নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...
(এমন ঝিমিয়ে থাকা ব্লগ দেখতে ভাল লাগে না। এর থেকে আসেন আমার বেকুবির একটা গপ্পো শুনেন) বছর বিশেক আগের কথাঃ
দুপুরে চার্টার্ড ব্যাঙ্কে - ক্রেডিট কার্ডের টাকা জমা দিতে গিয়েছি । আমার পাশে এক ভদ্র মহিলা দাড়িয়ে চেকবুকে লিখছিলেন ।
কলমটা চেকের উপর ধরে কিছুক্ষন ইতিউত করে নিচুস্বরে আমাকে জিজ্ঞেস করলেন,- ভাই নিজে উঠালে কি লিখতে হয়? সেলফ- না?
আমি তার মুখের দিকে তাকিয়ে ঝটিতে বুঝলাম জীবনের প্রথম ব্যাংকিং করছেন,- জ্বী 'সেলফ' লিখতে পারেন আবার 'ক্যাশ'ও লিখতে পারেন।
'সেলফ' লিখে কলম নিয়ে নাড়াচাড়া করে ফের ইতস্তত কন্ঠে শুধালেন,- সই কোথাই করব ?
আমি আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলাম - এখানে ।
সই করে টাকার অংকের কাছে স্থির হয়ে আবার ভাবছেন। হয়তো আমাকে আর কিছু জিজ্ঞেস করতে সঙ্কোচ হচ্ছে ।
আমি এবার যেচেই তাকে বললাম,- ওখানে আপনি টাকার অংক কথায় ডিটেল লিখুন ।’
এবার তিনি একটু বোকার মত হেসে ঘাড় নেড়ে বললেন - জ্বী ।
লেখা শেষে আমি তখন ক্রেডিট কার্ডের নম্বর মেলানো নিয়ে ব্যাস্ত। আচমকা মহিলা প্রশ্ন করলেন, আচ্ছা, টুয়েনটিন বানান কি?
- জ্বী কি বললেন?’ শব্দটা নতুন ঠেকছিল।
- টুয়েনটিন? টুয়েনটিন মানে তো বিশ।
তার কথায় আমি কনফিউসড। মনে মনে খুঁজছি 'টুয়েনটিন' এর বানান,- টি ডাব্লিউ ডাবল ই আই এন -না' টি ডাবল 'ই' এন । ’প্রথমে নিচুস্বরে নিজের সাথে বোঝাপড়া করে পরে একটু উঁচু স্বরে বললাম।
তিনি একটু হেসে বললেন,-আমি আসলে ঠিক কনফার্ম হতে পাছিলাম না টি আই এন-না-টি ই এন হবে।
***
আমার লেখা শেষ। আরো ভয়ঙ্কর প্রশ্নের মুখোমুখি হতে পারে ভেবে আমি একটু তাড়াতাড়িই সেখান থেকে কেটে পড়লাম।
টাকা জমা দিতে গিয়ে আচমকা খেয়াল হল, আরে ওটাতো টুয়েনটি হবে তিনি নাইন্টিন এর পরে টুয়েনটিন ভেবে ফেলেছেন! তাহলে আমি কেন টুয়েনটিন বললাম? ছিঃ কি বড় ভুল। মহিলার কথায় আমি কনফিউস হয়ে গিয়েছিলাম। সে জন্যইতো এর বানান খুঁজতে তখন এত কষ্ট হয়েছে। ছিঃ ছিঃ। মহিলাটাই বা কেমন । বিশ ফর কি হয় জানেন না!
এদিক ওদিক তাকিয়ে ওনাকে খুঁজছিলাম। ক্যাশে গিয়ে নিশ্চয়ই ভীষন লজ্জায় পড়বেন।
একটু পরে দেখি বেশ দ্বীধার ভঙ্গীতে তিনি কাউন্টারের দিকে আসছেন। উনার দিকে আমাকে যেতে দেখে স্বভাবতই একটু ঘাবড়ে গেলেন। কাছে গিয়ে বললাম;
- ম্যাডাম ওটা টুয়েনটিন হবে না টুয়েনটি হবে। আপনার কথায় আমি দ্বীধান্বিত হয়ে পড়েছিলাম।
আমার কথায় তার মুখের রক্ত সরে গেল। অসহায় দৃস্টিতে আমার দিকে তাকালেন।
আমি তাকে সাহস দিয়ে বললাম সমস্যা হবে না। অ্যাকাউন্টতো আপনারই। ওখানে কেটে উপরে লিখে সিগনেচার করে দিন।
তিনি নিদারুন বিব্রত চেহারা নিয়ে ধীরে ধীরে আবার ফিরে গেলেন রাইটিং ডেস্কের দিকে।
যাবার পথে একবার ফের তাকালেন আমার দিকে। সে মুহুর্তে তার চোখ মুখের অসহায়ত্ব লজ্জা বিস্ময় আর বিব্রতভাব আমার ভুলতে বহুদিন লাগবে।
***
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৫
শেরজা তপন বলেছেন: প্রায় সব মহিলাদেরই ( বাংগালী) চেক লিখতে গিয়ে কম-বেশী এমন সমস্যা হয়! আমাদের দেশী মহিলারা অফিসিয়াল সব কাজ জামিদের দিয়ে করতে বিমলানন্দ ও বিশেষ শান্তি উপভোগ করেন - তাদের না পাইলে অন্য যে কোন পুরুষকে চাকর বাকরের মত খাটাইতে দ্বীধা করেন না!
তিনখনা চেক বই অথচ মাল-পানি নাই- এইডা ক্যাবা কথা!!!
ননী ভৌমিক দিয়ে যারা শুরু করেছিল তাদের তার প্রতি একটা বিশেষ সফট কর্ণার থাকা স্বাভাবিক।
২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৫৪
ডার্ক ম্যান বলেছেন: ২০ বছর আগে থেকেই আপনি ক্রেডিট কার্ড ইউজ করেন।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১০
শেরজা তপন বলেছেন: আমার প্রথম ক্রেডিট কার্ড ১৯৯৭ সালের- সেটা ছিল রাশিয়ার এলবিম ব্যাঙ্কের! ইনফ্লেশনের চক্করে ব্যাঙ্কটা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তখন এই কার্ড পরিচালবা করত ময়েস্ত্রা নামক কোম্পানী- যেমন মাস্টার, ভিসা।
৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১১
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মহিলা হয়তো অনেকদিন পর চেকে টাকা তুলতে গিয়েছেন। আপনার সহযোগিতামূলক মনোভাব ভালো লাগল। আমি হলে হয়তো টাকা তোলার আগ পর্যন্ত থাকতাম। আমি নিজেও শুরুর দিকে চেক লিখতে পারতাম না। লিফটে উঠা, প্রাইভেটকারে চড়া নিয়ে কত বিব্রতকর ঘটনা। দরজা খুলতে পারতাম না। এসি চালাতে পারতাম না।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২২
শেরজা তপন বলেছেন: সেই সময়ে ব্যাঙ্কে মহিলাদের কদাচিৎ দেখা যেত। খুব কম মহিলা ব্যাঙ্কিং করতেন। অনেক সময় চেক লিখতে গিয়ে আমরাই হিমশিম খাই। বহুদিন গ্যাপ দিয়ে যারা লিখে তাদের এমন বিব্রত হওয়া স্বাভাবিক।
আপনার ওই সমস্যাগুলো অনেকেরই হয়- এটা স্মার্টলি হ্যান্ডেল করতে হয়। আমি যেটা জানিনা সেটা সরাসরি স্বীকার করার মধ্যে নিজেকে খ্যাত ভাবার কিছু নেই। কেউ যদি মনে করে ইনু খ্যাত তবে সেটা তার হীনমন্যতা। জন্ম থেকে সব কিছু সবাই শিখে আসে না। আপনি দেখবেন চাইনিজ রেস্টুরেন্টে বয় বেয়ারারা হেব্বি ভাব নেয় - আপনি এটা চিনেন না জানেন না এভাবে খেতে পারে না? এইসব। আগে লজ্জা পাইতাম - এখন কই, চিনিনা ভাই তুমি চিনাও, ভাল করে চিনাও। আমি পয়সা দিয়ে খেতে আসছি তোমার কাম আমারে সার্ভিস দেয়া - আমার ইচ্ছা মত যেমনে মন চায় খাব- তুমি চেয়ে চেয়ে দেখবা।
৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ফলিত বা ব্যবহারিক কৌতুক এই মুহূর্তে মনে আসছে না। কয়েকদিন আগের একটা মজার এবং বিব্রতকর ঘটনা বলি।
অফিসে বস সহ আমরা অনেকে মধ্যাহ্ন ভোজন করছি। অনেক আলাপ গল্প চলছে। এক পর্যায়ে একজন বসের মনোযোগ দিয়ে খাওয়া দেখে বসকে বলছেন 'আপনি খান কী স্যার?' আমরা হাসবো না মুখ লুকাবো বুঝতে পাড়ছিলাম না।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৬
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার ওই কথা নিয়ে আমাদের আডদাতেও ব্যাপক হাসাহাসি হয়। আমাদের রতন ভাই আছেন- সব কথা সবার কথাই ধরেন।
কাউকে জিজ্ঞেস যদিন করেন- ভাই চা খাবেন? তিনি যদি বলেন 'না খাব না'। অন্য কিছু খান? না ভাই কিছুই খাব না। ফট করে বলে ফেলবেন, 'কিছুই খান না তো আপনি খান কী'।
কাউকে হয়তো বলছেন , আমাকেও একটু 'চা চু-দিবেন'। আরো অনেক কথা আছে বলব এক সময়।
৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৪
:) :) :) :) :) বলেছেন:
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৭
শেরজা তপন বলেছেন:
৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৪
মিরোরডডল বলেছেন:
শেরজা, পোষ্টে ছবিতে কারা?
