নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
রাত সবে ভোর হতে চলেছে। দিগন্ত জুড়ে লালচে আভা। শীতের শেষে অতি প্রত্যূষে নদীর উপর হালকা কুয়াশার পর্দা। হাইফাসিস নদীর তীরে দাঁড়িয়ে দূর দিগন্তের দিকে তাকিয়ে ভাবনার গভীরে ডুব দিয়েছেন আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট! মহাবীর আলেকজান্ডার,সর্বকালের সর্বসেরা সমরবিদ গ্রীক এই নৃপতি। পেছনে হাজার হাজার তাঁবু টাঙ্গিয়ে গভীর নিদ্রায় মগ্ন তার লক্ষাধিক সুদক্ষ সু শিক্ষিত ও বিশ্বের সবচেয়ে দুর্ধর্ষ সৈন্য দল।
ত্রিশ বছরের টগবগে যুবক সে। তার বাবা দ্বিতীয় ফিলিপ আততায়ীর হাতে নিহত হবার পরে মাত্র বিশ বছর বয়সে তিনি ম্যাসেডোনিয়ার রাজা হন। তার বাবা ফিলিপ সামরিক এবং কূটনৈতিক উভয় উপায়েই গ্রীসের মূল ভূখণ্ডগুলোর বেশিরভাগ নগর-রাজ্যকে ম্যাসেডোনিয়ার আধিপত্যের অধীনে নিয়ে এসেছিলেন।
বাবার মৃত্যুর পরে তিনি উত্তরাধিকার সূত্রে একটি শক্তিশালী রাজ্য এবং বিশাল সুসজ্জিত ও অভিজ্ঞ সেনাবাহিনী লাভ করেছিলেন।
হাইফাসিস নদীর তীরে দাঁড়িয়ে মনে পড়ছে তার শিক্ষাগুরু খ্যাতিমান গ্রীক দার্শনিক এরিস্টটলের কথা। যুদ্ধ, হত্যা,লুণ্ঠন,বীভৎসতা তিনি ঘৃণা করতেন। রাজ্য পরিচালনাকে সমর্থন করলেও তিনি কখনোই তাকে যুদ্ধবাজ হতে বলেননি।
কিন্তু ভয়ঙ্কর যুদ্ধবাজ ও আগ্রাসী বাবার রক্ত তার ধমনীতে বইছে। অতি অল্প বয়সে সিংহাসন লাভ করায় সে আরো এডভেঞ্চারাস হয়েছে। ক্ষমতা গ্রহণ করেই তিনি তাঁর পিতার সাম্রাজ্য বিস্তারের জন্য নতুন এক সামরিক পরিকল্পনা করেছিলেন।
সারা পৃথিবী করায়ত্ত করতে হবে এমন দুর্দমনীয় বাসনা চেপেছিল তার। সিংহাসন আরোহণের দু’বছর পরেই সে বেড়িয়ে পড়েছে তার চৌকশ ও দুর্ধর্ষ সৈন্যবাহিনী নিয়ে সারা পৃথিবী তার করায়ত্ত করার বাসনায়।
আজ আট বছর হতে চলল সে তার ঘর থেকে বেরিয়েছে। সে এখনো অপ্রতিরোধ্য। সুদূর আইওনিয়ান সমুদ্র থেকে হিমালয় পর্যন্ত তিনি যুদ্ধে অপরাজিত- পথের সব বাঁধাকেই তিনি তুচ্ছ করে এগিয়ে এসেছেন।
খ্রিস্টপূর্ব ৩২৬ অব্দ। হাইফাসিস নদীর তীরে ভীষণ চিন্তামগ্ন ইতিহাসের সর্বকালের অন্যতম সফল সেনাপতি,প্রাচীন ইতিহাসের বৃহত্তম সাম্রাজ্যের স্রষ্টা আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট।
গত আট বছর ধরে একনাগাড়ে তিনি একের পর এক রাজ্য জয় করে অবশেষে তিনি পৌঁছেছেন এই হাইফাসিস বা বিয়াস বা বিপাশা নদীর তীরে। তার আগে বিশ্বের কোন নৃপতিই ভারতবর্ষ জয়ের স্বপ্ন দেখেনি। তিনি দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ পুরো ভারতবর্ষ তার করায়ত্তে আনার জন্য।
-------------------------------------------------
খ্রিস্টপূর্ব ৩৩৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি ২২ বছর বয়সে পারস্য শাসিত এশিয়া মাইনর (বর্তমানে তুরস্ক অঞ্চল) আক্রমণ করেছিলেন এবং দশ বছর ধরে তার সাম্রাজ্য বিস্তারের জন্য একের পর এক যুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন। খ্রিস্টপূর্ব ৩২৮ অব্দের মধ্যে সমগ্র পারস্য এবং আফগানিস্তান তার দখলে এলে তিনি আরও পূর্বে অবস্থিত দেশগুলির দিকে নজর ফেরান। ৩২৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দের বসন্তকালে তিনি হিন্দুকুশ পর্বত অতিক্রম করে আরও পূর্বে অগ্রসর হন। কাবুল নদীর তীর বরাবর এগিয়ে এসে তাঁর বাহিনী প্রথমে প্রথমে গান্ধার রাজ্যের উত্তরে পৌঁছেছিলেন যা এখন পাকিস্তান। বর্তমানে পাঞ্জাব সহ বিশাল এই অঞ্চলটি আলেকজান্ডার জয় করে। সে বছরই তিনি এক স্থানীয় হিন্দু শাসক পরাসকে পরাজিত করেছিলেন,যিনি তখন পাঞ্জাবের রাজা ছিলেন।
বর্তমান পেশোয়ার নগরীর উত্তরে অবস্থিত চারসাদ্দা ধ্বংস করে তার পদানত করেন। জানা যায় এরপর বাম প্রান্তকে সুরক্ষিত করার উদ্দেশ্যেই তিনি তাঁর বাহিনী নিয়ে সোয়াট উপত্যকা অভিমুখে অগ্রসর হন ও এই অঞ্চলের বিভিন্ন জাতির মানুষকে দাসত্ব-শৃঙ্খলে আবদ্ধ করেন। এর ফলে এই অঞ্চলের প্রচুর গবাদি পশুও তাঁর দখলে আসে। এই অঞ্চলের আসাকেনী’য় জাতিগোষ্ঠী তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তোলে। শেষপর্যন্ত তাঁর রাজধানী মাসাগা শহরে (এখনও পর্যন্ত এই শহরটির সঠিক অবস্থান নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি) অবরুদ্ধ হয়ে পড়লে তার রণকৌশলের সামনে তাঁকে হার স্বীকার করতে বাধ্য হয়।
