নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
ভাগনার যার সঠিক রুশীয় উচ্চারন вагнера ‘ভাগনের’ এই ‘ভ’ আমাদের বাংলার ঠোট সরু করে ‘ভ’ এর মত নয় এটা নিচের ঠোট সামনে এগিয়ে শিশ দেবার মত করে উপরের ঠোট ভিতরের দিকে নিয়ে ‘ও’ এবং ‘ভ’ ইয়ের মাঝামাঝি উচ্চারণ।
বিশ্বখ্যাত জার্মান মিউজিক কম্পোজার ‘Wilhelm Richard Wagner’ এর নামানুসারে এমন ভয়ঙ্কর নিশ্বংস ভাড়াটে বাহিনীর নামকরন করা হয়েছে ভাবলেই বুকের মধ্যে কষ্ট হয়। তবে কেন তাঁর নামে এই ভাগনার বা ভাগনার গ্রুপের নামকরন হ্ল।
আমাদের প্রায় সবারই ধারনা ভাগনার গ্রুপ এই রাশিয়া উক্রাইনের যুদ্ধেই আত্মপ্রকাশ করেছে, এর আগে এই গ্রুপের কোন অস্তিত্ব ছিল না!
একথা জানতে হলে আমরা প্রায় দু’দশক আগে পিছিয়ে যাই;
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন, রাশীয়ার সামাজিক অবক্ষয়, অর্থনৈতিক টানাপড়েন, রাজনৈতিক দৈন্যতার সুযোগে গড়ে ওঠে নতুন এক নাৎসিদের মত ফ্যাসিস্ট সংগঠন; যাদেরকে বলা হত ‘স্কিনহেড’। এদের অনেকেই মাথা মুড়ে সামরিক বাহিনীর অনুরূপ পোষাকে চলাফেরা করত। প্রথমে বিচ্ছিন্নভাবে এদের কার্যক্রম শুরু হয় মুলত; এশীয়, মধ্য এশীয় ও আফ্রিকানদের মারপিট,ছিনতাই, লুটপাট ও ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে। ১৯
৯৪ থেকে ২০০০ সাল এদের ভয়ঙ্কর নিঃশ্বংস তৎপরতায় পুরো রাশিয়া জুড়ে বিদেশীরা কোনঠাসা হয়ে পড়ে। (আমার ‘কাগদা তো-ভ রাশিয়াতে’ ওই সময়কালের ঘটনার বিস্তারিত উল্লেখ আছে। )
কাগদা তো-ভ রাশিয়া (Once upon a time in Russia)
পুতিন ক্ষমতায় আসার পরে মুলত তাঁর ও রাশিয়ান মাফিয়াদের আস্কারা ও অনুপ্রেরণায় এদের সংগঠন সংঘবদ্ধ হয়।
কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির সংস্থার একজন নেতৃস্থানীয় বিশেষজ্ঞ কিম্বার্লি মার্টেন, ২০০৫ সালে এর ভিত্তি খুঁজে পেয়েছেন এবং পুরানো ব্যক্তিগত সামরিক গোষ্ঠীতে এর শিকড় খুঁজে পেয়েছেন।
~ দিমিত্রি উতকিন
ধারনা করা হয় যে, দিমিত্রি উতকিন নামে নাৎসি ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ হিটলারের অন্ধভক্ত ভাগনার নামে এই ভাড়াটে বাহিনীকে সংগঠিত করে। হিটলারের প্রিয় সুরকার ছিলেন, Wilhelm Richard Wagner’। সেই সুত্রে উতকিন-ও তাঁর ভক্ত ছিল। ভাগনারের মিউজিক্যাল কল সাইন ভাগনার গ্রুপের লোগো হিসেবে ব্যাবহার হয়। ধারনা করা হয় ভাগনার গ্রুপের সদস্যরা গ্রুপে যোগ দিয়ে তাদের দেহে এই কল সাইনের ট্যাটু আঁকত।
এটা দিমিত্রি উতকিনের ছবি। তাঁর গায়ে আকা ভাগনারের কল সাইন ও হিটিলারের নাজি বাহিনীর লোগো।
ভাগনার গ্রুপ গত দুইযুগেরও বেশী সময় ধরে ভীষণ গোপনীয়তার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী তাদের তৎপরতা চালিয়ে আসলেও তারা কখনোই তেমন আলোচনায় আসেনি।
~ Wilhelm Richard Wagner’।
*ভাগনার* Wagner – ভয়ঙ্কর এক ভাড়াটে খুনে বাহিনী
রুশ সেনাদের সহযোগী ভাড়াটে বাহিনী হিসেবে ইউক্রেনে যুদ্ধরত ভাগনার গ্রুপকে একটি ‘অপরাধী সংগঠন’ হিসেবে বেশ আগেই চিহ্নিত করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ইউক্রেনে বর্তমানে এই গোষ্ঠীর প্রায় ৫০,০০০ যোদ্ধা সক্রিয় রয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন কারবি।
ভাগনার গ্রুপের এখনকার নেতা হচ্ছেন ইয়েভগেনি প্রিগোশিন – যিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একজন মিত্র। মি. কারবি বলেন, গ্রুপটির যোদ্ধাদের ৮০ শতাংশই নেয়া হয়েছে কারাবন্দীদের মধ্যে থেকে।
ওয়াশিংটন থেকে বিবিসির সংবাদদাতা বার্ন্ড ডেবুসম্যান জুনিয়র জানাচ্ছেন, এই ভাগনার গ্রুপকে “বিভিন্ন দেশে সক্রিয় একটি অপরাধী সংগঠন” বলে ঘোষণার ফলে যুক্তরাষ্ট্র এর বিরুদ্ধে ব্যাপকভিত্তিক কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে।
কিন্তু আমার কথা হচ্ছে রাশিয়ার এই গোপন সংগঠন সারা বিশ্বব্যাপী সুদীর্ঘ সময় ধরে ভয়ঙ্কর সব তৎপরতা চালানোর পরেও কেন তাদেরকে আগেই নিষিদ্ধ করা হয়নি। সম্ভবত এর উত্তর; চোর এ চোরে মাসতুতো ভাই। এমন অবৈধ গোপন সংগঠন বাকি সব ক্ষমতাধর দেশেরই আছে।
নিকট অতীতে এই ভাগনার গ্রুপ সিরিয়া, লিবিয়া, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রসহ বেশ কিছু দেশে তৎপর ছিল। সম্প্রতি পূর্ব ইউক্রেনের বাখমুত ও সোলেদার শহর দখলের লড়াইয়ে ভাগনার গ্রুপ বড় ধরনের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার পরেই সারা বিশ্বের দৃষ্টি কাড়ে।
কয়েকদিন আগে উত্তর কোরিয়া থেকে রাশিয়ার ট্রেনে করে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র আনার যে গোয়েন্দা ছবি প্রকাশ পেয়েছে – সেসব অস্ত্রশস্ত্র পরে ভাগনার বাহিনীই ব্যবহার করেছে বলে বলা হচ্ছে।
কীভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ভাগনার বাহিনী?
