নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেটা এক স্বর্গ ছিল~ যা চিরতরে হারিয়ে গেছে # শেষ পর্ব

১৮ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৫৩


কটা সময় ছিল যখন সোভিয়েত প্রতিটা নাগরিকই একটি সফল সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ার নিমিত্তে সবরকম উন্নয়ন মুলক কর্মকান্ডে যোগ দিয়েছিল সেখানে কিছুটা ছিল নৈতিক আর কিছু ছিল আইনগত বাধ্যবাধকতা। তারা বেড়ে উঠেছিল সোভিয়েত সমাজের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে যারা মুলত সৈনিক বা কর্মী কিংবা কোন অভিযাত্রী। যাদের ছিল অতি সাধারন আবাস,চাকচিক্যহীন পোষাকাদি .অপ্রতুল বিনোদনের ব্যাবস্থা মোটামুটি সাচ্ছন্দে বেঁচে থাকার জন্য পর্যাপ্ত বা অপর্যাপ্ত আহার। যাদের পড়াশোনার ভার নিয়েছিল সেই সমাজতান্ত্রিক সরকার তারপরে চাকরির নিশ্চয়তা -জীবনের নিরাপত্তার সাথে শেষ কিংবা অবসর জীবনে তাদের বেঁচে থাকার জন্য রাষ্ট্রের সব রকম সুবিধাদি।
এখনো মধ্য এশিয়ার বহু মানুষ থেকে শুরু করে সোভিয়েত যুগের সেইসব নাগরিকেরা সপ্ন দেখে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া সেই সেই রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক ব্যাবস্থা ফিরে পাবার।এটা অনেকাংশেই ভাল বর্তমান এই ভোগবাদী রাজনৈতিক সমাজব্যাবস্থা থেকে।
সেইসব দিনের কথা ভেবে বয়স্ক মানুষের চোখের কোল ভিজে ওঠে। তাদের ভীষন গর্বের একটা সময় ছিল- ছিল অহংকার করার মত একটা দেশে। বিশ্বের মানচিত্রে যার ছিল সবল উপস্থিতি-শৌর্যে শক্তিতে আর জ্ঞান বিজ্ঞানে চরম উৎকর্ষতার স্বাক্ষর রেখেছিল তারা। তারা ছিল বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি – অন্যান্য শক্তিধর দেশেরা সম্ভ্রমের সাথে উচ্চারন করত সোভিয়েত ইউনিয়নের নাম। আর আজ ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়া বিশাল সেই দেশের অবস্থান কোথায়? শুধু চাকচিক্য ভোগবিলাস আর তথাকতিথ বাকস্বাধীনতাই যে সব নয় তাতো এখন আমরা বেশ ভালভাবেই উপলব্ধি করছি।
------------------------------------------------
কাজাখস্তান থেকে আলমাজ
আলমাজ কাজাখস্তানের দক্ষিণে একটি ছোট শহর থেকে (ফেব্রুয়ারি ২০১২ সালে প্যারিসে দেখা হয়েছিল)। তার বয়স ৫২ বছর,একজন সাবেক প্রকৌশলী এবং এখন ফ্রান্সে থাকেন। তিনি পোল্যান্ডে তার সামরিক পেশা সম্পন্ন করেন। যখন ইউএসএসআর ভেঙে পড়ে,তিনি যে কারখানায় কাজ করতেন তা কাজাখ সরকারের নীতির অংশ হিসাবে বেসরকারিকরণ করা হয়।
তবে সৌভাগ্য ছিল যে তিনি চাকুরি হারাননি। কিন্তু দ্রব্যমুল্যের ভয়াবহ উর্ধ্বগতি ও টাকার অবমুল্যায়নের জন্য তার বেতন পরিবারের
ভরনপোষনের জন্য যথেষ্ট ছিল না;তার স্ত্রী এবং দুই সন্তান নিয়ে বেশ কষ্টেই দিন কাটিয়েছে।। কয়েক বছর পরে,পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায় এবং তিনি ফের রাশিয়ায় যান এবং সেখনে তিনি চার বছর বিল্ডিং নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। এত খাটুনির কাজ করে তিনি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন।
কিন্তু বাড়িতে ফিরে এসে তিনি এক ভয়াবহ দুরবস্থার মুখোমুখি হন। দিনের পর দিন চাকুরির জন্য হন্যে হয়ে ঘুরতে থাকেন। এক সময় জমানো অর্থ শেষ হয়ে যায়- মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন তখন। তাঁর সেই দুর্দিনে পরিবার তাদের একমাত্র সম্বল অ্যাপার্টমেন্টখানা বিক্রি করে তাকে ছেড়ে চলে যায়।
এরপর তিনি বিদেশে,বিশেষ করে ইউরোপে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি প্রথমে কিছুদিন চেক প্রজাতন্ত্রে ছিলেন।
যেখান থেকে তিনি অবৈধভাবে ইতালি এবং অবশেষে ফ্রান্সে আসেন,যেখানে এখনো তিনি অবৈধ অভিবাসী অবস্থায় আছেন। তার প্রজন্মের অনেকের মতো,তিনি সোভিয়েত সময় ভীষণ কষ্টের সাথে স্মরণ করেন।
"সেনাবাহিনীতে,আমরা সবাই ভাই হিসেবে একত্রিত হয়েছিলাম; কমিউনিজম আমাদের জাতিসত্তা ছাড়াও আমাদের একত্রিত করেছিল। ইউএসএসআর থেকে সমস্ত জাতীয়তা ছিল: রাশিয়ান,ককেশীয়,মধ্য এশীয়,বাল্টিক উত্তর কোরিয়ান, পোলিশ ইত্যাদি। আমরা সবাই সোভিয়েত (রাশিয়ান ভাষায়) এটা সত্যিই একটি আন্তর্জাতিক বায়ুমণ্ডল ছিল অনেক দূরে, আপনি সহকর্মী,বিভিন্ন জাতির মানুষ (национальность - রাশিয়ান ভাষায়) থাকতে পারেন, সবাই আমাদের ঐক্যের ভাষায় রাশিয়ান ভাষায় কথা বলছেন।
আমরা বিশ্বের শীর্ষ বৈজ্ঞানিক শক্তি ছিলাম,আমরা ছিলাম প্রথম মহাকাশ রকেটের আবিষ্কারক,বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে গর্বিত ছিলাম।
মাসিক ভাতাদি, আর কাজের পরিবেশ বা সময় ঘন্টা কর্মক্ষেত্রে আমাদের কোন পার্থক্য ছিল না-যে প্রজাতন্ত্রগুলিতে আপনি কাজ করেন না কেন,সাইবেরিয়া কিংবা কাজাকে। কাছাকাছি বা দূরে।
কল্পনা করুন,যে সময় আমি একটি কারখানায় ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতাম,একটি ছোট শহর কাজাখস্তানে, কোরিয়ান,পোলস,ইউক্রেনিয়ান,রাশিয়ান ইত্যাদি ছিল। আমার মনে আছে আমাদের কারখানায় একটি ফুটবল দল ছিল যা আমাদের শহরে সেরা।এরা আঞ্চলিক প্রতিযোগিতার বেশ কয়েকবার বিজয়ী হয়েছিল।
সংক্ষেপে,জীবন ভাল এবং সহজ ছিল: আমাদের শিক্ষা ছিল,একটি চাকরি ছিল,একটি পরিবার। আমরা প্রতি মাসের শেষে ঠিক সময়ে বেতনটা বুঝে পেতাম। যা ইউএসএসআর পতনের পরে আর হয় নি;বেসরকারিকরণ,বাজার অর্থনীতি,ব্যবসা: সবকিছুই বাস্তবিক একটি জগাখিচুড়ি হয়ে গেছে।
অর্থের ব্যাপারে,যদি আজ কাজাখস্তানে আপনার চাকুরি থাকে,টাকা থাকে গাড়ি থাকে তবে আপনার বন্ধু থাকবে- পরিবার থাকবে। আর যদি আপনার চাকরি না থাকে, তবে আপনি আমার মতই আমার অবস্থানে থাকবেন- আপনার পরিচয় হবে,ইউরোপে হারিয়ে যাওয়া একজন অভিবাসী মাত্র।
জ,যখন আপনি কাজাখস্তানের কথা জানতে চান,সবাই তখন শুধু বলবে আলমাতি( Алматы), formerly known as Alma-Ata, is the largest city in Kazakhstan,) ও আস্তানায়( It was known between 1998 and 2019 as Astana (Kazakh pronunciation: , Cyrillic: Астана) and before that as Akmola), গ্যাস, তেল এবং ইউরেনিয়াম খনি- একটা দেশের উন্নয়নের জন্য আর কি চাই? মুলত বাস্তবতা হচ্ছে দারিদ্র্যতা সামাজিক বৈষম্য,দুর্নীতি! বহির্বিশ্বের কাছে হয় লুকানো হয়- না হয় উপেক্ষিত থাকে! প্রকৃতপক্ষে এ দেশের ক্ষুদ্র একটি অংশ সমৃদ্ধ ও ধনিক শ্রেণী যাদের আপনি শুধু শহরেই খুঁজে পাবেন। অপরদিকে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগন যারা মুলত গ্রামে বাস করে তারা কঠিনভাবে জীবনযাপন করে। রাজ্য দেশের উন্নয়নের জন্য বাজার অর্থনীতিকে বেছে নিয়েছে এবং দিন দিন সমাজে ধনী -দরিদ্রের মধ্যে বড় পার্থক্য তৈরি করেছে। পুঁজিবাদের নামে যা পশ্চিমে প্রচলিত- তাদের পদাঙ্ক অনুসরন করে আমাদের সরকার সব কিছুকেই বেসরকারীকরণ করেছে।'
-------------------------------------------------------
ই তিনটি গল্প তিনটি মধ্য এশীয় প্রজাতন্ত্র, উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান এবং কাজাখস্তান থেকে এসেছে। এবং পরিস্থিতি অন্য দুটি দেশে একই রকম মনে হয়;তুর্কমেনিস্তান এবং তাজিকিস্তান,প্রথমত সবচেয়ে দুর্নীতিপরায়ন দেশ (রাজনৈতিকভাবে) এবং দ্বিতীয়ত এখনও এই অঞ্চলের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ (অর্থনৈতিকভাবে) রয়ে গেছে।
তুর্কমেন এবং তাজিক অভিবাসীদের আলোচনার দলগুলি Одноклассники সাইটে, আলবার্ট পোলকভ (জন্ম সেপ্টেম্বর ২৫,১৯৭৫, বর্তমানে লন্ডনে বসবাসরত) দ্বারা ২০০৬ সালে মার্চ মাসে রাশিয়ায় তৈরি বিশ্বের বৃহত্তম সামাজিক নেটওয়ার্ক সাইটগুলির একটি। ইউএসএসআর (২০০-২০১১ সালে পরামর্শ করা হয়েছিল) এর জন্য তাদের নস্টালজিয়ার স্পষ্ট সাক্ষী।
রাশিয়ান ভাষায় অর্থ 'স্কুলের বন্ধু', dnoklassnikoi.ru এর মূল বিষয়বস্তুর সমতুল্য হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের "সহপাঠী" বা ফ্রান্সের 'অতীতের বন্ধু'। এর উদ্দেশ্য: ব্যবহারকারীদের স্কুল বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পুরনো বন্ধু খুঁজে পেতে সাহায্য করা। ওয়েবসাইটটিতে আজ বিশ্বজুড়ে ৪৫ মিলিয়নেরও বেশি সদস্য সংযুক্ত হয়েছে।
যদি, প্রাথমিকভাবে, সাইটটি কেবলমাত্র সহপাঠী বা বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল-কিন্তু আজ এটি এমন অনেক লোককে আকর্ষণ করে যারা মূলত হারিয়ে যাওয়া সোভিয়েতের মানুষগুলোর সাথে দেখা করতে বা নিজেকে খুঁজে ফিরে পেতে চায়। এইভাবে-উদাহরণস্বরূপ,প্রাক্তন সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র থেকে প্রবাসীরা তাদের নিজস্ব আলোচনার গোষ্ঠী তৈরি করেছেন যাতে তারা তাদের আদি দেশ বা স্বদেশীদের সাথে সম্পর্ক বজায় থাকে -যারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে চলে গেছে।
তুর্কমেনিস্তান এবং তাজিকিস্তান থেকে আসা অভিবাসীদের ব্যাপারে, তাদের আলোচনা গ্রুপ রয়েছে যার উপর আমরা সম্ভবত এমন ফোরাম খুঁজে পেতে পারি যেখানে তারা তাদের দেশ এবং সোভিয়েত যুগের জন্য তাদের নস্টালজিয়া প্রকাশ করে- যেখানে তাদের অধিকাংশই বড় হয়েছে। তারা অভিবাসনের প্রেক্ষাপটে তাদের নিজস্ব অনুভূতি বয়ান করে- যার সাথে তারা ফেলে আসা সেই সোভিয়েত দিনের ছবিগুলোও শেয়ার করে। সদস্যরা তাদের ব্যক্তিগত 'বিষণ্নতা ও কষ্টের' অভিজ্ঞতাগুলি ভাগ করে নেয় এবং অতীতের কল্পনায় ফিরে এসে এই অসন্তোষজনক পরিস্থিতি বিবেচনা করে যেখানে আজকের চেয়ে সবকিছুই ভাল মনে হয়েছিল: "ইউএসএসআর এর অধীনে শিক্ষা আরও ভাল ছিল"-"যখন আমি দেশাত্মবোধক সোভিয়েত সংগীত শুনি তখন আমি ভীষন আপ্লুত ও বিষন্নবোধ করি’ তারা অতীতের রেফারেন্স দিয়ে বর্তমানকে মূল্যায়ন করে, যা তারা কখনোই খুঁজে পায় না।
সেটা এক –স্বর্গ ছিল যা চিরতরে হারিয়ে গেছে" ...

