নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেটা এক স্বর্গ ছিল~ যা চিরতরে হারিয়ে গেছে #২

১৫ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:০৪


শ্চিমা বিশ্ব বরাবরই সোভিয়েতের সেই সমাজতান্ত্রিক যুগের নেতিবাচক ধারানা ছড়িয়েছে সারাবিশ্বে; তারা বলেছে,তাদের রাজনৈতিক পদ্ধতি নিয়ে,তাদের কেজিবি নিয়ে। তাদের মান্ধাতা আমলের লড়ঝড়ে অটোমোবাইল, বেঢপ টিভি আর সেই টিভির থেকে বড় আকৃতির রেডিও নিয়ে। তারা রসিকতা করেছে ওদের জীবনযাপন পদ্ধতি নিয়ে- ওদের চাকচিক্যহীন পোষাকাদি নিয়ে, এমনকি সোভিয়েত নাগরিকদের খাদ্যাভাসও ওদের পছন্দ হয়নি। সবচেয়ে বেশী সরব ছিল পশ্চিমা বিশ্ব ওদের বাকস্বাধীনতা নিয়ে- সোভিয়েত সরকার কতৃক টুঁটি চেপে ধরা মিডিয়া ওদেরকে সারা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে!
কিন্তু একজন সচেতন প্রাক্তন নাগরিককে জিজ্ঞেস করে দেখুন;সেই সব দিনগুলিতে সোভিয়েত নাগরিকদের সামান্য সামাজিক পার্থক্য থাকলেও ওদের অর্থনৈতিক বৈষম্য প্রায় ছিলই না বললে চলে।
কিছু কমন ভ্যালু যেমন,বন্ধুত্ব,আন্তরিকতা প্রতিবেশীর সাথে সুসম্পর্ক এসব একজন ব্যাক্তি বা পরিবারের জন্য দারুন গুরুত্বপূর্ন। সেইসব সোভিয়েত সমাজে বেশ দাপটের সাথেই উপস্থিত ছিল। সোভিয়েত যুগের বহু মানুষ এখন সেই সব স্মৃতি রোমন্থন করে দ্বীর্ঘশ্বাস ফেলে। তাদের যৌবনের সেই ঐন্দ্রজালিক সপ্নের ট্রেন তাদেরকে পুঁজিবাদী নামক ভয়ানক স্বার্থপর অর্থনৈতিক সমাজব্যাবস্থার মধ্যে ফেলে রেখে চলে গেছে চিরদিনের জন্য।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
উজবেকিস্থান থেকে আনওয়ার
-জনৈক আনওয়ার,উজবেকিস্থান [আনওয়ারের বয়স তখন ৬০ ছুয়েছে। হাসতে গিয়ে ঝিলিক দিয়ে ওঠা সোনা দিয়ে বাঁধানো দাতের (সোভিয়েত ইউনিয়নে জোলাতাইয়া জুবা বা সোনা দিয়ে দাত বাধানোর প্রচলন ছিল ব্যাপক- বিশেষ করে মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে)ছোটখাট গড়নের সেই মানুষটার সাথে মুল লেখকের দেখা হয়েছিল প্যারিসে ২০১১ সালে। সে একজন শিক্ষক তার স্ত্রীও নামকরা এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্রেঞ্জ ভাষার শিক্ষক। সে মুসলিম ধর্মে দীক্ষিত হয়েছে উনিশ’শ নব্বুইয়ে। এখন যদিও সে শুয়োরের মাংসও বর্জন করেছে কিন্তু মদটা খাওয়াটা এখনো চালিয়ে যাচ্ছে। মদের গ্লাস হাতে নিয়ে এখন সে স্মরণ করে প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নে তার ফেলে আসা স্বার্ণালী দিনগুলোর কথা। বর্তমান প্রজন্মের কাছে সে গর্বভরে বুক চেতিয়ে বলে তার সমাজতান্ত্রিক দেশের কথা।]
‘সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ধানের ফলে আমরা অনেক কিছু হারিয়েছি যা আমাদের একটি করুণ পরিস্থিতিতে ফেলেছে। আমি একজন শিক্ষক এবং আমি আপনাকে বলতে পারি যে পরিবর্তনের প্রভাব সত্যিই জনগনের পেশার উপর প্রভাব ফেলে। আজ,আমরা সারা মাসের কাজ শেষে যে নগন্য মজুরি পাই যা একটি পরিবারের নুন্যতম মৌলিক চাহিদার জন্যও যথেষ্ট নয়। আমার বেতন মাসে ৩০০ ডলারের সমান,যা দিয়ে দুই সপ্তাহের বেশী আমার পরিবারের ব্যয় মেটানো সম্ভব নয়। সৌভাগ্যবশত,আমার স্ত্রীও কাজ করে – তার আয় দিয়েই আমাদের বাকি দুই সপ্তাহের সাংসারিক খরচ চলে। তার বেতন মাসে ৪৫০ ডলার। আমাদের একটি মেয়ে আছে,তার বয়স ১৫ বছর।
পূর্বে-সোভিয়েত আমলে,জীবন ছিল একেবারেই ভিন্ন। আমাদের উপযুক্ত মজুরি ছিল যা আমাদের যুক্তিসঙ্গতভাবে বাঁচতে সাহায্য করেছিল;আমরা আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারতাম,একটি গাড়ি ব্যাবহারের সাধ্য ছিল, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড এবং খেলাধুলার জন্য অর্থ প্রদান,একটি দাচা,সোভিয়েতের -এর অন্য দেশে ভ্রমণ ইত্যাদি। কখনও কখনও,সরকারি অনুদান এবং পণ্যের মুল্য ধারনার থেকেও এত কম ছিল যে,আপনি আপনার সেই সল্প বেতন থেকে কিছু অর্থও বাঁচাতে পারতেন।
