নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
ব্লগার জুলভার্ন মানে হুমায়ুন কবির ভাই গতমাসে যখন স্বেচ্ছায় ব্লগ-গৃহ ত্যাগ করলেন তখন ব্লগে একটা হুলস্থূল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। আমার দুর্ভাগ্য যে, আমি তখন ব্লগে নিয়মিত হতে পারছিলাম না। মাঝে মধ্যে ফাঁকে কোকরে একটু খানি চোখ বুলিয়ে সারাক্ষণ তাঁকে নিয়ে আলোচনা শুনতে পাই।
ব্লগের গুণী ও নিয়মিত ব্লগারদের বন্দুকের নল নামে-বেনামে কিংবা আকারে ইঙ্গিতে একজনের দিকেই তাক করছিল। যিনি এই দোষে দ্ব্যার্থহীনভাবে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। তিনি এঁর আগেও বহুবার এমন পরিস্থিতির সামাল দিয়ে নিজেকে বুলেটপ্রুফ ভেবে প্রথমে বিষয়টাকে গা না করে পরে মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে এসে নিজেকে ভোলা-ভালা নির্দোষ হিসেবে জাহির করে যুৎ করতে না পেরে শেষে সাফাই গেয়ে আস্ত একখানা পোষ্ট লিখে ফেলেন।
তবে তাঁর ও তাঁর ভক্তকুলের লম্ফ ঝম্পতেও শেষ রক্ষে হোল না। ফের জেনারেলের খড়গে কাটা পড়লেন তিনি।
ব্লগার জুলভার্ন এঁর ব্লগ গৃহ ত্যাগ আমার জন্য ছিল বড় ধরনের কষ্টদায়ক সারপ্রাইজ! আর যাই হোক আমি ভেবেছিলাম, তিনি এভাবে গৃহত্যাগ করার আগে আমাকে পাশে ডেকে নিয়ে তিনি ফিস ফিস করে দু’চার কথা বলবেন। কেননা তাঁর ফের ফিরে আসার ব্যাপারে আমি একটুখানি উদ্দীপ্ত করেছিলাম বলে নিজের প্রতি এটুকু আস্থা ছিল।
তাঁর এভাবে চলে যাওয়া আমি একদম মেনে নিতে পারলাম না বলে হা-হুতাশ না করে চুপ চাপ বসে রইলাম।
ব্লগ ছোট পরিসব বাঁ বৃত্তে বন্দী হয়ে যাচ্ছে দিনে দিন। সবাই সবার নামে ধামে চেনে। কেউ কেউ ফেসবুকেও বেশ ঘনিষ্ঠ। প্রতিদিন ব্লগিং করা কেউ চলে গেলে একটু হুলস্থূল হবেই। জটিল ভাই জটিল কোন কাণ্ডকারখানা করতে পারেননি বটে, সাসুম সবার মনে যায়গা করেননি বলে হয়তো তাদের নিয়ে ধু-ধুম্বার কাণ্ড ঘটেনি। কিন্তু বয়োজৈষ্ঠ, মুক্তিযোদ্ধা,অভিজাত ট্যাগ-যুক্ত অসাধারণ ভাষাজ্ঞানে ঋদ্ধ বিবিধ বিষয়াদি নিয়ে লেখা আর মন্তব্যে সু-পটু সরস্বতীর আশির্বাদপ্রাপ্ত প্রায় সবার সাথে দারুণ মিথস্ক্রিয়ার এমন একজন দুর্দান্ত ব্লগারের স্বেচ্ছা বিদায়ে ব্লগ ও ব্লগারদের ভীষণ নাড়া দিল।
আমার বন্ধু হায়দার বলেছিল একবার, তপন ভাই যে দিনকাল পড়েছে- মানুষ আর এখন কারো সুনাম তো করতেই চায় না বদনাম করেও কথা খরচ করতে চায়না। সবাই নিজের ঢোল পেটাতে ব্যস্ত! তাই ভাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি এখন থেকে নিজের সুনাম তো বটেই নিজের বদনামও নিজেই করব!
আগুন যেমন দপ করে উঠল জ্বলে তেমন দুম করে নিভেও গেল। সবাই সবাইকে নিয়ে ফের ব্যস্ত হয়ে গেল- তাঁর কথা আর তেমন করে কেউ বলেনা।
আমাদের এখানে অতি সল্প সংখ্যক নিজের ঢোল পেটানো আর্য ব্লগার আছেন। যারা দীর্ঘদিন বিদেশে থেকে বিদেশী কেতায় শিক্ষিত- বড্ড বেশী স্পর্শ কাতর ( আগেই বলেছি সবাই নয় –গুটিকতক)। আমার মত নেটিভদের ব্লগিং দেখে নিয়মিত নাক সিঁটকান। যাই লিখি যে ভাষায় যে ভঙ্গীতেই লিখি না কেন সেটা তাদের পছন্দ হয় না। একমাত্র নিজেদের লেখা ছাড়া আর কিছুই পছন্দ হয় না তাদের। এদের ভয়ঙ্কর ছোড়া বিষাক্ত তীরে বিদ্ধ হয়ে কত ব্লগার নীরবে প্রস্থান করেছে তাঁর ইয়ত্তা নেই- দু’চারজন সরব হয়ে ভীষণ মর্মবেদনা নিয়ে ব্লগ ত্যাগ করতে চাইলেই তবেই আমরা ধর্তব্যের মধ্যে আনি।
ঈদের ছুটিতে গুরুগম্ভীর কথা থাক। আসুন একখান ব্লগের স্বর্নালী যুগের আরেকখানা কৈতক শুনি। উল্লেখ্য এই কৈতকখানা শুধুমাত্র নিছক হালকা মজার জন্য-এর অন্য কোন উদ্দেশ্য নেই (প্রাপ্ত বয়স্ক নয় প্রাপ্ত মনস্কদের জন্য)-
ইংরেজ শাসন আমলের রাজস্থানের মরুভূমিতে একটা দুর্গ। সেইখানে সেনাপতি হয়ে এসেছে জাত্যভিমানী এক ইংরেজ যুবক। এসেই শুরু করছে হম্বি-তম্বি। এরে ধমকায় ত ওরে মারে। কোনো কিছু তার পছন্দ হয় না।
ইন্ডিয়ানদের রুচি নাই। চোর-বাটপার সব কয়টা। প্রথম দিনেই দুর্গ পরিদর্শনের সময় সেনাপতি দেখে একটা উট বাধা।
"ওই হারামজাদা। উট- এইটা কিসের জন্য? " একজন কাঁচুমাঁচুভাবে বলল " আমরা তিন-চার মাস একটানা দুর্গে থাকি। এইখানে কোনো মেয়ে নাই। সৈনিকরা মাঝে মাঝে খুব একা বোধ করলে এই উট ব্যাবহার করে।
"সেনাপতি তো bloody indian দের কথা শুনে থ!! ... বাচ্চারা উটকে "কামে" লাগায়...ছি ছি ছি। সে কড়া নির্দেশ দিলো যে এরপর কোনো নেটিভ হারামজাদা উট ব্যাবহার করলে তাকে ঝুলিয়ে পিটানো হবে।
যাই হোক তার কড়া শাসনে দুর্গে নিয়ম-শৃঙ্খলা ফিরে আসলো। সবাই সোজা। সব কিছু ঠিকমত চলছে। মাসের পর মাস যাচ্ছে।
এক সময় সেনাপতির একা একা লাগা শুরু করল। শালার একটা মাইয়া দেখি নাই গত চার মাস। আরো এক মাস গেলো। একদিন সকালে সে হুকুম দিলো, এই কে আছিস,- উটটা নিয়ে আয় আমার তাবুতে।
তাড়াহুড়ো করে সবাই ঠেলে ঠুলে উটকে তাবুতে পাঠাল। কিছুক্ষণ ধস্তা-ধস্তি হল। উটের চিৎকার শুনা গেল। এরপর সেনাপতি ভীষণ ঘেমে-নেয়ে প্যান্টের চেইন লাগাতে লাগাতে বের হয়ে আসল।
বড় বড় চোখ করে bloody indian গুলো তাকিয়ে আছে। এদের দিকে তাকিয়ে সেনাপতি বলল,
- খুব খাটুনির কিন্তু খারাপ না,তোরাও কি এইভাবেই ব্যাবহার করিস?
- না হুজুর। আমরা এইটাতে চড়ে মাইল দুয়েক দুরের একটা শহরে মেয়ে-মানুষের কাছে যাই।
--------------------------
পরিশেষে ব্লগার জুলভার্ন ভাই এঁর ফিরে আসার অপেক্ষায়…
• লেখার বিষয়বস্তু মোটেই ক্যাচালের উদ্দেশ্যে নহে।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:০৩
শেরজা তপন বলেছেন: আইসেন ফের -শুধু ইমোতে মন ভরে নাই
২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:৪৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কৌতুক জব্বর হয়েছে।!!!
জুলভার্ন ভাই আশা করি শীঘ্রই ব্লগে ফিরে আসবেন। ওনার কারণে অনেক কিছু জানা থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। আশা করি ব্লগে ফিরে আসার ব্যাপারে উনি আরেকবার ভেবে দেখবেন এবং ফিরে আসবেন।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:০৫
শেরজা তপন বলেছেন: কৌতুকখানা বহুদিন ধরে ঘুরে ফিরে মনে আসছিল- কিন্তু পোষ্ট দেবার সময় সুযোগ হচ্ছিল না।
শ্বশুরবাড়ি বেকার বসে আছি-তাই মোকা বুঝে দিয়ে দিলাম।
ব্লগার জুলভার্নের ব্যাপারে আমার মনোভাবের কথা উল্লেখ করেছি। আমি নিশ্চিত যে, তিনি ফিরে আসবেন।
৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:০৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পোস্টের শিরোনাম হিসাবে পোস্টের শুরুর ছবিটা বেশ যথার্থ হয়েছে।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:০৯
শেরজা তপন বলেছেন: বেকার বসে আছিতো খোঁজাখুঁজির সময় পাইছি
( তবে পুরাই বেকার বলা যায় না- এটা আমার জন্মভুমিও, এখানে বাল্য বন্ধুরা আছে- আড্ডা চলে নিয়মিত)
৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:১১
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
জুলভার্নের সাথে যোগাযোগ আছে? ফিরবে?
