নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
মগধের সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত রাতের খাবার গ্রহণ করছেন-তার পাশেই উপবিষ্ট তাঁর প্রানিধিক প্রিয় স্ত্রী দুর্ধরা! দুর্ধরা তখন নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা! রাজ চিকিৎসক বলেছেন আর মাত্র সপ্তাহ-খানেকের অপেক্ষা। তিনবছর আগে দুর্ধরা’র যমজ পুত্রের জন্ম হয়েছিল- কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে জন্মের তিন দিনের মাথায় দু’জনই মৃত্যুবরণ করে। এর পর থেকেই দুর্ধরা বেশ কিছুদিন চরম মানসিক পীড়া বা বিষণ্ণতায় ভুগেছিল। সে আহার নিদ্রা প্রায় ত্যাগ করেছিল। চন্দ্রগুপ্তের ভালবাসা আশ্বাস ও স্নেহে সে ফের সজীব হয়েছে। এবার চন্দ্রগুপ্ত রাজকার্যের পাশাপাশি যথাসম্ভব কাছে থেকে তার দেখভাল করছে।
দু’জনে একটা থালা থেকেই আহার করছিল। আচমকা দুর্ধরা ব্যথায় কঁকিয়ে উঠে ঢলে পড়ছিলেন! চন্দ্রগুপ্ত দ্রুত হাতে তাকে ধরে ফেললেন। তিনি ভাবলেন দুর্ধরার প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়েছে। তিনি চিৎকার করে সেবাদাসীকে ডেকে রাজ চিকিৎসককে খবর দিতে বললেন। দুর্ধরা প্রচণ্ড ব্যথায় নীল হয়ে গেছে! তাঁর চোখ দুটো ঠিকরে বেরিয়ে আসতে চাইছে আর শরীর যেন বরফের মত শীতল হয়ে আসছে।
রাজ-গৃহে একান্ত অনুগত দাস দাসীদের সমাবেশ – তারা তাদের সাধ্যমত চেষ্টা করছে রোগীর শুশ্রূষা করার, চন্দ্রগুপ্ত কিন্তু তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রীর হাত ছাড়েননি। অমঙ্গল চিন্তায় তিনি ভীষণ বিষণ্ণ।
রাজ চিকিৎসক দ্রুতই চলে আসলেন। তার সাথে এসে উপস্থিত হয়েছেন ইতিহাসের সর্বকালের সর্বসেরা, অর্থশাস্ত্রবীদ, কূটনীতিক, দার্শনিক, তক্ষশীলার সবচাইতে শ্রদ্ধেয় শিক্ষক, চন্দ্রগুপ্তের গুরু-মেন্টর চাণক্য! তিনি দুর্ধরার চেহারা দেখেই আশংকিত হয়েছেন- তাঁর অভিজ্ঞতায় এটা প্রসব বেদনা নয় অন্য কিছু।
রাজ চিকিৎসক রোগীকে পরীক্ষা করে ভীষণভাবে কেঁপে উঠলেন! তিনি চাণক্যকে ইশারায় কাছে ডেকে নিচু স্বরে কি যেন বললেন।
চাণক্য এমনই আশঙ্কা করছিলেন! তিনি চন্দ্রগুপ্তের কাঁধে হাত রেখে সেকথা বলতেই, চন্দ্রগুপ্ত হুঙ্কার দিয়ে উঠে তাঁর তলোয়ার কোষমুক্ত করে রাজ চিকিৎসকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইলেন। তাকে দৃঢ় হাতে থামালেন চাণক্য।
চন্দ্রগুপ্তের চোখে জল! কিভাবে সম্ভব- আমি বিশ্বাস করিনা। আমরা দুজনে একই থালা থেকে আহার করেছি। ভয়ঙ্কর বিষক্রিয়ায় সে মৃত্যুমুখে কিন্তু আমিতো দিব্যি সুস্থ আছি!!!
