নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জানেন কি -একটা বাঘে দিনে কয় কেজি মাংস খায়? না জানলে জেনে নিন লজ্জার কিছু নাই!

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৪৮


দেশের স্বনামধন্য পত্রিকাগুলোতে এত বেশী বস্তুনিষ্ঠ জনগুরুত্বপূর্ণ অতিশয় জ্ঞানগর্ভমূলক এমন চমৎকার সংবাদ প্রকাশ করে যে, আমি খানিকটা অদ্ভুদ উদ্ভট বিনোদনমুলক খবর পাঠের প্রত্যাশায়; নিয়মিত সস্তা দামের পত্রিকা ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ রাখি।
এদের খবর পাঠ করলে বোঝা যায় সাংবাদিকতা কতটা মহান গুরুত্বপূর্ন সৎ ও নিষ্ঠার একটা পেশা। এরা পত্রিকার চিপায় চাপায় এমন সব চাঞ্চল্যকর সংবাদ ছাপাবে যা পড়ে আপনার গায়ের লোম/পশম সব দাঁড়িয়ে যাবে।

এই যে আজকের একটা টাটকা নিউজ
; দক্ষিনের অমুক নায়ক স্যুটিং স্পটে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে ফিরে এলেন।
খবরে প্রকাশ, দক্ষিনের অমুক তুমুল জনপ্রিয় নায়ক স্যুটিং স্পটে শট দেবার সময়ে অতর্কিতে দেয়াল ভেঙ্গে ঢুকে পড়া একটা নিয়ন্ত্রনহীন ট্রাকে চাপা থেকে মুহুর্তের জন্য বেঁচে যান। কোন এক স্পট বয় তার জান বাজি রেখে ত্বরিত তাকে সেখান থেকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে না দিলে তিনি তৎক্ষণাৎ ট্রাকে চাপা পড়ে মারা যেতেন।(হুবুহু না পুরা বেরেন থেইক্যা লিখছি)
-কি মিয়া গায়ের লোম খাড়াইছে? এইবার ভাইরাল হওয়া ভিডিওটা দেখেন। তাইলে বুঝবেন।

কিংবা অমুক নায়িকা অল্পের জন্য বোমা হামলা থেকে বেঁচে গেলেন!
-তাই নাকি- কইস কি মফিজ? এই নায়িকা মইর‍্যা গেলে আমিতো সুইসাইড খাইতাম। পড় দেখি কি লিখছে?
মুক নায়িকা দিল্লী থেকে বোম্বে ফেরার পরে জানতে পারল; দিল্লীর ওই হোটেল থেকে বের হবার মাত্র ঘন্টা তিনেক পরে কিলোমিটার খানেক দূরে আরেক হোটেলে জঙ্গী হামলা হয়েছে!! কিছু ককটেলের শব্দ পাওয়া গেছে।
ভাইরালঃ এই নিয়ে নায়িকা মিডিয়ার সামনে কান্নাকাটি করে বেড়াছেড়া অবস্থা। সে কালো একটা কম্বল টাইপের ওড়না গায়ে দিয়ে ঘুরছে। চোখে কালো চশমা( কাদতে কাঁদতে চোখ ফুলে গেছে তাই)। মিডিয়ার সামনে তার বাহু উন্মুক্ত করে এখনো দাঁড়িয়ে থাকা লোম দেখাচ্ছে!!

কিংবা, দৌলতদিয়া ঘাটে ধরা পড়ল বিশাল পাঙ্গাস!!
ছবি;একটা পাঙ্গাস মাছ হাতে দুইজন লোক হাসি হাসি মুখে দাঁড়িয়ে আছে।
দৌলতদিয়া ঘাট স্থানীয় প্রতিনিধির বরাত দিয়ে বলা হয়; গতকাল দৌলতদিয়া ঘাট নিবাসী চানু মোল্লার মাছ ধরার জালে পদ্মা নদীতে বিশাল এক পাঙ্গাস ধরা পড়ে। ঘাটে আসার পরে মেপে দেখা যায় সেই পাঙ্গাসের ওজন ১৮ কেজি। এই বিশালাকৃতির মাছ দেখার জন্য দৌলতদিয়া মাছের আড়তে সর্বস্তরের জনগন ভিড় করছে।
এইসব সংবাদ দেখে আমার সারাদিনের ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। নতুন উদ্যোমে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ি। আর যেদিন ‘তসলিমা নাসরিনে’র কলাম আসে সেইদিনতো কথাই নাই। দুপুরের খাবার ভুলে তার কলাম পড়ি।
বাঘের পেটে কোটি টাকার মাংস
‘বাংলাদেশ প্রতিদিনে’র সংবাদ আমি একা একা পড়ে দারুন জ্ঞানার্জন করে একা একা জ্ঞানী হয়ে যাচ্ছি – না আমার সাথে ‘মফিজ’ ও আছে, ও পড়ে আর আমি শুনি। মাঝে মধ্যে মনে চায় আপনাগো লগে কিছু শেয়ার করি। আজকের এই সংবাদটা ছিল বিশেষ কিছু। আপনাদের জ্ঞানীয় উন্নতির জন্য বিশেষ করে বদ্দা, ঠাকুর মাহমুদ ভাই,গোফরান ভাই সহ চাঁটগায়ের ব্লগারেরা বেজায় খুশী হবেন দেখে শেয়ার করতে মন চাইল;
*****
মুল খবরঃ সাদা বাঘে রঙিন চিড়িয়াখানা
সাংবাদিক;রেজা মুজাম্মেল,চট্টগ্রাম
--------------
- চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ছিল বাঘশূন্য। ২০১৬ সালের ১৬ নভেম্বর চিড়িয়াখানা ব্যবস্থাপনা কমিটির তৎকালীন সভাপতি মেসবাহ উদ্দিন ও সদস্য সচিব মোহাম্মদ রুহুল আমীনের উদ্যোগে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে আনা হয় দুটি বাঘ। মাত্র ছয় বছরে চিড়িয়াখানায় এখন বাঘের সংখ্যা ১৬টি। এর মধ্যে পাঁচটিই বিরল সাদা বাঘ। একসঙ্গে এতগুলো বাঘ দেশের আর কোথাও নেই।