২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:১৭
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ ম্যাসেঞ্জারে মাঝে-মধ্যে হয়। প্রথমে গোস্যা করে ছিলাম। বহুদিন বাদে অনুরোধ করেছি।
ফেরার আশা আছে।
৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:১৩
ইসিয়াক বলেছেন:
আমি শুধু শেষের কৌতুকটাই পড়লাম।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:১৯
শেরজা তপন বলেছেন: ... এর অন্তর্নিহিত তাৎপর্য আমি বুঝলাম না
৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:২০
জটিল ভাই বলেছেন:
জটিল ভাই জটিল কোন কাণ্ডকারখানা করতে পারেননি বটে, সাসুম সবার মনে যায়গা করেননি বলে হয়তো তাদের নিয়ে ধু-ধুম্বার কাণ্ড ঘটেনি। কিন্তু বয়োজৈষ্ঠ, মুক্তিযোদ্ধা,অভিজাত ট্যাগ-যুক্ত অসাধারণ ভাষাজ্ঞানে ঋদ্ধ বিবিধ বিষয়াদি নিয়ে লেখা আর মন্তব্যে সু-পটু সরস্বতীর আশির্বাদপ্রাপ্ত প্রায় সবার সাথে দারুণ মিথস্ক্রিয়ার এমন একজন দুর্দান্ত ব্লগারের স্বেচ্ছা বিদায়ে ব্লগ ও ব্লগারদের ভীষণ নাড়া দিল।
উপর্যুক্ত অংশ পড়ার সময় মনে হচ্ছিলো কিছু কমেন্ট করা দরকার।
লেখার বিষয়বস্তু মোটেই ক্যাচালের উদ্দেশ্যে নহে।
এ অংশ পড়ার পর মনে হলো নতুন কিছু না মন্তব্য করাই সমীচীন।
তাই আপনার সঙ্গেই সুর মিলিয়ে বলি,
আগুন যেমন দপ করে উঠল জ্বলে তেমন দুম করে নিভেও গেল। সবাই সবাইকে নিয়ে ফের ব্যস্ত হয়ে গেল- তাঁর কথা আর তেমন করে কেউ বলেনা।
পরিশেষে ব্লগার জুলভার্ন ভাই এঁর ফিরে আসার অপেক্ষায়…
২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৩০
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার এঁর বেশী কিছু না লেখাই ভাল।
আজাইর্যা ক্যাচাল করে কার-ই বা উপকার হবে।
এই ব্লগে সবারই দরকার আছে। সবারই নিজের একটা স্টাইল আছে। আমার আকাঙ্খা থাকবে ব্লগার সোনাগাজী, জুলভার্ন সহ সবাই একই পরিবারের মত মিলেমিশে এখানে থাকবে।
৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৩০
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ব্লগার জুলভার্ন চলে যাওয়াতে ব্লগার সোনাগাজী কে ব্যান করা সহজসাধ্য হয়েছে।সোনাগাজীকে একাধিক পোস্ট ও শতাধিক মন্তব্য করার মাধ্যমে দারুণ ভাবে আঘাত করে পৈশাচিক উল্লাস করা গেসে, ঈদের দিন পর্যন্ত তাঁকে জেল খানায় ভরে রাখা গেসে। এতে সামুর অনেক ব্লগার খুশি।
এই জন্য আপনি সহ ব্লগার জুলভার্ন ও তার সকল সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাই।
ইদ মুবারক।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৩৫
শেরজা তপন বলেছেন: আমাকে যুক্ত করেছেন ঠিক আছে মাথা পেতে নিলাম- তাঁকে ব্যান করার আগে আমার একটাও মন্তব্য দেখাতে পারবেন যা তাঁর বিপক্ষে গেছে।
কিন্তু তাঁকে কাঠগড়ায় দাড় করানোর মত অনেক যুক্তি ও অস্ত্রই আমার কাছে ছিল।
ব্লগের অনেকগুলো ব্লগারের মধ্যে ব্লগার জুলভার্নের ব্লগিং এঁর অন্যতম ভক্ত আমি। তাঁর ব্লগ বর্জনের ঘটনায় অনেক আগেই আমার কলম ধরার কথা ছিল।
আপনাকে আমি আপনার মত করে দেখি - কারো সাথে দোস্তি বাঁ লিঙ্ক আছে কি-না সেই নিয়ে আমি থোড়াই কেয়ার করি।
দিন শেষে যার যার হিসাব তাকেই দিতে হবে।
৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৩
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কারেকশন :
"৪/৫ টি মাল্টি থেকে (যা অনেকে মনে করে একই ব্যাক্তির নিক) শতাধিক মন্তব্য করার মাধ্যমে দারুণ ভাবে আঘাত করে পৈশাচিক উল্লাস করা গেসে "
২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৪৯
শেরজা তপন বলেছেন: আমি শায়মা আপু ছাড়া আর কারো মাল্টি নিক ধরতে পারিনি। তবুও তিনি নিজে বলেছিলেন বলে
৯| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: ঘা সারতে দিবেন না।
বরং ঘা'তে লবন মরিচ দিয়ে সব সময় ঘা টাকে জীবন্ত করে রাখতে চাচ্ছেন?
এরকম একটা পোস্ট মানে শ্রদ্ধ্যেয় চাঁদগাজীকে 'হেয়' করা। জুল ভার্ন আপাতত সামুতে নেই। তিনি আসবেন।
ধরুন, এখন আমি সামু ছেড়ে চলে গেলাম। যাওয়ার আগে কারন হিসেবে আপনার নাম বলে গেলাম।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:২৫
শেরজা তপন বলেছেন: ব্লগার জুলভার্নের প্রতি আমার আন্তরিক ভালবাসা,মিথস্ক্রিয়া ও তাঁর লেখা এবং মন্তব্য নিয়ে যতটুকু উচ্চধারনা পোষন করি, এঁর কিঞ্চিতমাত্র এখানে উল্লেখ করি নাই।
আমি আপনাকে নিদেনপক্ষে ২০টা রেফারেন্স দিতে পারি যেখানে ব্লগার সোনাগাজী অন্য ব্লগে গিয়ে হুদাই জুলভার্নকে কটাক্ষ করেছে; এঁর আকটাও রেফারেন্স আমি সামনে আনিনি। এমনকি আমার নিজের লেখাতেই এমন কয়েকখানা মন্তব্য আছে।
আপনি যেমন সোনাগাজীকে শ্রদ্ধা করেন, গুরু বাঁ মেন্টর হিসেবে ভাবেন, তাঁর কষ্টে ব্যাথিত হন। তেমন আমার প্রকাশ না করা অনেক প্রিয় মানুষ আছেন যারা ব্লগে এসে অপদস্থ হয়ে নিরবে সটকে পড়েছেন তাদের নিয়ে আমি কখনোই তেমন সরব হইনি। এটা আমার ব্যার্থতা।
এই ব্লগে অল্প কিচু মানুষ নিয়মিত বিচরন করে। ইচ্ছে করলেই কারো নামে আপনি কুৎসা রটালেন আর সবাই মেনে নিল- এতটা গোমুর্খ বেকুব ভাবনকি এদেরকে।
শুনে রাখুন, কষ্ট পেলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। সোনাগাজী হয়তো তাঁকে অসভ্য অশ্রাব্য ভাষায় বলেননি। কিন্তু তাঁর কিছু মন্তব্যে এমন ধারার খোঁচা ছিল তা হয়তো ভীষন স্পর্শকাতর ব্লগার জুলভার্ন হজম করতে পারেননি। আপনি আমি হয়তো হজম করে নিতাম- কিন্তু সব মানুষ একরকম হয়না।
যেমন কেউ একজন ব্যাতিক্রমী ধারার অভিজ্ঞতার গল্প বলল, সেই পোষ্টে এসে সোনাগাজী মন্তব্য করলেন(হুবুহু নয়), আপনার এই ধরনের অভিজ্ঞতা ব্লগে একমাত্র জুলভার্নের আছে। পৃথিবীর এমন কোন ব্যাতিক্রমী অভিজ্ঞতা নাই যে, তাঁর ভান্ডারে নাই।
এটা কোন মাপের খোঁচা তা বোঝার মানসিক বয়স নিশ্চয়ই আপনার হয়েছে।
১০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:২২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি একটা কৈতকের পোস্ট দেয়ার কথা ভাবছিলাম। ম্যাভেরিক ভাইয়ের গণিতের সপ্তকৈতুক সিরিজ আমার সংগ্রহে আছে। ওখান থেকে বাছাইকৃত কিছু কৈতুক ছাড়ার কথা ভাবছি। তবে, ইদের ছুটি শেষ হোক, এখন বেশিরভাগ ব্লগারই ব্লগদুনিয়ার বাইরে, কেউ নাড়ির টানে, কেউ বা নারীর টানে ছুটে গেছেন আপন আলয়ে সেখানে ব্রড ব্যান্ড নেট ওয়ার্ক নাই, মোবাইলে ব্লগে ঢুকতে পারছেন না ব্লগও তাই জনসংখ্যা সমস্যায় ভুগিতেছে
আপনার কৈতকটা সর্বকালের সেরা কৈতকের তালিকায় স্থান লাভ করিয়াছে
আপনার বাবনিক সিরিজ শেষ হওয়ার পর তো আর কোনো গল্প ধরেন নি, লিখেছেন অন্য দুনিয়া থেকে পৃথিবীতে মানুষের আগমনের কথা, সিরিজটা ব্লগে খুব আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।
আর কি কোনো সিরিজ লেখার প্ল্যান নাই?
