নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
মস্কো থেকে ফিরে যবার সময় হয়েছে। কিভাবে দু-সপ্তাহ কেটে গেল ঠাহর হোল না! বন্ধুরা ব্রিজ খেলার আয়োজন করেছিল। আয়োজন না বলে প্রতিযোগিতা বলাই শ্রেয়। এই খেলাটায় আমার দুর্বার টান। খেলতে খেলতে চুরি-চামারি বের করেছি বিস্তর। ইন্টারন্যাশনাল কিংবা অকশান ব্রিজ যেমন উঁচু মাপের খেলা তেমনি আমাদের চুরি করার টেকনিকও অন্য লেভেলের।
যেমন আমার হাতে ক্লাবের কার্ড নেই। আমি কল দিলাম প্রথমেই দুটো ক্লাব! অপসিট পার্টি তখন মনে মনে ফুলে ফুলে হাসছে।তারা কোনমতে ডাক ছেড়ে দিতে পারলে বাঁচে। কিন্তু আমার পার্টনার জানে আমার হাতে সেই কার্ড নেই। সে কল ঘোরাবেই। তবে কখনো বা হিতে বিপরীত হয়ে যায়।
সে খেলা পুরো কসমস সেন্টার জুড়ে তু্মুল জমে গেল। আর আমার সময় চলে গেল হু-উস করে!
এর মাঝে আর ববির সাথে এলিনাকে নিয়ে আলাপ হয়নি। সে ও কিছু বলেনি আর আমিও কুলুপ এঁটেছি। ওদের সাথে আর শেষ দেখা হোল না। ববির মেয়েটার চেহারা বার বার চোখে ভাসছিল শুধু।
ফেরার সময়ে হুলস্থুল অবস্থা! কোন বন্ধু এখানে দু-চার দশ দিনের জন্য বেড়াতে আসে না বিশেষ। সে কারনে আমার সমাদার ছিল চরম। ফেরার দিন যেন একডজন গাড়ি আসল এয়ারপোর্টে এসকর্ট করে। নিজেকে বেশ ভিভিআইপি ভাবছিলাম।
বিদায়ের সময়ে সে কি জড়াজড়ি আর হুড়োহুড়ি-এ জন্মে যেন দেখা হবে না আর। আসলে সেই বয়সের আবেগটাই ছিল অন্যরকম।
বাংলাদেশের এয়ারপোর্ট বড্ড বেশী ম্যাড়ম্যাড়ে লাগছিল। এয়ারপোর্টে নেমেই নিজের গাড়িতে সরাসরি চাঁটগায়ের পথে রওনা হলাম।
বছর ঘুরতে চলল। পুতিন সবে রাশিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছে। অর্থাভাবে কিংবা উন্নত জীবনের আশায় সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে রাশিয়ান রমণিরা। তারা অনেকেই নতুন সব দেশের ভাব ভাষা না বুঝে জড়িয়ে পড়েছে দেহ ব্যবসায়। রাশিয়ায় মুদ্রাস্ফীতি তখনো চরমে। ইনফ্লেশনের সাথে তাল মিলিয়ে চলা বড্ড কঠিন ছিল তখন। চরম মাফিয়ার উত্থান হচ্ছে তখন। এর পাশাপাশী চরমপন্থি ন্যাকেড হেডদের দৌরাত্ম্য। ওদের নিঃশ্বংসতায় দক্ষিন এশীয়দের নাভিশ্বাস উঠেছে- লোকসানে আর হুমকির মুখে বিদেশীরা ব্যাবসা গোটাচ্ছে ।
মাতাল ইয়েলিৎসিনের হাতে হাঁসফাঁস করা সমগ্র জাতি পুতিনের দিকে চেয়ে আছে–কোন মিরাকল ঘটবে সেই আশায়।
ববির ব্যাবসার অবস্থা বিশেষ ভাল নয়। সরকারের হাতে টাকা নেই- ব্যাবসায়ীদের উপরে চাপ বাড়ছে। ওদিকে মাফিয়াদের রক্ত চক্ষু এদিকে সরকারী সন্ত্রাসীদের উৎপাত। সবারই ত্রাহি অবস্থা! দেশ চালাচ্ছে মাফিয়ারা- সরকার যেন ঠুঁটো জগন্নাথ।
সেবার মস্কো থেকে ফেরার পরে ববির সাথে হৃদ্যতা কমেছে খানিকটা। এখন আর চরম আবেগে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা হয় না। কথা হলে এলিনার কথা আর কখনোই জিজ্ঞেস করিনি। মেয়েটার কথাই বার বার জিজ্ঞেস করতাম।