প্রথম পর্বের জন্যঃ Click This Link



REFERENCES
সরাসরি অনুবাদ নয় রুপান্তরিত- "unforgettable Soviet period" (незабываемые советские времена - in Russian).
Badalov, Ulugbek. “Search for Identity and National Imaginary among the Kyrgyz expatriates in France”, PhD Thesis at EHESS, Paris, 2011.
Dullin, Sabine. Histoire de l’URSS, La Découverte, Paris, 2003.
Fawn, Rick. Ideology and National Identity in post-communist foreign policies, Routledge, 2003.
Laruelle, Marlène & Peyrouse, Sébastien. L’Asie Centrale à l’aune de la mondialisation, Éditions Armand Colin, Paris, 2010.
Marat, Erica. Labor Migration in Central Asia: Implications of the Global Economic Crises, CACI & SRSP Silk Road PaperMartin. Terry. “The Origins of Soviet Ethnic Cleansing”, The Journal of Modern History, vol. 70, n° 4, 1998, pp. 813-861.
Sharifov, Mehmonsho. “The self between political chaos and the new political “order” in Tajikistan”,
Suleymanov, Muzaffar. “The Role of History in the Creation of National Identities in Central Asia: Uzbekistan and Kyrgyzstan Case Szporluk, Roman. National identity and ethnicity in Russia and the new states of Eurasia, M E Sharpe Inc, 1994.
Zakharova, Larissa. Le gouvernement des langues dans l’empire russe, en URSS et dans les États post-soviétiques, CNRS Éditions, 2010.
ছবিঃ গুগল থেকে


মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



সোভিয়েতে যোগদানের আগে এইসব এলাকার মানুষ ভয়ানক অত্যাচারের মাঝে বাস করতো; এখন আবার একই অবস্হায় ফিরে গেছে।

১৮ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৪০

শেরজা তপন বলেছেন: ওদের আগের অবস্থা আমার জানা নেই বিশেষ। এখন ইইউ ভুক্ত দেশগুলো বাদে কারোই অবস্থা ভাল নেই। কাজাক,তাজাক,
আজেরবাইজানীদের অবস্থা বেশী খারাপ।
ধন্যবাদ আপনাকে ভুল ধরিয়ে দিয়ে বরাবরের মত সমালোচনা করে সবগুলো পর্বে সাথে থাকার জন্য।

২| ১৮ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৫৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সেভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে গেছে। এখন ইউনিপোলার বিশ্ব। ইইউ ভুক্ত দেশগুলোতো ভালো আছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যরা অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী । দেশ গুলো স্বাধীন হয়েছে বেশিদিন আগে নয়। টেকসই নীতিমালা চাই। সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন হলেই কেবল স্বর্গরাজ্য গড়ে তোলা সম্ভব । কাজাখস্থান থেকে আলমাজ নিয়ে আপনার তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট জ্ঞানপিপাসুদের জ্ঞানের ভান্ডার সমৃদ্ধ করবে বলেই আমার বিশ্বাস।

১৮ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:০৮

শেরজা তপন বলেছেন: ইইউ'র গ্রীসের মত কিছু বিষফোঁড়া আছে। এদের নিয়ে ওরা ভাল নেই- জার্মান খুব ভাল রোল প্লে করছে!
আপনি বলেছেন;
'। টেকসই নীতিমালা চাই। সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন হলেই কেবল স্বর্গরাজ্য গড়ে তোলা সম্ভব । '
~ ঠিক ইইউ তে যোগ দিতে পারায় ওদের বিশেষ আর কোন সমস্যায় পড়ার কথা নয়- বেতাল হলে মুরুব্বিরা পথ দেখাবে।

কিন্তু সমস্যা হচ্ছে মধ্য এশিয়ার দেশগুলো নিয়ে- শেষমেষ তালেবান ওদের কব্জায় না নিয়ে নেয়। কাজাকতো এই ভয়ে ঘানিকে রাখল না।

অনেক ধন্যবাদ ভাই-বরাবরের মত সাথে থাকার জন্য। আপনার সুসাথ্য কামনা করছি।

৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


তুর্কম্যান, কাজাক, তাজিক, আজেরবাইজানীদের অবস্থা বেশী খারাপ; কারণ, ওসব এলাকার লোকজন বেশ অসৎ, কর্মবিমুখ ও বেশ অদক্ষ; সোভিয়েতে যোগদান করে তারা উপকৃত হয়েছিলো; এসব জাতি নিজেরা নিজেদের ভালো রাখার মতো বুদ্ধিমান নন, রাশিয়ানরা তাদেরকে ভালো জীবনের সন্ধান দিয়েছিলো।

১৮ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:১২

শেরজা তপন বলেছেন: সহমত- তাছাড়া ওরা কিছুটা আবেগী আর গোঁয়াড়-বাদবাকি মুসলমানদের মতই।
গাব গাব করে ধর্মের কথা বলে কিন্তু কিছুই জানে প্রায়। আজেরবাইজানী্রা একটু ধুর্ত আর ধান্দাবাজ- বাকিগুলো যা দেখেছি বোকাসোকাই মনে হয়েছে।
আমিতো তালেবানদের নিয়ে ভয় পাচ্ছি- এবার ওদিকে হাত না বাড়ায় :(

৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাই,কিছু পেলে কিছু হারাতে হয় বা দিতে হয় ,এ সাধারন নিয়ম বা যে কোন কিছুর বিনিময় মূল্য আছে । এ দুনিয়ায় কোন কিছুই মূল্য ছাড়া লাভ হয়না।আর যা কিছু এমনি এমনি পাওয়া যায়,যখন খাওয়া-পরার কোন চিন্তা-ভাবনা না থাকে তখন মানুষের অনেকটা এরকম ," মধ্যদুপুরে মনের মাঝে ঢিল ছুড়া তথা সুখে থাকতে ভূতে কিলায়" এর মত তথাকথিত বাকস্বাধীনতার ভূত সওয়ার হয় তাদের মাঝে ।

আর এর ফলাফল তথা করুন রুপ আজ সোভিয়েত রাশিয়াই নয় মিশর-তিউনিশিয়া-ইরাক-লিবিয়া ও হাড়ে-ঝাড়ে উপলব্ধি করছে
কিন্তু আফসোস একটাই এখন আর সেই আদি জায়গায় ফিরে যাওয়া সম্ভব না।

১৮ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:০০

শেরজা তপন বলেছেন: এটাতো নিশ্চিত যে কিছু পেলে কিছু হারাতে হয়,বিশেষ করে কোন দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের বড় ধরনের পরিবর্তন এর ক্ষেত্রে এটা বিষেশভাবে প্রযোজ্য। অনেকেই রাতারাতি বিত্ত বৈভবের মালিক বনে যায় ফের অনেক ধনবান মানুষ পথের ফকির বনে যায়। তবে এই পরিবর্তনের ফলে দুরবস্থায় নিপতিত মানুষগুলো পুরনোদিনের জন্য বেশি হা-পিত্যেস করে।
বাক স্বাধীনতার অনেক সময় অপব্যাবহার ও হয়- তখন মনে হয় কিছু স্বাধীনতার লাগাম টানার প্রয়োজন আছে।

অনেক অনেক ধন্যবাদ- এই সিরিজে সাথে থেকে আপনার মুল্যবান মতামত দিয়ে সিরিজটাকে সমৃদ্ধ করার জন্য।
ভাল থাকুন সবসসময়

৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৫৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একজন প্রকৌশলীকে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ যদি করতে হয় তাহলে তা সত্যিই দুঃখজনক। তার জীবনের পরবর্তী কাহিনী আরও দুঃখজনক।

অনেক কিছু জানলাম আপনার সিরিজ পোস্ট থেকে। যাদের সাক্ষাৎকার তুলে ধরেছেন সেগুলি কোন সালের ঘটনা? বর্তমান রাশিয়ার মানুষ কেমন আছে? অনেক ধন্যবাদ তথ্যবহুল পোস্টগুলির জন্য।

১৮ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৪৮

শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা সিরিজের সবগুলো পোষ্টে সাথে থাকার জন্য!
প্রতিটা পর্বেই সাক্ষাতের সাল উল্লেখ করা আছে। সবগুলোই ২০১০ সাল ও এর পরবর্তীর!
আমি রাশিয়ার প্রথম স্পেস শাটল এর ইঞ্জিনিয়ারকে ট্যাক্সি চালাতে দেখেছি! পেরেস্ত্রোইকার পরবর্তীতে অনেক বিমানের পাইলট
ট্যাক্সি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেছেন। আসলেই কষ্টের ও দুঃখজনক!!