এরপর ধীরে ধীরে অন্যান্য রাজ্য দখল করে তিনি সম্ভবত নৌকা সেতুর সাহায্যে সিন্ধু নদ পার হয়ে খ্রিস্টপূর্ব ৩২৬ অব্দে ভারত ভূখণ্ডে পদার্পণ করেন। এই সময় তিনি পূর্বতন আকামেনিদীয় সাম্রাজ্যের গান্ধার ও সংলগ্ন সমস্ত রাজা ও গোষ্ঠী প্রধানদের তাঁর কাছে বশ্যতা স্বীকার করার জন্য আহ্বান জানালে তক্ষশীলার রাজা অম্ভি (গ্রিক উচ্চারণে অমফিস) তাঁর নিকট স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেন। বাকি যারা আত্মসমর্পন করেনি তাদের যুদ্ধে পরাজিত করে আরো কিছু রাজ্য দখল করে তিনি বিপাশা নদী পর্যন্ত অগ্রসর হন।
বিপাশা খরস্রোতা অথচ ছোট নদী –এ নদী অনায়াসেই তিনি পার হয়ে যেতে পারেন। কিন্তু তার লক্ষ্য ভিন্ন। গত দু’বছর ধরে তিনি পরিকল্পনা করছেন শুধু রহস্যময় বিশাল এক রাজ্য জয় করার জন্য,সে রাজ্যের নাম গঙ্গারিদি বা গঙ্গারিডাই। সেজন্য মুল বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশাল প্রমত্তা গঙ্গা নদী। তাঁর সংগৃহীত তথ্য অনুসারে,যাত্রাটিকে সম্ভব করার জন্য তিনি স্থানীয় লোকেদের দ্বারা বড় নৌকা তৈরি শুরু করেছিলেন। তাকে এবং সেনাবাহিনীকে বঙ্গীয় অভিযানের যাত্রা শুরু করতে ৮০০ টি নৌকার দরকার ছিল। স্থানীয় লোকেরা প্রায় দুই বছর সময় নিয়ে সেই নৌকা তৈরি করেছে। এখন শুধু সামনে এগিয়ে যাওয়া।
(বাংলাঃ প্রাচীন রোমান ও গ্রিকদের কাছে এই অঞ্চল গঙ্গারিডাই বা গঙ্গারিদি অথবা গঙ্গারিডি নামে পরিচিত ছিল। চার সহস্রাব্দ পূর্বে বাংলায় সভ্যতার ক্রমবিকাশ শুরু হয়। প্রাচীন গ্রিক ও রোমান ভাষায় এই অঞ্চলকে গঙ্গারডাই নামে উল্লেখ করা হয়েছে। একসময় গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র নদ এক অর্থে বাংলাকে ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল।)
মহান বীর আলেকজান্ডারের কপালে চিন্তার ভাঁজ।গত দুবছর ধরে তিনি তার দুর্ধর্ষ ও চৌকশ গোয়েন্দাদের দিয়ে সবধরনের সংবাদ সংগ্রহ করেছেন;মুল চিন্তাটা সে জন্যই।
গঙ্গারিদি সাম্রাজ্যের সামরিক শক্তির তথ্য পেয়েছিল। তিনি জেনেছেন যে,গঙ্গারিদির রাজা গন পারিসি (নন্দ) সাম্রাজ্যের সাথে জোট বেঁধে দুই লক্ষ পদাতিক,বিশ হাজার অশ্বারোহী-ঘোড়া, দুই হাজার চার-ঘোড়ার রথ এবং তিন হাজার প্রশিক্ষিত হাতি এবং যুদ্ধের জন্য অস্ত্র সহ সজ্জিত হয়ে তাকে প্রতিহত ও পাল্টা আক্রমণের জন্য অপেক্ষা করেছিল।
একের পর এক যুদ্ধ দীর্ঘ ভ্রমণ ও পরিশ্রমে রণ ক্লান্ত সেনাবাহিনী গঙ্গা নদীর কাছাকাছি গঙ্গারাদির বিশাল বাহিনীর মুখোমুখি হতে ভয় পেয়ে গেছে। তাদের মধ্যে অসন্তোষ দানা বেঁধেছে। গোয়েন্দা মারফৎ তিনি জানতে পেরেছেন তারা যেকোনো সময়ে তারা বিদ্রোহ করতে পারে।
সেদিন সকালেই আলেকজান্ডার তার প্রধান সেনাপতি কোইনস’কে তলব করলেন তার তাবুতে একান্তে কিছু আলোচনা সারবেন বলে। এই যুদ্ধের ব্যাপারে কোইনসের মতামত ভীষণ জরুরি।
কোইনস দীর্ঘ এই সফরে আলেকজান্ডারকে এত চিন্তিত ও হতাশ দেখেননি। তিনি সম্রাটকে বললেন,’ মহামান্য সম্রাট,আপনি অন্য জগতে প্রবেশ করার চেষ্টা করছেন। যে দেশ সন্মন্ধে ভারত এমনকি ভারতীয়রাও জানে না। এটি আপনার দিগ্বিজয়ের জন্য বেশ ভয়ঙ্কর ও বড়সড় একটা পদক্ষেপ,তবে এই যাত্রায় হয়ত আমাদের সঙ্গ পাবেন না।'কোইনস একটি স্মরণীয় বক্তব্য রেখেছিলেন। এখনো পর্যন্ত অপ্রতিরোধ্য ভাবে আমরা এগিয়ে চলেছি- তবে এবার সময় এসেছে স্বপ্নের রাশ টানার- আপনি এই চিন্তা পরিত্যাগ করুন।
তবুও তিনি কোইনসকে অনুরোধ করলেন, তার সব সেনাপতি ও সৈন্যবাহিনীকে একত্রিত করার জন্য। অভিযান সমাপ্তি ঘোষণার আগে তিনি চাইছেন তাদের সাথে শেষ একবার কথা বলার জন্য;