বিবিসির এক অনুসন্ধানে বলা হয়, চেচনিয়ায় যুদ্ধ করা একজন রুশ সেনা কর্মকর্তা দিমিত্রি উতকিন (সম্ভবত) এই বাহিনী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
তবে বর্তমানে এর প্রধান হচ্ছে ধনী ব্যবসায়ী ইয়েভগেনি প্রিগোশিন – যাকে পুতিনের শেফ বা বাবুর্চী বলা হয় কারণ একসময় তিনি ক্রেমলিনের জন্য খাবার সরবরাহ করতেন।
~ গুরু-শিষ্য এক ফ্রেমে। চমৎকার যুগল!!
এযাবৎ পাওয়া নির্ভরযোগ্য সুত্রের তথ্য বিশ্লেষন করে জানা যায় ক্রাইমিয়া দখলের জন্য রাশিয়ার ২০১৪ সালের যুদ্ধে ভাগনার গ্রুপের যোদ্ধারা প্রথম ভুমিকা পালন করে। এর পর ২০১৫ সালে সিরিয়াতে সরকারসমর্থক বাহিনীর পাশাপাশি থেকে যুদ্ধ করে ভাগনার বাহিনী, এবং সেসময় তারা তেলের খনিগুলোও পাহারা দিত ( পাহারা দেয়া মানে; ইচ্ছেমত তেল উত্তোলন করে চোরাই পথে বিক্রি করত)।
তা ছাড়া ভাগনার বাহিনী ভাড়াটি সৈন্যরা লিবিয়ায় জেনারেল খলিফা হাফতারের সহযোগী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে এবং মধ্য-আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে হীরার খনি পাহারার কাজেও নিয়োজিত।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির সরকার ইসলামি জঙ্গী গ্রুপগুলো-কে দমনের জন্য 'ভাগনার' বাহিনীকে কাজে লাগাচ্ছে। তাঁর মানে এখনো তারা রাশিয়ার বাইরে সক্রিয়। ধারণা করা হয়, সুদানে সোনার খনিও পাহারা দেবার কাজ করছে 'ভাগনার' বাহিনীর যোদ্ধারা।
সুদান ও মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে তাদের কর্মকাণ্ডের কারণে ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্র তাদের ওপর বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। হোয়াইট হাউজের একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেছেন, পূর্ব ইউক্রেনে বাখমুত দখলের লড়াইয়ে 'ভাগনার' গ্রুপ সক্রিয় থাকার কারণ হচ্ছে মি. প্রিগোশিন সেখানকার লবণ ও জিপসামের খনিগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে চান।
[sb]ভাগনার গ্রুপের যোদ্ধারা কারা?
সূত্রমতে, ইউক্রেনে যুদ্ধরত রুশ বাহিনীর প্রায় ১০ শতাংশ হচ্ছে ভাগনার গ্রুপের যোদ্ধা। এর মধ্যে হাজার হাজার যোদ্ধা এসেছে রাশিয়ার কারাগারগুলোতে থাকা বন্দীদের মধ্যে থেকে।
প্রথমদিকে তাদের সৈন্য সংখ্যা ছিল মাত্র ৫,০০০ – যাদের অধিকাংশই ছিল বিভিন্ন রেজিমেন্টের সাবেক সৈন্য। তবে ক্রেমলিন নিয়মিত বাহিনীর জন্য লোক পেতে সমস্যায় পড়ার পর এই ভাগনার বাহিনী বড় সংখ্যায় সেনা নিয়োগ শুরু করে।
একজন কর্মকর্তা বলেন, রুশ শহরগুলোতে ওয়গনার গ্রুপের বিলবোর্ড দেখা যাচ্ছে এবং তারা প্রকাশ্যেই লোক নিয়োগ করছে । রুশ মিডিয়াতে তাদের দেশপ্রেমিক সংগঠন হিসেবে তুলে ধরা হয়।
ভাগনার গ্রুপের বিরুদ্ধে ২০২২ সালে ইউক্রেনের বুচা ও কিয়েভের নিকটবর্তী এলাকায় বেসামরিক লোকদের হত্যা ও নির্যাতনের অভিযোগ আছে।
~ভাগনার বাহিনীর হাতে নিহত উক্রাইনের বেসামরিক মানুষের লাশের সারি।
জাতিসংঘ ও ফরাসী সরকার এর আগে মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে ওয়াগনারের ভাড়াটে সৈন্যদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ডাকাতির অভিযোগ আনে। এর পর ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
মার্কিন সামরিক বাহিনী ২০২০ সালে ওয়াগনারের যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি ও তার আশপাশে ল্যান্ড মাইন ও অন্য বিস্ফোরক পেতে রাখার অভিযোগ আনে।
জানুয়ারি মাসে ভাগনার বাহিনীর একজন সাবেক কম্যান্ডার নরওয়েতে দলত্যাগ করে রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার পর দাবী করেন, তিনি ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হতে দেখেছেন।
ভিতালি ভোতানভোস্কি উত্তর ককেশাসের একজন সুপরিচিত স্থানীয় ব্লগার এবং মানবাধিকার কর্মী যিনি মস্কোর বছরব্যাপী আগ্রাসনের প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা তদন্ত করে বের করার চেষ্টা করেছেন এবং সেই ধারা এখনো অব্যাহত আছে। তাঁর সাথে প্রথমবার যোগাযোগ করেন আন্দ্রে কার্গিন নামে ২২ বছর বয়েসী ভাগনারের ভাড়াটে সৈন্যের এক খালা। তিনি বেশ কয়েকমাস তাঁর ভাগ্নের কোন খবর পাচ্ছিলেন না। ভাগনারের সদর দপ্তরে যোগাযোগ করেও তিনি কোন সদুত্তর পাননি। ভাগনারদের সাথে চুক্তি পত্রে তাঁর বিস্তারিত উল্লেখ ছিল- যদি কোন কারনে কার্গিন মারা যায় তবে তাঁর মৃত্যুর খবর ও লাশ তাকেই পাঠাবে। শুধু তাই নয় যুদ্ধে কার্গিনের মৃত্যু হলে বেশ বড় অঙ্কের অর্থ খালার একাউন্টেই আসার কথা।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির শেষে, ভোতানভস্কি ইউক্রেনে মারা যাওয়া ওয়াগনেরাইটদের জন্য একটি বিশেষ কবরস্থানে রাশিয়ায় কার্গিনের কবর খুঁজে পান। ওয়াগনাররা তার খালার কখনই সাথে যোগাযোগ করেননি তাকে জানাতে যে তার ভাগ্নেকে হত্যা করা হয়েছে বা তিনি কি তাঁর শেষকৃত্যে যোগ দিতে চান। অবশেষে তিনি তাঁর ভাগ্নের মৃতু সন্মন্ধে নিশ্চিত হলেন ভোঁতানভস্কির তোলা একটি ছবি দেখে।