ভাল থাকুন সবসময়-সুস্থু থাকুন

৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৫৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বলেন কি আপনি!!! স্পেস শাটলের প্রকৌশলী আর বিমানের পাইলট চালিয়েছে ট্যাক্সি! আপনারাই মনে হয় ভালো ছিলেন।

১৮ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যা আমি এমনই এক স্পেস শাটলের প্রকৌশলী-র ট্যাক্সিতে উঠেছিলাম, সে পার্ক কুলতুরি( গোর্কি পার্ক) এর পাশ দিয়ে যাবার সময় দূর থেকে স্পেস শাটল 'বুরান' দেখিয়ে বলেছিলেন ওটার আমি একজন ইঞ্জিনিয়ার ছিলাম। আমি জানতামনা তখন কি সেটা- পাত্তা দেইনি :(

৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:২১

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: সোভিয়েত ইউনয়ন ভেঙ্গে যাবার পর সংযুক্ত দেশগুলো তাদের স্বাধিকার ফিরে পেয়েছে, বাক স্বাধীনতা পেয়েছে, ধর্মীয় স্বাধীনতা পেয়েছে, কিন্তু অর্থনৈতিক নিরাপদ জীবনের সোনার পাখিটা ফুড়ুৎ করেই উড়ে পালিয়েছে। এর জন্য দায়ী কারা সে বিচার বিশ্লেষণ করতে গেলে কলেবরের কলেবর ফুরাবে, তর্ক-বিতর্কের ঝড় ওঠবে সন্দেহ নেই।
কিরগিজস্তানের সাশা, উজবেকিস্তানের আনওয়ার এবং কাজখস্তানের আলমাজ এদের সবার জীবন কাহিনী করুণ ও মর্মস্পর্শী। সোভিয়েত শাসনামলে খুব সমৃদ্ধ না হলেও সুন্দর আর স্বচ্ছল জীবন ছিল তাঁদের। আপনার মাধ্যমে জানলাম আরো কত কি। এমন সুন্দর আরো লেখা চাই।
ভাল থাকবেন। শুভকামনা।

১৮ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৩৪

শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে সবিশেষ ধন্যবাদ, আন্তরিক ভালবাসা ও শুভেচ্ছা
এই সিরিজের সবগুলো পর্বে চমৎকার সব মন্তব্য করে লেখার উৎকর্ষ বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছেন বলে কৃতজ্ঞতা।

তবে ধীরে ধীরে দিন পাল্টাচ্ছে। ওখানকার মানুষ এখন অভ্যাস্ত হয়ে পড়ছে পুঁজিবাদী সিস্টেমের- তবে রাশিয়াতে এখনো আরাধ্য সেই বাক স্বাধীনতা আছে বলে মনে হয় না। পেরেস্ত্রোইকার আগেকার সেই মানুষগুলোই শুধু আফসোস করে-কেননা তারা দু ধরনের তন্ত্র দেখেছে ভীষণ কাছ থেকে। এই লোকগুলো চলে গেলে সমাজতান্ত্রিক সেই সোভিয়েত নিয়ে আফসোস করার মত কেউ থাকবে না।ওরা ভুলেই যাবে এমন এক সোভিয়েত ছিল কোন দিন- সেটা এক স্বর্গ ছিল।

ভাল থাকুন।

৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কেমন আছেন?

১৯ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৮:২৯

শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রাতা- আমি এইতো ভালই আছি। আপনি ভালতো?
করোনায় এলোমেলো হয়ে যাওয়া অনেক কিছুই নতুন করে গোছাতে হচ্ছে।

৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৮:৩৫

সাসুম বলেছেন: সোভিয়েট ভেংগে যাওয়া আমার কাছে গত ১০০ বছরে ঘটা সবচেয়ে কস্টের ব্যাপার গুলোর অন্যতম। হয়ত সোভিয়েত এর প্রতি আমার অন্য রকম টানের কারনেই।
তবে, একটা জিনিষ খেয়াল করছেন কিনা জানিনা- সোভিয়েত ভেংগে যাওয়ার পরেও যে ৩ টা দেশ উন্নতি করছে জ্ঞান বিজ্ঞান এবং সভ্যতায় তারা নাস্তেক নাসারা দেশ।

আর যে দেশ গুলো এখনো খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে তারা সব জংগি মেন্টালিটির মোটা বুদ্ধির গদর্ভ এবং একটা স্পেশাল ধর্মের দেশ।

এই যায়গাটা একটা বেশ ভাল চিন্তার খোরাক যোগায়। একটা বড় দেশ ভেংগে আলাদা হয়ে গেল- নাস্তেক দেশ গুলা জ্ঞান বিজ্ঞান সভ্যতায় বেশ এগিয়ে গেল, আর সহীহ ধর্মের দেশ গুলো এখনো বর্বর জংলি রয়ে গেল।

মানুষ চিন্তা করেনা, ভাবেনা।

১৯ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৫২

শেরজা তপন বলেছেন: মলদোভিয়া, বেলারুশ এদের যদি ধরেন তাহলে ধর্মভিত্তিক হিসেবটা একটু এলোমেলো হয়ে যাবে। উক্রাইন ও যে খুব ভাল অবস্থায় আছে কিন্তু নয়।
যদিও এরাও ইউরোপিয়ান জোটে ঢুকতে পারলে সিনারি অন্যরকম হোত।
বাকিদের কথা কি বলব- সোভিয়েত ভেঙ্গে যাবার পরে ওরাই সবচেয়ে বিপাকে আছে দু;খের কথা ওরাই বেশী বলে।
নিঃ সন্দেহে সোভিয়েতের ভাঙ্গন ছিল কিছু মানুষের জন্য অপরিসীম কষ্টের।
সবগুলো পর্বে সাথে থেকে আপনার সু-চিন্তিত মতামত দিয়ে লেখাটাকে সমৃদ্ধ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ -ভাই। ভাল থাকবেন

১০| ১৯ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:২৭

কলাবাগান১ বলেছেন: চমৎকার লিখা...
পোস্ট টা শুধুমাত্র সামুতেই যেন সীমাবদ্ধ না থাকে..... অন্যরাও যেন এমন সুন্দর সিরিজ টা পড়ার সুযোগ পায়। ফেসবুকে দিয়ে দিবেন।
আগে সামুর আলোচিত লিখা ইত্তেফাকে প্রকাশ হত, আর ইত্তেফাকের হেডলাইন সামুতে দেখা যেত। এখন বোধ হয় আর 'খবর' ভাগাভাগি হয় না।

১৯ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৫৮

শেরজা তপন বলেছেন: আমি সামুর সাথে জড়িয়ে গেছি ভাই- আর কোথাও লিখে মজা পাই না।
সামুর মায়ার বন্ধন বড় কঠিন। থাকি না এর সাথে জড়িয়ে- যে কয়জন পড়ার পড়ুক। আমার এইসব লেখায় দেশ জাতির বিশেষ উন্নতি হবে বলে মনে হয়
না।
হ্যা সেটা এক সময় ছিল! সামু ফের সেই দিন ফিরে পাবে সেই প্রত্যাশায় রইলাম। আমার লেখার প্রতি আপনার ভালবাসে প্রকাশের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।।
ভাল থাকুন সামুর সাথে থাকুন।

*নিকের ছবি কি পাল্টেছেন?

১১| ১৯ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:৫৫

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আপনার লেখাগুলো যতই পড়ছি ততই মুগ্ধ হচ্ছি; অনেক তথ্য সমৃদ্ধ লেখা।






ধন্যবাদ। ভালো থাকুন নিরন্তর।

১৯ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৫৯

শেরজা তপন বলেছেন: আপনি সবসময়ই আমাকে অনেক বেশী ভালবাসেন ভ্রাতা- সেজন্য এ মুগ্ধতা!