আপনার কোনো ছোটোগল্প কখনো পড়েছি বলে মনে পড়ে না। ছোটোগল্পে হাত দিন এবার
ব্লগার জুল ভার্ন ভাই তার পোস্ট দিয়ে ব্লগ সরগরম রাখতেন। তার পোস্ট থেকে শেখার থাকে অনেক কিছু। তার ঋদ্ধ পোস্টগুলো থেকে ব্লগবাসী বঞ্চিত হচ্ছেন।
আশা করি জুল ভার্ন ভাই খুব শীঘ্রই ব্লগে ফিরে আসবেন। তার জন্য আপনার মাধ্যমে ব্লগ থেকে ইদের শুভেচ্ছা, যদিও ফেইসবুকেও আমরা কানেকটেড।
আপনার এ পোস্টটা ভালো ছিল।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৪৪
শেরজা তপন বলেছেন: আমিও নাড়ির টানে শ্বশুর বাড়ি
'মানুষ কেন অনন্য' চলছে, যা ' মানুষ পৃথিবীবাসী নয়' এঁর সিক্যুয়াল। 'পুরুষ হবার যন্ত্রনা' এখনো শেষ হয়নি। আমার বাস্তবিক জীবনের ঘটনা নিয়ে কমপক্ষে ৫খানা লেখা হিমাগারে পড়ে আছে, সেগুলো আর আগাবে কিনা বলা যাচ্ছে না।
মারদাঙ্গা একখান দিশী প্রেমের উপন্যাস লিখব সেটাও হচ্ছে না।
'ভাষা' নিয়ে খুব খাটুনি করে একটা লেখা বেশ খানিকটা এগিয়ে ছিলাম। আচমকা কম্পুটারের গোলযোগে হারিয়ে গেল, এই দুঃখে মাসখানেক লেখালেখি বন্ধ রেখেছিলাম।
এখন অবসরে বসে, মুজতবা আলীর জীবনের জানা-অজানা বিষয় নিয়ে একটা নিবন্ধ লিখছি। ছুটির এগারদিনে শেষ করার প্রত্যাশা আছে।
আমার প্রতি আপনার সুতীক্ষ্ণ নজর ও স্নেহপূর্ণ ভালবাসা আমাকে দারুনভাবে আপ্লুত করে। জুলভার্ন ভাই এমন একজন অভিভাবক ছিলেন- তাঁকে মিস করি ভীষন।
ভাল থাকুন নিরন্তর।
১১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৪৩
ইসিয়াক বলেছেন:
ঈদ মোবারক প্রিয় ব্লগার।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৪৫
শেরজা তপন বলেছেন: ইবার ফের মোবারক জানাইতে আইলেন নাকি!!! আপনি এত কাট টু কাট মন্তব্য করছেন কেন রে ভাই?
ঈদ মোবারক সহ শুভেচ্ছা কবি।
১২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৪৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: পোষ্ট পড়ে প্রথমে বাক্যহারা হয়ে গেলাম, একেবারে যাকে বলে স্পীকার। পরে ভাবলাম, আপনি তো আসলে পশ্চিমা শিক্ষায় শিক্ষিত না। বড়জোর একটা রাশিয়ান ডিগ্রী আছে, যেটা ধর্তব্যের মধ্যে পড়ে না। কাজেই এমন একটা খোচামারা পোষ্ট দিয়ে গুটিকয়কে রক্তাক্ত আপনি করতেই পারেন। তবে, আমরা যারা পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত; তারা এইসব করতে পারি না। কোথায় জানি, কেমন জানি লাগে...........ব্যাখ্যা করা মুশকিল!!!
কৌতুক লা-জওয়াব।
জুলভার্ণ ভাই খুব শীঘ্রই আসবে বলে মনে হয় না। লেট হিম টেইক সাম টাইম।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:১৩
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মত ব্লগার যতদিন ব্লগে একটিভ থাকবেন ততদিন ব্লগ নষ্টদের দখলে যাবে সেটা নিশ্চিত।
ব্লগার জুলভার্নের স্বেচ্ছায় ব্লগবাড়ি ত্যাগে আমি ভীষন মর্মাহত হয়েছিলাম- তাঁর মত ব্লগারের ব্লগে অনুপস্থিতি আমার হৃদয়ে রক্ত ঝড়াচ্ছিল। অনেক কষ্টে নিজেকে সংবরন করেছিলাম। তাঁকে নিয়ে আপনি যেভাবে লিখেছেন সেভাবে আমি কিছু লিখতে পারছিলাম না বলে অসহায় অক্ষম মনে হচ্ছিল। এমনকি আপনার লেখায় মন্তব্য পর্যন্ত না করে হাত গুটিয়ে বসে ছিলাম।
ব্লগ স্তিমিত কিংবা শান্ত হবার পরে মনে হোল এবার অন্তত কিছু লেখা উচিৎ। তবে যতটুকু যা বলতে চেয়েছি তা বলতে পারিনি সেটা নিশ্চিত।
পরিশেষে আমিও ব্লগার জুলভার্ন-এঁর ফিরে আসার অপেক্ষায় আছি। সময় লাগুক সমস্যা নেই -তবুও আশা তিনি ফিরে আসবেন।
* আপনি আমার থেকে অনেকগুন ভাল বলেন। যেভাবে খোঁচা দেয়া মন্তব্যে চরম দুঃসাহসিক মন্তব্য করেন তা দেখে আমি ট্যারা হয়ে যাই। আহা ব্লগার জুলভার্ন যদি এমনটা পারতেন।
১৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:০৭
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমাকে যুক্ত করেছেন ঠিক আছে মাথা পেতে নিলাম- তাঁকে ব্যান করার আগে আমার একটাও মন্তব্য দেখাতে পারবেন যা তাঁর বিপক্ষে গেছে।
কিন্তু তাঁকে কাঠগড়ায় দাড় করানোর মত অনেক যুক্তি ও অস্ত্রই আমার কাছে ছিল।
ব্লগের অনেকগুলো ব্লগারের মধ্যে ব্লগার জুলভার্নের ব্লগিং এঁর অন্যতম ভক্ত আমি। তাঁর ব্লগ বর্জনের ঘটনায় অনেক আগেই আমার কলম ধরার কথা ছিল।
আপনাকে আমি আপনার মত করে দেখি - কারো সাথে দোস্তি বাঁ লিঙ্ক আছে কি-না সেই নিয়ে আমি থোড়াই কেয়ার করি।
দিন শেষে যার যার হিসাব তাকেই দিতে হবে।
শুনুন জনাব,
ব্লগে একজন ব্লগারের সাথে আরেকজন ব্লগারের অবশ্যই সুসম্পর্ক হবে, মিথষ্ক্রিয়া হবে, সম্মানজনক সম্পর্ক হবে। এতে আমি দোষের কিছু দেখিনা। সমস্যাটা কোথায় জানেন? আপনি যেমন ব্লগার জুলভার্ন কে মিস করে পোস্ট দিয়েছেন সেরকম চাঁদগাজীর সাথে ভালো মিথষ্ক্রিয়া সম্পন্ন ব্লগার যদি তার সাপোর্টে কোন পোস্ট লিখে তখন তাঁকে চাটুকার, পা চাটা দালাল, শিষ্য, ইত্যাদি নোংরা সম্বোধনে স্বম্বোধন করা হয়। কারণ চাঁদগাজী বিরোধী ব্লগারদের মধ্যে কয়েকজন মডারেশনের সাথে আছে বলে আমি শোনেছি (আমি শিউর নই) ভুল হলে দু:খিত। তাদেরকে কিছু বলা যাবে না। আপনি বলছেন চাঁদগাজীর অনেক খোচা দেয়া মন্তব্যের প্রমাণ আপনার কাছে আছে। এরকম অনেক প্রমাণ আমার কাছে আছে। যা এখানে টেনে ঈদের মতো পবিত্র ওকেশনে ক্যাচাল করতে চাই না।
আপনাকে আমি ধন্যবাদ দিয়েছি কারণ আপনার পোস্টের মাধ্যমে আমার না বলা কথা গুলো বলতে পারছি। আপনাকে আমি একপজন নিরপেক্ষ ও হক কথা বলার মতো মানুষ মনে করি। আশা করছি আপনি স্বীকার করবেন ব্লগে শুধু একজন নয় অনেকেই ব্যাক্তি আক্রমণ করেছে। শুধু একজনকে নীতিমালায় আনা ঠিক কাজ নয়। সোনাগাজী কে ব্যান করার আগে জুলভার্ন সমর্থকেরা প্রতিদিন পোস্ট দিয়েছেন, শত শত মন্তব্য করেছেন, যেই না তাকে সামনের পাতায় ও মন্তব্য ব্যান করা হয়েছে তারপর সবাই চুপ হয়ে গেল। হিপোক্রেসির কি জ্বলন্ত উদাহরণ!
কোন নোংরা কুৎসিত অপব্লগার যে ক্যাচাল পোস্টেও "আল্লাহর পবিত্র কালাম " কোরানের আয়াত দিয়ে লিখে তার পোষ্ট আমি পড়িনা, সে যেখানে মন্তব্য করে সেখানে আমি মন্তব্য করিনা। শুধু আপনার পোষ্ট বলে মন্তব্য করলাম। কারণ আমি বিশ্বাস করি কেউ এসে আপনার পোস্টে কুকুরের মতো গালি দিতে পারবেনা ও ব্যাক্তি আক্রমণ করতে পারবে না।
আপনি বলেছেন ব্লগে সবার দরকার আছে। এই সত্যটা বলার জন্য বিশেষ ধন্যবাদ জানবেন।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৪৮
শেরজা তপন বলেছেন: বেশ বড় মন্তব্য করে আপনার মনের ভার প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ।
একবার ভেবে দেখুন; একজনকে জেনারের করা হয়েছে- তবুও তিনি নিয়মিত লিখে যাচ্ছেনএবং নিয়মিত ব্লগারদের পর্যবেক্ষন করছেন এবং ব্লগে নজর রাখছেন। তিনি ফের মুক্ত হয়ে তাঁর পুরনো রূপে ফিরবেন এটা আমরা ধারনা করতেই পারি।
আরেকজন ভীষন কষ্ট নিয়ে স্বেচ্ছায় চলে গেছেন, তিনি আর কোনদিন ফিরে আসবেন কি না জানিনা।
কষ্টটা কার জন্য ও কোথায় বেশী- ভাবুন?
আপনি মনে হয় ব্লগার জটিল ভাইকে নিয়ে কিছু বলতে চেয়েছেন। আমি আমার ব্লগে তৃতীয় পক্ষের সমালোচনাকে নিরুৎসাহিত করি। মনে করি তাঁর কথা তাঁর ব্লগেই গিয়ে বলা শ্রেয়।
পরিশেষে ধন্যবাদ- আপনাকে ফের মন্তব্যে আসার জন্য- ভাল থাকুন।
১৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:২৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার মত ব্লগার যতদিন ব্লগে একটিভ থাকবেন ততদিন ব্লগ নষ্টদের দখলে যাবে সেটা নিশ্চিত। কোন দিক দিয়া মারলেন, বুঝলাম না। এতোটাই কনফিউজড যে, বাবা রে, মা রে বলেও চিৎকার করতে পারছি না!!!