এরপর থেকেই,অনেক পরিবার তাদের আত্মীয়দের ভাগ্য সম্পর্কে ভোতানভস্কির সাথে যোগাযোগ করেছে যারা ইউক্রেনে ওয়াগনারের জন্য ভাড়াটে হিসাবে লড়াই করেছিল।
~ ভাগনার সৈন্যদের কবর।
ভিতালী (এখানে ভোতানভস্কি হবে) রেডিও লিবার্টি (কাভকাজ *ককেশাস ডট রিয়ালিকে) বলেন যে, তিনি ইউক্রেনে নিহতদের কবর খুঁজতে শুরু করার পর থেকে তিনি দক্ষিণ রাশিয়ায় এবং ভলগোগ্রাদ এমনকি বেলারুশ এবং কাজাখস্তানের মতো দূরেও কিছু ভাগ্নার বাহিনীর সদস্যদের কবরের খোঁজ পেয়েছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, পরিবারগুলিকে মৃত্যুর বিষয়ে জানানো হয়নি। দিমিত্রির সেই সব কবরস্থান আবিষ্কার করার পরে তাদের আত্মীয়রা আর বেঁচে নেই বলে তারা জানতে পেরেছিল।
ভিতালি বলেছেন এযাবৎ শুধুমাত্র একজনের খবর আমি পেয়েছি যার স্ত্রীকে জানানো হয়েছিল যে যুদ্ধে তাঁর স্বামী মারা গেছেন।
তিনি এতদ অঞ্চলে ভ্রমণের সময়ে প্রচুর কবস্থান আবিস্কার করেন যা ভাগনারের লগো খচিত কালো পতাকা আর হলুদ পুস্পস্তবকে ঢাকা ছিল।
এই কালো পতাকা এবং হলুদ পুষ্পস্তবকগুলি ইউক্রেনে মারা যাওয়া ওয়াগনার সৈন্যদের কবরের প্রতীক হয়ে উঠেছে। ভাগনার বাহিনী করে সাম্প্রতিক মাসগুলিতে সোলেদার এবং বাখমুতের মতো পূর্ব ইউক্রেনের শহরগুলিতে কঠোর লড়াইয়ে ব্যাপক হতাহতের শিকার হয়েছে।
একটি ফাঁস হওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে — ভাগনারের বস ইয়েভজেনি প্রিগোজিন, এও বলেছেন যে পরিবারের সদস্য ইউক্রেনে যুদ্ধে মারা গেলে নগদ অর্থ প্রদান করবে। . মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলি বলছে যে বন্দীদের নিয়োগ করা হয়েছিল তাদের বলা হয়েছিল যুদ্ধক্ষেত্রে তারা মৃত্যুবরন করলে তাদের পরিবার ৫ মিলিয়ন রুবেল (৭১০০০ ডলার) অনুদান পাবে।
সমস্ত মৃতদেহকে সরিয়ে ফেলার জন্য, ভাগনার তার মৃত যোদ্ধাদের জন্য বিশেষ কবরস্থান তৈরি করেছিল, যাদের মধ্যেবে বেশীরভাগকে কারাগার থেকে মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধ করার জন্য ডাকা হয়েছিল বলে মনে করা হয়। ভিতালি সর্বপ্রথম দক্ষিণ-পশ্চিম রাশিয়ার বাকুস্কায়া গ্রামে গত ডিসেম্বরে বিশাল ভাগনেরিয়ান কবরস্থান আবিষ্কার করেন।
সাজা মওকুফ বড় অঙ্কের বেতন, যুদ্ধ শেষে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের নিশ্চয়তা, লুটের মাল ভাগ সহ বিশেষ আশ্বাসের ভিত্তিতে যারা ভাগনারের পক্ষে যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছে তাদের বড় অংশের পরিনতিই হয়েছে এমন নিষ্ঠুর ও অমানবিক। মৃত্যর পরে তাদের পরিবারকে সেই প্রতিশ্রুত অর্থ দিতে হবে বলে তারা খবরটাও চেপে যায়।
"ভিতালি অবশ্য একথাও স্বীকার করেছেন যে, [রাশিয়ার] আশেপাশে এমনকি প্রতিবেশী দেশগুলিতেও যেখানে যুদ্ধের সরঞ্জাম ও খাবার রসদ যোগাড় করতেই হিমশিম খেতে হয় সেখানে মৃতদেহ পরিবহনের চেয়ে এক জায়গায় সমাধিস্থ করা সহজ,"।
ভাগনারের সৈন্যরা কত বেতন পান?
তাদের প্রশিক্ষণের সময়, PMCs প্রতি মাসে ১১০০ ডলার বেতন পায়। ভাগনার প্রাইভেট মিলিটারি কন্ট্রাক্টর (PMCs), যারা সাধারণত ৩৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত নিয়মিত রাশিয়ান সার্ভিসম্যানদের বেতন অনুমান করা হয় প্রতি মাসে ৮০ হাজার থেকে ২৫ হাজার রাশিয়ান রুবেল ( ৬৬৭-২০৮৩ ডলার) এর মধ্যে।
ভাগনার-এর অর্থের উৎস
সম্প্রতি রাশিয়ান ধনকুবের ভাগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি ২০২৪ সালে ইউক্রেনে রাষ্ট্রপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান। যা পুতিনের জন্য বিশাল মাথাব্যাথার কারণ।
রাশিয়ায়, ভাগনার একটি অফিসিয়াল কোম্পানি নয় কারণ সে দেশের আইন কোন বেসরকারী সামরিক কোম্পানির অস্তিত্বের অনুমতি দেয় না। পরিবর্তে, এটি মস্কোর গোপন সমর্থনে ও অন্য কোন দেশের সরকারের সাথে দৃঢ় সম্পর্কের ভিত্তিতে একটি জটিল সত্তার আড়ালে লুকিয়ে আছে।
যদিও পশ্চিমাবিশ্ব তাদের অর্থোপার্জনের বিভিন্ন উৎস খুঁজে পেয়েছে কিন্তু রাশিয়া বরাবরই আর্থিক উপার্জনের উৎস অব্যাহতভাবে গোপন রেখেছে। কিন্তু অন্যদিকে রাশিয়া বিভিন্ন ফ্রন্টে তাদের অর্থ আদান প্রদান করার অনুমতি দিয়েছে। .
তাহলে কিভাবে রাশিয়ার ওয়াগনার গ্রুপ অর্থ উপার্জন করে?