আপনার প্রতি আমার আন্তরিক ভালবাসা ও শুভেচ্ছা রইল। ভাল থাকুন-সুস্থ্য থাউন।
অনেক ধন্যবাদ সিরিজটার সাথে থাকার জন্য।

১২| ১৯ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:৩৬

জুন বলেছেন: শেরজা তপন শেষ হলো আপনার আরেকটি রুশীয় সমাজের ভেতরের গল্প। অত্যন্ত সাবলীল উপস্থাপনায় আপনি আমাদের টেনে নিয়ে গেছেন ভেংগে পড়া বিশাল মহাদেশসম এক দেশের সাধারণ মানুষের অন্তরে।
আমি একটি রুশী গল্প পড়েছিলাম দুই ভাই নামে। আপনি তো জানেন বলশেভিক বিপ্লবের পর সেখানে বেশ কিছু গৃহযুদ্ধ হয়েছিল লেনিনের লাল ফৌজের বিরুদ্ধে। প্রায় কৈশোর পেরনো দুই ভাই এর এক ভাই ছিল লাল ফৌজের পক্ষে অপর ভাই রাজতন্ত্র আর পুজিবাদের সমর্থক শ্বেত ফৌজে। শ্বেত ফৌজিরা হেরে গেলে সেই ভাইটি চলে যায় আমেরিকায়। বহু বছর পরে সে ফিরে আসে বেড়াতে নিজ মাতৃভুমিতে। চকচকে স্যুটবুট পড়া আমেরিকা ফেরত ভাই এসে দেখলো তার ভাই সমবায়ে কাজ করে, কাপড় চোপর খাওয়া দাওয়ায়ও তার ভাষায় নিম্ন মান। যাই হোক গল্পে আমেরিকার ভাইটি তার চালিয়াতি ভাবশাব আর সারাক্ষণ পুজিবাদের মহাসুখের অহংকার। কিছুদিন বসবাসের পর এক পর্যায়ে আমেরিকান ভাই বুঝতে পারলো তার অগাধ সম্পদ নিয়েও সে পারিবারিক মানসিক কোন ভাবেই সুখী নয় যতটা তার ভাষায় তার এই গেয়ো ভুত ভাইটি আছে। সেটা অনুভব করে ভাইটি এক রাতে পালিয়ে গেল। এমনটাই মনে হয় সমাপ্তি ছিল ঠিক মনে পরছে না শেরজা।
ভবিষ্যতে প্রিয় রুশ দেশ নিয়ে আরও কিছু লিখবেন এই প্রত্যাশা রইলো +
+

১৯ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৫

শেরজা তপন বলেছেন: অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় আপু~ দুই ভাই~ গল্পটি আমার পড়া হয়নি! পড়ার ইচ্ছে রইল।
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য। আপনার মগজে কত যে রাশান গল্প গিজ গিজ করছে আল্লা মালুম!!!!!!

আমি রাশিয়া ও রাশিয়ানদের যতটুকু কাছে থেকে দেখেছি- এবং এখন আমার দেশে ফিরে এসে যা দেখি তাতে ওদের বেশ সুখী মনে হয়েছিল। সর্বৈবভাবে সব সমাজে সবাই সুখী হতে পারেনা- সুখের সংজ্ঞা একেকজনের কাছে একেকরকম।
এমন কিছু লকের কথা তুলে এনেছি আমার এই সিরিজটাতে। ভবিষ্যতে সোভিয়েতের সময়ে অসুখী মানুষদের কথাও তুলে ধরার ইচ্ছে রইল= তবে সেখানে আমার মনের কথা কম থাকবে। আমি সাধারন রুশীয়, উক্রাইনান, মলদোভিয়ান, জর্জিয়ান আর আজেরীদের সাথে মিশেছি, আমি তাদের মনের কথা বলতে পারি। কিন্তু ওই মানুষগুলোর মনের কথা আমি পড়তে পারিনি।।

ামার লেখার প্রতি আপনার এমন ভালবাসা ও আন্তরিকতার জন্য রইল আন্তরিক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন সবসময়।

১৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:২৫

ঈশ্বরকণা বলেছেন: আপনার লেখায় পতিত লেনিন সাম্রাজ্য সোভিয়েত ইউনিয়নের স্বর্গানুভূতিকে মনে হয় খুব বেশি জেনারেলাইজড আর আবেগী করে ফেলেছেন। আমি এক সময়ের বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়ন ক্যাস্পারভের অনেকগুলো লাইভ ইন্টারভিউ টিভিতে দেখেছি গত কয়েক বছরে । আপনি জানেন হয়তো এক সময়ের বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নের পরিচয়ের চেয়েও ইউক্রেনিয়ান ক্যাস্পারভের এখনকার পরিচয় অনেক বেশি উজ্জ্বল হিউম্যান রাইটস এডভোকেট হিসেবে। তার কথায় কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়ন সম্পর্কে আপনার মতো 'স্বর্গাদপী গরিয়সী' টাইপ কোনো ইলিউশন নেই । কঠিন সমালোচক উনি সোভিয়েত ইউনিয়নের রাষ্ট্র কাঠামোর । অথচ অবাক কান্ড হলো ওয়ার্ল্ড চেস চ্যাম্পিয়ন হিসেবে উনি কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়নে সুবিধাভোগী শ্রেণীর সুযোগ সুবিধাই পেতেন ! তবুও তার চোখে সোভিয়েত ইউনিয়নের সমস্যাগুলো ঠিকই ধরা পড়েছে। পৃথিবীর অন্যতম সেরা দাবা চ্যাম্পিয়ন বলে কথা । তার রিজনিংতো অসাধারণই হবে !

সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে আশির দশকে পিএইচডি করা দুজন মানুষকে আমি খুব কাছ থেকেই দেখেছি। ইনফ্যাক্ট একজনকে আমি পারিবারিকভাবেই চিনতাম। সেই সোভিয়েত সময়েই পিএইচডি শেষ করে দেশে চলে এসেছিলেন চাকুরীর জন্য। তাদের একজন ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে জয়েন করেছিলেন। ইকোনোমিক্সে পিএইচডিধারী অন্যজন দেশে কোনো চাকুরী না পেয়ে আবার রাশিয়াতেই ফিরে গিয়েছিলেন। তাদের বলা সোভিয়েত ইউনিয়নেই কথা আমার খুব ভালো করেই মনে আছে।তারা কেউই আপনার মতো সোভিয়েত ইউনিয়নকে স্বর্গরাজ্য হিসেবে কখনো বলেননি বা আমাদের কখনোই সোভিয়েত ইউনিয়নে পড়াশোনা করতে যেতে উৎসাহ দেননি । আপনার বর্ণনার সাথে তাদের মনোভাবের পার্থক্য বিস্তর। বাংলাদেশের কোনো একটা পেপারে একবার কেউ লিখেছিলেন কোনো একজন ইউক্রেনিয়ানের মনোভাবের কথা । আমাদের সেই সাংবাদিক (বা লেখার লেখককে) উনি বাংলাদেশী শুনে বলেছিলেন তোমরাতো তাও ইংরেজদের মতো সভ্য লোকদের কলোনি ছিলে কিন্তু আমরা কলোনি ছিলাম সোভিয়েতদের মতো অসভ্য দেশের।এরা জানোয়ারের চেয়েও অসভ্য। ক্যাস্পারভের এখনকার কথার সাথে আমি বহুদিন আগে বাংলাদেশের কোনো একজন সাংবাদিকের বলা কথার আমি অনেক মিল খুঁজে পাই। পৃথিবীর একটা সুপার পাওয়ার কিন্তু বাইরের ষড়যন্ত্রেই ভেঙে যেতে পারে না কখনো যদি না তার ইন্টারনাল এম্বেডেড সোশ্যাল স্ট্রাকচার/সিস্টেম ভুল শুধরাবার উপযুক্ত হয় ।আমেরিকার সাধারণ আর নর্দার্ন স্টেটগুলোর মধ্যে সোশিও কালচারাল, রিলিজিয়াস, আর ইকোনমিক মোডের মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য । রাজনীতির গুনগত মানের মধ্যেও।তবুও আমেরিকা কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে কলাপ্স করবে না কখনো ই কাৰণ খুব সোজা এদের সিস্টেমগুলো পরিবর্তনকে প্রমোট করে সব সময়ই । ডেমোক্রেটিক ভ্যালু খুব জরুরি সবার কাছেই। সেটা শত ঝামেলাতেও নষ্ট হয়নি কখনো এখানে ।