চাণক্য পিতার আদরে তাঁর হাত ধরে ঘরের একপাশে নিয়ে নিচু স্বরে বলল, মহারাজ, আমি এমন একটা সময় আসার আশঙ্কা করেছিলাম আপনাকে আমার আশ্রয়ে নিয়ে আসার পর থেকেই। আমার মনে হয়েছিল কোন একদিন কেউ আপনাকে বিষ দিয়ে হত্যা করতে পারে। তাই বহু বছর ধরে আমি আপনার খাবারের সাথে অল্প অল্প বিষ মিশিয়েছি- সেটা আপনার অজ্ঞাতসারে। সেজন্যই আজকের বিষ আপনার উপরে ক্রিয়া করেনি।
চানক্য বলতে থাকলেন; দেখুন, সিদ্ধান্ত দ্রুত নিতে হবে। খাবারে যে পরিমাণ বিষ মেশানো হয়েছে, তাতে দুর্ধরা বেঁচে ফিরে আসার কোন সম্ভাবনাই নেই। তবে আমরা চেষ্টা করলে তাঁর পেটের সন্তান, সম্ভবত; সে আপনার পুত্র, এই বংশের একমাত্র উত্তরাধিকারকে বাঁচাতে পারি।
সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত তখন বিস্ময়, হতাশা কষ্টে নির্বাক বিমুঢ় হয়ে গেছেন। কোন মতে জিজ্ঞেস করলেন, কিভাবে?
সম্ভবত বিষ এখনো তাঁর গর্ভাশয়ে ছড়ায়নি। যাতে ছড়াতে না পারে সেজন্য রানীর ধর থেকে মাথা আলাদা করতে হবে- তারপরে পেট কেটে আপনার সন্তানকে বের করতে হবে।
কি ভয়ঙ্কর কথা! চন্দ্র গুপ্তের যেন বিশ্বাস হচ্ছিল না! তাঁর পিতৃসম গুরু চাণক্য তাকে এমন ভয়াবহ একটা প্রস্তাব দিবেন। তিনি একটিবার মাত্র ভীষণ করুন নেত্রে তাঁর অতি প্রিয়তমা, ঘনিষ্ঠ সহচর, প্রাণপ্রিয় স্ত্রীর দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে ঘর থেকে ছট ফট করতে করতে বেড়িয়ে গেলেন। শুধু কোনমতে চাণক্যকে বললেন; আপনাদের যা ভাল মনে হয় তাই করুন।
দুর্ধরা চন্দ্রগুপ্তের মা মুরা'র বড় ভায়ের মেয়ে। পঁয়ত্রিশ বছরের মধ্যবয়সী পুরুষ সে। শিক্ষা, যুদ্ধ, শত্রুকে ফাঁকি দিয়ে পলায়ন, বন জঙ্গলে আত্মগোপন, নতুন নতুন যুদ্ধের পরিকল্পনা, সৈন্য সংগ্রহ, রাজ্য জয় করতে করতেই ত্রিশটা বসন্ত কোথা দিয়ে চলে গিয়েছিল টের পায়নি।
প্রেম ভালবাসার সুযোগই আসেনি কখনো। নারী সঙ্গ পেয়েছে কিন্তু নারী হৃদয়ের অলিতে গলিতে প্রবেশ করেনি কখনো। তাকে এমন করে আদর করে, সোহাগ দিয়ে যত্ন করে ভালোবাসেনি কেউ।
তাঁর মায়ের আবদারে – মামাতো বোন দুর্ধরাকে প্রথম দেখাতেই ভাল লেগেছিল। কতই বয়স হবে তাঁর তখন –এই এগার বার বছরের কিশোরী সে তখন সবে।( ভারতবর্ষে তখন ৭ থেকে ১২ বছরের মধ্যে কন্যার বিয়ে দেয়ার নিয়ম ছিল। বয়স ১২ বা তাঁর ঊর্ধ্বে গেলেই সে কন্যার বিয়ে দেয়া ভীষণ কঠিনতর ছিল)।
এখন সতের বছরের যুবতী সে মাত্র। পৃথিবীকে বোঝার আগেই চেনার আগেই –তাকে বিদায় নিতে হোল।
সেদিন পৃথিবীর ইতিহাসের চিকিৎসা শাস্ত্রে এক অনন্য নজির স্থাপন হয়েছিল। এই প্রথম মৃত মায়ের পেট কেটে সুস্থ সন্তানকে বের করে আনা হোল। জন্ম হল সুদূর আফগানিস্তান থেকে কাশ্মীর হয়ে কন্যাকুমারী, নেপাল থেকে বাংলার অন্যতম ক্ষমতাধর নৃপতি ও সম্রাট অশোকার পিতা বিন্দুসারের! কপালে একটা কালো তিলক নিয়ে জন্মালেন তিনি- বলা হয় মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থাতেই বিষের ফোঁটা কপালে পড়েই তাঁর এই তিলকের সৃষ্টি!