এই ছবি কেনো?
ব্যাংক এর সেই ভদ্রমহিলা কি এরকম কেউ ছিলো?
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫০
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি বুঝলেন না- ওইটাও একটা প্রাকটিক্যাল জোকস এর অংশ!
৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৮
মিরোরডডল বলেছেন:
লেখক বলেছেন: প্রায় সব মহিলাদেরই ( বাংগালী) চেক লিখতে গিয়ে কম-বেশী এমন সমস্যা হয়! আমাদের দেশী মহিলারা অফিসিয়াল সব কাজ জামিদের দিয়ে করতে বিমলানন্দ ও বিশেষ শান্তি উপভোগ করেন - তাদের না পাইলে অন্য যে কোন পুরুষকে চাকর বাকরের মত খাটাইতে দ্বীধা করেন না!
কথাটা সঠিক না।
কিছু মানুষ করে, প্রায় সবাই না।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫২
শেরজা তপন বলেছেন: আমরা তো সবসময় এইগুলার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সাক্ষী!
বেশিরভাগ বাঙালি মেয়েরাই ঘোড়া দেখলে খোড়া হয়- কথা ঠিক কিনা বলেন?
৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৪৪
আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: সুন্দর একটা শব্দ আমার ভোকাবুলারি ব্যাংকে যোগ হল
Twenteen.
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৩
শেরজা তপন বলেছেন: এই শব্দটা কিন্তু চালায় দেয়া যায় কি বলেন??
৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:০০
মিরোরডডল বলেছেন:
আমাদের শেরজার মতো স্মার্ট ছেলেও আনমাইন্ডফুল হয়ে Twenteen বলেছে, তারমানে ভদ্রমহিলা আকর্ষণীয় ছিলো।
কিছু একটা ছিলো যা শেরজাকে সাময়িকভাবে ডিস্ট্রাক্টেড করেছিলো।
শেরজা "আমার মাঝে আর নেইতো আমি" কেনো হয়েছিলো? জাতি সেটা জানতে চায়।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৫
শেরজা তপন বলেছেন: মহিলা বিবাহিতা ছিলেন। আমি এই ব্যাপারে বরাবরই খুব সিরিয়াস!! অন্যের বউ এর দিকে নজর দিই না- তা সে যত সুন্দরীই হোক তা সৌন্দর্যের একটা মোহ তো আছেই
১০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
পোস্ট লাইক দিয়েছি।
ব্যাংক চেক লিখতে গিয়ে আগে মাঝে মাঝে বিড়ম্বনায় পড়েছি এখন তেমন নজরে পড়ে না। বিমানেও এম্বারকেশন কার্ড লিখতে গিয়ে একই বিড়ম্বনায় পড়েছি, কেউ না কেউ এম্বারকেশন কার্ড এগিয়ে দিয়েছেন ফিল করে দিতে হয়েছে। এখন আর এম্বারকেশন কার্ড নেই বিড়ম্বনাও নেই। তবে করোনার পর হেলথ ডিক্লারেশান ট্রাভেল এজেন্সি থেকেই করে দিতো তাই ঝামেলা হয়নি।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪০
শেরজা তপন বলেছেন: পাঠ মন্তব্য ও লাইক দেবার জন্য ধন্যবাদ অনেক আপনাকে।
ভালো কথা মনে করেছেন বিমানেও এম্বারকেশন কার্ড নিয়ে প্রথমবার যারা বিমানে ভ্রমণ করত তাদের অনেককেই বেশ করতে হতো বিশেষ করে যারা অল্প শিক্ষিত বা অর্ধশিক্ষিত তাদের তো বটেই। মধ্যপ্রাচ্যের বিমানগুলোতে বিমানেও এম্বারকেশন কার্ড ফিলাপ নিয়ে এটা একটা হুলস্থুল ভয়ার্ত পরিবেশের সৃষ্টি হতো।
ভালো থাকবেন আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
১১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আরেকটা ফলিত বা ব্যবহারিক কৌতুক বলি। আগেও বলেছি কি না মনে নাই। আমার মায়ের ছাত্রী জীবনের ঘটনা। তার কাছে থেকে শুনেছি।
বহু আগের কথা। সম্ভবত ১৯৫৬ সালের দিকের ঘটনা। আমার মা তখন ছাত্রী অবস্থায় হোস্টেলে থাকতেন। এক সকালে ওনাদের হোস্টেলের কলে পানি ছিল না। আমার আম্মা আর হোস্টেলের বান্ধবীদের কেউই মুখ ধোয়া, দাঁত মাজার কাজ করতে পারছিলেন না। সবাই সেটা নিয়ে আলাপ করছে এবং চিন্তিত। এই সময়ে তাদেরই আরেক বান্ধবী দিব্যি হাত মুখ ধুয়ে দাঁত মেজে এসেছে। সবাই তো অবাক যে সে পানি পেল কোথায়। তখন সে বলল যে হোস্টেলের আরেক প্রান্তে শিক্ষকদের জন্য একটা বাথরুমে সে একটা পাত্রের মধ্যে কিছু পানি পেয়েছে। সেটা দিয়ে সে মুখ ধুয়েছে। সবাই সেখানে দেখতে গিয়ে দেখে যে ঐ বাথরুমটাতে হাই কমোড আছে। কমোডের ভিতরে নীচে যে পানি থাকে সেটা সে ব্যবহার করেছে মুখ ধোয়ার কাজে।
আরেকটা ঘটনা মায়ের কাছে শোনা। ঐ সময় পশ্চিম পাকিস্তানের ছাত্রীরাও পূর্ব পাকিস্তানে আসতো পড়ার জন্য। পশ্চিম পাকিস্তানের এক মেয়ে হোস্টেলে তার আরেক বান্ধবীর কাছে থেকে একটা কলা খেয়ে বলছে ' ইতনে আচ্ছে হালুয়া!!! (অর্থ হল - এতো মজার হালুয়া)'। সম্ভবত ঐ ছাত্রী পাকিস্তানের কোন প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছিল সেখানে কলা হয় না। পরবর্তীতে আমি এক পাকিস্তানীকে দেখেছি বাংলাদেশে আসলে তার প্রিয় ফল ছিল ছোট আকৃতির চম্পা কলা। অনেকগুলি খেতো একবারে।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:০৪
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার ওই ফলিত কৌতুক দুটো চমৎকার হয়েছে।
প্রথমটাতো .… ইয়াক্
দ্বিতীয় টা মজার তবে কলাকে হালুয়া ভাবা এটা কিন্তু আসলে বাড়াবাড়ি। কলা ছিলতে গেলে তো আসলে ব্যাপারটা হালুয়া টাইপ থাকে না ন্যাচারাল বিষয়টা এসে পড়ে এতটা বোকা কি মানুষ হয়? যাই হোক হতে পারে পাকিস্তানের কিছু কিছু এলাকার মানুষ আসলেই মহা বেকুব -এটা ঠিক!