ও বরাবরই বাচ্চাদের আদর করে। মেয়ের কথা তার মন আর্দ্র হোত। তাকে নিয়ে বেশ খোশ মেজাজে গল্প করত।
--------------------------------------
খবরটা পেলাম অন্য বন্ধু মারফৎ। ববি আমাকে এ ব্যাপারে কখনোই কিছু বলেনি;
এলিনা চাকুরির জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছিল! যেমন করেই হোক চাকরি একটা তার চাই। এর আগে কিন্ডারগার্ডেনে শিক্ষকতা করার অভিজ্ঞতা তার আছে। কিন্তু মস্কোতে তখন ইংরেজীর রমরমা বানিজ্য। সব মস্কোবাসীরা ইংরেজী শেখার জন্য পড়িমড়ি করে ছুটছে। ইংরেজীরে দখল না থাকলে শিক্ষকতার চাকরি জোটানো কষ্ট তখন।
অনেক খুঁজে 'পাদ মস্কো'তে( ডাউন টাউন) একটা স্কুলে চাকুরি জোটাল সে। বাসেই যাতায়াত করে। ববি বার বার গাড়ি নিতে অনুরোধ করলেও সে গাড়ি নেয় নি কখনো। বাচ্চাকে রাখে ‘দজেচিস্কি দোমে’( ডে কেয়ার বা চাইল্ড হোমে)। বাস থেকে নেমে বেশ খানিকটা নির্জন বনভুমির ধারের পথ হেটে যেতে হয়।
শরতের শেষ। শীত পড়া শুরু হবে তখন। গাছের পাতাগুলো বাহারি রঙ ছড়িয়ে ধরাভুমে লুটিয়ে পড়ছে টুপ টুপ করে। স্কুলের অফিসিয়াল কাজে ফিরতে দেরি হয়ে গিয়েছিল সেদিন ওর। এমনি এক সান্ধ্যকালে সেই বনভুমির ধার দিয়ে বাসস্ট্যান্ড দিয়ে আসার পথে ক’জন ছোকড়া পথ আগলে দাড়াল তার।
রাশিয়ায় কস্মিনকালেও যে ঘটনা শুনিনি সেদিন সেই ব্যতিক্রমী ভয়ঙ্কর ভয়াবহ নিঃশ্বংস ঘটনা ঘটল তার সাথে। সেদিন সন্ধ্যায় সে 'ব্রুটালি রেপড' হোল!!!
আগের পর্বের জন্যঃ Click This Link
পরের পর্বের জন্যঃ Click This Link
প্রথম খন্ড প্রথম পর্বের জন্যঃ Click This Link
২৩ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৫৫
শেরজা তপন বলেছেন: বেশ ব্যস্ত মনে হচ্ছে। আসুন সময় করে- অপেক্ষায় রইলাম...
তা ভাই আপনার 'তমোময়ী' আটকে গেল কেন? ১১তম পর্ব কবে পাব? একেবারে অন্যরকম এক বিষয়বস্তুর পটভুমিতে লেখা- ভাল লাগছিল।
২| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৫৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: প্রথমেই বলে নেই ভাই , আমি তাস খেলার "ত" ও বুঝিনা যদিও আবার জন্মদাতা ও একভাই এ ব্যাপারে মহা পারদর্শী। তবে এটা বুঝি তাস ও লুডু খেলায় নির্দোষ ( যদি না টাকা-পয়সার ব্যাপার থাকে) চুরী একটু আধটু চলে মানে সবাই করে থাকে বলে মনে হয় আমার।
আপনি চলে আসলেন রাশিয়া ছেড়ে আর আমি মিস করছি এলিনাকে। আহা !!!!!!!!!!!!!!!!! এলিনা
ফেরার সময় হুলস্থুল অবস্থা - বন্ধুরা এমনই হয় । আর সেটা যদি দেশের বাইরে হয় তাহলে তার আবেদনও বেশী থাকে।
দেশের এয়ারপোর্টে ম্যাড়মেড়ে - কি আর করা ? আমরা যদিও আবেগপ্রবণ তারপরও দেশে আসলে সবাই কেমন যেন ভিড়ের চাপে চিড়ে চেপ্টা হয়ে যায় চেপা শুটকির মত।