আলেকজান্ডার তার সৈন্যদের উজ্জীবিত করার জন্য সব ধরনের চেষ্টাই করেছিলেন। ভয়কে জয় করার চেষ্টা করেছিলেন এবং গঙ্গারীদির দিকে অগ্রসর হওয়ার জন্য তাদের প্ররোচিত করলেন- বিশাল সম্পদের প্রলোভন দেখালেন। তিনি তাদের রাজা,দেশ এবং গ্রীক দেবতাদের প্রতি ভালবাসার আবেদন করলেন। তিনি তাঁর সৈন্যদের সম্মোহিত করার জন্য সাহস জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করে বললেন যে,’ প্রাচ্যের এই দেশগুলোর সন্মন্ধে আগে আমরা কতই না সত্য মিথ্যায় মেশানো আজগুবি ভয়ঙ্কর গালগল্প শুনেছি- সেই গল্পগুলি যদি সত্য হোতো তবে আমরা অনেক আগে এশিয়া থেকে পালিয়ে যেতাম। গঙ্গার ওপারের ওই রাজ্যগুলোকে নিয়েও এমন মিথ প্রচলিত আছে। আমরা যদি ভয়ে পিছিয়ে আসি তাহলে ইতিহাস আমাদের কাপুরুষ বলে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করবে।‘ আলেকজান্ডার তার কথা শেষ করে তার বিশাল সৈন্যদলের দিকে তাকালেন- তার ধারনা ছিল তার এই ঐন্দ্রজালিক বক্তব্যে সবাই ভীষণ উজ্জীবিত হয়ে ভয়ঙ্কর গতিতে সামনে এগিয়ে যাবে। কিন্তু চারিকে যেন কবরের নিস্তব্ধতা। আলেকজান্ডার দ্যা গ্রেটের এই মহা পরাক্রম শীল সৈন্যদল মাথা নিচু করে নীরবে দাঁড়িয়ে আছে। তারা তারা পৃথিবীর ইতিহাসের সর্বকালের সর্বসেরা এই নৃপতির ডাকে সাড়া দিল না।
আলেকজান্ডার চরম হতাশ ও ক্ষুব্ধ হলেন। তিনি আর একটি বাক্যও উচ্চারণ না করে ফিরে গেলেন নিজ তাবুতে। দ্বার রক্ষীকে আদেশ দিলেন তার অনুমতি ছাড়া যেন তার তাবুতে প্রবেশ না করে।
একটা তিনদিন পানীয় আহার ও নিদ্রাহীন অবস্থায় তিনি নিজেকে সেই কামরায় নিজেকে বন্দি করে রাখলেন। নিজের সাথেই নিজে এক ভয়ঙ্কর যুদ্ধ করলেন।
~তিনদিন পরে সেই তাঁবু থেকে বেড়িয়ে এলেন অন্য এক আলেকজান্ডার। যেন সপ্নহীন মৃত এক মানুষ। অবশেষে তিনি কোইনসকে ডেকে সামনে আর অগ্রসর না হয়ে ফিরে যেতে মনস্থ করলেন!
তার এই ঘোষণায় সৈন্যদলের মধ্যে খুশীর বন্যা বয়ে গেল! তারা আলেকজান্ডারের নির্দেশে তাঁর অভিযানের সীমা ও গৌরব চিহ্নিত করতে সেখানে বারোটি বিশাল বেদী স্থাপন করল।
আলেকজান্ডার তার বাল্য বন্ধু নিচেরাসকে বহরের অ্যাডমিরাল হিসাবে নিয়োগ করেছিলেন। তারপরে তিনি তার সিংহভাগ সৈন্য সহ তাঁর সামরিক প্রধান কোইনস ও অ্যাডমিরাল নিচেরাসকে পারস্য উপসাগরের দিকে প্রেরণ করলেন এবং তিনি তাঁর বাকী সেনাবাহিনীকে ব্যাবিলনের মধ্য দিয়ে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে মনস্থ করেন। তবে তার দৃঢ় সঙ্কল্প ছিল যে, ফের তিনি ফিরে আসবেন। তিনি একদিন অজেয় গঙ্গারাদি বা বাঙলাকে জয় করবেনই।
কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস,তার ফেরার পথে মালিয়ানস নামে এক সুরক্ষিত নগরীর উপকণ্ঠে পৌঁছান। ভয়ঙ্কর যুদ্ধবাজ এই নৃপতির খায়েস হোল সেই রাজ্য দখলের- কিন্তু সেই রাজ্যের চারপাশের কঠিন দেয়াল ভেদ করে রাজ্য দখল করা ভীষণ কঠিন হয়ে গেল! সেই রাজ্য তিনি দখল করতে পেরেছিলেন কিনা ইতিহাসে তা লিপিবদ্ধ নেই তবে ডুয়েল লড়াইয়ে আলেকজান্ডার সে রাজ্যের রাজাকে হত্যা করেছিলেন। রাজাকে হত্যা করে তিনি যখন ভীষণ অহংকারে মুষ্টিবদ্ধ তলোয়ার উঁচিয়ে ধরলেন ঠিক তক্ষুনি কোত্থেকে এক বিষাক্ত তীর এসে তার বুকে বিদ্ধ হোল।
সেই তীরের আঘাতে তার ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। হেকিম ও কবিরাজরা তার বেঁচে থাকার আশা ত্যাগ করেছিলেন। কিন্তু আলেকজান্ডার অলৌকিকভাবে সে যাত্রায় বেঁচে গেলেও সেই ভয়ঙ্কর ক্ষতই তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিল। তিনি ব্যাবিলনে ফিরে যাবার দু’বছরের মাথায় মাত্র বত্রিশ বছর বয়সে ৩২৩ খৃস্টপূর্বে মৃত্যবরন করেন।
তিনি তার শেষ অভিলাষ আর কোনদিনই পুরন করতে পারলেন না। গঙ্গা ডিঙ্গিয়ে গঙ্গারিদি নামে বিশাল সেই সাম্রাজ্য মহাবীর দ্য গ্রেট আলেকজান্ডারের অজেয়ই রয়ে গেল। আমাদের প্রাচীন বাংলা ভয়ঙ্কর এই সমরবিদ ও আগ্রাসী নৃশংস নৃপতির পদস্পর্শ থেকে বেঁচে গেল- বেঁচে গেল তার ধ্বংসলীলা আর ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের হাত থেকে- যার কৃতিত্ব পুরোটাই সেই সময়ের বাংলার অসীম সাহসী রাজাগণ ও তাদের মিত্র নন্দের রাজার। যাদের দৃঢ় সংকল্প অমিততেজ ও ভয়ঙ্করের মুখোমুখি হবার চরম দুঃসাহস আলেকজান্ডারকে পিছু হঠতে বাধ্য করেছিল।
~নন্দ সাম্রাজ্য চারশত খ্রিস্টপূর্বে প্রাচীন ভারতের মগধ রাষ্ট্র থেকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি ৩৪৫ খ্রিস্টপূর্ব থেকে ৩২১ খ্রিস্টপূর্ব পর্যন্ত টিকে ছিল। বড় ব্যাপার হল,এই সাম্রাজ্য পূর্বে বাংলা,পশ্চিমে পাঞ্জাব এবং দক্ষিণে বিন্ধ্যা পর্বতমালা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এই সাম্রাজ্যের শাসকরা তাদের ধনসম্পদ অর্জনের জন্য বিখ্যাত। পরবর্তীতে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য এই সাম্রাজ্যকে পরাজিত করে মৌর্য সাম্রাজ্য স্থাপন করে।~