আমিতো এটুকু খবর মফিজের মুখে শুনে আকর্ণ দন্ত বিকশিত করে হাসতে লাগলাম! কি তেলেসমাতি। মাত্র ছয় বছরে দুইটা থেকে ১৬ খানা ব্যাঘ্র! ! উৎপাদন রেশিয়ো তো চমৎকার। বাঙ্গালীর মান রেখেছে ব্যাটা। এইজন্যই তো বাঙ্গালীরা ‘বাঘেরর বাচ্চা’ উপাধি দেয়। এরপরে আবার ৫ খানা সাদা মানে অতি বিরল আলবিনো ব্যাঘ্র!!!
-কস কি মফিজ তেত্রিশ লাখ টাকার বাঘ ৬ বছরে প্রফিট দিছে ২৩১ লাখ টাকা। তার উপরে বিরল সাদা বাঘের দাম কয়েক্গুন! প্রফিট আর প্রফিট। ফাও কথা কস ক্যান- সরকারের সব খাতে খালি লস আর লস! এই দেশের চাঁটিগা’রে বিশ্ব ব্যাঘ্র প্রজনন ক্ষেত্র ঘোষনা করলে -কেমন হয় ক’দি?
-পরের টুক পড়তো দেখি আর কি কি চাঞ্চল্যকর সংবাদ আছে?

আজ্ঞে; চিড়িয়াখানা ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সদস্য সচিব মোহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, চট্টগ্রামের একমাত্র চিড়িখানায় বাঘ থাকবে না, তা ভাবাই যায় না। তাই মেজবাহ স্যারের একান্ত প্রচেষ্টায় আফ্রিকা থেকে দুটি বাঘ আনার পর তাদের নাম দেওয়া হয় শুভ্রা ও রাজ। তাদের ঘরে জন্ম নেয় সাদা বিরল বাঘ। পর্যায়ক্রমে বাঘগুলোর ঘরে আসে ১৬টি শাবক। এর মধ্যে পুরুষ বাঘ পাঁচটি এবং মহিলা বাঘ ১১টি।
-দুর্দান্ত! এই মেজবাহ সাহেবরে এইবার স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়া উচিৎ। সুন্দরবনের সব বাঘ ধরে তার হাতে দিলেই হয়। সারা দেশ বাঘময় হয়ে যাবে। থামলি ক্যান পড়?
-উস্তাদ একটু ভুল লিখছে মনে হয়!! ‘মফিজ মাথা চুলকাচ্ছিল।‘
-কি ভুল লিখল ক’দি?
-বাঘগুলোর প্রধান খাবার গরু ও মুরগির মাংস।
-ঠিকইতো লিখছে। তোর কি মনে হয় ওরা দুম্বার মাংস ছাড়া খায় না?
-না উস্তাদ এর পরের লাইন; দৈনিক তাদের জন্য প্রয়োজন হয় প্রায় ৬ লাখ টাকার ৭২ কেজি মাংস। প্রতি মাসে তাদের জন্য মাংস কিনতেই ক্রয় হয় প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
-হেঃ হেঃ তা ভুল আছে একটু। এরা অনেক ব্যাস্ত মানুষ- তাড়াহুড়ায় লিখছে মনে হয়। ওইখানে হবে একটা বাঘ প্রতিদিন ৭২ কে জি মাংস খায় তাইলে ১৬ খানা বাঘের ১১৫২ কেজি মাংস লাগে যার দাম ৬ লাখ।
-কন কি বস ৬ বছরে ১৩০ কোটি টাকার মাংস খাইছে!!!
-এবার আমি মাথা চুলকাই; ছয় বছর আগেতো সব বাঘ ছিলনা- ওইখান থেইক্যা ত্রিশ/চল্লিশ কোটি বাদ দে।
আচমকা আমি চিৎকার করে উঠলাম, মফিজ-রে ছয় বছরে বাঘে ১০০ কোটি টাকার মাংস খায়া ফেলছে রে! চাঁটিগার বেবাক গরুতো ওরা খাইয়া সাফ কইরা ফেলল!!
এই ব্যাটা মফিজ ক’দি দিনে ৭২ কেজি মাংস কেমনে খায় ওরা- আরে দ্যাখতো কেজি প্রতি মাংসের দাম কত পড়ল?
-ওস্তাদ, ৫২০ টাকা কেজি।
-এইটা কি গরুর মাংসের দাম নাকি ব্রয়লার মুরগীর দাম? ওরা কি মইষের মাংস খায় না?
-আপনি এত জ্ঞানী মানুষ বস আপনি না জানলে আমি জানবে ক্যামনে?
-আচ্ছা মফিজ গুগুল মাইর‍্যা দ্যাখতো একেকটা বাঘের ওজন কত?
-এইখানে লিখছে ৮ ফুট লম্বা এক মদ্দা বাঘের ওজন ১৫০ কেজি আর মাদী বাঘের ১২০ কেজি।
-কস কি মফিজ এগো পুরা বডিতে পাকস্থলী নাকি!! ওজনের অর্ধেক মাংস খায়!!! মদ্দা পাঁচখান, ১১ খান মাদি হইলে পুলাপাইন কই? ওরাও কি ৭২ কেজি খায়?
-মফিজরে আমার মাথাডা ঘুরাচ্ছে- দেতো ফোনডা এট্টু ওয়াল্ডডা ঘুইরা আসি।