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ওয়াগনার গ্রুপের কার্যক্রম আফ্রিকায়, বিশেষ করে সুদান, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক (CAR) এবং লিবিয়ায় প্রসারিত হয়েছে, যেখানে এটি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র প্রিগোজিনের স্বার্থ রক্ষা করে।
গত বছর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সিএআর, মালি, সুদান এবং মহাদেশের অন্য কোথাও প্রাকৃতিক সম্পদ লুটপাটের জন্য ওয়াগনার ভাড়াটেদের অভিযুক্ত করেছে।
ইউক্রেনের সাথে রাশিয়ার যুদ্ধের শেষ বছরে, ভাগনার গ্রুপ তার নেটওয়ার্ক আরও প্রসারিত করেছে, যেখানে শুধু বিভিন্ন খনির থেকে লাভ ১ বিলিয়ন পৌঁছেছে বলে জানা গেছে।
বহনযোগ্য পণ্য ও মূল্যবান রত্ন, যেমন সোনা এবং হীরা,ভাগনার -এর জন্য অর্থপ্রদানের আদর্শ উপায় কারণ সেগুলি সহজেই হোয়াইটওয়াশ করা যায়।
সেন্ট পিটার্সবার্গে RN ট্রেডিং নামে নিবন্ধিত একটি অস্পষ্ট কোম্পানি দ্বারা এই রত্নগুলির ব্যবসা করছে বলে জানা গেছে। যদিও তাদের সরকারী অনুমোদন দেয়া হয়নি- তবুও তারা খোলামেলাভাবে এই ব্যাবসা করে আসছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর, সুদানের কর্মকর্তারা খার্তুমে রাশিয়াগামী একটি বিমান পরিদর্শন করেছিলেন ও বিস্কুট বা কুকি হিসাবে লেবেলযুক্ত অনেকগুলো বাক্সে সোনা খুঁজে পেয়েছিলেন।
আফ্রিকার বন সম্পদ ধ্বংস
২০২২ সালে "অল আইস অন ভাগনার" উদ্যোগের দ্বারা তৈরি একটি ওপেন সোর্স তদন্তের একটি প্রতিবেদনে পাওয়া গেছে যে একটি ভাগনার কোম্পানিকে কঙ্গো বেসিনের একটি এলাকায় কাঠের ব্যবসার জন্য ৩০ বছরের পারমিট বরাদ্দ করা হয়েছিল, যা একটি বিশ্বের অনুন্নত রেইনফরেস্টের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ২০২১ সালে কাঠ কোম্পানি ‘বোইস রুজ’ কাঠের ব্যাবসার অনুমোদন পাবার সময় ওয়াগনার ভাড়াটেরা সিএআর-এর বোদা শহরের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ধারনা করা হয় এখান থেকে অলরেডি ৮৯০ মিলিয়ন ডলারের বেশী অদ্যবধি ভাগনারেরা আয় করেছে।
~ কঙ্গো বেসিন রিসার্ভ রেইনফরেস্ট। এই সেই বিরলতম স্থান শুধুমাত্র যেখানে বাস করে মানুষের নিকটতম আত্মীয় (ধারনাগত) 'বোনোবোস' বা পিগমি শিম্পাঞ্জি। বন উজার হবার সাথে সাথে তাদের আবাস্থলও হুমকির সম্মুখীন।
মধ্যপ্রাচ্যের তেল
এটি রিপোর্ট করা হয়েছে যে ওয়াগনার গ্রুপকে সিরিয়ায় ভাড়াটে হিসেবে কাজের জন্য প্রাকৃতিক সম্পদ, বিশেষ করে তেল এবং গ্যাসের অর্থ প্রদান করা হয়েছিল।
২০১৮ সালে, ইউএস-অনুমোদিত EvroPolis, প্রিগোজিন-নিয়ন্ত্রিত আরেকটি কোম্পানি, ওয়াগনার ভাড়াটেদের বিনিময়ে দায়েশ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর দখলে থাকা তেলক্ষেত্র দখলের বিনিময়ে সিরিয়ার সরকার বিশেষ সুযোগ দিয়েছিল।
EvroPolis অ্যাকাউন্টিং রেকর্ড থেকে জানা যায় যে সিরিয়ার হোমসে আল-শায়ের গ্যাস প্লান্ট এবং অন্যান্য তিনটি তেল কুপ থেকে শুধুমাত্র ২০১৭ সালে প্রিগোজিনের ফার্ম প্রায় ১৬২ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে।
# এই নিবন্ধের এডিটিং চলমান।
সুত্রঃ
Готов забрать Бахмут: Кадыров отреагировал на плач Пригожина /unian.net
BBC News
No Body No Money/ rferl.org
https://metro.co.uk/
২৫ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১:২৮
শেরজা তপন বলেছেন: তা ঠিক বলেছেন। পুতিনের যখন যেমন চাহিদা সেই হিসবে সরবরাহ হচ্ছে।
প্রিগোশিন চরম স্ট্যানবাজ লোক। ওর পল্টি খেতে এক ঘন্টা সময় ও লাগেনা।
আমারও ধারনা আরো বেশী সৈন্য মারা গেছে।
আপনিও খবর রাখবেন। আমি সুবিধামত আপডেট দিব।
২| ২৫ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৫
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: তথ্যবহুল অসাধারণ এক পোস্ট।
লেটেস্ট নিউজ হচ্ছে- বেলারুশের মধ্যস্থতায় আপাদত অভিযান স্থগিত করা হয়েছে। ভগনার প্রধানের বিরুদ্দে যে ফৌঁজদারি অপরাধের অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল পুতিনের এক নির্দেশে তা সব বাতিল করা হয়েছে, সবচেয়ে বড় কথা সরকার উৎখাতের যে দূরভিসন্ধি করেছিল সে অভিযোগ থেকেও প্রিগোশিন'কে রেহাই দেয়া হয়েছে, আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে প্রিগোশিনের সব দাবী দাওয়াই মেনে নেয়া হয়েছে, কিন্তু সে এর নিশ্চয়তা চায় তাই সে আজ বেলারুশ যাচ্ছে আলেকজেন্ড্রা লুকাশেনকোর সাথে চুক্তি করার জন্য। ভাগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোশিন যে কতবড় একজন ক্ষমাতাধর ব্যক্তি রাশিয়ান জনগন আজ তা টের পাচ্ছে, এ ঘটনার পর থেকে তার জনপ্রিয়তা হুহু করে বেড়ে যাবে, সেনাবাহিনীর বিরাট এক অংশ তার ভক্ত, তা না হলে সে এত বড় ক্ল্যু করার ঘোষাণা দেয়ার সহাস পেতো না।পুতিনকে এতটা বিচলিত দেখা যায়নি কখনো।
২৫ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১:৩০
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার সরবরাহ করা তথ্যগুলোও চমৎকার ও বিশুদ্ধ। গতকাল আপনার লেখাতেই অনুপ্রাণিত হয়ে এই পোষ্ট টা দিলাম। যদিও আগে থেকে তথ্য সংগ্রহ করে রেখেছিলাম।
পরে বিস্তারিত মন্তব্যে আসছি-সময় করে।
৩| ২৫ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৬
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমার মনে হয় এই ঘটনার রেশ এত দ্রুতই শেষ হচ্ছে না, এটা সবে শুরু মাত্র।
২৫ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১:৩৩
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ পুতিন এটাকে সিরিয়াসভাবে নিয়েছে। ভগনার প্রধানের ভবিষ্যতে কষ্ট আছে কপালে। কালকেই বলেছিলাম ও পল্টি খেয়ে সারল বলে। ওরা পশ্চিমাদের কাছে বড় অঙ্কের টাকা খেয়েছে। এটাও একটা স্ট্রাটেজিক্যাল গেম। হয়তো পুতিনের মাথা থেকেই এসেছে।
৪| ২৫ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৯
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সুন্দর একটি পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।
পৃথিবীতে যুদ্ধ না থাকলে মানুষ আরও সুখে বসবাস করতে পারত।
২৫ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১:৩১
শেরজা তপন বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ দারুনভাবে অনুপ্রাণিত করার জন্য।
একেবারে সহমত। তবে যুদ্ধ দুর্ভিক্ষ না থাকলে জায়গার সঙ্কুলান হোত না।
৫| ২৫ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৩
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ভাগনারপ্রধানের বিদ্রোহের প্রস্তুতির কথা আগেই জানতে পেরেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
রাশিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভাগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিনের বিদ্রোহের প্রস্তুতির বিষয়টি আগেই জানতে পেরেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা। গতকাল শনিবার একাধিক মার্কিন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার জন্য প্রিগোশিন যে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তার আলামত কয়েক দিন আগেই শনাক্ত করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
প্রিগোশিনের বিদ্রোহের প্রস্তুতির আলামত শনাক্তের পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ায় সম্ভাব্য অস্থিরতার বিষয়ে মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা হোয়াইট হাউস, পেন্টাগন ও কংগ্রেসকে এ ব্যাপারে ব্রিফিং করেন। দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট ও দ্য নিউইয়র্ক টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, রুশ সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে যে প্রিগোশিন অগ্রসর হতে চান, এই আলামত মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো চলতি জুনের মাঝামাঝি নাগাদ শনাক্ত করে। নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, প্রিগোশিনের উদ্দেশ্যের বিষয়ে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর পাওয়া তথ্যগুলো একই সঙ্গে নির্ভরযোগ্য ও উদ্বেগজনক ছিল। এ কারণে তারা দ্রুত মার্কিন সরকার ও সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন। গত বুধবার এ ব্রিফ করা হয়। - প্রথম আলো।
২৫ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১:৩৫
শেরজা তপন বলেছেন: ভাইরে কোনখান দিয়ে কোন খেলা চলছে আর কে চালাচ্ছে এইটা আমরা জানিনা জানবও না কোনদিন।
একদিকে চীন রাশিয়া আর ইরানের গোয়েন্দা তৎপরতা অন্যদিকে পশ্চিমা, মোসাদ আর সি আই এর। ভাল টক্কর হচ্ছে। ভালগার প্রধান আর পুতিনকে চেনা কষ্ট আছে।
৬| ২৫ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: ভয়াবহ।
২৫ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৩
শেরজা তপন বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আরো কিছু নতুন তথ্য সংযোজন করেছি- দেখবেন।
৭| ২৫ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ২:৫৩
আমি সাজিদ বলেছেন: রাশিয়ায় হয়ে যুদ্ধ করছে তার বীরসেনা বলে জানতাম, এখন আবার গত তিন দিনে বুঝলাম ওরা ভয়ানক যোদ্ধা আর হিংস্র
২৫ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৫
শেরজা তপন বলেছেন: যারা যুদ্ধ যে কারনে যেখানেই করুক না কেন দেশের কাছে তারা বীর সেনা-ই! ভাগনারের সৈন্যরা তাঁর দেশের মানুষের কাছে বীর হিসেবেই স্বীকৃতি পাবে।
তবে এরা ভয়ঙ্কর। আমি রাশিয়ান ফ্যাসিস্টদের ভয়ঙ্কর রূপ নিজ চোখে দেখেছি। সুযোগ পেলে কাগদা তো-ভ রাশিয়াটা পড়বেন। লিঙ্ক দিয়েছি।
৮| ২৫ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৯
ডার্ক ম্যান বলেছেন: রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার নাম কি??
২৫ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:৪১
শেরজা তপন বলেছেন: এফ এস বি ( ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস * বেজোনাসনোস্তি) সোভিয়েতের পতনের পরে কেজিবি'র কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় প্রথমে FAPSI পরে FSK এবং সবশেষে ১৯৯৫ সালে রাশিয়া ভিত্তিক আন্তর্জাতিক গোয়ান্দা সংস্থা হিসেবে এফ এস বি গঠন করা হয়।
৯| ২৫ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:২৮
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
প্রিগোজিন সম্পর্কে আজ থেকে মানুষকে বিভিন্ন উপায়ে জানানোর শুরু করলে, কয়েকবছর পর মানুষ হিটলার,স্টালিনকে ভুলে যাবে।
২৫ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৬
শেরজা তপন বলেছেন: হিটলার স্তালিন অন্য জিনিস। ওদের সাথে তুলনা করার কাছাকাছি এর কেউ নয়।
১০| ২৫ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:০১
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক চাল চক্ষর পুরাই স্বার্থবাদি। এখানে কেউই নিজেদের স্বার্থের উর্ধে গিয়ে সাধারণ মানুষ কিংবা মানবতার চিন্তা করে না। যাদেরকে মানবতার ঢোল পেটাতে দেখা যায়, প্রকৃতার্থে তারা নিজ স্বার্থ আদায়ের জন্য অন্যদের চেয়ে বেশি চতুর।
হয়ত আপনি মি, কারবির মতামতে বিশ্বাসী, মার্কিন সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে কথা বলছেন, জাতিসঙ্গম ও ফরাসির কথাও বলছেন। কিন্তু দিন শেষে এই রাশিয়ার ভেতর থেকে এতো চাঞ্চল্যকর তথ্য বিশ্বের সামনে প্রকাশ করার দ্বারা মার্কিন স্বয়ং ও মার্কিন সমর্থক গোষ্টি কী যাচ্ছে তা সকলেরই জানা।
আবার মার্কিনিদের অতীত রেকর্ড মারাত্মক যুদ্ধপরাধ সহ সব রকমের অপরাধের পৃষ্টপোষকতার কারণে তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে গিয়ে আরেকটা দেশ বরবাদ করার পক্ষে কথা বলা যাবে না। সব দিক বিবেচনায় আমাদেরকে সচেতন বিশ্লেষণে এগুতে হবে। এ পর্যন্ত আপনার এই পোস্টটি পড়া হয়েছে ১৯৬ বার। আশা করি এটা বৃদ্ধি পেয়ে হাজার সংখ্যা পেরিয়ে যাবে। আর তাই আপনার ও আপনার মত যারা নিশ্লেষণধর্মী ও তথ্যবহুল পোষ্ট দিয়ে থাকেন, তারা দয়া করে খেয়াল রাখবেন যে, আপনাদের পোষ্ট থেকে কেউ যেন কোনভাবে কোন যুদ্ধ বা মানবতা বিধবংসী কর্মকাণ্ডের পক্ষে দাঁড়িয়ে না যান। যেটা যুদ্ধপ্রত্যাশী ও যুদ্ধে লাভবান দেশের গোপণ মিশণ বলেই আমরা জানি।
আপনার জন্য শুভকামনা থাকলো।
২৫ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:১৮
শেরজা তপন বলেছেন: যেহেতু আমি দীর্ঘসময় রাশিয়াতে থেকেছি এবং রাশিয়ান ভাষা যৎকিঞ্চিত বুঝি সেহেতু শুধু বায়াসড পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যম ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মিডিয়া থেকে নিব না। অবশ্যই পশ্চিমা মিডিয়ার পাশাপাশি আমি রাশিয়ান সোর্স থেকে অথেনটিক তথ্য সরবরাহ করেছি। লেখাসুত্রতেই সেটা স্পষ্ট। ওখানকার দুটো মাধ্যম রাশিয়ান আর দুটো যুক্তরাজ্যভিত্তিক। যেহেতু এটা অবৈধ ও গোপন সংগঠন সেহেতু এর সত্যনির্ভর বিস্তারিত তথ্য রাশিয়ার মুল মিডিয়াতে পাওয়া যায় না। সে কারনেই আমি মুল ধারার বাইরের সংবাদ মাধ্যমের সাহায্য নিয়েছি।
এ ধরনের নিবন্ধে তথ্যগত কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি থাকবেই - আশা করি আমার এই নিবন্ধ পড়ে আশা করি; কেউ যেন কোনভাবে কোন যুদ্ধ বা মানবতা বিধবংসী কর্মকাণ্ডের পক্ষে দাঁড়িয়ে না যাবেন না।
ব্যতিক্রমী মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। পড়ে দেখুন; কোন বিশেষ অংশ আপনার কাছে দৃষ্টি কটু মনে হলে তথ্যগত ভুল নজরে আসলে জানাতে ভুলবেন না।
১১| ২৫ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৫
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
ভাগনার প্রধানকে বেলারুশের বদলে বাংলাদেশে এনে হাসিনার সাথে মিটিং বসিয়ে যদি বলা হয় 'কালই দেশ থেকে সব দুর্নীতি দূর করতে হবে, কাজ হবে?