~এ সন্মন্ধে যে সমস্ত ইতিহাস, বিবরণ, গল্প যা আমরা পাঠ্যে পাই তার প্রায় সবগুলো গ্রীক লেখক এবং ঐতিহাসিকরা লিখেছিলেন। মেগাস্থিনিস,আরিয়ান,সিকুলাস, টলেমী, পেরিপ্লাস ছিলেন গ্রীক লেখক,ইতিহাসবিদ, ভূগোলবিদ মূলত; যারা আলেকজান্ডারের সাম্রাজ্য বিস্তার ও অসীম সাহসিকতার সাফাই গেয়ে যুদ্ধের ইতিহাস লিখেছিলেন। তারা সেই সময়ের সমসাময়িক দেশগুলি,তাদের অবস্থানগুলি,মানুষ,তাদের সংস্কৃতি এবং রীতিনীতি সহ কিছু উল্লেখযোগ্য বিষয় সম্পর্কে বর্ণনা করেছিলেন। সুতরাং, এখানে এই নিবন্ধে যা বর্ণনা করা হয়েছে সেগুলি সমস্ত তথ্যগুলি তাদের লিখন থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
তথ্য সুত্রঃ
ব্লগ পোস্টঃ উই লাভ বাংলাদেশ
উইকিঃ নন্দ এম্পেরার
উইকিঃ বিয়াস রিভার
উইকিঃ ইন্ডিয়ান ক্যম্পেইন আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট
উইকিঃ হিস্টরি অফ বেঙ্গল
ভিক্টোরিয়াটেলঃ আলেকজান্ডার ফেইল্ড কনকার ইন্ডিয়া
সহ অন্যান্য সূত্র।
ভাষান্তর,রূপান্তর,অনুলিখন; শেরজা তপন
*তথ্যগত ভুল থাকলে কেউ শুধরিয়ে দিলে কৃতজ্ঞ থাকব।
২২ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৫৬
শেরজা তপন বলেছেন: উতসাহব্যাঞ্জক মন্তব্য ও লাইক দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা
ভাল থাকুন -সুন্দর থাকুন। ঈদ মোবারক
২| ২২ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:২২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহ যেন এক ঐতিহাসিক চলচ্চিত্র দেখা শেষ হলো দারুন মুগ্ধতায়.....
আর চিত্রনাট্য যেন মনে করিয়ে দিলো বাহুবলিতো দুধ-ভাত এই চিত্রনাট্যের কাছে
হায়! কই সে নির্মাতা। তুলে আনবে বাংলার শেকড় থেকে ইতিহাসের সেই বীরত্ব গাথা!!??
আপনার দারুন লেখা পড়ে আমার মিলেনিয়াম নন্দ দুলালের নন্দ সাম্রাজ্য ভ্রমন নিয়ে লেখা কোবতে খানা মনে পড়ে গেল।
গিয়ে আবার পড়লাম।
আপনার জন্য
মুগ্ধ পাঠ
++++++
২২ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:০০
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়ে আসলাম। আহা আমার এই লেখাটা রচনার আগে বা করার সময়ে যদি আপনার লেখাটা পেতাম তা হলে
দারুন উপকৃতই না হতাম।
~আর চিত্রনাট্য যেন মনে করিয়ে দিলো বাহুবলিতো দুধ-ভাত এই চিত্রনাট্যের কাছে
হায়! কই সে নির্মাতা। তুলে আনবে বাংলার শেকড় থেকে ইতিহাসের সেই বীরত্ব গাথা!!~
বরাবরের মত দারুন আন্তরিকতাপূর্ন মন্তব্যে আমি যার পর নাই আনন্দিত ও বিমোহিত!
ঈদের শুভেচ্ছা রইল- ভাল থাকুন, সুস্থ্য থাউন, সুন্দর থাকুন নিরন্তর।
৩| ২২ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:২৯
মেহবুবা বলেছেন: আলেকজান্ডার দ্যা গ্রেট ! পরাজয় মানতে হোল নিয়তির কাছে।
২২ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৯
শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক বলেছেন- অনেক ধন্যবাদ আপু লেখাটি পড়ে মন্তব্যের জন্য।
ভাল থাকুন- ঈদ মোবারক
৪| ২২ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:০৯
নিয়াজ মোর্শেদ বলেছেন: Good post
২২ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৫৪
শেরজা তপন বলেছেন: সম্ভবত আমার কোন পোস্টে আপনার প্রথম মন্তব্য
আমার ব্লগে স্বাগতম।
অনেক দন্যবাদ মন্তব্যের জন্য- ভাল থাকুন।
৫| ২৩ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৭:১৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
দি গ্রেট আলেকজান্ডারের বাংলা বিজয়ের ব্যর্থতার ঐতিহাসিক তথ্যমালা সুস্দরভাবে পোষ্টে তুলে ধরেছেন ।
পোষ্টটি প্রিয়তে গেল ।
প্রাচীন বাংলার বঙ্গ জনপদকে গ্রিক ও ল্যাটিন লেখকগন ‘গঙ্গারিডাই’- হিসাবেই গন্য করেছেন ।
একজন গ্রিক নাবিক তাঁর Periplous tes Erythras Thalasses (Periplus Maris Erythraei) গ্রন্থে
বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন গাঙ্গে দেশের কথা উল্লেখ করেছেন, যা ছিল গঙ্গা সংলগ্ন অথবা সমগ্র অঞ্চলটি ছিল