~~~~~~~~~~~~~~~~
(দুর্ধরা ছিলেন সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের প্রথম স্ত্রী এবং প্রধান সহধর্মিণী। তার নামের অর্থ 'বিশিষ্ট'। জৈন গ্রন্থ অনুসারে মহাবংশতিকা দুর্ধরা ছিলেন চন্দ্রগুপ্ত মা মুরার বড় ভাইয়ের মেয়ে। দুর্ধরা এবং চন্দ্রগুপ্তের বিবাহ হয়েছিল ৩২৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দে। তিনি একজন সাধারণ মানুষ থেকে ভারতের সম্রাট পর্যন্ত স্বামীর সাফল্য উপভোগ করতে বেশি দিন বাঁচেননি। পুত্র বিন্দুসারের জন্ম দেওয়ার ঠিক আগে তিনি মারা যান। বলা হয় বিষের এক ফোঁটা শিশুর কপালে পড়ে কালো গোলাকার দাগ তৈরি করেছিল। তাই তাঁর নাম রাখা হয়েছিল বিন্দুসার। বিন্দুসার চাণক্যের প্রিয় হয়ে ওঠেন যিনি তাকে চরম স্নেহের সাথে লালন পালন করেছিলেন এবং তাকে যুদ্ধ এবং প্রশাসন সম্পর্কে শিক্ষা দিয়েছিলেন।
দুর্ধরা ছিলেন মগধ সাম্রাজ্যের প্রথম সম্রাজ্ঞী এবং রানী মাতা (মরণোত্তর)। চন্দ্রগুপ্ত তার মৃত্যুর পর দীর্ঘদিন কাউকে বিয়ে করেননি। চন্দ্রগুপ্ত দুর্ধরাকে খুব ভালোবাসতেন যদিও পরবর্তীকালে তিনি রাজনৈতিক বাধ্যতার জন্য সর্বপ্রথম ধনানন্দের (নাম অজানা) কন্যা নন্দ রাজকন্যাকে বিয়ে রানী করেছিলেন এবং পর আরও অনেক রাজকন্যাকে বিয়ে করেছিলেন, তবুও দুর্ধরা কেবল চন্দ্রগুপ্তের (মরণোত্তর) প্রধান স্ত্রী এবং মৌর্য সাম্রাজ্যের সম্রাজ্ঞী ছিলেন। চন্দ্রগুপ্তের আর কাউকে কখনো রাজরানী বা প্রধান রাণী বানাননি।)
********#********
ছুটির দিনে আকামে বসে থেকে ঐতিহাসিক একটা ঘটনা নিজের মত বয়ান করার চেস্টা। ভুল-ভাল থাকলে আওয়াজ দিবেন।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৫৪
শেরজা তপন বলেছেন: নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন; তখন জৈন ধর্মের প্রচলন ছিল বেশি আর চন্দ্রগুপ্ত জৈন ধর্মের অনুসারী ছিলেন।
বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীরা চাণক্যের চেয়েও চালু। চাণক্য বেচে থাকলে এদেরকে গুরু মানতেন।
তা বটে তা বটে
২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:০৮
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: এই ঘটনাটা আমার কাছে অলীক মনে হয় , চাণক্য তার এই বিষপ্রয়োগের মেথড দিয়ে বিষকন্যা তৈরী করেছিল । বিষ অনেক দিন ধরে অল্প অল্প করে প্রয়োগ করলে যে আর বিষক্রিয়া হবে না এটা এই যুগে এসে মেনে নেয়া যাবে ? এছাড়া চাণক্যের বিষকন্যা তৈরীর ব্যাপারটাও যেমন অলীক তেমনি রক্তে বিষ থাকবার কারণে বিষকন্যার চুমুতেই বিষক্রিয়া হবে এমন কর্মও ভিত্তিহীন । আর বিন্দুসারের জন্মটাও কেমন যেন অলীক এই এক চাণক্য আর চন্দ্রগুপ্তকে নিয়ে যে কত রকমের কিংবদন্তি আছে রে ভাই ! এদিকে আবার ভারতে ওনাদের কিংবদন্তিকে আসল ইতিহাস বলে চালিয়ে দিতে বদ্ধপরিকর কিছু ইতিহাসবিদ !!
