নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
মানুষ কেন অনন্য? পর্ব~১
"গুজ বাম্প’ এসেছে শব্দটা মূলত হাঁসের পশমের গোঁড়ার যোগসূত্র থেকে। হাঁসের পালক যেই বহিঃশ্চর্মের ছিদ্র থেকে বৃদ্ধি পায় তা মানুষের চুলের ফলিকলের মতো। যখন একটি হংসের পালক ছিঁড়ে ফেলা হয়, তখন পালক যেখানে ছিল তার ত্বকে যে ধরনের উত্তল ছিদ্র দেখা যায় সেগুলো পশম দাড়িয়ে যাবার বা গায়ে কাটা দেবার পরে মানুষের ত্বকের অনুরূপ।
পৃথিবীর অন্যান্য ভাষা এর কাছাকাছি ভিন্ন ফর্ম ব্যবহার করে; উদাহরণস্বরূপ, ভিয়েতনামি, কোরিয়ান, জাপানিজ, ফিনিশ, ডাচ, লুক্সেমবার্গিশ, ফরাসি, স্প্যানিশ, পর্তুগিজ এবং গ্যালিসিয়ান ভাষায় হাঁসের বদলে‘মুরগি বাম্প’ ব্যবহৃত হয়; আইরিশ ও হিব্রু ভাষায় ইংরেজির মত হাঁস ব্যবহার করে।‘মুরাশকি’ বেলারুশ ভাষায় যার অর্থ পিঁপড়া সেটা ‘গুজবাম্প’ এঁর প্রতিশব্দ হিসেবে ইউক্রেনীয় এবং রাশিয়ান ভাষায় ব্যবহার হয় (যেটা, ত্বকে পিঁপড়ার হামাগুড়ি দেওয়ার অনুভূতির ইঙ্গিত করে)।
কিছু লেখক যৌন সংক্রামিত রোগের উপসর্গের জন্য ‘গুজবাম্প’ শব্দটা প্রয়োগ করেছেন। ১৬ শতকে সিফিলিস সংক্রামিত হওয়ার জন্য " উইনচেস্টার গুজ এঁর কামড়" ছিল একটি সাধারণ শব্দবাক্য। " উইনচেস্টার গুজ " ছিল দক্ষিণ লন্ডনের পতিতাদের ডাকনাম, তার লন্ডন প্রাসাদের এলাকায় উইনচেস্টারের বিশপ কর্তৃক লাইসেন্স-প্রাপ্ত ছিল।
মানুষের গুজবাম্প হাতের বাহুতে সবচেয়ে বেশি হয়, তবে পা, ঘাড় এবং লোমযুক্ত ত্বকের অন্যান্য অংশেও দেখা যায়। কিছু লোকের মুখমণ্ডল ও মাথায়ও গুজবাম্প হতে পারে।
গুজবাম্পস বা গুজ বাম্প হল একজন ব্যক্তির ত্বকে শরীরের চুলের গোড়ায় এমন অনুভূতি যা যখন সুড়সুড়ি, ঠাণ্ডা হয় বা ভয়, উচ্ছ্বাস বা যৌন উত্তেজনার মতো শক্তিশালী আবেগ অনুভব করে তখন অনিচ্ছাকৃত-ভাবে দেখা দিতে পারে।
চরম আবেগ
যখন তারা ভয় পায় বা ভয়ের অনুভূতি হয় তখন কিছু লোক প্রায়শই বলে যে তাদের "গায়ের পশম দাঁড়িয়ে গেছে" ।
যখন শরীর লড়াই বা পালানোর জন্য প্রস্তুত হয়, তখন সহানুভূতিশীল স্নায়ুতন্ত্র অ্যাড্রেনালিন (এপিনেফ্রিন) দিয়ে রক্তে প্লাবিত করে, একটি হরমোন যা এমন উচ্চ-চাপের পরিস্থিতিতে হৃৎস্পন্দন, বিপাক এবং শরীরের তাপমাত্রাকে দ্রুত করে। সহানুভূতিশীল স্নায়ুতন্ত্র তারপরে পাইলোরেকশন রিফ্লেক্সকেও ট্রিগার করে, যার ফলে প্রতিটি চুলের ফলিকলের গোড়ার সাথে সংযুক্ত পেশীগুলি সঙ্কুচিত হয় এবং চুলকে উপরে তোলে।