চমৎকার দুটো মজার ঘটনা শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
১২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ৯ নং প্রতিমন্তব্যে আপনি বলেছেন যে মহিলা বিবাহিত ছিলেন। আপনি কিভাবে জানলেন যে তিনি বিবাহিত ছিলেন? কপালে সিদুর ছিল? নাকি পাশে স্বামী ছিল? চেহারা দেখে স্বামীও তো চিনতে পারার কথা। নাকি আপনি ফর্ম ফিলাপের সময় জিজ্ঞেস করেছিলেন 'এক্সকিউজ মি ম্যাডাম আপনি কি বিবাহিত?'
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৮
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি রং-ঢং চেহারা চলন-বলন দেখে বিবাহিত রমনী চেনেন না!!!
এত বড় তাজ্জব কথা সাচু ভাই!
আপনাকে জবরদস্ত একখানা ট্রেনিং দিতে হবে দেখছি।
১৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:২১
বিষাদ সময় বলেছেন: প্রায় বিশ বছর আগে আব্বার এ্যাকাউন্টের চেক নিয়ে গেছি ব্যাংকে টাকা তুলতে। আব্বা শুধু চেক সই করে দিয়ে বলেছিলেন দশ হাজার টাকা তুলতে। ব্যাংকে গিয়ে অত্যন্ত সাবধানের সাথে Ten শব্দটা লিখেছি Thousand লেখার আগেই দেখলাম Ten শব্দটা টাকার ঘরে না লিখে Pay to এর জাগায় লিখে ফেলেছি। একেবারে বিমর্ষ হয়ে ব্যাংকের পরিচিত এক অফিসারকে সমস্যার কথা বললাম। তিনি একটু হেসে বললেন বস কাজের চেয়েতো আকাজ বেশি কইরা ফালাইসেন। সমস্যা নাই Ten রে Teny Wilson বানাই দেন। তার কথা মতো কাজ করে টাকাটা তুলে আনলাম।
অনেক দিন পর আব্বা ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখে একদিন চিন্তিত হয়ে আমাকে বলছেন এই Teny Wilson বিদেশী মানুষকে আমি কবে টাকা দিলাম? আমি আসল কাহিনি না বলে বললাম- ব্যাংক ভুলে লিখছে।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫১
শেরজা তপন বলেছেন: বাঃ ব্যাঙ্ক অফিসার চরম বুদ্ধিমত্বার পরিচয় দিয়েছিলেন Ten রে Teny Wilson !
কাহিনীটা অনন্য। মজা পেলাম শুনে। একটা গল্প থেকে কত গল্প বেড়িয়ে আসে। বেশ।
ধন্যবাদ আপনাকে।
১৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৪
ফেনা বলেছেন: বহুত মজা পাইলাম--- টুয়েন্টিন, হা হা হা হা
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫২
শেরজা তপন বলেছেন: লেখা পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ সুপ্রিয় ব্লগার।
১৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:১২
রাজীব নুর বলেছেন: বলছেন ব্লগ ঝিমিয়ে পরেছে!!!
তাহলে কেন ঝিমিয়ে পড়েছে সেই কারনটা খুজে বের করুন।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪২
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি তো জানেনই শুক্র শনিবারে ব্লগ এমনিতে ঝিমায়!
তবে আপনি নিশ্চিত ভাবে বলবেন যে এটা গাজী সাহেবের কারণে -তবে আমার সে ব্যাপারে দ্বিমত আছে!
বেটার আপনি আপনার ভাবনা নিয়ে থাকেন আমি আমার ভাবনা নিয়ে থাকি এ ব্যাপারে আপনার সাথে আমার মিল হবে না সেটাই স্বাভাবিক।
১৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:১৪
বিষাদ সময় বলেছেন: যদি ভুল না বলি শুরুতে চমৎকার একটি সেলফি!! তোলার ছবি দিয়েছেন তাও আবার ছবি্স্বত্ব: শেরজা তপন????!!!
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৯
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ ওদের সেলফি তোলার ছবিটা আমি আবার বসে বসে তুলেছিলাম- গোপনে অবশ্য!
ভাবছিলাম; ওদের বাচ্চা কাচ্চাদের এই ছবি দেখিয়ে কিভাবে বোঝা হয়েছে কোনটা কে!
১৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:১৯
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: বিশ বছরে ভুলেননি যখন তখন মরার আগে আর ভুলবেন না মনে হয়।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৪
শেরজা তপন বলেছেন: যাতে আর না ভুলে যাই ব্লগে লিখে সেটা আরো নিশ্চিত করে গেলাম!
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
১৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩
বিষাদ সময় বলেছেন:
যদিও একই পোস্টে একাধিক মন্তব্য করাটা ঠিক না। তা জেনেও আরেকটি মন্তব্য করতে বাধ্য হলাম।
রাজীব নুর যে কথাটা বলেছেন তা কিন্তু খুব একটা ভুল নয়। গাজি সাহেব কে ছাড়া ব্লগ ঝিমায় এ কথাটা বললেই বেশির ভাগ ব্লগার মনে করেন এ কথার দ্বারা তাকে অনেক বড় মাপের ব্লগার এটা প্রমাণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। হয়তো অনেকে কথাটি সেভাবেই বলেন। তবে আমার কাছেও তাকে ছাড়া ব্লগ ঝিমানোর ব্যাপারটি সঠিক মনে হয় তবে তা ভিন্ন কন্টেক্সট এ । তাকে ছাড়া ব্লগ ঝিমানোর বেশ কটি কারণ আছে-
১। গাজী সাহেব ব্লগে যতটা সময় দেন ব্লগে এতটা সময় খুব কম ব্লগার দেন।
২। যে কোন কারনেই তার কিছু নিজস্ব পাঠক রয়েছে।
৩। তার বক্তব্যের বিরোধিতা এবং তার সাথে ক্যাচাল করার জন্য বেশ অনেক ব্লগার রয়েছে এই ব্লগে। তাছাড়া তিনি নিজেও ক্যাচাল বাধিয়ে ব্লগকে বেশ গরম রাখেন।
এসব কারনে তিনি ব্লগে থাকলে ব্লগে চাঞ্চল্য থাকে। তবে সে চাঞ্চল্য কে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখবে আর কে নেতিবাচ দৃষ্টিতে দেখবে সেটা যার যার নিজস্ব ব্যাপার।
ধন্যবাদ।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৭
শেরজা তপন বলেছেন: আমার এই চ্যাট রুমে সবাইকে স্বাগতম!
এখানে আপনি হাজার হাজার মন্তব্য করতে পারেন -মন্তব্যের পসরা সাজিয়ে বসতে পারেন কোন সমস্যা নেই
আপনার ব্যক্তিগত মতামত কে শ্রদ্ধা করি।
১৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬
মিরোরডডল বলেছেন:
বিষাদ সময় বলেছেন:
যদিও একই পোস্টে একাধিক মন্তব্য করাটা ঠিক না।
এরকম কোন নিয়ম আছে সামুতে?
যদি থেকে থাকে, তাহলে আমি প্রতিদিন সেই নিয়মভঙ্গ করেছি, এখনো করছি।
আমার কি সাজা হওয়া উচিত?
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৮
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার সাজা নির্ধারণ করা হয়েছে;
সেটা হলো আরো দশ খানা মন্তব্য মিনিমাম এই পোস্টে করতে হবে
২০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ব্লগার চাঁদগাজীকে হাত পা বেঁধে বন্দী করে রাখা আসলে ব্লগ ও ব্লগারদের জন্য লস।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৯
শেরজা তপন বলেছেন: প্রিয় ভাই আমার মনে হয় না তাকে নিয়ে আলোচনার সঠিক জায়গায় এইটা। কিছু মনে করবেন না।
২১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৭
মিরোরডডল বলেছেন:
তাই ভেবেছিলাম শেরজা।
আজ ফ্রাইডে শেরজার পোষ্ট দেখে ভেবেছিলাম অনেক আড্ডা দিবো।
সাচুও দেখলাম পোষ্ট দিয়েছে।
কিন্তু মনটা এতো বেশি খারাপ তাই কোনকিছুতে মন বসাতে পারছি না।
আমার পছন্দের একজন আমাকে কষ্ট দিয়ে কথা বলেছে।
অনেক পেইনফুল, আমি এগুলো বলতে পারবো না।
ভাবতে অবাক লাগে, কখনও ভাবিনি এসব কথাও আমাকে শুনতে হবে!!!
someone I thought close to my heart, এরকম কারো কাছ থেকে।
দুরের কেউ কিছু বললে, হু কেয়ারস!