লিখাটা কিন্তু তবুও দারুণ ছিল , কিছূ সময় হলেও ভালো কাটল পড়ে !
২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০০
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ কিছু কল্প কাহিনী আর কিছু সত্য মিলিয়ে তালগোল পাকিয়ে রাজা আর সম্রাটদের দেবতার আসনে বসিয়ে উদ্ভট কিছু গল্প প্রচলিত হয়েছিল।
এযুগে এসে তার বেশীরভাগই গাল্গল্প মনে হয়।
ব্যাপারটা তা নয়; চন্দ্রগুপ্তের খাবারে শত্রুপক্ষ বিষ মিশিয়ে ছিল। সেই খাবার খেয়েই দুর্ধরার বিষক্রিয়া হয়।
খাবারে অল্প বিষ মেশানোর ব্যাপারটা, আলেকজান্ডার থেকে শুরু করে অটোমেন সম্রাটদের থেকে রাসপুতিনের জীবনিতেও আছে। এটা একেবারে অবিশ্বাসযোগ্য নয়।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভ্রাতা। ভাল থাকুন
৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:০৮
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: @সাড়ে চুয়াত্তর , তখন জৈন ধর্মের প্রচলন ছিল বেশি !!!!
২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০১
শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক বলেছেন। তথ্য দেবার জন্য ধন্যবাদ।
৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:১৫
কামাল১৮ বলেছেন: ইতিহাসের কিছুটা জানা যায় বনলতা সেন কবিতা থেকে।ইতিহাস জানিনা বলেই বনলতা সেন কবিতা দুর্বোধ্য লাগে।শব্দ গুলো কেমন খটমট ।মগধ ভারতের কোন অংশ। এদের কে কি মঘ বলা হতো।এরাই কি বর্গী।চানক্যরা কি নাস্তিক ছিলো।অনেক গুলো প্রশ্ন করে ফেললাম।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৫২
শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক বলেছেন; অনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে।
চন্দ্রগুপ্ত ছিলেন বিখ্যাত মৌর্য স্ম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা। পূর্বে বাংলা থেকে পশ্চিমে আফগানিস্তান ও বেলুচিস্তান, উত্তরে কাশ্মীর থেকে দক্ষিণে দাক্ষিণাত্য মালভূমি পর্যন্ত তার শাসন প্রতিষ্ঠিত ছিল। ভারতের ইতিহাসে ইতিপূর্বে এর চেয়ে বৃহৎ সাম্রাজ্য নির্মিত হয়নি।
চন্দ্রগুপ্ত জৈন ধর্মের অনুসারী ছিলেন। বিন্দুসার একজন ব্রাহ্মণ আজীবিক ধর্মের অনুসারী ছিলেন(আজীবিক একটি অন্যতম মুখ্য ভারতীয় ধর্ম। এই ধর্ম ২০০০ বছর ভারতীয় উপমহাদেশে প্রচলিত ছিল। মক্খলি গোসালা এই ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি গৌতম বুদ্ধের সমসাময়িক ছিলেন।পরে তারা বুদ্ধের শিষ্য হয়ে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেন।)
বিন্দুসারের ছেলে অশোক বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী হন এবং তার সময়েই বৌদ্ধ ধর্ম সবচেয়ে বেশী প্রচার ও প্রসার লাভ করে। তবে তিনি ভয়ঙ্কর দুর্ধর্ষ ও নিঃশ্বংস শাসক ছিলেন বলে জানা যায়।
জানা যায়;
অশোককে সিংহাসনলাভে যে সকল মন্ত্রীরা সাহায্য করেছিলেন অশোক তাঁদের আনুগত্য অক্ষুণ্ন আছে কিনা তা পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিলেন। তিনি মন্ত্রীদের সাম্রাজ্যের সব ফল ও ফুলের গাছ কেটে ফেলার আদেশ দিলেন। কিন্তু মন্ত্রীরা এমন নির্বোধের মতো কাজ করতে অস্বীকৃতি জানালেন। এতে তিনি ৫০০ মন্ত্রীর শিরশ্ছেদ করেছিলেন।
৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:১৯
জুল ভার্ন বলেছেন: আমার প্রিয় সাবজেক্ট নিয়ে লিখেছেন। খুব ভালো লাগলো লেখাটা। প্লাস।
২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০২
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার পাশাপাশী আমারও ভাল লাগার একটা বিষয়।
চানক্য আর চন্দ্রগুপ্তকে নিয়ে বড় একটা আর্টিকেল রাফ করে রেখেছি।
বরাবরের মত সাথে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা।
৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:২২
সোনাগাজী বলেছেন:
আদি ভারতের রাজারাণীদের রূপকথা?