কালে যখন আপনি ঘুম থেকে উঠবেন তখন থেকেই আপনি কীভাবে অর্থ উপার্জন করবেন তা নিয়ে ভাববেন ... বিশ্বাস করুন, আপনি যদি একজন শিক্ষককে এখন জিজ্ঞাসা করেন যে, তিনি শেষবার কবে থিয়েটারে গিয়েছিলেন,আমি নিশ্চিত যে তিনি "কোন উপায় নেই এবং হাতে সময় নেই" উত্তর দিবেন। সোভিয়েত যুগে,সবাই আমাদের কাজকে এতটা সম্মান করত যে,যখন আমরা তাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতাম তখন তরুণরা আমাদের অনুসরন করতে চাইত- তারা ভবিষ্যতে শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে নিতে চাইত।
আমরা সত্যিই আমাদের কাজ উপভোগ করেছি,কারণ তখন এই পেশা যেমন সম্মানজনক ছিল তেমন ছিল আনন্দময়। আমাদের বিশেষ একটা সুনাম ছিল। কিন্তু আজ,আমরা যে সমস্ত পরিবর্তনের সম্মুখীন হচ্ছি,শিক্ষাদান এখন আর সম্মানজনক পেশা নয়। যদি আপনি তরুণদের জিজ্ঞাসা করেন যে তারা ভবিষ্যতে কী করতে চায়?তাহলে খুব কম তরুন এই পেশায় আসার কথা বলবে। তারা বলবে যে, তারা আইনজীবী,ব্যাংকার,ব্যবসায়ী ইত্যাদি হিসাবে কাজ করতে চায়।
বশ্যই,কে সেই কাজটি করতে চায় যা আপনাকে আপনার মৌলিক চাহিদার পুরনের জন্য যথেষ্ঠ নয়। সেই পেশাটি ভীষণ লজ্জাজনক হয়ে ওঠে এবং চরম অসম্মানজনক হয় তখুনি, যখন শিক্ষকেরা অর্থের অভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত হতে বাধ্য হন: তারা শিক্ষার্থীদের কাছে অবৈধ অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন সুযোগ করে দেয়। তাদের এইসকল কর্মকান্ডের জন্য জন্য,শিক্ষার্থীরা জানে যে তারা তাদের গ্রেড,অনুপস্থিত ক্লাস কিনতে পারে এবং অর্থের বিনিময়ে তারা ডিপ্লোমাও পেতে পারে।
তারা পড়াশোনা করতে চায় না,তারা সহজে টাকা পাওয়ার কথা ভাবে।এই ধরনের সিস্টেম নিয়ে আমরা কোথায় যাব? আমি কখনো কল্পনাও করিনি যে একদিন আমি আমার শিক্ষকতা পেশার সাথে একইরকম পরিস্থিতিতে পড়ব। আমি চেয়েছিলাম আমার মেয়েও শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে নিবে ,কিন্তু শেষবার যখন আমি তাকে তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম তখন সে উত্তর দিল যে সে ডাক্তার হতে চায়। পরে অনুধাবন করলাম এই সময়ের জন্য সে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। "
ই উজবেক শিক্ষকের ভয়ঙ্কর কষ্টকর অনুভূতি,যার সব কর্তৃত্ব এবং মর্যাদা হারিয়েছেন- সেটা প্রমাণ করে যে,একটি আরামদায়ক,রাষ্ট্র-শাসিত অতীতের জন্য কতটা গভীরভাবে বদ্ধমূল নস্টালজিয়া রয়ে গেছে। সোভিয়েতে তাদের বয়স এবং অভিজ্ঞতা যাই হোক না কেন,’সাবেক সোভিয়েত শিক্ষকরা’ মূলত সেই সময়ের ভালো দিকগুলো ধরে রা্খার চেষ্টা করছে। সমাজতন্ত্র নির্মাণের জন্য গভীরভাবে নিবেদিত কাজটি সোভিয়েত যুগে তেমন ফল দেয়নি এবং তাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে সামাজিক ও নৈতিক উভয়ই দুর্দশায় ফেলেছে,যা জনসেবা কাঠামোর ব্যর্থতা প্রদর্শন করে। আনওয়ারের মত আরো বহু লোকের মধ্যে দারিদ্রতার এই অনুভূতি কোন কাল্পনিক বিষয় নয়,বরং একটি অনিশ্চিত দিনের মুখোমুখি হওয়ার ফলাফল এবং পূর্ববর্তী উন্নত জীবনের আদর্শ চিত্র যার ফলাফল ছিল সোভিয়েত রাষ্ট্র গ্যারান্টার এবং রক্ষক।
সোভিয়েত আমলের এই নস্টালজিয়া মধ্য এশিয়ার বয়স্কদের কথোপকথনে প্রায় সর্বব্যাপী। একটি গৌরবময় অতীতের কষ্টকর পরিণতির এই বিষন্ন অনুভূতি মধ্য এশিয়ার পাশাপাশি ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি প্রাক্তন ইউএসএসআর-এর অন্যান্য অঞ্চলেও উপস্থিত হয়েছিল। এই বিশৃঙ্খলা -কমিউনিস্ট ব্যবস্থার পতনের পর থেকে গভীর সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংকটের ফলাফল। ফেলে আসা সোনালী অতীতের স্মৃতি এখন বেশিরভাগ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার সাথে যুক্ত,পেরেস্ত্রোইকার সময় সমৃদ্ধ একটি ক্ষুদ্র শ্রেণী ছাড়া।