প্রিয়জন বললে কষ্টটা অনেক বেশি লাগে!!!
এইতো, আর কিছু বলার নেই!!!
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯
শেরজা তপন বলেছেন: কি ব্যাপার কে কি বলল????
আমি তো কিছু খেয়াল করলাম না!! তাইতো দেখছি আমার পোস্টে সারাদিন আপনি ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে মন্তব্য করছেন- মন্তব্যে সেই জোশ নাই!!!!
আমার পছন্দের একজন আমাকে কষ্ট দিয়ে কথা বলেছে।
অনেক পেইনফুল, আমি এগুলো বলতে পারবো না।
ভাবতে অবাক লাগে, কখনও ভাবিনি এসব কথাও আমাকে শুনতে হবে!!!
someone I thought close to my heart, এরকম কারো কাছ থেকে।
ব্লগের কেউ?? আপনি তো এলেবেলে লোকের কথায় কষ্ট পাবার মানুষ নন< নিশ্চয়ই সিরিয়াস কিছু! জানার জন্য উদ্গ্রীব হয়ে আছি ...
২২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আচ্ছা........এই তাহলে ব্যাপার!!! সাচু'র পোষ্টের বিষয়টা বুঝলাম।
মিডকে বলছি...............''দূরের মানুষ, কাছের মানুষ'' এইসব রিলেটিভ টার্ম, and vague term as well. এর কোন মুল্য নাই। এসব ভেবে মন খারাপ করারও কিছু নাই। 'হু কেয়ারস' বলে হাসের মতো করে সবার নেগেটিভিটি ঝেড়ে ফেলতে পারাটাই আসল ব্যাপার। আর সময়-সুযোগ মতো প্রতিশোধ নিতে পারলে..........নাথিং লাইক ইট!!!
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪২
শেরজা তপন বলেছেন: আপনাকে ব্লগে দেখলেই মনটা ভাল হয়ে যায়!
কোথায় কোথায় ঘুরলেন এই কয়দিন? নতুন বেশ কিছু গল্প জমে গেছে মনে হয়- শুরু করে দেন, আমরা সবাই সৈন্য সামন্ত নিয়ে হাজির!
হ্যাঁ সাচু দুগ্ধ পোষক ব্যপক মাইন্ড খাইছে।
২৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩
শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়া টুয়েনটিন তো আমার বেবিরা বলে।
আবার কি বলে জানো?
থার্টি নাইন থার্টি টেন
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪
শেরজা তপন বলেছেন: তাই নাকি বলে নাকি?
ওই মহিলার বাচ্চাও তাহলে এমনি করে বলেছে মাকে- ওর মায়ের মগজে সেটা ঢুকে আছে
কিয়েক্টা লাজ শরমের কথা।
২৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭
মিরোরডডল বলেছেন:
ভুম, এরা এখানে আমার প্রিয় ব্লগারদের মধ্যেই।
সমস্যা এ কারণেই।
Otherwise, I simply don't care.
অনেকদিন পর ভুমকে দেখে ভালো লাগলো।
ভুমের পুরনো কিছু পোষ্টে কমেন্ট রেখেছিলাম।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮
শেরজা তপন বলেছেন: মনে হচ্ছে 'নির্বো' অর মাথা কেনো যেন বিগড়ে আছে!!
ধুর বাদ দেন - ঠিক ঠাক হইতে সময় লাগবে না। আপনি এত সহজ ইমোশনাল হবার মানুষ নন। আপনাকে কষ্ট দেবার সাধ্য ব্লগে কারো নেই
চিল- আপু -চিল!
এখন ভুম একটা পোস্ট দিবে আমরা সবাই সেখানে জোশ জোশ মন্তব্য করব - সে অনেকদিন বাদে এসেছে।
২৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯
শায়মা বলেছেন: মিররমনি কে তোমাকে দুঃখ দিয়েছে নাম বলো একবার???
তবে তুমি দুঃখ পাবে এটা ভাবিনি আমি তোমাকে অনেক মেন্টাল স্ট্রং মানুষ ভাবি।
নো দুঃখ।
আমি কিন্তু ঠিক এক মাস পরে আসছি তোমার দেশে। পরের মাসের এই দিনে সেখানে থাকবো।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫২
শেরজা তপন বলেছেন: তাই নাকি আপনি যাইবেন- আমার দোয়া ভালবাসা আর বাংলাদেশের 'একমুঠো মাটি' সাথে করে মিরোর আপুর জন্য লইয়া যাইয়েন
উনি তো আবার ভীষন পর্দানশীন কারো সাথে দেখা সাক্ষাৎ করেন না। নিজেকে আড়ালে আবডালে রাখেন।
২৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভুম, এরা এখানে আমার প্রিয় ব্লগারদের মধ্যেই।
তাতে কি? Does it really matter? আজ যে প্রিয়, কাল সে প্রিয় থাকবে এমন কোন কথা নাই। ভাইস ভার্সা! কাজেই এসবকে এতো সিরিয়াসলি নেয়ার কিছু নাই..........বিশেষ করে ভার্চুয়াল বিশ্বে তো এটা আরো বেশী সত্য।
অনেকদিন পর ভুমকে দেখে ভালো লাগলো।
ভুমের পুরনো কিছু পোষ্টে কমেন্ট রেখেছিলাম।
আজকাল মহা ব্যস্ত থাকি। নোটিফিকেশান সমস্যার কারনে অনেক কিছুই নজরে আসে না। দেখবো সময় করে। এখন অফিসে। একটু চান্স পেয়ে আজ দু'চারটা কমেন্ট ঝেড়ে দিলাম আর কি!!!
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪
শেরজা তপন বলেছেন: এত ব্যস্ত থাকলে তো হবে না ভায়া- আমাদের তো একটু হক আছে। আপ্নি সময় করে আসেন- টাইম দেন আমরা থাকব।
২৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭
মিরোরডডল বলেছেন:
ব্লগের কেউ?? আপনি তো এলেবেলে লোকের কথায় কষ্ট পাবার মানুষ নন< নিশ্চয়ই সিরিয়াস কিছু! জানার জন্য উদ্গ্রীব হয়ে আছি ...
হুম। থাক অন্য কথা বলি।
মনে করবো এটা একটা দুঃস্বপ্ন ছিলো।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬
শেরজা তপন বলেছেন: এক জীবনে কত দুঃখ কষ্ট পাইলাম!! কতবার মনে হইল দেয়ালে মাথা ঠুকে মরি!!! এখন বুঝি- জীবন চলে জীবনের গতিতে, তখন কিছু উল্টাপাল্টা করে ফেললে কত কিছুই না হারাইতাম!!
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭
শেরজা তপন বলেছেন: আচ্চাহে যেই দুটো মেয়ে সেলফি তুলছে ওরা ওদের বাচ্চাকাচ্চারে এই ছবি দেখিয়ে কেমনে চেনাবে কে ওদের মা আর কে আন্টি?
২৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৭
মিরোরডডল বলেছেন:
লেখক বলেছেন: মনে হচ্ছে 'নির্বো' অর মাথা কেনো যেন বিগড়ে আছে!!
ওর কথা থাক।
ওর মনে হয় শরীরটা ভালো নেই।
শেরজা প্লীজ ওর খোঁজ খবর রাখবে, কেমন?
ও আমাদের সবার আদরের।
ভালো থাকুক এটাই চাই।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১৩
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ ওর শারিরিক সমস্যার সাথে মানসিক কিছু একটা প্রব্লেম চলছে।
সবসময় ছটফট করে - হতাশা কাজ করে। আমি খোঁজ রাখলেও -সুতো ছেড়ে রাখি।
২৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৯
শায়মা বলেছেন: শেরজা ভাইয়ু এক মুঠো মাটি কেনো???