২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৪২
শেরজা তপন বলেছেন: ইটা আপনি বোঝেননি- ভাবতেই কেমন নিজেকে বোকা বোকা মনে হচ্ছে!!
১৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:০১
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: শেরজা ভাই,
কেউ না জানুক অন্তত জাদিদ ভাই আর শায়মা আপু জানেন, আমি চাই ব্লগে সবাই থাকুক। ব্লগ জমজমাট থাকুক। ব্লগার জুলভার্ন শুধুমাত্র চাঁদগাজীকে সাপোর্ট দেয়ার কারণে আমাকে অনেক কটু কথা বলেছেন। তার সাথে আমার রাজনৈতিক ছাড়া অন্য কোন বিরোধ নেই। তিনি বিএনপি করেন আমি লীগ। তাতে কি? কে কোন দল করবে (জংগী জামাত হেফাজত নিন্দনীয়) যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার।
এরপরও আমি চাই উনি ব্লগে ফিরুক। ব্লগ প্রাণবন্ত থাকুক। ব্লগে ভালো ভালো পোস্ট আসুক। ব্লগার চাঁদগাজীরও খেচাখেচির মতো অনধিকার চর্চা বন্ধ করতে হবে। দিনশেষে আমাদের সকলের ইনটেনশান থাকা উচিৎ ব্লগকে প্রাণবন্ত রাখা। অবশ্য বিসমিল্লাহ এর মতো বাক্য যা দিয়ে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ কোরান শুরু হয়েছ্র তা দিয়ে অন্যকে আঘাত করে পোস্ট লেখা বন্ধ করতে হবে। এই আয়াত দিয়ে কেউ ঠাট্রা তামাসা করা রীতিমতো ধর্ম অবমাননা।
সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। সবাই ভালো থাকুক। এইটা প্রার্থণা মন থেকে।
১৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:০৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: হ...........এরপরে তো কইবেন, টাইপো হইছে; তাই না!!! আপনের এই কৌশল অনুমান কইরাই দুই দুইটা অট্টহাসির ইমো দিছি। না হইলে আপনের চোখ আবার ট্যারা করার ব্যবস্থা লইতাম।
তাঁকে নিয়ে আপনি যেভাবে লিখেছেন সেভাবে আমি কিছু লিখতে পারছিলাম না বলে অসহায় অক্ষম মনে হচ্ছিল। এমনকি আপনার লেখায় মন্তব্য পর্যন্ত না করে হাত গুটিয়ে বসে ছিলাম। ঢং কইরেন না। আচ্ছা, মন্তব্য করেন নাই বুঝলাম; একটা লাইক দিলেও তো বুঝতাম যে, আপনে আমার পোষ্টে উপস্থিত হইছিলেন। কোন চিহ্নই তো রাখেন নাই!!!
২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪১
শেরজা তপন বলেছেন: ঃঘন্টা তিনেক আগে আপনার মন্তব্যের উত্তর প্রায় শেষ করে এনেছি তখন দমকা ঝড়ো হাওয়ায় বিদ্যুৎ চলে গেল- ওয়াইফাই কাট।
কি উত্তর লিখেছিলাম এখন ভুলে গেছি
আহা আমি একটু টেরাই হইতে চাই- সোজাসুজি চাইতে চাইতে চক্ষু দুইটা ক্লান্ত হয়ে গেছে
লাইক না দেয়াটা আমার রক্ষনাত্মক ভুমিকার একটা অংশ ছিল। পুরো মাঠের খেলাটা উপভোগ করতে চাচ্ছিলাম। দিনশেষে আমরা এন্টারট্রেইনার বৈ আর কিছু নই। নিজেরাও কিছু শিখছি না আর দেশ জাতিকে শেখানো তো 'দূর কি বাত'। অযথা ঝগড়া ফ্যাসাদ কাজিয়া করে কি হবে
১৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:০৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: একদিন ফিরে আসবেন হুমায়ূন ভাইয়া ইংশাআল্লহ।
মানুষ কেন মানুষের মনে কষ্ট দিবে । মানুষ বুঝে না মানুষের মনে কষ্ট দেয়া মানে অভিশাপ যেচে নিজের জন্য নেয়া।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫২
শেরজা তপন বলেছেন: আমিও আশা করছি তেমনটা।
ক্যান্সারের মত মরনঘাতি রোগকে পরাজিত করে -প্রশাসনের ভয়ঙ্কর নির্যাতন নিপিড়ন সয়ে, এত অল্পতে কেন উনি এমন অভিমান/রাগ করে দূরে সরে গেলেন বুঝলাম না।
আমাদের অনেকের মনেই অনেক রুঢ় কথা আসে-কিন্তু নিজেকে সংবরণ করে উদারতা দেখানো ও বন্ধুত্ত্বপূর্ণ ব্যাবহারই মানবিকতা মনুষ্যত্ব।
১৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:১৯
নাহল তরকারি বলেছেন: শেষের উটের, কৌতুকটি মজার ছিলো।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯
শেরজা তপন বলেছেন: লেখার এটুকু অংশই অনেকের ভাল লাগবে না জেনে রাখবেন নিশ্চিত।
ধন্যবাদ।
১৯| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৫২
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপনার লিখাটা পড়লাম , জানি না উনি ফিরবেন কি না । ফিরলে অবশ্যই ভালো হবে । আমি চাই যারা যারা হারিয়ে গেছে তারা আবার ফিরুক । যারা এখন ব্লগ ছেড়ে ফেসবুকেই পড়ে আছে তারাও ফিরুক । সবাই আবার ব্লগকে প্রাণবন্ত করুক !!
আপনার এই কৈতকটা আমি প্রথম রোজায় পড়েছিলাম । সম্ভবত এটা বুলবুল আহমেদ পান্নার পোস্টে পড়েছি তাও আজ থেকে ১৩ বছর আগের পোস্ট ।
জটিল ভাইয়ের দেখি জটিলতা কাটছেই না । ওনার প্রতি যে অভিযোগ সেটা আসলে আমার মনে হয় না খুব বেশি গুরুতর । উনি এখন দেখি সিধা হইছেন কারণ উনি জাঁহাপনাকে নিয়া যে পোস্ট দিছিলেন (সাম্প্রতিক সময়ে) তা্তে আর বিসমিল্লাহ লিখেন নাই ! যাকগে , আপনার পরিবার নিয়ে আপনার সময় ভালো কাটুক আরেকটা কথা আপনার লিখায় মুজতবার গন্ধ আয়া পড়তাছে সাবধান থাইকেন ভাই ! তাইলে তো তপন ভাই হারায়া যাইব তো !!
২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৭
শেরজা তপন বলেছেন: আমিও সেই সময়ে কপি করে রেখেছিলাম। এখন বিশেষ বিশেষ প্রসঙ্গে কাজে লাগছে বাঁ বলতে পারেন সুরের উপরে যখন গানের লিরিক্স লেখা হয় তেমনি এই কৌতুকগুলোকে ভিত্তি করে মওকা মত দু-চার ছত্র লিখে দিচ্ছি।
যার যেমন ইচ্ছে লিখতে ভাল লাগে লিখুক। তাদের পোষ্ট যাদের ভাল লাগবে না তারা এড়িয়ে গেলেই হয়-ঝামেলা চুকে গেল!!
আমিতো চাই আমার লেখায় মুজতবা আলীর ছায়া থাকুক
এই তাঁকে নিয়ে দীর্ঘ নিবন্ধ লিখছি- বাধ্য হয়ে পড়শুনা করতে হচ্ছে, তাই একটু আধটু গন্ধ আসা অস্বাভাবিক নয়।
সুদীর্ঘ মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
২০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
লাষ্ট কৈতকটা না দিলেও পারতেন।
যাই আইতো এইডা হইনা আরো খেপবো।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৫
শেরজা তপন বলেছেন: কে ক্ষেপল না ক্ষেপ্ল ওই ভেবে পোষ্ট দিতে গেলে 'লোম বাছতে বাছতে কম্বল উজাড়' হয়ে যাবে ভাই।
আমার লেখায় কেউ বেশী কষ্ট পাবেন, কেউ কম কষ্ট পাবেন, কেউবা দারুনভাবে আনন্দিত আপ্লুত হবেন, কেউবাঁ ফালতু বলে এড়িয়ে যাবেন।
আপনি কি পেরেছেন আপনার আশেপাশের সবাইকে খুশী রাখতে?
২১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৪১
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ব্লগে অনেক দিন থেকে নেই ক্যাচাল ও কিছুই জানি না। তবে ব্লগ থেকে কেউ চলে গেলে খুবি খারাপ লাগে। জুলর্বাণ ভাই ফিরে আসুক। সবাই মিলে ব্লগকে প্রানবন্তো করুন।
ঈদ মোবারক।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:১২
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার দীর্ঘ অনুপস্থিতিতে অনেক কিছুই হয়ে গেছে।
তথাকতিথ ভাল-মন্দ যে কোন ব্লগার চলে গেলে ব্লগকে যারা ভালবাসেন তাদের খারাপ লাগাই স্বাভাবিক।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ব্লগে নিয়মিত হউন- ব্লগারদের সাথে থাকুন।
২২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:২০
ইসিয়াক বলেছেন: আমিও উক্ত ব্লগারের নানা কটু বাক্যে বিদ্ধ হয়েছি বহুবার। একবার একটা রহস্য উপন্যাস মোটামুটি গুছিয়ে লেখা শেষ। মোটমাট আটাশ পর্ব হবে। ভাবলাম একে একে ব্লগে শেয়ার করি। কারণ ব্লগ থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। সন্মানিত ব্লগারবৃন্দের আন্তরিক পাঠ ও মন্ত্যবের কারণে নিজের ভুলগুলো ধরা পড়ে সহজে। পাওয়া যায় সঠিক দিকনির্দেশনা কিন্তু প্রথম পর্ব পোস্ট করার প্রায় সাথে সাথে
প্রথম কমেন্টে উক্ত ব্লগারের রোষানলে পড়লাম। উনার তীব্র তীর্যক বাক্যবানে আমি স্তম্ভিত। কোথায় গঠনমূলক আলোচনা করবে তা না উল্টোপাল্টা মন্তব্যের ফুলঝুরি। সেদিন আমি সত্যি ধৈর্য হারিয়েছিলাম। আমি কি নিয়ে লিখবো তাও উনার কাছ থেকে আমাকে পরামর্শ নিয়ে লিখতে হবে। কি অদ্ভুত!