আগের পর্বের জন্যঃ Click This Link

মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৫৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: লেখাটা দুইবার এসেছে।

শিক্ষকরা ছাত্রদের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা আয় করে ডিগ্রি বিক্রি করে বা ভালো গ্রেডের বিনিময়ে । রাশিয়ার মতো দেশে এই ধরণের ঘটনা ঘটে, বিশ্বাসই হতে চায় না। পুঁজিবাদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সাথে রাশিয়ানদের পরিচয় বেশী দিনের না। এটার সাথে খাপ খাওয়াতে ওদের এই জন্য মনে হয় কষ্ট হচ্ছে। তবে একজন দুইজনের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে পুরো রাষ্ট্রের অবস্থা আন্দাজ করা কঠিন।

১৫ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৪০

শেরজা তপন বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ দিচ্ছি লেখাটা দু'বার এসেছে সেটা জানিয়ে দেবার জন্য। এমন ভুল আমার তেমন হয়না- ঠিক করে দিলাম।

আমি নিজেই দেখেছি হঠাত করে পুরো সিস্টেমটা পরিবর্তন হয়ে যাবার পরে অর্থ উপার্জনের কোন শর্ট-কার্ট পন্থা না পেয়ে কত সহজে অসৎ পথা বেছে নেয় ওরা পাররে টাকার জন্য পুরো দেশটাই বেছে দেয় তখন।
আমার পরিচিত একজন( বেশ ধনবান) উক্রাইন থেকে দু'টো কার্গো বিমান কিনেছিলেন, কত সস্তায় সেটা কল্পনাও করতে পারবেন না।
'গড অফ ওয়ার' ছবি কিংবা রাশিয়ান ব্রাত বা ব্রাদার ছবিগুলো দেখলে বুঝবেন দুর্নীতি, মাফিয়াচক্র কিভাবে দ্রুত সেঁধিয়ে গিয়েছিল রাশিয়ার রন্ধ্রে রন্ধ্রে! এখন ফের ধীরে ধীরে সব পালটে যাচ্ছে।
তবে ওরা কত আন্তরিক, বন্ধু বৎসল, অমায়িক, কৌতুকপ্রিয় আর শুদ্ধ একটা জাতি ছিল সেটা আমি বুঝেছি নব্বুইয়ের শুরুতে।
আসলে মনে হয় সুযোগের অভাবে সবাই চরিত্রবান :)

অনেক ধন্যবাদ- এবারও প্রথম মন্তব্যের জন্য আর বরাবর সাথে থাকবার জন্য।

২| ১৫ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:০৪

জুন বলেছেন: বিভিন্ন বই আর পত্র পত্রিকা পড়ে আমারও মনে হয় সোভিয়েত ইউনিয়নের বিভাজন সত্যি এক হারিয়ে যাওয়া স্বর্গ। সেই সময় অন্তত মানুষের খাওয়া-পড়ার নিশ্চয়তা ছিল। তাদের চাহিদাও ছিল সীমিত। যা পেত তাই নিয়ে সন্তষ্ট ছিল অনেকেই। বিশেষ করে ১৯১৭ সাল থেকে শুরু করে ২৩ এর অক্টোবর পর্যন্ত সংগঠিত বলশেভিক বিপ্লব এ যারা অংশগ্রহণ করেছিল, যাদের হাতে জারের পতন ঘটেছিল তাদের কাছে কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়নের এক আলাদা মর্যাদা ছিল যা পরবর্তী প্রজন্মের স্মার্ট ফোন আর গাড়ি ঘোড়ার কাছে সেই গৌরবময় বিপ্লব মূল্যহীন। তাই দেখবেন সেই সময়ের লোকরাই আফসোস করবে। এই জিনিস আমরা বেইজিং বেড়াতে গিয়েও দেখে আসছি। তবে অনেকটা উদার হলেও চীনে সেই পার্টি শাসন ক্ষমতায় আছে বলে কেউ বিদ্রোহ করার সাহস দেখায় না। হংকং একটু আধটু ট্যা ফো করলে পিপলস লিবারেশন আর্মি তা অংকুরেই বিনাশ করে ফেলে।
ভালো লাগছে আপনার স্বর্গ থেকে নির্বাসনের কাহিনী পড়তে শেরজা তপন।
+

১৫ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৫৫

শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ আপা ফের আপনাকে পেয়ে বরাবরের মত ভাল লাগল- এবার এত দ্রুত পাব ভাবিনি :)

স্টালিনের সময়ে শুদ্ধি অভিযান ও সব সম্পত্তি সরকারীকরণ ও সমাজতন্ত্রকে সুদৃঢ় করতে গিয়ে তিনি ভয়ঙ্কর কিছু পদক্ষেপ
নিয়েছিলেন। যার জন্য অনেক ত্যাগী নেতা( ত্রতেস্কু'র মত প্রাভাবশালী নেতারাও) নির্বাসনে গিয়েছিলেন না হয় আততায়ীর হাতে নিহত, গুম হয়েছিলেন কিংবা দীর্ঘ কারাভোগ করেছিলেন। সেই ক্ষত শুকাতে সোভিয়েতের কয়েক যুগ লেগেছিল। আপাত দৃষ্টিতে সামাজিক নিরাপত্তা, খাদ্য ও বাসস্থান সহ অনেক কিছুর গ্যারান্টি থাকলেও একেবারে ভিতরকার( পলিটিক্যাল, বুদ্ধিভিত্তিক) চালচিত্র মোটেই ভাল ছিল না।
আমার এর পরের লেখায় স্তালিনের সোশ্যালিজমের ভয়ঙ্কর নোংরা ও কালো দিকটা তুলে ধরব!

আপনার উছিলায় চীনের একটু ইতিহাস জানলাম - অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সেজন্য।
ভাল থাকবেন - শেষ পর্বে ফের দেখা হবে সেই অপেক্ষায় রইলাম...

৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



প্রতিটি আমেরিকান ভয়ে থাকে যে, তার চাকুরী বা সুযোগ একদিন চলে যেতে পারে, সোভিয়েতে এই ভয় ছিলো না।

১৫ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৪৬

শেরজা তপন বলেছেন: এ পর্বে ঠিক ঠাক আছেতো ভাই- অনেক ভয়ে ভয়ে পোষ্ট দিয়েছি :)

ওরা প্রত্যেকেই নিজের প্রফেশনের জায়গায় ভীষণ আন্তরিক ছিল। জব পাল্টানোর সুযোগ তেমন ছিলনা। ওরা জানত যে, আজীবন এটাই করতে হবে-ওন্য কিছু করলে যে জীবনমানের খুব বেশী উন্নতি হবে তাতো নয়। তাই আজীবন মন দিয়েই কাজ করে যেত।
আমেরিকার কথা ভিন্ন- সেখানে অপরচুনিটি প্রচুর। কাজের দক্ষতার উৎকর্ষের সাথে সাথে সবকিছু আমুল পালটে যায়। নাকি?

৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন, " আমেরিকার কথা ভিন্ন- সেখানে অপরচুনিটি প্রচুর। কাজের দক্ষতার উৎকর্ষের সাথে সাথে সবকিছু আমুল পালটে যায়। নাকি? "

-আমেরিকায় চাকুরী ও সুযোগ সব সময় বদলাচ্ছে, সেটাই "অপরচুনিটির" সৃষ্টি করছে; তবে, "ক্যাপিটেলিজম" সব অপরচুনিটিনিকে মালিকের হাতে রাখে; ফলে, অপরচুনিটির যত আসে, উহা হারানোও সমান তালে চলে।

এই পর্বটি মোটামুটি ভালো হয়েছে।

১৫ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৩৭

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যা তা ঠিক- পুঁজিবাদের বৈশিষ্ঠই তো এইটা। ভাল মন্দ সব তন্ত্রের মধ্যেই বিদ্যমান
সমাজতন্ত্রের সবচেয়ে ভাল দিক ছিল সামাজিক নিরাপত্তা,দু-মুঠো অন্ন আর বাসস্থানের নিশ্চয়তা!

জেনে ভাল লাগল- অনেক ধন্যবাদ

৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:১৩

জুন বলেছেন: যেই আদর্শের ভিত্তিতে বলশেভিক বিপ্লব হয়েছিল, লেনিনের যেই উদ্দাত্ত আহবান আর নেতৃত্বে রুশ জনগণ সংঘটিত হয়েছিল স্তালিনের সময় তো সেই সাম্যবাদের চুড়ান্ত অবনতি ঘটেছিল। রাজনীতিবিদ, মুক্ত চিন্তা চেতনায় বিশ্বাসী রা তো ছিলই এমনকি বিখ্যাত শিল্পী সাহিত্যিক তার মাঝে উল্লেখ করা যেতে পারে সলঝেনিতসিন, পাস্তরনাক এরা তার রোষানলে পরেছিল। সুতরাং অক্টোবর বিপ্লবের সুফল যতাটা হওয়ার কথা ছিল তা পায়নি অযোগ্য নেতৃত্বের কারনে। অবশ্য এটা অনুধাবন করেছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের শিক্ষিত সমাজ। স্তেপের বোকা ইভান শুধু চুল্লী তাকের উপর শুয়েই দিন কাটিয়েছে নুন রুটি খেয়ে।

১৫ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৪৩

শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক বলেছেন
লেনিন বেঁচে থাকতেই স্তালিন ক্ষমতার অপব্যাবহার ও কুক্ষিগত করতে শুরু করে। সে কারনে লেলিনও বেশ মনঃক্ষুন্ন ছিলেন।
অনেকেই বলেন যে, লেনিনের মৃত্যুর জন্য স্তালিন দায়ী। শিল্পী সাহিত্যিক, সাংবাদিকদের কথা আর বলবেন না কি ভয়ঙ্কর অত্যাচারিত হয়েছেন তারা( যার মুক্তমনা ও সমালোচক ছিলেন বা দাসত্ব মেনে নেয়নি)!!!

আহা সেই বোকা ইভানের কথা কি আর বলব। মন খারাপ হয় তার কথা ভাবলে।

অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ফের আপু। আপনার মন্তব্য আমার জ্ঞানভান্ডারকে বেশ সমৃদ্ধ করছে। ভাল থাকুন

৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৫২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:

পোস্টে লাইক করার বাটনটি নেই কেন বুঝতে পারলাম না।

১৫ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৫৬

শেরজা তপন বলেছেন: কারনটা-তো আমিও বুঝতে পারলাম না !!!

যাক অবশেষে খুঁজে পেয়েছেন :)
ধন্যবাদ কষ্ট করে স্ক্রিন শট দেবার জন্য।

৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:২৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। বিশেষ করে বয়স্ক মানুষের কাছে আজকের বিষয়টি মেনে নেওয়া কঠিন। এই বয়সে যুক্তি গৌন আবেগই মুখ্য হয়ে দাঁড়ায়।

পোস্টে লাইক।আগে লাইক বাটনটি আসছিল না। সম্ভব হলে প্রথম কমেন্টটি ডিলিট করে দিয়েন।
শুভেচ্ছা প্রিয় ভাইকে।

১৫ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:০৬

শেরজা তপন বলেছেন: আগেরটা থাক একটা নমুনা হিসেবে- যে এমন মাঝে মধ্যে হয়!

ঠিক বলেছেন, যারা মধ্য বয়স্ক বা বয়স্ক ছি্ল তাদের জন্য বেশ কষ্টকর ছিল এমন পরিবর্তন মেনে নেয়ে। আর যারা বৃদ্ধ ও পেনশনভোগী তাদের জন্য ব্যাপারটা ভয়ঙ্কর ছিল!

অনেক ধন্যবাদ পদাতিক ভাই- বরাবরের মত সাথে থাকার জন্য- ভাল থাকুন নিরন্তর!

৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:০৬

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: সমাজতন্ত্র বিদায় নেয়ার মূল কারণ মনে হয় দুটো
০১) নাগরিকদের বাক স্বাধীনতা না থাকা । কোন কাজেই তাদের মতামতের মূল্য না থাকা। ফলে তৃণমূল পর্যায়ে পার্টির লোকেরা দুর্নীতি করলেও কেউ বলার ছিল না।
০২) সরকার প্রধান বদলানোর কোন ব্যবস্থা না থাকা এবং কোন মেয়াদ না থাকা। কোন ব্যক্তি সরকার প্রধান হয়ে গেলে সে আজীবন সরকার প্রধান। এই নিয়ম সরকার প্রধানকে ভয়াবহ ক্ষমতাশালী করে তোলে যা দেশের জন্য ক্ষতিকর। বরং নির্দিষ্ট সময় পরে নিয়মতান্ত্রিকভাবে সরকার প্রধান বদলানোর বিধান থাকলে একনায়ক জন্ম হত না।
সমাজতন্ত্র এবং খেলাফত -- মূলত এক দলীয় এবং একনায়কের শাসন। এক দলীয় ও এক নায়কের শাসন শেষ পর্যন্ত ভালো ফলাফল দেয় না। কোন না কোন সময় সরকার প্রধান জনগণের জন্য কাজ না করে নিজের সুবিধাজনক কাজগুলো করতে শুরু করে।
আমেরিকা রাষ্ট্র হিসেবে যেই রকমই হোক, ওদের সরকার প্রধান বদলানোর একটা স্থায়ী ও চমৎকার পদ্ধতি আছে। ফলে ওখানে কেউ জনগণের ঘাড়ের উপরে চেপে বসতে পারে না। কাউকে পছন্দ না হলে ৪ বছর পর ঝেড়ে ফেলা যায়।