হাতি খায় দিনে পাঁচশ পাউন্ড! এই খাবার এর কোয়ান্টিটি বেশী মনে হইলেও এটা তার শরিরের মুল ওজনের মাত্র এক শতাংশ। হাতি খুব কম ঘুমায়; দিন রাত বেশীরভাগ সময় এরা খাবার খোঁজায় ব্যাস্ত থাকে।


অতিক্ষুদ্র মৌমাছি হামিংবার্ড ( সাইজ ৬১ মিলিমিটার) নাকি তার শরিরের অর্ধেক পরিমান মধু পান করে। সাকুল্যে ওর ওজন আড়াই গ্রাম। সে বেচারা ফুল থেকে মধু সংগ্রহের নিমিত্তে একখানে স্থির থাকার জন্য মিনিটে ৪০০০ বার এর অধিক পাখা নাড়ানোর প্রয়োজনে যে পরিমান শক্তি ক্ষয় হয় সেটা পুরণের জন্য তাদের দৈনিক সোয়া একগ্রাম মধু পান করতে হয়।


এবার পেলাম এক ইদুর ব্যাটারে। এইটা সবচেয়ে বড় খাদক –‘পিগমি শ্রে’ নামে এই ইঁদুর শ্রেণীর প্রাণী খাবারের খোঁজে ২০০০ বর্গ- মাইল ব্যাপি চষে বেড়ায়। প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর এদের খাবার চাই। প্রানী জগতের সবচেয়ে দুর্দান্ত বিপাকীয় শক্তি এদের। এই জাতীয় ইঁদুরের হৃদপিন্ডের গতি নাকি মিনিটে ৮০০ বার। যার জন্য তাদের প্রচুর এনার্জী প্রয়োজন হয়। এরা নাকি নিজেদের ওজনের তিনগুন খাবার খায় প্রতিদিন।

দিকে সবচেয়ে বড় দানবের খাবারের খবর নেয়া হোল না। প্রতিদিন যার চার টন খাবার লাগে। সুমুদ্রের অতীব ক্ষুদ্র ‘ক্রিল’ তাদের একমাত্র খাদ্য। এত খাবার তবুও ওরা তাদের শরিরের ওজনের মাত্র ৫০ এর এক ভাগ খায়। দানব এই নীল তিমিদের ওজন দুইশ টন অব্দি হয়।
কই এখানেতো বাঘের কথা নাই!! তাহলে ওরা যে বলল, গুড়া,গারা, বুইড়া,ধারী, মদ্দা, মাদী প্রতিদিন ৭২ কেজি মাংস খায়!! প্রতিদিনে ৭২ কেজি মাংস খাওয়া বাঘের খবর ওরা মনে হয় এখনো পায় নাই।
-একটা প্রাপ্ত বয়স্ক বাঘের সপ্তাহে লাগে চল্লিশ কেজি মাংস। প্রতিদিন হিসেবে ৬ কেজির কিছু বেশী। একবার পেটপুরে মাংস খাবার পরে ওরা কয়েকদিন অভুক্ত কাটায়। বাঘিনীর খাদ্যের চাহিদা আরো কম।
-তার মানে ২২০ টাকা কেজি ব্রয়লার আর ৭০০ টাকা কেজি গরু –দুইটা মিলে কেজি পড়ে ৪৬০ টাকা( আজকের বাজার দর হিসেবে। বাঘ যদি কচি দেশী ষাড়ের মাংস আর দেশী মুরগী না খোঁজে।)
-সবগুলারে গড়ে ৬ কেজি প্রতিদিন ধরলে- যান চার কেজি বাড়িয়ে দিলাম। আদরের বাঘ বলে কথা। তাছাড়া ওদেরও ঘরে একটু ভাল মন্দ রান্না বান্না করতে হয় তো।