২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০৫
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার জীবন কাহিনীও রুপকথা থেকে কম নয়।
দুই তিন হাজার বছরের কাহিনীতে একটু কল্পকথা মেশানো থাকবে বা অতিগল্প হবে বৈকি! এটা আর তেমন কি।
৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০১
সোনাগাজী বলেছেন:
আমাকে অনেকবার পড়তে হবে; ব্লগার "জুল ভার্ন" ইহাকে প্রিয় সাবজেক্ট বলেছেন, এখানে কিছু একটা আছে!
২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:১০
শেরজা তপন বলেছেন: বিশ্বাস করেন; আমি আপনার কাছ থেকে এমনধারার একটা মন্তব্য পাব বলে এইমাত্র ভাবছিলাম।
আমি 'জুলভার্ন' ভাইকে সবিশেষ শ্রদ্ধা করি- আপনাকেও অশ্রদ্ধা করি না। ব্লগে অনেক নতুন অল্পবয়েসী ব্লগারেরা আসেন। তারা এমন অনুরাগ বিরাগ দেখলে আপনাদের মত বয়োঃজৈষ্ঠদের খুব বেশী সম্মান করবে বলে মনে হয় না।
৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:১৫
সোনাগাজী বলেছেন:
আমি "বাগাড়" মাছ খাওয়ার পর থেকে কিছুটা ওলটপালট কথা বলছি।
২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:২০
শেরজা তপন বলেছেন: বাগাড় মাছ যে সরাসরি মগজে হিট করে জানা ছিল না।
আপনি বাগাড় মাছ দেখেছেন কখনো। কর্ণফুলি, কাপ্তাই আর নাফ নদীতে এই মাছে আছে বলে জানা নেই।
৯| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:০৩
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ব্যাপারটা তা নয়; চন্দ্রগুপ্তের খাবারে শত্রুপক্ষ বিষ মিশিয়ে ছিল। সেই খাবার খেয়েই দুর্ধরার বিষক্রিয়া হয়।
খাবারে অল্প বিষ মেশানোর ব্যাপারটা, আলেকজান্ডার থেকে শুরু করে অটোমেন সম্রাটদের থেকে রাসপুতিনের জীবনিতেও আছে। এটা একেবারে অবিশ্বাসযোগ্য নয়।
সে আছে কিন্তু এটা কী বিশ্বাসযোগ্য ? একটু একটু বিষ খেলেও তো শরীরের কোন না কোন আঙ্গের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে । এই যে আমরা একটু একটু করে ফরমালিন খেয়ে এসেছি আমাদের কী পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে তা তো আমরা টের পাচ্ছি । তেমন আরকি , আমি আসলে তর্ক করছি না । এটাকে আলাপ বলতে পারেন !!