সঙ্গীত
কানাডিয়ান গবেষকরা জানিয়েছেন যে, যখন কোন মানুষ সঙ্গীত দ্বারা বিশেষভাবে মোহাবিষ্ট হয় - আন্দোলিত হয়, তখন তাদের মস্তিষ্ক এমন আচরণ করে যেন তারা সুস্বাদু খাবার ( কিংবা সাইকো-ট্রপিক ওষুধ) প্রতি সাড়া দিচ্ছে। রাসায়নিক ডোপামিন দ্বারা আনন্দের সূত্রপাত হয়, যা ‘ঠাণ্ডা লাগা( শীত অনুভব করা)’ নামে পরিচিত এমন একটা শারীরিক প্রভাব তৈরি করে যা হৃৎস্পন্দন, শ্বাস-প্রশ্বাস, তাপমাত্রা এবং ত্বকের বৈদ্যুতিক সঞ্চালনের পরিবর্তন ঘটায়। এর ফলে এক ধরনের শিহরণ অনুভব হয় এবং শরীরের রোম দাঁড়িয়ে যায়।
আহার
খাবারের কারণে শরীরের তাপমাত্রা আচমকা কমে বা বেড়ে গেলে কিংবা বিশেষ কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে।
আফিম হেরোইন বা অন্য কিছু নেশা থেকে বিরতি নিলে বা ছেড়ে দিলে ঘন ঘন গুজবাম্প হতে পারে।
স্বেচ্ছায় নিয়ন্ত্রণ
একটি অজানা কিছু মানুষের সচেতনভাবে সংবেদন এবং শারীরবৃত্তীয় এই লক্ষণগুলি শুরু পারে। এই ঘটনাটি স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঘটে, সহজাত বলে মনে হয় কিন্তু কোনভাবেই অনুশীলন করে শেখা বা অর্জন করা সম্ভব নয়।
এই ধরনের লোকদের হৃৎস্পন্দন বাড়ানোর ক্ষমতা থাকে যা মাথার খুলির গোড়া থেকে শরীরের নিচের দিকে ঠাণ্ডা স্রোত প্রবাহের মাধ্যমে গুজবাম্পস সৃষ্টি করতে পারে, এটা মূলত বাহুতে হয়- তবে শরীরের অন্যস্থানে হইয়াও অস্বাভাবিক নয়। এই ধরনের ব্যক্তিদের সম্পর্কে আরও জানতে আরও গবেষণা প্রয়োজন।
চকবোর্ডের শব্দ ও কম্পন এবং প্রাইমেট হেরিটেজ হাইপোথিসিস
চকবোর্ড জুড়ে আঙ্গুলের নখের শব্দের প্রতিক্রিয়া হিসাবে লোকেরা প্রায়শই গুজবাম্প অনুভব করে। (হাইপোথিসিস) ধারনা করা হয় যে এটা মূলত আদিম সময়ে ধ্বনিগত-ভাবে প্রাইমেটদের ‘কষ্টের অনুভূতি’র শব্দ ছিল।
****************
গুজবাম্প হতে পারে যখন তাপমাত্রা হঠাৎ কমে যায়, যেমন ঠাণ্ডা পরিবেশে থাকা, যখন ত্বক দ্রুত তার পৃষ্ঠের তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে সক্ষম হয় না। ঠাণ্ডা পরিবেশের উদ্দীপনা প্রতিটি লোমকূপের সাথে সংযুক্ত ক্ষুদ্র পেশীর (চুলের পেশী সোজা করে) সংকোচন ঘটায়। এই সংকোচনের ফলে চুল সোজা হয়ে যায়, যা চুলে আটকে থাকা জলকে বাষ্পীভূত করে ত্বক থেকে উপরে উঠিয়ে চুলের মাথায় দ্রুত শুকিয়ে ফেলে। এমনও হতে পারে শরীর ঠাণ্ডা থেকে নিন্মস্থ ত্বককে রক্ষার জন্য উপরস্থ ত্বকের মুখ বা কুপগুলো বন্ধ করে দেয়।