যে পোস্টে অনাহুত কথার অবতারণা হয় সেই পোস্ট অনেকে এড়িয়ে চলে। সেই পোস্টের ক্ষেত্রেও তাই হলো কিছু বাদে তার এক ধামাধরা এসে হাজির নানা খোঁচা খুঁচি মূলক কমেন্ট নিয়ে। কি যে অবস্থা।
সন্ধ্যাবেলায় উক্ত ব্লগার এসে আবার আমাকে স্বান্তনার বানী শোনাতে লাগলেন। ততক্ষণে আমার পোস্টের দফারফা শেষ। বাকি পর্বগুলো আর পোস্ট দেই নি। এরপর আরও দুটা উপন্যাস রেড়ি করেছি ব্লগে পোস্ট দিতে ইচ্ছে হয় নি।
আমি বরাবর গা বাঁচিয়ে চলা লোক। যে পথে সমস্যা সে পথ আমি পারত পক্ষে এড়িয়ে চলি।
অন্যদিকে এটাও মনে হলো সামান্য মনের ভাব প্রকাশ করতে এসে যদি অনাহুত তর্ক বির্তক জড়িয়ে পড়ি তাতে ক্ষতি বই লাভ নেই কোন আর সময়ই বা কোথায় এত?
তারপরও দুষ্ট ব্লগার অপ ব্লগার নানা তকমা জুড়ে বিভিন্ন পোস্টে গিয়ে তিনি এবং তার ধামাধরা নানা কুৎসামূলক কমেন্ট এমনকি পোস্টও দিলো আমার নাম বিকৃত করে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ চলতে লাগলো। ইসিয়াক থেকে হয়ে গেলাম কিসিয়াক। আরও কত কি? এগুলো কি ধরনের মানসিকতা কে জানে?
এই ঘটনাসমূহের পরিপেক্ষিতে আমি হয়তো নিঃশব্দ ব্লগ ত্যাগ করতাম কিন্তু কি এক মায়ায় রয়ে গেছি আজও। ব্লগে না এলে কেন জানি কিছু ভালো লাগে না। তবে আগের মত আহার নিদ্রা ত্যাগ করে রাত দিন এক করে আর লেখা হয় না। কেন জানি উৎসাহ পাই না। অনেক গল্প অর্ধেক লিখে ফেলে রেখেছি।
আগে কিছু না হলেও প্রতিদিন একটা কবিতা লিখতাম। এখন আর পোস্ট দিতে ইচ্ছে করে না তাই লেখার তাগিদও কমে এসেছে। মাসে তিন চারটা পোস্ট... এভাবে চলছে।
কথাগুলো বলতাম না। দুই বার মন্তব্য লিখেও পোস্ট দেই নি। আপনার বলবার পরিপেক্ষিতে বললাম আর কি।
জুল ভার্ন ভাই ব্লগে ফিরে আসুক এই কামনা করি। এছাড়া আর কি আর বলবার আছে?
শুভেচ্ছা প্রিয় ব্লগার।
শুভরাত্রি।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:১৮
শেরজা তপন বলেছেন: আমিও ব্যাপারটা অবলোকন করেছি।
আসলে খোঁচাটা যাকে দেয়া হয় আসলে সে-ই অনুধাবন করে সত্যিকার অর্থে সেটার জ্বালা কতটুকু।
আপনার মত আমি হবনা কিংবা আমার মত আপনি। ব্লগ সবার জন্য উন্মুক্ত- এখানে যখন আপনার লেখা প্রকাশিত হবে তখন যে কোন ধরনের মন্তব্যের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
ফেসবুকের মত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমাদের মত ব্লগারদের বড্ড বেশী ক্ষতি করেছে। আমরা পরমতে অসহিষ্ণু হয়ে পড়ছি দিন দিন।
যাই হোক আমি হয়তো এখনো তেমন আক্রমনের সম্মুখিন হইনি কিংবা এড়িয়ে গেছি, তেমন কঠিন আক্রমন হলে নিজেকে কতটুকু সংযত করতে পারতাম সে এই মূহুর্তে বলা সম্ভব নয়।
উপদেশ দেয়া সহজ।
২৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:০৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
জুলভার্ন সাহেব এই ব্লগ ছাড়েদেয়ার কাজটি অতি খারাপ হয়েছে। খুবই পুরনো এবং কমন একটি বাংলা প্রবাদ উনি ভুলে গেছেন। কাজটি ঠিক হয়নি।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:২৫
শেরজা তপন বলেছেন: হুম! আসলে আমাদের সবার মনের মধ্যে 'ভাল ও মন্দের' বাস আছে। মন্দটাকে আড়ালে রেখে অনেক সময় আমরা মহান সাজতে চাই। কেউ কেউ হয়তো সেই মহান সাজার প্রচেষ্টাকে ভন্ডামি মনে করে।
আপনি-আমি 'নাহল তরকারি'র পোষ্টে অনেক রুঢ় মন্তব্য করেছি- কখনো ভেবেছি তাঁর কষ্টের জায়গাটা।? সে যদি ব্লগ ছেড়ে যাবার ঘোষনা কখনো দেয় তখন কিন্তু আমরা কেউ কেউ মনে মনে হাসব, এইটাও একটা 'ডেভিলস থট'।
সোনাগাজী সাহেব তাঁকে ভদ্র ভাষায় খুব সুচতুরভাবে আক্রমন করেছেন- কিন্তু এই 'ডার্টি মাইন্ড' গেমটা খেলতে না পেরে রণেভঙ্গ দিয়েছেন। খুব বাচ্চাসুলভ সিদ্ধান্ত।
২৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৪:১৬
কামাল১৮ বলেছেন: যদিও আমি ব্লগে নতুন তার পরেও এটা জানি অনেক ব্লগারের হত্যার সাথে কিছু ব্লগার জড়িত ছিলো।এখানে এমন কিছু হয় নাই।আপনার জানার কথা ।কথার মাধ্যমে কোন অপরাধ সংঘঠিত হয়।কথার জবাব কথার মাধ্যমে দিতে হয়।নয়তো চুপ থাকতে হয়।
জুল ভার্ন আমার একজন প্রিয় লেখক এবং ব্লগার জুলভার্ন আমার একজন প্রিয় ব্লগার।তার সব লেখায় আমি মন্তব্য করেছি কিন্তু তার এই ঘোষণা দিয়ে চলে যাওয়া আমার কাছে ঠিক মনে হয় নি।তার পরও তার স্বাধীনতাকে আমি সন্মান জানাই।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:৩০
শেরজা তপন বলেছেন: চমৎকার কথা বলেছেন ভাই।
কথা কখনো অস্ত্রের চেয়ে শক্তিশালী। তবে যার দিকে সেই কথার তীর ছোড়া হয় সে জানে সেটার আঘাট কততা মারাত্মক!
ব্লগার জুলভার্ণের মর্মবেদনা আমরা হয়তো উপলব্ধি করতে পারব না- তিনি একজন বিজ্ঞ ম্যাচিউরড মানুষ তাঁর এমন ঘোষনার পেছনে আরো নিশ্চয়ই কোন কারন আছে যা আমরা জানিনা।
তবে সাদা চোখে আমরা ভাবতেই পারি' তাঁর এভাবে ঘোষনা দিয়ে যাওয়া' ঠিক হয়নি।
২৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৪:২৪
কামাল১৮ বলেছেন: সংঘঠিত হয় না।
২৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৭:০৩
স্মৃতিভুক বলেছেন: @তপন, আপনার বক্তব্য পরিষ্কার এবং মনে হয়না গুটিকয়েক জন ছাড়া আর কেউ এখানে দ্বিমত পোষণ করবেন। যাইহোক, এই ব্যাপারে এবার নিজের কিছু মতামত জানাই।
প্রথমতঃ এটা ভার্চুয়াল লাইফ। এখানে কেউ যদি আমাকে আপত্তিকর কিছু বলেন, সেটা মাথায় রেখে যৌক্তিক প্রতিউত্তর দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েই আসা উচিত। আর যদি নিতান্তই ভদ্রলোক হন এবং অনভিপ্রেত সিচুয়েশন হ্যান্ডেল করতে না পারেন, সেজন্য মডারেশন টীম আছেন। এখানে আমি স্পষ্ট করেই বলবো - জুলভার্ন এর ক্ষেত্রে সিচুয়েশন যতদূর এসকেলেট করেছে, ততদূর যাওয়ার আগেই সোনাগাজীকে আসলে থামানো যেতো। কিন্তু সেক্ষেত্রে আবার জনগণ ফ্রি'তে তামাশা দেখা থেকে বঞ্চিত হতো।
দ্বিতীয়তঃ দৈনন্দিন জীবনে (যেমন ধরুন কর্মক্ষেত্রে) আমাদের প্রতিনিয়ত বিচিত্র-চরিত্রের অধিকারী মানুষের সাথে দেখা হয়, কথা হয় এমনকি অপছন্দ করলেও একসাথে কাজ করতে হয়। এখন সেখানে কেউ যদি আমার সাথে বিরূপ আচরণ করে, আমি কি ওই কাজ ছেড়ে তাকে জায়গা দিয়ে দেব? কিংবা কারো কাছে স্কুল পড়ুয়া বাচ্চাদের মতো নালিশ করবো? কখনোই না। আমি খুবই হতাশ, জুলভার্ণের এমন আচরণ দেখে।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:৪২
শেরজা তপন বলেছেন: প্রথমতঃ এটা ভার্চুয়াল লাইফ। এখানে কেউ যদি আমাকে আপত্তিকর কিছু বলেন, সেটা মাথায় রেখে যৌক্তিক প্রতিউত্তর দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েই আসা উচিত।
-আসলে কবি-লেখকেরা বড্ড বেশী স্পর্শকাতর হন- এদের মনের তল পাওয়া কঠিন। কেউ কেউ প্রাপ্তমনস্ক হওয়া স্বত্তেও মাঝে মাঝে ছেলেমানুষি করে ফেলে, এটাই তাদের সৌন্দর্য। আমার মনে হয় ব্লগার জুলভার্ণ তাঁর কমেন্ট ব্লক করে বড় ভুলটা করেছিলেন- তিনি তখন অন্য ব্লগারদের ব্লগে গিয়ে তাঁকে খোঁচাখুঁচি করেছেন। অন্যের পোস্টে খোঁচা দেয়া মন্তব্যের মানসিক চাপ তিনি নিতে পারেননি।
দ্বিতীয়তঃ দৈনন্দিন জীবনে (যেমন ধরুন কর্মক্ষেত্রে) আমাদের প্রতিনিয়ত বিচিত্র-চরিত্রের অধিকারী মানুষের সাথে দেখা হয়, কথা হয় এমনকি অপছন্দ করলেও একসাথে কাজ করতে হয়। এখন সেখানে কেউ যদি আমার সাথে বিরূপ আচরণ করে, আমি কি ওই কাজ ছেড়ে তাকে জায়গা দিয়ে দেব? কিংবা কারো কাছে স্কুল পড়ুয়া বাচ্চাদের মতো নালিশ করবো? কখনোই না। আমি খুবই হতাশ, জুলভার্ণের এমন আচরণ দেখে।