সেন্ট্রাল এশিয়ার এখনকার মুসলিমদ দেশগুলোর দুরবস্থার জন্য কিছু ব্লগার দেখি ঢিশুম ঢিশুম করে ইসলাম পানচিং করছেন দেখছি ! যেন ইসলাম আকাশ থেকে নেমে এসেছে এসব দেশের উন্নয়নে বাধা দেবার জন্য !ন্যাশনাল আর রিজিওনাল ডেভলাপমেন্ট ইস্যুতে এদের জ্ঞানগম্যি আর পড়াশুনার অভাব দেখে ভিমরি খাবার যোগার হচ্ছে । আপনি বেশ কিছু রেফারেন্স দিয়েছেন দেখলাম লেখার শেষে । কিছু কিছুতো দশ পনেরো বছরের পুরোনো । সেগুলোর বর্তমান গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে কিছু বলতে চাইছি না। কিন্তু আমি কম্পারেটিভলি নতুন বেলজিয়ামের ব্রুগেল -এর ফেলো Uuriintuya Batsaikhan আর অর্থনীতির প্রফেসর Marek Dabrowski-র Central Asia — twenty-five years after the breakup of the USSR শিরোনামের ২০১৭ সালের একটা লেখার, যা পাবলিশ হয়েছিল Russian Journal of Economics-এ (Volume 3, Issue 3, September 2017, PP. 296-320), একটা কমেন্ট উল্লেখ করছি সোভিয়েত ব্লকের এখনকার সেন্ট্রাল এশিয়ান মুসলিম দেশগুলোর উন্নয়ন ইস্যু নিয়ে "The major obstacles to political reform and structural diversification in the five Central Asian economies are internal and external geopolitical factors and deeply embedded institutional weaknesses within each country, particularly in areas where economic management interacts with authoritarian political systems and imperfect legal institutions." সোভিয়েতরা নিজেদের স্বার্থে যেটা করেছিল এইসব সেন্ট্রাল এশিয়ান টেরিটোরিতে সেটা হলো তাদের শত বছরের ঐতিহাসিক ইনস্টিটিউশনগুলো ভেঙে তছনছ করে দিয়েছিলো। অল্টারনেটিভ কোনো প্রতিষ্ঠান তৈরী করেনি বা করতে দেয়নি তাদের শাসনে নিজেদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত রাখতেই।সোভিয়েত ইউনিয়নের শতবর্ষব্যাপী শাসনের সেই অভিশাপএরা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি। আর সেই না কাটিয়ে উঠতে পাড়াও যে আসমানী গজবের কারণে সেটা না । Uuriintuya Batsaikhan আর প্রফেসর Marek Dabrowski খুব পরিস্কার করেই শক্তিশালী কিছু internal and external geopolitical factors -এর কথা এ'প্রসঙ্গে আলোচনা করেছেন । আন্তর্জাতিক রাজনীতির নোংরা খেলাই এই সব দেশের উন্নয়নের অন্যতম বাধা হয়ে উঠেছে আমাদের দেশের মতোই। যে অভিশাপের জন্য স্বাধীনতার প্রায় পঞ্চাশ বছর পরেও আমাদের জ্বি হুজুর বিচার বিভাগ রাখতে হয় ।আগা পাশ তলা প্রশাসন আর সব ধরণের ইনস্টিটিউশন রাজনীতিকরণ করতে হয় ক্ষমতা জন্য কলোনিয়াল শাসনের অভিশাপ টেনে টেনে ওখানেও সেই একই অবস্থা। আমাদের জ্ঞানী ব্লগাররাও নিজেদের দেশের এই সব সমস্যার কারণ হিসেবেও ইসলামের জূজূ ই দেখেন। কিন্তু আমাদের দেশে উদার রাজনীতির অংশ হিসেবে বিচার বিভাগের ভেঙে ছিন্ন ভিন্ন করে দেওয়াটা দেখেন না বা ইসলামের বারোটা বাজিয়ে সেই সাথে দেশকেও অকার্যকর রাষ্ট্র বানাবার ক্ষেত্রে প্রগতিশীল ক্ষমতাশালী চক্রের ব্যর্থতা দেখেন না। সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত সেন্ট্রাল এশিয়ান মুসলিম দেশগুলোর উন্নয়ণ সমস্যার ব্যাপারে আমাদের প্রগতিশীল ব্লগারদের ইসলামোফভ অযৌক্তিক মন্তব্যে আপনি সোভিয়েত ইউনিয়নের কলোনিয়াল শাসনের কোনো সমস্যা নিয়ে কিছু বলেন না দেখে খানিকটা অবাক হলাম। সোভিয়েত ইউনিয়নকে জানার সুবাদে সেদিকটার আলোচনাও আপনার লেখা বা মন্তব্যে থাকলে আপনার লেখাটা আরো গ্রহণযোগ্য হতো। এখন সেটা বলতে পারছি না। যাহোক ধন্যবাদ।

১৯ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার দারুন তথ্য সমৃদ্ধ মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা!
আমি সময় করে আপনার মন্তব্যের উত্তর দিব। ভাল থাকু
এছাড়া আমার পরের সিরিজ 'হলোদোমোর' এ এর অনেক উত্তর পেয়ে যাবেন বলে আশা করছি

১৯ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৩

শেরজা তপন বলেছেন: প্রথমত;পুরো লেখাটা আমার নয়, সেজন্য রেফারেন্সগুলো দিয়ে দিয়েছি। যারা তাদের সাক্ষাতকার নিয়েছেন তারা প্রায় প্রত্যকেই
পশ্চিমা সাংবাদিক। হতে পারে আমার লেখা অংশটুকুতে আমি একটু বেশী আবেগী হয়ে গিয়েছি।

প্রথমত আপনি যে দু'জনের রেফারেন্স দিয়েছেন তারা দু'জনই উক্রাইনের। সোভিয়েতে রুশ ব্লকের মুল নেতৃত্বের সাথে উক্রাইনদের বরাবরই একটা মনস্তাত্বিক ও ঠান্ডা লড়াই ছিল। রুশীয় ক্ষমতাসীনেরা উক্রাইনানদের কখনোই মাথা উঁচু করে দাড়াতে দেয় নি। স্বাধীনচেতা উক্রাইনরা যেমন রুশ ভাষাকে তাদের জাতীয় ভাষা মানতে অস্বীকার করেছিল তেমন সবকিছু সরকারী করনের বিরোধীতা করে সবচেয়ে কঠিন সংগ্রাম করেছিল তারা। সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েতের পুরো সময়টা উক্রাইন জাতিকে দাবিয়ে রাখার জন্য ভয়ঙ্কর অত্যাচার চলেছিল- যার ইতিহাস বেশ সুকৌশলে তারা মুছে ফেলেছিল।
স্তালিন প্রায় এক কোটি উক্রাইনানকে পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে হত্যা করেছি- এর মধ্যে বলশেভিক আন্দোলনেওনেক নামী দামী নেতাও ছিলেন।
রাশিয়ার পরাশুনার অন্যদেশে কি মুল্যায়ন সেটা আমি কোথাও বলিনি। আমি ভেঙ্গে যাওয়া সোভিয়েতের সাধারন মানুষের আগের ও পরের সামাজিক অবস্থান নিয়ে আলোচনা করেছি। আমি বার বার মন্তব্যের উত্তরে বলেছি~ বাকিদের কথা কি বলব- সোভিয়েত ভেঙ্গে যাবার পরে ওরাই সবচেয়ে বিপাকে আছে দু;খের কথা ওরাই বেশী বলে।
নিঃ সন্দেহে সোভিয়েতের ভাঙ্গন ছিল কিছু মানুষের জন্য অপরিসীম কষ্টের।~ কিছু মানুষের কথা বলেছি সবার নয়। যাদের অন্যমত আছে তাদের নিয়েও ভবিষ্যতে বলব।
আমি একচোখাভাবে সোভিয়েতের শুধু ভাল দিকগুলো বলব না অন্ধকার দিকগুলো নিয়েও আলোচনা করব- অপেক্ষা করুন।