মানুষের মধ্যে
মানুষের মধ্যে, গুজবাম্প বিস্ময়কর সঙ্গীত শোনা, শক্তিশালী এবং ইতিবাচক আবেগ অনুভব করা বা মনে রাখা (উদাহরণস্বরূপ, একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা জেতার পরে), বা টিভি দেখার সময় ভয়ের আবহ সৃষ্টি হলে। অজানা আতঙ্কে, ভয়ের অনুভূতিতে, অদৃশ্য শক্তির উপস্থিতির কথা ভেবে, অতিরিক্ত আনন্দে পশম দাড়িয়ে যেতে পারে।
অন্য প্রাণীদের বা প্রাইমেটদের
পশম বা চুলে আচ্ছাদিত প্রাণীদের প্রসারিত চুল বাতাসকে আটকে রাখে, একটি অন্তরক স্তর তৈরি করে। মূলত তাদের ‘গুজবাম্প’ রাগ বা ভয়ের প্রতিক্রিয়াও হতে পারে: ছড়িয়ে থাকা চুলগুলি শত্রুদের ভয় দেখানোর জন্য প্রাণীটিকে বড় দেখায়। এটি শিম্পাঞ্জি ( কেন হয় কেমনে হয় এটা খুঁজে পাওয়া যায় নি), কিছু নিউ ওয়ার্ল্ড বানর যেমন, তুলা-কাপড ট্যামারিন, ইঁদুর ও ভীত বিড়াল কুকুর আক্রমণকারীকে ভয় দেখানোর জন্য খাড়া পশম প্রদর্শন লক্ষ্য করা যায়।
উচ্চতার ভয়ের কারণে একটি বিড়ালছানার ত্বকে গুজবাম্প। ( এটাকে আদপে গুজবাম্পস বলা যায় কি-না সেটা নিয়ে অনেকেই দ্বিধান্বিত)।
যাইহোক আদপে আজ অবধি গুজবাম্প নিয়ে ব্যাপকভাবে গবেষণা হয়নি। এখনো পর্যন্ত ভাবা হয় ‘গুজবাম্প এর কারণ ও এর ধরন অন্য যে কোন প্রাণীর তুলনায় আধুনিক মানুষ ব্যতিক্রম’। আসলে হোমো-সেপিয়েন্সদের শরীরবৃত্তীয় ব্যাপার অনুভূতিমূলক মানসিক বিষয়গুলো যতটুকু ভাবা হয় তার থেকে অনেক অনেক বেশী জটিল ও রহস্যময়য়।
******
লেখাসুত্রঃ উইকি, সায়েন্স ডট কম সহ অনন্যান্য অনলাইন সুত্র।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৩৭
শেরজা তপন বলেছেন: এটা আমি নিশ্চিত নই। 'হিউম্যান আর নট ফ্রম আর্থ' এ লেখক বলছেন মানুষ এখন আগের থেকে লম্বা হচ্ছে। লম্বা মানুষ নিয়ে আজগুবি ও অবিশ্বাসযোগ্য কিছু তত্ত্ব বা গল্প প্রচলিত আছে। এটা প্রমানিত সত্য নয় সেটা সবাই কম-বেশী জানে।
২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:২৬
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। গুজবাম্প বিষয়টি নিয়ে বিবর্তনবাদীদের মতামত কি?