২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৫১
শেরজা তপন বলেছেন: এ বিষয়টা নিয়ে কাউকে তেমন প্রতিবাদ করতে দেখিনি।
তবে আমার এলাকার এক ভদ্রলোক নিয়মিত আফিম খেতেন- এক সময় তার শরির নাকি এন্টি পয়োজনাস হয়ে গিয়েছিল।
তর্ক করলে করবেন- স্পোর্টিং হলে এতে আপনার আমার দুজনেরই জ্ঞানীয় উন্নতি হবে।
ধন্যবাদ- ফের মন্তব্যে আসার জন্য।
১০| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:২৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ইতিহাস ছাত্র জীবনে পড়া হয়নি বলে এখনো এইসব কম জানা। তাই আপনার পোষ্ট পড়ি ভুল বলতে পারবো না।
২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৪৭
শেরজা তপন বলেছেন: পড়েছেন এই ঢের- আপনার সৌজন্যতা ও অকপটে অক্ষমতা প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন।
১১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:১৭
অনল চৌধুরী বলেছেন: বৈজন্তীমালার আম্রপালি ছবিটা দেখেন।
মৌর্য যুগ, সেইসময়ের সংস্কৃতি, নারীদের পরতি দৃষ্টিভঙ্গী ও বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কে কিছু ধারণা পাওয়া যাবে।
https://www.youtube.com/watch?v=JpvH0S_FJow
২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:২৪
শেরজা তপন বলেছেন: আম্রাপালি নিয়ে ছবি আছে জানা ছিল না।
ধন্যবাদ লিঙ্ক শেয়ার করার জন্য।
তবে আদি ভারতের ইতিহাসের সত্য ঘটনা জানা প্রায় অসম্ভব! অতি অল্প কিছু রেফারেন্স আর বাদ বাকি ধারনা আর কল্পনা দিয়ে ইতিহাস রচনা করা হয়েছে।
১২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৪৫
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
চাণক্য আসলে কি হতে চাইতো?
২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:২১
শেরজা তপন বলেছেন: কিং মেকার
১৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৪:১৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভাল লিখেছেন।
তুর্ক পারস্য আরব মরুভূমির ডাকাত তস্কররা আসার আগের ভারতের ইতিহাস শান্তিপুর্ন সমৃদ্ধ, ভাল ছিল।
২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৪৬
শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক।
জ্ঞান বুদ্ধি শৌর্য বীর্যে সমৃদ্ধিতে প্রাচীন ভারত বেশ এগিয়ে ছিল। শুধু কুসংস্কার ছিল বেশী মাত্রায়।
ওরা আসার পরে আমরা চাকর ও চাটুকার হয়ে গেছি।সেই অবস্থান থেকে আর বের হতে পারছি না
১৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৪৩
ঊণকৌটী বলেছেন: ভারতীয় জাতীয় পতাকার ঘন নীল রঙের যে চক্র টি থাকে তা সম্রাট অশোক এর জাতীয় প্রতীক
২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০০
শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক বলেছেন- ওটাকে বলাহয় অশোক চক্র।
অশোকের মত এমন দুর্ধর্ষ, শক্তিমান, বুদ্ধিমান ও ভয়ানক নিষ্ঠুর নৃপতি ভারতবর্ষে আর দ্বীতিয়টি নেই। এত বিশাল ভূ-খন্ডের অধিপতি সম্ভবত আর কেউ কখনোই হননি।
ধন্যবাদ আপনাকে
১৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৩২
ইসিয়াক বলেছেন: জানা ছিল না বিষয়টি।
বেশ আগ্রহ উদ্দীপক পোস্ট।
ব্লগ থেকে প্রতিদিন কত কিছু যে জানতে পারছি।
চাণক্য ও চন্দ্রগুপ্তকে নিয়ে আপনার আর্টিকেলটি পড়বার অপেক্ষায় রইলাম।
শুভেচ্ছা প্রিয় ব্লগার।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৬
শেরজা তপন বলেছেন: অজানা বিষয় জানাতে পেরে আমি প্রীত ও আনন্দিত।
দুঃখির এত দেরিতে এসে মন্তব্যের উত্তর দেবার জন্য। ব্যস্ততার সময় ভাল মন্তব্যগুলো আমি জমিয়ে রাখি পরে জমিয়ে উত্তর দিব বলে। সেটা আর হয়ে ওঠে না।
আশা করি কোন একদিন পাবেন। ভাল থাকুন।
১৬| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৫১
ঊণকৌটী বলেছেন: কলিঙ্গ যুদ্ধের ভয়াবহতা অশোকের মনোভাবের আমূল পরিবর্তন ঘটায়। অহিংস ধর্মীয় নীতি গ্রহণের মাধ্যমে মৌর্য সাম্রাজ্যের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেন। অধপর শান্তি, সামাজিক প্রগতি ও ধর্ম বিজয়ের পর্ব শুরু হয় যা অশোক কে বিশ্বজনীন ও সমগ্র পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ সম্রাটের সিংহাসনে অভিষিক্ত করেছেন। তাঁর মতো প্রতিভাবান সম্রাট শুধু ভারতের ইতিহাসে নয়, বিশ্ব ইতিহাসে বিরল।
২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৪৯
শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক তবে ইতিহাস বলে; তিনি রাজ্যে শান্তি রক্ষার্থেই হোক কিংবা বাধ্য হয়েই হোক এরপরেও তিনি অনেক নিঃশ্বংস কর্মকান্ড ঘটিয়েছিলেন। বিশেষ করে জৈন ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে ভয়ংকর নৃশংসতা চালিয়েছিলেন।
ফের এসে মন্তব্য করে চমৎকার কিছু তথ্য দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। বিজয়ীদের অনেক অপরাধ কর্মকাণ্ড ঢাকা পড়ে যায় ইতিহাসবিদরা তাদের পক্ষ হয়ে লেখার জন্য।
১৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:২১
রাজীব নুর বলেছেন: সেই সময় আপনার জন্ম হলে কেমন হতো?