ইয়েলিৎসিন - রাশিয়াকে সবচেয়ে বেশী পাছা মেরেছে এ ব্যক্তি ।রাশিয়াকে টেনে নামিয়েছে পরাশক্তি থেকে ,দাড় করিয়েছে সাধারনের কাতারে এবং করেছে টুকরো টুকরো মন মত।
পুতিন - নিজের দেশে সামলে নিয়েছে অনেক কিছু এবং চেষ্টায় আছে অন্য আরো অনেক কিছু সামলানোর। সাহস আছে । অরিজিনাল পুরুষ । জিনসেং ছাড়াই (কারো সাহায্য ছাড়াই)।
এলিনা - আসলে নারী সব একই রকম ,মমতাময়ী। তা ভদকার দেশ কিংবা পানির দেশ যাই হোক।
২৩ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:০১
শেরজা তপন বলেছেন: বেশ কয়েক পর্বে আপনাকে মিস করেছি কামরুজ্জামান ভাই। ফের আমার ব্লগবাড়িতে দেখে ভাল লাগল।
আমি তাস খেলা বুঝি কিনা জানিনা তবে তাস খেলে কেটে গেছে যৌবনের এক চতুর্তাংশ সময়।
শেষবার খেলেছিলাম গতমাসে ( বছর দুয়েক বাদ) বন্ধুদের সাথে সারা রাত!!
রাশিয়া ছেড়ে তো একবারে চলে এসেছিলাম- এবার মাত্র পনের দিনের জন্য বেড়াতে গিয়েছিলাম।
শেষের লাইনটা কি মিস হয়ে গেছে ভাই? ওখানে ভয়াবহ এক গ্যাং রেপের শিকার এলিনা'র কথা বলা আছে।
আপনার চমৎকার বিশ্লেষনধর্মী এ মন্তব্যে দারুন আপ্লুত হলাম।
ধন্যবাদ।
৩| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:০০
জুল ভার্ন বলেছেন: আষাঢ় মাসের বৃষ্টির মতো ঝুপ করে থেমে গিয়েছে- বাবনিকের অনেক কিছুর সমাধান/সমাপ্তি না টেনেই। তবুও বলবো "মধুরেণ সমাপয়েৎ"!
তপন ভাই, আপনারা যারা রাশিয়ায় পড়াশোনা করেছেন তাদের মধ্যে আমি যাদেরকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনি জানি তাদের মধ্যে অন্যতম ডক্টর রমিত আজাদ(এক্স ক্যাডেট, বর্তমানে একটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর, একদা সামু ব্লগে খুব লিখতো), মশিউল আলম, (প্রথম আলোর সাংবাদিক), শাকুর মজিদ(এক্স ক্যাডেট, বিশিষ্ট উপন্যাসিক, নাট্যকার, লোকজ গবেষক), শিল্পী(ওর ভাল নাম মনে নাই) সহ অনেকেই যারা লেখালেখি করেন- তাদের সবার লেখার বেশীরভাগ চরিত্র এবং পটভূমিই রাশিয়া। এই ধরনের লেখায় পাঠক ভিন্ন সাংস্কৃতিক-পারিবারিক-রাজনৈতিক আবহ জানতে শিখতে পারে।
শুভ কামনা।
২৩ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:০৭
শেরজা তপন বলেছেন: জ্বী ভাই এদের প্রত্যকের লেখার সাথে আমি বেশ পরিচিত! মশিউল আলমের লেখার তো আমি ভক্ত! শাকুর মজিদ ও দুর্দান্ত
লেখেন। আর রমদ আজাদ ভাই এর সাথে পরিচয় ব্লগেই লেখালেখির সুত্র ধরে। তিনি আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড।
নতুন করে অনেক কিছু জানলাম চিনলাম আপনার কাছ থেকে। অনেক ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
৪| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:০৩
মিরোরডডল বলেছেন:
শেষে এরকম এক্সপেক্ট করিনি
কি ভয়াবহ নিউজ ! এরপর কি হল এলিনার ?