১৫ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: আরে ভাই, কতদিন পরে ব্লগ বাড়িতে আপনার সাক্ষাত পেলেম!!!
আপনার মত পুরনো ও অভিজ্ঞ ব্লগারদের দেখা পেলে বড় ভাল লাগে।

আমার মনে হয় তৃনমুল পর্যায়ে সেখানে তেমন কোন দুর্নীতি হোত না বা দুর্নীতি করার সুযোগ ছিল না। যারা করত তারা সাধারনের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। দীর্ঘদিন একনায়কের শাসন থাকলেও একটা সময়ে এসে তাদের রাষ্টীয় নীতিতে তেমন কোন পরিবর্তন হোত না- সবকিছু খানিকটা একঘেয়ে মনে হলেও জীবন চলছিল সবার ঢিমেতালে কিন্তু আক্ষরিক অর্থে কোন অভাব ছিল না।
হ্যা বাক স্বাধীনতা একতা ব্যাপার ছিল- তবে পুতিনের সময়েও বাক স্বাধীনতা আছে বলে আমার মনে হয় নআ।

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। এভাবে হারিয়ে না গিয়ে ব্লগের সাথে থাকবেন আশা রাখছি।
ভাল থাকুন ভাই।

৯| ১৬ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ৭:৪৯

সাসুম বলেছেন: এই যে আজকের বয়স্ক দের কাছে ইউনাইটেড সোভিয়েত এর জন্য কস্ট লাগছে এরাই কিন্তু তরুন বয়সে বিদ্রোহ করেছিল বা মনে মনে হলেও খুশি হয়েছিল আলাদা হয়ে।
এখন দিন শেষে বুঝতে পারছে আসলে আম্রিকার ক্যাপিটালিজম এর চাপে আর বুদ্ধিতে আলাদা হয়ে লাভ হয় নাই বরং ক্ষতি বেশি।

স্পেশালি লাটভিয়া, লিথুনিয়া আর এস্তোনিয়া ছাড়া বাকি ১২ টা দেশ একেবারে যাচ্ছেতাই অবস্থায় আছে। ক্যাপিটালিজমে মিলিটারি আর পলিটিকাল এর সাথে মানুষের সম্পর্ক কম। ফলে, মানুষ বুঝতে পারেনা কি বিপদে পড়েছে, বা ইন্সট্যান্ট সমস্যা উপলব্দি করতে পারেনা। ফলে এটাকে অনেকে ড্রিম মনে করে। যে ভুল দুনিয়ার যেই দেশেই গত ৫০ বছরে গনতন্ত্র আনার জন্য ভাংগা গড়া চলতাছে সেসব দেশের লোকজন বুঝতাছে হাড়ে হাড়ে।

অন্যদিকে সোশ্যালিজম আর কমিউনিজম এ মনে করে খুব বিপদে আছে বাট রাশিয়া আর চীনে তারা তাদের মত গড়ে নিয়েছিল।

এই যে আজ হাহাকার গরিবীপনার এটা আসলেই থাকত না যদিনা কোল্ড ওয়ার শেষ করার জন্য সোভিয়েত না ভাংত। আম্রিকা আর তার মিত্র দের একান্ত চাল এবং এর ফলে এই গরিব দেশ গুলার কোন উপকার ই আসেনি। আম্রিকা জাস্ট কুটচাল চেলে ভেংগে দিয়ে হাত্তালি দিয়েছে। তবে রাশিয়া নিজেদের কে ধরে রেখেছে এখনো বড় আকারে, এটাই বড় কথা। এবং এই ককেশান অঞ্চলে তাদের বড় প্রভাবও আছে।

১৬ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ৮:২৯

শেরজা তপন বলেছেন: ভাঙ্গনে মুল রাশীয়ার তেমন কোন ক্ষতি হয়েছে বলে মনে হয় না- ওদের ক্ষমতার পরিসর কিছুটা কমেছে বৈ তেমন কিছু নয়। ওদের
ফের উঠে দাড়াতে একটু সময় লাগছে কিন্তু রাশিয়া বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি হিসেবে আবির্ভুত হবেই। অলরেডি এর সিগন্যাল পাচ্ছি।
পুতিন একনায়ক হলেও ভেঙ্গে যাওয়া রাশিয়ার জন্য তার নেতৃত্বের প্রয়োজন ছিল। বিরোধীদের দমন ও বাকস্বাধীনতা রোহিত করলেও সে এখনো বেশ জনপ্রিয়।
ভেঙ্গে যাওয়া বাকি দেশগুলোর জন্য কষ্ট হয়। মুসলিম দেশগুলো এখন তালেবানের মুঠোয় যাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র- এইটাই সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ব্যাপার হবে।

অনেক ধন্যবাদ ভাই- আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য। ভাল থাকুন

১০| ১৬ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ৮:২৭

বিজন রয় বলেছেন: কমিউনিস্টরা পৃথিবীতে কি এনেছে।
তাদের নীতি ভাল কিন্ত নেতা কেমন যেন।

১৬ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: এর উত্তর মনে হয় চাঁদগাজী ভাই ভাল দিতে পারবেন
তবে আমার মতে ওরা নিজেদের নিয়েই ব্যাস্ত ছিল- পৃথিবীকে কিছু দেবার আগেই- সবগুলোর একে একে পতন হয়েছে না হয় ওদের দ্যান ধারনা আমুল পরিবর্তন করেছে।
প্রতিটা নেতাই স্বৈরাচার ও নিঃশ্বংস ছিল।
কার্ল মার্ক্সের মুল নীতি থেকে অনেক দূরে সরে গেছে!