২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৩৩
শেরজা তপন বলেছেন: আফসোস আমি হয়তো একটু আগে ভাগেই এসে গেছি।
অতীত নয় ভবিষ্যত পৃথিবীকে আমার দেখার বড় সখ।
১৮| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৩১
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: @হাসান কালবৈশাখী বলেছেন
তুর্ক পারস্য আরব মরুভূমির ডাকাত তস্কররা আসার আগের ভারতের ইতিহাস শান্তিপুর্ন সমৃদ্ধ, ভাল ছিল।
সিন্ধু সভ্যতার পরবর্তী সময়টা তো শক আর আর্যদের ইতিহাসে ভরা , তারা সবাই পারস্যের লোক ছিল । চন্দ্রগুপ্ত সেই সময়ের যখন আর্যরা এই উপমহাদেশে থিতু হয়ে সভ্যতা গড়ে তুলে অনেক সময় কাটিয়ে দিয়েছে , তো এই পারস্যদের সভ্যতার ফসল তো চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যরা । তাই আপনার এই কথাটা সম্পূর্ণরূপে অবান্তর হয়ে গেল না ? আমি জানি আপনি মুসলিম শাসকদের কথা বলছেন আচ্ছা আর্য আর শকেরা কী সন্ন্যাসী ছিল ? নাকি তারা কোন সাম্রাজ্যবাদীতার কোন নিদর্শন রাখেনি !
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৭
শেরজা তপন বলেছেন: -বৈশাখী সাব আর আসেননি। তবে তাকে অন্ধভাবে সমর্থন দেয়ায় ভুল আমারও হয়েছে।
আমি আপনার মত ভেবে দেখিনি।
ধন্যবাদ
১৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৩৪
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
খুব সুন্দর পোস্ট। ইতিহাস জানা হল ।
অনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতে
সেখানে ছিলাম আমি; আরো দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে;
জীবনবাবুর কবিতার এই দুটি লাইন মনে পড়ল বিন্দুসার নামটি উচ্চারণ করার পর। বিম্বিসার, বিন্দুসার এরা দুজন যদিও ভিন্ন ব্যক্তি ।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৮
শেরজা তপন বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
এই কবিতাটা এতবার প্পড়লাম তবু মুখস্ত হোল না।
ভাল থাকুন সুন্দর থাকুন।
২০| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১২
আমি সাজিদ বলেছেন: চাণক্যের চিকিৎসা পদ্ধতি এবং বিন্দুসারের জন্মের ইতিহাস জানলাম। রাসপুটিনের মৃত্যু নিয়েও পড়েছিলাম যে শুরুতে তাকে বিষ দিয়েও হত্যা করা যায় নি। জৈন ধর্ম এখনও ভারতে আছে এবং কোথায় যেন দেখলাম তাদের ধর্মগুরু উলঙ্গ হয়ে ঘুরে বেড়ান। চাণক্য ও চন্দ্রগুপ্তকে নিয়ে লেখাটি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:২৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিন্দুসার তাহলে সম্রাট অশোকের বাবা। চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য হল অশোকের দাদা।
ঐ সময় মনে হয় বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাব ছিল বেশী।
বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীরা চাণক্যের চেয়েও চালু। চাণক্য বেচে থাকলে এদেরকে গুরু মানতেন।