২৫ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৬
শেরজা তপন বলেছেন: ওদের ভাড়ায় এনে বার্মার সাথে দর কষাকষি করা যায়।
১২| ২৫ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৫
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আমি আপনার পোষ্টটি পড়েছি। পোস্টটি তথ্যভিত্তিক লেখার বিবেচনায় অবশ্যই প্রশংসনীয়। আমি কিন্তু সেদিক বিবেচনায় কথা বলছি না। সেদিক বিবেচনায় কথা বলতে গেলে অবশ্যই আপনার লেখার প্রশংসা করছি।
আপনি প্রতিমন্তব্যে বলেছেন< অবশ্যই পশ্চিমা মিডিয়ার পাশাপাশি আমি রাশিয়ান সোর্স থেকে অথেনটিক তথ্য সরবরাহ করেছি। লেখাসুত্রতেই সেটা স্পষ্ট। ওখানকার দুটো মাধ্যম রাশিয়ান আর দুটো যুক্তরাজ্যভিত্তিক। যেহেতু এটা অবৈধ ও গোপন সংগঠন সেহেতু এর সত্যনির্ভর বিস্তারিত তথ্য রাশিয়ার মুল মিডিয়াতে পাওয়া যায় না। সে কারনেই আমি মুল ধারার বাইরের সংবাদ মাধ্যমের সাহায্য নিয়েছি।
Yugoslavia, কিউবা, ভিয়েতনাম, চীন, উজবেকিস্তান, লাওস, ইরাক, আফগানিস্তান সহ যে সকল দেশে সম্রাজ্য বিস্তারকারীরা আক্রমণ করেছিল সেসব দেশের ভেতর থেকে তখনকার সময়ে এমন অনেক খবর পাও্যা গিয়েছিল। যার সূত্র সেসব ছিল দেশের ভেতর থেকে অভ্যান্তরিন মিডিয়া ও বাহির থেকে সম্রাজ্য বিস্তারকারী মিডিয়াগুলো । তারা একই রকমের নিউজ ছড়াচ্ছিল। আপনার যুক্তির মতই অনেকে এমন যুক্তি দেখিয়ে অন্যদের প্রভাবিত করেছেন। এবং দেশকে শুদ্ধ ও পরিষ্কার করার নামে যুদ্ধকে চাপিয়ে নিয়েছেন। এমন ফলফলে আমরা বাংলাদেশিরাও যুদ্ধে আক্রান্ত হয়েছিলাম প্রভাবিত পাকিস্তানিদের মাধ্যমে। তাদের দৃশটিতে ছিল এখানকার ষড়যন্ত্রকারী ও ভারতীয় দালাল নিধনের চেষ্টা, যা আমাদের জন্য মারাত্মক যুদ্ধ। যে যুদ্ধে হাড়িয়েছি আমাদের মায়েদের, বোনেদের, ভাই ও বাবাদের এবং মানবতার অধিকার। আলহামদুলিল্লাহ আমাদের অর্জন ছিল অনেক বড়।
যাকগে, আশাকরি আপনি আমার বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরেছেন। ধন্যবাদ।
২৫ শে জুন, ২০২৩ রাত ৯:০৪
শেরজা তপন বলেছেন: জ্বী আমি অনুধাবন করতে পেরেছি সম্ভবত। আমি নিরপেক্ষভাবে বলার চেষ্টা করেছি। ফ্যাসিস্ট ভাবধারায় যারা উদ্বুদ্ধ তাদের জন্য সব দেশের মানুষই নিরাপদ নয়।
ফের ধন্যবাদ - বড়সড় তথ্যভিত্তিক মন্তব্যের জন্য। ভাল থাকুন।
১৩| ২৫ শে জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট। বরাবরের মতোই অনেক শ্রম দিয়েছেন এ পোস্ট লেখার জন্য। খারাপ লাগলো এটা জেনে যে, ভগনার সৈন্যদের মৃত্যুর খবরটি তাদের পরিবারকে জানানো হয় না, মোটা অংকের টাকা দিতে হবে বলে। যারা এটা এখন গোপন রাখছে, তারা মারা গেলে তাদের ক্ষেত্রেও যে এমনটা হবে, বোকা ভগনার সেনারা কি তা বুঝতে পারছে না?