ধন্যবাদ আপনাকে প্রিয় বিজন রয়। ভাল থাকুন

১১| ১৬ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৫৭

জুন বলেছেন: আমার মনে হয় বাক স্বাধীনতা না থাকা, ব্যাক্তিগত সম্পদের অধিকার না থাকা, নিজ ধর্ম তো দূর কোন ধর্মই পালনের অধিকার তাদের ছিল না। রাস্ট্র ঘোষিত কঠোর অনুশাসন এই সমস্ত ছাড়াও আরও অন্যান্য কারন রয়েছে যা পুঞ্জীভূত হয়েছে কম্যুনিস্ট শাসন অপছন্দ করার জন্য। আপনি দেখেন উত্তর কোরিয়ায় কিম জং উন কি করছে? কারো কাছে তার জবাবদিহিতা নাই। ইচ্ছা হলে সে বিনা অপরাধেও মানুষকে মৃত্যুদন্ড দিচ্ছে।
ক্যাম্বোডিয়ার পলপট কি করলো! সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে সে দিকে দেশের এক তৃতীয়াংশ মানুষ কি নৃশংস ভাবেই না মেরে ফেল্লো যা আমি স্বচক্ষে দেখে এসেছি নমপেনের তোল স্লেং কারাগারে। এদের মাঝে ছোট ছোট বাচ্চারাও রেহাই পায় নাই। শ্রেনি বৈষম্য দুর করার জন্য যার হাতে একটা ঘড়ি ছিল তাকেও গ্রামে খেতের কাজ করতে পাঠিয়েছিল।
এইসব চরম অমানবিক নীতি আর কাজের জন্য পৃথিবীব্যাপী এক সময়ের জনপ্রিয় এই সমাজতন্ত্র মুখ থুবড়ে পরেছে। চীন আর রাশিয়াও আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছে অনেকটাই।
এইটা আমার মতামত শেরজা তপন, তবে বিজন রায়ের প্রশ্নের উত্তর আরও তথ্য সমৃদ্ধ ভাবে দিতে পারবে কেউ কেউ।

১৬ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: এই সকল কারনেই সমাজতন্ত্র পৃথিবী ত্থেকে চিরবিদায় নিয়েছে- ফিরে আসার আর কোন সম্ভাবনাই নেই

কম্বোডিয়ার বিষয়টা জানতাম না- কি ভয়ঙ্কর!!!
তবে সুত্রমতে স্তালিন নাকি তিন কোটির উপরে মানুষ হত্যা করেছিলেন...

অনেক ধন্যবাদ ফের

১২| ১৬ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:০৩

মেহবুবা বলেছেন: ১১ নম্বরের মন্তব্য এ সহমত।
উদয়ন পত্রিকা আসতো তখন, পরিষ্কার পাতা ছিল। অনেক কিছু জানতাম, ছোট ছিলাম বলে অনেক কিছু বাদ দিতাম কঠিন মনে হলে।
আমাদের নিচতলায় থাকতেন কমরেড মনি সিং দাদু, ছেলে টুটুলের বিয়ের সময় বা তার পর পরঃই উনি রাশিয়া ঘুরে এলেন; আমাদের আঙুর পাঠালেন, হয়তো রাশিয়া থেকে বা আসবার পথে সংগ্রহ করেছেন । আমি খুশীমনে খাচ্ছি আর বলছি দাদুর ছেলে রাজশাহীতে বিয়ে হয়েছে, সেখান থেকে আঙুর এনেছেন উনি। রাশিয়া আর রাজশাহী গুলিয়ে ফেলেছিলাম।

১৬ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৪৪

শেরজা তপন বলেছেন: এরকম আমার বেলাতেও হয়- রাশিয়াতে পরাশুনা করেছি শুনে অনেকে জিজ্ঞেস করে রাজশাহী ভার্সিটিতেই নাকি।

কমরেড মনি সিংহ খুব উচুমাপের মানুষ ছিলেন। আপনি ভাল মানুষের সান্নিদ্ধ্যে এসেছিলেন
অনেক ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য- ভাল থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।

১৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:১১

শায়মা বলেছেন: হায় হায় ভাইয়া আমার নানীর দাঁতও সোনা দিয়ে বাঁধানো ছিলো।

নানী উজবেকিস্থানের ছিলো না । :P

১৬ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:২৯

শেরজা তপন বলেছেন: পুরো সোভিয়েত জুড়েই সোনার দাত তখন জমজমাট ফ্যাশন- কেউ কেউ ভাল দাঁত উঠিয়ে সোনার দাঁত লাগাচ্ছিল।
কারো কারো সোনা আর প্লাটিনাম পাশাপাশি :)
এই ফ্যাশানটা আমরাও শুরু করতে পারি আপু, বিশেষ করে মেয়েরা- গাল ভর্তি সোনা-দানা নিয়ে ঘুরবে :) :)

মন্তব্যে মন ভরল না। আপনি কিপ্টে হয়ে গেছেন :(
আপনার চেহারায় কিঞ্চিত উজবেক ছাপ আছে :)

১৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৩৮

শায়মা বলেছেন: হা হা আমার চেহারা উজবেকিস্থানের উজবুকের মত হতেই পারেনা.......

দুনিয়ার সবাই বলেছে চেহারার মধ্যে মহা শয়তানির ছাপ।

বিশ্বাস করো আমার মাও বলেছেন, তুই যে এত হিংসুটি শয়তান বাপরে!!! তোর সাথে কে লাগবে! :P

এখন তুমিই বলো শয়তানরা কি উজবুক হয় বলো? :(

না না গালভরতি সোনা দানার দরকার নেই। তুমি তোমার দাঁত উঠাও আর সোনা হীরার দাঁত লাগাও! :)

তারপর ফটো তুলে দাও। :)

১৬ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৪৩

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যা তারপরে ছিনতাই কারি ধরে ধরে দাঁত ভাঙুক!
উজবেকদের বেহারায় কি মায়া মায়া ভাব-বিশ্বাস করেন আপনার চোখে উজবেকের ছাপ আছে
না হলে সেটা মেকাপের দোষে বা গুনে! :)

আপনার মা ভুল বলেছেন- একটু ফাজলামো করতে পারেন কিন্তু মোটেই হিংসুটে নন আপনি।

তবে উজবুক গালিটা শয়তানের থেকেও খারাপ- জেনে রাখলাম :)

১৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৫৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সন্তানদের সম্পর্কে মায়েদের মতামত কখনও ভুল হয় না। মা যদি বলে আমার মেয়ে ভালো তো ভালো। যদি বলে হিংসুক বুঝতে হবে সত্যিই হিংসুক।

আমার একটা পর্যবেক্ষণ হোল কত সোনার দাঁত আমরা কবর দিয়ে দিচ্ছি। এটা পৃথিবীর স্বর্ণ ভাণ্ডারের একটা অপচয়। সব স্বর্ণের দাঁত কবর খুঁড়ে উদ্ধার করা হউক। আমি এখানে নির্দিষ্ট কাউকে উদ্দেশ্য করে কিন্তু কিছু বলি নাই।

১৬ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: লে বলেছে আপনাকে সোনার দাঁত সহ কবর দেয়? আমার ধারনা কবর দেবার আগে সোনার দাঁত সব খুলে রাখে
আর রাশিয়ান সোনা- পুরা ভ্যাজাল!!
আপনার দাবিটা সমাজতান্ত্রিক দেশের জন্য প্রযোজ্য :)

১৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:২১

মেহবুবা বলেছেন: কমরেড মনি সিং কে উঁচু মানের মানুষ বলাতে আপ্লুত হলাম।
এখন এমন মানুষ কি পাওয়া যাবে ?