-সবাই আপনার মত খোলা মন নিয়ে এত ব্যাপকভাবে ভাবলে তো কথাই ছিল না। চাকুরির সাথে অনেক বিষয়াদি বাঁ মানুষ জড়িত থাকে, থাকে অর্থনৈতিক ব্যাপারটাও- সেখানে হুট হাট সিদ্ধান্ত অনেক বড় ধরনের সামাজিক/ অর্থনৈতিক ক্ষতির কারন হতে পারে। কিন্তু ব্লগটা একান্ত নিজের জায়গা সেখানে পরিবারের একদন আপনজনও থাকেন ব্রাত্য। এটা শুধুই একটা আবেগের স্থান-এখানে অধিকাংশ মানুষ সত্যিকারে মানসিক পরিপক্কতা নিয়ে আসেনি। আর সেজন্যই এরা ব্যাতিক্রম।
২৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৭:০৩
স্মৃতিভুক বলেছেন: এবার রিসেন্ট ঘটনা প্রসঙ্গে বলি - সোনাগাজীকে বেঁধে রাখার পর কেউ কেউ ওনার উদ্দেশ্যে বিদ্রুপাত্মক পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে আবার কমেন্টের বন্যা বয়ে গেছে। কোনো কোনো মন্তব্য পড়ে মনে হয়েছ, বিশ্বকাপে খেলতে গেছিলেন, এখন "সোনা" জয় করে দেশে ফেরত এসেছেন। আবার কিছু পোস্ট (মনে হয়) মডারেটর সাহেব স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ডিলিট করেছেন।
দ্বিতীয় গ্রুপ হলো "সুশীল" গ্রুপ। গাজী সাহেবকে বেঁধে রাখার আগে কিন্তু এই তথাকথিত সুশীলদের কাউকে বিবাদ থামানোর চেষ্টা করতে দেখলাম না। একবারও বলতে শুনলাম না - "সোনাগাজী আপনি ভুল করছেন"। হাজার হোক সুশীল - সাইধা কি আর নিজের ইজ্জত খোয়াইতে যাইবো! মাগার কথা হইলো - এরা তখন ছিলেন কই! গুহাবাসী হয়ে শীতনিদ্রায় ছিলেন মে বি অথবা গালাগালির রসাস্বাধনে ব্যস্ত ছিলেন। । যেই বসন্ত এসেছে, গুটি-গুটি পায়ে গুহা থেকে বের হয়ে এসেছেন।
এবং বের হয়েই দেশ ও জাতির উদ্দেশ্যে মাগনা উপদেশ বিতরণ করা শুরু হয়ে গেছে - আচরণ কেমন হওয়া উচিত, কি করলে কি হতে পারতো, ভবিষ্যতে করণীয় কি ইত্যাদি ইত্যাদি। সুশীলদের মুখ-নিঃসৃত অমৃত-বাণী শুনে যথারীতি আমরা পুলকিত এবং ধন্য হয়ে গদ-গদ চিত্তে বাহবা দিয়েছি।
শুনেন ভাই - আমার যতবড়ো শত্রুই হোকনা কেন, তার হাত-পা বেঁধে রেখে উল্লাস কিংবা ঠাট্টা-মশকরা করার বিপক্ষে আমি। এটাকে আমার কাপুরুষোচিত আচরণ বলে মনে হয়। যদি কারো উদ্দেশ্যে কিছু বলতে হয়, আগে তাকে আগে মুক্ত করুন - তারপর যা মন চায় বলুন। কারো মুখ বেঁধে রেখে তার উদ্দেশ্যে ফাও উপদেশ বিতরণ করাকেও আমি অরুচিকর বলে মনে করি।
বিঃ দ্রঃ মন্তব্য সর্বাংশে আপনার উদ্দেশ্যে নয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইগনোর করবেন প্লিজ।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:৫৫
শেরজা তপন বলেছেন: আমিও মনে করি কারো মত প্রকাশের অধিকারকে সম্পুর্ণ বঞ্চিত করার অধিকার কারো নেই- যখন এটা পাবলিক প্লার্টফর্ম। হ্যাঁ এখানে ফিল্টার হতে পারে।
ব্লগার সোনাগাজী যত ভয়ঙ্কর গালি সহ্য করেছে তেমনটা অন্য কেউ সহ্য করেছ কি-না আমার জানা নেই। কারো মন্তব্য অপছন্দ হলে হয় ইগনোর, কিংবা প্রতিবাদ অথবা নালিশ করার ব্যাবস্থা তো আছেই।
সোনাগাজীর ব্লগিং স্টাইলটা আসলে আমরা ধরতে পারছি না। এই দেখুন মুলত তাঁর বিরুদ্ধাচারন করে লেখা এই পোষ্টটাইয় তিনি লাইক দিয়েছেন এমনকি তাঁর ফেভারিটে রেখেছেন!! এই বিষয়টাকে আমরা কিভাবে দেখব? তিনি জেনারেলে থাকেও গর্ব করে বলেন তাঁর পোষ্টে পাঠকের অভাব হয়না। যার কোন অনুশুচোনা নেই- ভাবাবেগ নেই, এমন লোককে আপনি ঠেকাবেন কিভাবে??
আপনার মন্তব্যের পুরোটাই আমার উদ্দেশ্যে হলেও আমি গোস্যা করব না। ব্লগ আমার শুধুমাত্র মানসিক প্রশান্তির স্থান। অতি আপন প্রিয়জনগুলো যখন সামান্য স্বার্থের সংঘাতে চরম শত্রু বনে যাই- চারিদিকে ভয়ঙ্কর বিষ বিদ্বেষ ছড়ায়, সেখানে ব্লগতো নস্যি।
২৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৮:৩৯
কিরকুট বলেছেন: দুই বৃদ্ধের অভিমান নিয়ে যাহারা খেল খেল্লেন তাহাদের জন্য কোন বানী নাই? যাহার দিনের পর দিনে সোনা বৃদ্ধ কে গালাগাল করলেন তাহাদের আপনি কি বলবেন? অথচ সোনা বৃদ্ধ মুখ খুললেই যাহাদের সুকমল চর্মে র্যাশ উঠতো তাহাদের তো দেখছি লাল দোপাট্টা উড়িয়ে ব্লগময় নুপুর নিক্কন বাজিয়ে চলছেন। যতো না জুলু দাদুর কষ্ট হয়েছে বা কোষ্ঠকাঠিন্য হয়েছে তার থেকে গায়ে মানে না আপনি মোড়ল টাইপ নির্লজ্জদের কাঠিন্যের মাত্র বেশি ছিলো।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:০৬
শেরজা তপন বলেছেন: আমি নিজেওতো লাল দোপাট্টা উড়িয়ে দিলাম!
অথচ ক'দিন আগেই আমি পোষ্ট দিয়েছিলাম' ব্লগের এই দুঃসময়ে- আমাদের কি করনীয়' নামে এক আবেগঘন পোষ্ট। আর আজকে সম্প্রীতির বিপরীত।
এই বৈপরীত্য হয়তো কম-বেশী সবার মধ্যেই আছে। আমরা যতই মহান সাজার চেষ্টা করিনা কেন- আসলে আমরা সবাই ভন্ড। এইটাই সার কথা।
আমার সেই পোস্টে সোনাগাজী মন্তব্য করেছিলেন;
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনি আপনার হৃদয়ের সমস্তা ভালোবাসা ঢেলে দিয়ে এই পোষ্টটি লিখেছেন, প্রতি লাইনে মনের আবেগটুকু যোগ করে দিয়েছেন, প্রতিটি ব্লগারের মনে সম্প্রীতির অনুরাগ জাগানোর চেষ্টা করেছেন; আপনাকে ধন্যবাদ।
এই লোকটাই ফের যখন ব্লগের সর্বজন শ্রদ্ধেয় ঋদ্ধ নিয়মিত ব্লগারদের পেছনে লাগেন তখন কষ্ট রাখার আর জায়গা থাকে না।
আমি চাই সোনাগাজীর মন্তব্য-বাণে বিদ্ধ ব্লগারেরা স্বমহিমায় ফিরে আসুন। সোনাগাজীও আসুন- ব্লগ সরগরম ও প্রানবন্ত হয়ে উঠুক। মন্তব্যে প্রতি মন্তব্যে জমে উঠুক।
২৯| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৩৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- নাহল তরকারির বিষয়টি আপনি সঠিক বলেছেন। এবং আপনি এটিও জানেন তরকারির সাথে অন্য বিষয়টির গুণগত পার্থক্য আছে। পার্থক্য আছে স্বভাবগত এবং প্রকাশগতও। আমরা চেষ্টা করেছি তরকারির স্বাদ ভালো করতে। আমি বা আপনি অন্যের পোস্টে গিয়ে তরকারির লেখা সম্পর্কে কখনো খুঁচাখুঁচি করি না। তরকারিকে নিয়ে আলাদা পোস্ট করিনি।
-গুরুজ্বীর কিছু কিছু লেখা আমার ভালো লাগে। তবে এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই- ইল্লত যায় না ধুলে , স্বভাব যায়না মলে।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৫৫
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের সাথে একমত। কোনভাবেই ব্লগার সোনাগাজী অন্য ব্লগারের যোগ্যতাকে খাটো করে দেখার উচিৎ নয়- তবুও আমরা সেই অনুচিত বিষয়টা বারবার করি।
খাচলত-এর ব্যাপারটা যেমন তাঁর ব্যাপারে ঠিক তেমনি আমার পাওনার ব্যাপারেও ঠিক।
ব্লগার জুলভার্ণ ভাই বাঁ এমন আক্রমনের স্বীকার অন্য কেউ ব্যাপারটাকে আমলে না নিলেই হোত। এই আমলের ব্যাপারটায় প্রথমেই আসে মন্তব্যে ব্যান করা- এতে কোন কোন ব্লগার ক্ষিপ হয়ে ওঠে। সে নিশ্চিত থাকে যে ব্যান করা ব্লগার তাঁর মন্তব্য অনুসরন করবে এবং সেই সুযোগে সে তাঁকে আরো ক্ষেপিয়ে তোলে। এটা একটা মাইন্ড গেম। বোঝা উচিৎ
৩০| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:০৩
জটিল ভাই বলেছেন:
@মরুভূমির জলদস্যু
আপনার সঙ্গে আমার যে একটা মনস্তাত্ত্বিক দূরত্ব আছে সেটা আপনি বা আমি ছাড়া আজপর্যন্ত অন্যকেউ কি জেনেছে? কারণ, আপনি-আমি দু'জন দু'জনার মতো বিচরণ করছি। এখন যদি একজন ঢিল ছুঁড়ে, তবে অন্যজন কি পাটকেল না মেরে ঢিল কুঁড়িয়ে শো-কেসে সাজিয়ে রাখতো? নাকি এই ঢিল-পাটকেলের খেলা হতে উভয় পক্ষই নীরব থেকে শিক্ষা আর পরিপক্কতার প্রমাণ দিচ্ছে?