-১০ কেজি গুণ ১৬ টি বাঘ= ১৬০ কেজি গুণ ৪৬০ টাকা দর = ৭৩৬০০ টাকা গুণ ৩০দিন= মাসে ২১,৯০০০০(একুশ লাখ নব্বুই হাজার) গুণ ১২ মাস= বছরে ২৬২,৮০০০০.০০( দু কোটি বাষট্টি লাখ আশি হাজার)
-এমন করে তাকাচ্ছেন কেন? যান ধরলাম ৩ কোটি। মাসে ১ কোটি ৮০ লাখ হইলে বছরে ২১ কোটি ৬০ লাখ তার থেকে বাদ দেন ৩ কোটি- তাইলে হইল কত?


-থাকল জিরো টাকা মিয়া। এইটা বাংলাদেশের হিসাব- এত ত্যানা প্যাচান ক্যান? আর একটাও কথা কইবেন না সোজা হাটা দেন নাইলে এই জীবনে আর হিসাব কিতাব করার সুযোগ পাবেন না।
-ভাই আর একটা কথা; আফ্রিকা থেকে বাঘ এনে এই দেশে বছরে ২২ কোটি টাকার মাংস খাওয়ায় খাঁচায় পোষার দরকার কি? এতে দেশের কি উন্নয়ন হচ্ছে?
-গেলি শালার পো শালা!!


মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:১৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি বাকরুদ্ধ। স্পিসলেস আর কী। দুটো কারণে :

- প্রতি বাঘের দিনে ৭২ কেজি মাংস ভক্ষণের সংবাদে, যাতে মনে হয় তাদের শরীরের অর্ধেকটা জুড়েই পাকস্থলী! অংকের হিসাবে যে তারা কী পরিমাণ গোঁজামিল দিয়া নিজেদের পকেট ভারী করিয়াছেন, তাহা সত্যিই বিস্ময়কর।
- একটা সত্যিকার স্যাটায়ারের স্বাদ পেয়ে, যার ভিতরে বাঘ-বাবাদের শরীরে তীব্র খোঁচা দেয়ার আর্ট বা কৌশল দেখে।

মাঝখানে আমি নিজেই ক্যালকুলেটর নিয়া হিসাব শুরু করছিলাম, নীচে এসে দেখি আপনি নিজেই একজন বড়ো অংক বিশারদ :)

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৪৪

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার আন্তরিকতা পূর্ণ চমৎকার মন্তব্যে দারুন ভাবে অনুপ্রাণিত বোধ করছি।
আপনার মন্তব্যে বরাবরই ভিন্ন রকম এক অনুভবের প্রকাশ থাকে।
আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকুন সুন্দর থাকুন।

২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৫১

জুল ভার্ন বলেছেন: বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে বাঘ মামারা যদি গোশত কিনে খেতো তাহলে বুঝতো- হাউ মেনি রাইচ, হাউ মেনি পেডি!

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৪৫

শেরজা তপন বলেছেন: তাদের ভাগ্যে আর কি জুটছে!!
তাদের নাম করে মাংস খাচ্ছে তো লোভী কিছু মানুষ!
বরাবরের মতো সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভালো থাকবেন ভাই।

৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৪৫

কামাল১৮ বলেছেন: চট্টগ্রামের সবথেকে মঝার খবরছিলো পুকুর কাটার খবর।এক কর্মকর্তা নতুন যোগদান করতে যেয়ে প্রাপক্তন কর্মকর্তার কাছথেকে দায়িত্ব বুঝে নিচ্ছে।দেখে পুকুর কাটার জন্য বড় রকমের খরচ।নতুন কর্মকর্তা,
-পুকুরটা একটু দেখতে চাই
-থাকলেতো দেখবেন
এখন যতটাকা খুশি ব্যবহৃত করে পুকুরটা ভরাট করে ফেলুন।
আমি ভালো গল্প বলতেও পারি না,লেখতেও পারি না।
আপনার লেখা ভালো লেগেছে।এমন মঝার খবর আরো চাই।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৪৯