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৪৩
শেরজা তপন বলেছেন: দেখুন আমি বিবর্তনবাদ বিরোধী নই।
'মানুষ কেন অনন্য' এর অধিকাংশ পর্বগুলোতে সে সকল বিষয়াদি নিয়ে আলাপ করব তার বেশীরভাগই অমিমাংসিত জটিল ও রহস্যময় বিষয়! এসব নিয়ে বিস্তারিত গবেষনা এখনো হয়নি।
৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:২৯
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
বিবর্তনবাদীদের ডিকশনারিতে "গুজবাম্প ' শব্দটি ছিলো?
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৪৬
শেরজা তপন বলেছেন: না ব্রাদার এ বিষয়ে আমার জানা হয়নি। তবে আছে নিশ্চিত- কিছু কিছু বিষয়ে গোঁজামিল দিয়ে তালে (ফল) তাল( ছন্দ) মেলানোর চেষ্টা হয়েছে।
৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৪৮
কামাল১৮ বলেছেন: এখানে বিবর্তনের কিছু দেখলাম না।বিবর্তনের আসল বিষয় হলো ন্যাচারাল সিলেকশন।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:২২
শেরজা তপন বলেছেন: আমি তো বিবর্তনবাদ নিয়ে এখানে কিছু লিখিনি।
আমি দেখেছি মানুষের অনন্য কিছু গুণাবলী অবশিষ্টের কথা।
৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:১১
সোনাগাজী বলেছেন:
এটা নার্ভাস সিস্টেমের রেসপোন্স।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:২১
শেরজা তপন বলেছেন: হতে পারে।
তবে যেহেতু বিস্তারিতভাবে এখনো গবেষণা হয়নি সেজন্য পুরো পিছনের কারণটা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব হচ্ছে না!
৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:০২
জুল ভার্ন বলেছেন: গুজবাম্প বিষয়টি সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না। আসলে আমি বিবর্তনবাদ নিয়ে ইচ্ছা করেই জানতে আগ্রহী নই।
বরাবরের মতোই আপনি ভালো লিখেছেন।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:১৮
শেরজা তপন বলেছেন: সবার সব বিষয়ে আগ্রহ থাকা থাকার কথা না -আপনার যেসব বিষয়ে আগ্রহ আছে সেটা হয়তোবা বিবর্তনবাদ থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ!
বরাবরের সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভালো থাকুন সুন্দর থাকুন সবসময়।
৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১২
রাজীব নুর বলেছেন: আমি এত কিছু বুঝি না। আমাকে স্পষ্ট করে বলুন-
আমি কি বিজ্ঞানের সাথে থাকবো? না ধর্মের সাথে?
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:২০
শেরজা তপন বলেছেন: প্রশ্ন আমাকে করছেন কেন?
আপনি যথেষ্ট জ্ঞানী মানুষ আপনি নিজেই চিন্তা করে দেখুন কার সাথে থাকবেন ধর্ম না বিজ্ঞানের সাথে কিংবা দুটোর সাথেই।
৮| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫০
মিরোরডডল বলেছেন:
মাথায়ও গুজবাম্প হতে পারে।
হতে পারে কি! অবশ্যই হয়, কার্টুনে সবসময় দেখি ভয়ে মাথার চুল দাঁড়িয়ে যায়।
গুজবাম্পের যে কারণগুলো বলা হয়েছে সেই একই কারণে কিন্তু মানুষের পাল্স বিট বেড়ে যায় ।
ভয় অথবা আতঙ্ক থেকে, অনেক বেশি এক্সসাইটমেন্ট থেকে, হঠাৎ অনেক জোরে কোন শব্দ শুনলে, অনেক বেশি আবেগপ্রবণ হলে।
একেকজন একেকভাবে রিএক্ট করে, কারো গুজবাম্প হয়, কারো বা পাল্স রেইট বেড়ে যায়, আবার কারো হয়তো দুটোই হয় বা কোনোটাই না।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৩৬