অনেক তাড়াহুড়ো করে হুট করে যেন শেষ হলো ।
২৩ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:১২
শেরজা তপন বলেছেন: এখনকার পর্বগুলো দ্রুতগতিতে টানব- না হলে এ লেখা আর শেষ হবার নয়। সামনের কয়েকখানা মাত্র পর্বে সুদীর্ঘ আঠার বছরের
কাহিনী বলতে হবে। সাথে থাকলে মাঝে মধ্যে তাল হারিয়ে ফেলতে পারেন
আমরা এক্সপেক্ট করি আর না করি এমনই বাস্তবে ঘটে। আমার শোনা পরিচিতজনদের মধ্যে রাশীয়ার একমাত্র ধর্ষন কাহিনী এটা।
ভয়াবহ ধাক্কা খাবার মত ব্যাপার। তবে কষ্টের তো শুরু সবে...
আপনার মন্তব্যে বরাবরের মত দারুন আপ্লুত হলাম।
ভাল থাকুন বাবনিকের সাথে কষ্ট করে শেষ পর্যন্ত থাকুন।
৫| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৩৬
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: শেষ খন্ডের আর কতটি পর্ব আছে তপন ভাই?
২৩ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৪০
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি কি ব্যাপক বিরক্ত 'গোফরান' ভাই?
আর মাত্র ৬/৭ খানা পর্ব হবে সাকুল্য।
৬| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৯
জুন বলেছেন: পাড় মাতাল আমেরিকার এজেন্ট ইয়েলেতসিন আর মাথামোটা গর্বাচভের আমলে রাশিয়ার ইতিহাস আর ঐতিহ্য মনে হয় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌছেছিল। তাই পুতিন যেমনই হোক আমরা যারা রাশিয়ান উপকথা আর উপন্যাস পড়ে বড় হয়েছি তারা মনে করি সে কিছুটা হলেও রাশিয়ার ভুলুন্ঠিত মর্যাদাকে তুলে এনেছে বিশ্বসভায়। আমি জানি আমার এ কথায় অনেকে হয়তো দ্বিমত পোষণ করবে।
তাস খেলা আমাদের আত্মীয় স্বজনদের মাঝে একটা প্রিয় খেলা ছিল ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন,ক্যারম আর লুডু খেলার মাঝে
এলিনার জন্য অনেক শুভকামনা রইলো শেরজা। ভালো থাকুন সব সময় আর লিখতে থাকুন আমাদের জন্য।
২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৩৮
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের সাথে আমি সহমত! জারের সময় থেকে শুরু করে সমাজতান্ত্রিক শাসনামলের পুরোটাই বাকস্বাধীনতা ছিলনা, এখনো খানিকটা কম আছে- তাতে কি?
ও তাহলে আপনিও এর ভক্ত- নাকি শুধু আত্মীস্বজনদের উপরে চাপিয়ে দিলেন?
বরাবরের মত দারুনভাবে অনুপ্রাণিত করার মত চমৎকার সব মন্তব্য করার জন্য সবিশেষ ধন্যবাদ।
৭| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৭
কামাল৮০ বলেছেন: সোভিয়েতের পতন সারা বিশ্বের জন্য এক অশনি সংকেত।বিদায়ের ক্ষন সত্যি বেদনার।
২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৪০
শেরজা তপন বলেছেন: জ্বী ভাই সব বিদায়ই কষ্টের!
হতে পারে তবে এতদিনে সামলে উঠেছিল। ফের গোলমাল হয়ে গেল
ধন্যবাদ।
৮| ২৪ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৩১
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: বরাবরের মতোই গল্পের গাথুনী সুন্দর হয়েছে। এলিনার চাকুরী খুঁজে পাওয়াতে ভালো লেগেছিল কিন্তু সে ভালোলাগা উবে গেল তার ব্রুটালি রেপড হওয়াতে। মনে ভিতরটা কেমন যেন খচখচ করছে, পরে এলিনা কি হলো?
২৪ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:৩৭
শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে ফের ভাল লাগল ভ্রাতা।
হ্যা সেটা ছিল নিদারুন কষ্টের! সে স্বাবলম্বী হতে চেয়েছিল- পৃথিবীর সবখানেই সম্ভবত মেয়েদের এমন প্রতিকুল অবস্থার মধ্যে পড়তে হয়।
পরের পর্বে সাথে থাকবেন আশা রাখছি। ভাল থাকুন-সুন্দর থাকুন।
৯| ২৪ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:১২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: সে খেলা পুরো কসমস সেন্টার জুড়ে তু্মুল জমে গেল। আর আমার সময় চলে গেল হু-উস করে!