শেরজা তপন বলেছেন: যেভাবে যতটুক লিখতে পারছেন এভাবেই বা কত কজন পারে?
শুরু করে দেন আশা করি একসময় দারুন কিছু আলোচনা গল্প নিবন্ধ বাবু আপনার কাছ থেকে।
যাপিত জীবনের চাপে ভারী লেখা থেকে একটুখানি বিরতি নিয়েছি তাই চটকদার রংচঙ্গা লেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে থাকতে চাচ্ছি।যদিও এগুলো জাতির জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ!
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে উৎসাহিত করার জন্য।

৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:২০

কলাবাগান১ বলেছেন: putting aside the humorous and corruption part, সাদা বাঘ তৈরী হওয়া টা খুবই প্রকৃতি বিরোধী কাজ.....এই বাঘ গুলি তৈরি হয় খাচায় আবদ্ধ বাঘদের মাঝে কেননা এরা inbreeding করে (যেমন কাজিন-কাজিন বিয়ে তে বাচ্চা হয় বেশীর ভাগ ই রোগাক্রান্ত)। এই সব সাদা বাঘ বেশী দিন বাচে না কেননা এরা হয় খুবই দুর্বল। আমেরিকাতে প্রথম সাদা বাঘ হয় মোহন নামের বাংলা টাইগার থেকে। এখন সাদা বাঘ যাতে জন্ম না হয় (চিড়িয়াখানাতে) সেই ব্যবস্হা নেওয়া আছে কিন্তু কিছু প্রাইভেট চিড়িয়াখানা, দর্শানির্থীর বিনিময়ে এক্সিবিশন, বিক্রী ইত্যাদি কাজে এখন ও সাদা বাঘ উৎপাদন করে যাচ্ছে।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৩৬

শেরজা তপন বলেছেন: সাদা বাঘ রোগাক্রান্ত সেটা জানতাম।
কিন্তু আমেরিকার ওই বাকি খবরটুকু জানা ছিল না- ধন্যবাদ আপনাকে তথ্যগুলো শেয়ার করার জন্য

৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৪৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- কই জানি হুনছিলাম বাজার করতে লাগে ৩০ মিনিট, আর বাজারের হিসাব লেখতে লাগে দেড় ঘন্টা। B:-/

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৪০

শেরজা তপন বলেছেন: হাঃ হাঃ আর এরা মাস গেলি হিসাব কষে।
কয়েক কোটি টাকার কম হলে ভাগ্ বাটোয়ারা করতে সমস্যা হয়!!!

৬| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:১০

হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: খুব মজা পাইলাম। বাঘের খাবারদাবারের হিসাব যারা দিছেন তাঁরা তো বাঘের মতই গলা ফাটিয়ে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বলবেন:)

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:১২

শেরজা তপন বলেছেন: লেখা পাঠ করে চমৎকার অনুভুতি প্রকাশ করে মন্তব্যে অনুপ্রাণিত করার জন্য ধন্যবাদ ব্লগার হাসান জামাল গোলাপ।

:) বাঘের সাথে থেকে থেকে ওখানকার সবাই বাঘ হয়ে গেছে!!

৭| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৩৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: আফ্রিকার বাঘ থেকে আমেরিকার সাদা বাঘের জন্ম বিবর্তনবাদ তো পত্রিকার পাতায় আসছে পড়ার বই থেকে উঠিয়ে নিয়েও নিস্তার নাই।
খাবার দাবারে এমন বেহিসাবী হিসাব হবেই বিদেশি বলে কথা। যত্ন আত্মি না করলে হবে।
দেশের মানুষের জন্য এখন শুনেছি,একশ গ্রাম মানে এক দুই পিস, মাছ, মাংস কেনার ব্যবস্থা করেছে নানান গ্রোসারী দোকান। কিন্তু মানুষ না খেতে পেলে কিছু হবে না। আদরের বাঘদের যত্নেই রাখত হবে। সাথে রক্ষকদেরও ভালো থাকা চাই :)
এ ধরনের খবর শুধু দেশি পত্রিকায় না বিদেশি অনেক পত্রিকায়ও দেখা যায়। হেডিং এ যা লেখা মূল বক্তব্য জানতে সেই হেডিংয়ের লেখা কয়েকবার পড়ে পারি দিতে হয়। শেষে পাওয়া যায় শূন্য কিছু।
আনন্দবাজার পত্রিকার নামে এধরনের খবর অনেক বেশি প্রচার হয়। অথচ এক সময় আনন্দবাজার পত্রিকা পড়ার জন্য অপেক্ষা করতাম ভালো কিছু পাওয়ার জন্য।
হালকা হাসির বিনোদন পেতে আমিও এমন লেখা পড়ি কখনও ।
আনন্দ বিনোদন পেলাম লেখা পড়ে।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১১