নদীবেষ্টিত। নদী তীরে নদীর নামে ‘গাঙ্গে’ ছিল একটি বাণিজ্য শহর। টলেমির ‘গঙ্গারিডাই’ এবং ‘পেরিপ্লাস’
গ্রন্থের লেখকের ‘গাঙ্গে দেশ’ বঙ্গোপসাগর উপকূলে অবস্থিত এলাকাকেই ইঙ্গিত করছে। এই গাঙ্গেয় এলাকা
সেই প্রাচীন কালেও ছিল নদী পরিবেষ্টিত এর বুকে জালের মত বিস্তৃত ছিল গঙ্গা , ব্রম্মপুত্র পদ্মা, মেঘনা,
যমুনা, প্রভৃতি নদীর মত বিশাল বিশাল নদী। নদীগুলি যেমন ছিল প্রমত্তা তেমনি ছিল পরিসরের একুলে
দাঁড়ালে ওকুল দেখাই যেতনা মনে হতো যেন উত্তাল দরিয়া , যা পাড়ি দেয়া ছিল বিপদসংকুল ।
অপরদিকে আলেকজান্ডার তার বিশাল সামরিক বাহিনী নিয়ে মেসোপটমিয়া হতে যাত্রা শুরু করে গঙ্গার নিকটবর্তী
হওয়া পর্যন্ত যে সমস্ত নদী যথা টাইগ্রিস , ইউফ্রেটিস , ও ইন্দুস (সিন্ধু কিংবা বিপাসা )পাড়িদিয়েছেন তার পরিসর
ছিল তার সামরিক বাহিনী ও সমরাস্রসহ সহজে্পই ড়ী দেয়ার মত , বিশেষ কোন বেগ পেতে হয়নি।
অপ্রসস্ত টাইগ্রিস নদীর ছবি
অপ্রসস্ত ইন্দুস তথা সিন্ধু নদের ছবি
আলেকজান্ডার তার হস্তিবাহিনীকে নীচের মত ভেলায় করে সে সমস্ত নদীগুলি পাড়ি দিতে পারলেও
সেগুলিকে প্রমত্তা গঙ্গা, শুধু কি গঙ্গা এর পরেও আরো যে সমস্ত নদী যথা ব্রম্মপুত্র পদ্মা, মেঘনা, যমুনা,
রয়েছে সেগুলি পাড়ি দেয়া ছিল আরো কঠিন ও বিপদ সকুল । তাছাড়া গাঙ্গেরীডাই বাহনীর কাছে থাকা
হস্তিবাহিনীও ছিল মারাত্মক যুদ্বংদেহী সৈনিক সহ জীবন বিনাসী অস্ত্রে সজ্জিত।
হস্তির শুরে সাথে নিন্মোক্ত ধরনের বিশাল ধারালো তলোয়ারও সজ্জিত থাকার খবর রটেছিল ।
একদিকে হস্তিপিঠে বর্শাধারী ও তীরন্দাজ সৈনিক অন্যদিকে পদদলে দলিত করার সাথে হাতির শুরের সাথে
বাঁধা তিক্ষ্ম ধারালো বিশাল তলোয়ার সজ্জিত হস্তিবাহিনীর সংবাদ চলে গিয়েছিল আলেকজান্ডার বাহিনীর কাছে।
ভীতির সংবাদও হয়ত ছড়িয়ে দেয়া হয়েছিল সুচতুরভাবে সম্ভবত গুপ্তচর মারফত ।
আলেকজান্ডার বাহিনীর কাছে চার ঘোড়ার রথ থাকলেও সে রথগুলি চলার উপযোগী ছিল তার যাত্রাপথে
থাকা প্রায় মরুভূমিও উচ্চভুমি যথা পারস্য ও ভারতের উত্তর পুর্ব দিকের দেশ সমুহের ভোগলিক এলাকাগুলিতে।
ঐসমস্ত চার ঘোড়ার সামরিক রথ সমুহ বাংলার কাদা মাটিতে বলতে গেলে অচল ও অকার্য যুদ্ধাস্র হিসাবে হয়েছিল
আলেকজান্ডার বাহিনীর কাছে বিবেচিত।
তাছাড়া গাঙ্গেরীডাই সেনাবাহিনীরর কাছে থাকা চার ঘোড়ার সামরিক রথাসীন তীরন্দাজ বাহিনীর অব্যর্থ বিষাক্ত
তীরের কথা আলেকজান্ডার বাহিনীর কাছে হয়তবা পৌঁছে গিয়েছিল যুদ্ধের পুর্ণ প্রস্তুতি নেয়ার আগেই।
এ সমস্ত বিপদসংকুল কথাগুলিই আলেকজান্ডার হয়তবা চিন্তা করছিলেন দিন দুয়েক তার তাবুতে বসে ।
এককিকে প্রমত্তা গঙ্গা পাড়ি দিয়ে গাঙ্গেরীডাইয়ের যুদ্ধ ক্ষেত্রে সুসজ্জিত নন্দরাজ বাহিনীর সাথে যুদ্ধের ভয়াবহ
পরিনতি, আর দিকে নীজ বাহিনীর সেনাদের মধ্যেই বিদ্রোহের সুর আলেকজান্ডার শুনেছেন জোড়ে সুরেই ।
বড় কথা হল বাংলার শাসককুলের পরাজয় যতবার হয়েছে তার পিছনে ছিল মিরজাফরদেরমত বিশ্বাসঘাতকদের
কালোহাত, আলেকজান্ডার মনে হয় সে সময় বাংলায় পায়নি কোন মিরজাফরদের সন্ধান। ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে
আলেকজান্ডার রনে ভঙ্গ দিয়ে স্বদেশেই ফিরে যেতে মনস্ত করেছিলেন। যাহোক তার শেষ পরিনতি হয়নি ভাল ,
যুদ্ধবাজ একজন বীরকে অবশেষে তীরের আঘাতেই অকালে মরতে হয়েছে ।
তবে একজন দ্বিগীজয়ী বীর হিসাবে ইতিহাসে তিনি প্রসিদ্ধ হয়ে রইলেন ।
মুল্যবান তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ ।
ছবিসুত্র : গুগল অন্তর্জাল
২৩ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৪৪
শেরজা তপন বলেছেন: আমি ইতিহাসের ছাত্র নই তবে ইতিহাস আমার প্রিয় বিষয়- ব্যতিক্রমী কোন ইতিহাস পেলে গোগ্রাসে গিলতে শুরু করি!
আপনার মন্তব্য নিঃসন্দেহে আমার লেখার তথ্য ও মানকে ছাড়িয়ে গেছে। যদিও আমি ব্যক্তিগতভাবে লেখার মাঝে ছবি দেই না এর মুল কারন আমি মনে করি ; কবি তার কাব্যের মাধ্যমে, নর্তক তার নৃত্যের ছন্দে, শিল্পী তার তুলির আঁচড়ে, আর সাহিত্যিক তার কথা মালায় পাঠক বা দর্শকদের তাদের অদেখা ভুবনের ছবি মানসপটে ফুটিয়ে তুলতে পারাটাই তার শিল্পের স্বার্থকতা।
তবে মন্তব্য পড়ে ও দেখে মনে হোল ইতিহাসভিত্তিক লেখায় ছবির গুরুত্ব অসীম!