- খেলা তখন ই জমে যখন কেউ এর মাঝে ডুবতে পারে, মনে হচ্ছে আপনি বেশ ডুবতে জানেন। বলে রাখি এই ব্রিজ বা কার্ড খেলার বি বা ক ও আমি জানি না। তবে আপনার জন্যে শুভ কামনা।
বিদায়ের সময়ে সে কি জড়াজড়ি আর হুড়োহুড়ি-এ জন্মে যেন দেখা হবে না আর। আসলে সেই বয়সের আবেগটাই ছিল অন্যরকম।
- এই ব্যাপার টা ও আমাকে বেশ ভাবায়, সময় আর বয়স ই কী শুধু আমাদের কাছ থেকে আবেগ বা তার প্রকাশ কেড়ে নেয় ? এর জন্যে কি অন্য পাশে থাকা মানুষ টার কোন দায় নেই?
পুতিন সবে রাশিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছে। অর্থাভাবে কিংবা উন্নত জীবনের আশায় সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে রাশিয়ান রমণিরা। তারা অনেকেই নতুন সব দেশের ভাব ভাষা না বুঝে জড়িয়ে পড়েছে দেহ ব্যবসায়। রাশিয়ায় মুদ্রাস্ফীতি তখনো চরমে।
- রাশিয়া আহা রাশিয়া ! আমার দুর্দান্ত শৈশবের স্বপ্নের রাশিয়া, যে রাশিয় রমণীদের নিষ্কলুষ আর চমৎকার ব্যক্তিত্বের গল্প পড়ে কাটিয়েছি। এমন সব খবরে ছিল বিশ্বাস ভঙ্গের বেদনা।
মেয়েটার কথাই বার বার জিজ্ঞেস করতাম।
ও বরাবরই বাচ্চাদের আদর করে। মেয়ের কথা তার মন আর্দ্র হোত। তাকে নিয়ে বেশ খোশ মেজাজে গল্প করত।
তাহলে এলিনা ববির মেয়ে টার ভবিষ্যৎ নিয়ে কি নিশ্চিত হতে পারি ?
রাশিয়ায় কস্মিনকালেও যে ঘটনা শুনিনি সেদিন সেই ব্যতিক্রমী ভয়ঙ্কর ভয়াবহ নিঃশ্বংস ঘটনা ঘটল তার সাথে।
- চরম মাফিয়ার উত্থান হচ্ছে তখন। এর পাশাপাশী চরমপন্থি ন্যাকেড হেডদের দৌরাত্ম্য। ওদের নিঃশ্বংসতায় দক্ষিন এশীয়দের নাভিশ্বাস উঠেছে- লোকসানে আর হুমকির মুখে বিদেশীরা ব্যাবসা গোটাচ্ছে । মাতাল ইয়েলিৎসিনের হাতে হাঁসফাঁস করা সমগ্র জাতি পুতিনের দিকে চেয়ে আছে–কোন মিরাকল ঘটবে সেই আশায়।ববির ব্যাবসার অবস্থা বিশেষ ভাল নয়। সরকারের হাতে টাকা নেই- ব্যাবসায়ীদের উপরে চাপ বাড়ছে। কেনো যে মনে হচ্ছে আপনার এই বর্ণনার সাথে এলিনার আজকের এই দুর্ঘটনার সূত্র আছে, যদিও আমি ববি কে এত নীচ ভাবতে চাইছি না। তাই প্রশ্ন টা করলাম না।
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়।
২৭ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:২০
শেরজা তপন বলেছেন: দিন তিনেক ঢাকার বাইরে ছিলাম- মন্তব্য পড়া হলেও উত্তর দেবার ফুসরত পাইনি।
অবশেষে আপনার স্ব-মহিমায় ফিরলেন। এমন মন্তব্য পেয়ে আমি চরম আপ্লুত ও আনন্দিত হলাম।
~ হ্যা তা আর বলতে। আমি কার্ড খেলের পোকা ছিলাম একসময়!
~ আমাকেও ভাবায়। সমবয়সী প্রায় সবাই একই সাথে একটু একটু করে পালটে যায়। আবেগী দু-একজন ব্যতিক্রম হয়তো, পুরনো স্মৃতি ও দিন ধরে আটকে থাকে। তবে সময়ের সাথে সাথে নতুন কিছু সম্পর্ক যোগ হতে থাকে আর পুরনোগুলো ফিকে হয়ে আসে।
~ রাশীয়া আহা রাশিয়া!! ঠিক বলেছেন।
~ ববির মেয়েকে নিয়ে অনেক কথা আছে...