শেরজা তপন বলেছেন: খানিকটা ফুসরত পেয়ে দুবার বসেছিলাম প্রতিউত্তর দিতে কিনতি মনোঃসংযোগ ঘটাতে পারিনি।
আফ্রিকার বাঘ থেকে আমেরিকার সাদা বাঘের জন্ম বিবর্তনবাদ তো পত্রিকার পাতায় আসছে পড়ার বই থেকে উঠিয়ে নিয়েও নিস্তার নাই। কোথাকার পড়ার বইতে ছিল আম্রিকার?
খাবার দাবারে এমন বেহিসাবী হিসাব হবেই বিদেশি বলে কথা। যত্ন আত্মি না করলে হবে।
হ্যাঁ সেজন্যইতো আমরা এত খাতির যত্ন করছি- সাথে আমাদেরও পকেট ভারি হচ্ছে। সামনে সাদা বাঘের সাথে গলা জড়িয়ে সেলফি তোলার ব্যাবস্থা হচ্ছে। হাজার টাকা টিকেট হলে আয়-রোজগার মন্দ হয় না :)
তাযা বলেছেন আনন্দ বাজার বেশ নির্মল আনন্দ দেয় মাঝে মধ্যে।
আমিও অমন একখানা পত্রিকা ছাপাবো বলে ভাবছি :)

৮| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:০২

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


যে ব্যবসায়ীক মডেল,সময় আসবে রয়েল বেঙ্গল বলে কিছু থাকবে না,সব বার্জার পেইন্টে সাদা হবে।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:১৪

শেরজা তপন বলেছেন: হইতে পারে- এমন দিন আইলেও আইতে পারে। সেইদিন বাঘের মাংস সুদুর অস্ট্রেলিয়া থেকে ইম্পোর্ট করতে হবে- দেখা যাবে দিশি মাংস ওদের মুখে রুচছে না! :)

৯| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:২৯

সোনাগাজী বলেছেন:



ঢাকা শহরের শতকরা কত জন জালিয়াত?

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:১৪

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার ধারনা কতভাগ হইতে পারে?
রাজিব নুর বলেনতো প্রায় শতভাগ!!

১০| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৩২

আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন ,




লেখাটা সাদা বাঘের লাহান দূর্লভ হৈছে! !!!!!!!!!!

জাতীয় পেরানী বৈল্লা কতা, হেগো জাতীয় ভাবে সরবোচ্চ খেদমত না করলে যে সোম্মান যাইবে তামাম জাতীর, হেডা বোজেন? জীবে প্রেম করে যেইজন..হোনেন নাই ? ;)
" মরুভূমির জলদস্যু"র পোস্টে জানছিলাম , হের আশ্রমে লালু বাদে ৭/৮ টা কুত্তাপূত্রকে নাকি পুরা খেদমততের পরেও বাচান যায় নাই! আর এডাতো বাঘের বাচ্চাগো বাইচ্চা থাহার প্রেশনো। হেই বাঘেগো বাচাইয়া রাখতে য্যারা য্যারা বাঘের খেদমত করে হেগোও তো বাচাইয়া রাকতে হৈবে, নাকি ? :|
হেরা বাইচ্চা থাকলে বাঘ বাচবে (বাঘ মইররা গ্যালে আবার আফ্রিকা দিয়া নিয়া আওয়োন যাইবে কিন্তুক হেরা মরলে আর ফেরৎ আনা যাইবেনা! :P ), বাঘ বাচলে দ্যাশের সোম্মান বাচবে। দ্যাশের সোম্মান উন্নয়নের লৈগ্যা ৭২ কেজি ক্যান লাগলে ১১৪০ কেজি গোশতো এক একটা বাঘেরে দেওয়ার টেকসই মেগা পোরজেক্ট বানাইতে হৈবে। =p~

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২০

শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে পেয়েই তো আমার মনডা ভইরে গেল ভাডি!
হ্যাঁ হ্যাঁ হুনি নাই ক্যারে হুনছি- আবার জিগায়!

জীবে প্রেম করে যেইজন
------সেইজন ভরিছে পকেট
আহা কি মহান কবিতা!!

" মরুভূমির জলদস্যু"র পোস্টে জানছিলাম , হের আশ্রমে লালু বাদে ৭/৮ টা কুত্তাপূত্রকে নাকি পুরা খেদমততের পরেও বাচান যায় নাই! আর এডাতো বাঘের বাচ্চাগো বাইচ্চা থাহার প্রেশনো। হেই বাঘেগো বাচাইয়া রাখতে য্যারা য্যারা বাঘের খেদমত করে হেগোও তো বাচাইয়া রাকতে হৈবে, নাকি
এই একখান খাটি কথা বলছেন। বাঘ তো আর কুত্তা-বিলাই না- এর উপরে বিদেশী বাঘ বলে কথা। ভাগ্যিস সাইবেরিয়ার বাঘ আনে নাই- তাইলে এত বরফ কই পাইতাম????