আর পশ্চাৎপদ মধ্য এশিয়ার দেশগুলো নিয়ে- ভাল করে জেনে শুনে তারপরে ভাল মন্দ কিছু একটা বলব।
আশা করি সাথে থাকবেন আর আপনার এমন চমৎকার রেফারেন্স সমৃদ্ধ মুল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের জ্ঞান ভান্ডারকে সম্মৃদ্ধ করবেন।

১৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:২৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
তৎকালিন নেতারা একটু উদ্যগি হলে সোভিয়েত ইউনয়ন ভেঙ্গে যাওয়া ঠ্যাকাতে পারতো।
ভেঙ্গে যাবার পর সংযুক্ত রাজ্যগুলো অনেক বিপদে ছিল। অনেক বছর এসব রাজ্য রুশ নির্ভরতা ছিল, এখনো আছে। মুদ্রাস্ফিতি ভয়াবহ ছিল। রাশিয়ার নিজেও ভয়াবহ মুদ্রাস্ফিতির কবলে ছিল, একটা বাইসাইকেল কিনতে নাকি এক সুটকেস রুবল নিতে হোত।
এখন রুবলের কি অবস্থা?

১৯ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:০৫

শেরজা তপন বলেছেন: না ভাংলে আমারও হয়তো রাশিয়া যাওয়া হোত না আর এই স্বর্গের আলোচনা আর আসতনা :)
~ভেঙ্গে যাবার পর সংযুক্ত রাজ্যগুলো অনেক বিপদে ছিল। অনেক বছর এসব রাজ্য রুশ নির্ভরতা ছিল, এখনো আছে।~ সহমত বিশেষ করে মধ্য এশিয়ার দেশগুলো অনেক বিপদে আছে। বেলারুশের মত দেশ এখনো রাশিয়ার উপর নির্ভরশীল।

নীচের লিঙ্কে রুবল আর কুপন নিয়ে আমার দুটো লেখা আছে সুযোগ পেলে পড়বেন;
https://www.somewhereinblog.net/blog/sherzatapon/29474280

বরাবরই আপনার মন্তব্য অন্যকিছু। সাথে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা ও শন্যবাদ। ভাল থাকুন।

১৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৩৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বড্ড দেরী হয়ে গেছে। লজ্জায় তাই পড়াশোনা করে আবার আসছি....

১৯ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৫

শেরজা তপন বলেছেন: কেন ভাই ভুলে গেছেন সব?? কোন সমস্যা নাই- আপনি যে এসেছেন এতেই আমি কৃতজ্ঞ- ছোট্ট একটু মন্তব্য করে গেলেই চলবে।
:)

১৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:২৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খুব আবেগময় একটা সিরিজ শেষ হলো।একটা জেনারেশন ছোট থেকেই জেনে আসছে ইউক্রেন, ককেশীয় উজবেক,রাশা,তাজাকের মতো ছোট বড় অসংখ্য ভাষাগোষ্ঠীর আড়ালে তাদের একটাই সত্তা তারা ইউ এসে এস আরের অধিবাসী।বহুধা বিভক্ত একটা জাতি এক ছাতার তলে দীর্ঘদিন নিজেদেরকে এককভাবে ভেবে এসেছে।একটা সম্মানীয় থাকা খাওয়া বেড়ে ওঠা অবসর এসব নিয়ে খুব বিরাট চাহিদা না থাকলেও খুশি ও সুখী জীবনই চলছিল। কিন্তু জীবন সায়াহ্নে এসে তাসের ঘরের মতো সেই আবেগময় দেধের খন্ডিকরণ নিঃসন্দেহে তাদের বাকি জীবনের কাছে দুর্বিষহ যন্ত্রণার ন্যায়।এই ক্ষত বাকি জীবনে আর মেরামত হবার নয়। কাজেই হারিয়ে যাওয়া সেই সোনালী দিনগুলো তাদের কাছে যথার্থই স্বর্গীয় সুখানুভুতি যা চিরতরে হারিয়ে গেল। একজন পাঠক হিসেবে জীবন সায়াহ্নে পৌঁছানো এই মানুষগুলোর স্মৃতিকাতরতা এমপ্যাথিটিক্যালী বিষণ্ণতা এনে দিলো।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এমন একটি আনকমন বিষয়কে তুলে ধরার জন্য।

পোস্টে সপ্তম লাইক।


শুভেচ্ছা আপনাকে।




২০ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:০১

শেরজা তপন বলেছেন: প্রিয় পদাতিক ভাই,
ফের এসে পুরো লখাটা নিয়ে দারুন একটা মন্তব্য করে যাওয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

- মানুষ একতা জীবনে অভ্যাস্ত হয়ে উঠলে রাতারাতি সেখান থেকে বেড়িতে অন্য এক জীবনধারায় অভ্যস্ত হওয়া নিঃসন্দেহে বেশ কঠিন।
বিশেষ করা আবাসন, খাদ্য ও পরিচ্ছেদের সিস্টেমেটিক একটা বন্দোবস্ত থেকে বেড়িয়ে হঠাত সবাই মিলে জীবিকার জন্য ফের লড়াই শুরু করলে বয়স্ক বা মধ্যবয়সীদের জন্য ভয়ঙ্কর এক দুঃসপ্নের হয়ে ওঠে।
যারা জীবন শুরু করেছে মাত্র- তারা নতুন সিস্টেমে অভাস্ত হয়ে উঠলেও সিনিয়র সিটিজেনেরা অথৈ সাগররে পড়ে।
যাই হোক পরবর্তী প্রজন্মেরা হয়তো ক্যাপিটালিজমে অভ্যাস্ত হয়ে গেছে- কেউ কেউ হয়তো সোশ্যালিজমের সেই অতি জৌলুশহীন জীবনযাপনের কথা শুনে শিউড়ে ওঠে! কিন্তু আমি নিজের চোখে দেখেছি- সেটা ছিল ওনেক শান্তির, সি দিনগুলোকে আনোয়ার, সাশার মত আমিও মিস করি ভীষণ।


ভাল থাকুন- সুস্থ্য থাকুন-সুন্দর থাকুন। আপনার তমোময়ীর অপেক্ষায় রইলাম...