আপনার এই মন্তব্যটা একটা আলাদা পোষ্ট হবার দাবী রাখে। আমার কেন যেন মনে হয় আপনি আপনার আসীম জ্ঞানকে অবহেলা করেছেন। চরম আত্মমর্যাদাবোধ ও অন্তর্মুখী স্বভাবের জন্য আপনি নিজেকে প্রকাশ করেননি- এবং সেজন্য আমরা অনেক কিছু থেকেই বঞ্চিত হয়েছি।
আপনার মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে আমি ফের এই লেখাটা আপনার কিছু তথ্য সংযুক্ত করে লিখি। বিশেষ করে আলেকজান্ডার বাহিনীর মনে চরম ভয় ছড়িয়ে দেয়া বাংলা ও নন্দ রাজ্যের আবিষ্কৃত সেই অভাবনীয় যুদ্ধাস্ত্র ও সমর পরিকল্পনা!
আপনি আমাকে কি আপনার মেইল এড্রেস টা শেয়ার করবেন; আমি আমার একটা আধখানা অনুবাদ করা লেখা পাঠাব, গত বছর দশেক ধরে সায়েন্টিফিক টার্ম ও ল্যাঙ্গুয়েজ না জানাতে অনুবাদটা আটকে আছে। আপনার কাছ থেকে সহযোগিতা কাম্য করছি।
আমি চরমভাবে কৃতার্থ ও আনন্দিত আপনার সহচার্যে! সুস্থ্য থাকুন ভাল থাকুন নিরন্তর।
( ইতিহাসভিত্তিক লেখার সময়ে আমি তথ্যগত ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিই সবসময়। আপনি ভুলগুলো আলোচনার ছলে এমনভাবে তুলে ধরেন যে, লেখক নিজের ভুল বুঝতে পারে কিন্তু লজ্জিত হয় না।)
৬| ২৩ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৮:৫৬
ইসিয়াক বলেছেন: প্রিয় ব্লগার আপনার পোস্ট আর শ্রদ্ধেয় ব্লগার ডঃ এম এ আলীর কমেন্ট ও বিদ্রোহী ভৃগু'দা পোস্ট ও কমেন্ট মন দিয়ে পড়লাম। অনেক অনেক কিছু জানলাম। এ ব্যপারে জানা ছিল সামান্যই। খুব ভালো লাগলো।
শুভেচ্ছা রইলো।
২৩ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৫০
শেরজা তপন বলেছেন: ডঃ এম আলী ভাইয়ের মন্তব্যের পাশে আমার পুরো পোষ্টটার রঙ ভীষন ফিকে লাগছে
সেজন্য মন খারাপ হওয়ার পরিবর্তে আমার দারুন আনন্দবোধ হচ্ছে। তাঁর প্রতি আমার আন্তরিক ভালবাসা ও কৃতজ্ঞতা!
আপনাকে পেয়েও ভাল লাগল ভাই কবি ইসিয়াক!
আপনি নিয়মিত আমার লেখা পড়ে যে দারুন সব উতসাহব্যাঞ্জক করেন সেজন্য আপনার প্রতিও আমার রইল অকৃত্রিম ভালবাসা।
ঈদ মোবারক, ভাল থাকুন সবসময়।
৭| ২৩ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৩৯
কবিতা ক্থ্য বলেছেন: অসাধারন পোস্ট।
পোস্টিকে আরো অলংকৃত করেছে ডঃ এম এ আলী ভাইয়ের তথ্যভান্ডার।
ভালো লাগা
২৩ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৫৫
শেরজা তপন বলেছেন: আমার এখন মনে হচ্ছে, লেখাটা ডঃ এম আলী ভাই দিলে অনেক বেশি মানসম্পন্ন হোত ।
আমারটা ইমিটেশনে সোনার প্রলেপ- আর তারটা খাঁটি হিরে
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে বরাবরের মত সাথে থাকার জন্য।
ঈদের শুভেচ্ছা ও আন্তরিক ভালবাসা রইল।
সুস্থ্য ও সুন্দর থাকুন সবসসময়।
৮| ২৩ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পরিশ্রমী পোস্ট। আপনার সৌজন্যে ইতিহাসকে চাক্ষুষ করার সুযোগ হলো। সম্ভবত 2004 সালে ভ্রমণ পিপাসু হয়ে গেছিলাম হিমাচল প্রদেশ। বিভিন্ন সাইট সিনে সঙ্গে অন্যতম একটি সাইট সিন রোটাং পাস। বিয়াসের গা ঘেঁষে রোটাং থেকে ফেরার পথে পাহাড়ি দুর্গম রাস্তায় হঠাৎ ড্রাইভার আঙুল দেখিয়ে দূরে একটা জনজাতির দিকে চিহ্নিত করেন। আলাদা করে পাহাড়ি অন্য জনজাতির সঙ্গে পার্থক্য না বুঝলেও পরে গাড়ির চালকই আমাদের কারণটি স্পষ্ট করেন।ঐ গ্রামটি আলেকজান্ডারের গ্রাম নামেই খ্যাত।খৃ:পূ:২০২৪ বিসিতে আলেকজান্ডারের বাহিনীর একটা ক্ষুদ্র অংশ মূল বাহিনী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তারপর এত বছর ধরে দুর্গম পাহাড়ি এলাকাকে তারা আপন করে নিজেদের মতো করে বসবাস করে আসছে।
শুভেচ্ছা প্রিয় ভাইকে।
২৩ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৫৭
শেরজা তপন বলেছেন: দাদা কি ছাদ বাগান নিয়ে বেশী ব্যস্ত হয়ে গেছেন- লেখালেখি শিকেয় তুললে কি হবে বলুন?
জনজাতি'র নাম আমি এই প্রথম শুনলাম! রোটাং পাসে একবার যাবার ইচ্ছে আছে
আলাকজান্ডারের বংশধরদের একটু সাক্ষাত করতে পারলে বেশ হোত।
আমার এই অতি সাধারন মানের লেখা - বিদ্রোহী ভৃগু ভাই, ডঃ এম আলী ভাই, আপনি সহ প্রত্যেকের মন্তব্যে দারুন সমৃদ্ধ হয়ে উঠল।
সেজন্য সবার কাছেই আমি কৃতজ্ঞ। আমাদের প্রিয় সামু এজন্যই ব্যতিক্রম ও অনন্য, এখানে পড়ূয়া আর আপনাদের মত জ্ঞানী মানুষের পদচারনায় আমরা কত অজানাকে জানতে পারছি।
ফের অনেক ধন্যবাদ দাদা, আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করবার জন্য সেই সাথে উৎসাহব্যাঞ্জক মন্তব্যের জন্য অবশ্যই
ভাল থাকুন প্রতিনিয়ত
৯| ২৩ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আলেকজান্ডার দি গ্রেট ভারতবর্ষ জয় করতে ব্যর্থ হলেন্ । আর গ্রীক বীরের মৃত্যু হলো অতি অল্প বয়সে। অথচ তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন কত অল্প বয়সে এত বড় দিকবিজয়ী বাকী জীবনে তিনি কি করবেন। মানুষ জানে না তার মৃত্যু কবে কোথায় কিভাবে?