চিন্তা করেন বাকি ৬ বছরে এইভাবে প্রডাকশন চালাইলে বাঘ কয়টা হবে? আমি হিসাব করছি ১২৮ খানা এবং বছরে প্রায় ২০০ কোটি টাকার মাংস লাগবে!!!১২ বছরে এইটা বাঘের দেশ -গরু ছাগল সব সাফ! হিসাব শেষ :)
কষ্টে হলেও ভাল থাকবেন ভাই।

১১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৫৫

নতুন নকিব বলেছেন:



এখানে 'বাঘের', না কি 'ভাগের' হবে কথাটা, এইজাতীয় কিছু বানাম! নিয়ে খুবই ভ্যাজালে পইড়া যাই মাঝেমইধ্যে!

তবে 'বাঘ' বা 'ভাগ' যা-ই বলেন, উহাদের মাংস ভক্ষণের হিসাব শেখানোর চেষ্টাটা কিন্তু খুবই ভালো লাগলো। ইহার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২২

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ তো ভাগ- হবার কথা। স্যরি টাইপো - মাই ফল্ট :)
এই হিসাব কিতাবটা শুধু আমরাই শিখলাম। কামের কাম কিছুই হবে না। :(

আপনাকে পেয়ে ভাল লাগল।

১২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫৬

রানার ব্লগ বলেছেন: বাহ বাঘের ঘাড়ে বন্দুক রাইখা ট্যাকার গাছে গুলতি মারতাছে মবিন সাব !!!

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৮

শেরজা তপন বলেছেন: দ্যাখেন কত্তবড় একটা মহান কাম করছেন উনি। চিড়িয়াখানায় বাঘ নাই দেখে দুঃখে চক্ষের পানি ফেলাইতে ফেলাইতে উনি সুদুর আফ্রিকা থেকে বাঘ নিয়ে আসছেন। বাঘের প্রতি তার ভালবাসা দেখে আমারতো য়াবেগে গলারুদ্ধ হয়ে আসছে!!
এখন একটা বাঘ জন্মাইলেই ৭২ কেজি মাংস- নিজেদের বাচ্চা কাচ্চা ফোটানোর গুল্লি মার, চলো সবাই মিলে বাঘের বাচ্চা ফুটাই :)

১৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৪৬

চৌধুরী আসিফ বলেছেন: চমৎকার ইন্টারপ্রিটেইশান। আপনার বক্তব্যে অভিনব ভাষা শৈলীর ফলে পুরো বিষয়টা আমার কাছে খুব প্রাঞ্জল ও সহজবোধ্য লেগেছে। অনেক শুভকামনা রইল

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩০

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার হৃদয়গ্রাহী চমৎকার মন্তব্যে আমার চিত্ত আন্দোলিত হল।
আমি দা্রুন প্রীত ও আনন্দিত হলাম ভ্রাতা। আপনার প্রতিও রইল ভালবাসা ও শুভকামনা।

১৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর একটা পোষ্ট দিয়েছেন। লিখেছেনও খুব মজা করে। পড়ে আনন্দ পাওয়া গেলো।

আপনি গত ১/২ বছরের মধ্যে ঢাকা চিড়িয়াখানা গিয়েছেন? আজ থেকে ১৫ বছর আগে ঢাকা চিড়িয়াখানা যেরকম ছিলো, এরপর আর কোনো মেরামত করা হয় নাই। এখন আরো করুণ অবস্থা। প্রতিটা পশু রুগ্ন। এরা কি খেতে দেয় না? বাঘ দেখলে কষ্ট লাগে। পেট একদম লেগে গেছে। সিংহ দেখলেও আপনার খারাপ লাগবে। একদম রুগ্ন।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪

শেরজা তপন বলেছেন: ঢাকার চিড়িয়া খানায় শেষবার গিয়েছিলাম ২০১৩/১৪ সালে। তখুনি অবস্থা ভয়ঙ্কর ছিল! এখন মাঝে মধ্যে খবর পাই অবস্থা নাকি শোচনীয়। কি দরকার আজাইর‍্যা পশু পাখিরে খাঁচায় পুরে কষ্ট দেয়া। ইন্টারনেটের বদৌলতে মানুষ আজ সব প্রাণির সাথে পরিচিত হতে পারে।
তবে বানর আর হরিনের অবস্থা বেশ ভাল। মাঝে মধ্যেই ঘোষনা দিয়ে হরিণ বেঁচে।

ধন্যবাদ প্রিয় রাজীব নুর সাহেব -ভাল থাকবেন।

১৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৪২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: হাইবারনেশানে ছিলাম, আপনের লেখার কারনে আর না আইসা পারলাম না। একে লেখছেন বাঘ নিয়া, তার উপ্রে আবার মফিজরে টাইনা আনছেন। এই লেখা পুষ্টানোর আগে আপনের উচিত ছিল আমার লগে শলা-পরামর্শ করা। বাঘের খবর আমার থিকা বেশী আর কে জানবো? অবশ্য ব্লগার শের শায়েরীও জানে, কিন্তু হ্যায় তো এখন আর ব্লগায় না!!!