প্রিগোশিন-পুতিন সমঝোতায় আসা ঠিক হয় নাই। বিদ্রোহ হলেই পুতিনের যুদ্ধংদেহী অ্যাটিচুডে ক্ষয় ধরতো এবং যুদ্ধ জয়-পরাজয়ের মধ্য দিয়ে শেষের দিকে এগিয়ে যেত। বিশ্বে আবার শান্তি ফিরে আসার পথ সুগম হতো। হালার জিনিসপত্রের দাম আকাশচুম্বী হওয়ার জন্য দায়ী একমাত্র ব্লগার পুতিন।
২৫ শে জুন, ২০২৩ রাত ৮:৪৬
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়লেই মনটা ভাল হয়ে যায়। মনে হয় কষ্টটা সার্থক হয়েছে।
ঠিক বলেছেন, এটা ভয়ঙ্কর অমানবিক কাজ যা নিঃসন্দেহে গুরুতর অপরাধকর্মও বটে।
প্রিগোশিন-পুতিন সমঝোতায় আসা ঠিক হয় নাই।
আমি কালকেই একটা পোস্টে বলেছিলাম এটা হতে যাচ্ছে। পুতিনকে যারা ভালভাবে চেনে তারা কখনোই পুতিন বিরোধী এমন পদক্ষেপ নিবে না। আমার ধারনা এটা টোটাল গেমের একটা প্লান। রাশিয়ার ভাগনার দিয়ে যেটুকু কাজ করানোর দরকার ছিল তা শেষ। ভাগনাররা ওখানকার খনিজগুলো নিজেদের কব্জায় নিয়ে বেশ ভাল মাল কামানোর ধান্ধা করেছিল-পাশাপাশি প্রিগোজিন এর মতলব ছিল ভবিষ্যত উক্রাইনের প্রেসিডেন্ট হওয়া। পুতিন ওদের দিয়ে যুদ্ধ করিয়ে এই ফাঁকে নিজের ঘর গুছিয়ে নিয়েছে। আপডেট নিউজ দেখবেন, সর্বাধুনিক অস্ত্র-সরঞ্জামে সজ্জিত পশ্চিমা-ইউএস এ জোটের ট্রেনিং নেয়া উক্রাইন সৈন্যরা নতুন করে আক্রমনে ভাগনার সৈন্যদের ছাড়া শুধু রাশিয়ান সৈন্যদের সাথে একটু সুবিধা করতে পারেনি।
এ খবরটা অনেক কিছুর ইঙ্গিত দেয়। পুতিন আসল কামড়টা দেবে শীঘ্রই।
১৪| ২৫ শে জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৭
চারাগাছ বলেছেন: অনেক তথ্য পেলাম শেরজা।
বিষয়টা কতদূর যায় দেখা যাক।
পুতিনের ভাষণ আমাকে চিন্তিত করেছিল।
২৫ শে জুন, ২০২৩ রাত ৮:৪৮
শেরজা তপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুপ্রিয় ব্লগার।
উক্রাইনের সাথে রাশিয়া জিতলে এক রকম না জিতলে ভবিষ্যত পৃথিবীর জন্য ভয়ঙ্কর দুর্যোগ অপেক্ষা করছে সম্ভবত।
১৫| ২৫ শে জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: বলবার কিচ্ছু নেই । এক কথায় অনবদ্য !!
প্রিয়তে রাখলাম ।
২৫ শে জুন, ২০২৩ রাত ৮:৪৯
শেরজা তপন বলেছেন: দারুণ ভাল লাগায় আপ্লুত হলাম! প্রিয়েতে রাখার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন- শুভেচ্ছা নিরন্তর।
১৬| ২৫ শে জুন, ২০২৩ রাত ১০:১৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
প্রিয় তপন ভাই,
ছোট থেকেই চীনকে একদমই ভালো লাগতো না। সেখানে রাশিয়া সম্পর্কে উচ্চ ধারণা ছিল। তবে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে যুদ্ধোম্মাদ পুতিনের পরিচয় পেয়েছি। আত্মপক্ষে কারন থাকলেও সেটাকে ব্যক্তিগতভাবে মানবতাবিরোধী অযৌক্তিক মনে করতাম।
পররাষ্ট্র নীতিতে ভারত শুরুতে ইউক্রেন যুদ্ধে ধরি মাছ না ছুঁই পানি নীতি নিলেও পরের দিকে স্পষ্ট হয় রাশার প্রতি তার আসক্তির কথা। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সংখ্যক ক্রেতা হারিয়ে খুব কমদামে ভারতের মতো দেশকে তেল বিক্রি করে।ভারত সস্তায় তেল আমদানি করে দেশবাসীর কাছে বাহবা আদায় করতে থাকে। ওদিকে বেশ কয়েকবার বাইডেনের হুমকি সংবাদ শিরোনামে আসে।আসলে ভৌগোলিক ভাবে কাশ্মীরকে আগলে রাখতে হলে দুরের বন্ধু আমেরিকার পরিবর্তে নিকটের বন্ধু রাশিয়া ভারতের বেশি কাঙ্ক্ষিত।এরফলে পাকিস্তান এবং চীনকে ঠেকানো সম্ভব।
ভারত যেভাবে এতো দিন সামাল দিয়েও এসেছে।তাই ইউক্রেন যুদ্ধে ক্লমশ রাশিয়ার প্রতি আমরা একটু দুর্বল হয়ে পড়ি। চাইছিলাম যত দ্রুত এটা শেষ হোক।
কিন্তু চলমান পরিস্থিতিতে স্পষ্ট রাশিয়া যতোটা প্রচার করেছিল নিজের সম্পর্কে বাস্তবে দীর্ঘদিন তেমন বড় কোনো যুদ্ধে অংশ না নেওয়ায় তার ধার ভোঁতা হয়ে গেছে।যার প্রমাণ এখন আমরা দেখছি। ইউক্রেন শক্তিতে রাশিয়ার কাছে শিশু।অথচ তাকে প্রতিহত করতে আজকে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছে।যদিও আজকে ইউক্রেন একা নয়। দিনের আলোর মতো পরিষ্কার যে পিছনে কারা আছে। এমতাবস্থায় গত কয়েকদিনে খবরে আসে ওয়াগনার যোদ্ধারা।বস্তুত ভারতে বসে ওদের সম্পর্কে কোনো খোঁজখবর পাওয়া যাচ্ছিল না। আজকে আপনার এই নাতি দীর্ঘ পোস্ট পড়ে স্বচ্ছ ধারণা পেলাম।জানতে পারলাম শুধু অন্যদেশের জনগনের সঙ্গে নয়। নিজের দেশের কয়েদি বা ভাড়াটে সৈনিকদের সঙ্গেও এরা কতোটা প্রতারণা করে।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা পোস্ট উপহার দিয়েছেন বলে।
পোস্টে লাইক।
শুভেচ্ছা জানবেন।
২৫ শে জুন, ২০২৩ রাত ১১:১৫
শেরজা তপন বলেছেন: প্রিয় পদাতিক ভাই,
ব্লগে ঢোকার সমস্যা থাকা স্বত্বেও আপনার সুদীর্ঘ তথ্যবহুল মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
ভারত যেভাবে তাঁর সুযোগের সদ্ব্যাবহার করেছে -অন্য কোন দেশ এমন সুযোগ পেলেও সম্ভবত এমনটাই করত। তাছাড়া রাশিয়ার সাথে ভারতের সম্পর্ক বরাবরই বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ। ভারন আমেরিকার সাথে সম্পর্কের উন্নয়ন করবে শুধুমাত্র ভু রাজনৈতিক ও ব্যাবসায়িক স্বার্থে এটা কোনভাবেই আন্তরিক সম্পর্ক হবে না তা চোখ বন্ধ করে বলে দেয়া যায়। কিন্তু রাশিয়ার সাথে ভারতের সম্পর্কটা অন্য সুতোয় বাঁধা। যদিও বরাবরই এই সম্পর্কের সুবাদে ভারতই রাশীয়ার কাছ থেকে বেশী সুবিধা ভোগ করেছে।