ওনার কথা অনেক আগে লিখেছিলাম
https://www.somewhereinblog.net/blog/MAHBOOBA01/28880787

১৭ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: লিঙ্কের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপা।
আমি পড়ে এসে মন্তব্য করব নিশ্চিত। ভাল থাকুন

১৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:২১

মেহবুবা বলেছেন: Click This Link

১৮| ১৭ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,




সমাজতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় খাওয়া পড়ার নিশ্চয়তা থাকে, আর কিছু থাকুক আর না থাকুক। আর "কিছু না থাকাটা" হয়
সমাজতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে থেকে উপর সারির ক্ষমতালোভীদের ফায়দা লোটার কারনে। কোনও "তন্ত্র"ই খারাপ নয়, খারাপ হলো তন্ত্র বজায় রাখার মানুষগুলো। যেটা সব যুগে , সব দেশে, সব কালেই ছিলো এবং আছে এখনও।

সহব্লগার জুন এর মন্তব্যগুলো লেখার চমৎকার সংযোজন।

১৭ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:০১

শেরজা তপন বলেছেন: এই পোষ্টে মন্তব্যের জন্য ফের সবিশেষ আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা আহমেদ জী এস- ভাই।

জুন আপুর মন্তব্য সবসসময় অন্যরকম কিছু। বিশেষ করে ইতিহাস আর ভ্রমন বিষয়ক লেখা হলেতো কথাই নেই।
উপরের সারির সেই লোকগুলো সব তন্ত্রের-ই বারোটা বাজিয়েছে সবসময়! এদের থাবা থেকে নিস্তার নেই

আপনি ভাল থাকুন সুন্দর থেকুন সুস্থ্য থাকুন

১৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:০৭

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: পশ্চিমা বিশ্ব গণতান্ত্রিক লেবাসে বরাবরই পুঁজিবাদের নষ্ট খেলায় মত্ত থেকে সোভিয়েতএর বিরুদ্ধে অফেন্সে খেলেছেন। আর সোভিয়েত ইউনিয়ন ডিফেন্সে খেলতে খেলতে নাস্তানাবুদ হয়েছেন অনেক সময়। আর পুঁজিবাদের স্তাবক পশ্চিমা মিডিয়ার ব্যপক দৌরাত্নে সোভিয়েতের ছিদ্রান্বষণ চালিয়ে গোটা বিশ্বকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করতো। দুষ্টুচক্রের নোংরা রাজনীতির কাছে কোণঠাসা হয়েই পর্যুদস্ত হতে হয়েছে সোভিয়েত ইউনিয়নকে।
"ফেলে আসা সোনালী অতীতের স্মৃতি এখন বেশিরভাগ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার সাথে যুক্ত, . . . . . . . . . . " খুব ভাল লেগেছে। শুভেচ্ছা আপনাকে।
সোভিয়েত সব নেতা যে বিশুদ্ধ ছিল, তা বলছি না। কেউ কেউ তো ছিলেন, যারা গণমানুষের মুক্তির পথ খুঁজতেন।
অদৃশ্যত পুজিবাদিরা এখনো ক্রীতদাস পোষে। অবুঝ ক্রীতদাস দুটো কথা বলার আনন্দে কেবলি গলা ফাটায়।

১৮ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:০১

শেরজা তপন বলেছেন: পশ্চিমা বিশ্ব যেমন মিথ্যে তথ্য দিয়ে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করেছে তেমনি সোভিয়েত জান্তারা সারা বিশ্ববাসীর সব খবর সেন্সর করে
তাদের দেশের সবাইকে ভীষণ অন্ধকারে রেখেছে। সারা বিশ্বে কি হচ্ছে কি ঘটছে কিছুই জানতনা ওরা। ভৌগলিক রাজনীতি
সন্মন্ধে ওয়াকিবহল থাকলে হয়তো তারা পুজিবাদী সমাজ ব্যাবস্থায় কখনোই যেতে চাইত না।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা- দারুন সুন্দর দীর্ঘ মন্তব্যের জন্য। অপেক্ষায় রইলাম পরের পর্বে মন্তব্যের।
ভাল থাকুন নিরন্তর!

২০| ১৮ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:৩৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: আপনার লেখাটা বেশ আকর্ষণীয় একটা দেশে থাকার সাথে নিজের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ লেখা। লেখাটা আগেই পড়ে ছিলাম। দুই পর্ব একসাথে পড়লাম। তবে মন্তব্য করার সুযোগ হচ্ছিল না।
রাশিয়া দেশটি সম্পর্কে বেশ একটা আকর্ষণ ছোটবেলায় কেন যেন ছিল। সমাজতন্ত্র বিষয়টা বেশ লাগত। সব মানুষ সমান ভাবে জীবন যাপন করছে সেটা দারুণ একটা বিষয় ছিল।
কিন্তু সব কিছুই কেমন শেষ হয়ে গেল।
স্বর্গরাজ্যের কথাটা আরো অনেক মানুষের কাছে শুনেছি। যারা সেখানে জীবন যাপন করে এসেছেন। ছুটির কটেজ হাউস আর শহরের বাড়ি। সাথে দীর্ঘ মেয়াদি ছুটি কাটানোর সুযোগ। পর্যাপ্ত বেতন ভাতা। অনেক না হলেও মানুষের শান্তি ছিল। আনন্দে জীবন কাটানোর একটা ব্যাপার ছিল। যা আপনিও লেখায় উল্লেখ করেছেন। পুঁজিবাদী সমাজে প্রতিদিন মানুষ চিন্তায় থাকে তারপরের দিন কি হবে। চাকরিটা থাকবে তো। এই ভয়ে অস্থিরতায় জীবন কাটে। ঘর ভাঙ্গে দ্রুত নিরাপত্তার অভাবে। মানসিক অশান্তির অনেক রকম রোগ বাড়ে সমাজে।