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৫৬
শেরজা তপন বলেছেন: একেবারে সহমত।
আরে আমিও ব্যাপারটা খেয়াল করিনি। আসলে এখনো 'কেলাস' রয়ে গেলাম
৩১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য।
ব্লগিং কি?
আপনি পোস্ট করবেন। সেই লেখা আমি পড়বো। এখন লেখায় ভুল থাকলে ধরিয়ে দেওয়া আমার (ব্লগাদের) কাজ। এখন ভুল ধরিয়ে দিলেই আপনারা বলবেন, ব্যাক্তি আক্রমণ করা হয়েছে। এতই যখন ব্যাক্তি আক্রমনের ভয় তাহলে ব্লগিং আপনাদের জন্য না। বাসায় বসে মোয়া খান।
ধরেই নিলাম চাঁদগাজী কঠিন মন্তব্য করেছেন। তাহলে আপনি সেই কঠিন মন্তব্যের উত্তর কঠিন করে দেন। উত্তর দিতে না পেরে হা হুতাশ করলে হবে? পালিয়ে গেলে হবে? কারো কাছে বিচার দিলে হবে? নাকি নিজের গোপন বিষয় গুলো না জানি সকলের সামনে এসে যায়, তাই পালিয়ে যাওয়া?
জুল ভার্ন কে আমি শ্রদ্ধা করি।
তিনি ভদ্র মানুষ। শান্ত মানুষ। জ্ঞানী মানুষ।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:০৩
শেরজা তপন বলেছেন: বিষয়টা আপনি যত সহজ ভাবছেন অতটা নয় ভায়া। যাকে দিনের পর দিন কঠিন বাক্যবানে বিদ্ধ করা হয়, যার বিরুদ্ধে অন্য ব্লগারদের লেখায় গিয়ে তীর্যক মন্তব্য করা হয়- তিনিই বিষয়টা ভাল অনুধাবন করতে পারেন।
ব্লগার সোনাগাজী এত অপমান অপদস্থ হয়ে যেভাবে ব্লগ আকড়ে পড়ে আছেন এটা যেমন বিস্ময়ের- তেমনি আপনার দৃষ্টিতে অতি সাধারন সমালোচনা সহ্য করতে না পেরে ব্লগার জুলভার্নের আকস্মিক ব্লগ ত্যাগ করাটাও বিস্ময়কর!
সবার সহ্য ক্ষমতা, অনুভুতি, ভাবাবেগ এক নয়। আপনার আমার মধ্যে বিস্তর ব্যাবধান আছে- সেজন্যইতো প্রতিটা মানুষ ইউনিক।
৩২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৪১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
@জটিল ভাই-
জটিল ভাই বলেছেন:
@মরুভূমির জলদস্যু
আপনার সঙ্গে আমার যে একটা মনস্তাত্ত্বিক দূরত্ব আছে সেটা আপনি বা আমি ছাড়া আজপর্যন্ত অন্যকেউ কি জেনেছে? কারণ, আপনি-আমি দু'জন দু'জনার মতো বিচরণ করছি। এখন যদি একজন ঢিল ছুঁড়ে, তবে অন্যজন কি পাটকেল না মেরে ঢিল কুঁড়িয়ে শো-কেসে সাজিয়ে রাখতো? নাকি এই ঢিল-পাটকেলের খেলা হতে উভয় পক্ষই নীরব থেকে শিক্ষা আর পরিপক্কতার প্রমাণ দিচ্ছে?
আমার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা খুবই নিম্ন স্তরের, প্রায় গোল্ডফিসের কাছাকাছি বলতে পারেন। আমার ভুলও হতে পারে, তবে আমার মনে হয়েছে- আমি আপনার সুরে সুর মিলিয়ে কোনো একজনের বিরধীতা না করার কারণে আপনি আমাকে এড়িয়ে গেছেন। আমি কোনো পক্ষের হতে রাজি নই বলে আমিও নিরব রয়েছি। এতে আমার-আপনা-সামুর কোনো ক্ষতি হয়নি।
৩৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:০৯
জটিল ভাই বলেছেন:
@মরুভূমির জলদস্যু
আমার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা খুবই নিম্ন স্তরের, প্রায় গোল্ডফিসের কাছাকাছি বলতে পারেন। আমার ভুলও হতে পারে, তবে আমার মনে হয়েছে- আমি আপনার সুরে সুর মিলিয়ে কোনো একজনের বিরধীতা না করার কারণে আপনি আমাকে এড়িয়ে গেছেন। আমি কোনো পক্ষের হতে রাজি নই বলে আমিও নিরব রয়েছি। এতে আমার-আপনা-সামুর কোনো ক্ষতি হয়নি।
আসলেই মনে হচ্ছে আপনার গোল্ডফিস ধারণা সঠিক। কারণ, উল্লেখিত তেমন কোনো ঘটনা আমার জানা নেই। যেটা আপনি ও আমি জানি সেটা প্রথম পাতার একাধিক পোস্ট বিষয়ে। সেটার পর হতেই নিরব থাকা। কেননা, এমন প্রতিবাদ আপনাকে আর করতে পূর্বে বা পরে দেখিনি। এখনো প্রথম পাতায় একজনের ৩ পোস্ট আছে। মাঝেমাঝেই এমন থাকে। কিন্তু এটা আমার ইস্যু নয়। আপনাকে মনে করার সহযোগিতায় বলা। যদিও সেই বিষয়টা আপনি বা আমার কারো বিচরণের অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়নি। সেটাই উল্লেখ করেছি আগের মন্তব্যে।
৩৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১০
শেরজা তপন বলেছেন: প্রিয় জটিল ভাই ও মরুভুমির জলদস্যু
মন্তব্যবের সুর ধীরে ধীরে পাল্টে যাচ্ছে। এবার বিরতি দেন।
৩৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৮
কিরকুট বলেছেন: জুলু দাদু সম্ভাবত চাইছেন আর একটু সাধিলেই খাইবো ধরনের কিছু। দেখি কে সেই সাধনেওয়ালা।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৮
শেরজা তপন বলেছেন: তিনি আমার সবিশেষ শ্রদ্ধার পাত্র। আরেকটু পরিশীতল ভাষায় মন্তব্যের অনুরোধ রইল। এইরকম খোঁচা খাইলে যার কিঞ্চিৎ আগ্রহ আছে সে ফের ইউ টার্ন করবে।
৩৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:০১
ঢাবিয়ান বলেছেন: ব্লগার জুলভার্ন ভাই চলে গেছেন। জানি না আর ফিরবেন কিনা। আমেরিকান বিজ্ঞানী ব্লগারের বিতর্কিত উক্তি সংক্রান্ত পোস্ট দেখেছেন কি ? মনেতো হচ্ছে ব্লগের সবচেয়ে প্রিয়জন সজ্জন ব্লগার খায়রুল আহসান স্যারকে উদ্দেশ্য করে একটি বিতর্কিত উক্তি করা হয়েছে।
আম ব্লগারদের আরেকটু চোখ কান খোলা রাখতে হবে। আর কোন সুলেখক ব্লগারের ব্লগ থেকে চলে যাওয়া দেখতে চাই না।
২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৫৬
শেরজা তপন বলেছেন: কোন পোষ্টটার কথা বলছেন- আমিতো তেমন কিছু খুঁজে পেলাম না!