শেরজা তপন বলেছেন: ধন্যবাদ আপু মন্তব্যে আসার জন্য।
এ কথা ঠিক 'গুজবাম্প' হলে পালস-বিট বেড়ে যায় কিন্তু পালস বিট বাড়লেই গুজবাম্প হয়। আতঙ্ক,ভয়,শিহর্ ঠান্ডার অনুভুতি, কিছু শব্দ, স্পর্শ সহ বিশেষ কিছু কারণে গুজবাম্প পারে যেটা মানুষের অননয় কিছু বৈশিষ্ঠের অন্যতম।
আপনার কথার সাথে একমত।
সাথে থাকুন ভাল থাকুন।
৯| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৪৭
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: মাঝে মাঝে আমার মনে হয় সঁজারুর যেমন কাঁটা ঝাড়া দেয় আমরা তেমনি লোমঝাড়া দিই আর একেই বলে গুজবাম্প ,
তবে যাইহোক , লিখাটা ভালো লাগল গুজ বাম্প নিয়ে বেশি মাত্রায় মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর ক্ষেত্র নিয়ে গবেষণা করলে বোঝা যাবে আসলেই আমরা অনন্য কী না ! আচ্ছা মানুষের উন্নত মস্তিষ্কের সাথে এই গুজবাম্পের কোন সম্পর্ক নেই তো ?
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৪১
শেরজা তপন বলেছেন: সজারুর কাটা ঝাড়া দেয়; ভয় আতঙ্ক জনিত কারনে বা আক্রমন কারিকে ভয় দেখানোর জন্য। অনেক সময় সে নিজের পেশীকে সঙ্কুচিত করে বিশেষ উপায়ে তার কাটা ঝাড়া দেয়। কিন্তু মানুষেরটা তো একদম ভিন্ন কারনে হয়- আপনার সজারুর মত লোমঝাড়া দেয়ার বিষয়টার বিশেষত্ব আছে। নোট রাখছি
আচ্ছা মানুষের উন্নত মস্তিষ্কের সাথে এই গুজবাম্পের কোন সম্পর্ক নেই তো ?
~ সেটার কম-বেশী সম্পর্ক নিশ্চিতভাবে আছে বলে আমার বিশ্বাস।
১০| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:০৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সঙ্গীত শুনে মানুষের কেন ভালো লাগে এটার কোন ব্যাখ্যা বিজ্ঞানীদের কাছে নেই। তবে সঙ্গীত শুনলে ডোপামিন বেড়ে যায়। কেন বাড়ে এটা এখনও জানা যায়নি।
হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ যদি সবাই করতে পারতো তাহলে ভালো হত। এটা কিভাবে করে আল্লাহ জানে। আমার শিখতে ইচ্ছে করছে।
মানুষের মাথায়ও গুজবাম্প হতে পারে। কিন্তু সুখের/ দুঃখের কথা হল টাক মাথা লোকের মাথায় গুজ বাম্প হয় না।
শুনে ভালো লাগলো যে গুজবাম্প মানুষকে অন্যান্য প্রাণীদের চেয়ে অনন্য করেছে। গুজ বাম্পের ক্ষেত্রে আমরা অন্যান্য প্রাণীদের চেয়ে অনন্য। এই গুজ বাম্প সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। এখন বেশ কিছু জানলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৪৮
শেরজা তপন বলেছেন: জ্বী ঠিক বলেছেন, সুর ও সঙ্গীত নিয়ে আমার বিশেষ একটা পর্ব থাকবে। সুর ও সঙ্গীত কেন মানুষকে আন্দোলিত করে কিংবা অন্যরকম অনুভুতির জগতে নিয়ে যায় কেন চরমভাবে আবেগার্তিত হয় সেটা ব্যাপক গবেষণার বিষয়! এখানেও মানুষ অনন্য। মিউজিকে ম্যাজিক্যাল রিয়েকশান।
হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ যদি সবাই করতে পারতো তাহলে ভালো হত। এটা কিভাবে করে আল্লাহ জানে।
মানুষ চেষ্টা করলে অনেক কিছুই পারে। তিব্বতীয় বৌদ্ধ ভিক্ষুরা দীর্ঘ সাধনার পরে বিশেষ অতিন্দ্রীয় ক্ষমতার অধিকারী হয় সেসব দেখে যাদু মনে হয়। মানুষ আসলে কি পারে সেটা মানুষই জানেনা এখনো। মানুষের অনেক ক্ষমতা অজানাই রয়ে গেছে।
টাক মাথার লোকের দুর্ভাগ্যই বলতে হবে
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
১১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: প্রশ্ন আমাকে করছেন কেন?