~ না না না তেমনটা আমি বা সৌম্য মোটেই কেউ ভাবিনি কোনদিন।
আন্তরিক ধন্যবাদ- এভাবে সাথে থাকুন। পরের পর্বো আজ যাবে হয়তো
১০| ২৫ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাই , আবারও আসতে হলো আপনার ব্লগে / এলিনার সাথে
শেষের লাইনটা কি মিস হয়ে গেছে ভাই? ওখানে ভয়াবহ এক গ্যাং রেপের শিকার এলিনা'র কথা বলা আছে।
- আসলেই ভাই, যদিও আমি সবসময় চেষ্টা করি পুরো লেখা ভাল করে পড়তে এবং তারপর মন্তব্য করতে কিন্তু এ লেখায় মূল/অতীব গুরুত্বপূর্ণ লাইনটাই কিভাবে মিস হয়ে গেল তা বুঝতে পারলাম না ।
আর , আবার পড়ার পর কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি । কি বলব - বুঝতে পারছিনা।
শুধু বলব, দয়াময় এলিনাকে মানষিক শক্তি দাও এসব অমানুষদের ও তাদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধকে ভূলে গিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সুন্দর আগামীর দিকে।
২৭ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:২২
শেরজা তপন বলেছেন: আমিও তাই ভাবছিলাম আপনার এমন ভুল হবার কথা নয়।
আপনি অতি ভালমানুষ। ফের এসে আমাকে ঋণী করে ফেললেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও ভালবাসা রইল।
ভাল থাকুন-সুন্দর থাকুন।
১১| ২৮ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৫৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ইস গ্যাং রেপ!! মস্কোতে এই অবস্থা?
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:২৪
শেরজা তপন বলেছেন: কথা দিয়ে ফিরে এসেছেন বলে ভাল্বাসা ও কৃতজ্ঞতা!
অবিশ্বাস্য ছিল ব্যাপারটা। কেউ বিশ্বাস করতে চায়নি।
১২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:২১
আখেনাটেন বলেছেন: ...এত তাড়াতাড়ি দুর্ভোগের শিকার হবে এলিনা ভাবি নি....দেখি সামনে......
সরকারের হাতে টাকা নেই- ব্যাবসায়ীদের উপরে চাপ বাড়ছে। ওদিকে মাফিয়াদের রক্ত চক্ষু এদিকে সরকারী সন্ত্রাসীদের উৎপাত। সবারই ত্রাহি অবস্থা! দেশ চালাচ্ছে মাফিয়ারা- সরকার যেন ঠুঁটো জগন্নাথ। ====কোথায় যেন কিছুটা মিল পাচ্ছি?
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:২৬
শেরজা তপন বলেছেন: খানিকটা তো মিল আছেই।
অনেকটা ৯৭/৯৮ এর মস্কো-তে এখন আমরা বাস করছি।
এলিনা আসলেই দুর্ভাগা একজন রমণী।
১৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩১
অপু তানভীর বলেছেন: শেষ লাইনটা এসে কী হল ! আমি কেন জানি এই একটা ব্যাপার কোন দিন মেনেই নিতে পারি না । একটা মেয়ের ইচ্ছের বিরুদ্ধে এমন কিছু করা ! লাইনটা পড়তেই মনের ভেতরেই কী একটা কষ্টের অনুভূতি বয়ে গেল !
২৬ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৫৭
শেরজা তপন বলেছেন: এই অংশটুকু বাংলায় দিতে মন সায় দিলনা। সত্যিকারে সামান্য মানবতাবোধ থাকলে কোন স্বাভাবিক পুরুষ বিষয়টা মেনে নিতে
পারেনা। পরস্পর সম্মতি ছাড়া এটা কিভাবে সম্ভব( যারা এমনটা করে আনন্দ পায় তাদের কাছে হয়তো ভিন্নরকম) আমার মাথায়
আসে না। আমার মাঝে মাঝে মনে হয় পুরূষ মানুষ-ই একটা ভুল সৃষ্টি!
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৪৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপাতত সব সিট বুকিং করছি। সময় নিয়ে এক এক করে গিয়ে পড়ে আসবো।।