বাংলাদেশের শাড়ি নিয়ে যাই জামদানী নাকি তুমি বোরখা নিতে বলবে??
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১৪
শেরজা তপন বলেছেন: আমি চামড়ার ব্যাগ দিয়ে দেব- বোরখা ভরে।
তার সবসময় মা আর মাটির জন্য মন কাঁদে- তাই বলেছিলাম
৩০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২০
মিরোরডডল বলেছেন:
শায়মা বলেছেন: মিররমনি কে তোমাকে দুঃখ দিয়েছে নাম বলো একবার???
তবে তুমি দুঃখ পাবে এটা ভাবিনি আমি তোমাকে অনেক মেন্টাল স্ট্রং মানুষ ভাবি।
নো দুঃখ।
আপু, আমাকে কি কখনও মনে হয়েছে যে আমি আসলে একটা অভিনেত্রী?
ফেইক, অনবদ্য অভিনয় করি???
অভিনয় করতে পারলেই হয়তো ভালো ছিলো, পারিনা বলেইতো এতো কনফ্লিক্ট!
আমি কিন্তু ঠিক এক মাস পরে আসছি তোমার দেশে। পরের মাসের এই দিনে সেখানে থাকবো।
একমাস আগে আসলে জাকারান্ডার সময়টা পেতে।
অক্টোবর - নভেম্বর। বসন্তকালে অনেক ফুলের সমারোহ থাকে।
৩১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২৮
মিরোরডডল বলেছেন:
ভুয়া মফিজ বলেছেন: তাতে কি? Does it really matter? আজ যে প্রিয়, কাল সে প্রিয় থাকবে এমন কোন কথা নাই। ভাইস ভার্সা! কাজেই এসবকে এতো সিরিয়াসলি নেয়ার কিছু নাই..........বিশেষ করে ভার্চুয়াল বিশ্বে তো এটা আরো বেশী সত্য।
থ্যাংক ইউ ভুম।
you're my sweetheart.
আই মিন যতদিন অপ্রিয় না হচ্ছে।
৩২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৩১
শায়মা বলেছেন: আমি তো আগেরবারেও গিয়ে ঐ ফুল পেয়েছিলাম মনে হয়। বেগুনী রঙের ফুল সবখানেই থোকা থোকা ফুটেছিলো।
অভিনয়!
সেটা আমি পারি।
দরকার হলেই করি।
বিশেষ করে সিচুয়েশন সামাল দিতে।
যেমন কয়েকদিন আগে করেছিলাম।
ঝামেলা গন্ডগোল হবার চাইতে সেই কি ভালো না?
৩৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৩৩
শায়মা বলেছেন: ভুয়া মফিজ ভাইয়ার কমেন্ট পড়ে মনে পড়ে যায় প্রিয় থেকে অপ্রিয় হয়ে যাওয়া মানুষগুলোর কথা। এই নিয়ে পোস্ট লিখলে পিঠের উপর লাত্থি ঝাঁটা কিছুই পড়া বাকী থাকবে না। কিন্তু বড় লিখতে ইচ্ছা করে যদি অভয় পাই।
৩৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৪০
প্রথম সারির নিরাপদ ব্লগার বলেছেন: মিরোরাপুর মন খারাপ তাই আমিও মন খারাপ করেছি । মন খারাপের অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য পোস্ট নিয়ে কিছু না বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি । সাথে আরেকটা কারণ আছে। বলেন তো কি?
লেখক বলেছেন: আচ্চাহে যেই দুটো মেয়ে সেলফি তুলছে ওরা ওদের বাচ্চাকাচ্চারে এই ছবি দেখিয়ে কেমনে চেনাবে কে ওদের মা আর কে আন্টি?
এটা সবাই জানে। আপনিও জানেন।
মন্তব্য বাড়ানোর জন্য অসদুপায় অবলম্বনের চেষ্টা করার কারণে আপনাকে এই মন্তব্যের দশটি প্রতিমন্তব্য করার সাজা দেওয়া হল।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০৪
শেরজা তপন বলেছেন: যথা আজ্ঞা কিন্তু কার মন্তব্যের প্রতিউত্তরে ১০ খানা মন্তব্য করতে হবে সেইটা কইয়া গেলেন না?
৩৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫৭
মিরোরডডল বলেছেন:
শায়মা বলেছেন: ভুয়া মফিজ ভাইয়ার কমেন্ট পড়ে মনে পড়ে যায় প্রিয় থেকে অপ্রিয় হয়ে যাওয়া মানুষগুলোর কথা। এই নিয়ে পোস্ট লিখলে পিঠের উপর লাত্থি ঝাঁটা কিছুই পড়া বাকী থাকবে না। কিন্তু বড় লিখতে ইচ্ছা করে যদি অভয় পাই।
লিখো আপু।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০৬
শেরজা তপন বলেছেন: আমরাও দেখবো কার এত বড় সাহস ওনাকে লাথি-ঝাটা দেয়! ব্লগে তুফান বয়ে যাবে।
৩৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০১
মিরোরডডল বলেছেন:
মন্তব্য বাড়ানোর জন্য অসদুপায় অবলম্বনের চেষ্টা করার কারণে আপনাকে এই মন্তব্যের দশটি প্রতিমন্তব্য করার সাজা দেওয়া হল।
নিরাপদের কমেন্ট পড়ে অনেকক্ষণ পর আবার আমি হাসলাম।
থ্যাংকস নিরাপদ।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০৯
শেরজা তপন বলেছেন: প্রথম সারির নিরাপদ ব্লগারকে সবিশেষ ধন্যবাদ এতক্ষন বাদে আপনার মনটা একটু হলেও ভালো করে দেওয়ার জন্য। যদিও খাটুনিটা আমার হবে তবুও সমস্যা নেই!
৩৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১:০৫
কামাল১৮ বলেছেন: আমি নিরাপদ ব্লগার না।তাই কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকলাম।
৩৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: লেখক বলেছেন: কোথায় কোথায় ঘুরলেন এই কয়দিন? ঘোরাঘুরি খুব একটা করার সময় পাই নাই, শুধু স্পেন (মালাগা, কর্ডোবা, গ্রেনাডা) গিয়েছিলাম কয়েকদিনের জন্য। আসলে বিভিন্ন কারনে ব্লগে আসা হয় না, ব্যস্ততা তার মধ্যে একটা অন্যতম বড় কারন। সব বিস্তারিত লিখতে গেলে একটা বিরাট পোষ্ট হয়ে যাবে।
জার্মানী আর মরোক্কোর পোষ্টগুলো রেডি থাকার পরও দেয়া হচ্ছে না, তাই স্পেন নিয়ে কবে পোষ্ট দিব, জানি না।
শায়মা বলেছেন: ভুয়া মফিজ ভাইয়ার কমেন্ট পড়ে মনে পড়ে যায় প্রিয় থেকে অপ্রিয় হয়ে যাওয়া মানুষগুলোর কথা। এই নিয়ে পোস্ট লিখলে পিঠের উপর লাত্থি ঝাঁটা কিছুই পড়া বাকী থাকবে না। কিন্তু বড় লিখতে ইচ্ছা করে যদি অভয় পাই।
তোমার মতো ড্যাম কেয়ার বীরের মুখে কি এই কথা মানায়? লিখে ফেলো জলদি!!!
৩৯| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্টে এলে অনেক অপব্লগারের দেখা পাওয়া যায়।
৪০| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২১
প্রথম সারির নিরাপদ ব্লগার বলেছেন: @শেরজা তপন, প্রশ্ন এড়িয়ে যচ্ছেন কেন? গত পোস্টে একটা দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে আসতে চাইলাম। সেটাও এড়িয়ে গেলেন।
লেখক বলেছেন: যথা আজ্ঞা কিন্তু কার মন্তব্যের প্রতিউত্তরে ১০ খানা মন্তব্য করতে হবে সেইটা কইয়া গেলেন না?
আপনার মন ভালো থাকলে বলতাম, যে প্রশ্নটা সবাইকে করে বেড়াচ্ছেন সেটার দশ রকমের উত্তর দিন। কিন্তু এই উত্তরটা এখন প্রযোজ্য নয়।
কয়েকদিন আগে ভূমিকম্প হল। মাত্রা কত বলে মনে হয় ?