আপনি যথেষ্ট জ্ঞানী মানুষ আপনি নিজেই চিন্তা করে দেখুন কার সাথে থাকবেন ধর্ম না বিজ্ঞানের সাথে কিংবা দুটোর সাথেই।
আমি মোটেও বুদ্ধিমান না। আমি ভাঙ্গা কূলা। ভাঙ্গা কূলা সমাজে কোনো উপকারে আসে না।
দুটোর সাথে তো থাকা সম্ভব না। দুই নৌকায় পা দিলে শেষে ডুবে মরবো।
আপনিই বলুন আমি কার সাথে থাকবো? ধর্ম না বিজ্ঞান?
প্লীজ বলুন।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৫৩
শেরজা তপন বলেছেন: আমি ধার করা জ্ঞান বিতরন করি!
বয়সে বিজ্ঞতা বাড়ে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আপনার জ্ঞানই আপনাকে সঠিক পথে পরিচালিত করবে বলে আমার বিশ্বাস।
এত অধৈর্য হবার কিছু নেই।
আপনি গভীর মনযোগে এরিস্টেটল, টেসলা আর বিবেকানন্দের জীবনী পড়তে পারেন।
১২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:১৬
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনলে আমার এমন হয়, সত্য কথা বলে দিলাম
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:০৬
শেরজা তপন বলেছেন: তাই নাকি!!!! ওয়াও- চমৎকার
১৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৪:৪১
কামাল১৮ বলেছেন: আমার আগে দুটি মন্তব্যে বিবর্তন বাদ শব্দটি ছিল।তাই বলা।আপনার পোষ্ট সম্পর্কে আমার বলার কিছু নাছ।এ সম্পর্কে আমার কিছুই জানা নাই।আমি না জেনে কিছু বলতে চাই না।
আপনারা পড়াশুনা করছেন,বর্তমান বিজ্ঞানের অগ্রগতি সম্পর্কে ধারনা রাখেন।আমার ৪৫ বছরের আগের পুঁজি আপনাদের কাছে সেকেলে।এখন আর নতুন করে জানার ইচ্ছাও নাই।আপনাদের লেখা কিছুটা পড়ি,অনেক সময় কিছু মন্তব্য পড়েই সেই মন্তব্য থেকে মন্তব্য করি।তাই বেশির ভাগ মন্তব্য ভুল হয়।ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৩১
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ কিছু পরাশুনা করছি বটে তবে বড্ড দেরি হয়ে গেছে! বরাবর আপডেট থাকার চেষ্টায় থাকি- ব্যাকডেটেড যেন না হয়ে যাই।
আপনি সব সময় পড়ে যে মন্তব্য করেন না সেটা মন্তব্যের ধরন দেখে অনুমিত হয়। তবুও মন্তব্যের ঘরে আপনাকে দেখে আপ্লুত হই- ভাল লাগে। আপনি এখনো বয়সের তুলনায় অনেক বেশী এগিয়ে আছেন(গড় পড়তা শিক্ষিত বাঙ্গালীর চেয়ে)।
আমার ড্যাসিং বন্ধুদের অনেকেই এখন দুনিয়াবির ছেড়ে পরকাল নিয়ে ভীষন ব্যাস্ত আছে!