কিন্তু শক্তির লড়াই এক শক্তি ধরে রাখার জন্যই অনেক মানুষের জীবন নিয়ে ছিনি মিনি খেলে। তাদের কিছু আসে যায় না।
মিখাইল গর্বাচেভ লোকটাকে দেখলেই কেন যেন পছন্দ করতাম না। মাথায় একটা ম্যাপের ছবি আঁকা । সেই সব সুযোগ করে দিল বিভক্ত হওয়ার ভাঙ্গার। আর দেশের মানুষ সব সময়ই দুই ভাগে বিভক্ত আসলে। অনেকেই হয় তো পছন্দ করত না সমান সমান ভাগ। আর জারের আমলে ছিল সব কিছু কুক্ষিগত করার অভ্যাস সেই অভ্যাস অনেকের ভিতর ছিল। কিছু মানুষ নিজেরটুকুই পেতে পছন্দ করে।
নদীর এপাড় কহে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস ওপাড়ে তে সর্বসুখ আমার বিশ্বাস! সে বিশ্বাস টা সার্থক করতে গিয়ে সব রদবদল হয়ে গেলো।
খারাপ লাগে এক একটা পরিবর্তনের মাঝে কত মানুষের মৃত্যু হলো বিপ্লব করতে গিয়ে।
আপনার লেখার শুরুতে যে অভিযোগটি করেছেন সেটার প্রতিফলন কিছুদিন পর কিউবায় দেখতে পেলে অবাক হওয়ার কিছু নাই। চেগুয়েভারার কমিউনিজম ধরে রাখার বিষয়টাও অনেকটা হালাকা হয়ে গেছে ফ্রিডেল কাস্ট্রোর পরে রাউলের শাসনের সময়ে। আর আমেরিকা তো চোখ দিয়ে রেখেছে কেমন করে বদলে ফেলা যায় আবার তাদের।
ইউটিউবে অনেক ভিডিও দেখবেন আমেরিকানদের। কিছু ডকুমেন্টারি আছে। কিউবা বাসীর জীবন যাপন নিয়ে আমেরিকানদের হাহুতাস সেখানে দেখতে পাবেন।

রাশার রাসপুটিন লোকটির জীবন এক রহস্যময় ভীষণ রকম আকর্ষণ করে আমাকে। লোকের মুখের গল্প থেকে আপনার জানা থাকলে লিখবেন তাকে নিয়ে।


২০ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৪৫

শেরজা তপন বলেছেন: প্রথমেই আপনার দারুন সুদীর্ঘ এক মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
প্রথমেই রাস্পুতিন' কে নিয়ে বলি( রাস ছাড়া শুধু 'পুতিন' এখন রাশিয়ার ক্ষমতায়)। আমার বেশ কয়েক বছর ধরে রাস্পুতিনকে নিয়ে লেখার ইচ্ছে চ্ছিল। সেজন্য অনেকগুলো ডকুমেন্টারি দেখেছি- জার আলেক্সান্দার ও জারিনাকে নিয়ে কিছু তথ্যচিত্রো ও ফিল্ম দেখেছি। অনলাইনে বহু ইতিহাসভিত্তিক লেখা পড়েছি। রাশিয়াতেও তাকে নিয়ে অনেক গল্প শুনেছি
তাঁর বিশাল কলেবরের রহস্যময় জীবন'কে ছোট একটা ফ্রেমে বাঁধা বেশ কষ্টের। তাঁর শৈশব, যৌবন, মৃত্য, রাজনীতি, প্রভাব,মাতলামী, ধর্মীয় প্রভাব, জারদের সাথে সম্পর্ক, রাশিয়ার রাজনৈতিক ইতিহাসের পট পরিবর্তনে তাঁর ভুমিকা, , মানুষকে সমোহিত করার ক্ষমতা সহ, তাকে নিয়ে সিনেমা কার্টুন গান সহ অনেক অনেক বিষয় চলে আসে। দু'চার পাচ পর্বে এত কিছু নিয়ে লেখা অসম্ভব! তারপরেও আমি লিখব আপনাত্র মন্তব্য পড়ে ফের উতসাহিত হলাম। আর কেউ না হোক আপনিতো পড়বেন :)
রাসপুতিন'কে নিয়ে কিনতি বাংলা ভাষায় সবার প্রথমে মুজতবা আলী লিখেছেন- পড়েছেন আপনি?

আমার মনে হয় কম্যুনিজমের খাতিরে শুদ্ধি অভিযানে কিউবাতেই শাসক শ্রেণির হাতে কম হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছে।
~খারাপ লাগে এক একটা পরিবর্তনের মাঝে কত মানুষের মৃত্যু হলো বিপ্লব করতে গিয়ে।~ ঠিক একদম ঠিক! অযথা আজাইর‍্যা- শেষ পর্যন্ত সেই তন্ত্র টিকলনা, শুধু সুঢু কিছু মানুষ অযথাই প্রান হারাল, নিজেদের মানুষের হাতে।
অনেক সুন্দর গুছিয়ে মন্তব্য করেন আপনি- আপনার প্রথম দুই প্যারার মন্তব্য আমারও মনের কথা।
ভাল থাকুন সুন্দর থাকুন।

২১| ২৭ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৫৪

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: এ পর্বে শিক্ষকতা পেশার এক লোকের বক্তব্য পড়লাম। তাঁর বক্তব্যের সাথে বর্তমান সময়েরও মিল আছে। পুঁজিবাদের বড় সমস্যা হলো অস্তিত্বের সংকট। টিকে থাকার লড়াই চলতেই থাকে। কখনো শেষ হয় না।

২৭ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৭

শেরজা তপন বলেছেন: আমারও তেমনটা মত- এই কথাগুলো আসলে সব পুঁজিবাদী সমাজেই ভীষনভাবে মানানসই

আপনার মন্তব্যের সাথে সমত পোষন করছি।
নতুন লেখা পাচ্ছিনা অনেকদিন।
ভাল থাকুন নিরন্তর-ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.