৪১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫২
মিরোরডডল বলেছেন:
শেরজা কেমন আছে? বেশ কয়দিন দেখছি না।
Hope all is going well.
I wanted to say thanks.
সাচু এবং শেরজা আমাকে অনেক ভালো বুঝতে পারে।
এদেরকে আমার অফলাইনের বন্ধুদের মতো মনে হয়।
আমার মনে হয় এদের সাথে আমি যা খুশি বলতে পারি নির্দ্বিধায় কিছু না ভেবে।
থ্যাংকস আমাকে এই কমফোর্ট জোনটা দেয়ার জন্য।
শুধু ব্লগে না, আমার লাইফে এতো খারাপ পরিস্থিতি আগে কখনও ফেইস করতে হয়নি।
এসময় আমার পাশে থাকার জন্য অনেক কৃতজ্ঞ।
৪২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:০৬
মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: ঠিকই আছে। নাইনটিনের পর টুয়েনটিনই যুক্তিসঙ্গত।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৮
শেরজা তপন বলেছেন: নববধু কি মধু খাওয়াইল - একেবারে মজে গেলেন তার প্রেমে!! আমাদের কথা একেবারে ভুলে গেলে কেমনে চলবে?
কতদিন আপনার কোন পোস্ট দেখি না ব্লগে। ফিরে আসুন -একটু একটু করে সময় কাটান। আমাদেরও তো হক আছে ভ্রাতা।
তবুও অনেক ধন্যবাদ অনেকদিন বাদে এসে মন্তব্যের জন্য- মনে রাখার জন্য।
৪৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১৯
করুণাধারা বলেছেন: গল্পটা পড়ে হাসা উচিত ছিল, কিন্তু আমার হাসি আসলো না। নিজের কথা মনে পড়ে গেল।
আমি কোনদিনই ব্যাংকে গিয়ে কোন কিছু ঠিকঠাক মত করতে পারিনি, একে তাকে জিজ্ঞেস করতে হয়েছে। নিশ্চয়ই ওই মহিলার মত কোনো বোকামি আমিও করেছি!
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১২
শেরজা তপন বলেছেন: আল্লাই জানে আপনি না তো??
কে জানে কোন কথা বলে কার সাথে ফেঁসে যাই
ব্যাঙ্কিং এ অনেকেরই এমন ফোবিয়া আছে। এমনিতে কোন সমস্যা নেই কিন্তু ব্যাঙ্কে গেলে তালগোল পাকিয়ে ফেলে।
এটা বোকামি নয়- মাঝে মধ্যে ব্যাঙ্কে গিয়ে ঝাড়ি টারি নিবেন। ডাইরেক্ট ম্যানেজারের রুমে ঢুকে বলবেন- লিখে দেন
৪৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:০৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোথায় গেলেন ভাই? আমরা আপনার অপেক্ষায় আছি।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১৯
শেরজা তপন বলেছেন: জেগে আছি এখনো ঘুমিয়ে পড়েনি
ধন্যবাদ আপনাকে খোঁজ খবর নেবার জন্য।
৪৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫৭
মিরোরডডল বলেছেন:
শেরজা মাই ফ্রেন্ড, ভীষণ মিস করছি।
যদি কোন পার্সোনাল বা পারিবারিক কারণে না আসা হয়, সেটা গতবারের মতো এক লাইনে লিখে যাবে, জানবো ইউ আরে ওকে।
সেটা না হলে ধরে নিবো সেদিনের ঘটনা ঘিরে কিছু একটা হয়েছে। শেরজা কি এজন্য মাইন্ড করেছে যে কিছু ব্লগার শেরজা আর সাচুকে ব্লগে আড্ডা দেয়ার জন্য সম্পৃক্ত করে ব্লেম করেছে? যদি সেটা হয়, প্লীজ ইগ্নর এন্ড কাম ব্যাক। আমি সাচু আমরা আছি আগের মতো, শেরজা কেনো বিচ্ছিন্ন হবে?
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১৭
শেরজা তপন বলেছেন: ব্লগ থেকে ইচ্ছে করেই খানিকটা দূরে আছেই- চেষ্টা করে দেখছি দূরে থাকতে পারি কি না।
আমি আশ্চর্য হয়ে যাই- যখন ব্লগ ঘন্টার পর ঘন্টা পোস্ট শুন্য থাকে, কিংবা একটার পর একটা পোস্ট আসার পরেও সুদীর্ঘ সময় মন্তব্যশুন্য থাকে তখন কেউ হা-হুতাশ করে না কিংবা করে অনেকে ব্লগ শেষ হয়ে গেল রব তুলে। তখন যদি আমরা কেউ মজার একটা পোস্ট এনে কিংবা নিরস একটা পোস্টেই দারুন মিথস্ক্রিয়ায় মন্তব্যের ঝড় তুলে ব্লগকে দারুনভাবে জমিয়ে তুলি তখন মাসে দু'মাসে একখানা মন্তব্য না করা ব্লগারও জ্ঞান ঝাড়তে আসে। ব্লগীয় আইন কানুন দেখায়- সঙ্গে সঙ্গে জুটে যায় তার কিছু সঙ্গী সাথী- ব্লগের দুর্দশয়ায় এদের কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায় না। কিন্তু একটু বেতাল হলেই তারা সবাই এক একটা বিশেষজ্ঞ হয়ে যায়- করে চুল চেরা বিশ্লেষন আর আগেই জানতাম এমনটা হবে এমন এমন অব্যার্থ ভবিষ্যতবাণী ফলে যাবার কীর্তির দাবী।
যেই স্প্যানডকের ব্লগে একটার পর একটা পোস্ট প্রায় মন্তব্যহীন অবস্থায় আমি পড়ে থাকতে দেখেছি সেই পোস্টে আচমকা ৬০/৭০ খানা মন্তব্য হলে কার কি সমস্যা-হোক সেটা লেখার সাথে সঙ্গতপূর্ণ কিংবা নেহায়েত অন্য বিষয় নিয়ে আড্ডাবাজী?
ভাল ভাল লেখা ব্লগে মন্তব্য পায় না অথচ অতি সাধারনমানের০ লেখায় মন্তব্যের ফুলঝুড়ি ছোটে এই নিয়ে অনেকের আফসোসের অন্ত নেই। কেন হয়?
