই মূর্তিদুটো আমার অবচেতনে ছিলো। ভয়ের সময় সামনে দিয়ে হেঁটে গেছে।

০৩ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:১০

শেরজা তপন বলেছেন: সেজন্যই আমাই ভুতের গল্প বলিনি :)
এমন হয়েছে নাকি- আজব!!!

সেটার শেষ হোল কেমনে?
সিংহ দেখার গল্পটা শুনতে চাচ্ছি ভায়া।

১৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০১

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: ওটা তেমন বিচিত্র কিছু না।আমি তখন ক্লাস থ্রি তে পড়ি। গ্রামের বাড়িতে এক বন্ধু ছিলো আমার বহু বছর আগে। তার বাড়ি একটু দূরে ছিলো।প্রায় দুই মেইল হবে। বিকেলে তার বাড়িতে গেলাম।ভাবলাম সন্ধ্যার আগেই চলে আসবো। কিন্তু একটু দেরি হয়ে গেল।সন্ধ্যা হতে বেশি বাকি নেই। তখন বন্ধুর মা বললেন,সেখানে থেকে যেতে। তখন মোবাইল ফোন প্রচলিত ছিলো না গ্রামে। সবাই চিন্তা করবে এই ভেবে রওনা দিলাম। রাস্তা দিয়ে গেলে ঘুরতে হয় অনেক। তাই শর্টকাটে মাঠের ভেতর দিয়ে চলা শুরু করলাম। ধান কাটার পরে সেখানে গাছের গোড়াগুলো রয়ে গেছে।তাই দ্রুত চলতে পারছিলাম না।হোচট খাচ্ছিলাম। আবার সূর্য ডুবে গেছে। কিন্তু হালকা আলো আছে তখনো। একটু ভয় ভয় করতে লাগলো।কারণ চারদিকে তাকিয়ে কোথাও কাওকে দেখছিলাম না। আবার এই মাঠ নিয়ে কাহিনি শুনেছিলাম দাদির কাছে। সন্ধ্যার পরে কীসব নাকি দেখা যায়। আমি দৌড় দেয়ার মনঃস্থির করলাম। হঠাৎ দেখি সামনে দিয়ে একটা সিংহ হেটে যাচ্ছে। ওখানে থাকলে শেয়াল থাকতে পারে।সিংহ আসবে কোত্থেকে? ভয়ে দৌড় দিয়ে রাস্তায় উঠলাম। কিছুদূর গিয়ে দেখি একটা দূর্গা মন্দির। ওটার গেটের মাথায় দুটো সিংহের ভাষ্কর্য। আমি যাওয়ার সময় দেখেছিলাম সেটা। মাঠের সিংহ আর এই সিংহের মধ্যে অদ্ভুত মিল। আমি তখন দোয়া-দরুদ কিছু জানতাম না।খালি কয়েকটা সূরা জানতাম।ঐসব সূরা পড়েই হাঁটা শুরু করলাম বাড়ির দিকে।সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় আমার ছোট চাচা আমাকে খুঁজতে বের হয়েছিলেন। তিনি রাস্তা ধরে এগোতে গিয়ে মন্দিরের একটু সামনেই আমাকে পেয়ে যান। এরপর আমি বাড়ি চলে আসি।

০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪২

শেরজা তপন বলেছেন: সন্ধ্যেয় গ্রামের মাঠে ভুত সিংহ দেখতে পাওয়াতো বিরাট সৌভাগ্যের ব্যাপার!! :)

বেশ ভাল -আপনি এত কষ্ট করে অভিজ্ঞতাটা শেয়ার করেছেন বলে আন্তরিক ধন্যবাদ।

১৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৩

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: মন্তব্য ভুলে দুইবার এসেছে। মুছে দেবেন দয়া করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.