১৭| ২০ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:৫৬

জুন বলেছেন: ক্যাম্বোডিয়ায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টির খলনায়ক পলপট ও তার কুখ্যাত বন্দী শিবির তোল স্লেং/ এস-২১ জেনোসাইড মিউজিয়াম ( ছবি আর ইতিহাস)
এখানে দুটি পর্ব আছে ক্যাম্বোডিয়ার সেই ভয়াবহ ইতিহাসের বর্ননা যার নমুনা আমি দেখেছি নিজ চোখ। দ্বিতীয় পর্বটি শুধুই ছবি ।
আপনি বিষয়টি সম্পর্কে কিছুটা ধারনা করতে পারবেন শেরজা তপন :)

আজ পেপারে দেখলাম যে চারজন নেতা ছিল এই তথাকথিত বিপ্লবের তাঁর তিনজনই মৃত্যুবরন করেছে । আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে শাস্তি প্রাপ্ত বেচে থাকা বন্দী খিউ সাম্পান বলেছে সে এইসব গনহত্যার নাকি কিছুই জানতোনা । কিন্ত সে ছিল এই চক্রের অন্যতম পালের গোদা ।

২০ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:২৮

শেরজা তপন বলেছেন: পড়লাম- গা শিউড়ে ওঠা সব বর্ণনা!!! মন্তব্য রেখে এসেছি

আমরা সবাই বলি পাপের শাস্তি নাকি মানুষ পৃথবী থেকেই ভোগ করে যায়- কিন্তু এরা বা এদের মত ভয়ঙ্কর নরপশুরা কখনো চরম শাস্তির মুখোমুখি হোলনা।
কোন আলোচনা ছাড়াই এদের শাস্তি হওয়া উচিত। সেটা হবে তাদের উদ্ভাবিত প্রতিটা টর্চারের খানিকটা করে। বছরের পর বছর-প্রতিদিন একটু একটু করে আর সেই শাস্তিদানের দৃশ্য সরাসরি সবাইকে দেখাতে হবে।

অনেক ধন্যবাদ ফের মন্তব্য ও রেফারেন্সের জন্য।

১৮| ২০ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:১৮

জুন বলেছেন: লিংকে সমস্যা ছিল ঠিক করে দিয়েছি শেরজা তপন । তারপর ও এখানেও দিলাম । কোন তারাহুড়া নেই যখন সময় পাবেন তখন দেইখেন।
হাজারো মৃতের করুন দীর্ঘশ্বাসে ভারী হয়ে ওঠা ক্যম্বোডিয়ার চুয়েং এক বধ্যভুমিতে এক বেলা ( ছবি ব্লগ)

২২ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫১

শেরজা তপন বলেছেন: অবশেষে লেখাটা পেয়েছি- মন্তব্যও করে এসছি- দেখেছেন কি?

১৯| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:১৬

জুন বলেছেন: কি ব্যাপার আপনি আমার লাস্ট ভুত পোস্টটা পর্লেন্না যে শেরজা তপন :-*

২৭ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:৩৪

শেরজা তপন বলেছেন: হায় হায় কি বলেন আপনার পোষ্ট মিস হবারতো কথা নয়- মন্তব্য করিনি হয়ত ব্যস্ততার জন্য।
দেখেন প্রথম দিকেই আমার লাইক আছে :)
পরে সময় করে মন্তব্য করব

২০| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪০

জুল ভার্ন বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি বিষয়কে তুলে ধরার জন্য।

পোস্টে অষ্টম লাইক।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫২

শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে সবইশেষ ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা পোষ্টে লাইক দেবার জন্য
লেখাট ভাল লেগেছে জেনে আমি প্রীত হলাম।

২১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: এইতো জীবন ! এই করোনা সময়ে অনেক পাইলট রাইড শেয়ার , ফুড ট্রলি এই ধরনের কাজ করছে বলে শুনেছি।
এই ব্যাপার গুলোর নিউজে পড়েছি, আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ।

অটঃ ববির নতুন পর্ব পড়েছি।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: আমি জানতাম আমার সুপ্রিয় ললনা ব্লগারেরা মন্তব্য থেকে বিরত থাকবেন। আট/ দশ বছর আগে চিন্তা ভাবনা করতাম না- এখন এ ধরনের লেখা দিতে বিব্রতবোধ করি তাই অনেক কাট-ছাট করে লেট নাইটে দিলাম।( লাইকের জন্য সবিশেষ ধন্যবাদ)

হ্যা অনেকের জীবন বড়ই কষ্টে কেটেছে। :(

২২| ০১ লা অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:১২

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: তেরো নং মন্তব্যের উত্তরে আপনার রিজনিং আমার কাছে ভালো লেগেছে। বাস্তবিকই ইউক্রেনীয়রা সোভিয়েত সিস্টেমের এবং রুশদের চরম বিরোধী। আমার যারা ইউক্রেনীয় কলিগ আছে তারা ওই সিস্টেমকে একদম সহ্যই করতে পারে না এবং প্রকাশ্যেই এর তিরস্কার করে। অন্যদিকে অন্যান্য ইস্ট ইউরোপীয় ও মধ্যএশীয়দের মধ্যে ওই সিস্টেম সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া মিশ্র। মৌলিক চাহিদা, সামাজিক নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মতো অনেক ভালো দিকের পাশাপাশি স্বৈরাচার, আমলাদের দুর্নীতি ও বাকস্বাধীনতার সমস্যার কথা এদের অধিকাংশই বলে থাকে। আমার দুজন বুলগেরীয় কলিগ আছেন, টেকনোলজিতে অসম্ভব ঝানু। আমার ধারণা ভুল প্রমান করে তারা আমাকে বলেন যে তাদের দেশ সমাজতান্ত্রিক যুগেও আইটিতে অনেক এগিয়ে ছিল।

দুর্নীতি ও বাকস্বাধীনতার সমস্যা গোনায় না ধরলে ওই সিস্টেম বর্তমানের ভারত বাংলাদেশের গলাকাটা চরম ক্যাপিটালিজম থেকে উত্তম সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর ওই সিস্টেমের সাথে প্রতিযোগিতার কারণেই তখন অনেক ইউরোপীয় দেশ কল্যানমুলক রাষ্ট্রের কনসেপ্টও গ্রহণ করেছে। কানাডার মতো দেশে সোশ্যাল ডেমোক্রেটদের প্রভাবে সার্বজনীন চিকিৎস্যব্যবস্থার প্রচলন হয়েছে - পার্শবর্তী দেশ ক্যাপিটালিজমের তীর্থভূমি হওয়া সত্বেও।

মধ্য এশিয়ার লোকজন কিছুটা অলস ও ধান্দাবাজ বলে আমার কাছে মনে হয়েছে - হয়তো আমার সাথে যাদের পরিচয় আছে শুধু তারাই এধরণের বৈশিষ্ঠের মধ্যে পড়ে গেছে অথবা এটাই তাদের জেনারেল ট্রেন্ড - কে জানে কোনটা ঠিক।

০১ লা অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৮:১৭

শেরজা তপন বলেছেন: এ লেখার উসিলায় আপনার থেকে দারুন কিছু তথ্য আদায় করে নিলাম।
সামনে আমার একটা সিরিজ আসছে উক্রাইনদের উপরে স্তালিনের ভয়াবহ অত্যাচারের নমুনা নিয়ে।

প্রতিটা ইজমের ভাল/মন্দ দিক আছে বা থাকবেই। হয়তো কোন একটার ভাগ বেশী, কিন্তু আমি অপছন্দ করি বলে ভাল কিছু বলা যাবেনা এটা এটা মেনে নেয়া কষ্ট!
ভেবে দেখুন ১৯৯১ সালে আমি রাশিয়ায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে গিয়েছিলাম। তখন ডজ অপারেটিং সিস্টেমে কম্পিউটার চলে।
মধ্য এশিয়ার লোক সবাই অলস নয় তবে ধান্ধাবাজ এটা সঠিক।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভ্রাতা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.