ব্লগের সবচেয়ে মুল্যবান বিষয় হল মিথস্ক্রিয়া! ব্লগের প্রথম দিকে কেউ কাউকে চিনত না- তখনকার কথা আলাদা হলেও, কয়েকঘন্টার ব্লগিং এই সেখানে জোট তৈরি হয়ে যেত। সেই জোট মিলে কত কিসিমের য়ার উলটা পাল্টা কত বিবিধ বিষয়াদি নিয়েই না আলোচনা চলত তখন। ব্লগের পাতায় কত মান অভিমান থেকে জীবন নাশের হুমকি পর্যন্ত হয়ে গেছে তখন।
একবার ব্লগের এক ডাকাবুকো ব্লগার আমার নাম উল্লেখ করে বললেন যে, তার মতে ব্লগের সবচেয়ে আন্ডার রেটেড ব্লগার শেরজা তপন। আমার তখন বেশ মন খারাপ হোত একটা লেখা দিলে আধা ঘন্টায় দ্বিতীয় পাতায় চলে যেত- হাজার হাজার ব্লগারদের পদচারনায় মুখর থাকলেও পাঁচ/ সাত/দশ/বিশখানা মন্তব্য পেতাম কিনা সন্দেহ! অথচ অনেক ব্লগার এলেবেলে দুচার লাইন লিখে শত শত মন্তব্য সামলাতে হিমশিম খেত। এই নিয়ে আমার অভিমানের অন্ত ছিল না- তাই সামু ছেড়ে অন্যান্য ব্লগে ঘুরতাম, লেখা দিতাম একেবারেই কম।
অনেক পরে এসে বুঝেছি- ব্লগিং এর মুলেই হচ্ছে মিথস্ক্রিয়া আপনার ব্যতিক্রমধর্মী ভাল লেখা যেমন ব্লগারদের টানবে তেমন নিয়মিত উপস্থিতি রসালো চমৎকার সব মন্তব্য ব্লগারদের আপনাকে কাছে আনবে, আপনার লেখা পড়তে উতসাহিত করবে।
ব্লগে অল্প কজন ব্লগার এমন ব্লগিং মিথস্ক্রিয়ায় জড়িত- আশ্চর্যজনকভাবে তাদের প্রায় সবাই সু-লেখক। একজনও এলেবেলে মানের লেখক নন। এম আলী, খায়রুল ভাই, আহমেদ জী এস, সোনাবীজ ভাই, শায়মা আপু, জুন আপু, মনিরা আপু, আপনি ও সোহানী আপু, সাড়ে চুয়াত্তুর, ভুয়া মফিজ, থেকে রাজীব নুর, কামাল ভাই, সোনাগাজি সহ আরো অনেকে। এরাই কিন্তু ব্লগের প্রাণ। এদের কেউ কেউ বিষয়বস্তুর বাইরে অন্য আলোচনায় কখনো আড্ডা জমিয়ে তোলেন কিন্তু সেটাতে অন্য কারো সমস্যা হবার কথা নয়। আমার যেটা ভাল লাগে না সেখানে কেন আমি উঁকি ঝুকি দিব? এমনিতে ব্লগ ম্যাড়মেড়ে পড়ে আছে মাছি পড়ছে না অথচ দু=চার পাচজন ব্লগার যখনি গল্পে আডদায় জমিয়ে তুলল কোন পোস্ট আমার তখুনি গাত্রদাহ শুরু হল। বিভিন্ন আইন আর ধারা নিয়ে আসলাম।
মানুষের জীবনটাই শালার এই আইন আর ধারায় বন্দী। মেয়ে মানুষ তার বুক আর নিতম্ব জনসক্ষমে চুলকাতে পারবে না তা সে চুলকানী যে গ্রেডেরই হোক না কেন কিন্তু পুরুষের তাতে তেমন বাঁধা নেই। ওদিকে পুরুষের অন্তর্বাসের আড়ালে বিশেষ বিব্রতকর অবস্থায় ভীষন অস্বস্তিতে মোচড়ামুচড়ি করলেও হাসিমুখে কিছু হয়নি এমন ভাবে থাকতে হবে কিন্তু পোশাকের উপর দিয়ে হাত দিয়ে একটু সরিয়ে দিলেই ল্যাঠা চুকে যায়- সেটা হবে না, এটা যে বড্ড অসভ্যতা।
জন্ম থেকেই এই করা যাবে না এমনে খাওয়া যাবে না এমনে হাটা যাবে না এই ভাষায় ওই ভাষায় অমনি করে কথা বলতে হবে আদব কায়দা লাজ লেহাজ এর চক্কর নিয়ে মাথা গণ্ডগোলের অবস্থা! আমিতোএকজন স্বাধীন মানুষ অথচ সারা পৃথীবির মানুষ আমাকে দেখিয়ে দিচ্ছে আমার চলন বলন গড়ন গঠন কেমন হতে হবে। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত অদৃশ্যভাবে সমাজ সংস্কার ধর্ম পরিবার দেশ সবার কাছে আমার স্বাধীনতার ব্যারিকেড দেয়া।
এসেছিলাম মুক্ত এক মঞ্চে মুক্ত মানুষদের মাঝে লিখতে- অন্য কোথাও যা পারিনি বলতে, তাই এখানে বলতে এসেছিলাম-ভেবেছিলাম কিছুটা স্বাধীনতার স্বাদ পাব এখানে। কই- এখানেও আমি শেকল পড়া। এখানেও পুরোপুরি পরাধীন আমি। সভ্যতা অসভ্যতা, কি করা যাবে কি করা যাবে না, কতদুর যাওয়া যাবে কতদুর যাওয়া যাবে না আমি কেমনে লিখব - কিভাবে কি মন্তব্য করব সেটা অন্য কেউ নির্ধারন করে দিবে।
কিভাবে লিখি এখন- কোথায় গেলে আমি নিঃশ্বাস নিতে পারি বুক ভরে বলতে পারেন? কোথায় পাব আমার পরমারাধ্য স্বাধীনতা????
৪৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২০
জুন বলেছেন: যাক বাবা ফিরে এসেছেন শেরজা খুব ভালো লাগলো দেখে । কোন প্রশ্ন করতেও ভয় পাচ্ছিলাম ৩টার বেশি মন্তব্য হয়ে গেল কিনা ভেবে
কাল ভুমিকম্প নিইয়ে আধালাইনের একটা পোস্ট দিয়েছি ৬০ এর উপর মন্তব্য অবশ্য সবাই আমার প্রিয় জন । কিন্ত ভাবগম্ভীর কিছু লিখি তো তখন মাছি তাড়াতে বসি আরকি । এই সব দুক্ষের কথা আপনিও ভালো জানেন তাই আপনার মত ধানের কাছে শীবের গীত গেয়ে আর কি হবে !
আসছেন আবার ব্লগটাকে জমজমাট করে তুলুন সেই অপেক্ষায়
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৭
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের অনেক উত্তরই আমার আগের করার প্রতি মন্তব্যে খুঁজে পাবেন!
ব্লগ গেল গেল রব তুলে অনেকে কান্না জুড়ে দেয় -ঝিমিয়ে পড়েছে বলে হতাশায় প্রায় নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দেয় কিন্তু যখনই মন্তব্য প্রতি মন্তব্যে জমে উঠে তখন আবার তাদের কলজে জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যায়।
অথচ ভালো লেখা দিবেন মন্তব্য করবে না মন্তব্য করবেন উত্তর দিবে না কিন্তু আবার যখন একটু মজা করবেন আলোচনা প্রতি আলোচনায় জমিয়ে তুলবেন তখন দেখবেন তারা হঠাৎ একটিভ হয়ে গেছে। কিভাবে ব্লগিং করা উচিত ব্লগে কি করা উচিত কি করা উচিত না এই নিয়ে মহৎ মহৎ বাণী দিবেন।
কি আর করবেন লিখতে থাকেন আর এভাবেই ধান ভানতে শিবের গীত গান।
৪৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৪
ডার্ক ম্যান বলেছেন: ছুটির দিন কি শেষ হয় নাই
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৩
শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ দেশে ফিরে আসলাম ধন্যবাদ এয়ারপোর্টে আসার জন্য
৪৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৬
প্রথম সারির নিরাপদ ব্লগার বলেছেন: ও ভাই, কতদিনের অক্সিজেন নিয়া ডুব দিলেন?
আশা করি খুব শীঘ্রই ভুস করিয়া ভাসিয়া উঠিবেন।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৪
শেরজা তপন বলেছেন: ভাবছলাম মাসখানেকের জন্য যাব কিন্তু অর্দেক পথ না যেতেই অক্সিজেন ফুরিয়ে গেছে!!!
আপনার ভালবাসায় আমি আপ্লুত। ভাল থাকবেন নিরন্তর।
৪৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮
মিরোরডডল বলেছেন:
লেখক বলেছেন: ব্লগ থেকে ইচ্ছে করেই খানিকটা দূরে আছেই- চেষ্টা করে দেখছি দূরে থাকতে পারি কি না।
সেদিন যেনো কে আমাকে বললো বাচ্চাসুলভ আচরণ যেনো না করি???
এখন কি তাকে সেই কথাটা আমি বলবো???
আগেই জানতাম এমনটা হবে এমন এমন অব্যার্থ ভবিষ্যতবাণী ফলে যাবার কীর্তির দাবী।
বয়সে তরুণ একজন মানুষ দুর্ঘটনাক্রমে একটা খারাপ আচরণ করে ফেলেছে, এর কারণে এখন যারা বলছে তারা আগেই জানতো এমন কিছু হবে, এটা দেখে আমিও হতবাক!!! জানতাম না ব্লগে এরকম জ্যোতিষী আছে!
যেই স্প্যানডকের ব্লগে একটার পর একটা পোস্ট প্রায় মন্তব্যহীন অবস্থায় আমি পড়ে থাকতে দেখেছি সেই পোস্টে আচমকা ৬০/৭০ খানা মন্তব্য হলে কার কি সমস্যা-হোক সেটা লেখার সাথে সঙ্গতপূর্ণ কিংবা নেহায়েত অন্য বিষয় নিয়ে আড্ডাবাজী?