আপনি যতটুকু পড়েন যা পড়েন তা-ই যথেষ্ঠ। অকপটে সত্য কথা সুন্দরভাবে বলার জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
১৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: এরিস্টেটল, টেসলা আর বিবেকানন্দের জীবনীনেক আগেই পড়েছি। এখনও মাঝে মাঝে পড়ি।
রাজা রামমোহন, দ্বারকানাথ, গোপাল ভাড়, বিদ্যাসাগর, মাইকেল, রবীন্দ্রনাথ ইত্যাদি কেউ বাদ নেই। সবার জীবনী পড়ে ফেলেছি।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:২৫
শেরজা তপন বলেছেন: পড়েছেন শুনে ভালো লাগলো। বিশেষভাবে এই তিনজনের কথা বলার একটা কারণ আছে;
কেননা এরিস্টটল দর্শনের সাথে বিজ্ঞান ও ধর্মকে মিশিয়েছিলেন। টেসলা বিজ্ঞানের সাথে ধর্ম ও দর্শন মিশিয়েছিলেন ও বিবেকানন্দ ধর্ম বা আধ্যাত্ম্যাদের সাথে দর্শন ও বিজ্ঞানকে মিলিয়েছিলেন।
এদেরকে গভীরভাবে পড়ে দেখুন -জানুন আপনার অনেক প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
১৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:১২
হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: আমি একজনকে দেখেছিলাম তিনি পদ্মাসনে বসে গায়ের পশম দাঁড়া করাতে পারতেন।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৩৩
শেরজা তপন বলেছেন: আমি শুনেছি শুধু- এমন একজনের সাথেও আমার দেখা হয়নি কখনো
আপনি নিঃসন্দেহে আমার থেকে ভাগ্যবান।
১৬| ৩০ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:০৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: মানুষের মাথায়ও গুজবাম্প হতে পারে, এ কথাটি আজই প্রথম শুনলাম।
ভয়ে হাতের লোম খাড়া হবার ছবিটি দেখে মনে হচ্ছে লোকটি অতিমাত্রায় ভয় পেয়েছিল।
এটা নার্ভাস সিস্টেমের রেসপোন্স। (৫ নং মন্তব্য) - আমারও তাই মনে হয়।
৭, ১১ ও ১৪ নং প্রতিমন্তব্যগুলো ভালো লেগেছে। ১৩ নং মন্তব্যটাও।
ব্যতিক্রমী পোস্ট, ভালো লাগল।
৩০ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৮:৩৩
শেরজা তপন বলেছেন: লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এই সিরিজটি আমার খুব প্রিয় একটা সিরিজ- এর মুল কারণ হল আমাদের মাথায় অদ্ভুত কিছু প্রশ্ন ঘুরপাক খায়।;মনে হয় শুধুমাত্র মানুষ-এরই এমন হয়। কিন্তু এসব প্রশ্নের উত্তর ঠিকভাবে খুঁজতে গেলে দেখা যায় শুধু মানুষ একাই নয় অন্য প্রাণীদেরও এমনটা হয়। তবুও বিশেষ কিছু ব্যাপার মানুষকে একদম অনন্য করেছে অন্য সব প্রাণী থেকে- সেগুলোই আমার খুঁটে নিয়ে আসা। তথ্য খোঁজাখুজিতে বেশ খানিকটা সময় গেলেও দারুন মজা লাগে।
বরাবরের মত আপনার আন্তরিকতাপূর্ন মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। বাকি পর্বগুলোতেও আশা করি আপনাকে সাথে পাব। ভাল থাকুন। কানাডার শেষের দিনগুলো সবাইকে নিয়ে উপভোগ করুণ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১৯
জিয়াউর রহমান ফয়সাল বলেছেন: বিভিন্ন যায়গায় যে বলা হয়ে থাকে, আগের কার যুগের মানুষ অনেক লম্বা ছিলো, এটা কি সত্যি?