এখানে উল্লেখিত বিপাশা নদীর ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ন। জার্মান হিটলার বাহিনিও হেরেছিল সাইবেরিয়ায় মিঃ স্নুর কাছে। প্রকৃতি মাঝে মাঝেই এমন অপ্রতিরুদ্ধ হয়ে ওঠে। গাঙ্গেরীডাই বাহনী ছিল ভীষণ শক্তি শালী। ড. এম এ আলী তথ্যবহুল কমেন্ট করেছেন। বিদ্রাহী ভৃগু লিংক দিয়েছেন।কমেন্ট গুলো আপনার পোস্ট কে সমৃদ্ধ করেছে অনেক খানি। আপনার পরিশ্রম লব্ধ পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
সুন্দর।+
২৩ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:০২
শেরজা তপন বলেছেন: আমার অজানা নতুন একটা তথ্য দিলেন সেলিম আনোয়ার ভাই।
ডঃ এম আলী,ভৃগুভাই, পদাতিক ভাই সহ আপনারন তথ্য সংযুক্ত করে লেখাটা নতুন করে পোষ্ট দিতে ইচ্ছে হচ্ছে
আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ও সম্ভবত প্রকৃতির আবদান কম ছিল না!
আপনার ভালবাসা আর আন্তরিকতা মিশ্রিত দারুন মন্তব্যে আমি বেশ উজ্জীবিত-ইতিহাসভিত্তিক নতুন ধারার কিছু তুলে আনতে
আগ্রহী হলাম।
ভাল থাকুন- সুন্দর থাকুন প্রিয় কবি।
১০| ২৩ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৩১
আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,
সুন্দর লেখা।
"বড় কথা হল বাংলার শাসককুলের পরাজয় যতবার হয়েছে তার পিছনে ছিল মিরজাফরদেরমত বিশ্বাসঘাতকদের
কালোহাত, আলেকজান্ডার মনে হয় সে সময় বাংলায় পায়নি কোন মিরজাফরদের সন্ধান।"
ডঃ এম এ আলীর এই কথাটুকু আলেকজান্ডারের ব্যর্থ বাংলা অভিযানের জন্যে সত্যিই আংশিক দায়ী।
২৩ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:০৭
শেরজা তপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই বরাবরের মত সাথে থাকার জন্য- মন্তব্যের সাথে লাইকটা অনেক বেশী পাওনা
এই লেখা অলঙ্কৃত ও অনেক বেশী সমৃদ্ধ হয়েছে সামু ব্লগের সেরা কিছু ব্লগার, সাহিত্যিক ও কবির দুর্দান্ত কিছু মন্তব্যে- তাদের প্রতি
আমার ফের কৃতজ্ঞতা।
ভাল থাকুন, সুন্দর থাকুন।
১১| ২৪ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৪৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
জন্মদিনের শুভেচ্ছা; এই ভয়ংকর করোনার সময় সুস্হ থাকুন।
২৪ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৩৬
শেরজা তপন বলেছেন: এই লেখায় আপনার একটা লাইক পেয়েছিলাম- সেজন্য প্রথমে ধন্যবাদ দিয়ে নিচ্ছি।
আপনি যখন অস্ত্র হাতে দেশের জন্য লড়ছেন- আমি তখন মায়ের কোলে ট্যাঁ ফ্যাঁ করছি!
ভয়ঙ্কর এক সময়কালেই আমার জন্ম- তাই ভয়ঙ্করকে 'ন ডরাই।'
আপনাক অনেক ধন্যবাদ-ওখানে না বলে এখানে এসে শুভেচ্ছাটা দিয়েছেন বলে।
ভাল থাকুন আপনিও নিরন্তর!
১২| ২৪ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৩১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: খুব সুন্দর বর্ণনা করেছেন। বোঝা গেল যে এক কালে বাঙালি বীরের জাতি ছিল। তবে তখন মনে হয় বাংলা ভাষার উৎপত্তি হয়নি। তাই তাদের বাঙালি বলা যাবে কি না জানি না।
সব যুগেই তাহলে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ ছিল। ইতিহাস সব সময় বিজয়ীদের দ্বারা লিখিত হয়। এটাই সমস্যা।
২৪ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৪৩
শেরজা তপন বলেছেন: ইতিহাস সবচেয়ে গোলমেলে ও গোঁজামিলে ভরা একটা বিষয়।
যে যার মত করে নিজেদের পক্ষে লিখেছেন- এটা সত্যি। আর বিজয়ীরা ইতিহাস প্রচারের সুযোগ পেয়েছে বেশী।
ভাষার উৎপত্তি হোক না হোক আমাদে ধমনীতে সেই পুর্বপুরুষদের রক্ত বইলেই সেটা বড় পাওনা।
প্রায় আড়াই হাজার বছর আগেও যে এখানে সভ্যতা ছিল এবং সেটা বেশ শক্তিশালী ও তাক লাগিয়ে দেবার মত ছিল সেইটেই
বা কম কিসে!
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ওআপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা বরাবরের মত সাথে থাকবার জন্য।ভাল থাকুন
১৩| ২৪ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:১৩
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: আলেকজান্ডারকে সুন্দরভাবে ভারতবর্ষ ঘুরিয়ে নিয়ে গেলেন, কিন্তু নগ্নগাত্র সন্ন্যাসীদের (gymnosophist) এবং বিশেষ করে তাঁদের নেতা দণ্ডীর সঙ্গে সাক্ষাতের কথা প্রকাশ করলেন না, কাহিনী তো শেষ হইয়াও হইল না শেষ!
২৪ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৪২
শেরজা তপন বলেছেন: অবশেষে আপনাকে পেয়ে দারুন আনন্দিত হলাম ' মামুন' ভাই
লেখালেখিতে কি দীর্ঘসময়ের বিরতি নিলেন????
নগ্নগাত্র সন্ন্যাসীদের নেতা দণ্ডীর সাথে তাঁর সাক্ষাত- এর বিষয়ে খানিকটা শেয়ার করলে আমি কৃতার্থ হইতাম। এ বিষয়টা আমার
অজানা। আমার ইচ্ছে আছে এই পোস্টে যাঁরা তথ্য শেয়ার করেছেন, তাদের সব তথ্যগুলো একখানে করে নতুন একটা পোষ্ট
দেবার। সে লিস্টে আপনার নামখানা থাকলে লেখাটা সমৃদ্ধ হবে নিঃ সন্দেহে।
ভাল থাকুন নিরন্তর।
১৪| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২২
সাজিদ! বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। সাথে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
২৬ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:০৪
শেরজা তপন বলেছেন: @আমি সাজিদ নিকটা কি আপনার?