ভাল ভাল লেখা ব্লগে মন্তব্য পায় না অথচ অতি সাধারনমানের০ লেখায় মন্তব্যের ফুলঝুড়ি ছোটে এই নিয়ে অনেকের আফসোসের অন্ত নেই। কেন হয়?
I have no idea what's their problem.
ওর কয়েকশো পোষ্ট আছে জিরো কমেন্ট। লাস্ট ফিউ মান্থস আমরা কয়জন পোষ্টে একটু রেগুলার যাই, এতে একজন লেখকের নতুন লেখার প্রতি আগ্রহ হয়। আমাদের ফ্রেন্ডলি কনভারসেশনে কত কথা বলি, অনেকে সেগুলো থেকে পিক করে, মিসইন্টারপ্রেইট করে জাজ করেছে অলরেডি। খুবই দুঃখজনক!
ব্লগের সবচেয়ে মুল্যবান বিষয় হল মিথস্ক্রিয়া!
অফকোর্স!!! পূর্ণ সহমত। আমরা ব্লগে আসি কিছুক্ষণ ভালো সময় কাটাতে।
এদের কেউ কেউ বিষয়বস্তুর বাইরে অন্য আলোচনায় কখনো আড্ডা জমিয়ে তোলেন কিন্তু সেটাতে অন্য কারো সমস্যা হবার কথা নয়। আমার যেটা ভাল লাগে না সেখানে কেন আমি উঁকি ঝুকি দিব? এমনিতে ব্লগ ম্যাড়মেড়ে পড়ে আছে মাছি পড়ছে না অথচ দু=চার পাচজন ব্লগার যখনি গল্পে আডদায় জমিয়ে তুলল কোন পোস্ট আমার তখুনি গাত্রদাহ শুরু হল। বিভিন্ন আইন আর ধারা নিয়ে আসলাম।
আমারও সেটাই কথা, যার ভালো লাগবে না সে এগুলো থেকে দূরে থাকবে, সিম্পল।
কেউ যদি কোন অফেন্সিভ মন্তব্য প্রতিমন্তব্য করে ফেলে, সেটা রিপোর্ট করা হোক।
অন্য কোথাও যা পারিনি বলতে, তাই এখানে বলতে এসেছিলাম-ভেবেছিলাম কিছুটা স্বাধীনতার স্বাদ পাব এখানে। কই- এখানেও আমি শেকল পড়া। এখানেও পুরোপুরি পরাধীন আমি।
No, you're not.
যেভাবে ছিলে ঠিক সেভাবেই থাকবে।
সভ্যতা অসভ্যতা, কি করা যাবে কি করা যাবে না, কতদুর যাওয়া যাবে কতদুর যাওয়া যাবে না আমি কেমনে লিখব - কিভাবে কি মন্তব্য করব সেটা অন্য কেউ নির্ধারন করে দিবে।
এই বিষয়টা আমাকেও অনেক বদার করেছে, Super annoying!!!!
anyway, forget about all these craps.
দুইজন কি বললো নট্ ইম্পরট্যান্ট, বাকিরা কি চায় সেটাই প্রায়োরিটি।
But you know what!
সবকিছুর ভালো মন্দ দুটি দিক থাকে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কিছু মানুষের ভিন্ন চেহারা দেখার সুযোগ হয়েছে।
কিভাবে লিখি এখন- কোথায় গেলে আমি নিঃশ্বাস নিতে পারি বুক ভরে বলতে পারেন? কোথায় পাব আমার পরমারাধ্য স্বাধীনতা????
অবশ্যই বলতে পারি মাই ফ্রেন্ড, এখানেই আমাদের মাঝে এসে বুক ভরে নিঃশ্বাস নিবে, আনন্দের সাথে প্রাণ খুলে লিখবে, স্বাধীনভাবে মন খুলে মন্তব্য প্রতিমন্তব্য করবে, we're here to give you a warm hug, please come back.
৫০| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১:১৪
মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: এ এমন কিছুই না, আমার দুই সহকর্মী (ব্যাংকার সহকর্মী) যা করেছে তার তুলনায়। তো সে কি করেছে তাই বলি...সংক্ষেপেঃ
যদিও অ্যাকাউন্ট অপারেশন ইন্সট্রাকশন ছিল either/survivor, কিন্তু টাকার অংক (দশ লাখের উপর) বেশি হওয়ায় এবং চেকে স্বাক্ষরকারী (বৌ) স্বশরীরে উপস্হিত না থাকায় সহকর্মী অন্য হিসাবধারীকে (দুজনের একজন) জিজ্ঞাসা করলো যে আরেক জনের কি খবর?
তো স্বামী উত্তর দিল যে তার বৌ তো নাই। এ কথা শুনে সহকর্মী ধরেই নিল যে তার বৌ বেঁচে নাই। সে সাথে সাথে অপারেশন ম্যানেজারকে জানাল আর অপারেশন ম্যানেজারও ব্যাক অফিসকে জানাল। ব্যাক অফিস অপারেশন ম্যানেজারের নিশ্চয়তায় ঐ হিসাব deceased mark করে তা ডেবিট ফ্রিজ করে দিল।
এরপর ভদ্রলোক সেই ব্যাংক শাখায় গেলেন, যেখানে তিনি সচরাচর টাকা তোলেন। ঐ শাখায় উনি ওনার স্বাক্ষরের আরেকটি চেক দিলেন (যেহেতু তার বৌয়ের স্বাক্ষরের চেকে টাকা তুলতে ঝামেল হচ্ছে)। এবারকার সিচুয়েশনে যেহেতু স্বাক্ষরকারী স্বশরীরে উপস্হিত আর either/survivor ইন্সট্রাকশনের কারনে টেলার মহাশয় তড়িঘড়ি (তড়িঘড়ি কারন অতি পরিচিত গ্রাহক) টাকাটা ওনাকে দাওয়ার পর চেকটা আমার কাছে পাঠালেন verify করার জন্য। কিন্তু আমি তো আর verify করতে পারছিনা যেহেতু হিসাবটা ইতোমধ্যেই ব্যাক অফিস কর্তৃক deceased mark করা হয়ে গেছে।
পরে আবিষ্কার হলো এই যে, ভদ্রমহিলা নেই মানে ঢাকায় নেই। উনি নিউইয়র্কে ছিলেন। আর আমার অন্য শাখার সহকর্মী দিব্যি ওনাকে পরপারে পাঠিয়ে দিলেন।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৮
শেরজা তপন বলেছেন: কঠিন অবস্থা!!
মিরোর আপুর সাথে সুর মিলিয়ে বলতে হয়, পরে বেচারা কি ঝামেলাটাই না সয়েছিল!!
৫১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১৮
মিরোরডডল বলেছেন:
পরে আবিষ্কার হলো এই যে, ভদ্রমহিলা নেই মানে ঢাকায় নেই। উনি নিউইয়র্কে ছিলেন। আর আমার অন্য শাখার সহকর্মী দিব্যি ওনাকে পরপারে পাঠিয়ে দিলেন।
মামুনের বর্ণিত ঘটনাটা কি বলবো, জীবিত মানুষকে মৃত বানানো
কত ঝামেলা নিশ্চয়ই হয়েছে সেইসব পেপার-ওয়ার্ক আবার ফিক্স করতে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৫৩
জুন বলেছেন: অঈ মহিলা মনে হয় আমি ছিলাম শেরজা আমি এখনো চেক লিখতে গেলে আমার কর্তামশাইকে জিজ্ঞেস করে করে লিখি এখানে কি হবে? ওইখানে কি লিখতে হবে এই ব্যাংকের সিগনেচারটা জানি কেমন
এইবার যখন সে অসুস্থ হয়ে হসপিটালে ভর্তি ছিল তখন আমার বড় ভাইকে জিজ্ঞেস করেছিলাম ভাইয়া চেক লিখে কেমনে
এদিকে আমার তিনটা ব্যাংক একাউন্ট আছে অবশ্য তাতে পয়সা নাই
+
অট: ননী ভৌমিককে ভালোবেসেছি জীবনে প্রথম তার অনুবাদ করা উপকথা পড়ে। এখন আপ্নে যতই পন্ডিত অনুবাদকের কথা কন্না ক্যান তাকে আমার মনে ধরবেই না