আমরা রাশিয়ায় গিয়ে সাবান শ্যাম্পু টুথপেস্ট সহ যত সব সৌন্দর্যচর্চার পন্য ব্যাবহার করেছি তাঁর বেশীরভাগই ছিল 'মেড ইন ইন্ডিয়া'। কিন্তু এসবের মান যে কত নিন্মমানের ছিল তা আপনি ধারনাও করতে পারবেন না। টুথপেস্ট চাপলে অর্ধেক পেস্ট আর অর্ধেক পানি বের হত।
এইসব বিলাসী পন্য সামগ্রীর বিনিময়ে সম্ভবত ভারত রাশীয়ার কাছ থেকে তেল, খনিজদ্রব্য, অস্ত্র আর দুঃসময়ে খাদ্য সহায়তা পেত।
ভাগনারের ভাড়াটে বাহিনীতে দাগী আসামীদের মৃত্যুমুখে ঠেলে দেবার জন্যই সব ভয়ঙ্কর ও বিপদজনক যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানো হয়েছে। পুতিন চায় না তারা বীরের বেশে ফিরে আসুক। এদের সাথে প্রবঞ্চনা করা হবে সেটা রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সমরবিদেরা আগে থেকেই জানত। অতএব এটা কোন বিস্ময়কর ব্যাপার নয়।
১৭| ২৬ শে জুন, ২০২৩ রাত ২:০৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভাগনার সম্পর্কে কোন ধারনাই ছিল না। এইভাবে ভারাটে বাহিনী যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় এটাও জানতাম না বললেই চলে। রাশিয়ার মত উন্নত দেশে অপরাধীদের এভাবে টাকার বিনিময়ে এবং লোভ দেখিয়ে যুদ্ধে নেয়া হয় এটা মাথায় আসে না আমার। ভাগনারদের দুই একজনের যে ভয়ংকর ছবি দিয়েছেন তাতে এদের মধ্যে মনুষ্যত্ব কতটুকু আছে সেটা নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে আমার। এই ধরণের মাফিয়া টাইপের সংগঠন রাশিয়াতে আছে এটা আমার জানা ছিল না।
আপনার লেখা থেকে বুঝলাম পুতিন খুব কঠিন প্রকৃতির লোক। এইসব ভাড়াটে খুনিদের সে চালাতে জানে।
২৬ শে জুন, ২০২৩ সকাল ১১:২৯
শেরজা তপন বলেছেন: আমার ধারনা পুতিনকে এই পথ দেখিয়েছে স্বয়ং আম্রিকা! তাতিতো এতদিন ধরে তারা একরকম নিশ্চুপ ছিল।
রাশীয়ার ফ্যাসিবাদী এই মানুষগুলো ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুর হয়। এদের পাল্লায় না পড়লে আপনি বুঝবেন না।
আমার লেখা কাগদা তো-ভ রাশিয়ার এই শেষের পর্বটা পড়লে একটু ধারনা পাবেন;
কাগদা তো-ভ রাশিয়া ( Once Upon a time in Russia)-শেষ পর্ব
তবুও এটা এদের শুরুর দিকের গল্প।
একসময় রাশিয়া চালিয়েছেই মাফিয়ারা। এখনো মাফিয়াদের তেমন দোর্দন্ড প্রভাব আছে।
দারুণ মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম।
১৮| ২৬ শে জুন, ২০২৩ রাত ২:৫২
কাছের-মানুষ বলেছেন: পুতিন যে একটি ঝামেলায় আছে সেটা বুঝা যাচ্ছে! পুতিন এখন সেইফভাবে কিভাবে এই যুদ্ধ থেকে বের হবে সেটা দেখার বিষয়! একেতো ইউক্রেন আবার নিজের ঘরেও সমস্যা! তবে যুদ্ধ দ্বীর্ঘ মেয়াদী হবে সেটা বুঝা যাচ্ছে!
২৬ শে জুন, ২০২৩ সকাল ১১:২২
শেরজা তপন বলেছেন: ঝামেলায় সবাই আছে- কেউ একটু বেশী আর কম। কে কোন স্টাইলে স্ট্রাটেজিক গেইম খেলতে পারে কাকে কখন ধরাশায়ি করতে পারে সেই নিয়ে খেলা চলছে। অন্দরের খবর আমরা কেউ আসলে জানিনা। মিডিয়ায় ফিল্টার হয়ে যেটুকে চোখে আসে সেটুকু নিয়েই আমাদের লাফালাফি। এর কতটুকু সত্য-মিথ্যা কে জানে।
আমার মনে হয়না পুতিনের এমন কন প্লান ছিল রাতারাতি উক্রাইনে অভিযান সেরে সব গুটিয়ে ফেলবে। খেলা চলছে -খেলা চলবে। মাঝখানে মাইনক্যা চিপায় আমাদের মত আম জনতার জীবন যায়।
১৯| ২৬ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ২:৩৯
ঢাবিয়ান বলেছেন: An eerie calm fell on Russia after the dramatic end to an armed uprising that posed the greatest threat to President Vladimir Putin’s almost quarter-century rule.
The man who led the insurrection has gone uncharacteristically quiet. The President has not been seen in public since denouncing the mutiny as “treason” and threatening “harsh” punishment that never transpired. সুত্র ঃ টাইমস
পুতিন ও পুতিনের শেফ দুইজনেই আপাতত নিরব। কি ডিল হয়েছে , সামনে বোঝা যাবে।
২৬ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:২৫
শেরজা তপন বলেছেন: আমি আগেই বলেছি ভাগনার বাহিনীপ্রধান পুতিনের ইশারায় চলে। এই যে পালটি খাওয়া সেটার পেছনেও পুতিনের চাল আছে।
প্রিগোজিন মেরুদন্ডহীন পাল্টিবাজ মানুষ। ও সকালে এক কথা বলে বিকালে আরেকটা। সে যদি নিজে থেকে এমন বুদ্ধি করে পুতিনের পেছনে লাগে তবে পুরো বাহিনী ধ্বংস হয়ে যাবে না হয় ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। আর মস্কোর প্লানে হলে অন্য কোন সিস্টেম হবে।
২০| ২৬ শে জুন, ২০২৩ রাত ১১:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম, কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
২৭ শে জুন, ২০২৩ সকাল ৯:২৬
শেরজা তপন বলেছেন: অন্য কে কিভাবে নেয় জানিনা তবে আপনার এই দ্বীতিয়বার আসাটা আমার বেশ ভাল লাগে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:২৮
শাহ আজিজ বলেছেন: ইয়েভগনি প্রিগোশিন আগে পুতিনের খাবার সরবরাহকারি ছিল এখন লাশ সরবরাহ করছে । প্রিগোশিন আজ বেলারুশ যাচ্ছে রাশিয়ার সাথে সরাসরি মিটিং করতে । এটা নিয়ে আপডেট দেবেন । একসময়ের সমাজতান্ত্রিক ব্যাবস্থার রুপকাররা এখন সিমপ্লি ডাকাত । তারপরও রাশিয়া ২৫০০০ সেনা হারিয়েছে (আসল সংখ্যা আরও বেশি) সে তুলনায় কিভের স্নাইপার ডাকাতরা আরও বেশি তেজি ও কর্মক্ষম ।
আপডেট দেবেন ।