যাউগ্গা, লেখা জব্বর হইছে। চালায়া যান। ;)

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: এইটা বেকায়দা রকম ভুল হৈসে ভাই ( মুঝে মারো -মুঝে মারো) আরেব্বাস একেবারে মিলে গ্যাছে খাপে খাপ!!
আপনারে শীত ঘুম থেইক্যা তুইল্যা আনার টেরাইডা বেশ কামে দিছে কি কন?
কি চমৎকার একখানা লেখা পাইলাম এর বদৌলতে :)

এরপর থেকে আপনারে না জিগাইলে একখানা থাবা দিয়েন যান।

হাইবারনেশোন থেকে বেড়িয়ে আসার জন্য ধন্যবাদ।

১৬| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:২৮

দারাশিকো বলেছেন: অসাধারণ! দুর্দান্ত! ঘটনা যাই হোক, লিখাটা অসাধারণ হয়েছে। ভাল্লাগছে।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪০

শেরজা তপন বলেছেন: আরেব্বাস এমন উদাত্ত দিলখোলা মন্তব্যে আমিতো আবেগের ঠেলায় ভাসতেছি ভাই :)

আপনাকে ব্লগে ফের নিয়মিত দেখে ভাল লাগছে ভ্রাতা। সাথে থাকুন এভাবে ভালবাসায় জড়িয়ে।

১৭| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:২২

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: ভাবতাছি বাঘের যদি জবান থাকতো তাহলে কি কইতো জানেন? কইতো হালার পো হালারা তোরা আমাগোর ভাগের মাংস খাস আবার আমাগো নাম কইরা দশগুন খরচ দেখাইয়া বিল তুলস! আইজ তোগোর একদিন কি আমাগোর একদিন। আগে তোগোর মাংস খাইয়া তারপর গরু-মুরগি খাবো আয় শালা মাইনষের পো মানুষ। =p~

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪

শেরজা তপন বলেছেন: হাঃ হাঃ খারাপ বলেন নাই ' মানুষের বাচ্চা মানুষ'
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে মানুষ খুব সাহসী শক্ত কলিজার মানুষের প্রশংসা করে 'বাঘের বাচ্চা' বলে। সেই 'বাঘের বাচ্চা' গুলার কি হবে?

চুরি চুরি আর সাগর মহাসাগর চুরি চারদিকে। পুরো দেশটার মানুষ গলে পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে!!!! :(

১৮| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:০০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: যাক বাবা অবশেষে আপনের বাঘের বাবা মা আঙ্কেল আন্টি ছানাপোনার গল্প শেষ হলো। তবে এতো মাংস খাইয়ে শেষে একটু চাটনি দিলে আরেকটু আদরযত্ন হতো :) তবে ওরা বিদেশী তকমা ছেড়ে বংশবিস্তারের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছে যে খাঁটি বাঙালি হয়ে উঠতে পেরেছে।
চমৎকার লেগেছে ভূয়া মফিজ ভাইয়ের সাথে থুরি মফিজ ভাইয়ের সাথে কথোপকথন। আমিতো একবার লাইক দিয়ে আরেকবার দিয়েছিলাম। কিন্তু কাভা ভাই যে সেট করে রেখেছে দ্বিতীয়বার লাইক দেওয়া যাবে না।
সুন্দর মিছিরির ছুরি ধর্মী পোস্ট।

শুভেচ্ছা প্রিয় তপন ভাইকে।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:২৩

শেরজা তপন বলেছেন: আপনার লাইক-তো আমি আগেই পেয়েছি :) তা মাঝে মধ্যে দু'খানা লাইক পেলে মন্দ হয় না।
আমারও এমন ভুল হয় প্রায়শই!
হ্যাঁ বাঙ্গালো হচ্ছে বটে কিন্তু আমাদের রয়েল বেঙ্গলের ইজ্জতের উপর হুমকি হয়ে উঠছে দিন দিন। ওই বেচারা দুন তিন বছরে খান দুই ছানা পোনা দেয়, তাও বাঁচেনা :(

অনেক অনেক ভাল লাগা ও শুভ কামনা রইল প্রিয় পদাতিক ভাই। ভাল থাকবেন।

১৯| ০১ লা মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৩৭

খাঁজা বাবা বলেছেন: বড় খাদকের খাবারের হিসাবটা ধরলেই হিসাব মিলে যাবে।

০১ লা মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:০৪

শেরজা তপন বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন- আমরা বড়ই বোকা এদের এই খানা দানার হিসাব না করেই উটকো একটা আলাপ জুড়ে দিলাম! :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.