অনেক ধন্যবার আপনার মন্তব্য ও জন্মদিনের শুভেচ্ছার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপনি ভাল থাকুন সুন্দর থাকুন- নিরন্তর
১৫| ২৬ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:৪২
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: দি গ্রেট আলেকজান্ডারের বাংলা বিজয়ের ব্যর্থতার ঐতিহাসিক বিষয়টি খুব সুস্দরভাবে পোষ্টে তুলে ধরেছেন ।
শুভকামনা রইল। ভাল থাকুন নিরন্তর।
২৬ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:০৭
শেরজা তপন বলেছেন: সম্ভবত আমার ব্লগে এটা আপনার প্রথম মন্তব্য?
আমার ব্লগে স্বাগতম। মন্তব্যের জন্য সবিশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
আপনার প্রতিও রইল শুভকামনা। ভাল থাকুন সুস্থ্য থাকুন নিরন্তর!
১৬| ২৬ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:০৬
জুন বলেছেন: আলেকজান্ডার একমাত্র শাসক যে কি না এক মহাদেশে (ইউরোপ) জন্ম হয়েছে, আরেক মহাদেশে মৃত্যু হয়েছে (এশিয়া) আর তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়েছে আরেক মহাদেশে (আফ্রিকা)। তাঁর সমাধি না দেখলেও তাঁর নামে প্রতিষ্ঠিত আলেকজান্দ্রিয়া শহরটি খুব ভালো করে দেখে এসেছি শেরজা তপন ।
দেখেন আমরা আলেকজান্দ্রিয়া শহরের গেটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি । উপরে ল্যাটিন ভাষায় আলেকজান্দ্রিয়া লেখা আছে দেইখেন কিন্ত
+
আলেকজান্ডারের ভারত আসা আর ওহ সেলুকাস কি বিচিত্র এই দেশ (আসলেই বিচিত্র) নিয়ে পাঠবইয়ে এতবার পড়া হয়েছে তাই ঐ আলাপে আর গেলাম না । কিন্ত আপনি খুবই সুন্দর করে বর্ননা করেছেন তাঁর বাংলা জয়ের ব্যার্থতার কথা । জয় করলে ভালোই হতো আমরা বলতে পারতাম আমরা আলেকজান্ডারের বংশধর
২৬ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৪৪
শেরজা তপন বলেছেন: তাই নাই- আমি বিস্তারিত ঘেঁটে দেখিনি
তাঁর কবর কি আফ্রিকায় হয়েছিল নাকি? - কি আজিব বাত
আমার একবার সখ আছে সেখানে যাবার। করোনায় সব উল্টা-পাল্টা করে দিল
ধন্যবাদ আপনার ছবি আর অভজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য
তবে শেষে এইটা কি কইলেন!!!!!!!!!!!!!!!!
১৭| ২৬ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৮:০৭
জুন বলেছেন: আর ওহ হ্যা ছবি আমার ক্যানন ক্যামেরায় তোলা
২৬ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৪৬
শেরজা তপন বলেছেন: যে দিনকাল পড়েছে- পারলে সব ছবি কপিরাইট করে রাখেন
বলা তো যায় না কে কোনখান দিয়ে রেফারেন্স চায়
১৮| ২৭ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:১০
জুন বলেছেন: শেরজা তপন শুভ সকাল। আলেক্সান্ডার দ্যা গ্রেট ৩৩২ b.c. তে মিশরকে তার সাম্রাজ্যভুক্ত করেছিল। আর ইজিপ্ট আফ্রিকা মহাদেশের অংশ
ব্যাবিলন থেকে তার মৃতদেহ ইজিপ্টে নিয়ে প্রথমে মেমফিস যেখানে জগৎ বিখ্যাত পিরামিডগুলো রয়েছে সেখানে কবর দেয় সেখানে তার নিযুক্ত গভর্নর টলেমী।
পরে তার লাশ নিয়ে তার নামে তার প্রতিষ্ঠিত মিশরের নতুন রাজধানী আলেকজান্দ্রিয়া নগরীর বুকে সমাধিস্থ করা হয়। তবে তার সমাধি সৌধটি কোথায় সেটি আজও কেউ খুজে পায়নি। অনেক ঐতিহাসিক সন্দেহ করেন সেখানে যে দানিয়েল নবীর নামে একটি মসজিদ আছে তার ভেতরেই আলেকজান্ডার এর কবর। কিন্ত মসজিদে খনন কাজ নিষেধ। তাই আমরা গোটা আলেকজান্দ্রিয়া ঘুরে আসলেও এই বিখ্যাত বীর সম্রাটের সমাধি সৌধটি দেখতে পাই নি
বার বার আসছি বিরক্ত হয়েন না, কি করবো বলেন প্রিয় বিষয় ইতিহাস তাই হয়তো
২৮ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৮:০৮
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি এইটা কি বললেন, আপনার মন্তব্যে আমি বিরক্ত হব!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
যান আপনার সাথে আমার কথা বন্ধ- এই মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ না করলে আর কোন আলোচনা নয়
১৯| ২৭ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৩৫
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: অত্যন্ত সাবলীল বর্ণনা। ভালো লেগেছে।
২৮ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৮:১১
শেরজা তপন বলেছেন: ভাই দেশ প্রেমিক বাঙালী, বরাবরের মত আন্তরিকতাপুর্ন মন্তব্যের জন্যা ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা!
আপনার ও আপনাদের অনুপ্রেরণাই আমাকে আরো নতুন কিছু লেখার জন্য উজ্জীবিত করবে।
ভাল থাকুন
২০| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৩২
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: ঐতিহাসিক ঘটনাকে খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। এই ঘটনাটা তেমন প্রচলিত নয়। পুরু (পরস) কে হারানোর পর পুরুর আত্মমর্যাদাবোধের কাহিনি ইতিহাসে বেশি প্রচলিত।
০৩ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:০৮
শেরজা তপন বলেছেন: এতগুলো লেখা একদিনে পড়ে ফেললেন!!!!
আপনার ভালবাসা ও আন্তরিকতায় আমি চরমভাবে মুগ্ধ
ঠিক বলেছেন- তেমন প্রচলিত ইতিহাস নয়। ইতিহাসের ছাত্র হলে হয়তো আরো সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারতাম
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:১৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: +
চমৎকার সহজ সরল উপস্থাপনা।
ভালো লাগলো, ভালো থাকেবন।