আমি ব্লগারদের আরেকটু চোখ কান খোলা রাখতে হবে। আর কোন সুলেখক ব্লগারের ব্লগ থেকে চলে যাওয়া দেখতে চাই না।
অবশ্যই সু-লেখক বিজ্ঞ ঋদ্ধ সজ্জন ব্লগারদের ব্যাপারে ব্লগারদের মাঝা মধ্যে অবহিত করতে হবে। অনেকে না বুঝেই সুর মিলেয়ে তাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটায়।
ব্লগার জুলভার্ণ ফিরে এসে তাঁকে হেয় ও অপমানিত করা ব্লগারদের বিরুদ্ধে কলম ধরে যুদ্ধ করে টিকে থাকবেন ব্লগে সেই আশা করি।
৩৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৫০
মিরোরডডল বলেছেন:
শেরজা জোকসটা মজার ছিলো।
২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৫৮
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার চারখানা শব্দের মন্তব্যে খানিকটা হতাশ হলাম।
তারপরে আপনি অবশেষে এসেছেন দেখে বেজায় আনন্দিত
৩৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:৪৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
জটিল ভাই বলেছেন:
আসলেই মনে হচ্ছে আপনার গোল্ডফিস ধারণা সঠিক। কারণ, উল্লেখিত তেমন কোনো ঘটনা আমার জানা নেই।
- তাইতো!! আমি অন্য আরেক জনের সাথে গুলিয়ে ফেলেছি। সরি।
জটিল ভাই বলেছেন:
যেটা আপনি ও আমি জানি সেটা প্রথম পাতার একাধিক পোস্ট বিষয়ে। সেটার পর হতেই নিরব থাকা। কেননা, এমন প্রতিবাদ আপনাকে আর করতে পূর্বে বা পরে দেখিনি।
- এটিও সঠিক। ঠিক সেই সময় আপনি আর অন্য আরেকজন যে পরিমান পোস্ট প্রথম পাতায় করেছেন সেটি আমি আমার পোস্টে তুলে ধরেছিলাম। আপনাকে বা অন্য কাউকে হেও করার জন্য নয়, শুধু বিষয়টি নজরে আনার জন্য। এখনো মাঝে মাঝে কারো কারো একাধীক পোস্ট প্রথম পাতায় আসে, তবে তা সেই সময়ের মতো ততো বেশী নয়।
জটিল ভাই বলেছেন:
এখনো প্রথম পাতায় একজনের ৩ পোস্ট আছে।
- এটিও সঠিক। এবং উনার শেষ পোস্টে আমি সেটি লিখেছি। যদি উনি আমার সেই মন্তব্য মুছে দিয়ে না থাকেন এখনো গিয়ে দেখে আসতে পারেন।
কিরকুট বলেছেন:
জুলু দাদু সম্ভাবত চাইছেন আর একটু সাধিলেই খাইবো ধরনের কিছু।
- সরি আপনি লোক চিনতে ভুল করেছেন। খাওয়ার জন্য আমাকে সাধা লাগে না। আমি এমনি এমনিই খাই।
৩৯| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:২০
নিমো বলেছেন: খোঁচায় ধার আছে। সবই বুঝলাম কিন্তু উটের একা একা লাগলে কী করে, সেটাতো জানতে পারলাম না।
২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:০০
শেরজা তপন বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ ওইটা তো উটনি
ওর সমস্যা হয়না -এমন ইংরেজ সেনাপতি মাঝে মধ্যেই আসে ওখানে
৪০| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:১৬
অপু তানভীর বলেছেন: ইংরেজ আর উট দিয়ে যেমন কৌতুক রয়েছে এই রকম একটা কৌতুক রয়েছে মোল্লা আর বিড়াল নিয়ে । কৌতুকটা এখানে বলা ঠিক হবে কিনা বুঝতেছি না !
কৌতুকের উপরের বক্তব্য নিয়ে বাক্যব্যয় মানে বৃথা সময় নষ্ট ছাড়া কিছুই নয় ।
২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:২৩
শেরজা তপন বলেছেন: বলতে চাইলে বলে ফেলেন -এইটা প্রাপ্ত বয়স্কদের আড্ডাখানা।
থাক আপনি আর অযথা বাক্যব্যায় করিয়েন না।
অফটপিকঃ আপনার শেষ পোস্টে মতামত সুবিধা বন্ধ করা ঠিক হয়নি। অনেকের অনেক প্রশ্ন থাকতে পারে।
৪১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:২৯
অপু তানভীর বলেছেন: আমার মনে হয় ওখানে মন্তব্যের খুব একটা দরকার নেই । এখানে যারা এখন ব্লগিং করেন তারা ঠিকই বুঝবেন যে কিভাবে ছবি যুক্ত করতে হবে । মেইলে ছবি যুক্ত করার ব্যাপার নিয়ে কারো সাহায্যের দরকার হবে বলে মনে হয় না ।
২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৮
শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক আছে আপনি যা ভাল বোঝেন।
আমার মতামত আমি জানাইলাম- এই ঝিমানো ব্লগে দেখি ব্লগারেরা কতটুকু সারা দেয়।
৪২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৩৪
মিরোরডডল বলেছেন:
মাই ডিয়ার শেরজা, অনেক কিছুই বলার থাকে কিন্তু মনে হয় কি হবে বলে !!!
শুধু শুধু ক্যাচাল হবে, তাই আর বললাম না।
২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১০
শেরজা তপন বলেছেন: এমনিতেই অন্তহীন ক্যাচাল(যেন সব ফাঁসীর আসামীদের একরুমে রাখা হৈসে)
থাক আর কিছু না বলাই ভাল। কথা কম-ভ্যাজাল কম।
৪৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:১০
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: কেমনে কই আপনি ভালো লিখেন, যদিও আপনি আমায় জিগান নাই! তয় রম্য ভালো পারেন হেইডা ক্লেয়ার
মঝেমইধ্যে মুন খারাপ হুইলে আপনের এই পোস্টটি প্রতিষেধকের কাজ দিবে!
ব্লগার জুল বার্ন ভাই একজন শ্রদ্ধেয় ব্যাক্তি ছিলেন, যারা অন্যকে সম্মান দিতে না জানে তাদের নিয়ে চলা মুশকিলের, বিশেষ করে যখন শিক্ষিত মহলে এটা ঘটে। তবু আশা করি ভাই ফিরে আসবেন!
২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৩
শেরজা তপন বলেছেন: থাউগ্গা এদ্দিন কন নাই যহন আর কইয়েন না। আপনার মন্তব্যের শেষ্টুকু লিখলেই আমি খুশীতে বাক বাকুম করতাম
হ্যাঁ শ্রদ্ধা সম্মানের অনেক ঘাটতি রয়ে গেছে! কা যে আসলে ভাল বোঝে এইটাই বোঝা মুশকিল
৪৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:২৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: শেরজা তপন,
স্বেচ্ছায় কেউ হারিয়ে যাক ব্লগ থেকে এটা কেউই আশা করেনা। কিন্তু "আশা"যে বড্ড কুহকিনী !!!!!!!!!!!!!
ঈদের বাসী শুভেচ্ছা..........
২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:১১
শেরজা তপন বলেছেন: অবশ্যই যে কারো ব্যাপারেই এটা নৈরাশ্যজনক!
বাসী ঈদের শুভেচ্ছা প্রিয় ব্লগার। ভাল থাকুন।
৪৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:০৫
কিরকুট বলেছেন: আপনি যাহার জন্য এই পোস্ট খানা প্রসব করেছেন তাহার একটা বানী আপনাকে শেয়ার করি ।
১৪২ কোটি ৮৬ লক্ষ জনসংখ্যার রেকর্ড দেশ ভারত!
শিবের নুনুতে এমনি এমনিই কি দুধ ঢালেন তারা?
এই লোক কে আপনার কি আসলেই সুস্থ্য মনে হয় ? আমার তো ওনাকে হিপক্রেট মনে হয় । একজন মুক্তিযোদ্ধা ধার্মিক হবেন কিন্তু অন্য ধর্মের প্রতি কুচিন্তা এবং বিদ্বেষ পোষণ করবেন না । এমনটাই আমি জানি !
২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:০৯
শেরজা তপন বলেছেন: কারো একখানা ভুল ধারনা,মন্তব্য কিংবা পদক্ষেপে সেই মানুষের পান্ডিত্য বাঁ চরিত্র বিচার করার মানুষ আমি নই।
প্রতি মুহুর্তে কতই না ভুল তথ্য দিচ্ছি আমরা, ভুল ভাবনায় বিভ্রান্ত করছি মানুষকে, নিজের পরিবার বন্ধুজনের সাথে ভন্ডামী করছি।
যার যার হিসাব তাকেই দিতে হবে। ওই একখানা মন্তব্য শ্লীল কি অশ্লীল, অর পেছনে লুকিয়ে আছে ভন্ডামী না চাতুর্যতা এই বিচার করার দায়িত্ব আমার না। ভাগ্যিস আমি সোশ্যাল মিডিয়াতে খুব বেশী সরব নই। নাহলে আমার কত দোষ-ত্রুটি বের হোত।
আপনি তাঁকে নিয়ে আপনার ভাবনায় থাকুন- আমার কাছে তিনি তেমনই শ্রদ্ধাভাজন।
৪৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৩
কিরকুট বলেছেন: একদম না। আপনি মুছে ফেলতে পারেন।
২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:০৭
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার উদার মানসিকতার জন্য ধন্যবাদ।
৪৭| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:০১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ব্লগার জুলভার্ন আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন এই শুভকামনা। সামহোয়্যারইনব্লগে উনার মতো একটিভ ব্লগার দরকার আছে।
২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:০৮
শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক বলেছেন সেলিম ভাই, শুধু একটিভ নয় উনি একজন ঋদ্ধ ও বিজ্ঞ ব্লগার। ধন্যবাদ
৪৮| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:২৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ঈদ মুবারক !
২৯ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:১০
শেরজা তপন বলেছেন: এই ক্যাচালীয় পোস্টে মোবারকবাদ জানাইলেন
বেশ তবে ঈদ মোবারক। যদিও একটু দেরি হইয়া গেল তবুও ঈদের আমেজ এখনো মুছে নাই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:৪২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: হাহাহাহাহাহাহাাহাহাহাহাহাহাাাাাাাাাহহহহাহাহাহাহাাহাহাহাহাহাহাহাহাহহাহাহাহাহাহাহাাহাহাহাহাহাহাাাাাাাাাহহহহাহাহাহাহাাহাহাহাহাহাহাহাহাহহাহাহাহাহাহাহাাহাহাহাহাহাহাাাাাাাাাহহহহাহাহাহাহাাহাহাহাহাহাহাহাহাহহাহাহাহাহাহাহাাহাহাহাহাহাহাাাাাাাাাহহহহাহাহাহাহাাহাহাহাহাহাহাহাহাহহাহাহাহাহাহাহাাহাহাহাহাহাহাাাাাাাাাহহহহাহাহাহাহাাহাহাহাহাহাহাহাহাহহাহাহাহাহাহাহাাহাহাহাহাহাহাাাাাাাাাহহহহাহাহাহাহাাহাহাহাহাহাহাহাহাহহাহাহাহাহাহাহাাহাহাহাহাহাহাাাাাাাাাহহহহাহাহাহাহাাহাহাহাহাহাহাহাহাহহাহাহাহাহাহাহাাহাহাহাহাহাহাাাাাাাাাহহহহাহাহাহাহাাহাহাহাহাহাহাহাহাহ
হালার ইংরেজ
আবার আসিব ফিরে